24-FF: #মেডিকেল_ক্যাম্প
Part:24
____সেদিন রাতে উজান ঠাম্মিদের বাড়িতে পৌঁছো দিয়ে টিউলিপে ফিরে যায়।হিয়া নিজের রুমে রুটিন অনুযায়ী সব পড়া গুছাতে থাকে।দেখতে দেখতে দুটো সপ্তাহ চলে যায়।এর মধ্যে উজান আর হিয়াকে বেশি বিরক্ত করেনি হিয়া ও নিজের পড়া নিয়ে ব্যাস্ত ছিলো।দুটো পরীক্ষা হয়ে যায়।আজ পরীক্ষা আছে হিয়ায় আর ডিউটিতে উজান আর মৃনালিনী____
পরীক্ষা চলছে…….
হিয়া:ধুরো বাবা এতো কঠিন কেনো আজকের প্রশ্ন টা।একটা পাচ্ছি তো একটা গুলিয়ে ফেলছি___আর এই লোক টাকে আজকেই আমাদের রুমে ডিউটি দিতে হলো।অসহ্য।
উজান:মিস মিএ কোনো সমস্যা
হিয়া:কই না তো স্যার।কোনো সমস্যা নেই।
উজান:এভাবে না লিখে বসে আছেন তাই ভাবলাম।
হিয়া:কোথায় লিখছি তো।
উজান:হুম….
উজান এর নজর বড়াবড়ি হিয়ায় উপর দেখে মৃনালিনীর খুব রাগ লাগে।ওহ উজান কে বারবার নিজের দিকে কনসেন্ট্রেট করাতে চায় কিন্তু পারে না।
হিয়া:উজান স্যার আমার দিকে ওভাবে দ্যাপদ্যাপ করে তাকায় কেনো আছে😡কে বলেছিলো আজ ওনাকে ডিউটি দিতে…..ইশশ এটা একটু কারো কাছে শুনে নিলে জাস্ট একবার মেইন থিম টা বুঝে গেলেই লিখতে পারতাম…..ধুরো কাকে ডাকি…ঝিনুক কে ডাকবো ওহ তো লিখায় ব্যাস্ত…নাহ নাহ ওটা বাদ দিয়ে লিখি ম্যাম দেখতে পেলে সর্বনাশ হয়ে যাবে…আর এটা তো ফাইনাল এক্সাম যদি আর না পরীক্ষা দিতে দেয়…না না হিয়া তুই পারবি ভাব শুধু একটু মাথা টা খাটা…..
উজান:মিস মিএ…
হিয়া:হা হা হা স্যার
উজান:কি হলো আবার বসে আছেন..
হিয়া:হিয়া এবার উজান কে একটা ভেংচি কেটে লেখা শুরু করে।(কেনো বসে আছি বুঝতে পারছেন না…আপনার জন্য আমি মন দিতে পাচ্ছি না পরীক্ষায়)
উজান:মিস মিএ মৃনালিনীর সামনে আমাকে ভেংচি কাটলো ইডিয়ট একটা।ওয়েট ওনাকেও বোঝাচ্ছি…
মৃনালিনী:উজান কফি খাবে?আরো ৪০মিনিট আছে এক্সাম শেষ হওয়ায়….
উজান:হিয়া কে শুনিয়ে শুনিয়ে(ঠিক আছে মৃন তুমি যখন এতো বলছো তাহলে আমি বলছি কাউকে কফি পাঠায় দিতে….)
মৃনালিনী:হুম সিউর….
হিয়া:মৃন না আমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে ঢং করে মৃন বলে ডাকা হচ্ছে😡😡😡😡ডাকুক কতো ডাকবে…পরীক্ষা তো পরীক্ষা টা শেষ হোক দেখে নিচ্ছি ওনাকে..শেষে তো এই হিয়া মিএ এর কাছেই আসতে হবে😏😏
পরীক্ষা শেষ হয়।উজান হিয়াকে ওর কেবিনে ডাকে…..
হিয়া:স্যার আসবো
উজান:হুম আসুন
হিয়া:বসবো
উজান:হুম…কোশ্চেন টা দেখি….
হিয়া:এই নিন….
উজান:কতো এ্যান্সার করেছেন…
হিয়া:হবে 60 to 65
উজান:এ্যারাউন্ড 80 আপনি বলছেন আপনি শুধু 60to65 এ্যান্সার করেছেন😡😡
হিয়া:হুম কি করবো কোশ্চেন এতো হার্ড হয়েছে আমি তো কিছু পাচ্ছিলাম ই না লিখতে
উজান:এটাকে হার্ড কোশ্চেন বলে!
হিয়া:শুনুন আমার সাথে এই কদিন কি কি হয়েছে আপনি সব জানেন।আমি যে 60মার্ক এটেন্ড করছি ওটা না আমার কাছে অনেক…
উজান:ঝিনুক এর সাথে কথা হয়েছে কেমন পরীক্ষা দিয়েছে কতো মার্ক এ্যান্সার করেছে ও বলেছে কিছু?
হিয়া:ওর তো পরীক্ষা খুব খুব ভালো হয়েছে বললো প্রায় 77মার্ক নাকি ও এ্যান্সার করেছে।
উজান:আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড এতো ভালো পরীক্ষা দিলো আর আপনি মাএ 60মার্ক নিয়ে এভাবে হেসে খেলে বের হচ্ছেন….মিনিমাম লজ্জা টুকু নেই দেখছি আপনার….এবার ফাস্ট তো দূরে থাক আপনি লাস্ট ও হতে পারবেন না আমি বলে রাখলাম😡😡
হিয়া:এই দেখুন আমি না সবার মতো হিংসুটে না।ঝিনুক ভালো পরীক্ষা দেওয়া মানে আমিও ভালো পরীক্ষা দেওয়া…..আর আমি মন থেকে চাই ঝিনুক এবার ফাস্ট হোক ওহ না এবার অনেক অনেক পরিশ্রম করছে আমার থেকে।তাই আমি চাই ওহ এবার খুব ভালো করুক……
উজান:আপনি তো আপনিই…..আবার পরীক্ষা কবে….
হিয়া:দুদিন ওফ আছে তারপর…
উজান:এজন্য গা হেলিয়ে বসে থাকবেন না যেনো।কিসে করে বাসা যাবেন….
হিয়া:প্রতিদিন যেভাবে যাই….
উজান:চলুন আপনাকে ড্রপ করে দিয়ে আসি……
গাড়িতে..
উজান:আর কটা এক্সম আছে
হিয়া:ঔ তো আর তিনটে তারপর প্রাক্টিল হলে শেষ
উজান:থার্ড ইয়ায় কিন্তু এর চেয়েও অনেক চাপ পারবেন তো
হিয়া:কেনো না পারার কি আছে।আপনি পাশে থাকলে আমি সব পারবো
উজান:দেখা যাবে…পরীক্ষা পর কি করবেন..
হিয়া:পরীক্ষার পর তো গ্রামে যাচ্ছি সবাই
উজান:আবার কেনো
হিয়া:আপনাকে বলেছিলাম না আমার পিসির বোনের মেয়ের আশির্বাদ।তো ওর বিয়ের ডেট ঠিক হয়ে গেছে….তাই সবাই মিলে যাবো
উজান:মনেমনে(ভাবলাম আপনাকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাবো আর আপনি গ্রামে যাবেন আবার আমাকে রেখে😡ওকে আমার কি কে হই আমি😡আমাকে টাইম দিতে হয় ওটা কি ওনার মাথায় আসে কখনো)
হিয়া:আর জানেন তো কাকিমা ঠাম্মি জিনি ওরাও যাবে এবার আমাদের সাথে।পিসি ওদের সবাই কে আসতে বলেছে😊
উজান:বাহ সবাই যাচ্ছে গুড😡
হিয়া:সবাই মানে কিন্তু আপনিও
উজান:আমি আবার এসবে কেনো
হিয়া:কেনো মানে আমি বলেছি তাই
উজান:আমি যাবো না আমার টিউলিপে অনেক কাজ থাকবে তখন ওগুলো কে দেখবে
হিয়া:কাজ না বললেই হয় কি কাজ।
উজান:মানে
হিয়া:নাহ কিছু না।শুনুন আপনি আসছেন আমাদের সাথে এটাই ফাইনাল।আমি কোনো কথা শুনবো না।
উজান:চেষ্টা করবো।এখন নামুন এসে গেছি….
……………হিয়ার পরীক্ষা শেষ হয়।প্রাক্টিকেল ও কম্পিলিট…..ওরা সবাই মিলে পিসির বোনের বিয়ে খেতে বাতাসিয়া গ্রামে যায়…..উজান এখনো আসে নাই টিউলিপে অনেক পেশেন্ট…..বিয়ের আগের দিন উজান আসবে হিয়াকে কথা দিয়েছে……….
বিয়ের আগের দিন………
বিকাশবাবু:বুলি এই বুলি কোথায় গেলি দেখ কে এসেছে।আসুন আসুন
বুলি:ওমা কাকাই তুমি।এটা আসার সময় হলো আগে এলে না কেনো বিয়ের আগের দিন কেউ আসে
কাকাই:আর বলিস না মা অনেক কাজ।তা তোর ডাক্তার বোন টি কোথায় কতোদিন দেখি না।সেদিন নিখিল গিয়ে তো ওর প্রশংসা শেষ করে পারে না…
____হিয়া এসে কাকাই কে জরায় ধরে___
হিয়া:আরে কাকাই কতোদিন পর দেখলাম তোমাকে।কেমন আছো বলো..কাকিমা কোথায়
কাকাই:আসছে রে অটো ভাড়া দিতে এতোক্ষন লাগছে যে কেনো….
কাকিমা:দেখলি তো ১০০টাকা ভাড়া কেমন জোর করে ২০টা টাকা বেশি নিলো
নিখিল:আহ মা রাখো তো ওসব
হিয়া:কাকিমা!
___হিয়া এসে কাকিমা কে প্রনাম করে জোরায় ধরে___
কাকিমা:আমার মিস্টি মেয়ে টা….
বিকাশবাবু:এখন আর কথা না অনেক কাজ।বুলি যা আগে সবার খাওয়া দাওয়ায় ব্যাবস্থা কর দেখি।উপরে হিয়ার ঠাম্মিরা সবাই বসে আছে কখন থেকে….
নিখিল:এই হিয়া শোন তোকে এখনি আমার সাথে একটু বের হতে হবে
হিয়া:কিন্তু নিখিল
নিখিল:কোনো কিন্তু না যা গিয়ে চটপট রেডি হো
হিয়া:কিন্তু কোথায় যাবি
নিখিল:পিসি আমাকে একটা লিস্ট ধরায় দিছে বলছে বাজার থেকে রাতের মধ্যে সব আনতে আমি একা পারবো না রে চল না এমন করছিস কেনো..
হিয়া:মনে মনে(উজান স্যার ও তো আজ আসছে আমি চলে গেলে কি করে হবে এখন কি করবো..)
বুলি:দিদি উজান দার কথা ভাবছিস
হিয়া:হ্যা রে মানুষ টাকে কতোদিন পর দেখবো বল তো।এখন আমি চলে গেলে উনি এসে আমাকে না দেখলে মন খারাপ করবে__
বুলি:তুই যা নাহলে সবাই অন্য কিছু ও ভাবতে পারে।আমি উজান দা কে বুঝিয়ে বলবো…..
হিয়া:ঠিক আছে।একটু দেখিস হ্যা।আমি আসছি।নিখিল থাম আমি রেডি হয়ে আসছি….
……… উজান বিকেল ৪টার মধ্যে বাতাসিয়া গ্রামে হিয়াদের বাসায় পৌঁছে যায়….কিন্তু অনেক কেনা কাটা থাকায় হিয়ার ফিরতে অনেক টাইম লাগে…বুলি উজান কে বুঝিয়ে বললেও হিয়া নিখিল এর সাথে গেছে যেটা উজান এর একদম ভালো লাগে না….হিয়া ফিরতে ফিরতে রাত ৮টা করে….এসে ফ্রেশ হতে সব গোছগাছ করতে করতে রাতের খাবার সময় হয়ে যায়……
সবাই খাবার টেবিলে…..
পিসি:দিদি নিজের মতো করে সবটা নিয়ে নিন।
বাসবি:আপনি একদম চিন্তা করবেন না।আমরা তো নিজেরই মানুষ
পিসি:কি যেনো নাম জিনিয়া।জিনিয়া তোমাকে কিছু দেবো আর মা
জিনিয়া:নাহ নাহ পিসি লাগলে আমি চেয়ে নিবো..
বিকাশবাবু:হিয়া দেখ না ডাক্তারবাবুর কি কি লাগবে।যাহ ওদিক টায় একবার গিয়ে জিঙ্গাস কর
___হিয়া সাহস পায় না উজান এর কাছে যাওয়ায়।একে তো দেরি তে ফিরেছে তারপর আসার পর থেকে একবারো উজানের সাথে কথা বলার সুযোগ সময় কোনোটাই পাইনি___
হিয়া:স্যার কিছু লাগবে…একটু ভাত দেই….
উজান:নাহ
হিয়া:হিয়া একটু এপাশ ওপাশ দেখে__(সরি)
উজান:যখন আমাকে সময় দিতে পারবেন না ডেকেছিলেন কেনো তাহলে😡😡
হিয়া:আপনি তো দেখছেন বাসায় এতো মানুষজন আমি সুযোগ টা কোথায় পাচ্ছি
উজান:যদি ইচ্ছে থাকে না তবে সব করা যায়😡😡
হিয়া:আমার ইচ্ছে নাই আপনি বলছেন।
উজান:সেটা আপনি ভালো জানেন।
হিয়া:আচ্ছা বেশ….সবাই ঘুমিয়ে পড়লে আমি আপনার রুমে যাবো পাক্কা প্রমিস____
উজান:ঠিক তো
হিয়া:বললাম না পাক্কা প্রমিস….
উজান:কটা হবে তাও
হিয়া:১১ টা ১২টা।আপনি শুধু আপনার গেটের ছিটকিনি টা খুলে রাখবেন তাহলেই হবে
উজান:মনে থাকে যেনো ১১ টা ১২টা….
হিয়া:হয়েছে হয়েছে এখন একটু ভাত দেই😊
…………এদিকে বিয়ের আগের দিন সব গুছাতে গুছাতে ১১টা পার হয়।ঠাম্মি বাসবি পিসি নতুন কাকিমা সবাই বসে শাড়ি গহনা দেখতে থাকে আর গল্প জুড়ে দেয়।সাথে হিয়া বুলি জিনিয়া পিসির বোনের মেয়ে সবাই যোগ দেয়…গল্প করতে করতে কখন দুটো বেজে যায় হিয়ার খেয়াল থাকে না…উজান হিয়া কে মেসেজ করে কিন্তু হিয়ার কোনো রিপ্লাই না পেয়ে উজান এবার একদম রাগে ফুলে উঠে…..
বুলি:দিদি শোন না একটু
হিয়া:হ্যা বল
বুলি:উজান দা আমাকে মেসেজ দিয়েছে তোর কথা জানতে চাইছে..
হিয়া:হিয়ার এবার হুশ ফিরে…..এই বুলি কটা বাজে রে😖😖
বুলি:১টা পার হচ্ছে
হিয়া:সর্বনাশ কেলো করেছে।হিয়া মিএ আজকে তুই শেষ……
বুলি:কেনো তুই শেষ কেনো…
হিয়া:কিছু না তুই বুঝবি না।যাহ অনেক রাত হলো ঘুমোতে যা জলদি….ঠাম্মি,কাকিমা অনেক রাত হলো ঘুমোতে যাবা না নাহলে কাল উঠতে পারবে না তো
পিসি:হুমম দিদি আপনারা ঘুমিয়ে পড়ুন।ডাক্তার বাবু উপরের রুমে আছে।ছেলে কে নিয়ে টেনশন করতে হবে না আপনার😊
বাসবি:নাহ দিদি আপনারা থাকতে কিসের চিন্তা আমার।বুলি জিনি যাও মা ঘুমিয়ে পড়ো😊
সবাই ঘুমোতে ঘুমোতে ২টা করে।সবাই ঘুমিয়ে গেলে হিয়া চুপিচুপি উজানের রুমে গিয়ে গেট লাগায় দেয়।উজান ঘুমোয়নি।বারান্দাতে বসে ফোন ঘাটছে……হিয়া উজানকে কিছু বলার সাহস পায় না।ওর গলা শুকিয়ে যায়….হিয়া কিছু না বলে বিছানায় এসে চাদর গায়ে দিয়েয়ে শুয়ে পড়ে……..
১০মিনিট পরর….
হিয়া:স্যার………..উজান স্যারর……..সরি……..উজান স্যার ঘুমোবেন না…….
উজান হিয়ার কোনো কথায় উওর দেয়না..
হিয়া এবার ফোনে উজানকে মেসেজ করে…
মেসেজিং……..
হিয়া:স্যার সরি
উজান:নো রিপ্লাই
হিয়া:বললাম তো সরি
উজান:নো রিপ্লপ্লাই
হিয়া:আসুন না খুব ঘুম পাচ্ছে..
উজান:আপনি ঘুমিয়ে পড়ুনন
হিয়া:একা একা ঘুমোনোর জন্য এসেছি নাকি।আপনি না আসলে কিন্তু আমি চলে যাবো
উজান:যান চলে
হিয়া:আপনি আমাকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন
উজান:আপনাদের বাড়ি আপনার ইচ্ছে হলেলে থাকুন না হলেলে চলে যান
হিয়া:আমি কিন্তু সত্যি সত্যি চলে যাবো
উজান:যান
হিয়া:গেলাম কিন্তু
উজান:নো রিপ্লাই…..
হিয়া এবার উঠে গিয়েয়ে উজানের কাছে যায়।
হিয়া:কি হয়েছে হয়েছে না হয় একটু দেরি এসেছি তো নাকি।আমার কিন্তু কষ্ট হচ্ছে
……….উজান কিছু না বলে বিছানায় গিয়ে একপাশ হয়ে শুয়ে পরে……হিয়া উজানের পিছন পিছন গিয়ে উজান কে পেছন থেকে জরিয়ে ধরে…
হিয়া:সরি…….স্যার……বললাম তে সরি…দেখুন সবাই ওঠার আগে কিন্তু আমাকে বের হতে হবে…..স্যার
………আধা ঘন্টা হয়ে যায়।উজান তখনো চুপচাপ।হিয়া বিছানার মধ্যে এপাশ ওপাশ করতে থাকে আর নিজের মনে বক বক করতে থাকে……
হিয়া:শুনছেন আমি ঘুমোলাম।আর পাচ্ছি না চোখ খোলা রাখতে……
হিয়া পিছন ফিরে শুলে উজান পিছন ফিরে হিয়াকে ওর বা হাত দিয়ে জরিয়ে ধরে আরর হিয়ার চুলে ওর মুখ গুজেঁ দেয়
হিয়া:একটা হাসি দিয়ে।মনেমনে(কমলো রাগ তাহলে আমার বর টার)