25-FF:#মেডিকেল_ক্যাম্প
Part:25
পরের দিন সকাল ৬টা।হিয়ার ঘুম ভেঙ্গে যায় তার আগে।উজানের এখনো ঘুম ভাঙ্গে নাই…জানালা দিয়ে ভোরের ঠান্ডা হওয়া আসছে…হিয়া উজানের চুল গুলো নিয়ে খেলছে আর আপন মনে বকবক করছে….
“”””মেরি রাহে তেরি তাক হে””””
“”””তুঝপে হি তো মেরা হাগ হে””””
“””ইশক মেরা তু বেশাক হে””””
“””তুঝপে হি তু মেরা হাগ হে””””””
হিয়া:কে বলবে এনাকে দেখলে কালকে রাতে আমার উপর কতোটা রাগ করে ছিলো…জানি না জীবনে কি ভালো আমি করেছি যে আপনার মতো একটা মানুষ কে আমার পাশে পেয়েছি……
_উজানের ঘুম ভেঙ্গে যায়।হিয়াকে ওর চুল নিয়ে খেলতে দেখে উজান হিয়ার হাত টা ধরে..
উজান:উঠে গেছেন আপনি।এতো তাড়াতাড়ি ঘুম ভাঙ্গলো!..
হিয়া:সবাই ঘুম থেকে ওঠার আগে যে আমাকে আমার ঘরে যেতে হবে..
উজান:এখুনি চলে যাবেন….
হিয়া:হুমম আলো ফুটছে যেতেঁ হবে…
উজান:১০মিনিট থেকে যান…শুধু দশ মিনিট..
হিয়া:ঠিক আছে…
উজান হিয়াকে ওর বুকে আগলায় নেয়….
…….বিয়ের বাড়িতে অনেক আয়োজন আজ….সবাই ভিষন ব্যস্ত….বিয়ে শুরু হয়.. হিয়া এসে উজানের সাথে মাঝেমাঝে টুকটাক কথা বলে..চোখের ইশারা চলতে থাকে….বর আর কনের গায়ে ফুল ছিটাতে ছিটাতে হিয়া মাঝেমাঝে উজানের গায়ে ও ফুল ছিটিয়ে দেয়…অনেক মজা করে বিয়ে টা শেষ হয়….উজান সেদিন রাতেই টিউলিপ ফিরে যায়…হিয়ার কলেজ দুদিন পর খুলবে দেখে হিয়া রা সবাই আরো একদিন থেকে যায়……এদিকে সেকেন্ড ইয়ায় রেজাল্ট বের হয়…হিয়া মোটামোটি একটা পজিশন নিয়ে সেকেন্ড ইয়ায় এ পাশ করে কারন ওহ জানতো এবার ওর পড়াশুনাতে অনেক ঘাটতি ছিলো..তবে ঝিনুক অনেক ভালো রেজাল্ট করে…থার্ড ইয়ায় ক্লাস শুরু হয়….আজকেও ক্লাস শুরুর আগে হিয়া একবার উজানের কেবিনে যায়….
হিয়া:স্যার আসবো
উজান:আপনাকে কতো বার বলবো হিয়া যে আমার কেবিনে আসার জন্য আপনার পারমিশন লাগবে না…
হিয়া:ওটা না আমার অভ্যাস হয়ে গেছে যখনি আপনার গেটে ঢুকতে ধরি তখনি মুখ দিয়ে অটোমেটিক বের হয়ে আসে…
উজান:তা যেই বই টা কাল লাইব্রেরি থেকে নিতে বলেছিলাম নিয়েছিলেন..
হিয়া:ওটার না একটাই কপি ছিলো কে যেনো নিয়ে গেছে…
উজান:আমি ওসব এক্সকিউজ শুনতে চাই না আজ ক্লাসে পড়া না পাড়লে আমি কিন্তু মাফ করবো না..
মৃনালিনী:উজান আসবো..
উজান:ওহ তুমি__এসো বসো..
মৃনালিনী:তুমি এখানে তোমার ক্লাস নেই।সকাল সকাল উজানের কেবিনে চলে এসেছো😏
উজান:ওনাকে আমি আসতে বলেছিলাম মৃন।
মৃনালিনী:বেশ….তা আজ কিন্তু তুমি আমাকে কথা দিয়েছিলে বিকেলে রাউন্ড এর পর আমার সাথে কফি খেতে যাবে।মনে আছে তো নাকি।নাহ কিন্তু আমি শুনবো না…
উজান:মৃন আমি ওটা কথার কথা বলেছিলাম সবাই ছিলো তাই..
মৃনালিনী:ওসব তো আমি কিছু শুনবো না উজান।তোমাকে আজ আমার সাথে যেতেই হবে।আমি কিন্তু ৫টার মধ্যে রেডি হয়ে আসবো….
হিয়া:মনেমনে(ওহ ওনাকে কফি খেতে নিয়ে যাবে উজান স্যার😡কই কখনো তো আমাকে বললো না হিয়া চলো আজকে দুজনে একটু কফি খেয়ে আসি😡একটা সন্ধ্যা দুজনে একসাথে কাটাই..আর এখানে দেখো মৃন মৃন বলে হেতিয়ে বের হচ্ছে😏আমিও না এর প্রতিশোধ নিয়েই ছাড়বো😏)
উজান:হিয়াকে জ্বালানোর জন্য মৃন কে বলে(ঠিক আছে মৃন তুমি যখন এতো করে বলছো ওলরাইট যাওয়াই যায়)
মৃনালিনী:Thank you উজান।thank you so much..আমি আসি তাহলে এখন…
মৃনালিনী চলে যায়..
হিয়া:স্যার আমি আসছি..
উজান:রাগ করলেন😊
হিয়া:রাগ কেনো করবো
উজান:এই যে আমি আর মৃন একসাথে কফি খেতে যাবো..
হিয়া:এতে আর রাগের কি আছে আপনারা এতো ভালো বন্ধু এতো ক্লোজ যেতেই পারেন😡
উজান:(ভাঙ্গবে তবু মচকাবে না মনে মনে হিংসে হচ্ছে কষ্ট পাচ্ছে তাও স্বীকার করবে না)নাহ আমি আর মৃন একাই রাতে বের হবো আপনার খারাপ লাগবে না
হিয়া:হিয়া মনে মনে কষ্ট পায় কিন্তু মুখে স্বীকার করে না…(এতে খারাপ লাগার তো কিছু নেই)
উজান:আসলে জানেন মৃন এর মধ্যে না একটা ব্যাপার আছে কেমন জানি আমাকে কনভেন্স করতে পারে সব ব্যাপারে।ওর সাথে সময় গুলো কিভাবে যে কেটে যায়।
হিয়া:এবার রেগে যায়(তা আমাকে ডিভোর্স দিয়ে ওনাকে বিয়ে করে নিলেই পারেন)
উজান:তাই করবো ভাবছি..
___হিয়া আর কিছু না বলে কেবিন থেকে রাগ করে বেরিয়ে যায়….ক্লাস শুরু হয়..লাস্ট এ উজানের ক্লাস ছিলো…ক্লাস শেষে সবাই রুম থেকে বেরিয়ে যায়..শুধু ঝিনুক হিয়া আর উজান থাকে__
ঝিনুক:হিয়া এই নেও শাড়ি টা তুমি চেয়েছিলে
হিয়া:আমি ভুলেই গিয়েছিলাম গো শাড়িটার কথা।thank you so much ঝিনুক।তুমি যে কি বড়ো উপকার করলে আমার….
ঝিনুক:ধুরো এতে এতো থ্যাংকস এর কি আছে__
_____ঝিনুক বুঝতে পারে উজান হিয়ার সাথে কথা বলার জন্য দাড়িয়ে আছে তাই ওহ বেশি কথা না বাড়িয়ে বেরিয়ে পড়ে____
ঝিনুক:আমি তাহলে আজ আসি হিয়া।পরে বাস অটো কিচ্ছু পাওয়া যাবে না।কালকে দেখা হবে কেমন__
হিয়া:হুম এসো
____ঝিনুক চলে যায়।উজান হিয়ার কাছে এগিয়ে আসে____
হিয়া:কিছু বলবেন?
উজান:এটা কি
হিয়া:শাড়ি
উজান:হঠাৎ ঝিনুকের কাছ থেকে শাড়ি কেনো নিতে হলো__
……. হিয়ার মাথায় দুষ্টমি বুদ্ধি খেলে ওহ সকালের ঘটনা গুলো ভাবতে থাকে আর কিভাবে উজান কে শায়েস্তা করা যায় তার ব্যাবস্থা করে…..
হিয়া:আসলে নাহ আজকে আমাকে পিসি বাড়ি থেকে ছেলে পক্ষ দেখতে আসবে তাই আমার কাছে তো এখানে পড়ার মতো ভালো কোনো শাড়ি নেই তাই ঝিনুকের কাছ থেকে চেয়ে নিলাম😍😍
উজান:ওয়েট ওয়েট এক সেকেন্ড আপনি কি বললেন আপনাকে ছেলে পক্ষ দেখতে আসবে😒😒মানে সিরিয়াসলি আপনার মাথা ঠিক আছে আপনি কি বলছেন কোনো ধারনা আছে আপনার😡😡
হিয়া:ধারনা না থাকার কি হলো…আর আমাকে পছন্দ হলে ওর আজ আমাকে আশির্বাদ ও করে যাবে বলেছে….
উজান:(হিয়ার বাহু শক্ত করে ধর)তাহলে আমাদের মাঝে এতোদিন যা হলো আমাদের বিয়ে সেসব এর কি হবে এ্যান্সার মি ডেম ইট😡😡
হিয়া:কেনো আপনি তো তখন বললে মৃনালিনী এটা মৃনালিনী ওটা আমাকে ডিভোর্স দিয়ে ওনাকে বিয়ে করা আপনার জন্য ভালো হবে।বলেন বলেননি আপনি এগুলো…
উজান:হ্যা ওটা জাস্ট একটা ফান ছিলো
হিয়া:ফান তাই না আপনি না আপনার ফাম নিয়েই থাকুন।একদিন সত্যি সত্যি এই ফান ফান করতে করতে না আপনি আমাকে ছেড়ে দিবেন।সারুন আমাকে।আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে
উজান:হিয়া হিয়া হিয়া হিয়া…ডিসগাস্টিং…
বিকাল ৪টা..হিয়ার কথা গুলো উজান বিশ্বাস করতে চায় না..কিন্তু উজানের ভয় হয় যদি সত্যি সত্যি হিয়া নাহ নাহ উজান আর ভাবতে পারে না….উজান একবার বুলি কে ফোন করে..
বুলি:হ্যালো উজান দা তাড়াতাড়ি বলো।অনেক কাজ আজ বাড়িতে
উজান:তোমার দিদি মানে হিয়া কোথায়?
বুলি:দিদি তো রেডি হচ্ছে..
উজান:কেনো কোথাও যাবে উনি
বুলি:নাহ নাহ কোথাও কেনো যাবে।আজ পিসির বাড়ি থেকে লোক আসছে দিদি কে দেখার জন্য তাই ওহ রেডি হচ্ছে।আমি এখন রাখছি হ্যা পরে কথা হবে..
উজান:হ্যালো বুলি লিসেন্ট বুলি বুলি…
………….
বুলি:নে বলে দিয়েছি উজান দা কে তুই যা যা বলতে বলেছিলি…
হিয়া:ঠিক আছে এখন যা তুই..
বুলি:তোর না মাঝেমাঝে মাথায় কি চলে।আজ মামু ও নেই বাসায় যদি এসব জানতে পারে তুই উজান দা কে এসব বলেছিস জানিস কতো বকুনি খেতে হবে তোকে
হিয়া:তুই যা গিয়ে কাকিমা কে কাজে হেল্প কর…
…………
এদিকে উজান বুলির কাছে এসব শুনে আকাশ থেকে পড়ে..কি করবে কিছু বুঝে উঠতে পারে না..হিয়া সত্যি সত্যি ওকে ছেড়ে অন্য কাউকে নাহ নাহ উজান আর নিজেকে সামলে রাখতে পারে না।চাবি নিয়ে টিউলিপ থেকে বের হয়….এদিকে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হতে থাকে উজানের খোজ নেই….উজান আবার সেই নদীটার কাছে গিয়ে দাড়িয়ে থাকে…..হাতে ওর নেশার বোতল…ড্রিংক করতে করতে ওর সেদিন ওর জন্মদিনে হিয়ার সাথে কাটানো নৌকার মধ্যে সময় গুলো মনে পড়ে…ওর মনে পড়ে এখানে বসেই হিয়া ওকে ড্রিংক করতে বারন করেছিলো…উজান আর ড্রিংক করতে পারে না…বোতল টা নদীতে ছুড়ে ফেলে….
উজান:কেনো মিস মিএ কেনো।আমি তো শুধু আপনাকে জ্বালানোর জন্য ওসব বলেছিলাম আপনি সবটা সত্যিসত্যি ভেবে নিলেন..আমাদের বিয়ে থাকা অবস্থায় আপনি অন্য এক জন কে…নাহ হিয়া এটা হতে পারে না…আপনি আমার সাথে এমনটা করতে পারেন না….দেখুন আমি আজ ড্রিংক করছি না আপনার কথা শুনেছি…ফেলে দিয়েছি বোতল টা….কেনো করলেন আমার সাথে এমনটা….যখন ছেড়েই যাবেন কেনো আসলেন আপনি আমার এতো কাছে কেনো আমি তো আপনাকে জোর করিনি…কেনো ভালোবাসলেন আমাকে এতো…নাহ এর জবাব আপনাকে দিতেই হবে আজকেই এক্ষুনি..(কাঁদতে কাঁদতে)
উজান নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে গাড়ি নিয়ে হিয়াদের বাসার জন্য রওনা দেয়।হিয়াদের বাসায় পৌছায়…..
বাসবি:রাজা তুই এতো রাতে এখানে।কিছু হয়েছে
উজান:তুমি এখানে কি করছো।তার মানে তুমিও সব জানতে
বাসবি:কি জানবো।তুই আগে আয় তো ভিতরে।বুলি হিয়া….বিকাশবাবু গ্রামের বাসায় গেছে তাই আমি এসেছি আজ..
উজান:তুমি মিথ্যে বলছো…
__হিয়া বুলি দুজনে আসে।হিয়া আজ হলুদ শাড়িটা পড়ে সেজে বসে ছিলো ওহ জানতো উজান আসবে।হিয়াকে শাড়ি পড়ে সেজে থাকতে দেখে__
উজান:তাহলে মিস মিএ আপনিও সবার মতো আমাকে ঠকালেন..
__হিয়া কিছু না বলে ওর রুমে চলে যায়__
বাসবি:কি ঠকালো তোকে ওহ।কি সব বলছিস রাজা তুই
উজান:তা বুলি ছেলে পক্ষ পছন্দ করলো তোমার দিদিকে।আশীর্বাদ ও নিশ্চয় করে ফেলছে..
বাসবি:কার আশীর্বাদ কার কি আমাকে একটু খুলে বলবি তোরা
বুলি:কাকিমা আমি তোমাকে সব বলছি(বুলি সব কথা খুলে বলে)
উজান:তাহলে তখন তুমি আমাকে ফোনে কেনো মিথ্যে কথা বললে বুলি
বুলি:তুমি প্লিজ আমার উপর রাগ করো না উজান দা।দিদি আমাকে সব বলতে বলেছে।ব্যাপারটা এতো সিরিয়াস হবে আমি বুঝতে পারি নি।
বাসবি:তুই কি রে রাজা।তোকে বুলি আর হিয়া বললো এসব আর তুই বিশ্বাস করে নিলি। একবারো সত্যি টা জানতে চাইলে না।আমাকে তো ফোন করতে পারতি….তুই কিভাবে ভাবলি যে হিয়ায় মতো মেয়ে তোদের বিয়ে থাকা শর্তেও অন্য কাউকে বিয়ে করতে রাজি হবে…
…….. উজানের এবার সবটা ক্লিয়ায় হয়।হিয়া ওর উপর রাগ করে এসব করেছে উজান বুঝতে পারে….
বুলি:এবার অনেক রাত হয়েছে।কাকিমা চলো না আর একটু কাজ তোলা বাকি আছি।ডিজাইন গুলো কালকেই জমা দিতে হবে….আর উজান দা এভাবে বোকার মতো দাড়িয়ে না থেকে যাও গিয়ে দিদির মান টা ভাঙ্গাও
উজান হিয়ার রুমে এসে দরজা লক করে দেয়।হিয়া ওর টেবিলের কাছে দাড়িয়ে গোছানো বই গুলো আবার গোছাচ্ছিলো…উজান এসে পেছন থেকে হিয়াকে জরিয়ে ধরে শক্ত করে..
“”””খামোসিয়া আবাজ হে”””
“””তুম ছুননে তো আও কাভি”””
“””ছু কার তুমহে””””
“”””খিল যায়ে বো”””
“””””যারা ইনকো সামহালো আভি””””
উজান:কেনো করলেন আমার সাথে এটা..কি পেলেন আমাকে এতোটা কষ্ট দিয়ে..
হিয়া:আমি তো আপনাকে কষ্ট দেই নি।আপনি নিজের মতো সবটা ভেবে নিয়েছেন
উজান:আপনি জানেন আজকে আমার মনের উপর দিয়ে কি চলছিলো।আমি সারা রাস্তা পাগলের মতো ঘুরেছি। শুধু মনে হচ্ছিলো আমি আপনাকে হারিয়ে ফেললাম
হিয়া:এতটুকুও ভরসা নেই আপনার আমার উপর।আপনি কি করে ভাবতে পারলেন আমি আপনাকে ছাড়া অন্য কাউকে কখনো বিয়ে করতে রাজি হবো….
উজান:আপনি তো জানেন আমি ওসব মন টন পড়তে পারি না…তাই আপনি যা বলেছেন আমি সেটাই সিরিয়াস ভাবে নিয়েছি।
হিয়া:আপনি ড্রিংক করেছেন?
উজান:কোথায় আর পেলাম ড্রিংক করতে…ড্রিংক করতে করতে মনে পড়লো আপনার কথা..আমার জন্মদিনের দিনে আপনি আমাকে বারন করেছিলেন এসব না খেতে তাই বোতল টা ছুড়ে ফেললাম….
হিয়া:এখানে কেনো এলেন তাহলে আমার তো সত্য হোক বা মিথ্যা আশির্বাদ তো হয়েই যেতো আজ তাহলে
উজান:কিছু হিসাব মেটানোর জন্য এসেছি..
হিয়া:কিসের হিসাব….
উজান হিয়ার ঘাড় থেকে চুল গুলো সরিয়ে হিয়ার ঘাড়ে একটা চুম্বন একে দেয়।উজানের স্পর্শে হিয়া খানিকটা কুকড়ে উঠে
উজান:আজকে সারাদিন আপনি আমাকে যে কষ্ট টা দিলেন তার হিসাব…
হিয়া:শুনুন স্যার..
____উজান হিয়া কে ওর দিকে ঘুরিয়ে হিয়ার ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে চুপ করতে বলে___
উজান:চুপ…আমার জন্যেই তো শাড়ি পড়ে এভাবে সেজেগুজে বসে ছিলেন কারন আপনি জানতেন আমি আসবো..
হিয়া:জানতামই তো..
উজান হিয়ার শাড়ির সেফটিপিন খুলতে থাকে..হিয়া খানিকটা লজ্জা পায়।তোতলে তোতলে বলতে থাকে…..
হিয়া:কি করছেন
উজান:ঔ যে বললাম হিসাব মেটানোর আছে..
হিয়া:বলছি কি জানালা টা খোলা আছে…
উজান:থাকুক
হিয়া:মা মা এখনো জেগে আছে
উজান:মা ই বললো গিয়ে নিজের বউ এর রাগ ভাঙ্গা
হিয়া:বুলি আছে….ওহ আসে যদি
উজান:বুলি বললো দিদি তোমার জন্য বিকাল থেকে সেজে বসে আছে গিয়ে ওকে একটু সময় দেও
হিয়া:কালকে….
উজান:হুম কালকে কি
হিয়া:কালকে আপনার ক্লাস টেস্ট আছে আমার না পড়া হয়নি।আমি পড়াটা শেষ করে নেই তারপর..
উজান:ভাবছি কালকে পরীক্ষা নিবো না….
হিয়া:আপনার ডিউটি নেই আজ
উজান:নাহ আজ ওফ নিয়ে নিলাম…
হিয়া:বলছি যে আমি না শাড়ি পড়তে পারি না..পরে….. কে মানে
উজান:আমি আছি তো ইউটিউব দেখে যেভাবে এর আগে শাড়ি পড়ে দিয়েছিলাম এবার ও দিবো নাহয়..
হিয়া:ইয়ে মানে….
উজান:চুপ….আর কতো বাহানা দিবেন….একটা ভালো করে এক্সকিউজ ও তো দিতে পারেন না….
হিয়া:আপনি না
উজান:কি আমি…
হিয়া:কেমন জানি দিন দিন অসভ্য হয়ে যাচ্ছেন..মুখে যা আসে মন যা চায় তাই করে বের হোন…
উজান:তাই….এখন যদি নিজের ওয়াউফ কে ভালোবাসতে অসভ্য হতে হয় হলাম না হয় অসভ্য …..
হিয়া:তাই না….
____উজান হিয়াকে কোলে তুলে নেয়।কোলে করে নিয়ে ওকে বিছানায় শুইয়ে দেয়।তারপর দুজনে হারিয়ে যায় নিজেদের ভালোবাসার রাজ্যে__