❤️60_61❤️ FF: #মেডিকেল_ক্যাম্প Part:60

0
205

❤️60_61❤️
FF: #মেডিকেল_ক্যাম্প
Part:60

সিসিটিভি রুম:
মেট্রন:আমার যতোদূর মনে আছে হিয়া আমি ঠিক সন্ধ্যে ৭টার দিক স্যারের রুম থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম।আর তারপরই স্যারের ওটি তে জয়েন করতে আসার কথা ছিলো আর তখন স্যার একদম সুস্থ হলো
হিয়া:তাহলে তুমি যাওয়ার পর আর কারো সাথে উজান কথা বলেছিলো কি না বা কেউ ওর রুমে গিয়েছিলো কি না আমাকে দেখতে হবে
…..
মেট্রন:এ তো আমাদের দেবু দা রোজ স্যার কে কফি দেয়
হিয়া:আজো তো কফি নিয়েই ঢুকলো মনে হচ্ছে
মেট্রন:দেখতে দেও
হিয়া:এ এটা তো এটা তো বিহান স্যার এর মতো লাগছে তাহলে কি
মেট্রন:লোকটা তো দেবু দা কে অনেক গুলো টাকা দিলো মনে হচ্ছে
হিয়া:আমি সিউর এটা বিহান স্যার।তুমি ভালো করে দেখো মিরাদি
মেট্রন:হিয়া কেউ আসছে মনে হচ্ছে
হিয়া:ওয়েট আমি এটা মেমোরি তে কপি করে নেই আগে
মেট্রন:হ্যা এটাই ভালো হবে।যা করবে তাড়াতাড়ি করো..
………
হিয়া:হয়ে গেছে হয়ে গেছে চলো।
মেট্রন:কিন্তু দেবু দা তো এরকম করার মানুষ না হিয়া।আর উনি তো এখন ছুটিতে আছে তুমি ওনাকে ধরবে কিভাবে
হিয়া:কিছু তো একটা করতে হবে মিরাদী।কিন্তু আজ আমাকে বাড়ি যেতে হবে এক্ষুনি সন্ধ্যে হয়ে যাচ্ছে।মা অনেক বার ফোন দিয়ে ফেলেছে এর মধ্যে।আর দেড়ি করলে উজান এর বকাবকি শুনতে হবে
মেট্রন:ঠিক আছে আমাকেও হয়তো খুঁজছে টিউলিপে……গিয়ে আমাকে একটা ফোন দিও কেমন।
হিয়া:হুম…..

টিউলিপের বাহিরে:
হিয়া:যেইদিন তাড়া থাকে সেদিন ই টিউলিপের সামনে অটো টোটো কিচ্ছু পাওয়া যায় না।ধুরো ভালো লাগে না…মেয়ে টা যে কি করছে আমার…খুব মনে পড়ছে পুচকু তোকে…
……এমন সময় কয়েকজন গুন্ডা বাইকে করে এসে হিয়াকে ঘেরাও করে।হিয়া তাড়াহুড়া তে হাতের মধ্যোই মেমোরি চিপ টা নিয়ে ছিলো ব্যাগে ঢোকানোর কথা একদম খেয়াল নেই..লোক গুলো মূলত হিয়ার কাছে মেমোরি চিপ টা নেওয়ার জন্যেই এসেছিলো..হিয়া এতো গুলো লোকের সাথে পেরে উঠে না..লোক গুলোর সাথে ধ্বস্তাধ্বসৃতিতে হিয়া নিচে পড়ে গেলে হাতে হালকা ছিলে যায়..লোক গুলো মেমোরি চিপ টা নিয়ে চলে যায়…

হিয়া:এখন এখন আমি কি করবো…কেনো হলো এমন..যেই একটু আশার আলো ছিলো সব টা এভাবে শেষ হয়ে গেলো..না না…আমাকে যে উজানকে বাচাতে হবে এই ষড়যন্ত্র থেকে..লোক গুলো কারা ছিলো আর এটুকু সময়ের মধ্যে জানলো কি করে এসব…আমার কিচ্ছু মাথায় আসছে না……আচ্ছা হ্যা আমি তো মিরাদী কে বলে কাল আবার ওগুলো নিতে পারবো মেমোরি তে।হ্যা আমাকে তাই করতে হবে…এখন কান্নাকাটি করে লাভ নেই আমাকে আগে বাড়ি যেতে হবে…

…..হিয়া বাড়িতে ঢুকে এমন ভাব করে যেনো কিছু হয়নি।মুখে এক বালতি হাসি নিয়ে রুমে ঢুকে..

হিয়া:পুচকুকুকুকু যাহ ঘুম আমার মা টা…কি গো এতো তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লো শরীর টা আবার খারাপ করেনি তো…….মনেমনে(কি হলো উজান এমন চুপ করে আছে কেনো দেড়ি করে ফেলেছি মনে হয় খুব)…….বলছি কি আমি কি খুব দেড়ি করে ফেলেছি আসলে না ঔ ঝিনুক এর সাথে শপিং করতে করতে এতো দেড়ি হয়ে গেলো যে কখন সন্ধ্যে হয়ে গেলো বুঝলাম ই না….মনেমনে(আমাকে ক্ষমা করো উজান আমি তোমাকে মিথ্যা বলতে চাইনি)

উজান:তাই কি কি শপিং করলে😒

হিয়া:এই বিয়ে তে যা যা লাগে😊

উজান:নেও😡

হিয়া:এটা কি…কার্ড মনে হচ্ছে😊

উজান:ঝিনুকের বিয়ের কার্ড😡

হিয়া:😮😮😮😮

উজান:নেও….😒

হিয়া:ঝিনুক এসেছিলো আজ….(মনেমনে:এখন কি হবে ঝিনুক টাকে আজি আসতে হলো😖😖)

উজান:তুমি আজ টিউলিপে গিয়েছিলে😡

হিয়া:ইয়ে মানে না কেনো টিউলিপ যেতে যাবো কেনো😖

উজান:তাহলে কোথায় গিয়েছিলে😡

হিয়া:ইয়ে মানে আমি😖

উজান:তুমি টিউলিপেই গিয়েছিলে😡

হিয়া:আমি আমি😖

উজান:তাহলে এ জন্যই কালকে আমার কাছে চাবি গুলো নিয়েছিলে😡

হিয়া:হ্যা গিয়েছিলাম টিউলিপ কি হয়েছে তাতে।এতে এতো প্রশ্ন করার কি আছে😏

উজান:(হিয়ার দুহাত ঠেসে ধরে)

হিয়া:সাড়ো উজান লাগছে আমার😢

উজান:আমি তোমাকে বারবার বারন করেছিলাম হিয়া এসবের মধ্যে তুমি ঢুকবে না।তুমি তারপরো😡😡

হিয়া:কি করবো আমি তুমি বলো তোমার মতো এভাবে হাত পা গুটে বসে থাকবো😡😡

উজান:যদি তাই করতে হয় তাই করবে😡

হিয়া:উজান আমার হাতে লাগছে😢

উজান:হিয়া আমি তোমাকে লাস্ট বারের মতো বললাম আমি যেনো তোমাকে আর না দেখি টিউলিপে যাওয়া বা এসব নিয়ে কোনোরকম ঝামেলা করা😡

হিয়া:আমি বাধ্য নই তোমার কথা শুনতে।আমার মন যা আমাকে বলবে আমি তাই করবো😡

উজান:হিয়া😡😡😡

হিয়া:আস্তে মা শুনবে।বাবাও বাড়িতে আছে😡

উজান:তুমি তাহলে শুনবে না আমার কথা..কেনো হিয়া তুমি জানো না বিহান মিনাক্ষী চ্যাটার্জী কতো ডেনজারাস এর আগে জাল ঔষধ নিয়ে যেসব কান্ড হলো ওখানে বিহান তোমার উপর কি টর্চার টা না করেছিলো তুমি ভুলে গেলে😡

হিয়া:আমি কিচ্ছু ভুলি নি।তাই ওরা যে জেনে বুঝে তোমার সাথে এটা করেছে আমি এটা প্রমাণ করেই ছাড়বো😡😡…..আহ😢😢

উজান:হিয়া….কি হয়েছে হাতে…😮

হিয়া:কই কিছু না তো😊😊(হিয়া ওর হাত পিছনে লুকিয়ে নেয়)

উজান:দেখি হাত সামনে করো….আমার কথা শুনো হিয়া….দেখি…আরে😡😡

….(উজান জোড় করে হিয়ার হাত সামনে আনে)…

উজান:এসব কি করে হলো😡

হিয়া:মনেমনে(না না ও এমনি তে ক্ষেপে আছে এখন যদি বলি আমার উপর হামলা হয়েছিলো তাহলে তো আমাকে আর বাড়ি থেকেই বের হতে দিবে না)😢😢

উজান:কি হলো এ্যান্সার মি😡

হিয়া:ঔ ঔ রাস্তাতে একটা অটো অটোর সাথে ধাক্কা খেয়ে হাত টা ছিলে গেছে😢😢

উজান:মানে সিরিয়াসলি😡😡

….উজান গিয়ে ফাস্ট এইড বক্স নিয়ে আসে…

উজান:বসো(চিৎকার করে)😡😡

হিয়া:আস্তে করে বললেও তো হয়।এভাবে চেঁচানোর কি আছে😏😏

উজান:(ব্যান্ডেজ করতে করতে)…এভাবে হাত পা ছিড়ে তুমি প্রমান করবে আমি নির্দোষ….😡

হিয়া:যদি প্রমাণ করতে এসব হয় আমার সাথে তাও আমি চুপ করে বসে থাকবো না😡

উজান:তুমি কি ঠিক করেছো তুমি আমার কোনো কথাই শুনবে না হিয়া😡😡

হিয়া:উজান তুমি কেনো বুঝছো না😡

উজান:এর পর আমি তোমাকে দিব্যি দিলে সেটা ভালো লাগবে তোমার😡

হিয়া:না উজান একদম না।আর তুমি দিব্যি দিলেও আমি শুনবো না😡

উজান:এটাই তোমার শেষ কথা😡

হিয়া:হুম এটাই আমার শেষ কথা😡

উজান:ডিসগাস্টিং😡😡😡😡

….উজান ফাস্টএইড এর বক্স টা নিচে ছুড়ে ফেলে দিয়ে রাগে গট গট করে রুম থেকে বের হয়ে যায়…

হিয়া:সারাক্ষণ খালি ডিসগাস্টিং ডিসগাস্টিং😡😡😡আমি কি ওকে বলেছি কিছু করতে।নিজে কিছু করবে না আমাকেও কিছু করতে দিবে না।কি মুশকিল…সারাক্ষণ নাকের মধ্যে রাগ নিয়ে ঘুরে😡😡কে বাধ্য ওর কথা শুনতে…কোথায় গেলো রাগ দেখিয়ে শেষে তো ঔ আমার কাছেই আসতে হবে নাকি….😏😏😏

রাত ১০টা।উজান এলে হিয়ার সাথে কোনোরকম কথা বলে না হিয়াও জেদ নিয়ে আছে।বাসবি খেতে ডাকলে দুজনে চুপ চাপ খেয়ে নেয়…রাত ১টার দিক হিয়ান উজানের সাথে রাতের খেলা টুকু সেরে নিয়ে হিয়ার কাছে একটু খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।হিয়া উজানের জন্য অপেক্ষা না করে শুয়ে পড়ে…….উজান শুতে এলে হিয়া মুখ ফিরিয়ে নিয়ে হিয়ানের দিকে মুখ করে
হিয়া:😏😏😏😏
উজান:ডিসগাস্টিং
…উজানো রাগ করে হিয়ার পিছন ফিরে শুয়ে পড়ে..

হিয়া:দেখলি পুচকু।কেমন লাগে বল….ওহ জানে ওর বুকে মুখ গুজে না দিলে আমার ঘুম হয় না তারপরো তারপরো পিছন ফিরে শুলো…

উজান:হিয়া জানে ওকে বুকে না জরালে আমার ঘুম হয় না তারপরো পিছন ফিরে আছে।এতো জেদ ওর…ডিসগাস্টিং..আমিও দেখবো আমার বুকে না শুলে ওর ঘুম হয় কি করে

……..দুজনের চোখে ঘুম নেই।রাত বেরিয়ে চলে।উজান ঘুমিয়ে পড়লেও ঔ মেমোরি চিপ টার টেনশন এ হিয়ার ঘুম হয় না।মাঝরাতে উজান ঘুরলে হিয়া উজানের বুক থেকে হাত দুটো আস্তে করে সরিয়ে উজানের বুকে ওর মুখ গুজে দেয়…..

সকাল ৮টা…উজানের ঘুম ভাঙ্গলেও হিয়া ওর বুকের উপর শুয়ে আছে দেখে উজানো আর উঠে না….কিছুক্ষণ পর হিয়ার ঘুম ভাঙ্গলে।হিয়া মুখ তুলে দেখে ওহ উজানের বুকের উপর শুয়ে আছে..

হিয়া:কি হলো কাল রাতে এতো ঢং করে।সেই তো আমাকে বুকে নিয়ে ঘুমোতে হলো😏

উজান:তাই…কে আমার হাত সরিয়ে আমার বুকে মুখ গুজে দিয়েছিলো শুনি😊

হিয়া:ওহ না হয় আমি দিছি।কিন্তু তুমি তো মানা করতে পারতে তুমি কেনো আমাকে জরিয়ে ধরলে..😏

উজান:বুকে না জরিয়ে ঘুমোলেও দোষ আবার জরিয়ে ধরেছি তাতেও তোমার সমস্যা😒

হিয়া উঠতে ধরলে উজান হিয়ার আচলঁ ধরে টান দেয়..
হিয়া:উমহুম ওসব করো না ছাড়ো বলছি😒

উজান:(হিয়াকে হ্যাচকা টান দিয়ে সপাটে ওর বুকে নিয়ে আসে)..সবসময় এতো না না কি😡

হিয়া:উজাজাজানন….ছাড়ো😡

উজান:না😊
হিয়া:হ্যা😊
উজান:না😊
হিয়া:হ্যা😊
উজান:না মানে না😘😘😘
……….
১সপ্তাহ পর:
হিয়া ভেবেছিলো মেট্রন কে নিয়ে আবার সিসিটিভি র ক্লিপিং টা কপি করে নিবে কিন্তু তার আগেই কেউ একজন ওটা ডিলিট করে দেয়।হিয়া যেনো আরো অস্থির হয়ে পড়ে সব টা সামনে আনার জন্য কিন্তু কোনো কূল কিনারা হিয়া খুজে পায় না…হঠাৎ হিয়ার ফোনে একটা মেসেজ আসে আননোন নাম্বার থেকে,

“”যদি উজান চ্যাটার্জী কে বাচাতে চাও আর ঔ মেমোরি চিপ টা পেতে চাও তাহলে কাল বিকেলে এই ঠিকানায় চলে এসো……..””

হিয়া:কে হতে পারে।আমাকে সাহায্য করতে চাইছে আর উনি বা এই মেমোরি চিপ এর ব্যাপার টা জানলো কি করে…..আমি কি উজান কে বলবো। নাহ ওকে বললে আমাকে রাগ করবে খুব কিন্তু কিন্তু আমার কি একা যাওয়া টা ঠিক হবে…আমি আমি কার সাহায্য নিবো…পাবলো….হ্যা উজান কে না বলতে পারি পাবলো কে তো বলতে সমস্যা নেই…আমি বরং পাবলো কে সবটা খুলে বলি..

……….হিয়া পাবলো কে তখনি ফোন করে সবটা বলে আর পাবলো কে দিয়ে কথা দিয়ে নেয় যেনো ওহ বুলি বা উজান কাউকে এক্ষুনি কিছু না বলে….আজ অনেক দিন পর হিয়ার মন টা একটু ভালো হলো কিছুতো আশার আলো ওহ দেখতে পেলো…

দুপুরে খেতে বসে..

উজান:এসব দিয়ে খেতে তোমার খুব কষ্ট হচ্ছে তাই না হিয়া😢

হিয়া:এটা কেমন প্রশ্ন।কষ্ট হতে যাবে কেনো😒

উজান:আমার তো অভ্যাস আছে আমি না হয় ডায়েট করে বলে রোজ এসবি খেতাম কিন্তু তুমি তোমার তো মাটন স্পেশালি মাছ এসব না হলে হয় না😢

হিয়া:তাই কে বলেছে শুনি…আমি ওসব খেতে পছন্দ করি বলে যে রোজ ওসব খেতে হবে তার কি কোনো মানে আছে😒😒😒😒…..আচ্ছা ওসব ছাড়ো না বলছি কি আজকে আমাকে আর পুচকুকে😊😊

উজান:কি😒

হিয়া:আমাকে আর পুচকু কে😊

উজান:তোমাকে আর হিয়ান কে কি😒

হিয়া:আমাকেএএএএ আর পুচকুকেএএএএ একটু শিশুপার্ক থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসবা প্লিজ…প্লিজ উজান প্লিজ…😊😊😊

উজান:চিল্ড্রেন পার্ক থেকে সিরিআসলিসিরিআসলি….না হিয়া আজ না দুদিন পর😒

হিয়া:না আজই। আমার আজই ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করছে তুমি আমাকে আজই নিয়ে যাবে ব্যাছ😡

উজান:বললাম না আজ না😡

হিয়া:আজই আজই😡

উজান:হিয়া জেদ করো না😒
হিয়া:😡😡😡😡
উজান:হিয়া….আমার কাছে ঘুরতে যাওয়ার মতো এখন ওতো টাকা নেই…দুদিন ব্যাংক বন্ধ আমি দুদিন এর আগে বাকি যে কিছু টাকা গুলো আছে ওগুলো তুলতে পারবো না…টাকা গুলো তুলে এনে তোমাকে আর হিয়ান কে নিয়ে ঘুরতে যাবো প্রমিস😊

হিয়া:না আমি তো আজকেই যাবো😏

উজান:হিয়া😡

হিয়া:কতো টাকা খরচ হবে শুনি।সামনেই তো সেন্ট্রাল পার্ক টা…অটোতে গেলে যাওয়া আসা ১০০ আর রিক্সা করে গেলে ৬০টাকা….আর আমি না হয় একটু এক প্লেট ফুচকা খাবো ৪০..২০টাকার বাদাম ১০টাকার আচার আর ২০টাকার বর্ফি দেখো মোটে ১৫০টাকা খরচ হবে ২০০ ও লাগবে না😊😊

উজান:ওভাবে হয় নাকি হিয়া😢

হিয়া:তুমি নিয়ে যাবে কি না বলো😒😒

উজান:হিয়া আমার কাছে এখন ৫০০টাকার মতো আছে এক্ষনি ২০০খরচ করলে আমাকে আরো দুটো দিন চালাতে হবে😢

হিয়া:কোথায় দেখি ওয়ালেট দেখাও তুমি।আমি নিজ চোখে দেখবো কতো আছে😒

উজান:বেশ….এই নেও দেখো😒

হিয়া:কি বললে তুমি তোমার কাছে মোটে ৫০০আছে এগুলো কি তাহলে 😭

উজান:কোথায়😮

হিয়া:এই তো এই তো আরো ৩০০ ৩৫০টাকা ৫টাকা খুচরোও আছে দেখছি…..তুমি আমাকে ঘুরতে নিয়ে যাবে না বলে মিথ্যা বললে😭😭পুচকু মা দেখ তোর বাবা তোর বাবা এখন আর আগের মতো নেই😭😭 বলে না টাকা পয়সা না থাকলে ভালোবাসা জানালা দিয়ে পালিয়ে যায় আমারো তাই হয়েছে😭😭😭 আগে ভালোবেসে কতো ঘুরে নিয়ে বের হতো আমাকে আর আজ…😭😭😭

উজান:আমার ওয়ালেটে এতে গুলো টাকা আসলো কোথা থেকে😮😮😮(হিয়া আজ ওর গুড লাক টা ভেঙ্গেছে তার থেকে কিছু টাকা উজানের ওয়ালেটে রেখে দিয়েছে চুপ করে)

হিয়া:আ্যা হ্যা আ্যা😭😭সব বুঝি তো আমি😭😭😭😭

উজান:হিয়া স্টপ কান্নার কি হলো।আরে….ঠিক আছে চলো রেডি হও😒

হিয়া:এই আমাকে ঘুরতে নিয়ে যাবে সত্যি সত্যি😍😍(মুখে এক বালতি হাসি)

উজান:হুম টাকা তো আছে চলো😊

…..হিয়া লাফিয়ে উঠে উজানের গাল দুটো ধরে সপাটে একটা চুমু দেয়..হিয়ার খেয়ালি নেই ওর হাতে ভাত মাখা ছিলো আর মুখেও ভাত লাগানো ছিলো…
উজান:আরে কি করছো কি😒

হিয়া:সরি সরি।মুছে দিচ্ছি😊

উজান:😒😒😒😒

হিয়া:আমার খাওয়া হয়ে গেছে আমি রেডি হই…..পুচকুকুকুকু আজকে বাবা মাকে আর হিয়ান কে ঘুরতে নিয়ে যাবে ইয়েএএ আজ আমরা মা মেয়ে তে একি জামা পড়বো…😍😍😍😍

উজান:একটু আগে ঘুরতে নিয়ে যাবো না বলে কাঁদছিলো আর এখন হাসছে দেখো….ইডিয়ট😊😊

FF: #মেডিকেল_ক্যাম্প
Part:61

দুপুরের শেষে উজান রেডি হয়ে লেপটপ ঘাটছিলো।হিয়া হিয়ান কে রেডি করাচ্ছিলো….

হিয়া:আম্মু আজকে আমরা কোথায় যাবো…উওুউ যাবো..বেরু বেরু করতে যাবে😍😍এই এই খুত খুত করে কেনো রে মারু দিবো কিন্তু😡😡হিয়ায়ায়ায়ান…ওরেন্জ জামা পড়ছে…ওরেন্জ এর মতো লাগছে আমার মা টাকে😍😍দেখি দেখি টিপ টা দিয়ে দেই….এই তো আমার চাদঁপাখি টা একদম তৈরি…কমলাবুড়ি সেজেছেঁ আজ তাই না পুচকু……….দেখি ওকে নেও তো এবার আমি রেডি হই..

উজান:আমার মা টা আজ ওরেন্জ পড়ছে…কি মিষ্টি লাগছে আম্মুটাকে…দেখি দেখি..😘😘

…..হিয়া আলমারির সামনে গিয়ে শাড়ি খুঁজতে থাকে যদিও ও বাড়ি থেকে আসার সময় সব কটা শাড়ি জামা আনার সুযোগ ওহ পায়নি…

হিয়া:এই উজান আমি কোনটা পড়বো বলো না….উজাজাজানন…😒

উজান:আরে কি হলো😡

হিয়া:বলো না কোনটা পড়বো😢

উজান:হিয়া একটা পড়লেই হয়…😡

হিয়া:ধুরো😡😡😡😡(দু হাতে দুটো শাড়ি এনে)……এখন বলো কোনটা পড়বো…এটা না ওটা…😍

উজান:এটা পড়ো…😊

হিয়া:এটা এই লাল টা।এটা না কেমন বেশি সাজা হয়ে যাবে মনে হচ্ছে….এটা এটা ঠিক আছে বলো😢
উজান:যা মন চায় বললামি তো ওটা পড়ো…আমরা ঘুরতে যাচ্ছি কোনো বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি না😡😡😡😡

হিয়া:বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি না তো কি হয়েছে।কতোদিন পর আমাকে নিয়ে ঘুরতে বের হচ্ছো বলো দেখি…..😊😊😊😊

উজান:আর যাচ্ছি ও বা কোথায় চিলড্রেন পার্কে সত্যি….😒😒

হিয়া:তো কি হয়েছে…পুচকু ওখানে গেলে কতো মজা পাবে বলো😊

উজান:হ্যা পুচকু যেনো ওসব বুঝে😒

হিয়া:না বুঝুক…আমরা মা মেয়ে তে নাগরদোলায় উঠবো দোলনায় উঠবো চরকি চড়বো হুম😍😍

উজান:নাগরদোলা আর তুমি এর আগের বার মনে নেই😮ঔ দিন ভুলবো আমি….কি চিৎকার করেছিলে😡😡আমি কেনো নিচে যারা ছিলো সবাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলো…..আবার তোমাকে নাগরদোলা তে চড়িয়ে সেই ভুল করবো আমি,কি করে ভাবলে😡😡আমার নতুন শার্ট টা পর্যন্ত ছিড়ে ফেলেছিলে…..😡😡

হিয়া:ইয়ে মানে তো কি হয়েছে।(মুখে এক বালতি হাসি)নাগরদোলায় না চড়লাম দোলনা তো আছে😊আমি দোলনায় চড়বো,আর তুমি আমাকে বেশ জড়ে জড়ে দোল দিবে(ইয়েন ফানি বুম😂😂😂😂)

উজান:হোয়াট..আমি আমি তোমাকে দোল দিবো😡😡

হিয়া:হ্যা তুমি দোল দিবে আর আমি দুলবো😊😊

উজান:নো ওয়ে…..আর ১০মিনিটের মধ্যে রেডি হয়ে না আসলে আমি ঘুরতে যাওয়াই কিন্তু কেনছেল করে দিবো😡😡😡

হিয়া:যাচ্ছি যাচ্ছি 😏😏😏😏
উজান:অটো নেই
হিয়া:না রিক্সা😊
উজান:রিক্সা পেলে তো😏
হিয়া:আরে একটু দাড়াও না……ঔতো একটা রিক্সা আসছে…..মামা…মামা যাবে…এই সেন্ট্রাল পার্ক যাবো কতো নিবে😊
রিক্সামামা:৪০টাকা
হিয়া:৩০টাকা ভাড়া তুমি ৪০ চাচ্ছো।৩০হলে চলো না হলে যাও😏
উজান:(উজান কিছু বলতে গেলে হিয়া থামিয়ে দেয়)
হিয়া:কি যাবে😡
রিক্সমামা:ঠিক আছে উঠুন..😊
…..রিক্সায়…
হিয়া:তুমি লাস্ট কবে রিক্সায় উঠেছিলে😊
উজান:কেনো😒
হিয়া:না গাড়ি ছাড়া তো বের হতে না।কখনো উঠে ছিলে কি…😒
উজান:প্রয়োজন পড়ে নি😒

হিয়া:দেখছো পুচকু কি হাসছে….বেরু বেরু করতে বের হলে ভালো তাই না মা..😘😘

উজান:তোমার মতো হয়েছে সারাদিন নিয়ে বের হলে ভালো😊

হিয়া:আমার মেয়ে আমার মতো হবে না তো কার মতো হবে শুনি😎

…..একটা ফাকা গলি দেখলে হিয়া উজানের গালে টুক করে একটা চুমু দেয়…

হিয়া:😘😘😘😘
উজান:আরে কি করছো কি

হিয়া:😊😊😊😊
উজান:কেউ দেখলে কি হতো😡

হিয়া:কি হতো নিজের বর কেই তো ইয়ে করলাম😘

উজান:যখন কাছে আসতে বলি তখন না না আর এখন বাহিরে…কোথা থেকে শেখো এসব😡

হিয়া:সেদিন না বুঝলে বুলি একটা মুভি দেখালো ওখানে হিরোইন টা ফাকা রাস্তা পেয়ে ওর হিরো কে একটা টুক করে হামি দিয়ে দিলো।তাই আমিও ভাবলাম😊😊😊😊😊

উজান:এসব কি মুভি দেখায় তোমায় বুলি।ভালো জিনিস তো শিখতে পারো না শুধু😏😏

হিয়া:আমি তোমাকে ইয়ে করলাম তুমি খুশি হও নি…ঘাট হয়েছে আমার আর করবো না😡😡

….কিছুক্ষণ পর হিয়া চুপ করে থাকলে উজানো একটা ফাকা মোড় দেখে হিয়ার গালে টুক করে একটা চুমু দিয়ে দেয়….

উজান:😘😘😘
হিয়া:আরে……😊😊

“””এই ভালো এই খারাপ””
“”প্রেম মানে মিষ্টি পাক””
“”চলো মানে মানে দিয়ে ফেলি ডুব””
“”তুমি আমি মিলে””
“”দুজনের মন টাকে বেধে ফেলি সাতপাকে””
“”চলো ছোট খাটো করি ভুল চুক তুমি আমি মিলে””
“”রাজি আছি আজকে বৃষ্টি নামুক””
“”তুমি আমি ভিজবো দুজনে খুব””
“”বর্ষাদিনে””

সেন্ট্রাল পার্ক:

দুজনে বাদাম নিয়ে হাটতে থাকে ।হিয়ান উজানের কোলে।হিয়া একটা করে বাদাম ছিড়ছে আর নিজে একা একা খাচ্ছে

হিয়া:খাবে তুমি😊
উজান:না
হিয়া:এই শুনো না একটা বাদাম পুচকু কে গুড়ো করে দেই😊
উজান:নাহ..পরে গলায় গিয়ে বিধলে সমস্যা..
হিয়া:আচ্ছা একটু থামো😊
….হিয়া বাদামের ঝাল নিয়ে হিয়ানের জিহ্বে লাগিয়ে দেয়।হিয়ান প্রথমে মুখ টা পাকিয়ে নিলেও খুব মজা পায়।আরো খাবে বলে জিহ্ব টা বারবার বের করে..
হিয়া:দেখলে ওহ মজা পেয়েছে খেয়ে…আরো একটু দেই…মা দেখি জিহ্ব দেখি…কি মজা পাচ্ছে দেখো…😊
উজান:হয়েছে হিয়া আর না..ওর পেট খারাপ করবে…আরে😊
হিয়া:হুম হুম..দেখো জিহ্ব টা কেমন করছে…আমার পুচকু মা টা…😘

….হাটতে হাটতে…

হিয়া:এই উজান দেখো সামনে দোলনা..😍
….হিয়া দৌড় দেয়…

উজান:হিয়া লিসেন্ট হিয়া….কোনো কথা শুনবে না আমার…হিয়া…😡
হিয়া:যাহ ছেলেমেয়ে দিয়ে তো ভর্তি।আমি কিভাবে দোল খাবো😢
উজান:খেতে হবে না চলো😡
হিয়া:শুনো না তুমি গিয়ে বাচ্চা গুলো কে সারিয়ে দেও না😊
উজান:হোয়াট…আমি গিয়ে বাচ্চা গুলোকে বলবো আমার বউ দোল খাবে তোমরা উঠে যাও….মানে সিরিয়াসলি হিয়া..😡

হিয়া:তো কি হয়েছে বললে না হয় একটু
উজান:তুমি এখন আর বাচ্চা না হিয়া।

হিয়া:বুড়োও তো হয়ে যাই নি না।হ্যা বিয়ে না হয় হেয়েছে একটু তাড়াতাড়ি মা ও না হয় হয়েছি তাই বলে তো আমি তোমার মতো বুড়ো হয়ে যাইনি😏😏আমি একটু পর এসে আবার দোল খাবো..😊😊

উজান:যা মন চায় করো।এখন সামনে যাই…😡
হিয়া:আচ্ছা চলো ওদিক টায় গিয়ে বসি…😢

……দুজনে গিয়ে একটা বেন্চ এ বসে…

হিয়া:দেও ওকে।তুমি অনেকক্ষণ নিয়ে আছো……আয় মা…😘😘

(উজানের সব কিছু হারিয়ে যাওয়ার পরো হিয়া ওর সাথে আগের মতো স্বাভাবিক আছে দেখে উজানের নিজেকে খুব লাকি মনে হয়।উজান হিয়াকে এভাবে পাশে পেয়ে মন থেকে অনেকটা হালকা হয়।সত্যি তো হিয়া ছাড়া আর কে আছে যে উজান কে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসে)

উজান:থ্যাংকস হিয়া😊
হিয়া:হ্যা থ্যাংকস থ্যাংকস কিসের জন্য।😮
উজান:মন টা আজ অনেকদিন পর হালকা লাগছে…😊

হিয়া:ঘুরেবেড়ানো টা হচ্ছে একটা মেডিসিন জানো।তুমি তো আসতেই চাচ্ছিলে না।দেখলে তো এখন কতো ভালো লাগছে..😊

….সামন দিক দিয়ে হাওয়াই মিঠাই যাচ্ছিলো…

হিয়া:উজান উজান উজান আমি হাওয়াই মিঠাই খাবো।প্লিজ না করো না।প্লিজ😢

উজান:ঠিক আছে কিন্তু পরে আমাকে বলতে পারবে না উজান আমার পেট ব্যাথা করছে এটা করছে ওটা করছো😒

হিয়া:ওকে ওকে😘😘

উজান:কোনটা খাবে সাদা টা গোলাপি টা
হিয়া:উমমমম গোলাপি রঙের টা😊
উজান:ঠিক আছে..😊

….হিয়া গোলাপি রঙ এর হাওয়াই মিঠাই খেতে শুরু করে।মিঠাই এর রঙ হিয়ার ঠোট জিহ্ব গেলাপি হয়ে যায়।হিয়া ফোন বের করে ওর মুখ দেখে আর হাসতে শুরু করে😊

হিয়া:উজান দেখো আমার ঠোট গুলো কেমন তোমার মতো পিংক পিংক হয়েছে..😊😊

উজান:(হিয়া এমন ভাবে ওর ঠোট গুলো দেখায় যে উজানের হাসি পেয়ে যায়)😂😂😂😂

হিয়া:কি হলো হাসছো কেনো😒😒…..তোমার ঠোট এর প্রশংসা করলাম বলে এতো ভাব নেওয়ার কি আছে…আমার ঠোট দুটোও না অনেক সুন্দর.. হ্যা তোমার মতো ওতো পিংক পিংক না কিন্তু দেখো…এই দেখো😊😊

উজান:হুম প্রতিদিন ই দেখি😋

হিয়া:ধুরো অসভ্য কোথাকার😡

উজান:হয়েছে একটু পর সন্ধ্যে নামবে এখন চলো বাসায়😊
হিয়া:বলছি কি ঔ দোলনার দিক টায় যাই না যদি ফাকা থাকে😢
উজান:বেশ চলো..😊
হিয়া:ইয়েএএএ…পুচকু চল আমরা এখন দোল খাবো😍😍

মাঝেমাঝে তোর কাছে জেনে শুনে হেরে যাই
কিছু কথা বলে ফেলি কিছু কথা ছেড়ে যাই
অচেনা সকাল হোক
উদাসী বিকেল হোক
বারেবারে মনে হয়
তোর কাছে মরে যাই
তুই না এলে আর
কি হবে আমার
সে সব কথা ভাবতে গেলে কান্না পায়
যন্এনা হাজার করছে পারাপার
তোর দু চোখের তোর চিবুকের ব্যাস্ততায়
মাঝেমাঝে তোর কাছে জেনে শুনে হেরে যাই
কিছু কথা বলে ফেলি কিছু কথা ছেড়ে যাই.

……
হিয়া:দেখলে এখন ফাকা আছে…আমি হিয়ান কে নিয়ে বসি।তুমি দোল দেও😊

উজান:ঠিক আছে যাও…কিন্তু বেশিক্ষণ না😒

…..(হিয়া হিয়ান কে নিয়ে দোলনার উঠলে উজান দোল দিতে শুরু করে।হিয়ান যে দোল খেয়ে এতো মজা পাবে হিয়া উজান কেউ ভাবতে পারে নি।হিয়ান এখন খিলখিল করে জোরে হাসতে পারে।দোল দেওয়ার সাথে সাথে হিয়ান একদম খিলখিলিয়ে হাসতে শুরু করে।দোল থামালেই কেদে উঠে)

হিয়া:উজান দেখো তোমার মেয়ে কি হাসছে….আরে মা থাম…উজান তুমি থামো আর দোল দিও না….হিয়ান….হাসতে হাসতে না ওর দম বন্ধ হয়…..😍😍

উজান:আরে দেখছো না থামালে কাঁদছে😊

হিয়া:হিয়ানননন থাম মা।আর হাসে না…😂

…..এভাবে অনেকক্ষণ দোল খেতে খেতে হিয়ান ক্লান্ত হয়ে হিয়ার কোলে ঘুমিয়ে পড়ে…

উজান:কি হলো চুপ হয়ে গেলো…😒

হিয়া:ঘুমিয়ে গেলো তো….ক্লান্ত হয়ে পড়েছে….শুনো না আমার পাশে এসে বসো না আমরা দুজনে একটু দোল খাই…😊

উজান:(কিছু না বলে দোলনায় হিয়ার পাশে গিয়ে বসে…হিয়াও উজানের কাধে মাথা দেয়..দুজনে পা দিয়ে ঠেলে ঠেলে দোল খেতে থাকে)
হিয়া:সন্ধ্যার এই আবহাওয়া টা কতো সুন্দর তাই না উজান
উজান:হুম।
হিয়া:আকাশটা দেখো…

“””আজকে হাওয়া ছন্নছাড়া””
“””আজকে হাওয়া বেবাগি”””
“””আজকে সময় খোশমেজাজি”””
“””আজকে সময় সোহাগি””

উজান:মাঝেমাঝে খুব কষ্ট হয় হিয়া…কিভাবে সবটা আমার কাছ থেকে…হিয়ান কে তোমাকে কিছুই দিতে পাচ্ছি ভালোমতো😢

হিয়া:কে বলেছে পারছো না।এই যে এই সুখ টা এই আনন্দ টা দিলে আজ সেটা…আর আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি আমি খুব তাড়াতাড়ি তোমার সব তোমাকে ফিরিয়ে দিবো😊

উজান:আবার😠
হিয়া:না না 😶😶…….আচ্ছা চলো রাত হয়ে যাচ্ছে..

….উজান হিয়া রাস্তার গা ঘেসে হাটতে শুরু করে।উজানের কোলে হিয়ান ঘুমিয়ে।

হিয়া:রিক্সা তো পাচ্ছি না😢
উজান:চলো না..এভাবে হাটতে তো ভালোই লাগছে😊😊
হিয়া:ঠিক আছে চলো…😊
…..
হিয়া:এই আর পাচ্ছি না হাটতে।একটু দম নেই…চলো ওখান টায় গিয়ে বসি….😊

….হিয়া উজান একটা চা এর দোকানে গিয়ে বসে…

উজান:হিয়া হিয়ানের টুপি টা ঠিক করে দেও তো কান গুলোয় ঠান্ডা লাগছে…😊

হিয়া:এই এক্ষুনি না ঠিক করে দিলাম..😒

উজান:তোমার মেয়ে তো তোমার মতো ঘুমোয় কম নড়ে বেশি…আর নড়তে নড়তে টুপি সরে যায়..😂

হিয়া:হ্যা পুচকু তো ঘুমোলো এখন।রাতে দেখো জেগে থাকবে…..নেও হয়ে গেছে……শীত করছে না খুব….😢

উজান:চা খাবে😊
হিয়া:বাহিরের চা খাবে তুমি😮
উজান:তুমি খেতে পারলে আমি কেনো পারবো না।
হিয়া:বাহবা….😮😊

….দুজনে চা খেতে খেতে..

উজান:এভাবে সবসময় আমার পাশে থাকবে তো হিয়া😊

হিয়া:তোমার কোনো সন্দেহ আছে😊

উজান:নিজের থেকেও তোমাকে বেশি বিশ্বাস করি😊
হিয়া:তাহলে😊

…..চা খেতে থাকলে উজান হিয়ার সামন দিয়ে কতোগুলো মাঝবয়সি মেয়ে রিক্সায় করে হাসতে হাসতে যায়..উজান কিছু না বুঝে মেয়ে গুলোর দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে।হিয়া এটা দেখে কপট রেগে যায়…😡😡

হিয়া:এটা এটা কি হলো।মেয়ে গুলোর দিকে ওমন করে তাকিয়ে ছিলে কেনো😡😡

উজান:কোথায় তাকালাম আমি তো শুধু😖

হিয়া:আমি তো শুধু কি।শুনো উজান হ্যা আমি কিন্তু যেমন ভালো তেমন আবার খারপ ও বুঝলে 😊😊….এরপর যদি দেখি আমাকে রেখে অন্য কোনো মেয়ের দিকে তাকিয়েছো তাহলে কিন্তু😠

উজান:তাহলে কি😊

হিয়া:তাহলে তাহলে তোমার এই চশমা টা আমি ভেঙ্গে গুড়ো গুড়ো করে দেবো😎

উজান:তাই…নাও দা জেলাস মিসেস চ্যাটার্জী😊

……দুজনে চা খাওয়া হলে উজান টাকা দিয়ে হিয়া কে নিয়ে সোজা রাস্তা দিয়ে হাটতে ধরে।আর কিছুদূর গেলেই বাড়ি।হিয়া উজানের কাধে হেলান দিয়ে হাটতে থাকে..

উজান:খিদে পেয়েছে নাকি তোমার😊
হিয়া:কোথায় না তো।কতো কি খেলাম না।😊

উজান:কোথায় আর পেলাম খাওয়াতে😊
হিয়া:আমি কিন্তু আজ আচার খাইনি হ্যা।তোমার কুড়ি টাকা বাচিয়ে দিয়েছি…..😊😊

যাব কহি বাদ বিগাড় যায়ে
যাব কহি মুশকিল পার যায়ে
তুম দেনা সাথ মেরা
ও হামনাবা
না কহি হ্যা না কহি থা
জিন্দেগি মে তুমহারে ছ্যাবা
তুম দে না সাথ মেরা
ও হামনাবা…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here