আবার_প্রেম_হোক (২য় খন্ড) #নুসরাত_জাহান_মিম ০৫.

0
799

#আবার_প্রেম_হোক (২য় খন্ড)
#নুসরাত_জাহান_মিম

০৫.
“তারপর কী করেছিস?লোকটা কে ছিলো অধিরাজ শেখ?”

অরণের উদ্বিগ্ন কন্ঠস্বরে তার পানে আড়চোখে চায় প্রণয়।অতঃপর গম্ভীর কন্ঠে বলে,

“না”

সমুদ্রের প্রশ্ন,

“তাহলে?”
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
কাশেম বাবুর্চিকে খু*ন করার পর তার বুকের কাছ হতে অর্ধেকের বেশি ঢুকে যাওয়া ছু*ড়ি টেনে তুলে প্রণয়।অতঃপর সঙ্গে সঙ্গে গলগলিয়ে র*ক্ত ঝড়ে সেখান হতে।সেই ছু*ড়ি নিয়েই হাতের বাম পাশে আসতে আসতে গম্ভীরভাবে প্রণয় বলে,

“এখন কেনো হাত-পা কাপছে স্যার?একজন মেয়ের গায়ে হাত দেয়ার আগে তা কাপেনা?কেনো কাপেনা?”

বলতে বলতেই মাহতিমের নিকট এগিয়ে আসে প্রণয়।অতঃপর আকস্মিক মাটির সাথে লাগোয়া হাতে ক্যাচ করেই হাতে থাকা র*ক্তাক্ত ছু!ড়ি তালু বরাবর ঢুকিয়ে দিতেই সজোরে আ!র্তনা!দ করে মাহতিম।আর প্রণয় কাল বিলম্ব না করে অপর হাতেও একই রূপে ছু*ড়ি ভরতেই ফের চিৎকার করে সে।আর প্রণয় এগোয় তার ব্যাগের দিকে।ব্যাগের থেকে বড় এক চাপাতি বের করতেই ঢোক গিলে মাহতিম।অতঃপর উঠার চেষ্টা করলে উঠতে পারেনা।দুই হাতই মাটির সাথে ছু!ড়ির সঙ্গে আটকে আছে।যন্ত্রণায় জা!ন তার বেরিয়ে যাচ্ছে।অপপ্রয়াস চালানোর পর আকুতি করে প্রণয়ের নিকট সে বলে,

“আমায় মে*রো না প্রণয়।আমিতো তোমার প্রফেসর।গুরু,শিক্ষক।আমায় ছেড়ে দাও”

উচ্চশব্দে হাসতে হাসতে প্রণয় বলে,

“গুরু,শিক্ষক হা?আমার চাঁদ যখন আপনাদের এসব বলেছিলো কানে কি তখন তুলো দিয়েছিলেন মিস্টার মাহতিম আনোয়ার?”

অতঃপর দ্রুতগতিতে তার নিকট এসে পাশে বসতেই মাহতিম ঘেমে নেয়ে একাকার।সে ঢোক গিলে বলে,

“দে….দেখো আমি….আমি কিন্তু সেদিন চাঁদকে কিছুই করিনি”

ব্যঙ্গ করে প্রণয় বলে,

“জানিতো স্যার!আপনি যে কত সাধু সে খবর আমি অবশ্যই জানি”

“আমা…..আমায় যেতে দাও প্রণয়।আমায় যেতে দিলে তুমি যে এতগুলো খু*ন করেছো কাউকে বলবোনা আমি।ছু!ড়িগুলো বের করে দাও প্লিজ।আমি সহ্য করতে পারছিনা”

“আহারে!বড্ড মায়া হচ্ছে স্যার।বোকামি কি স্বেচ্ছায় করছেন?নাকি আসলেই বোকা বলুনতো?”

অতঃপর চট করেই মাহতিমের এক হাতের ছু*ড়ি টান দিয়ে বের করতেই আর্ত!না!দ করে সে।আর প্রণয় বলে,

“নিন স্যার খুলে দিলাম”

ছু!ড়িটা মাহতিমের থুতনী বরাবর ধরে নিম্নকন্ঠে প্রণয় শুধায়,

“আমি কয়টা খু*ন করেছি,কীভাবে করেছি সেগুলো বলার জন্যতো আপনাকে বেঁচে থাকতে হবে।বড়জোর আর কয় মিনিট বাঁচবেন আপনি?”

অতঃপর সেই ছু!ড়ি দিয়েই থুতনীতে আলতো করে খোচা দিয়ে দূরে ছুড়ে ফেলে তা।পাশে রাখা চাপাতি হাতে নিয়ে মাহতিমের নিকট আসতেই হঠাৎ সে এমন এক কাজ করে বসে যে প্রণয় না হেসে পারেনা!অতঃপর হাসতে হাসতেই বলে,

“এতই যেহেতু ভয়,আমার চাঁদের গায়ে টোকা দেয়ার আগে সেই ভয় কোথায় ছিলো?আমার বন্ধুর গায়ে প্রতিটা ক্ষ*ত দেয়ার আগে তা কোথায় ছিলো?ছিহ!পানি টানি খান না নাকি?কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন?ডাক্তারদের উলটো নিজেদের নিয়ে সচেতন হওয়া উচিত।এখন আপনার লা*শ যে কবর দেবে আপনার মূত্রের গন্ধে ধারেকাছে আসবে কেউ?বলুনতো স্যার!”

বলতে বলতেই কপাল ঈষৎ কুচকায় প্রণয়।অতঃপর গলার মাঝ বরাবর কন্ঠনালির উপর চা*পা*তিটির চোখা কোনা ধরতেই মাহতিম করুন কন্ঠে বলে,

“আমার উপর দয়……”

মাহতিমের কথা সম্পূর্ণের পূর্বেই তার চুলের মুঠি ধরে চা*পা*তি খানা গ!লার এপাশ দিয়ে ঢু!কিয়ে ওপাশ দিয়ে বে!র করে প্রণয়।র*ক্তে মাহতিমের সমস্ত শরীর ভেসে যাচ্ছে।কথা বলার সুযোগ পর্যন্ত সে পায়নি।মুখ হা করেই দেহত্যাগ করে তার রুহ।হৃদস্পন্দন থেমে যায়,থামে চোখের পলকসমূহও।অতঃপর চাপা!তি আকস্মিক গলা থেকে টে!নে বের করতেই প্রণয়ের এপ্রোন,মুখ তথা সর্বাঙ্গে ছিটকে আসে র*ক্তসমূহ।আর মাহতিম লুটিয়ে পড়ে মাটিতে।প্রণয় কোনোকিছুর আওয়াজ পেয়ে পিছু ঘুরে তাকাতেই দেখে চোখ বড়বড় করে তার পানেই চেয়ে আছে অনিন্দ্য ঘোষ।অনিন্দ্য ঘোষকে দেখে ঠোট মৃদু বাকা করলো প্রণয়।অতঃপর বসা থেকে উঠে তার দিকে এগোতে চাইলেই পায়ের গতি তীব্র করে অনিন্দ্য ঘোষ।আর প্রণয়ও হাতে চাপাতি নিয়েই তার পায়ের গতিও দ্রুত করলো।পা জোড়া লম্বা আর অনিন্দ্য ঘোষের তুলনায় যথেষ্ট সবল হওয়ায় দ্রুতই তার সামনে এসে দাড়ালো প্রণয়।তার সামনে গিয়ে দাড়াতেই আকস্মিক অনিন্দ্য ঘোষ প্রণয়ের বুকের কাছে ছু!ড়িকাঘা!ত করতেই মৃদু আ!র্তনা!দ করে প্রণয়।অতঃপর দাঁতে দাঁত চেপে অগ্নিদৃষ্টি তার পানে নিক্ষেপ করে ঠোট কিঞ্চিৎ বাকিয়ে অনিন্দ্য ঘোষের কব্জি ধরে ছু!ড়িটা দূরে ছুড়ে ফেলে বলে,

“তোর যন্ত্রণা নিয়ে বেশ ভেবেচিন্তে রেখেছি আমি।এত সহজে তোকে মা!রবোনা।বাকিদের তুলনায় একটু বেশি বাঁচতে পারবি তুই।বলতো কী দিয়ে শুরু করবো?”

বলতে বলতেই অনিন্দ্য ঘোষের বুক বরাবর লাথি দিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে প্রণয়।অতঃপর তার দুই হাতের তালুতে দ্রুত ছু!ড়ি ঢুকাতে চাইলে প্রণয়কে ধা!ক্কা দিয়ে অনিন্দ্য ঘোষ বলে,

“আমায় মা!রা এত সহজ না।পারবিনা তুই”

বাকা চোখে অনিন্দ্য ঘোষের পানে চেয়ে গম্ভীরভাবে প্রণয় বলে,

“ওহ আই সি!”

অতঃপর পিছু ঘুরে নিজের ব্যাগের নিকট গিয়ে বসতেই হঠাৎ পিঠে ছু!ড়ির কয়েকটা টা!ন অনুভব করতেই দাঁত খিচে বসে থাকে।কা‌!টা বাহুতে ফের ছু*ড়ির আ!ঘা!ত পেতেই মৃদু ব্যথিত সুর বের হয় প্রণয়ের কন্ঠ হতে।সে ঘনঘন শ্বাস নেয়।এবং যখনই অনিন্দ্য ঘোষ তার পিঠের উপর ছু!ড়ি ঢুকাতে চায় আকস্মিক পিছু ঘুরে অনিন্দ্য ঘোষের কব্জি ধরে তার ডান হাতে মুঠ করে রাখা মরিচের গুড়া ছুড়ে মারে চোখের দিকে।হঠাৎ করেই চেচিয়ে উঠে অনিন্দ্য ঘোষ।আর প্রণয় সুযোগের সদব্যবহার করে তার গলা চে!পে মাটিতে শুইয়ে সেকেন্ডের মাঝে দুই হাতেই ছু*ড়ি ঢুকিয়ে ঠোট সামান্য বাকায়।অতঃপর রিং লাগানো লোহার পা-কড়া পায়ের সাথে মাটিতে লাগিয়ে ব্যাগ থেকে পানি বের করে অনিন্দ্য ঘোষের চোখমুখে ছুড়ে মারতেই সে পিটপিট করে চোখ খোলার চেষ্টা করেও খুলতে না পেরে বলে,

“দেখ নিজের আর তোর বউয়ের ভালো চাইলে আমায় ছেড়ে দে।একটু বাদে তোর জম আসবে।ছাড় আমায়”

গম্ভীরভাবে প্রণয় বলে,

“আগে নিজের আজরাইল তো দেখে নে”

বলতে বলতেই এগিয়ে আসে অনিন্দ্য ঘোষের নিকট।অতঃপর হাতে থাকা ছু!ড়ি দিয়ে তার দুই গালে দু’টো আচ!ড় কেটে গায়ের টি-শার্টের মাঝ বরাবর ছু*ড়ি দিয়ে চিড়ে বুক উদোম করে অনিন্দ্য ঘোষের হাত-পা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছু!ড়িকাঘা!ত করতেই খানিক বাদে বাদে চেচায় সে আর বলে,

“দেখ ছেড়ে দে আমায়”

কিন্তু প্রণয় একটা শব্দও করেনা।অতঃপর সমস্ত শরীরে বিভিন্ন দা*গ কে!টে তাতে যখন ডলে ডলে মরিচ লাগাতে আরম্ভ করে ঠিক তখনই বেশ জোরালোভাবে আর্ত!না!দ করা শুরু করে অনিন্দ্য ঘোষ।অতঃপর তার শরীরের দুই পাশে দুই হাটু রেখে তার উপর চড়ে এক হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে অপরহাতে অনিন্দ্য ঘোষের জিহ্বা টেনে গম্ভীরভাবে বলে,

“তোর এই মুখ দিয়েই গণধ!র্ষণের কথা বলেছিলি না?তোর নোংরা,অপবিত্র মুখ দিয়ে আর কিছু বলার মতো অবস্থায় তোকে এখন আর রাখবোনা।ইউ ব্লা!ডি বিচ”

কথাগুলো শেষ হবার পূর্বেই ছু*ড়ি দিয়ে অনিন্দ্য ঘোষের জি!হ্বার অর্ধেকের বেশি ফেলে দিতেই প্রণয়ের বাম হাতে চলে আসে তা।সঙ্গে সঙ্গে অনিন্দ্য ঘোষের চোখজোড়া খুলে কোটর থেকে বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম।আর র*ক্তে মুখের ভেতরসহ বাইরে পর্যন্ত ছড়াছড়ি হয় তার।প্রণয় মৃদু ঠোট বাকিয়ে অনিন্দ্য ঘোষকে তার নিজেরই জি!হ্বা দেখিয়ে বলে,

“তোর এই নোংরা জি!হ্বাকে এখন কী করি বলতো?আমার হাতটা পর্যন্ত অপবিত্র হয়ে গেলো”

বলতে বলতেই অনিন্দ্য ঘোষকে দেখিয়ে শার্টের পকেটে রাখা গ্যাসলাইট নিয়ে তিন আঙুল দ্বারা ধরে রাখা জি!হ্বায় আগুন ধরায় প্রণয়।পুরোটা যখন পু!ড়ে যাচ্ছে তখনই অনিন্দ্য ঘোষের হাতের তালু থেকে ছু!ড়ি বের করে তালুর উপর জ্ব!ল!ন্ত জি!হ্বা রাখে প্রণয়।এবারে অনিন্দ্য ঘোষ চিৎকার পর্যন্ত করতে পারেনা।হাত তার পু!ড়ে যাচ্ছে।তবুও যেনো ক্ষান্ত নেই।সে মনে মনে তার প্রভুকে ডাকছে।তবে কোনো লাভ হয়না।তার যন্ত্রণা ধাপে ধাপে বাড়ে বৈ কমেনা।অপরহাতের ছু!ড়িও যখন বের করে,চোখজোড়া বন্ধ করে অনিন্দ্য ঘোষ।মাথা তার ঘুরাচ্ছে।আরেকটু বাদেই বোধহয় জ্ঞান হারাবে সে।তার পূর্বেই প্রণয় প্লায়ার্স দিয়ে অনিন্দ্য ঘোষের অপরহাতের আঙুলের ন!খসমূহ টেনে তুলতে আরম্ভ করলে বারংবার অনিন্দ্য ঘোষের চোখ বড় বড় হয়ে আসে।তার চোখ দিয়ে পানির সঙ্গে এবার র*ক্ত আসে যেনো।অতঃপর চোখজোড়া বুজার পূর্বেই প্রণয় দুই হাতে দুই ছু!ড়ি নিয়ে একটা ঠিক গলার মাঝ বরাবর ঢু!কায় অপরটা বুকের বাম পাশে।ঢুকিয়ে আর বের করেনা,সেভাবেই ঢুকিয়ে রাখে।অতঃপর অনিন্দ্য ঘোষের উপর থেকে উঠে দাঁড়ায় প্রণয়।দাঁড়িয়ে তার নিকট চাইতেই প্রশান্তি বয়ে যায় হৃদয়জুড়ে।শীতল হয় সর্বাঙ্গ।অতঃপর ফের অনিন্দ্য ঘোষের পাশে বসে তার থুতনী চে!পে বলে,

“অতঃপর এভাবেই সমাপ্তি ঘটে দানবদের”

বলেই অনিন্দ্য ঘোষের দিকে বাকা চোখে চেয়ে কপাল কুচকে ফের বলে,

“আচ্ছা বল তো?আমার শান্তি মিলছেনা কেনো?কী করলে আরেকটু শান্তি পাবো?”

বলেই আশেপাশে পড়ে থাকা তিন তিনটে বিদঘুটে লা*শের থেকে খানিক দূরত্ব বজায় রেখে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা র*ক্তাক্ত মাটিতেই শুয়ে পড়ে প্রণয়।যেনো বড্ড হাপিয়ে গেছে সে!হাত দু’টো মাথার পেছনে দিয়েই শুয়েছে।দৃষ্টি তার দূর আকাশপানে।সন্ধ্যার কমলাটে ভাব কমে গিয়ে লালচে গগণের মাঝে আধার নামছে যেনো।দু’একটা কাক হয়তোবা পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে গগণে।তাদের নীড়ে ফিরতে হবে যে!সাথীরা কি ছুটে গিয়েছে?নাকি তাদের ফেলেই চলে গিয়েছে পূর্বে?জানা নেই প্রণয়ের।সে কেবলই চেয়ে থাকে সেই পানে।সুনসান নীরব সেই পথে ঝি ঝি পোকার ডাকও কি শোনা যায়?শহুরে এলাকায় আদোতে শোনা যাবে?পাতার দু’একটা মর্মর শব্দ ভেসে আসছে কানে।হয়তো ঝড়ে পড়ছে তরু হতে?আকস্মিক প্রণয়ের হৃদয়ে তীব্র ব্যথা হলো।তার সমস্ত সুখ,সুখের উৎস হারিয়ে ফেলার ব্যথা।বুকের ভেতর থাকা হৃদপিণ্ডে সযত্নে লালিত করা তারই চন্দ্রময়ীর হাস্যোজ্জ্বল আর লজ্জামিশ্রিত মুখশ্রী ভেসে উঠলো চোখের সামনে আকাশমাঝে।সঙ্গে সঙ্গে চোখজোড়া বুজলো প্রণয়।এরপর আর কি তার প্রিয় নারীর সঙ্গে দেখার সুযোগ মিলবে?দেখলেও তাকে একটিবার আলিঙ্গন করার সুযোগ কি সে পাবে?তার হৃদয়ে লুকানো প্রতিটা ব্যথার কথা সেই নারীকে জানানো যাবে কি?আরেকটি বার তার ব্যক্তিগত নারী,নিজস্ব গোলাপকে ছুয়ে দেয়া যাবে?বড্ড ইচ্ছা জেগেছে আরেকবার!আরও একবার!হয়তোবা শেষবার।শেষবারের ন্যায় হলেও সেই মেয়েটাকে সে আরেকবার ছুয়ে দেখুক,তার পানে শতাব্দীর পর শতাব্দী সে চেয়ে থাকুক,আঁখি তার জুড়াক!জুড়িয়ে যাক তীব্র বাসনা দরুন,আরেকটি বারের জন্য সে তার প্রাণেশ্বরী,তার একমাত্র হৃদরাণীকে আলিঙ্গন করুক!করে তার কোলজুড়েই মাথা রেখে তার শেষ নিশ্বাস সে ত্যাগ করুক।মরণ ঘটুক তার!অতঃপর প্রণয়ের বুক চি!ড়ে বেরিয়ে আসে দীর্ঘশ্বাসের অনিল।সে চোখজোড়া বুজে রেখেই হৃদয়ে ঘটা যন্ত্রণাসমূহ অনুভব করে,অনুভব করে তার তীব্র বাসনাসমূহও।অতঃপর দুই চোখের কোন বেয়ে গড়িয়ে পড়ে দুই ফোটা চিকচিকে অশ্রুজল।আজ আর প্রণয় নিজেকে বাঁধা দেয়না।সকল দুঃখ তার উপচে পড়ে হৃদয় হতে।দুই পাশ দিয়ে বারিধারা গড়াতেই আকস্মিক তার কর্ণগোচর হয় একজোড়া পদধ্বনি।ধীরগতিতে শোয়াবস্থায়ই ঘাড় বাকিয়ে চোখজোড়া খোলে প্রণয়।র*ক্তিম চোখজোড়া আরও লালচে হয়েছে তার,চাহনী হয়েছে দৃঢ়।অতঃপর ফোস করে মুখ দিয়ে শ্বাস ফেলে আগের ন্যায়ই আকাশপানে চেয়ে থাকে প্রণয়।কোনো ভাবান্তর হয়না।

To be continued…..

[বিঃদ্রঃএটা সম্পূর্ণ পর্ব নয়।রাতে অথবা আগামীকাল সকালে এর বর্ধিতাংশ দেবো।লিখে উঠতে পারিনি বলে দুঃখিত।আপাতত এতটুকুই পড়ুন।আর পরবর্তী বর্ধিতাংশ আরও নিশ্রংস হবে তাই যাদের র*ক্ত বা কাটাকাটি নিয়ে ফোবিয়া টাইপ সমস্যা আছে একটু ভেবেচিন্তে পড়বেন।গল্পটা কিন্তু কাল্পনিক তাই অনুরোধ করবো কাল্পনিকভাবেই সবটা দেখা এবং নেওয়ার জন্য]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here