#আবার_প্রেম_হোক (২য় খন্ড)
#নুসরাত_জাহান_মিম
০৬.
হাজতের উঁচু পাকায় বসে থাকা অরণের হাটুর উপর মাথা রেখে শোয়াবস্থায় চোখজোড়া বুজে রেখেছে প্রণয়।শরীর তার সত্যিই আর চলছেনা।মন বলছে দূরে কোথাও সে পালিয়ে যাক।যেখানে আর কোনো বাঁধা বিপত্তি থাকবে না।একটা সুন্দর,স্বাভাবিক জীবন সে অতিবাহিত করতে পারবে।আর পাঁচ-দশটা মানুষের ন্যায়ই তারও বৈবাহিক জীবন সুখের হবে।অরণের উরুতে গরম কিছু অনুভূত হতেই সে দ্রুত প্রণয়ের পানে তার দৃষ্টি নিক্ষেপ করে।অতঃপর উরু তার ভিজেই চলেছে উপলব্ধি করে প্রণয়কে টেনে তুলতেই প্রণয় তার চোখজোড়া বুজে রেখেই জাপটে ধরে অরণকে।আকস্মিক প্রণয়ের এরূপ কর্মে হকচকায় অরণ।সেই ছেলেবেলা থেকে প্রণয় নামক তার এই গম্ভীর বন্ধুটাকে সর্বদাই গম্ভীর দেখেছে।কখনো কাদতে সে দেখেনি।আজ অব্দি সে দেখেনি,এই যেনো প্রথম।তাই কপাল তার ঈষৎ কুচকায়।প্রণয়কে সেও জাপটে ধরে মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,
“কীরে?কী হয়েছে?কোথাও বেশ আ!ঘা!ত লাগছে?”
বেশ করুন শোনালো প্রণয়ের কন্ঠধ্বনি,
“হ্যা রে লাগছে।আমার বুকের ভেতর থাকা হৃদযন্ত্রটা পু*ড়ে যাচ্ছে।ঠান্ডা পানি দে না!ঢালি”
ঠোট চে!পে লম্বা শ্বাস ফেলে অরণ বলে,
“হিশ!তোর মুখে এসব মানায় না প্রণয়।সবটা জেনেশুনেই এরকম সিদ্ধান্ত তুই নিয়েছিলি।এখন আফসোস করে কিছু কি হবে?”
অরণকে আরেকটু শক্তপোক্তভাবে জড়িয়ে ধরে ঘনঘন শ্বাস নিয়ে করুন কন্ঠে প্রণয় বলে,
“আফসোস হচ্ছেনা রে।কিন্তু আমি….আমি ম*রতে চাই না অরণ!ম*রতে ইচ্ছা করছেনা বিশ্বাস কর।আমি আরও কয়েক বছর বাঁচতে চাই।আমার চাঁদের সাথে আরও কয়েকটা বছর এই ধরণীতে শ্বাস নিতে চাই।আমার আর তার ছোট্ট সেই অংশটাকে নিজ চোখের সামনে একটু একটু করে বড় হতে দেখতে চাই।অনুভব করতে চাই বাবা হওয়ার অনুভূতি।আমি আমার বাচ্চাটার মুখখানা দেখতে চাই অরণ।সে কি চাঁদের ন্যায় অপরূপা হয় নাকি প্রণয়ের ন্যায় প্রলয়ঙ্কারী।আমি আমার বৃদ্ধ বয়সেও সেই এক নারীর জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই।দোস্ত!আমি না সত্যিই এত জলদি ম*রতে চাই না।আমার চাঁদের সাথে আমার ছোট্ট এবং সুখের একটা সংসার হলো না কেন রে?তাকে পাওয়ার পরেও আমার হারাতে হচ্ছে কেন?বিধাতার নিয়তি যদি এতই নিষ্ঠুর ছিলো কেনো সেই নারীর সাথে আমার সাক্ষাৎ হলো?কেনোই বা কেবল তার জন্য হৃদয় আমার ঝ!লসে গেলো?কেনো আমার জীবনে সে প্রেম নিয়ে এলো?আমাকে বাঁচা না!আরও কিছু বছর তার সাথে বাঁচি আমি”
অরণের কাধের দিকের শার্ট ভিজে চুপচুপ হচ্ছে।প্রণয়ের প্রতিটা অশ্রু হৃদয় ক্ষ*তবি*ক্ষ*ত করছে অরণের।হৃদয় তারও ঝ!লসাচ্ছে,পু*ড়ে যাচ্ছে।হাহাকার করছে ভেতরটা।সেও প্রণয়কে জাপটে ধরতেই এক ফোটা অশ্রুবিন্দু শুষ্ক কপোল বেয়ে গড়ায় তার।আর প্রণয়-অরণের পানে চেয়ে থেকে অশ্রুসিক্ত হয় সমুদ্রের চোখজোড়াও।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
“আপনার সাথে একজন ডাক্তার দেখা করতে এসেছে স্যার”
কেবিনের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে এক কর্মকর্তার মুখে এরূপ কথা শুনে কপাল কিঞ্চিৎ কুচকায় আহিনের।সে নিজের হাতের কাজটা সেরে বেশ গম্ভীরভাবে বলে,
“আসতে বলো”
“মে আয় কাম ইন স্যার?”
কোনো মহিলার কন্ঠস্বর পেয়ে কাগজে কী যেনো লিখতে লিখতেই আহিন বলে,
“কাম”
অতঃপর মহিলা ডাক্তারের পানে চাইতেই কপাল সামান্য কুঞ্চিত করে আহিন বলে,
“তুমি?”
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
সমুদ্রের সহিত বহুবছর পর আপন নীড়ে পা রাখছিলো অরণ এমতাবস্থায় সমুদ্রের ফোনে কল আসে চাঁদের।সে তা রিসিভ করেই বলে,
“হ্যা বল”
“আচ্ছা আসছি,ওখানেই থাক।আর অরণ ভাইয়ার কথা কিছু বলবি না”
সমুদ্রের কথা শুনে তার পানে চেয়ে অরণ জিজ্ঞেস করে,
“কী হয়েছে?কার ফোন?”
“চাঁদের”
“কী বলছে?আর কোথায় যাবে?”
“থানায়”
“থানা কিন্তু কেনো?মাত্রই না এলাম?”
“না সেটায় না।অন্যটায়”
“কোনটা?”
“চলুন আপনি আগে”
বলতে বলতেই অরণকে সাথে নিয়ে দ্রুতই এক রিক্সায় উঠে সমুদ্র।
ধানমন্ডি মডেল থানায় প্রবেশ করছে ফায়ান।ভেতরে এসেই অরিনের কেবিনের বাইরে টোকা দেয় সে।আর অরিন কোনো একটা ফাইল দেখতে দেখতেই বলে,
“কাম”
অতঃপর সে পানে তাকাতেই ফায়ানকে দেখে বলে,
“ফায়ান ভাইয়া তুমি?এসো ভেতরে এসো”
ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে মৃদু হেসে ফায়ান বলে,
“আই হ্যাভ আ সারপ্রাইজ অরিন।একচুয়ালি ডাবল সারপ্রাইজ বলতে পারো”
“সারপ্রাইজ?”
অতঃপর কপাল কুচকে আবারও বলে,
“ডাবল সারপ্রাইজ?কীসের?”
অরিনের কথা শুনে ভেতরে প্রবেশ করে ডান পাশে চেপে গিয়ে ফায়ান বলে,
“দেখো তো কে এসেছে”
তখনই ফায়ানের পেছনে লুকিয়ে দাঁড়ানো চাঁদ মৃদু হেসে দরজায় টোকা দিয়ে বলে,
“মে আয় কাম ইন ম্যা’ম?”
দরজার কাছে চাঁদকে দেখে দৃষ্টি স্থির হয় অরিনের,পলক তার থমকায়।ঠোটজোড়ায় কিঞ্চিৎ ফাকও বোধহয় দৃশ্যমান হয়।তার অপলক চেয়ে থাকাকালীন ফের চাঁদ বলে,
“মে আয় ম্যা’ম?”
খানিক কেশে বারকয়েক পলক ঝাপটে অরিন বলে,
“এসো,এসো…..এসো আপু”
তারা দু’জন ভেতরে আসতেই দাঁড়িয়ে গিয়ে ফায়ান আর চাঁদকে চেয়ার টেনে অরিন তাদের বসতে দিতে নিলেই ফায়ান বলে,
“এত খাতির যত্ন তো আমারও কখনো করলেনা অরিন”
বাকা চোখে ফায়ানের পানে চেয়ে অরিন বলে,
“ডাক্তারদের অতো যত্ন করতে হয়না,তারা নিজেরাই নিজের যত্ন নিতে পটু”
চেয়ারে বসতে বসতে মজার ছলে ফায়ান বলে,
“ও আচ্ছা চাঁদ তাহলে হাতুড়ে ডাক্তার বোধহয়।ছি চাঁদ লজ্জা করেনা তোমার?নিজেকে আবার নিউরো সার্জন দাবি করো ছিহ!”
হকচকিয়ে অরিন প্রশ্ন করে,
“চাঁদ আপু নিউরো সার্জন?”
হতাশ ভঙ্গিতে চাঁদ বলে,
“কপাল গুনে কীভাবে যেনো হয়ে গেলাম অরিন”
“তোমার আর কপাল গুনে?তুমি কি ভেবেছো তোমার হিস্টোরি আমি ভুলে গিয়েছি?মোটেও না”
“আর আমার হিস্টোরি মনে আছে কি?”
বহুবছর বাদে অতি পরিচিত এবং আত্মিক প্রশান্তিময় ঠান্ডাস্বর শ্রবণ হতেই শ্বাস আটকায় অরিনের।পলক তার স্থির হয়।অতি দ্রুত দরজা পানে দৃষ্টি রাখতেই মাথায়,হাতে ব্যান্ডেজসহ মুচকি হেসে তার পানে নিজেরই বড় ভাইকে দেখে চোখজোড়া কিঞ্চিৎ বড় হয় অরিনের।গলার কাছে শ্বাস আটকে এসেছে নিমিষে।এক ধ্যানে সে পানে তাকিয়ে থাকতেই ফের কানে ভেসে আসে অরণের শীতল কন্ঠস্বর,
“কমিশনার ম্যা’ম কি তাহার একমাত্র জ্যেষ্ঠ ভ্রাতাকে ভুলিয়া গিয়াছে?নাকি তাহার স্মরণে ভ্রাতাসাহেব আছেন?”
সঙ্গে সঙ্গে চাঁদ আর ফায়ানকে অতিক্রম করে দৌড়ে আসে অরিন অরণের পানে।অতঃপর ভাইয়ের বুকের সাথে মিশে গিয়ে আকস্মিক তাকে জাপটে ধরে ফুপিয়ে উঠে অরিন।অরণও বোনকে সাদরে আলিঙ্গন করে।চুলে হাত বুলায় কেবল।কোনোকিছু বলেনা।তারও বুক ভার হয়ে আসে তবে নিজেকে যৎস্বাভাবিক সামলে রাখে।চাঁদের অরণ আর অরিনের পানে চাইতেই নিজের ভাইয়ের কথা স্মরণে আসে।কতদিন হলো ভাইয়ের সাথে ঠিকমত কথা বলেনা।ভাইকে নিয়ে ভাবতে ভাবতেই ধ্যান ভাঙে অরিনের ফুপিয়েই ভাঙা গলায় আওড়ানো কিছু শব্দে,
“ভা…..ভাই…..তুই তুই এতদিন কোথায় ছিলি?প্রণয় তোকে কোথায় নিয়েছিলো বল না?আর তুই এতদিন আমাদের কাছে আসিস নি কেনো?জানিস কত প্রহর গুনেছি তোকে সচক্ষে ফের হাসতে দেখবো বলে?তোকে বুক ভরে ভাই ডাকবো বলে?এই ভাই বল না?তুই কেন অতবড় ঝুঁকি নিলি?তোর এক্সিডেন্ট কী করে হলো?আমি নিশ্চিত ওটা এক্সিডেন্ট ছিলোনা।হতেই পারেনা।বল না কী হয়েছিলো তোর সাথে?এই দেখ আমি এখন সহকারী কমিশনার,তোর পাপীদের শাস্তি আমি দেবো।আর আমায় কেউ আটকাতে পারবেনা ট্রাস্ট মি ভাই।এই ভাই?বল কিছু”
অরিনকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে বোনের চোখের পানি মুছে দিতে দিতে অরণ বলে,
“হিশ!কাদেনা।কমিশনার ম্যা’মকে কাঁদতে দেখলে লোকে কী বলবে বল তো?”
নাক টেনে অরিন বলে,
“কথা ঘুরাস না ভাই।আমি তোকে কথা দিচ্ছি আমি কাউকে ছেড়ে কথা বলবোনা”
গম্ভীরভাবে অরণ বলে,
“প্রণয় তাদের ছেড়ে দেয়ও নি”
কপাল কুচকে অরিন বলে,
“মানে?”
“তোর আমার সাথে এক জায়গায় যেতে হবে”
“কোথায় ভাই?”
“চল”
অতঃপর তারা সকলে মিলে অরণের বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
অরণ,চাঁদ আর উশ্মি চাঁদের রুমে বসে আলোচনায় ব্যস্ত।তাদের আলোচনার মাঝেই উশ্মির প্রশ্ন,
“কিন্তু একদিনে কী থেকে কী করবো ভাইয়া?আর ভাবিই বা এই অবস্থায় কী করতে পারবে?”
“আমি জানি আমি কী করবো।অরণ আপনি কি চলবেন আমার সাথে?”
কিছুক্ষণ মৌণ থেকে অরণ বলে,
“আমি কোনো আশা দেখছিনা চাঁদ।তাছাড়া প্রণয় নিজেই চায়না এসব বিষয় নিয়ে কেউ ঘাটাঘাটি করুক অথবা কেউ আমাদের অতীতের কোনো ঘটনা জানুক”
ম্লান হেসে জানালা পানে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে চাঁদ বলে,
“আমাদের অতীত নাকি আমার অতীত অরণ?আমি জানি প্রণয় বা আপনারা কেউ চান না আমার সত্যিটা কারো সামনে আসুক।এবং আমি জানি প্রণয় তা কখনোই চাইবেনা।তবে যদি প্রয়োজন পড়ে আমি নিজেই তা সকলের নিকট উন্মুক্ত করবো”
গম্ভীরভাবে অরণ বলে,
“তোমার মতো যুক্তিবাদী মেয়ের মুখে অযৌক্তিক কথা বেশ দৃষ্টি কটু চাঁদ”
“আপনি এ কথা বলছেন অরণ?”
“হ্যা আমিই বলছি।তোমার কি মনে হয়?তোমার এই কাজে প্রণয় বেশ খুশি হবে?প্রণয় কেনো এত বড় ঝুঁ!কি নিলো?তুমি কল্পনাও করতে পারবেনা তোমার জন্য, কেবলমাত্র তোমার জন্য ও পুরো দুনিয়া লণ্ডভ!ণ্ড করার পরেও হাসতে হাসতে নিজের প্রা!ণ দিয়ে দেবে।আর তুমি এসব ভাবছো?তোমার থেকে আমি এটা আশা করিনি।প্রণয় তুমিসহ আরও বহু মেয়ের সুরক্ষার জন্য এমনসব কাজ করেছে যা আমিতো দূর ও নিজে পর্যন্ত কখনো চিন্তায় আনেনি হয়তোবা।আর তুমি?তুমি এসব বলছো?”
লম্বা শ্বাস ফেলে বেশ রুক্ষ মেজাজে চাঁদ বলে,
“তাহলে আর কী করবো অরণ?চুপচাপ সব দেখে যাবো?আপনি বলছেন প্রণয়ের ফা*সি হোক?এটা চাচ্ছেন আপনি?যেই বন্ধু আপনার……”
“পরিস্থিতি এমনই চাঁদ।আমি নিজেও কোনো সলিউশন দেখছিনা।তুমি যদি তোমার সত্যিটা বলোও তারপরও আদালত এটাই বলবে প্রণয়ের নিজের হাতে আইন তুলে নেয়া উচিত হয়নি।তাছাড়া একটা খু*ন হলে তাও যাবজ্জীবনের কথা ভাবা যেতো তবে প্রণয় ছয়টা খু*ন করেছে তাও যেনোতেনো ভাবেনা।তুমি কল্পনাও করতে পারবেনা অধিরাজ শেখের মৃ*ত্যুটা ছিলো সবচাইতে নি!র্ম!ম।প্রণয় তাকে আপাদমস্তক দুখন্ডি!ত করে ফেলেছিলো।আমি…..আমি তোমায় বলতেও পারছিনা!প্রণয় সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে সমস্তকিছু বর্ণিত করেছে।আর এসব করার পরেও প্রণয়ের কোনো আফসোস নেই।কিন্তু তুমি……”
চটে গিয়ে অরণকে মাঝপথে থামিয়ে বেশ উচ্চস্বরে চাঁদ বলে,
“আফসোস নেই?আফসোস নেই না?তার কোনো আফসোসই নেই?আমার কথা চিন্তা করেনি একবারও?নিজের বাচ্চার কথাও ভাবছেনা তাইনা?আপনার বন্ধু!আপনার বন্ধু বেশ স্বার্থপর অরণ।সে আগেও স্বার্থপর ছিলো,এখনও তেমনই আছে।সে একবারও ভাবছেনা তাকে ছাড়া আমি কী করে বাঁচবো।সে একদমই ভাবছেনা”
অতঃপর অরণের নাক বরাবর তর্জনী নিয়ে ঘনঘন শ্বাস নিয়ে চাঁদ উচ্চস্বরেই বলে,
“আমার জীবনের সবচাইতে বড় ভুলই ছিলো ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখা।না সেই স্বপ্ন দেখতাম,না এতকিছু হতো আর না!আর না আপনার বন্ধুর সাথে আমার দেখা হতো!আপনার বন্ধু আপনার বন্ধু কী ভাবে কী নিজেকে?সে কেনো আমার কথা ভাবছেনা অরণ?সে কেনো বুঝতে পার……”
“তুমি শুধু শুধু হাইপার হচ্ছো চাঁদ।একদিনে কোনোকিছুই করা সম্ভব না।তাছাড়া তুমি,আমি সকলেই জানি একাধিক খু*নের শাস্তি ফা!সি ছাড়া অন্যকিছু না।আমি বিভিন্ন জিনিস ভেবে দেখেছি।কোনো উপায়ই খুঁজে পাচ্ছিনা।আর পালানোও কোনো সমাধান না।আর পালিয়ে যাবেই বা কোথায়?প্রণয় কখনোই এসব করবেনা”
ফের চেচায় চাঁদ,
“হ্যা সে এসব করবে কেনো?তার তো ইগো হার্ট হবে!আমি কি তাকে একবারও বলেছিলাম এসবের কথা?আমরা কি এভাবেই ভালো ছিলাম না?”
“তুমি কেবলই তোমারটা ভাবছো চাঁদ।তুমি প্রণয়ের জায়গায় থাকলে কী করতে?তোমার ভালোবাসাকে যারা গলা টিপে হ!ত্যা করবে তাদের এমনি এমনি ছেড়ে দেবে?তুমি প্রণয়ের দিকটা কেনো ভাবছোনা?”
“সে কেনো আমার কথা ভাবছে…..”
সম্পূর্ণ কথা বলার সুযোগ টুকুও চাঁদ পায়না।তার পূর্বেই সমস্তকিছু ঘোলাটে ঠেকে তার নিকট।অতঃপর টলে পড়তে নিলেই অরণ তাকে ধরে বিছানায় শোয়াতেই উশ্মি বলে,
“ভাইয়া তুমি কি সত্যিই প্রণয় ভাইয়ার জন্য কিছু করবেনা?”
দীর্ঘশ্বাস ফেলে অরণ বলে,
“আমার মাথা সত্যিই কাজ করছেনা উশ্মি।আমি কোনোকিছুই ভাবতে পারছিনা।কী করেই বা একদিনে তার ফা*সিটা আটকাবো আমি?পালানো ছাড়া আর কোনো পথই দেখছিনা।কিন্তু পালিয়েও বা কোথায় যাবে?কোথায় পাঠাবো ওদের?তাছাড়া প্রণয় কি পালাবে?”
To be continued…..