মেডিকেল_ক্যাম্প Part:20

0
284

FF:#মেডিকেল_ক্যাম্প
Part:20

উজান:ঠাস করে একটা থাপ্পড় মারে হিয়াকে

হিয়া:কাঁদতে থাকে

উজান:কেনো করলেন এমন।কি পেলেন এসব নাটক করে।Answer Me.(উজানের চিৎকারে আশেপাশের মানুষ ওদের দিকে তাকিয়ে থাকে)

হিয়া:তখনো কাঁদতে থাকে।

উজান:গাড়িতে গিয়ে বসুন।কথা কানে যাচ্ছে না।বললাম না গাড়িতে গিয়ে বসুন।

হিয়া গটগট করে পার্ক থেকে বের হয়ে গাড়ির সামনে গিয়ে দাড়িয়ে অটো খুজেঁ।ওহ উজানের গাড়িতে যাবে না

উজান:গাড়িতে বসুন….হিয়া আমি আর জাস্ট একবার বলবো গাড়িতে গিয়ে বসুন।

হিয়া:আমার বাড়ি যাওয়া নিয়ে তো কথা।আমি চলে যেতে পারবো।প্লিজ আপনি চলে জান।

উজান:হিয়া আপনি কিন্তু আমার ধর্য্যের পরীক্ষা নিবেন না।আমি কিন্তু এবার রেগে গেলে সত্যি খুব খারাপ হবে…….

হিয়া:দাদা দাদা শ্যামপল্লি যাবে।

দাদা:যাবো আসুন

হিয়া উজানের কথা না শুনে অটোতে উঠে যায়।উজান গাড়ি নিয়ে ওর পিছন পিছন আসতে থাকে।এবার আর হিয়ার রক্ষে নেই কারন উজানের রাগ এবার সীমা ছেড়েছে।

হিয়া:দাদা কতো হলো।

দাদা:৩০টাকা দিদি।

হিয়া:এই নিন।

বুলি:দিদি এসেছিস উজান দা কোথায় বললো যে তোর সাথে আসবে।

হিয়া:উনি আসছে।

হিয়া আর কিছু না বলে রুমে ঢুকে যায়।

বাসবি:কি হলো বুলি।হিয়াকে দেখে মনে হলো ওহ কাঁদছে।রাজা কোথায় ওর না হিয়াকে নিয়ে আসার কথা।

বুলি:বললো তো আসছে নাকি।মনে হয় উজান দার সাথে বড়ো কিছু হয়েছে।

উজান:বুলি দিদি কোথায়?

বুলি:দিদি তো এসেই রুমে চলে গেলো।

বাসবি:রাজা রাজা শোন।

উজান কারো কথা না শুনে হিয়ায় রুমে ঢুকে গেট লাগায় দেয়।

বুলি:কি হলো ব্যাপারটা কাকিমা কিছু বুঝলে?

বাসবি:বুঝলাম ওদের খুব ঝগড়া হয়তো হয়েছে কিছু নিয়ে।রাজা কে আজ অনেক দিন পর এতোটা রেগে থাকতে দেখলাম।

উজান হিয়ায় রুমে গিয়ে গেট লাগায় দেয়।ফোন টা বিছানার উপর ছুড়ে ফেলে…হিয়ার হাতের বাহু দুটো কে শক্ত করে ধরে হিয়াকে দেওয়ালের সাথে ঠেসে দেয়।

হিয়া:আহ ছাড়ুন আমাকে।লাগছে আমার

উজান:আপনার এতো সাহস হয় কি করে আপনি আমার কথা না শুনে একাই একাই চলে এলেন।

হিয়া:সেটা আমার ইচ্ছা…আপনি গেট কেনো লাগিয়েছেন…ছাড়ুন না

উজান:আমি না দু তিন ধরে আপনার এসব নাটক দেখছি হিয়া।অনেক সহ্য করেছি।কি চান আপনি আমি আপনাকে ছেড়ে দেই…

হিয়া:আমার চাওয়ায় সাথে কি কিছু আসে আপনার উজান স্যার।আপনি তো সব ঠিকি করে রেখেছেন আমাকে ডিভোর্স দিবেন বলে

উজান:আমি আপনাকে সকালে কি বললাম আর না বললাম তাতে আপনি ধরে নিলেন আমি আপনাকে সত্যি সত্যি ডিভোর্স দিবো।এটুকু বিশ্বাস নেই আপনার আমার উপর

হিয়া:এতে তো মিথ্যার কিছু নেই উজান স্যার।

উজান:তাই না।আজকে আপনি যেটা করলেন তার জন্য আমি আপনাকে কখনো মাফ করবো না হিয়া।আপনি জানেন এই কয়েকটা ঘন্টা কি ঝড় টা বয়ে গিয়েছিল আমার মনের উপর দিয়ে।

হিয়া:উজান ছাড়ো আমার হাতে লাগছে…

উজান আরো বেশি শক্ত করে হিয়াকে ধরে।

হিয়া:আর আমি কি করবো না করবো কোথায় যাবো না যাবো তাতে আপনার কি কে হোন আপনি আমার?ডিভোর্স ই তো দিবেন তাহলে।তাহলে কিসের এতো অধিকার দেখাচ্ছেন আপনি আমার উপর?সব টাই তো শেষ করে দিলেন

উজান:আমি শেষ করেছি হিয়া।অধিকারের কি দেখলেন আপনি এখনো তো কিছুই করি নাই আপনার সাথে।ডিভোর্স না দেওয়া অবধি তো আমি আপনার হাসবেন্ড তাই তো…

উজান হিয়া কে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেয়

হিয়া:কি করছেন আপনি।

উজান:একজন হ্যাসবেন্ড হিসাবে যা করা দরকার বলে আমি মনে করি……………
………………………………….
বাসবি:বুলি মা খাবারটা সব ফ্রিজে রেখে দে।আজকে হিয়া আর তোর উজানদা আর বের হয়ে খাবে না মনে হয় রাতে..

বুলি:হুম কীভাবে খাবে বলো। তুমি সেদিন বললে না নিজেদের মতো ইয়ে করে নিতে তাই

বাসবি বুলির কান ধরে

বাসবি:পাকনা মেয়ে একটা।দিনদিন খুব পেকে যাচ্ছিস তুই কিন্তু

বুলি:উফফ কাকিমা একটাই তো দিদি আর একটাই তো জামাইবাবু একটু মজা করবো না বলে।খালি একবার বের হতে দেও সকালে দেখো কি নাকানিচোবানি খাওয়াই দুজন কে

বাসবি আর বুলি দুজনে হাসতে থাকে

পরের দিন সকালে।হিয়া উজানের বুকে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে আছে।উজান দুহাতে হিয়াকে জরিয়ে।উজানের ফোনে এলর্াম বেজে উঠে।দুজনের ঘুম ভাঙ্গে।হিয়া উঠে বসে সাথে উজানো

হিয়া:স্যার ছাড়ুন আমার ক্লাস আছে আমাকে উঠতে হবে

উজান:ঠিক আছে আমি নিয়ে যাবো আপনাকে টিউলিপে।দেখি আমার দিকে তাকান

হিয়া:আপনি বললেন না কালকে ডিভোর্স এর ব্যাপার এ কোথায় যেতে হবে চলুন আজ গিয়ে সব টা

উজান:আপনি আবার শুরু করলেন হিয়া।তাহলে কালকে রাতে আপনি কেনো এতো গুলো সুন্দর মুহূর্ত কাটালেন আমার সাথে….এবার কিন্তু তোমার ব্যবহার আমাকে খুব কষ্ট দিচ্ছে হিয়া__

হিয়া আবার কাঁদতে শুরু করে।হিয়ায় নাকের পানি চোখের পানি এক হয়ে যায়।

উজান:আপনি আবার কাঁদছেন।আপনি নিজে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করছেন আমাকে ছোট করছেন আবার আপনি নিজে এখন কাদছেনঁ।কান্না করা তো উচিৎ আমার এতো কিছুর পরো এটা আমাকে শুনতে হচ্ছে আমি আপনাকে ছেড়ে দিবো..

উজানের কথায় হিয়া আরো বেশি করে কাঁদতে শুরু করে উজানকে জোড়িয়ে ধরে।

উজান:চুপ।আর না।কি হয়েছে হিয়া থামুন না এবার প্লিজ।আমার কষ্ট হয় হিয়া তোমাকে এভাবে কাঁদতে দেখলে।

হিয়া:বিশ্বাস করুন আমি চাইনি এমন টা হোক।আমি সেদিন ইনজেকশন টা দেখেই নিয়েছিলাম।

উজান:আপনি এখনো ঔ ইনজেকশন টা নিয়ে পড়ে আছেন।এটুকু ভরসা নেই আমার উপর। আপনার কি মনে হয় আমি চুপ করে আছি বিষয় টা আমি দেখছি না….

উজান হিয়ায় চোখ মুছে দিয়ে।

উজান:এর জন্য আপনি আমাকে দুদিন ধরে এতো কষ্ট দিলেন।আপনি একবার নিজেকে প্রশ্ন করুন তো আপনি যা করেছেন তা কি ঠিক করছেন আমার সাথে

হিয়া:সরি।(কাঁদতে কাঁদতে)

উজান:হয়েছে এবার গিয়ে উঠে রেডি হোন।পড়াশুনা তো সব গোল্লায় গেছে আপনার

উজান হিয়ার কপালে একটা স্নেহের চুম্বন একে দেয়

হিয়া স্নান সেরে রেডি হয়ে বের হয়।উজান ফ্রেশ হতে যায়।

হিয়া:কি হচ্ছে বুলি তুই এভাবে হাসছিস কেনো

বুলি:কই দিদি আমি হাসছি না তো।

হিয়া:শোন আমি না তোর দিদি আমাকে মিথ্যা বলছিস……আবার হাসছিস এবার কিন্তু আমি তোকে….

উজান:হিয়া হলো আপনার ক্লাস শুরু হয়ে যাবে।

বাসবি:আয় আগে বস তো নাস্তা টা করে নে।

বুলি:তুমি কি উজানদা কালকে কাকিমার রাতে এতো শরীর খারাপ করলো তোমাকে আর দিদিকে কতো ডাকলাম শুনলেই না😊😊

উজান:মার শরীর খারাপ করেছে।কি হয়েছে মা তোমার।তুমি ঠিক আছো তো।কই আমাকে দেখতে দেও দেখি

বু্লি:এখন আর দেখে কি হবে।কালকে এতো ডাকলাম তুমি তো দিদি কে আদর করতে ভালোবাসতে এতো ব্যাস্ত যে শুনতেই পাও নাই😊😊

হিয়া:বুলি তুই কিন্তু। কাকিমা কিহয়েছে তোমার।

বাসবি:ছাড়ো তো ওর কথা। আমার কিচ্ছু হয়নি।আমি ঠিক আছি।ওহ তোমাদের দুজনকে পচাচ্ছে,মজা করছে আর তোমরাও বুঝছো না।

বুলি আর বাসবি হেসে ফেলে।উজান লজ্জা পেয়ে নাস্তা না করেই চলে যায়।

উজান:মা আমি আসছি।হিয়া আপনি বের হোন

বাসবি:সেকি রাজা শোন নাস্তা টা তো করে যাহ।রাজা,রাজা,

হিয়া কপট রেগে গিয়ে

হিয়া:দেখলি তো তোর জন্য লোকটা না খেয়ে বেরিয়ে গেলো।সব সময় মজা।

বাসবি:ওকে আর বকতে হবে না।শোনো আমি নাস্তা দিয়ে দিচ্ছি টিউলিপে গিয়ে খেয়ে নিও তোমরা।

হিয়া:হুম😊😊

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here