28-FF: #মেডিকেল_ক্যাম্প
Part:28
পরের দিন সকালে ক্লাস করে হিয়া বাড়িতে চলে আসে….এর মাঝে কয়েকটা দিন কেটে যায়…এদিকে বুলি আর পাবলোর মাঝে ফোনে খানিকটা ভালোবাসার সূচনা ঘটে…মিনাক্ষী ও চলে আসে বিদেশ থেকে….
নিলীমার কেবিন:
নিলীমা:আন্টি তুমি জানো না তোমাকে দেখতে পেয়ে আমি কতোটা রিলাক্স ফিল করছি…প্লিজ আর দেড়ি না করে এবার তুমি কিছু একটা করো…আর জাস্ট নেওয়া যাচ্ছে না।সবটা কেমন আমাদের হাতের বাহিরে চলে যাচ্ছে__
মৃনালিনী:আসতে পারি..
মিনাক্ষী:হুম সিউর এসো মৃন…
নিলীমা:আন্টি তুমি ওকে চিনো..?
মিনাক্ষী:হুমম চিনি তো ইনফেক্ট আমিই তো ওকে টিউলিপে ইনভাইট করেছি…
মৃনালিনী:ওসব ছাড়ো আন্টি আজ আমি তোমার কাছে একটা প্রপোজাল নিয়ে এসেছি…আই হোপ তুমি তাতে এগ্রি করবে..
মিনাক্ষী:কিসের প্রপোজাল মৃন!
মৃনালিনী:আন্টি তুমি তো আমার ড্যাডি কে খুব ভালো করেই জানো চিনো.আমাদের বিজনেস, পাওয়ার,কোনোটাই তোমার অজানা না.
মিনাক্ষী:সেটা কি আর বলতে মৃন..তোমার ড্যাডির ক্ষমতা আমি ছাড়া অন্য কেউ খুব কম জানে বলেই আমি করি…..তা কিসের প্রপোজাল ওটা একটু খুলে বলো প্লিজ….?
মৃনালিনী:আমি ইউ এস তে যে আমাদের মেডিসিন এর বিজনেস আছে ওটার ৫০%শেয়ায় তোমার নামে লিখে দিতে বলবো ড্যাডিকে বাট বাট বাট তোমাকেও আমার জন্য একটা কাজ করতে হবে…
মিনাক্ষী:তোমাদের ইউ এস এর বিজনেস এ আমাকে শেয়ায়!এই তুমি কোনোভাবে মজা করছো না তো আমার সাথে..
মৃনালিনী:নাহ আন্টি আমি সিরিয়াস..
মিনাক্ষী:বুঝলাম….কিন্তু তোমার শর্ত টা কি আগে ওটা বলো….নিশ্চয়ই ছোট খাটো কোনো কারনে তুমি আমাকে এতো বড়ো একটা অপারচুনেটি ওফার করবে না..
মৃনালিনী:রাইট….আমি চাই উজান আমার সাথে ইউএস তে আমার বাবার হসপিটালে জয়েন করুক..আর উজান কে টিউলিপ ছেড়ে আমার সাথে যাওয়ায় জন্য তুমি কনভেন্স করবে…সেটা যে করেই হোক..
নিলীমা:ইম্পসিবল…উজান আর বাহিরে গিয়ে ডক্টরি….এটা স্বপ্ন তেই সম্ভব মৃনালিনী…বাস্তব টা অনেক কঠিন..
মৃনালিনী:তার জন্যই তো আন্টিকে বললাম..আন্টি কে আমি এতো বড় একটা ওফার করলাম আর আন্টি আমার জন্য এতোটুকু করতে পারবে না..
মিনাক্ষী:আমাকে একটু সময় দেও মৃন আমি তোমাকে জানাবো..
মৃনাক্ষী:ওকে এখন আমি আসি তাহলে…তুমি দেখো কি করতে পারো..
মৃনালিনী চলে যায় কেবিন থেকে..
নিলীমা:আন্টি তুমি ওকে পরে জানাবে বলছো…তুমি জানো ওটা কখনোই সম্ভব না…আগেই উজান এতো বড়ো বড়ো ওফার পেয়ে ছিলো তখন যাইনি আর এখন এখন তো হিয়া বলতেই ওহ জাস্ট পাগল….মৃন এর সাথে সাথে তোমার মাথা টাও গেছে..
………মিনাক্ষীর মনে পড়ে যেদিন সমরেশ বাসবি কে প্রথম বাসায় তুলছিলো সেদিন টিউলিপের বাহিরে দাড়িয়ে উজান মিনাক্ষী কে কথা দিয়েছিলো সময় আসলে ওহ মিনাক্ষীর সব পাওনা ফিরিয়ে দিবে……
মিনাক্ষী:তুমি চিন্তা করো না নিলীমা..আমি যখন বলেছি তখন কিছু ভেবেই বলেছি নিশ্চই…যাই হোক আমি আসছি….পরে এসে কথা বলছি তোমার সাথে…..
মিনাক্ষী চলে যায়…..
নিলীমা:তুমি কি ভেবেছিলে মৃন খেলাটা তুমি খেলছো…হাউ ফানি…খেলা টা তো তুমি ধরতেই পারলে না….
আমি খুব ভালো করে জানি উজান যতোদিন এই টিউলিপে কলকাতা তে আছে তোতোদিন আমি চাইলেও হিয়ার কোনো ক্ষতি করতে পারবো না তাই আমি চাই উজান তোমার সাথে ইউএস তে যাক….
……নিলীমা ওর ফোন বের করে একটা ভিডিও ওন করে যেখানে মৃনালিনী আর ডক্টর রাহুল কিভাবে হিয়ার আর উজানের উপর হামলা করার প্ল্যান করছিলো ওটা রেকর্ড করা থাকে….
নীলিমাঃআর তুমি যখন উজান কে নিয়ে তোমার সাথে যাবে সেখানে আমি উজান কে এই ভিডিও টা দেখাবো শুধু এই ভিডিও কেনো ওটি তে যে ডেট এক্সপেয়ায় ইনজেকশন টা তুমি এনেছিলে ওটার প্রুফ ও তো আছে আমার কাছে..আর তুমি কি ভেবেছো ক্ষমতা পাওয়ার সব একারই তোমার কাছে আছে..হু আমার বাবার ক্ষমতা কতোদূর তোমার ধারনা নেই…একটা কথা মনে রেখো তুমি হও আর হিয়া আমার আর উজানের মাঝে যে আসবে তাকে আমি কখনো ছেড়ে কথা বলবো না..
…….এদিকে আজ বুলি জিনিয়ার সাথে চ্যাটার্জি বাড়িতে আসে ঠাম্মি বুলিকে ডেকেছিলো তাই….
বুলি:এটাই বুঝি উজান দার বাড়ি..
জিনিয়া:ভুল বললে দাদাভাই এখানে থাকেই কদিন সবসময় তো ঔ টিউলিপেই পড়ে থাকে।ওটাই বাড়ি এখন দাদাভাই এর…আর এখন তো সুযোগ পেলে এখানে না এসে তোমাদের বাসায় গিয়ে থাকে…
বুলি আর জিনি দুজনে হেসে ফেলে..
জিনিয়া:আচ্ছা বুলি আমি বোধহায় পার্চ টা ভুলে না গাড়িতে ফেলে এসেছি…তুমি একটা কাজ করো এই সিড়ি দিয়ে উপরে চলে যাও গিয়েই ঠাম্মির রুম আমি আসছি এক্ষুনি..
বুলি:ঠিক আছে…
জিনিয়া ওর পার্চ আনতে চলে যায়..বুলি সিড়ি দিয়ে উপরে ওঠে কোনটা ঠাম্মির রুম বুঝতে পারে না…ওহ ভুলে পাবলোর ঘরে ঢুকে পড়ে…পাবলো কেবল স্নান করে টাওয়াল পেঁচিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হচ্ছিলো…
বুলি:এটাই মনে হয় ঠাম্মির রুম।জিনি তো বললো সামনেই এটাই হবে হয়তো…দরজা টাও খোলা..গিয়ে দেখি…..ঠাম্মি ঠাম্মি আছো আমি বুলি তুমি ডেকেছিলে..ঠাম্মি
পাবলো ওয়াশরুম থেকে বের হয়।দুজনের চিৎকার শুরু হয়..
পাবলো:আআআআআ
বুলি:আআআআআ
পাবলো:তুমি তুমি এখানে কি করছো..
বুলি:তুমি বলো তুমি এখানে কি করছো..
পাবলো:আরে আমার বাড়ি আমি থাকবো না তো কে থাকবে..
বুলি:তোমার বাড়ি!তোমার বাড়ি কেনো হতে যাবে এটা তো জিনিয়াদের বাড়ি..
পাবলো:জিনিয়া আমারই ছোট বোন
বুলি:মানে….(বুলি একটু অবাক হয়)…উজান দা তোমার কে তাহলে
পাবলো:কে আবার দাদাভাই তো আমার বড়ো ভাই..
বুলি:কই তুমি তো আগে বলোনি আমাকে একবারো?
পাবলো:বলিনি কারন…
পাবলো কিছু বলার আগে ঠাম্মির ডাক আসে…
ঠাম্মি:বুলি বুলি কই তুই…আমার রুম এদিকে…একি তুই এঘরে..
বু্লি:ঠাম্মি আমি আসলে তোমার রুম খুজেঁ পাচ্ছিলাম না তাই ভুলে এ রুমে..
ঠাম্মি:বুঝেছি প্রথম এসেছিস তাই এমন হচ্ছে..আর পাবলো তুই এভাবে কি টাওয়াল পরে দাড়িয়ে আছিস যা গিয়ে চেন্জ করে নে…বুলি আয়…
বুলি আর ঠাম্মি চলে যায়…পাবলো এখনো জানে না বুলি হিয়ার বোন…
মাস খানেক পর….উজানের কেবিন….
মিনাক্ষী:উজান আসবো..
উজান:আপনি হঠাৎ..
মিনাক্ষী:অবাক হচ্ছো তাই তো…অবাক হবার রি কথা…এনি ওয়ে কেমন আছো বলো?
উজান:ভালো….আপনি?
মিনাক্ষী:Really উজান..আমি কেমন আছি সত্যি কি জানতে চাও…তোমরা বাবা ছেলে মিলে তো আমার জীবনটা শেষ করে দিলে আর এখন জানতে চাচ্ছো আমি কেমন আছি….
উজান:মিসেস চ্যাটার্জী যা হয়েছে আমি মানছি তাতে ভুল টা আপনার ছিলো না…আর আমি তো আপনাকে বলেছি আপনি এর জন্য আমাকে যাহ বলবেন আমি করবো….
মিনাক্ষী:আমি যা বলবো সেটা আমাকে দিতে পারবে তো তুমি উজান?
উজান:আপনি বলুন পসিবল হলে আমি কেনো পারবো না..
মিনাক্ষী:পারবে আমার জন্য টিউলিপ ছেড়ে দিতে..টিউলিপে ছেড়ে ফরেন এ সেটেল হতে?
উজান:হোয়াট!আপনি কি বলছেন এসব..
মৃনাক্ষী:কেনো তুমিই তো বললে আমি যাহ চাবো তুমি আমাকে তাই দিবে..
উজান:তাই বলে এরকম কিছু চাইবেন আপনি।আর আমার টিউলিপে থাকা না থাকা বা ফরেন যাওয়া এতে আপনার লাভ টা কি?
মিনাক্ষী:সেটা আমার ইচ্ছে আমি চাই না তুমি এই টিউলিপে থাকো simple
উজান:ব্যাপারটা আপনি যতোটা সহজ ভাবছেন তোতো টাও ইজি না আমার জন্য মিসেস চ্যাটার্জি….
মিনাক্ষী:তাহলে তো তোমার কথা দেওয়ায় আগে সবটা ভাবা উচিৎ ছিলো…আর একটা কথা মাথায় রেখো চ্যাটার্জি মেনশন,আরো আদার যা প্রোপার্টি আছে ওগুলো তোমার বাবার মানে সমরেশ এর নামে থাকলেও এই টিউলিপের ৫০%শেয়ায় কিন্তু এখনো আমার নামে আছে তাই আমি চাইলেই….
উজান:নাহ…স্বপ্নেও কখনো এই টিউলিপের কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা আপনি করবেন না..
আপনি কি হ্যা নিজের স্বার্থের বাহিরে কখনো কিছু ভাবতে পারেন না তাই না….
মিনাক্ষী:ওহ প্লিজ উজান আমাকে অন্তত ভালো মন্দ এসব শেখাতে এসো না প্লিজ…তুমি কি আমার কথা টা রাখবে..
উজান:নো ওয়ে কখনোই না আমি এই টিউলিপেই থাকবো।টিউলিপ ছেড়ে কোথাও যাবো না আপনি যা করার করে নিন…
মিনাক্ষী:ওকে আমি তোমাকে দুটো মাস সময় দিলাম তুমি ভাবো….
মিনাক্ষী চলে যায়..
উজান:ডিসগাস্টিং😡😡😡😡আপনি চাইলেও টিউলিপের কিছু করতে পারবেন না…কারন আপনি নিজেও খুব ভালো করে জানেন এই টিউলিপ থেকে আপনার সব থেকে বেশি প্রফিট হয়….
দু মাস পর…সেদিনের পর থেকে বুলি আর পাবলোর সাথে কোনো কন্টাক্ট করে না…পাবলো খুব টেনশনে পড়ে যায় কারন ওহ সত্যি সত্যি বুলিকে ভালোবেসেছিলো..পাবলো রিমি কে বলে একটা পার্ক এ বুলির সাথে দেখা করার ব্যবস্থা করতে বলো…রিমা পাবলোর কথা অনুযায়ী বুলিকে একটা পার্ক নিয়ে এসে ওদের কথা বলে দেয়….
বু্লি:তুমি এখানে কি করছো..রিমা তার মানে তুই ইচ্ছে করে আমাকে এখানে নিয়ে এসেছিস…এটা তুই মোটেও ঠিক করিস নি..
পাবলো:কি ঠিক করেনি ও আমাকে বলতে পারবে😡😡……কি হয়েছে বুলি তোমার,তুমি আমার সাথে এমন কেনো করছো…সেদিনের পর থেকে তোমার ফোন ওফ নাম্বার ব্লক কেনো…আমি জানতে পারি কি ভুল করেছি আমি…তুমি জানো কতো জায়গা আমি তোমাকে খুঁজেছি..কতো টেনশন হচ্ছিল লাস্ট দু মাস আমার কোনো ধারনা আছে তোমার….
বুলি:কেনো এসব করেছে তুমি আমার জন্য,কিসের জন্য।আমি বলেছি তোমাকে ওসব করতে..
পাবলো:কেনো করেছি তুমি বোঝো না।আমি তোমাকে ভালোবাসি বুলি আই রিয়েলি লাভ ইউ…
বুলি:সেটা সম্ভব না..
পাবলো:কিন্তু কেনো..আমার দিকে তাকাও।সি তুমি আমাকে ভালোবাসো না বলো উওর দেও?
বুলি:জানি না….
পাবলো:কি জানো না…?
বুলি:আমি তোমাকে আমার দিদির কথা বলেছিলাম না মেডিকেল এ পড়ে..
পাবলো:হুম তো
বুলি:ওহ তোমাদের ই টিউলিপে পড়ে।হিয়া মিএ..
পাবলো:তুমি কোনো ভাবে বাতাসিয়া গ্রাম থেকে আসা
বুলি:তুমি ঠিক ধরেছো হিয়া দিই আমার দিদি যাকে তোমার মা একদম পছন্দ করে না….তুমি একটা কথা কখনো ভেবেছো যদি তোমার মা কখনো জানতে পারে আমাদের সম্পর্কের কথা তখন কি ঝড় টা উঠবে.তাই সেদিন যখন আমি জানতে পারলাম তুমি উজান দার ছোট ভাই আমি চাই নাই দুটো পরিবারের মাঝে আর কোনো ঝামেলা হোক আমি মেনে নিয়েছি প্লিজ এবার তুমি সবটা মেনে নেও___আমি আসছি
পাবলো:বুলি লিসেন্ট..বুলি প্লিজ ওয়েট আমার কথা টা তো শোনো…বুলি
…….এদিকে থার্ড ইয়ায় এর প্রায় অধের্ক কম্পিলিট…আরো ৬ মাস বাকি….হিয়ায় সাথে যেহেতু উজানের মন্দিরে কাউকে ছাড়াই বিয়ে টা শেষ হয়েছে তাই উজান ডিসাইড করে ওহ হিয়ার পরীক্ষা শুরু হওয়ায় আগে ওদের রেজেস্ট্রি টা করে নেবে….
রেজিস্টার অফিস….ঠাম্মি জিনি সমরেশ বাকি সবার উপস্থিতি তে উজান আর হিয়ার রেজিস্ট্রি টা শেষ হয়….
উজান হিয়ার কানেকানে…
উজান:কি মিসেস চ্যাটার্জি এখন তো কাগজে কলমেও আপনি বাধা পড়লেন আমার কাছে😍এরপর চাইলেও আর আপনি আমার কাছ থেকে পালাতে পারবেন না😊
হিয়া:আমি তো পালাতে এমনিতেও চাই না…তবে আপনি পালাতে চাইলেও পালাতে পারেন😊শুনলাম বাহিরে যাওয়ায় ওফার পেয়েছেন তাও আবার মৃনালিনী ম্যাম এর সাথে😂
উজান:সে তো ওসব ওফার আমি প্রায়ই পাই তবে এবার মৃনালিনীর সাথে ব্যাপারটাই একটু অন্যরকম ভাবছি ভেবে দেখবো ওফারটা..
হিয়া:তাই না😡😡বাড়ি চলুন তারপর দেখাচ্ছি।ওসব হিয়া একটু কাছে আসুন,হিয়া একটু মাথা টা টিপে দিন😡😡চুল গুলো হাত বুলায় দিন,রাত নেই দিন নেই আমাকে জ্বালাতোন তো সব বের করছি আমি আপনার😡😡
উজান:আরে কুল না এতো হাইপার কেনো হচ্ছেন আমি তো জাস্ট মজা করছিলাম😊😊
হিয়া:হুম বের করছি আপনার মজা করা..
বাসবি:কি সারাদিন তোদের গুজুরগুজুর কানেকানে….নেহ মিস্টি মুখ কর দেখি…
……সমরেশ সবাই কে নিয়ে বাড়ি চলে যায়…উজান বুলি হিয়া আর বিকাশবাবু কে ওদের বাসায় ড্রপ করে দেয়….
এদিকে পাবলো বুলিকে আবারো কিছুদিন পর দেখা করার জন্য ডাকে…পাবলো বুলি কে বোঝায় ওহ বুলি কে কতোটা ভালোবাসে আর মিনাক্ষী কি ভাবলো তাতে ওর কিচ্ছু যায় আসে না…বুলি না না বললেও পাবলোর আবেদন ওহ ফেলতে পারে না..বুলি রাজি হয়ে যায়..এভাবে বেশ দিন বুলি আর পাবলোর ভালোবাসা চলতে শুরু করে…একদিন টিউলিপে বুলি আর পাবলো দেখা করার সময় মিনাক্ষীর সব নজরে পড়ে….
মিনাক্ষী:বাহ পাবলো বাহ..তোমার কাছে অন্তত এটা আমি আশা করিনি…উজান না হয় আমার সৎ ছেলে কিন্তু তুমি তুমি তো আমার নিজের ছেলে তোমার চয়েস কি করে হয় এরকম একটা মেয়েকে..
পাবলো:প্লিজ মম….আমি বুলি কে ভালোবাসি এতে তো দোষ এর কিছু নেই…আমি এখন এ্যাডাল্ট এনাফ এই ব্যাপারে ডিসিশন নেওয়ায় রাইট আমার আছে…
মিনাক্ষী:জাস্ট শেট আপ পাবলো।তোমার সাহস হয় কি করে আমার মুখের উপর এভাবে তর্ক করার…আর এই যে তুমি তোমার এক বোন তো উজানের মাথা টা একবারে পুরো শেষ করেছে আর এখন তুমি আসছো আমার ছোট ছেলের লাইফ টাকে শেষ করতে….যেমন দিদি তার তেমন বোন…
বুলি:ম্যাম এতে আমার দিদির কোনো দোষ নেই আপনি খামোখা কেনো আমার দিদি কে এসবে টানছেন…
মিনাক্ষী:তোমার এতো বড়ো সাহস তুমি মিনাক্ষীর মুখের উপর…
মিনাক্ষী বুলিকে একটা থাপ্পড় মারতে যায় উজান এসে মিনাক্ষীর হাত ধরে….উজান অনেক আগে থেকেই বুলি আর পাবলোর ব্যাপারটা খেয়াল করছে কিন্তু কিছু বলেনি কারন ওহ জানতো হিয়া কখনো রাজি হবে না এ ব্যাপারে….
উজান:আপনি কার গায়ে হাত তুলছেন আপনি জানেন….বুলি আমার বোনের মতো….আপনার সাহস কি করে হয় ওর গায়ে হাত তোলার😡😡
মিনাক্ষী:শেট আপ উজান তুমি প্লিজ এসবের মধ্যে এসো না এটা আমাদের মা ছেলের ব্যাপার আমি চাই না কোনো বাহিরের কেউ এর মাঝে কথা বলুক😡😡
উজান:কিন্তু আমি তো বলবো মিসেস চ্যাটার্জি….বুলি আর পাবলো একে অপরকে ভালোবাসে কোনো অন্যায় তো করেনি….আর আপনি কে এটা ঠিক করার পাবলো ওর লাইফে কাকে রাখবে কার সাথে লাইফ এসপেন্ড করবে….
…..হিয়া এক পাশে দাড়িয়ে সবটা শুনছিলো….মিনাক্ষী উজান কে কিছু বলার আগে হিয়ার উপর ওর চোখ যায়…
মিনাক্ষী:আরে তুমি দাড়িয়ে আছো কেনো এসো ভিতরে এসো..বাকি যা নাটক করার সবটা সেড়ে ফেলো..
উজান:হিয়া আপনি..
__হিয়া কে দেখে বুলি ভয়ে কাপতে থাকে।ওর মুখ দিয়ে আর কথা বের হয় না..হিয়া ভেতরে আসে__
হিয়া:মিনাক্ষী ম্যাম যা বলছে তা কি ঠিক বুলি..বুলি আমি তোকে কিছু জিঙ্গাস করছি…?
পাবলো:হিয়াদি এতে বুলির..
হিয়া:(পাবলো কে থামিয়ে দিয়ে)আমি আমার বোনের সাথে কথা বলছি পাবলো তুমি প্লিজ এর মাঝে কথা বলো না😡😡
মিনাক্ষী:ওহ কি বলবে…বেয়াদপ মেয়ে কোথাকার…আর আমি কাকেই বা কি বলছি তোমারি তো বোন…এখন তো মনে হচ্ছে তুমিই বুলি কে পাবলোর পিছনে ছেড়ে দিয়েছিলে…
উজান:মিসেস চ্যাটার্জি😡😡
মিনাক্ষী:আমার উপর চিৎকার করে কি হবে…নিজের বোন কে আর হিয়া কে কিছু বলো যেনো আমার ছেলেটার মাথা টা না শেষ করে…
……মিনাক্ষী রাগে বেরিয়ে যায়।এদিকে হিয়ায় রাগ আজ আকাশ সমান উজানের পক্ষেও এবার সামলানো সম্ভব না….
হিয়া:বুলি আমি তোকে কিছু জিঙ্গাস করেছি….উওর দে….তুই পাবলো কে ভালোবাসিস…
বুলি:(কাঁদতে কাঁদতে)দিদি আমি তোকে সব
হিয়া:হ্যা কি না..হ্যা কি না..😡😡😡😡
বুলি:হ্যা ভালোবাসি..(কাঁপতে থাকে)
___হিয়া বুলির হাত শক্ত করে ধরে বুলিকে নিয়ে যেতে ধরলে উজান হিয়ার হাতঁ ধরে আটকায়…
হিয়া:আমার হাত ছাড়ুন😡
উজান:আমার কথা টা তো একবার শুনুন হিয়া
হিয়া:আমার হাত টা ছাড়ুন বলছি..উজান স্যার..😡
উজান:আগে বলুন আপনি বুলি কে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন
হিয়া:হাতটা ছাড়ুন…
উজান হিয়ার হাত ছেড়ে দেয় উজান বুঝতে পারে আজ হিয়াকে আটাকানো যাবে না… হিয়া বুলিকে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে অটোতে উঠিয়ে বাড়ি রওনা দেয়….এদিকে উজান হিয়ার পিছন নিলে পাবলো এসে বায়না করে ওয় ও উজানের সাথে যাবে…উজান না করে না…
হিয়াদের বাড়ি..
বাসবি:হিয়া এসে গেলি আজ এতো রাত হলো যে? বিকাশ বাবু ফোন করেছিলো আজ ফিরতে পারবে না বললো কালকে সকাল সকাল চলে আসবে…..একি বুলি চোখ মুখ এমন লাগছে কেনো মা মনে হচ্ছে খুব কান্নাকাটি করেছিস..হিয়া কি হয়েছে বুলির….কেউ কিচ্ছু বলছো না কেনো…
উজান:হিয়া হিয়া
বাসবি:রাজা তুই এখন এখানে….পাবলো না..বাবা তুমি এখানে…
উজান:মা আমি বলছি তোমাকে সব…হিয়া কোথায়?
হিয়া আসে….
হিয়া:পাবলো তুমি এখানে কি করছো প্লিজ নিজের বাসায় যাও..
উজান:হিয়া লিসেন্ট
হিয়া:(উজান কে থামিয়ে দিয়ে)আপনি সব জানতেন আগে থেকে
উজান:হ্যা মানে
পাবলো:হিয়াদি তুমি প্লিজ একবার আমার কথাটা শোনো আমি বুলি কে সত্যি খুব ভালোবাসি।মম কি বললো তাতে কিছু যায় আসে না আমার…
বুলি:দিদি বিশ্বাস কর আমি তোকে সবটা বলতাম। আমি পাবলো কে অনেক অনেক ভালোবাসি আমি ওকে হারাতে চাই না..
__হিয়া বুলি কে একটা থাপ্পড় মারে সাথেসাথে বাসবি এসে বুলি কে ওর বুকে আগলায় নেন__
উজান:হিয়া😡😡😡😡….এবার কিন্তু আপনি বাড়াবাড়ি করছেন আপনি বুলির গায়ে হাত তুললেন…
হিয়া:এটা আমার আর আমার বোনের ব্যাপার।আপনি প্লিজ এসবে জড়াবেন না…আর আপনি এখানে কি করছেন..পাবলো কে নিয়ে টিউলিপে ফিরে যান..
উজান:আমি যাবো না।আপনার সাথে কথা না বলা পর্যন্ত আমি জাবো না..
হিয়া:ঠিক আছে থাকুন।আর পাবলো তোমাকে বলছি এরপর থেকে কখনো আর বুলির সাথে কোনোরকম যোগাযোগ করার চেষ্টা তুমি করবে না…
বাসবি:পাবলো বাবা তুমি বাড়ি যাও এখন।হিয়ার মাথার ঠিক নেই…সব শান্ত হলে তুমি এসো…
পাবলো বুলিকে এক নজর দেখে চলে যায়।বাসবি বুলি কে নিয়ে ওর রুমে যায়…হিয়া গিয়ে ওয়াশরুমে চেন্জ করে আসে…উজান তখনো ওর অপেক্ষায় বসে থাকে…হিয়া এসে একটা বই নিয়ে পড়তে বসে…উজান বাসবির রুমে গিয়ে বাসবি কে সবটা খুলে বলে..বুলি তখনো কাঁদতে থাকে..
বাসবি:এতে তো বুলির কোনো দোষ নেই রাজা..ভালোবাসা কি এভাবে বলে কয়ে করা যায় নাকি….
উজান:আমি জানি মা…কিন্তু তুমিও একবার নিজেকে হিয়ার জায়গায় রেখে ভাবো সবটা..ও ওর জায়গায় কিন্তু ভুল না..
বাসবি:তাহলে এখন কি করবি…মেয়েটা যে কাঁদছে সেই তখন থেকে…ভাগ্যিস আজ বিকাশবাবু গ্রামে গেছেন না হলে পরিস্থিতি টা আরো নাজেহাল হয়ে যেতো….রাজা তুই দেখ না হিয়া কে বোঝানো যায় কি না….
………উজান এসে বুলিকে বিছানা থেকে তুলে বুলিকে জোরায় ধরে ওর মাথায় হাত বুলাতে থাকে।বুলি উজান কে জরিয়ে ধরে কাঁদতে থাকে…….
উজান:তুমি পাবলো কে ভালোবাসো…(বুলির মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে)
বুলি:খুব ভালোবাসি আমি ওকে।উজানদা বিশ্বাস করো আমি পাবলো কে ছাড়া বাচতেঁ পারবো না…আমি ওকে খুব ভালোবাসি….কিন্তু আমি জানি দিদি কখনো এই সম্পর্ক মেনে নিবে না….
উজান:তুমি প্লিজ এভাবে কেঁদো না।আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি তোমার দিদিকে রাজি করানোর দায়িত্ব আমার….তুমি প্লিজ এভাবে আর কেঁদো না…মা
বাসবি:হুম রাজা বল..
উজান:তুমি বুলিকে কিছু খাইয়ে দেও অনেক রাত হচ্ছে…খেয়ে ওকে ঘুম পাড়ায় দেও তুমিও শুয়ে পড়ো…আমি একটু আসছি…তুমি বাহিরের গেট টা এমনি খুলে রাখো…
বাসবি:এখন কোথায় যাচ্ছিস…
উজান:আসছি…..এখন তোমরা কেউ হিয়ার কাছে যেও না ওনার মাথা এখন ঠিক নেই আমি এসে ওনার সাথে কথা বলছি……
……….উজান বাহিরে গিয়ে হিয়ার জন্য কয়েকটা আইসক্রিম আর চকলেট কিনে এনে বাহিরের গেট লক করে হিয়ার কাছে গিয়ে বসে…হিয়া উজানের দিকে নজর দেয়না…উজান এসে ওর কাছ থেকে বই টা কেড়ে নেয়….
হিয়া:আমার বই টা দিন…
উজান:দিবো না…
হিয়া কোনো তর্ক না করে আরেকটা বই খুলে নেয়…উজান আবারো ওটা কেড়ে নেয়…
হিয়া:উজান স্যার প্লিজ….
___হিয়া আরেকটা বই নিতে গেলে উজান এবার রেগে গিয়ে হিয়াকে আটকায়____
উজান:হিয়া…আপনি আমার কথাও শুনবেন না
হিয়া:স্যার আপনি অন্য কিছু বলতে চাইলে বলুন কিন্তু প্লিজ বুলির বিষয়ে আমি কোনো কথা শুনতে চাই না..
উজান:আচ্ছা বেশ বলবো না..আগে এই আইসক্রিম টা খেয়ে নিন তো।গলে যাবে নাহলে..
হিয়া:নাহ আমার খেতে ইচ্ছে করছে না..
উজান:আমি এতো রাতে এতো দোকান খুজেঁ আপনার জন্য আনলাম আপনি খাবেন না বলছেন…
হিয়া:নাহ আসলে তাহ না..
উজান:তাহলে
হিয়া:আইসক্রিম এর এই ফেলেবার টা না বুলির খুব প্রিয় আপনি বরং এগুলো ফ্রিজে রেখে দিন।কালকে ওহ খেয়ে নিবে..
……উজান এবার হেসে দেয় হালকা….
উজান:আপনিও না এই তো একটু আগে বুলিকে কতো বকলেন এমনকি ওর গায়ে হাত অবধি তুললেন আর এখন বলছেন এগুলো ওর প্রিয় ফেলেবার এগুলো ওর জন্য রেখে দিন😊😊
হিয়া:আমি ওর বোন হই ওহ ভুল করলে ওকে শাসন করার অধিকার আমার আছে….
উজান:বেশ…আমি তাহলে এগুলো ফ্রিজে রেখে দিয়ে আসছি….
হিয়া:আপনি আজ থাকবেন এখানে?
উজান:হুমম ডিউটি যখন ওফ নিলাম এক বারেই নেই তবে মেট্রন কে বলেছি কিছু ইমার্জেন্সি হলে আমাকে ফোন করতে….
………উজান গিয়ে ফ্রিজে আইসক্রিম গুলো রেখে দিয়ে আসে…হিয়ার আর পড়ার ইচ্ছে মন কোনোটাই নেই…উজান এসে রুমের গেট লক করে দিয়ে সব গুছিয়ে বিছানায় এসে শুয়ে পড়ে…হিয়া এসে চাদর খুলে উজানের বুকের উপর ওর মাথা রেখে শুয়ে পড়ে…উজান ওর ডান হাত দিয়ে হিয়াকে ধরে বা হাত দিয়ে হিয়ার চুল গুলোতে হাত বুলাতে থাকে….
হিয়া:বুলি খেয়েছে রাতে?
উজান:মাকে তো বললাম ওকে খেতে দিতে দিয়েছে নিশ্চই…
হিয়া:আপনি সবটা জানতেন কিন্তু আমাকে বলেননি….
উজান:আমি সেভাবে জানতাম না….মানে বুলি আর পাবলো আমাকে কখনো নিজে থেকে কিছু বলেনি…কিন্তু আমি ওদের প্রায়ই একসাথে দেখতাম…কিছু আন্দাজ ও করেছিলাম…
…….হিয়া এবার উজানের বুক থেকে মাথা তুলে বালিশের উপর এক হাতের উপর ভর দিয়ে উজান এর দিকে তাকিয়ে….
হিয়া:আপনি বুলিকে আর পাবলো কে এর আগে একসাথে দেখেছেন কিন্তু আমাকে বলার প্রয়োজন টুকু মনে করেননি..?
উজান:ওসব বাদদিন যা হবার হয়েছে সেটাকে তো আপনি বা আমি কেউ বদলাতে পারবো না।ফিউচার এ কি করা যায় ওটা নিয়ে কথা বলি….
হিয়া:আমি কি বলবো সবটাই তো আপনারা ঠিক করে নিছেন আগে থেকেই।এখন আমার বলা আর না বলাতে কি আসে যায়..
……উজান এবার উঠে বসে সাথে হিয়াকেও বসিয়ে দেয় ওর পাশে….
উজান:(হিয়ার হাত ধরে) হিয়া পাবলো যতোই মিনাক্ষী চ্যাটার্জির ছেলে কিন্তু আমি ওকে খুব ভালো করে চিনি…ওহ কখনো বুলি কে খারাপ রাখবে না….
হিয়া:এখানে ভালো বা খারাপ রাখার কথা আমি বলছি না উজান স্যার…..আমি জানি পাবলো ভালো ছেলে…..কিন্তু
উজান:কিন্তু কি হিয়া?
হিয়া:দেখুন স্যার একটা মেয়ে যখন বিয়ে করে তার পরিবার ছেড়ে অন্য একটা পরিবারে যায় তখন তাকে সেখানে সব টা মানিয়ে নিতে হয়….কিন্তু আমি জানি ঠাম্মি জিনি এরা বুলি কে মেনে নিলেও মিনাক্ষী ম্যাম বা বিহান স্যার কেউ ই বুলিকে মেনে নিবে না কখনো…তারা বুলিকে সবসময় ছোট করবে ওকে যা নয় তাই বলবে…আর ওর দিদি হিসাবে আমি এটা কখনো চাইবো না আমার বোন কে কেউ কষ্ট দিক কোনোভাবে….
উজান:আপনি কি আমাকে বিশ্বাস করেন না আপনার মনে হয় আমি থাকতে বুলি কে ওহ বাড়িতে কেউ কিছু বলার সাহস পাবে…বুলি যেমন আপনারো বোন তেমনি ওহ আমারো বোন….
হিয়া:কিন্তু স্যার..
উজান:কোনো কিন্তু না আর বুলি পাবলো এখন যেভাবে আছে থাক না ওদের বিয়ে তে তো এখনো অনেক দেরি..এখনো বিহান বিয়ে করে নি আমি আপনাকে সবার সামনে স্বীকৃতি দেই নাই।বুলির পড়াশুনা বাকি পাবলো আগে ওর লাইফ টা সেটেল করি নিক তারপর তার আগেই কেনো এসব ভেবে আপনি এমন করছেন….
হিয়া:কিন্তু আজ না হোক কাল তো আসবেই কথা তা নয় কি..
উজান:আমাকে একটা কথা বলুন তো আপনি চান না বুলি ভালো থাক।আপনি যেমন আমাকে পেয়েছেন আপনি চান না বুলিও তার ভালোবাসার মানুষ কে পাশে পাক সারাজীবনের জন্য..
হিয়া:চাই কিন্তু
উজান:চুপ এখন আর কোনো কিন্তু না।আপনি কালকে সকালে গিয়েই বুলির সাথে কথা বলবেন আর বলবেন আপনার কোনো আপওি নেই ওদের সম্পর্ক নিয়ে..
হিয়া:ঠিক আছে কিন্তু আমার মন কোনোভাবে সায় দিচ্ছে না আমার খালি ভয় হচ্ছে মিনাক্ষী ম্যাম না ওর কোনো ক্ষতি করে দেয়..
উজান:আমি আছি তো..
হিয়া:হুম….
…….. উজান পকেট থেকে বাকি চকলেট গুলো বের করে হিয়া কে দেয়….
উজান:নিন চকলেট..
হিয়া:(চকলেট দেখে বাচ্চা দের মতো লাফিয়ে পড়ে)আপনি চকলেট ও নিয়ে এসেছিলেন😍😍
উজান:হুম..
হিয়া:(চকলেট খেতে খেতে) আপনিও নিন এতো বড়ো চকলেট একা একা শেষ করা যায় নাকি..
উজান:আমি তো অন্য চকলেট খাবো(উজানের মুখে দুষ্টুমির হাসি কিন্তু হিয়া বুঝতে পারে না)
হিয়া:আরো অন্য চকলেট এনেছেন বুঝি..
উজান:ওটা তো আনতে হয় না ওটা তো আপনার কাছেই থাকে..
হিয়া:আমার কাছে!আমার কাছে আবার চকলেট থাকতে যাবে কেনো আমি কি চকলেটের দোকান নিয়ে থাকি নাকি সবসময়….
…….উজান এবার হিয়ায় মুখের কাছে এগিয়ে আসে হিয়া এবার কিছুটা আন্দাজ করতে পারে….
উজান:এই তো আমার প্রিয় চকলেট😍
হিয়া:না স্যার না না…
………. উজান হিয়ার ঠোঁটে ওর ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়…স্বামী স্এীর মাঝে খুনসুটি চলতে থাকে সারারাত…উজান ও এর মাঝে হিয়া কে বুলি আর পাবলোর জন্য রাজি করাতে থাকে….
………..
মিনাক্ষীর কেবিন……
মিনাক্ষী:মৃন প্লিজ শান্ত হও দেখো উজান রাজি না হলে তো আমি ওকে হাত পা বেধে জোর করতে পারি না..
মৃনালিনী:তুমি আমাকে শান্ত হতে বলছো…দু মাস করে করে ৬ মাস হতে চললো আর তুমি বলছো তুমি উজান কে রাজি করাতে পাচ্ছো না…এর পর তো হিয়ার উপর উজান একবার চেপে গেলে তুমি পারবে ওকে রাজি করাতে….নাহ নাহ তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না আমাকেই যা করার করতে হবে..
মিনাক্ষী:মৃন মৃন শোনো মৃন যেও না………আমাকে চোখ রাঙানো মিনাক্ষীকে চোখ রাঙানো….উজান উজান উজান আজ এসবের জন্য শুধু তুমি দাই….এতো বড়ো একটা সুযোগ তো আমি তোমার জন্য মিস করতে পারি না…ইউএস তো তোমাকে যেতেই হবে…যেতেই হবে……..