❤️(64_65অন্তিমপর্ব)❤️
FF: #মেডিকেল_ক্যাম্প
Part:64
পরের দিন সকালে হিয়া আবার না বলে রাহুলের সাথে বেরিয়ে পড়ে।হিয়ার আজ লক্ষ্য ছিলো যথাসম্ভব রাহুল কে বাহিরে রাখা যাতে পাবলো ঠিক ভাবে উজানের সব কিছু কালেক্ট করতে পারে……..রাতের দিকে হিয়া বাড়িতে ঢুকে।উজানের রাগ তখন পাহাড় সমান।আজ উজান হিয়ার মধ্যে তুমুল একটা ঝগড়া লেগে যায়।
হিয়া:ফোন টায় চার্জ ও নেই।আমি এখন কিভাবে খোঁজ নেই পাবলো ঠিক মতো কাজ টা করতে পারলো কি না😢
উজান:কোথায় গিয়েছিলে😡
হিয়া:(হিয়া কিছু বলে না)
উজান:আমি কিছু জিঙ্গাস করছি তোমাকে😡😡
হিয়া:জানোই তো কোথায় গিয়েছিলাম।বারবার একি কথা জিঙ্গেস করার কি মানে😡
উজান:হিয়া আমাকে রাগাবে না…আমি সহজে রাগি না আর একবার রাগলে কি হয় তুমি তো জানোই…😡😡😡😡
হিয়া:(এমনিতে ফোন টায় চার্জ নিচ্ছে না.কোনো রকম কনফার্মেশন না পেলে ওকে আমি সবটা বলতেও পাচ্ছি না আর ও কি না আমাকে রাগ দেখাচ্ছে😡😡😡)
…উজান হিয়ার হাত থেকে ফোন টা নিয়ে নিচে ঠাস করে ফেলে দেয়
হিয়া:আরে তুমি কি করলে কি😡
উজান:সারাদিন রাহুলের সাথে ঘুরে এসেও তোমার হয় না যে এখন আবার ফোন নিয়ে পড়ে রইলে..😡😡
হিয়া:কেনো আছে পড়ে আমার কাছে তুমি।আমি যেমন আমার জীবনটা সাজিয়ে নিতে চাচ্ছি তুমিও যাও না কোনো ভালো মেয়ে দেখে আর একটা বিয়ে করে নেও😡😡
উজান:হিয়ায়ায়ায়া😠😠😠কি ভাবো আমাকে তুমি নিজের মতো নোংরা😡😡
হিয়া:আমি তো নোংরাই।কেনো ছাড়ছো না আমার পিছু তুমি😡
উজান:কি লাভ হচ্ছে এসব করে।যদি শেষ করে দিতে ইচ্ছে হয় আমাকে একবারে শেষ করে দেও না😡😡😡এতো অভিনয় নাটক এসবের তো কোনো দরকার নেই..মেরে ফেলো আমাকে মারো…দাড়িয়ে আছো কেনো মারো…😡😡
হিয়া:কি সব বলছো তুমি।মাথা ঠিক আছে তোমার😡😡
উজান:না নেই আমার মাথা ঠিক।কিভাবে থাকবে ঠিক,চোখের সামনে এসব দেখলে 😡😡
……
পাবলো:হ্যালো বুলি😊
বুলি:হুম বলো😊
পাবলো:বৌদি আছে একটু ফোন টা দেও না।খুব আরজেন্ট।বৌদির ফোন টা ওফ পাচ্ছি 😊
বুলি:এ না আমি পারবো না।উজান দা আর বৌদির তুমল ঝগড়া বাধছে আমি এখন, ওদের রুমে যেতে পারবো না।সেই সাহস নেই আমার😖😖
পাবলো:আচ্ছা ঠিক আছে রাখো…😢
বুলি:হুম😊
পাবলো:এখন আমি কিভাবে বৌদিকে এই ভালো খবর টা দিবো।আমি সব পারছি করতে।কালকে সকালে বরং এসব নিয়ে ও বাড়িতে যাবো একবারে হুম এটাই ভালো হবে।দুজনে একটু করুক ঝগড়া..😊😊
………………
হিয়া:আরে তুমি এভাবে আমার ঘরের জিনিস কেনো ভাঙ্গছো।উজান😡😡
উজান:আমাকে সত্যি টা বলো হিয়া।এরপর আমি আরো অনেক কিছু করবো না হলে😡😡
হিয়া:তোমার রাগ হচ্ছে আমার উপর দেখাও।জিনিসপত্র এভাবে এলোমেলো করে কিভাবে….আরে…উজাজাজানন…😡😡😡😡
উজান:যাবে আর তুমি রাহুলের কাছে…বলো যাবে😠😠
হিয়া:যদি প্রয়োজন পড়ে যাবো😡😡
উজান:তাহলে একবারে নিজের সব কিছু নিয়ে চলে যাও।রোজ রোজ এই নাটক আর আমার ভালো লাগে না…😡😡😡😡
হিয়া:হ্যা যাবো কালকেই চলে যাবো।শান্তি তোমার..😡😡
…..উজান হিয়ার এই ঝগড়ায় হিয়ান ভয় পেয়ে যায় আর জোড়ে কেঁদে উঠে।বাসবি এসে হিয়ান কে কোলে নেয়…😭😭😭
বাসবি:অনেক নাটক করছিস তোরা দুজন কদিন থেকে।এরপর এরকম চলতে থাকে তোরা দুজনে দুজনের পথ দেখে নে আমি হিয়ান কে নিয়ে অন্য কোথাও চলে যাবো…….😡😡😡
পরের দিন সকালে হিয়া ফোন টা ওন করে ছাদে গিয়ে পাবলো কে চুপ করে ফোন করে।হিয়া পাবলো কে বলে টিউলিপে আজ পুলিশ মিডিয়া নিয়ে তৈরি থাকতে।বিকেলেই হিয়া সবটা সবার কাছে পরিষ্কার করে জানাবে।তার আগে ঔ মেমোরি চিপ টা নেওয়া দরকার কারন ওটাই মূল এভিডেন্স..
পাবলো:তাহলে এই কথাই রইলো বৌদি।তুমি শুধু আজ ক একঘন্টার জন্য রাহুল কে নিয়ে বের হবা আমি আমার লোক পাঠিয়ে তোমাদের পিছনে লাগিয়ে ওটা কেড়ে নিবো😊
হিয়া:হ্যা আর একটা কথা দেবু দার ঠিকানা তুমি পেয়েছো কি😢
পাবলো:হ্যা ওনার খোজঁ আমি পেয়েছি।তুমি চিন্তা করো না মাঠে যখন নেমেছি সব কিছু নিয়ে নামবো😎
হিয়া:থ্যাংকস পাবলো।আমি রাখছি এখন…কেউ আসছে মনে হচ্ছে…😖
…….হিয়া নিচে নেমে দেখে রাহুল বসার রুমে বসে আছে।পাশে উজান বাসবি সবাই দাড়িয়ে….
হিয়া:রাহুল স্যার আপনি
রাহুল:এতো অবাক হচ্ছো যে।আজ তো আমার তোমাকে একবারে নিতে আসার কথা
বাসবি:এসব ওহ কি বলছে হিয়া।তুই সত্যি সত্যি
বুলি:কি হলো দিদি চুপ কেনো করে আছিস।ওনাকে বলে দে তুই যাবি না ওনার সাথে।উজান দা কে ছেড়ে তুই কোথাও যাবি না বল না দিদি।
হিয়া:বুলি আমি।বুলি
রাহুল:নেও নেও অনেক দেড়ি হয়ে যাচ্ছে। হিয়া যাও সব গুছিয়ে নেও…
হিয়া:(আমাকে তোমরা সবাই ক্ষমা করো।আমি এখন যাচ্ছি ঠিকি কিন্তু আমি ফিরবো।তোমাদের, উজানের সব সম্মান আজ আমি ফিরিয়ে দিবোই)
…..হিয়া ওর রুমে গিয়ে লাগেজ গোছাতে থাকে।উজান এসে লাগেজ থেকে সব জামা কাপড় আবার মাটিতে ফেলে দেয়।হিয়া আবার তুলে উজান আবার ফেলে দেয়….
হিয়া:কি করছো কি উজান তুমি😡
উজান:আমি তোমাকে কোথথাও যেতে দিবো না😡
হিয়া:উজান সারো বলছি
উজান:হিয়া এটা হয় না😢
হিয়া:কি কি হয় না।প্লিজ উজান এসব ন্যাকামি করো না আমাকে যেতে দেও😡
উজান:(হিয়া কে এসে চেপে ধরে)…কোথায় যাবে তুমি ঔ রাহুল এর কাছে যাবে।কি এমন দিতে পারবে ওহ তোমায়।তুমি খুব ভালো করে জানো হিয়া আমি আমার সব কিছু কিভাবে হারিয়েছি তুমি তারপরো
হিয়া:কেনো তুমি তো কাল বললে তোমাকে একবার এ ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে তাহলে কেনো এখন আটকাচ্ছ আমাকে
উজান:আমি ওটা রাগের মাথায় বলেছি হিয়া।তুমি এখনো ওটা ধরে বসে আছো।
হিয়া:আমি ওটা ধরে বসে নাই।আমাকে যেতে হবে ছাড়ো…
….হিয়া উজানকে ছাড়িয়ে সব গুছাতে শুরু করে….
উজান:কিসের এতো চাহিদা তোমার।কি এমন সুখ দিতে পারবে রাহুল তোমাকে
হিয়া:উজাজাজাজানননন😡😡😡😡😡😡……..জীবনে শুধু শারীরিক চাহিদার প্রয়োজন পড়ে না জীবনে ভালো ভাবে চলতে গেলে আরো অনেক কিছুর দরকার।যেগুলো মুখে মুখে বলে করা যায় না।
……হিয়া ওর লাগেজ গুছিয়ে নিয়ে বাহিরে এসে হিয়ান কে বুলির কাছ থেকে কোলে নেয়….
বিকাশবাবু:হিয়ায়ায়া….তোর যেখানে খুশি যা কিন্তু হিয়ান কে রেখে তারপর….
হিয়া:হিয়ান আমার মেয়ে ও আমার কাছে থাকবে
বাসবি:হিয়ান রাজার মেয়ে না।ওহ কি তোমার একার মেয়ে
হিয়া:আমি ওসব কিছু জানি না।এসময় হিয়ানের একটা সিকিওর ফিউচার দরকার যেটা উজান চাইলেও কখনো দিতে পারবে না…..
বিকাশবাবু:ছিঃ হিয়া ছিঃ তোকে মেয়ে বলতেও আজ আমার মুখে বাধছে।কি না করেছে উজান তোর জন্য আর আজ ছেলেটার এই দুঃসময়ে তুই এভাবে ওকে ছেড়ে অন্য একজনের হাত ধরে…
…..হিয়া আর কারো কথা না শুনে হিয়ান কে কোলপ নিয়ে বের হতে ধরলে উজান এসে হিয়ার পায়ের কাছে বসে বাচ্চা দের মতো কান্না শুরু করে….
উজান:হিয়া আমি তোমার পায়ে পড়ছি প্লিজ এমনটা করো না।তুমি তো জানো আমি ছোট থেকে কিচ্ছু পাইনি জীবনে….সব কিছু থেকেও আমার কাছে কিচ্ছু ছিলো না..হারিয়ে ফেলেছিলাম নিজেকে তারপর তারপর তুমি এলে।আবার আমাকে সব কিছু বুঝতে শেখালে আর আজকে আবার তুমি আমার কাছ থেকে না হিয়া এটা তুমি না……কেনো করছো এমন হিয়া প্লিজ….হিয়া😭😭😭😭
হিয়া:(কি করছো তুমি উজান।প্লিজ শেষে এসে আমাকে তুমি দূর্বল করো না…আমার পা ছাড়ো উজান…..উজাজাজাননন…..তুমি আমার হাসবেন্ড হওয়ার আগে তুমি আমার টিচার তুমি এভাবে আমার পা ধরতে পারো না…..উজান আমার খুব কষ্ট হচ্ছে উজান প্লিজ উঠো…….আর কিছুক্ষণ উজান আর একটু আমি সব কিছু নিয়ে আবার আসবো কথা দিলাম তোমায়…প্লিজ আমাকে তুমি এভাবে আর কষ্ট দিও না….আমারো কান্না আসছে উজান কিন্তু আমার যে কান্না বাড়ন…)
উজান:হিয়া তুমি চলে গেলে আমি কাকে নিয়ে বাচবোঁ..হিয়া বলো না…হিয়া তুমি আর হিয়ান ছাড়া আমি তো বেচেও মরে থাকবো…আমি পারবো না হিয়া…..হিয়া….
……..হিয়া কোনোরকম উজানের কাছ থেকে নিজেকে সারিয়ে হিয়ান কে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে…এদিকে উজান ওর রুমে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে মেঝেতে বসে যায়।মেঝেতে হিয়া একটা জামা আর পুচকুর ঝুনঝুনি টা পড়ে ছিলো অগোছালো ভাবে উজান ওগুলো হাতে নিয়ে বুকের মধ্যে লেপ্টে ধরে কাঁদতে থাকে….
উজান:হিয়া….হিয়া…..হিয়া….আমি পারবো না হিয়া…তোমাকে ছাড়া হিয়ান কে ছাড়া….না হিয়া আমার যে আর সেই শক্তি নেই….আমি চাইলে হিয়ান কে আটকাতে পারতাম কিন্তু আমি চাইনি আমার মতো আমার মেয়ে ছোট থেকে তার মাকে কাছে না পাক…আমি তো জানি জীবনে একা থাকার কষ্ট টা তুমিও তো বুঝতে আমার কষ্ট টা তাহলে কেনো আজ…..হিয়া…
…..উজান কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।উজান ভাবে ওহ ওর জীবনে সব কিছু হারিয়ে ফেললো তাহলে আর এই নিঃস্ব জীবনটা রেখে কি লাভ ওর…..উজান গিয়ে একটা দোকান থেকে একটা হাই ডোজ এর ঘুমের ইনজেকশন নিয়ে নিজেকে পুশ করে….হালকা অচেতন অবস্থায় রাস্তায় দাড়িয়ে হিয়া আর হিয়ানের কথা ভাবতে থাকে..
উজান:হিয়া কোথায় তুমি।আজ না আমাদের দুজনের হিয়ান কে নিয়ে তৃনা ম্যাম এর কাছে যাওয়ার কথা…..এই হিয়া….হিয়া…হিয়া আমি কেমন জানি চোখে ঝাপসা দেখছি তোমার ওড়না টা দিয়ে আমার চশমা টা মুছে দেও না।হিয়া….হিয়া…😢😢
….এমন সময় একটা গাড়ির সাথে উজানের ধাক্কা লাগে।বড়ো কোনো দূর্ঘটনা না থাকলেও উজানের হাত পা অনেকটা ছিলে যায়।কপালেও আঘাত পায় অসম্ভব…..এমনিতে উজান সেডিটিভ নিয়েছে তাই মুহূর্তে উজান অঙ্গান হয়ে পড়ে….আর রাস্তার পাশের লোকজন উজান কে তুলে সেই টিইলিপেই নিয়ে আসে……
…….এদিকে হিয়া হিয়ান কে নিয়ে রাহুলের সাথে কোর্ট এর দিকে যেতে ধরলে পাবলোর লোক এসে রাহুলদের উপর হামলা করে আর রাহুলের ওয়ালেট টা ছিনিয়ে নিয়ে যায়……
রাহুল:হোয়াট দা…
হিয়া:সামান্য একটা ওয়ালেট এই তো নিয়েছে এতে এতো রাগের কি হলো
রাহুল:ওটায় ওটায়
হিয়া:কি ওটায়
রাহুল:কিছু না।চলো
হিয়া:যাবো না।
রাহুল:যাবো না মানে
হিয়া:আমরা এখন টিউলিপে যাবো…
রাহুল:হোয়াট
হিয়া:হ্যা আমার কিছু কাজ আছে টিউলিপে আমাদের এখন টিউলিপে যেতে হবে
রাহুল:কি কাজ তোমার টিউলিপে
হিয়া:গেলেই জানতে পারবে..
রাহুল:আচ্ছা বেশ চলো…
…..এদিকে টিউলিপে উজান এডমিট হলো বাড়ি থেকে বুলি বাসবি বিকাশবাবু সবাই আসে…উজানের ট্রিটমেন্ট কম্পিলিট হলে ওর ঙ্গান ফেরার অপেক্ষায় সবাই কেবিনের বাহিরে দাড়িয়ে ওয়েট করে…
এদিকে পাবলো হিয়া আসার আগেই সব এভিডেন্স পুলিশের কাছে দিয়ে দেয়…আজ আবার টিউলিপে সেদিনের মতো লোকজন সেদিন এর মতো মিডিয়া…
পাবলো:নিন ওরা এসে গেছে….
পুলিশ:ইউ আর আন্ডার এ্যারেস্ট ড.রাহুল
রাহুল:হোয়াট…
হিয়া:এতো অবাক হচ্ছেন কেনো।আপনি যা করেছেন তার ফল পাচ্ছেন শুধু……
রাহুল:হোয়াট ননসেন্স আমি এসব মানি না…
হিয়া:সব প্রমান আপনার সামনে..
……পাবলো একে একে সব প্রমান মিডিয়ার সামনে তুলে ধরে….
রাহুল:তুমি ভুলে যাচ্ছো হিয়া।উজানের সব কিছু এখনো আমার ড্রয়ারে
হিয়া:তাই তাহলে এগুলো কি।
রাহুল:এগুলো তোমার কাছে আসলো কিভাবে।চাবি চাবি তো আমার পকেটে
হিয়া:আপনি কি ভেবেছিলেন সব ঘাটের বুদ্ধি শুধু আপনার একার আছে….আমরা বেকার….
রাহুল:এর ফল ভালো হবে না বলে দিচ্ছি
হিয়া:আমি আপনাকে বলেছিলাম না উজান আর হিয়াকে কেউ কখনো আলাদা করতে পারবে না।কেউ না…….ইন্সপেক্টর নিয়ে যান ওনাকে আর এমন শাস্তি দিন যেনো জীবনে কারো ক্ষতি করার আগে হাজারবার ভাবে…
…..পুলিশ রাহুল আর বিহান কে পুলিশ কাস্টাডিতে নিয়ে যায়…এদিকে টিউলিপ যেনো আবার নতুন একটা জীবন ফিরে পেলে…মিডিয়ার লোকেরা পুলিশের পিছন পিছন চলে যায়…
হিয়া:থ্যাংকস পাবলো।আজ তুমি না থাকলে হয়তো আমি
পাবলো:তোমাদের জন্য যদি এটুকু না করতে পারি।বাদ দেও ওসব আজ তো সেলিব্রেট করার দিন আর তুমি কাঁদছো।বাড়িতে ফোন করো বলো টিভি ওন করতে….আমাকে এখন পুলিশের সাথে একবার পুলিশ স্টেশনে যেতে হবে…তুমি জানাও সবাই কে
হিয়া:তোমার মনে হয় বাড়িতে আমি ফোন করি নাই।আমার ফোন কেউ ধরলে তো মা বুলি যা ক্ষেপে আছে আমার উপর….তুমি যাও দেড়ি হয়ে যাচ্ছে
……এমন সময় হিয়া আর পাবলোর সামনে একটা নার্স এসে বলে উজান স্যারের একটা বড়ো এক্সিডেন্ট হয়েছে….হিয়া শুনে প্রথমে বিলিভ করতপ পারে না…পরে যখন সবটা বুঝতে পারে হিয়া পড়ে যেতে ধরে।ভাগ্যিস পাবলো ছিলো হিয়া পড়ে যেতে ধরলে হিয়ান কে সামলে নেয়…
হিয়া:এসব এসব এরা কি বলছে…উজান উজানের কি হলো…আমি তো ওকে বাড়িতে ঠিক দেখে আসলাম
পাবলো:বৌদি তুমি শান্ত হও প্লিজজ…এটা কান্নার সময় না….তুমি হিয়ান কে নিয়ে দাদাভাই এর কাছে যাও আমি সব কাজ সেরে আসছি..
…..পাবলো চলে গেলে হিয়া হিয়ান কে নিয়ে দৌড়ে উজানের কেবিনের কাছে চলে আসে।কিন্তু ওকে দেখে কেউ খুশি হয় না বরং সবাই রেগে যায়…কেউ হিয়ার একটা কথার উওর দেয় না..
হিয়া:উজান উজানের কি হয়েছে।তোমরা চুপ করে কেনো আছো বলো না…..মা মা কি হয়েছে উজানের…..এই বুলি বল না তোর উজান দার কি হয়েছে….বুলি চুপ করে কেনো আছিস….জিনি জিনি কি হয়েছে উজানের..ওহ ঠাম্মি বলো না বলো না আমাকে..আমাকে কেউ কিছু বলছো না কেনো…
বিকাশবাবু:একদম চিৎকার করবি না।এটা হসপিটাল তোর বাড়ি না যে তোর নাটক গুলো করবি…..
হিয়া:ও বাবা বাবা বলো না কি হয়েছে উজানের…তুমি তো অন্তত বলো
বিকাশবাবু:কেনো এসেছিস তুই।মজা নিতে দেখতে এসেছিস কি অবস্থা করেছিস তুই ছেলেটার..
হিয়া:আমি যা করেছি সব টা ওর জন্য করেছি বিশ্বাস করে
বাসবি:হাসালে হিয়া।রাজার জন্য করেছো।তাহলে আজ আমার ছেলে টা হসপিটালের বেডে শুয়ে এভাবে কষ্ট কেনো পাচ্ছে বলতে পারো…
হিয়া:মা আমি…আমার কথা টা তো শুনো….
ঠাম্মি:তোর এসব কান্না বন্ধ কর হিয়া।তুই যেটা করছিস সেটা ক্ষমার অযোগ্য…
….এমন সময় মেট্রন এসে বলে উজানের সেন্স এসেছে আর চোখ খুলেই ওহ হিয়াকে খুঁজছে..
ঠাম্মি:বৌমা উজানের সেন্স এসেছে।আর না ভিতরে চলো সবাই
হিয়া:ওর ওর সেন্স এসেছে আমি যাবো ওর কাছে।দেখো ঠাম্মি ওহ আমাকে খুঁজছে বললো মিরাদী…আমি এক্ষুনি যাবো ওর কাছে…
……হিয়া যেতে ধরলে ঠাম্মি হিয়ার হাত ধরে হিয়াকে আটকায় দেয়….
ঠাম্মি:দাড়া হিয়া।তুই ভিতরে যাবি না
হিয়া:ঠাম্মি
ঠাম্মি:অনেক কষ্ট পেয়েছে আমার নাতনি টা তোর জন্য।আমি চাই না উজান আর কোনোভাবে তোর সাথে দেখা করুক।তোর ছায়াও যেনো ওর উপর না পড়ে…
হিয়া:এভাবে বলো না ঠাম্মি।আমাকে যেতে দেও।আমার হাত ছাড়ো ঠাম্মি।আমি যাবো ওর কাছে।ঠাম্মি প্লিজ…
……সবাই হিয়াকে বাহিরে রেখে ভিতরে চলে যায়।গিয়ে কেবিনের গেট লক করে দেয়…হিয়া অনেকবার গেট নক করে কেউ গেট খুলে না।এক পর্যায়ে হিয়া কানতে কানতে মেঝেতে বসে পড়ে।মিরাদী এসে হিয়ান কে কোলে নেয়….
হিয়া:আমি যাবো উজানের কাছে…..উজাজাজানননন…ঠাম্মি গেট টা খোলো না…আমার কথা টা শুনো একবার।উজান আমি কোথাও যায় নি তোমাকে ছাড়া দেখো না একবার আমি এখানেই আছি তোমার কাছে……উজান…উজান….
………..
জিনি:বড়ো মা হিয়াদী কাঁদছে
বিকাশবাবু:কাদুক ও টাই ওর শাস্তি
উজান:মা হিয়া কোথায়।ওহ ফিরে নি……গেট কে নক করছে…হিয়া…
বাসবি:হিয়া নেই…ভুলে যা ওকে তুই..
উজান:হিয়া আসবে আমার কাছে দেখো তোমরা।ওহ ওর উজান স্যার কে ছাড়া থাকতেই পারবে না।
বিকাশবাবু:ওহ এলেও আমি ওকে আর তোমার জীবনে জড়াবো না।
উজান:না বাবা তা হয় না….হিয়া ছাড়া কে আছে আমার
ঠাম্মি:তুই কি হ্যা এখনো ওর কথা ভেবে যাচ্ছিস।হিয়া আসবে না আর…
উজান:ঠাম্মি..
……….
মেট্রন:হিয়া হিয়া ওঠো।এভাবে কাদেঁ না হিয়া….মানুষ দেখছে
হিয়া:আমি উজানের কাছে যাবো মিরাদী….মিরাদী
মেট্রন:শান্ত হও হিয়া…ঠিক আছে আমি আমি নিয়ে যাবো তোমাকে স্যারের কাছে কথা দিলাম।এখন উঠো হিয়া লোকে খারাপ বলবে…..দেখি হিয়ান কাঁদছে ওকে খাওয়াও তো উঠো…..আবার কাদেঁ….
……হিয়া উঠে হিয়ান কে খাইয়ে ঘুম পাড়ায় দেয়…মেট্রন হিয়ান কে হিয়ার কাছ থেকে নিয়ে কোলে নেয়…টিউলিপের বাহিরে কি কি হচ্ছে তার খোজ নেওয়ার কোনো সময় নেই কারোর………এদিকে উজানের কেবিন থেকে সবাই বের হয়ে একটু হালকা সাইড হলে হিয়া হিয়ান কে মেট্রন এর কাছে দিয়ে দৌড় দিয়ে এসে উজানের কেবিনে ঢুকে গেট লক করে দেয়….
জিনি:হিয়াদি তো ভিতরে চলে গেলো
ঠাম্মি:থাক ওকে আর আটকাস না।দেখি ওহ কি করতে পারে।
বু্লি:কিন্তু ঠাম্মি তুমি তো মানা করে দিলে
বাসবি:থাক না বুলি যদি হিয়াকে দেখে রাজা একটু সুস্থ হয়
বিকাশবাবু:আমি মানতে পাচ্ছি না এটা…হিয়াকে আটকানো দরকার ছিলো
………..কেবিনে…..
উজান:হিয়া তুমি…..
হিয়া:আর একটু ভরসা করা যেতো না আমার উপর…
……..হিয়া দৌড়ে গিয়ে উজান কে একবারে লেপ্টে জরায় ধরে কাঁদতে শুরু করে।এই কান্না সেই কান্না না।গত কয় একদিনের জমানো কান্না আজ হিয়া একবারে কেঁদে ভাসিয়ে দেয়…….এমন কান্না হিয়া জীবনে একবারি কেঁদে ছিলো যখন উজান ওকে ছেড়ে ইউ এস তে চলে যায় আর হিয়া জানতে পারে পুচকু এখন আসছে…….
উজান:হিয়া স্টপ…..আরে…নিজে থেকে চলে যাও আবার নিজে ফিরে এসে কান্নাকাটি করো….হিয়া…
…….হিয়া আজ উজানের কোনো কথা শুনে না।কান্না থামার বদলে কান্না র কম্পন যেনো আরো বাড়তে থাকে সময়ের সাথে সাথে।হিয়ার শাড়ি অগোছালো হয়ে যায়।চুল লেপ্টে যায়।মাথার ক্লিপ টা পড়ে গিয়ে এ্যাপরোন এর ভেতর দিয়ে উজানের ভিতরে ঢুকে যায়…..কপালের কালো টিপ টা গিয়ে উজানের গলায় আটকে যায় তবু হিয়ার কান্না থামে না….
উজান:হিয়া প্লিজ আর না।হিয়া আমার কষ্ট হচ্ছে।হিয়া……হিয়া এবার কিন্তু আমি রেগে যাবো হিয়া….
……..
জিনি:হিয়াদি কাঁদছে খুব।বাহির পর্যন্ত আওয়াজ আসছে
বিকাশবাবু:কাদুক ও এটাই ওর প্রাপ্য।
পাবলো:অনেক দেড়ি করে ফেললাম না।বৌদি কোথায়….দাদাভাই এখন কেমন বেটার না…..কি করবো মিষ্টি নিয়ে এলাম দিবো কি না ভাবছি
বুলি:কিসের মিস্টি
পাবলো:এই দেখো কিসের মিষ্টি আবার।কেনো বৌদি বলে নি কিছু।তোমাদের মুখ দেখে তো মনে হচ্ছে না এতো বড়ো একটা জয়ে কেউ খুশি হয়েছে বলে…
জিনিয়া:কিসের জয় কিসের আনন্দ।খুলে বল প্লিজ একটু
পাবলো:সেকি বলছি……পাবলো সব এক এক করে খুলে বললে সবার ধারনা ভুল হয়ে যায়।সবাই নিজের মতো অনুতপ্ত হয়…
…….
এদিকে প্রায় ঘন্টা খানেক পার হয় হিয়া তখনো উজান কে জরায় ধরে কাঁদতে থাকে… উজানের আজ গায়ের জোড় কোনো কাজে আসে না।উজান ওর বুক থেকে হিয়াকে সারিয়ে হিয়ার মুখ মুছে দিবে ভাবলেও হিয়ার গায়ের জোড়ের সাথে আজ পারে না….
উজান:এতো জোড় হ্যা।আমিই পাচ্ছি না আজ তোমাকে ছাড়াতে…….হিয়া আর না……হিয়া প্লিজ স্টপ…………………অনেক হয়েছে হিয়া।তোমাকে প্রত্যেকবার এক কথা কেনো বলতে হয় তুমি কাঁদলে আমার ভিতরে কি হয় তুমি জানো না তারপরো আমাকে কষ্ট দিতে তোমার ভালো লাগে…আমি কি বলেছিলাম ছেড়ে যেতে……হিয়া আমি অসুস্থ আমাকে রাগিও না কিন্তু…..হিয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়……….স্টপ….(হিয়ার চুলের ভিতর হাত ঢুকায় দিয়ে হিয়ার মুখ টা আরো শক্ত করে বুকে জরায় নিয়ে)
উজান:আরেরররর চুপপপপপপ কর না পাগলিইইইই….❤❤❤😢😢😢😢😢😢😢
…….হিয়া বুঝে উজানের খুব কষ্ট হচ্ছে হিয়া এবার মুখ তুলে উজানের দিকে তাকায়…..
উজান:কি হ্যা এমন কেউ করে….কেনো কান্না করে এভাবে তুমি।জানো না আমার কি কষ্ট হয়..
হিয়া:(উজানের কপালে হাত দিয়ে)…খুব লেগেছে না তোমার….
উজান:না….দেখি চোখ গুলো মুছে দেই….কি হ্যা চুল কি করলে আউলিয়ে ফেললে তো….😡
হিয়া:সরি….😢
উজান:আর যাবে কখনো আমাকে ছেড়ে কোথাও…
হিয়া:এবারো কি গিয়েছিলাম…😢
উজান:যাও নি
হিয়া:যদি তোমার কিছু হয়ে যেতো কি নিয়ে বাচতাম আমি।এভাবে কিছু হলেই তুমি ঘুমের ঔষধ ইনজেক্ট করবা…একবারো আমার কথা ভাববা না
উজান:আর হবে না…..টিপ টা কোথায় গেলো কপালের…
হিয়া:তোমার গলায় লেগে আছে
উজান:টিপ ও গলায় লেগে থাকতে চায় কিন্তু যাকে সব সময় এখান টায় লাগিয়ে রাখতে চাই সেই থাকে না
হিয়া:দেখি পড়িয়ে দেও…সবসময় বাজে কথা
উজান:হুম…
… উজান হিয়ার কপালে টিপ পড়িয়ে হিয়ার শাড়ি শাড়ির আচল ঠিক করে দেয়…
উজান:আর কাঁদবে কখনো এভাবে
হিয়া:কষ্ট দিলে তো কাঁদবো
উজান:তাহলে আমিও কষ্ট পেলে ঘুমের ঔষধ নিবো…….
…..সবাই গেট নক করে….
হিয়া:সবাই ডাকছেঁ।
উজান:নক করার আর সময় পেলো না
হিয়া:উজানননন
…..হিয়া গিয়ে গেট খুলে দিলে।সবাই এসে হিয়ার কাছে ক্ষমা চায়…উজান ঘটনার কিছু বুঝতে পারে না…
উজান:কি সরি কি হয়েছে।আমাকে বলবে তোমরা
পাবলো:এখন আবার তোকে রিপিট করতে হবে কেলো করেছে..
…..পাবলো আবার সব উজানকে খুলে বলে।
উজান:হিয়া তুমি
পাবলো:হ্যা রে দাদাভাই সব টাই বৌদির প্লান….
মেট্রন:হিয়া নেও দেখি তোমার মেয়ে কে…আমার কাজের ডাক পড়েছে
উজান:মিরাদী আমাকে দেও
…..উজান হিয়ান কে কোলে নিয়ে কেঁদে ফেলে।উজানের মনে হয় কতোদিন পর যেনো ওহ হিয়ান কে কোলে নিল…সবাই হিয়া উজানকে একা রেখে চলে যায় রুম থেকে…হিয়া গিয়ে উজানের কাধে মাথা দেয়…দুজনে একসাথে সরি বলে উঠে
উজান:সরি
হিয়া:সরি
উজান:শুধু তো এমনি এমনি সরি নিবো না মিসেস চ্যাটার্জী।
হিয়া:কি চাই
উজান:কতোদিন হলো কাছে আসো না।একটু আদর করো না…
হিয়া:উজাজানন বাহিরে সবাই….হিয়ান দেখছে হ্যা
উজান:দেখুক না…
….উজান হিয়ার মুখ এক হাত দিয়ে টেনে হিয়ার ঠোটে ঠোট ডুবিয়ে দেয়….
“””হবে মনে মনে মিল”””
“””এখানে আকাশ নীল”””
💙💙💙💙💙💙💙
FF: #মেডিকেল_ক্যাম্প
Part:65(অন্তিম_পর্ব)
….হিয়া উজান ঘটনার রেশ সামলে নিয়ে আবার নতুন ভাবে সবটা শুরু করে…এদিক কদিন বাদেই হিয়ার ফাইনাল ইয়ার এর রেজাল্ট বের হয়…হিয়া প্রথম পজিশন নিয়ে উর্ওীন হয়…উজান চেয়েছিলো হিয়া বাহিরে গিয়ে বাকি কোর্স গুলো কম্পিলিট করুক কিন্তু হিয়া চায় নি…..যাই হোক আজ ৩বছর পর হিয়া কলকাতা শহরের নামকরা এক নাম্বার অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ…….
হিয়ার কেবিন:
হিয়া:আর কোটা পেশেন্ট আছে মিরাদী😊
মিরাদী:আর তো মনে হয় একজন আছে…এর পর দু ঘন্টা বাদে তোমার একটা ওটি আছে তারপর আজ তোমার ছুটি…আজ আর রাতে ডিউটি নেই😊
হিয়া:ঠিক আছে…যে আছে বাহিরে তাকে ডেকে নেও…😊
মিরাদী:হুম ডাকছি……হিয়া….এখানে তো😮
হিয়া:কি হলো কিছু বলবে😊
মিরাদী:না মানে উজান স্যার ঠিক আছে😮
হিয়া:উজান…উজান এখানে আসলো কোথা থেকে….আর ওহ ঠিক আছে কেনো বলো তো😒
মিরাদী:না আসলে এখানে পেশেন্ট এর নাম ডক্টর উজান চ্যাটার্জী লেখা তাই😢
হিয়া:কোথায় দেখি আমাকে দেখতে দেও…
মিরাদী:এই যে নেও দেখো
হিয়া:(মনেমনে:রাগ করে কথা বলছি না বলে এখন এই চালাকি….কি ভেবেছো তুমি তুমি আমাকে বকবে রাগ করবে আমি সব মেনে নিবো😡😡এসব এসব করে না তুমি আমার রাগ ভাঙ্গাতে পারবে না…আমিও জেদ নিয়েই থাকবো হুম😡😡)
মিরাদী:হিয়া কি ভাবছো😊
হিয়া:কিছু না।ওকে আসতে বলো😡
মিরাদী:হুম…
….মিরাদী গিয়ে উজানকে ডেকে আনে…
মিরাদী:স্যার বসুন
উজান:(হ্যা সূচক মাথা নাড়ায়)
মিরাদী:(মিরাদীর ভীষন হাসি পায় উজান হিয়ার কান্ডে।অনেক কষ্টে পেটে হাত দিয়ে হাসি কন্ট্রোল করে😊😊)….হিয়া আমি তাহলে আজ আসি
হিয়া:হ্যা তুমি তাহলে বাড়ি চলে যাও।কাজ তো নেই আর।আর ওটি ওটা আমি সামলে নিতে পারবে😊
মিরাদী:পারবে বলছো😊
হিয়া:বেশ পারবো…😊
মিরাদী:আসছি তাহলে…স্যার আসছি..
….মিরাদী যেতে ধরলে…
হিয়া:মিরাদী শুনো
মিরাদী:হ্যা বল.
হিয়া:এটা রাখো😊
মিরাদী:হিয়া এটা এটা কিসের জন্য।
হিয়া:আমি তো তোমাকে কথা দিয়েছি তোমার ছেলে পিকুর পড়াশুনোর সব দায়িত্ব আমি নিলাম।এটা ওর এডমিশনের জন্য😊
মিরাদী:কিন্তু হিয়া
হিয়া:কি কিন্তু মিরাদী।আমি জানো কালকে ফোন দিয়ে শুনতে পারি আমি যে স্কুল বলেছিলাম তুমি ওটায় ওকে ভর্তি করে দিছো….নেও এখন আর কথা না আমার দেড়ি হয়ে যাচ্ছে😊
মিরাদী:থ্যাংক ইউ বলে তোমাকে ছোট করবো না আমি… ওহ হ্যা তোমার খাবার টা কি এখন দিয়ে যাবো?
হিয়া:না না আজ খাবার দিতে হবে না।আমি বাড়ি থেকে আজ নিয়ে এসেছি।কি বলো তো মা আজ হিয়ান জেদ করেছিলো বলে বিরিয়ানি রান্না করেছিলো।আমি খেতে পারি নি তাই টিফিনে করে দিয়ে দিয়েছে😊
মিরাদী:ওহ আচ্ছা ভালো করেছে……..স্যার আপনার খাবার টা
উজান:খেতে ইচ্ছে নাই আজ মিরাদী😢
মিরাদী:কিন্তু স্যার আপনি তো সকালেও সেই অর্ধেক নাস্তা করে ইমার্জেন্সি ডাক এলো আপনি চলে গেলেন।এখন আবার না খেলে😢
হিয়া:(মিরাদী কে ইশারা করে আমি আছি তুমি যাও)
মিরাদী:ঠিক আছে হিয়া।আসছি
হিয়া:হুম…😊
…….মিরাদী চলে যায়…..
উজান:(হালকা কাশি দিয়ে)ডক্টর বুঝি জিঙ্গেস করবে না কি হয়েছে আমার😊
হিয়া:(একটা নিশ্বাস নিয়ে)কি সমস্যা😡
উজান:ভেঙ্গেছে😢
হিয়া:কি ভেঙ্গেছে😡
উজান:আসলে আমার না।আমার ওয়াইফ এর…ওর মনটা ভেঙ্গেছে…..😊
হিয়া:😒😒😒😒
উজান:আপনি তো এসব ভেঙ্গে যাওয়া হাড় হাড্ডি জোড়া লাগিয়ে দেন একটু বলে দিন না আমার ওয়াইফ এর ভাঙ্গা মনটা কিভাবে জোড়া লাগাতে পারি……কোনো মেডিসিন বা থেরাপি যদি থাকে..😊😊
হিয়া:কেনো আপনিও তো একজন ডক্টর আপনি বুঝতে পারেন না😒😒একজন ডক্টর হয়ে তো আপনার বোঝা উচিৎ কোনটা বেশি ভাঙ্গা কোনটা কম….কোনটা ভেঙ্গে গেলে জোড়া লাগানো যায় আর কোনটা যায় না…..😡
উজান:জানলে কি আর টাকা খরচ করে আপনাকে দেখাতে আসতাম নাকি😢
হিয়া:কিছু কিছু জিনিসের কখনো জোড়া লাগে না ডক্টর চ্যাটার্জী😡😡😡
উজান:(মনেমনে:এখনো এতো রাগ হ্যা।বকেছি না হয় আমি একটু তার জন্য এতো দেমাক।দুদিন ধরে রাগ করে বাড়ি যায় না আমার কাছে আসে না।আজ নিজে থেকে এলাম তারপরো😡😡)
…….হিয়া উঠে কেবিনের গেট লক করে ওর ব্যাগ থেকে বিরিয়ানি টা বের করে হাত ধুতে যায়….
উজান:(মনেমনে:আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে তুমি এখন একাই বিরিয়ানি খাবে হিয়া….)
হিয়া:(মনেমনে:দুদিন কি একটু বাড়ি যায়নি।চেহারা টা শুকিয়ে কি বানিয়েছে।আমি ওর খেয়াল না রাখলে হবে ওর।উল্টো আমাকেই মেজাজ দেখায় সবসময়)
……হিয়া হাত ধুয়ে এসে বিরিয়ানি মেখে উজানের মুখের সামনে ধরে….
উজান:আমার জন্য হিয়া😊
হিয়া:(হিয়া কিছু বলে না উজানের মুখের সামনে ভাত ধরে দাড়িয়ে থাকে)
উজান:(বিরিয়ানি খেয়ে)….আহ কি স্বাদ মা বানিয়েছে বুঝি…..দাড়িয়ে আছো কেনো বসো না…😊😊
(উজান আর একটা চেয়ার ওর সামনে এনে ধরে হিয়াকে বসতে বলে।হিয়া বসে যায়।হিয়া একবার করে নিজে খাচ্ছে একবার উজান কে খাওয়াচ্ছে)
উজান:আজ বাড়ি যাবে না….হিয়ান বলছিলো দুদিন হলো মাকে আর বাবাকে একসাথে নিয়ে ঘুমোই না…😢😢
হিয়া:ওটি আছে।ওটা শেষ করে যাবো…😒
উজান:আজ তাহলে আমার বুকে জরিয়ে ঘুমোবে😡😡
হিয়া:না….হিয়ান কে জরিয়ে ঘুমোবো😡
উজান:তাও চলবে।আমি না হয় পিছন থেকে তোমাকে জরিয়ে ধরবো😊😊
হিয়া:(এবার হেসে ফেলে)…..😊😊
উজান:যাক আমার ইডিয়ট টার রাগ তাহলে কমলো😊😊
হিয়া:(হাত ধুয়ে এসে হাত মুছে।উজানের মুখ মুছে দিয়ে পানি খেয়ে সব কিছু গুছিয়ে উজানের সামনে হাত পাতে)
উজান:কি😒
হিয়া:আমার ভিজিটের টাকা(ইয়েন ফানি বুম😂😂😂😂)
উজান:ভিজিটের টাকা আবার কি।আমি কি তোমাকে দেখিয়েছি নাকি😏
হিয়া:পেশেন্ট হিসাবে যখন এসেছো তখন তো ভিজিট দিতেই হবে😊
উজান:পারবে নিজের বর এর কাছে ভিজিট নিতে😏
হিয়া:বাহ রে।বর বলে কি পেশেন্ট না।শুনো আমার কাছে না সব পেশেন্ট সমান😊😊
উজান:হ্যা মিরাদী কে ওতো গুলো টাকা দিলে আর আমার কাছে সামান্য ভিজিট নিচ্ছো😡😡
…….উজান হিয়ার ভিজিট দিতে ধরলে হিয়া টপাস করে আরো ২হাজার টাকা বের করে নেয়..
উজান:আরে😡😡
হিয়া:এগুলো খাইয়ে দিলাম তার ভিজিট😊😊
উজান:কি করবে শুনি😡
হিয়া:কেনো গুডলাকে ভরাবো আমার😊😊
উজান:হ্যা পরে ভেঙ্গে আবার আমার ওয়ালেট এই ঢুকাবা😊😊
হিয়া:উজাজানন…..😡😡
উজান:আচ্ছা সরি সরি😒😒
……দুদিন পর।হিয়া বিছানায় চোখ বন্ধ করে শুয়ে ছিলো।উজান হিয়ান কে পড়ানোর চেষ্টা করছিলো…
উজান:হিয়ান কথা শুনো আমার।জেদ করে না😊
হিয়ান:আমি পড়বো না পড়বো না পড়বো না😡😡😡
উজান:হিয়ান সোনা মা এমন করে না😢😢
হিয়া:আআআআআ আমিইইইই পড়বোওওওওও না😠😠😡😡
উজান:হিয়ায়ায়ানননন….আমি কিন্তু এবার খুব রেগে যাবো বলে দিলাম😡😡😡
হিয়ান:আমি মার কাছে পড়বো মাকে ডাকো😭
উজান:আরে আবার জেদ করে।মা ঘুমোচ্ছে না…😡
হিয়ান:মা উঠুক তারপর পড়বো😭😭
উজান:শুধু স্কুল টা খুলতে দেও….তারপর স্কুলে গিয়ে স্যার ম্যাডাম দের মার খেলে তুমি পড়তে বসবে😡😡এদিকে আসো হারি আপ…এই Humty Dumty রাইম টা মুখস্থ করো কুইক😡😡
হিয়ান:আমি স্কুলে যাবো না।আমি পড়বো না😭😘ঠাম্মি ঠাম্মি ঠাম্মি😭😭😭বু্লি মাসি😭😭ওহ ইনিয়া পিসি দেখো না বাবা আমাকে বকছে….আমি পড়বো না😭😭😭😭
বাসবি:কি করছিস কি রাজা😡এভাবে কেউ পড়ার জন্য জোর করে নাকি……সোনা মা আমার।বেরু করতে যাবি😊😊😊(হিয়ানের চোখ মুছে)
হিয়ান:হ্যা যাবো😊😊😊
উজান:না মা এখন ওহ কোথথাও যাবে না….হিয়ান এদিকে আসো….আসো বলছি😡😡
বাসবি:এমন করছিস কেনো হ্যা।সবে বাচ্চা টা স্কুলে ভর্তি হলো আর তোরা কি শুরু করছিস দুজন।ওহ এখন যাক আমাদের সাথে,এসে পড়ে নিবে।না হিয়ান😊😊
হিয়ান:হুম😊😊
উজান:পড়বে তো এসে
হিয়ান:হ্যা বাবা পড়বো।আসি গুড়ে এসে তোমাকে হামতি দামতি মুখস্থ করে দিবো…(এখনো হিয়ানের কথা অস্পষ্ট)😊😊
বাসবি:আমার গুড গার্ল……..রাজা আমরা সবাই বের হচ্ছি বাড়ি ফাকা তুই দরজা ভালো করে লাগায় দে……😊😊
…..বাসবি বুলি জিনি সবাই শপিং করতে যায়।বাড়ি ফাকা।হিয়া উঠে ওয়াশরুমে ফ্রেশ হতে যায়।এসে আয়নার সামনে নিজেকে দেখে বারান্দার গেটের কাছে দাড়ায়।বাহিরে হালকা ছিট ছিটে বৃষ্টি হচ্ছে তাই বারান্দার দরজা টা হালকা খুলে দরজায় দাড়িয়ে বৃষ্টি দেখে……এমন সময় উজান এসে হিয়াকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে….হিয়া ওর পেটের উপর রাখা উজানের হাত গুলো ধরে আরো কাছে এনে ওর সমস্ত ভর উজানের উপর দিয়ে দেয়..
হিয়া:ওকে না পড়িয়ে পাঠিয়ে দিলে😊
উজান:বললো তো এসে মুখস্থ করে দিবে😊
হিয়া:সেই আশাতে থাকো তুমি।তোমার মেয়ে তোমাকে টুপি পড়ালে আর তুমিও পড়লে😂
উজান:দেখা যাবে😡😡
…..উজান পেছন থেকে হিয়ার ওড়না টা নিয়ে নিচে ফেলে দেয়….
হিয়া:উমহুম ওসব করো না…😊😊
উজান:এখনো না….😡😡
…উজান হিয়াকে ওর দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে একহাতে হিয়ার কোমড় আর এক হাতে হিয়ার চুল গুলো ধরে….
উজান:তোমার জানি আর কটা বেবি নেওয়ার ইচ্ছে ছিলে।চারটে না….হিয়ান…নীল…আকাশ..রোদ….আরো ছিলে কি…😊
হিয়া:কেনো শুনি😒
উজান:নাহ ভাবছিলাম।হিয়ান তো বড়ো হয়ে যাচ্ছে।এখন যদি আর একটা😊
হিয়া:কি আর একটা শুনি😒
উজান:আরেকজন কে আনার প্রসেস টা কম্পিলিট করলে ভালো হয় না😊😊
হিয়া:উজানননন….কিচ্ছু আটকায় না না মুখে😊😊
উজান:ভুল কিছু কি বললাম তুমি বলো😊
হিয়া:ছাড়ো….দেখো আকাশ কেমন কালো করছে।আর সবাই আজকেই বাহিরে গেলো😢😢
উজান:চলো না আর একটা পুচকু আসার প্রসেস টা করে আসি😊😊
হিয়া:মুখে লাগাম দেও হ্যা।মেয়ে বড়ো হচ্ছে ভুলে যেও না কিন্তু😡😡
উজান:আমি ভাবছি কি।এতো গুলো যখন বেবি নিবো তাহলে আরো কটা নিয়ে নেই পুরো একটা ক্রিকেট টিম😊😊
হিয়া:হ্যা তাহলে আর টিউলিপে গিয়ে ডক্টরি করতে হবে না।সারাদিন বাসায় বসে ক্রিকেট ই খেলতে হবে….😂😂😂
…..উজান পিছন থেকে হিয়ার জামার চেন টা খুলে দেয়….
হিয়া:ইসস কি করছো কি…😡
উজান:আদর করছি😏
হিয়া:তা এখনি পুচকু আনবে বুঝি😊
উজান:হ্যা আমি তো বেশ মুডে আছি।বাহিরে হালকা বৃষ্টি।আকাশ মেঘলা।ঠান্ডা হাওয়া।বাড়ি ফাকা আর কি চাই😊
হিয়া:তাই তাহলে ধরে দেখাও আমাকে😊
…..হিয়া উজান কে ধাক্কা দিয়ে দৌড় দেয়…
উজান:হিয়া…হিয়া…কোথায় যাচ্ছো…হিয়া লিসেন্ট..😊😊
হিয়া:ধরো ধরে দেখাও আমাকে😊😊
উজান:তবে রে…😊😊
হে উড়ি উড়ি
হে খাবো কি পারি
হে আঙ্গরায়ি খিলি
হে ছাড়ি রাত গায়ি
দুজনে পুরো বাড়ি দৌড়াদৌড়ি ধরাধরি শুরু করে
হিয়া:পারছো না তো ধরতে….ধরতে পারলে কাছে আসবো হ্যা নাহলে টাটা বাই বাই😂😂😂
উজান:হিয়া না থামো পড়ে যাবে তো।হিয়া….😡
হিয়া:হিয়ানের বাবা ধরতে পারে না।পারে না😊😊
উজান:এসব কি ছেলে মানুষী হিয়া😡😡একবার ধরতে পারলে কিন্তু আর ছাড়বো না বলে দিচ্ছি😊😊
….দুজনে রুমে এলে উজান হিয়াকে ধরে ফেলে বিছানায় পড়ে যায়…উজান পাশে থাকা চাদর টা ওদের গায়ের উপর দিয়ে দেয়…
হিয়া:কি করলে চাদর টা কেনো খুললে।আমি কতোবার আজ এটা গোছালাম😢
উজান:বেশ করেছি….হাপিয়ে ছাড়লে তো..😡
….দুজনের নিশ্বাস বেড়ে যায়।দুজনের নিশ্বাস মিলে এক হয়ে যায়….
হিয়া:ছাড়ো আমার কাজ আছে😏
উজান:বলেছি না ধরতে পারলে আর ছাড়বো না..😊
হিয়া:উজান না…😊😊
….উজান এক এক করে হিয়ার পুরো মুখে চুমু খায়…
খামোখা ছ্যেড় দূ
তো ভি তো ত্যাংক হতি হে
রুহট কে ফির মানাউ
তো ভি তো ত্যাংক হতি হে
জিন্দেগি আখো কি
নাগিলা নাগিলা নাগিলা ওহ ও
নাগিলা নাগিলা নাগিলা
১মাস পর:(বাতাসিয়া গ্রাম)
উজান:তাহলে মিসেস চ্যাটার্জী উপস ডক্টর হিয়া চ্যাটার্জী কেমন লাগছে….আর কিছুদিন পর তোমার স্বপ্নের আর একটা চ্যাপ্টার শুরু হতে চললো😊
হিয়া:তোমাকে বোঝাতে পারবো না উজান।আমার ভিতরের অনুভুতি টা….মার খুব ইচ্ছে ছিলো আমি ডক্টর হয়ে এই জমিটায় গ্রামের সকলের জন্য একটা হসপিটাল তৈরি করবো…আর আজ আমি সত্যি সত্যি মাকে দেওয়া কথা টা রাখতে পারছি,এই গ্রামের প্রত্যেকটা মানুষ কে দেওয়া কথা রাখতে পারছি আমার আমার সত্যি কতো আনন্দ হচ্ছে আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না😊😊
উজান:একি তুমি কাঁদছো😢😢…(হিয়ার চোখ মুছে দিয়ে)
হিয়া:থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ সো মাচ।আমার স্বপ্ন টা পূরনে আমাকে সাহায্য করার জন্য।আমার পাশে থাকার জন্য…😊
…….কথা বলতে বলতে হিয়া হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যায়।উজান ঘটনার রেশ বুঝতে পারে না।পরে টেস্ট করালে জানা যায় হিয়া আবার কনসিভ করেছে….আরো একবার উজান হিয়ার জীবন আলো করে আসতে চলছো নতুন এক পুচকু…😊😊
……..হিয়া আর উজান একে অপরের কাধে মাথা রেখে….
উজান:এবার আর কোনোরকম ভুল করবো না আমি।সবমসময় তোমাকে চোখে চোখে রাখবো, হিয়ান হওয়ার সময় ভুলে গেলে কি হয়েছিলো😒😒
হিয়া:হুমম তাই বলে ডক্টরি ছেড়ে বুঝি এখন থেকেই বউ এর জন্য বেগার খাটতে শুরু করবে….😂
উজান:তাই করতে হলে তাই করবো।আর একটা কথা আশা করি এবার একটু ম্যাচুরিটি নিয়ে আসবে নিজের মধ্যে😒ছেলেমানুষি গুলো একটু কম করবে😊
হিয়া:মোটেই না…..😊😊
হিয়ান:মা মা…ও মা….😊
হিয়া:এদিকে মা😊
হিয়ান:(চোখ কোচলাতে কোচলাতে)মা খিদে পেয়েছে…ডিম পোজ খাবো😢
হিয়া:হ্যাআআ কি খাবি😐😐
হিয়ান:আরে ডিম পোজ খাবো ডিম পোজ😒
হিয়া:ভালো করে বল😢
উজান:ওমলেট খাবে ওহ😊
হিয়া:সেটা বললেই তো হয়।ওমলেট খাবি…😏
হিয়ান:আমি তো ওতাই বলতিচি তুমি না বুঝলে আমি কি করবো😊😊বাবা কোলে😢😢
…..উজান হিয়ান কে কোলে নেয়….
উজান:ঘুম পাইছে নাকি মা টার আমার😘
হিয়ান:(হাই তুলে)😴
হিয়া:আগে ঘুম পাড়ায় দিও না আগে খাইয়ে দেই…সকাল থেকে কিচ্ছু খাই নি😓
….হিয়া ওমলেট করে আনে….
হিয়ান:বাবা পিঠে চড়বে😊
হিয়া:না এখন না হিয়ান।এখন খেয়ে ঘুমোবে তুমি😡
হিয়ান:না আমি পিঠে চড়বো বাবার…ওহ বাবা নেও না😢😢(উজান হিয়ান কে পিঠে নেয় আর হিয়া হিয়ান কে খাইয়ে দেয়)…বাবা ঠাম্মি বললো আমার ভাই আসছে আর দাদু বললো বোন আসছে😊😊
হিয়া:কে বললো তোকে এসব কথা…😒
হিয়ান:মা বলো না কবে আসবে😊
উজান:তোর বোন বা ভাই এলে তুই খুশি হবি রাগ করবি না😊
হিয়ান:নাগ কেনো করবো😓
হিয়া:তোর বাবা তখন তোকে আদর না করে আর একটা বাবুকে আদর করবে😊
হিয়ান:না বাবা আমাকে আদর করবে আমাকে আদর করবে আমাকেই আদর করবে😡😡
উজান:আর না করলে😊
হিয়ান:তোমার এই চশমাটা আবার ভেঙ্গে ফেলবো😡😡😠😠
হিয়া:হিয়ান না….😖😖কি মেয়ে হয়েছে তোমার…শুধু মেজাজ…..😒😒
……৮/৯মাস পর…আজ হিয়া উজানের কোলে আবার এক নতুন পুচকুর আগমন ঘটেছে…এবার ছেলে হয়েছে নাম রেখেছে নীল….
টিউলিপের কেবিন:হিয়া হেলান দিয়ে আছে।পাশে নীল ঘুমন্ত।তার পাশে টুল নিয়ে উজান বসে আছে..
উজান:আস্তে আস্তে😊
হিয়া:হুম..হিয়ান কোথায়?অনেকক্ষণ হলো দেখছি না কেনো ওকে😢
উজান:তোমার মেয়ে ওর ভাই এসেছে বলে টিউলিপ জুড়ে সবাই কে ডেকে ডেকে বুলি জিনি কে নিয়ে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে😍
হিয়া:খুব খুশি হয়েছে না ওহ😊
উজান:আমি কি কম খুশি হয়েছি😊
…(হিয়া নীলের মাথায় হাত দিয়ে)…
হিয়া:আমার ছেলে কিন্তু তোমার মতো হয়েছে…কপাল টা দেখো তোমার মতো বড়ো😊
উজান:হুম একজন কে তো আমার মতো হতেই হবে নাহলে যে আমারো মনটা খারাপ হয়ে যায় মিসেস চ্যাটার্জী…😢😢হিয়ান হওয়ার পর থেকে তো শুনেই যাচ্ছি তোমার মতো হয়েছে তোমার মতো হয়েছে…আমার ছেলে না হয় আমার মতো হোক😊😊
হিয়া:ইসস কি হিংসুটে😊😊
…..হিয়ান দৌড়ে এসে উজানের কোলে উঠে..
উজান:হলো মিষ্টি বিতরণ করা😊
হিয়ান:হুম সববাইকে দিয়েছি কেউ বাদ যায় নি…..বাবা আমি কোলে নেই বাবুকে…😊
উজান:না মা তু্মি বড়ো হও তখন নিও😊
হিয়ান:ও মা মা।আমি নেই না।আমি কি ছোট বলো😢
হিয়া:আরো অনেক বড়ো হতে যে মা তোকে😊
হিয়া:আমি নিবো নিবো আমি…😭😭
….হিয়ান এক পর্যায়ে হাড় মেনে নিয়ে শুধু ছোট্ট করে নীল কে একটা চুমু দিয়ে উজানের কোলে ঘুমিয়ে পড়ে…😘😘
৩মাস পর:হিয়া ব্যালকুনিতে দাড়িয়ে বাহিরের বৃষ্টি দেখছে।হিয়ান আর নীল দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুম দিয়েছে..উজান এসে পেছন থেকে হিয়াকে ধরে..
উজান:তুমি গেলে না,মা দের সাথে জিনির আশীর্বাদ এর কেনাকাটা করতে।বাবাও তো গেলো..তোমার কিছু লাগবে না😊
হিয়া:এদের কে রেখে যাই কি করে।পড়ে তোমার সাথে গিয়ে কিছু কিনে নিবো😢
উজান:কিছু ভাবছো😐
হিয়া:হিয়ান বড়ো হলে ওকেও এভাবে আশীর্বাদ করে বিয়ে দিয়ে অন্য কারো কাছে দিয়ে দিবো😢
উজান:আমি পারবো না😡
হিয়া:এটা তো নিয়ম…আমি কি পারবো😡
উজান:আমি কখনো হিয়ান কে আর নীল কে ছাড়া এক রাত একা থাকবো ভাবলেও আমার গা কাটা
দিয়ে ওঠে।ওটা সম্ভব না।দরকার হলে হিয়ানকে বিয়েই দিবো না…😡😡
হিয়া:হুম ওরা বড়ো হোক দেখা যাবে😊
উজান:(হিয়াকে পিছন ঘুরিয়ে)সে না হয় দেখা যাবে…কিন্তু এখন যে আমার একটু চকলেট খেতে ইচ্ছে করছে😘😘
হিয়া:উমহুম এখন না রাতে😐
উজান:রাতে আমার ডিউটি আছে😊
হিয়া:এখন চকলেট দিলে কি দিবে আমায়😊
উজান:কি চাই এই ইডিয়ট টার😊
হিয়া:আমাকে আর পুচকু দের ঘুরতে নিয়ে যাবে😍😊
উজান:তাহলে আমার হিয়ার এখন ঘুরতে মন চাচ্ছে….কোথায় যাবে চলো😊
হিয়া:উমহুম…গেলে অনেক দিনের জন্য যাবো।তার পর এসে সব ডিউটি শুরু করবো😊
উজান:কোথায় যাবে😒
হিয়া:সবুজ বাড়িতে(এই গ্রুপ)অনেক দিন হলো তো ওদের সাথে কথা হয় না।ওদের সাথে দেখা করতে যাই না😊
উজান:বেশ গেলে তো আর খালি হাতে যাওয়া যায় না।কতোজন অপেক্ষায় আছে বলো তো আমাদের দেখবে বলে একসাথে।ওদের জন্য ভালো কিছু না নিয়ে গেলে হয়…😊😊
হিয়া:হ্যা তবে ওদের কে বলবো না আমরা আসছি।ওটা সারপ্রাইজ থাক…😊😊
উজান:হুম বছর টা শেষ হচ্ছে নতুন বছর টা শুরু হোক নতুন বছরে ওদের কাছে গিয়ে একটু ভালোবাসা নিয়ে আসবো😊
হিয়া:আমরা নেই তো কি হয়েছে.এখনো কি ওরা আমাদের কম ভালোবাসে..😊
উজান:হুম…এখন তাহলে আমার চকলেট😘
হিয়া:ধুরো…..(উজানের দুটো গালে হাত দিয়ে)..ভাবছি কিভাবে ডক্টরি পড়তে এসে নিজের গুরুজি কে বিয়ে করে নিলাম😂
উজান:হুম কখনো ভেবেছিলাম এর কম একটা ইডিয়ট কে আমি বিয়ে করবো😐সত্যি😊
হিয়া:কতো ঝগড়া মান অভিমান চলে যাওয়া হলো আবার কাছে আসা হলো😒
উজান:হুম শেষমেশ আমার মিসেস ব্যানার্জী হতে হলো তো😘😘
হিয়া:হুম তাও আবার সাথে দুটো পুচকু…😘😘
…..গল্পের শেষে উজান হিয়ার ঠোঁটে ঠোটঁ ডুবিয়ে দিয়ে হিয়াকে কোলে নিয়ে এসে হিয়ান আর নীলের পাশে দুজনে একে অপরকে বুকে জরিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে..
“”স্বপ্ন ডানা মেলে””
“”আজ ওরে মনের পাখি””
“”চোখে আশা রঙে””
“”ভালোবাসার ছবি আকি””
“”কালকে ছিলো জীবন””
“”বৃষ্টি ভেজা একদিন””
“”আজকে মনে শুধু স্বপ্নেরই রিমঝিম””
“”মেঘ ভাঙ্গা রোদ এসে””
“”যেনো বলে ভালোবেসে””
“”হবে মনে মনে মিল””
“”এখানে আকাশ নীল””
💙💙💙💙💙💙
❤️যারা আমার এই ফফ টা নতুন পড়লে তাদের কাছে জানতে চাই পুরো ফফ টা পড়ে কেমন লাগলো❤️