#আমি_মায়াবতী
#পর্ব_৪৩
#লেখনীতে_তাহমিনা_মিনা
মায়া চুপচাপ বসে আছে জানালার ধারে। মনটা তার ভীষণই খারাপ। এতো শুভ একটা কাজে কি এমন হলো যে সবকিছু নতুন করে শুরু করতে হচ্ছে?আম্মা, ফুপি,কাব্য,নানা-নানি সবাইকেই সে জিজ্ঞেস করেছে। কেউ তার কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। তার বিয়ের তারিখ পিছিয়ে গেছে। আবার সে শুনেছে কাবিন হবে না শুধু, সম্পূর্ণ বিয়েই হবে। তাকে নিয়ে যাবে কাব্যদের বাড়ি। মায়া খুব আশা নিয়ে বসেছিল বউ সাজার জন্য। এখন আবার নাকি ৬ দিন অপেক্ষা করতে হবে। কেউ তার কোনো প্রশ্নের জবাব দিচ্ছে না। নিজেকেই নিজে জিজ্ঞেস করে সে,সবকিছু ঠিকঠাক আছে তো?সবকিছু ভালোয় ভালোয় সম্পন্ন হবে তো? নাকি আবার কোনো নতুন ঝড় এসে এলোমেলো করে দিয়ে যাবে সবকিছু?
“মায়া, রেডি হয়ে নে তাড়াতাড়ি। সাবিহা আর রিজা তো সাজগোজ করছে। তোর ফুপি রেডি হয়ে বসে সবাইকে বকাঝকা করছে। এখন এসে যদি দেখে তুই কিছুই করিস নি, তাহলে তোকে কিন্তু খুব বকবে।”
সাগরিকার কথায় মায়া বলে, “কি এমন হলো আম্মা, যে আমাকে এতো তাড়াতাড়িই ঐ বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছো? তোমরাই তো বলেছিলে যে শুধু কাবিন হবে। এখন আবার কি হলো?”
সাগরিকা বুঝতে পারলো মায়ার মনের অবস্থা। কিন্তু সব কথা তো ওকে বলা যাবে না। তাই বললো,”আমিও জানিনারে মা। তোর বাবা বললো।”
“বিয়ের জন্য কি কোনো হল ভাড়া করেছে বাবা?”
“হ্যাঁ, কাব্যর বাবা আর তোর বাবা মিলে তিনদিনের জন্য ভাড়া করেছে। তোর গায়ে হলুদ ঐখানেই হবে। কাব্যকে হলুদ দিবে ওদের বাড়িতেই।ওদের বাড়িতো অনেক বড়। কিন্তু বৌভাত সেন্টারেই করবে।”
“অহ। তাহলে তো অনেক টাকাই খরচ হয়ে যাবে বাবার। কিছুদিন আগেই তো গ্রামে ঘর দিলো। এখন আবার এতো অনুষ্ঠান করে বিয়ে।বাবার উপর তো অনেক চাপ পড়ে যাচ্ছে মনে হয়।”
“তোকে টাকা নিয়ে ভাবতে কে বলেছে? চুপচাপ রেডি হয়ে নে।বৌভাতের দিন যে শাড়িটা পড়বি, সেটা কিনতে যেতে হবে। গয়নাও কিনতে হবে কিছু।”
“সিম্পল গয়না পড়বো বৌভাতের দিন আম্মা। বিয়ের দিনের গয়নাগুলো তো অনেক ভারি ভারি।”
“সেটা তোর ইচ্ছে। কিন্তু এখন রেডি হয়ে নে। সাবিহা আর রিজা চলে আসবে কিন্তু এখনই তোকে ডাকতে।”
“তুমি যাবে না আম্মা?”
“নাহ।”
“কেন?”
“মেয়ের মায়ের অনেক কাজ বুঝলি? মা হলে বুঝতে পারবি।তাছাড়া তোর নানা-নানিও তো যাচ্ছে। ঐ বাড়ি থেকে কাব্য, কবিতা আর কাব্যর দুই ফুপি আসবে।”
“অহ, আচ্ছা। কিন্তু তুমি গেলে ভালো হতো।”
“নিজের বিয়ে। তুই নিজে পছন্দ করে সবকিছু কিনবি। না হলে পরে ভালো না লাগলে সারাজীবন আফসোস করবি। বুঝলি?”
“ঠিক আছে।”
★★★
সাবিহার ইচ্ছে করছে হাউমাউ করে এখন কান্না করতে। মায়াও মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে। রিজা কোনো কথাই বলছেনা। কাব্যর বড় ফুপি আর তার মেয়ে নায়লা তাদের কথায় কথায় দামী দামী জিনিস নিয়ে খোঁটা দিচ্ছে৷ যেমন একটু আগে তারা এসেছে নিজস্ব গাড়িতে চড়ে। মায়ারাও এসেছে। কিন্তু তাদের তো একটাই গাড়ি। তাই তাদের নানা-নানি আর ফুপি অন্য গাড়িতে আসছে। এখনও এসে পৌঁছাতে পারেনি তারা৷ কাব্যরাও আসতে পারেনি জ্যামের কারণে। সেই সুযোগে কাব্যর ফুপি আর ফুপাতো বোন মিলে ওদের অপমান করছে। মায়া কিংবা সাবিহা দুজনই জানে কাব্যদের তুলনায় তাদের বাবার টাকা-পয়সা কমই আছে। কাব্যদের একটা বাংলো বাড়ি আছে সেখানে মায়াদের শুধু একটা ফ্ল্যাট। সেটা নিয়েও খোটা দিয়েছে মায়াকে। আর কাব্যর ফুপাতো বোন নায়লা তো বলেই বসেছে মায়াকে,”কি দেখে যে কাব্য তোমাদের মতো ঘরের মেয়েকে পছন্দ করেছে কাব্যই জানে। ওর রুচি যে এতো খারাপ আমরা জানতাম না। আমরা তো ভেবেছিলাম ও আমাদের মতোই কোনো বড়ঘরের মেয়েকে বিয়ে করবে।”
মায়ার ইচ্ছে করছে লজ্জায় মাটির সাথে মিশে যেতে। এইসব কথা যে সরাসরি কেউ কাউকে বলে সেটা জানা ছিল না তাদের।
“এই স্যরি স্যরি লেইট হয়ে গেলো। অনেক সময় ধরে বসে আছো তোমরা? আমরা আসলে জ্যামে পড়ে গিয়েছিলাম।”
মায়া কবিতার গলার আওয়াজ পেয়েই ছুটে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে। কাব্য ওর ফুপির কাছে যাওয়ার সময় দেখে কারো মুখেই হাসি নেই। ও মুহুর্তেই বুঝে যায় ফুপি ওদের কিছু বলেছে।ফুপিকে সালাম দিয়ে বসে মায়াকে বলে,”তোমার নানা-নানি আর ফুপি কই?”
রিজা জবাব দেয়,”ওরাও জ্যামে পড়েছে। সময় লাগবে আসতে।”
কাব্যর ফুপি বলে,”ওনাদের জন্য কি অপেক্ষা করবো নাকি এখন? টাকা তো আমরাই পেমেন্ট করবো চল পছন্দ করে কিনে ফেলি।”
কাব্য কিছু বলার আগে নায়লা বলে,”হ্যাঁ, সেটাই।শুধু শুধু অন্যের জন্য সময় নষ্ট করবো কেন?”
কাব্য বলে,”আমরা অন্যের জন্য অপেক্ষা করবো কেন?যাদের বিয়ে হচ্ছে, তাদের জন্য অপেক্ষা করবো।”
মায়া বলে,”সমস্যা নেই। ওরা চলে আসবে। আপনারা চলুন না। ”
নায়লা বলে,”হ্যাঁ, সেটাই চল কাব্য। ”
সবাই শাড়ির দোকানের দিকে এগুলে কাব্য মায়াকে জিজ্ঞেস করে,”কি হয়েছে মায়া? সবার মন খারাপ কেন?ফুপি কি কিছু বলেছে?”
“নাহ। কি সব আবোলতাবোল বলছেন আপনি? ফুপি আমাকে কেন কিছু বলবে? কেউ কিছুই বলেনি।”
“তাহলে এইরকম মন খারাপ করে আছো কেন?”
“কই মন খারাপ করে বসে আছি? আমি তো হাটছি। চলুন সামনে।”
সবাই মায়ার জন্য শাড়ি পছন্দ করছে। নায়লা একটা কমলা রঙের শাড়ি এনে মায়ার গায়ে জড়িয়ে বলে,”এইটা কেমন লাগবে? সুন্দর না?”
কাব্য জানে মায়া কি পছন্দ করে। মায়া তাকে বলেছে সে বিয়ের দিন লাল শাড়ি পড়বে আর বৌভাতের দিন কালো।কাব্যও যেন কালো পড়ে। কাব্য নায়লার কাছে গিয়ে ওর হাত থেকে শাড়িটা নিয়ে বলে,”নিঃসন্দেহে শাড়িটা সুন্দর।কিন্তু মায়ার এই রঙ পছন্দ না। মায়া বৌভাতের জন্য কালো শাড়ি পছন্দ করেছে। আমিও কালোই পড়বো। পুরো কাপল ড্রেস। ভালো লাগবে না?”
নায়লা কিছু বলার আগেই ওর মা বলে,”ছিহ! কালো কোনো রঙ হলো? বিয়ের জন্য কেউ কি কালো শাড়ি নেয়?ছেলেরা না হয় পড়ে কিন্তু কালো শাড়ি কেউ কিভাবে পড়ে?অশুভ রঙ।”
কবিতা এইবার বেশ রেগেই বলে,”ফুপি, যাদের বিয়ে হচ্ছে, তাদেরকেই না হয় সিদ্ধান্ত নিতে দাও। জীবনে তো বিয়ে একবারই করে মানুষ। তাই ওদের ইচ্ছেমতোই ওদের সবকিছু করতে দাও।”
কবিতার মুখের উপর ওর ফুপি আর কিছুই বলেনা। কারণ কবিতার জেদ সম্পর্কে তার ভালোই ধারণা আছে। এইখানে এই শপিংমলেও যে তার সাথে যে সে রাগারাগি করবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
মায়ার ইচ্ছে অনুযায়ী ওদের ড্রেস কেনা হলে রিজা বলে,”মা যে কেন আসছেনা। আমাদের জামা কখন কিনবো?”
কাব্যর ফুপি ব্যঙ্গ করে বলে,”আজকে মনে হয় আসবেও না। কাব্যকেই তোমাদের ড্রেস কিনে দিতে হবে। হ্যাঁ রে কাব্য, বিয়ের আগেই শ্যালিকাদের জামা-জুতো দিবি নাকি?”
“আমি থাকতে আমার নাতনীদের অন্যকেউ জামা-জুতো কেন দিবে?দিলেই বা আমার নাতনীরা নিবে কেন?ওদের এই নানার কি কম আছে নাকি কিছু? ”
সবাই পিছনে তাকিয়ে দেখে মায়ার নানা-নানি আর ফুপি এসেছে। ফুপি এসে রিজার মাথায় চাটি মেরে বলে, “ফোন ধরছিস না কেন?সাইলেন্ট করে রেখেছিস? ফাজিল মেয়ে।”
কাব্য ওর ফুপির সাথে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেয়। মায়ার নানা রিজা আর সাবিহার শপিংয়ের সব টাকাই পেমেন্ট করে। রিজা যেন কাব্যর ফুপিকে শুনিয়ে শুনিয়েই বলে,” নানাভাই, আমি তোমার বউ হতে রাজি আছি তোমার বড় বউ মেনে নিলেই হলো এবার।”
মায়ার নানি বলে,”আমার বুড়ো বরের পিছনে পড়েছিস কেন মেয়ে?”
“এই যে দেখছোনা, কত দামী দামী গিফট দিল আমাকে। বিয়ে হলে তো রোজই দিবে। কত রিচ একটা পারসন অথচ অন্যদের মতো শো-অফ করে বেড়ায় না। অনেক মানুষকে তো দেখি কোনো কিছু খরচ না করেই মুখেই শুধু ফটর ফটর করে।”
মায়ার নানা-নানি আর ফুপি কিছু না বুঝলে বাকিরা বুঝতে পারে কথার অর্থ। মায়া রিজাকে বলে,”চুপ কর তো। শুধু বাজে কথা।”
কাব্যর বড় ফুপি নায়লাকে বলে,”তোর ছোটখালা কে কল দে। আসছেনা কেন ও?”
“খালামনি জ্যামে আঁটকে আছে।কাছাকাছিই আছে। চলে আসবে।”
মেয়েদের সবার ড্রেস কেনা শেষ হলে সবাই কাব্যর জন্য কিনতে যায়। মায়ার শাড়ির সাথে মিল রেখেই ওর জন্যও কিনে। কাব্য টাকা পেমেন্ট করতে গেলে মায়ার নানা ওকে সেটা করতে দেয়না। তার একটাই কথা,”মায়ার বিয়ের শাড়ি,বৌভাতের শাড়ি তোমরা দিয়েছো। অন্তত তোমার একটা ড্রেসের দাম আমাদের দিতে দাও।”
কাব্য না নিতে চাইলেও মায়ার নানা জোর করেই দেয়। ঠিক সেই সময়েই কাব্যর ছোট ফুপি সেখানে আসে৷ ওর বড় ফুপি বোনের কাছে গিয়ে কিছু বলার আগেই মায়ার নানাকে দেখে ওর ছোট ফুপি বলে,”আসসালামুআলাইকুম স্যার, ভালো আছেন?”
মায়ার নানা সালামের জবাব নিয়ে বলে,”ভালো আছি মা। তুমি মিলি না? খুব ব্রাইট স্টুডেন্ট ছিলে তো তুমি। এখন কি করছো?”
“আমিও শিক্ষক স্যার। তবে আপনার মতো ভালো শিক্ষক না অতোটা।”
“কেউ কি কারো মতো হয় মা? সবাই নিজেদের মতোই হয়।”
“হ্যাঁ, তা তো অবশ্যই।”
“তুমি তাহলে কাব্যর ফুপি?”
“জ্বি,স্যার৷ আপনি মায়ার নানাভাই?”
“হ্যাঁ। ”
“ভালোই তো হলো। আমরা আত্মীয় হয়ে গেলাম এখন থেকে।”
কাব্যর বড় ফুপি বোনকে আড়ালে নিয়ে গিয়ে বলে,”লোকটার হাবভাব আমার মোটেও ভালো লাগেনা। কেমন যেন।”
“থামো তো তুমি আপু। উনি যথেষ্ট ভালো মানুষ। এইসব ভুলভাল কথা বলে উটকো ঝামেলা করবে না মোটেও।”
বড় বোনের এই আচরণ তার মোটেও ভালো লাগে না। কথায় বলে না, অলস মস্তিষ্ক শয়তানের আড্ডাখানা? বাড়িতে কোনো কাজ নেই, বড়লোকের বউ। বাইরেও কোনো কাজ করেনা। তাই সারাদিন একজনের বদনাম অন্যজনকে বলেই দিন পার করে। নিজে তো এমন হয়েছেই। মেয়েটাকেও এমন বানিয়েছে।
★★★
“আপনাদের ছেলে কিন্তু অনেক বুঝদার। আমার অবস্থাটা ভালোভাবেই বুঝেছে। কিন্তু আমি আসলে এতো তাড়াতাড়ি চাইনি মায়াকে অন্যের ঘরে পাঠাতে।” কাব্যর মা-বাবাকে কথাগুলো বলে রিজভী।
কাব্যর মা বলে,”চিন্তা করবেন না ভাই। মায়া আমাদের বাড়িতে মেয়ের মতোই থাকবে। ওর কোনো অযত্ন হবে না।”
“আমরা সেটা জানি ভাবি। তবুও আমরা খুব কম সময়ই ওকে আমাদের কাছে পেয়েছি। আপনারা তো সবকিছু জানেনই।”
“তাতো জানিই। কিন্তু ভাগ্যে যেদিন বিয়ে লেখা আছে, সেদিন তো বিয়ে হবেই।”
“হ্যাঁ, ভাগ্যের উপর কারো হাত নেই তো আর।”
“সেন্টারটা ভালোই বড়। তাইনা মায়ার বাবা? সবকিছু ফিক্সড তো? ডেকোরেশন এর লোক,ক্যাটারিং? ”
“হ্যাঁ, হ্যাঁ সবই ঠিক করা শেষ। আপনাদের দুই বেয়াইনকে শুধু দেখাতে নিয়ে এলাম। না হলে পরে আবার বলবে পছন্দ হয়নি। মায়েদের পছন্দ না হলে ছেলে মেয়েদের পছন্দ হবে না।”
কাব্যর মা ওর বাবার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বলে,”খোঁচা মেরে কথা বলবে না কিন্তু। ”
“যথাআজ্ঞা।”
কাব্য মায়ার বাবাকে রিকোয়েস্ট করেছিল যেহেতু এতো টাকা খরচই হচ্ছে, তাহলে এখন সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে। শুধু শুধু সামনের বছর করে কি লাভ। মায়া না হয় বিয়ের পর বাবার বাড়িতেই বেশি থাকবে। কাব্যর বাবারও পরিকল্পনা ভালো লেগেছিল। তাই সেও সায় দিয়েছে। বিয়ের তারিখও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে দূরের আত্মীয়রাও আসতে পারে। আজ মায়াদের শপিং করতে পাঠিয়ে বাবা-মায়েরা এসেছিল কমিউনিটি সেন্টার দেখতে।তারা গল্প করছিল ঠিক সেই সময় কাব্যর বাবাকে কল করে কাব্যর বড় ফুপি। কাব্যর বাবা একটু দূরে গিয়ে বোনের কল ধরতেই ওপাশ থেকে রাগান্বিত স্বরে বলে, “আমরা এতোটাই পর হয়ে গেছি যে এইরকম একটা মায়ের মেয়েকে বিয়ে করাচ্ছিস ছেলেকে। মেয়েটা না হয় তোর ছেলের মাথা খেয়েছে। তোদের মাথাও কি চিবিয়ে খেয়েছে নাকি যে তোরাও ছেলের কথামতো ঐরকম একটা মেয়েকে ছেলের বউ করছিস?আমাদের একবার জানালিও না। চুপিচুপি সব ঠিক করে ফেলেছিস। শোন, এই মেয়েকে ছেলের বউ করলে তোর সাথে সব সম্পর্ক এখানেই শেষ করবো।”
চলবে…..