সত্ত্বাহীন_আমরা #পর্বঃ৭ #বর্ষা

0
156

#সত্ত্বাহীন_আমরা
#পর্বঃ৭
#বর্ষা

নাতনি দেখতে নয় যেন বিয়ে খেতে এসেছে আমার শশুরবাড়ির লোক। চৌদ্দগুষ্টিকে বেঁধে নিয়ে এসেছে আমার শশুর। শাশুড়ি আম্মা আমার মেয়েটাকে কোলে নিয়ে স্বর্ণের লকেট পড়িয়ে দিয়েছে।মেয়েটাকে অনেক মায়াও দিয়েছে।মেয়ের নাম জ্যোতি রেখেছি শুনে খুশিও হয়েছেন বটে। তবে আমার শশুর আব্বা জ্যোতিকে কোলে তো নেয়নি বরং বলেছে,

“এতো লাল হইয়া যায় কেন এই মাইয়া?মাতবর তুই তোর মাইয়ারে বিয়া দিতার্বিনা দেহিস!”

মেয়েটা আমার দুধে আলতা গায়ের রং পেয়েছে।বড় হলে অবশ্য রং পরিবর্তন হয়ে ফর্সাতেই নিবদ্ধ হবে।মেয়েটাকে একটু ঝাপটে ধরতেই লাল বর্ণ ধারণ করে।নীল লিটমাস পেপারকে এসিডে ডুবালে যেমন লাল বর্ণ ধারণ করে তেমনি জ্যোতিকে ঝাপটে ধরলে সে দুধে আলতা রং ত্যাগ করে লাল বর্ণ ধারণ করে।

“আব্বা তোমার চিন্তা করতে হইবো না।আমার মাইয়ারে মাইনষে চাইয়া নিবো!”

জয় দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে বলে। তাদের কথোপকথন আমি পাশের ঘর থেকে বেশ শুনতে পাচ্ছিলাম।জয়ই জ্যোতিকে ওই ঘরে নিয়ে গেছে। শাশুড়ি আম্মা আমার পাশেই বসে আছেন।মায়ের মতো ভালোবাসা যে আমি তার থেকেই পাই।আম্মা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলেন।

“মাতবরের বউ শুনো তোমার শশুর ওমনিই একটু ঘাড় ত্যারা মানুষ। তুমি কিন্তু কষ্ট পাইয়ো না!”

“আপনারা তো আমার গুরুজন আপনাদের কথায় কি কষ্ট পেতে আছে?”

“না না।বুঝদার মেয়ে আমার!”

মনের কথা মনেই রইলো। শুধু মিথ্যের খোলসটাকে দৃঢ়ভাবে চালিয়ে দিলাম।সেই প্রশ্ন করলেন সেই উত্তর দিলেন,বাহ! অবশ্য আম্মার মুখ দেখে বোঝাই যাচ্ছে,তিনিও যে সেই জবাব দিতে গিয়ে বিচলিত এবং অনাগ্রহী। কিছুক্ষণ পর জয় ঘর আসায় আম্মা চলে গেলেন।জয় জ্যোতিকে আদর দিতে দিতে বললো,

“আমার আম্মা জানে এইসময়ের মাঝেই চারটা কাঁথা নষ্ট করছে!”

“বাচ্চারা জন্মের ছয়মাস পূর্ণ হওয়ার আগে করেই। রেহানা,রাহেলাও করতো!”

আমি জ্যোতিকে নিয়ে শুইয়ে দিলাম আমার নিকটে।নিজেও শুয়ে রইলাম।জয় বাইরে চলে গেলেন।রাত অনেক হয়েছে।এতো রাত অব্দি সচরাচর কেউ জাগে না।আজ আমার শশুরবাড়ির এতো লোক আসায় মানুষের হইহুল্লোড়ে সজাগ থাকতে হয়েছে। কিছুক্ষণ পর আব্দুর রহিম আসলো আমার ঘরে।হাতে ছোট একটা বাটি।কিছু হয়তো আছে।

“আপা এই নেও তোমার লিগা!”

বাটি আগিয়ে দেয় আব্দুর রহিম।গুটি দুয়েক রসমালাই। পছন্দের খাবার দেখলে কি আর শুয়ে থাকা যায়। ঝটপট উঠতে গিয়ে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা পেলাম।বাসায় দাই এনেই আমার ডেলেভারি করা হয়েছিলো।রাত দুইটা হয়তো এখন।ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম।

“আব্দুর রহিম এতো রাতে তুই জাগনা কেন?”

“আপা কি আর করমু কও।তোমার কথা সবাই ভুইলা গেছিল যে তুমি রসমালাই কত ভালোবাসো। নতুন আম্মায় তো সাফ সাফ না কইরা দিছে।সবাই ঘুমানোর পর পাকঘরের তালা খুইলা আনছি!”

“আব্দুর রহিম তুই চুরি করছোস?”

রসমালাই খেতে নিয়েও থামিয়ে দেই আমি।আমার আব্দুর রহিম চুরি করতে পারে এমন ধারণা আমার কখনোই ছিল না। আব্দুর রহিম আমার মুখে রসমালাই ঠুসে বলে,

“আপা এইডারে চুরি কয় না।এইডা আমগো হকের।আর আমরা আমগো হক কিল্লিগা ছাড়মু!আর রসমালাই আইজকা সন্ধ্যায় দুলাভাই আহার সময় আনছিল।”

“তাই বলে…”

“কি হয়েছে ঝর্ণা?”

জয় ঘরে প্রবেশ করতে করতে জিগ্গেস করে। আব্দুর রহিম বের হয়ে যেতে নিলেই জয় ওকে থামায়। আব্দুর রহিমের হাতে দশ টাকার একটা নোট গুঁজে দিতেই খুশিতে লাফিয়ে ওঠে সে।এই দশটাকায় কতকিছু খেতে পারবে সে এই ভেবেই আব্দুর রহিমের আনন্দ।জয় বুকে হাত গুজে বলে,

“শালাবাবু শুনলাম আপনিই মেয়ের নাম রাখছেন?”

“দুলাভাই কোন মেয়ে?বলেন ছোট্ট আম্মা!”

জয় মুচকি হাসে।ছেলেটা আগে এতো কথা জানতো না।কথায় কথায় কাদতো।আর এখন কতবড় হয়ে গেছে। বড়দের মতো কত কথা বলে।

চল্লিশদিন অতিক্রমের মাথায় চলে আসলাম ঢাকাতে। জীবনে আরেকটা ধাক্কা খেলাম। বাড়িওয়ালা খালা মরে গেছেন সপ্তাহকয়েক আগে।শুভ্রা আপাও দেশ ত্যাগ করছেন।চলে গেছেন তার বড় খালার কাছে। বাড়িটা শুধু ইটপাথরের বাড়ি রেখে গমন করেছেন।খালার বলা যাওয়া কথাগুলো মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।চোখ বেয়ে বাঁধাহীন অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।আমি যে আরেক মমতাময়ীকেও হারালাম এর জ্ঞান আমার হলো। বুকের বামপাশে ব্যথা হতে লাগলো।এ ব্যথা হারানোর ব্যথা। মাথা ঘুরে পড়ে গেলাম।জ্ঞান ফিরলো ঘন্টাখানেক পর।ডাক্তার নাকি এসেছিল। অতিরিক্ত চিন্তায় আমার এ অবস্থা।জয় বাসা ছেড়ে দিলেন।আমি যদি এমনই অসুস্থ হয়ে থাকি তাহলে নাকি আমার জন্য রিস্ক হতে পারে!

আমি সুস্থ হওয়ার সপ্তাহ দুয়েক পরেই বাসা পরিবর্তন করলেন জয়। মেয়েটা আমার সারাদিন ঘুমায়।তাই সবকাজ একা হাতেই করতে পারি।কাজ কি আর!মেয়ের কাঁথা,নেকড়া ধুয়ে দেই।রান্না বান্না করি।মেয়েকে গোসল করাই।নিজে করি।এই যা।তবে জয় বলছে তৃশাকে নিয়ে আসবে।বাড়ির বড় ছেলের বড় মেয়ে সে।বিয়ে দিয়েছিল বছর দুয়েক আগে।একবছর হলো তৃশা বিধবা। পড়াশোনাও অতো করেনি।আর না অবিবাহিত তাই সমস্যা।বড়দা ওকে খাওয়াতো পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন!বাপ হয়ে বিধবা মেয়েকে খাওয়াতে পারবে না,হায় কপাল।তাইতো জয় নিয়ে আসতে চায় তৃশাকে।এতে মেয়েটাকে যদি তৃশা দেখে তাহলে আমি আবারও চাকরি নিবো। এতে জ্যোতির ভবিষ্যৎ গড়তে পারবো আর সংসার ভালো মতোই চলবে।

“আচ্ছা আপনি গ্রামে যাবেন কখন?”

“এইতো বের হচ্ছি!কিছু কি লাগবে তোমার?”

“না। সাবধানে যাবেন!”

জয় মেয়েকে আদর করতে নিতেই মেয়ে চুল ধরে ফেলে।জয় আম্মা আম্মা বলে কিছুক্ষণ ডেকে তারপর চুল ছাড়ায়।মেয়েটা যে হয়েছে না!একদম বাপ পাগলা।এইতো কয়দিন হলো এবাড়ি আছি। রুমি আপার সাথেই শুধু কথা হয়েছে। অনেক ভালো তিনি।তবে মানুষের সাথে মিশতে ভয় লাগে। বাড়িওয়ালা খালার মতো যদি সেও….না, না,না!

লঞ্চে উঠেছে জয় অনেকক্ষণ।ছাদে চেপে বসেছে সে।রাত্রের আকাশ অসম্ভব সুন্দর লাগে।আজ বৃহস্পতিবার আর কাল শুক্রবার।ছুটির দিনে চলে এসে শনিবার থেকে অফিস।বাসায় এখনো সে জানায়নি তার চাকরিটা চলে গেছে বলতে গেলে বাংলাদেশের ওই ব্র্যাঞ্চ বন্ধ হয়ে যাবে। অবশ্য জয়কে সুযোগ দেওয়া হয়েছে বহির্দেশে চাকরির। কিন্তু সে যে মেয়ে ছাড়া থাকতে পারবে না।তাই সুযোগটা ছেড়ে দিয়েছে। জমানো টাকা যা ছিল সব মেয়ে হওয়ার পরপরই খরচ করা হয়ে গেছে।সামনে কিভাবে চলবে এই চিন্তা ভর করেছে! অবশ্য ঝর্ণা যদি চাকরি পায় তবে এতো চিন্তা তাকে করতে হবে না।

লঞ্চে হালকা পাতলা কিছু খেয়ে নেয় সে। আকাশের অবস্থা ভালো না।বৃষ্টি আসতে পারে।বিধায় নিচ তলাতেই রইলো। নারকেল চিড়া কিনে খেল।লঞ্চে উঠলে প্রতিবারই সে এটা খাবেই। অসাধারণ খেতে।এতো খায় তবুও খাওয়ার ইচ্ছা দমে না।

জয় ভেবে নিয়েছে মেয়ে আরেকটু বড় হলেই মেয়েকে নিয়ে সে লঞ্চ ভ্রমণ করবে।কত মানুষ,কত কিছু। শুধু নদী আর নদী।জয়ের ইচ্ছে করে তার ছোট বেলায় ফিরে যেতে।সে যখন ছোট ছিল তার আব্বা তাকে পড়াবে বলে সাফ ইনকার করে দিলেও মায়ের সহযোগীতায় সে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছিল।তারপর চাকরির কথা বলে ঢাকায় চলে আসা। এবং চাকরির পাশাপাশি শুধু পরীক্ষার সময় পরীক্ষা দেওয়া।এভাবেই জয় হয়েছিল ইন্টারপাশ। যাইহোক,জয়ের তার ছোট বেলার কথা মনে পড়ে।সে তখন বছর চারেকের।তার বড় ভাই যখন মাছ ধরতে যেত তখন তাকে সঙ্গে নিয়ে যেতো।তো একদিন মাছ ধরতে ধরতে তার বড় ভাইয়ের তার কথা মনে ছিলনা।জয় তো কিনারায় ঘুমিয়ে ছিল।ওর ভাই ওকে রেখেই চলে যায়।সেদিন সে কি কান্নাটাই না করেছিল।ইশ,সেদিন তার ভাই আম্মার কাছে অনেক মারও খেয়েছিল বটে।তবুও ভাই জয়কে জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চেয়েছিল।আর এখন….!ভাই ভাইয়ে সম্পর্ক নড়বড়ে।যেকোনো সময় এই নড়বড়ে সম্পর্কের বাঁধনে ক্ষুণ্ন হতে পারে।

“কিরে মাতবর জয় কেমন আছস?”

অতিপরিচিত কারো গলা শুনে পেছনে তাকায় জয়।এ যে তার বাল্যকালের বন্ধু সুমিত।ছেলেটা তার বাপের চাপে পড়ে ক্লাস এইটেই পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছিল। আলহামদুলিল্লাহ তাও তো জয় মায়ের সহযোগীতায় এবং অদম্য ইচ্ছায় পড়াশোনাটা করতে পেরেছে।জয় তার বন্ধুকে জড়িয়ে ধরে।

“আমি তো ভালোই।বেটা কেমন আছিস?”

“এইতো ভালোই আছি!গ্রামে যাস?”

“হ রে।তোগো ভাবী চাকরি নিবো। মাইয়ারে দেখভাল করার লিগা তৃশারে নিয়া আসমু!”

“শালা বিয়াও করছোস দাওয়াত দিলি না!”

দু বন্ধু এভাবেই খোশগল্প করতে থাকে।সুমিত কিছুক্ষণ উঠে যেতে নেয়।জয় জিজ্ঞেস করতেই জানায় যে সে তার মেয়েকে আনতে গ্রামে যাচ্ছে।বউকে একপাশে বসিয়ে এসেছে।মেয়েটা ওর দাদাবাড়িতেই থাকে।শহরে গিয়ে ওরা জামাই-বউ মিলে চাকরি করেছে।সব তো মেয়ের জন্যই! কিন্তু ওর আব্বা নাকি সেই পাঁচ বছরের
মেয়ের জন্য পাত্র দেখছে। অদ্ভুত হলেও সত্যি যে বৃদ্ধ চাননা তার ছেলে একটা মেয়ে নিয়েই থাকুক।তাই ছেলের অগোচরেই নাতনির বিয়ের পেছনে পড়েছেন।

রাত্রি দশটা বাজে।গ্রামে দশটা মানে অনেক রাত। তবুও আব্দুর রহিমদের ঘরে আলো জ্বলছে। নতুন আম্মা আজ যা করেছে তা তারা কখনোই ভুলতে পারবে না। তাদের সাথে অনেক অন্যায় করলেও তারা ভেবেছিল রকিবুলের সাথে নতুন আম্মা কিচ্ছুটি করবো না।ভাবনা ভুল ছিল।রহিমা যখন কাপড় ধুয়ে ঘাট থেকে ফিরছিল।তখন দেখতে পায় রকিবুল মাটিতে পড়ে কাঁদছে।সে যেই না এগিয়ে যেতে নিবে তার পূর্বেই মুমুর্ষ এক দৃশ্য তার দৃষ্টিগত হয়।উপমা বেগম রকিবুলের বুকে পা দিয়ে আঘাত করতে নিবে তার পূর্বেই রহিমা চেঁচিয়ে ওঠে।

“আম্মা”

উপমা বেগম ভয়ে ভয়ে একবার রহিমার দিকে তাকিয়ে চলে যায়।রহিমা জানতে পেরেছে এই মহিলা আবারও গর্ভবতী হয়েছে।তাইতো তার এরূপ আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে।রহিমা কাপড়গুলো দড়িতে ঝুলিয়ে রকিবুলকে কোলে নিতেই মেজ বোনের কোলে ঘাপটি মেরে শুয়ে থাকে রকিবুল।যেই ভাইবোনের কোলে সে আসতেই চাইতো না,আজ সে কতটা ভয় পেলে এভাবে আছে বোঝা মুশকিল। রকিবুল দু’বছরে পা দিয়েছে। দৌড়াদৌড়ি করে এটা ওটা এখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে।কি দুষ্টুমিই না করে!

আব্দুর রহিম স্কুল থেকে এসে ছোট ভাইকে রহিমার কোলে দেখে অবাক হয়। জিজ্ঞেস করে,

“আপা, রকিবুল তোমার কোলে?”

রহিমা সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বলে। আব্দুর রহিম প্রচন্ড ক্ষেপে যায়।ভাইকে কোলে নিয়েই দিনটা পার করে।আব্বা বাসায় আসতেই সম্পূর্ণ ঘটনা তাকে বলে। কিন্তু রাজিব মিয়া ছেলের কথা বিশ্বাস করেন না। বলেন,

“আব্দুর রহিম মিথ্যা কথা কবের থেকে বলতে লাগছো?আমি জানি তোমরা তুমগো আম্মারে মানতে পারো নাই।তাই এমন কথা কইবা! ছিঃ”

আব্দুর রহিম অবাক দৃষ্টিতে রাজিব মিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।চোয়াল শক্ত হয়ে আসে তার।আম্মায় বললে সব সত্যি আর তারা কিছু বললেই মিথ্যা! তাদের আব্বা আর তাদের নেই এটাই সত্যি।ঘরে এসে দেখে রকিবুল কোলেই ঘুমিয়ে গেছে। কিন্তু তাকে কিছুই খাওয়ানো হইনি।তাই তাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে ভাত মেখে খাইয়ে দেয় রহিমা। রোকেয়া ভাইকে নিয়ে খেলবে তার পূর্বেই আব্দুর রহিম হুংকার দেয়,

“রোকেয়া, রেহানা, রাহেলা ভালো মাইনসের মতো পড়তে বয়।নয়তো খবর আছে।আমি রকিবুলরে ঘুম পাড়াইয়া আইতাছি!”

“ভাই এহন তো আটডা/নয়ডা বাজবো মনে হয়।এহন ঘুমাই?”

“খাই আর ঘুমাই কইলেই হইবো না। তোর আম্মা বাইচ্চা নাই ভুইলা গেছোস?আর আব্বা হে থাইকাও নাই! তাই নিজের ভবিষ্যৎ নিজে বানা!”

রোকেয়া ভাইয়ের কথা মাথা নাড়ে।তারপর পড়তে বসে। অনেকক্ষণ পড়ে বলতে দশটা পর্যন্ত বই হাতে বসে থাকে।কুপি একটু পরই নিভে যায়।ওরা সবাই ঘুমাতে চলে যায়। আব্দুর রহিম এখন বড়দের মতো আচরণ করে যেন সে সবই বোঝে।বড় বোন থেকে শুরু করে সবার খেয়াল রাখার চেষ্টা করে।সবার পছন্দ অপছন্দের খবর রাখে।যেন সেই সব ভাই-বোনদের বড় হয়।

ইনশাআল্লাহ চলবে,
(বিঃদ্রঃ ভুল-ত্রুটিগুলো মার্জনার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here