#ভালোবাসিবো_খুব_যতনে
#Ayrah_Rahman
#part_29 ( বউজান)
__________________________
” শুভ সকাল বউজান ”
সকালের সূর্যের আলো টা চোখে পড়তেই ঘুম টা হালকা হয়ে গেলো , চোখ বন্ধ থাকতে ই মনে হচ্ছে কানের কাছে ধক ধক আওয়াজ টা বেশ তীব্র গতিতে চলছে , কিসের আওয়াজ সেটা ঠাওর করতে পারছি না , খানিকটা নড়েচড়ে উঠলাম , পিটপিট করে চোখ খুলে বোঝার চেষ্টা করছি আমার অবস্থান ,
হঠাৎ কারো ঘুমো ঘুমো কন্ঠে সকালের শুভেচ্ছা কার্নোগোচর হওয়ায় মাথা উঁচু করে তাকালাম তার দিকে , সকালের প্রথম মিষ্টি আলো উনার চোখে মুখে পড়ছে, মুখে লেগে আছে অসম্ভব মিষ্টি হাসি, সদ্য ঘুম থেকে উঠার জন্য ফর্সা মুখ আর চোখ খানিকটা ফুলে আছে , খোঁচা খোঁচা দাড়ি তে ভীষণ মায়াবী লাগছে তার মুখ , এক কথায় সুপুরুষ যাকে বলে , উনাকে একটা উপাধি দিতে ভীষণ ইচ্ছে করছে , তা হলো ভয়ংকর সুন্দর , আমার গায়ের রং যেমন শ্যাম বর্ণ উনার ঠিক দুধে আলতা, এত দিন শুনে এসেছি দুধে আলতা গায়ের রং কমপ্লিমেন্ট টা শুধু মাত্র মেয়েদের জন্য কিন্তু আজ কেন জানি এই কমপ্লিমেন্ট টা উনার জন্যই যুতসই মনে হচ্ছে ,
” এভাবে তাকিয়ে থাকে না বউ , এতে আমার শ্বাসকষ্ট টা যেন দ্বিগুণ হারে বেড়ে যায় , শ্বাস নিতে ভীষণ কষ্ট হয় তো , এই যে এখানে ভীষণ কষ্ট হয় ! ”
নিজের বুকের বা পাশে হাত দিয়ে কথা টা বলে উঠলেন উনি , আমি চমকে উঠে চোখ ফিরিয়ে নিলাম , ছি ছি কি ভাবছিলাম এসব আমি !
চোরা চোখে আমার উনার দিকে তাকাতেই দেখি উনি আমার দিকে ঠোঁট কামড়ে তাকিয়ে আছে , আমি চোখ ফিরিয়ে নিলাম , যা দেখে উনি স্ব শব্দে হেসে উঠলো ,
আমি উঠতে নিলে খেয়াল হলো উনি আমাকে ঝাপটে ধরে আছে যা ফলে কিছু টা উঠে আবার উনার বুকের উপরেই পড়লাম
উনার বুকের উপর থেকে মাথা উঠিয়ে ভ্রু কুচকে উনার দিকে তাকালাম ,
” কি হচ্ছে! ছাড়ছেন না কেন ? আমি উঠবো! ”
উনি আরো শক্ত ভাবে আমাকে জরিয়ে ধরে চোখ বন্ধ করে বললেন,
” উঠো! মানা করেছি আমি? ”
আমি নাকের পাটা ফুলিয়ে বললাম,
” এভাবে জোকের মতো ধরে রাখলে উঠবো কিভাবে ? আপনি হাত সরান ”
” আমি তো আমার হাত সরাবো না পারলে উঠে দেখাও ”
” এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না , দেখুনন মন্ত্রী সাহেব … ”
উনি পিটপিট করে চোখ খুলে বললেন,
” দেখাও , আমি কি না করেছি নাকি? আমার হক আছে ! কি বলো তুমি? ”
বলেই ঠোঁট কামড়ে হেসে দু চোখ কুঁচকে বন্ধ করে ফেললেন ,
আমি ব্যপার টা ঠাওর করতে পেরে উনার নাক কুচকে বললাম,
” ছিইই… অসভ্য ! ”
উনি আমাকে ঝাপটে ধরে পাশ ফিরে চোখ বন্ধ করে শুলেন ,
” চুপচাপ শুয়ে থাকো যতক্ষণ না আমি উঠবো তুমিও শুয়ে থাকো আমার সাথে ”
” দেখুন এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না , আমার ঘুম শেষ আমি এখনই উঠবো ”
উনি ফট করে চোখ মেলে তাকালেন,
” তুমি উঠবে,? , ”
” হুম, ছাড়ুন ”
” ওকে তোমাকে যেতে দেবো বাট একটা শর্তে ”
আমি ভ্রু কুচকে বললাম ,
” শর্ত? কি শর্ত ? ”
” নাউ ইউ মিস মি ! ”
আমি চোখ বড়ো বড়ো করে বললাম ,
” কি বললেন? কিসস? নো, নেভার , কাভি নেহি ! ”
আমার কথা শুনে উনি ঠোঁট বেঁকিয়ে হেসে মাথা উচিয়ে আমার দিকে খানিকটা ঝুঁকে এলো , আমি তৎক্ষনাৎ ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললাম ,
গালে খোঁচা খোঁচা দাড়ির ছোয়া পেয়ে খানিকটা কেপে উঠলাম , বেশ লম্বা একটা কিস করে উনি আবার আগের মতো চোখ বন্ধ করে শুয়ে পড়লেন , আমি চোখ বড়ো বড়ো করে উনার দিকে তাকিয়ে রইলাম , এখন যা হলো ঠিক আমার মাথার ৩ হাত উপর দিয়ে গেলো , হঠাৎ মনে হলো , উনি কি আমাকে কিস করলেন! ভেতর থেকে উত্তর এলো , হেএএ ওই কারেক্টার লেস মন্ত্রী তোকে কিস করলো! আমি হা করে তাকিয়ে আছি , গালে হাত দিয়ে , রেস টা যেন এখানো কাটছে না ..
” কি হলো এটা ? ”
উনি চোখ বন্ধ করে ই উত্তর দিলো ,
” কিসস হলো ”
আমি কাঁদো কাঁদো গলায় বললাম ,
” কেন হলো? ”
উনি চোখ খুলে আমার দিকে ভ্রু বাকিয়ে তাকিয়ে বললেন ,
” শুকরিয়া আদায় করো , তোমার ওই কোমল গোলাপি ঠোঁট গুলো যে এখনো জীবিত আছে , আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে স্ট্রবেরি মনে করে খেয়ে ফেলতো ”
এতো টা সিরিয়াস ভাবে কথা টা বললেন উনি আমি প্রথমে খানিকটা ঘাবড়ে গেলেও পরবর্তী তে ব্যপার টা বুঝতে পেরে রেগে বললাম ,
” আপনি কি জানেন! আপনি যে লিমিট লেস অসভ্য লোক ”
উনি খানিকটা ভাব নিয়ে বললেন ,
” ইয়েস আই নোওও ”
আমি রেগে বললাম ,
” আপনি কি ছাড়বেন? ”
” না ”
” শেষ বারের মতো বলছি ছাড়বেন ? ”
উনি নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বললেন,
” কাভি নেহি ”
” এখন যা হবে তার জন্য আমি দায়ি নই ” বলেই উনার উন্মুক্ত বুকের বা পাশে ঝুকে কামড়ে ধরলাম , যত ঝাঁজ আছে সব একসাথে ঢালতে লাগলাম ,
উনি প্রথমে আমার কাজে খানিকটা হকচকিয়ে গেলে ও পরবর্তী তে মুচকি হেসে আলতো হাতে জরিয়ে ধরলো ,
প্রায় মিনিট ৫ পর আমি মুখ তুলে উনার দিকে তাকালাম ,
কোন নড়চড় না দেখে অনেক টাই বিরক্ত আমি , পুনরায় কামড়ের স্থানে চোখ যেতেই আমার চোখ আপনাআপনি ই বড় হয়ে গেলো ,
হায় আল্লাহ, এটা আমি করছি ,? কামড়ের জায়গায় রক্ত জমাট হয়ে রক্ত বেরিয়ে গেছে প্রায় প্রত্যেকটা দাঁত গর্ত হয়ে রক্ত বেরিয়ে পড়েছে,
রেগে দিয়েছিলাম ঠিকই কিন্তু এতো টা আহত হবে ভাবতে পারি নি , ফর্সা লোম হীন বক্ষে কামড়ের দাগ টা জ্বলজ্বল করছে , আমি আলতো হাতে ছুয়ে দিলাম , উনি চোখ খুলে আমার দিকে তাকিয়ে ভ্রু বাকিয়ে বললেন ,
” এতো অল্প তেই ঝাঁজ শেষ ? রাগ না কমলে আরেক পাশ খালি আছে ওটাতে ও দিতে পারো , আই ডোন্ট মাইন্ড ”
আমি মুখ উচিয়ে বললাম ,
” ব্যথা লাগে নি? ”
” উহুম একটু ও না , ভেতরের ব্যথা থেকে বাইরের ব্যথা নিতান্তই ঠুকনো ব্যপার , তবে জানো তো , তোমার দেওয়া বাইরের ব্যথা কিছু টা হলেও ভেতরের ব্যথা কমিয়ে দিতে পেরেছে , তাই তুমি একটা ধন্যবাদ প্রাপ্য বাট একটা কথা কি জানো! আমি বেশ অবাক হয়েছি ”
” কি ? ”
” আমি তো যাস্ট কিস চেয়েছিলাম তুমি তো লাভ বাইট দিয়ে দিলে , ইউ আর সোওও এডভান্স বউজান ”
আমি বিরক্তিকর দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললাম ,
” দুনিয়াতে কত পাগল দেখেছি , আপনার মতো এমন পাগল বিশ্বাস করেন আমি আমার বাপের জন্মে দেখি নি , গত আধা ঘণ্টা যাবত এমন পাগলামির মানে কি? ”
” ঠিক আছে ঠিক আছে , ছাড়বো , আগে একটা প্রমিস করতে হবে ”
আমি চোখ ছোট ছোট করে বললাম,
” কি প্রমিস? ”
” আগে বলো রাখবা! ”
” আগে আপনি বলেন কি প্রমিস ”
” না হলে ছাড়ব না , আজকে সারাদিন এভাবে ই থাকতে হবে , বুইঝো কিন্তু আমার কোন সমস্যা নেই ”
” ঠিক আছে ঠিক আছে রাখব বলেন ”
উনি হাতের বাধন আলগা করতে করতে বললেন ,
” এখন থেকে আমি যা বলব তাই করতে হবে না হলে শাস্তি হিসেবে ইউনিক কিছু ই থাকবে ”
আমি দীর্ঘ শ্বাস ফেলে উঠে বসতেই উনি লাফ দিয়ে উঠে দৌড়ে ওয়াসরুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে ফেলল ,
আমি চোখ বড়ো করে চিৎকার দিয়ে বললাম ,
” এটা কিন্তু ঠিক না , বের হোন আপনি , আমাকে দেরি করিয়ে এখন নিজে আগে ঢুকছেন , এটা দুর্নীতি ”
তাহরিম ওয়াসরুমের দরজা লাগিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বুকের ক্ষত টা পর্যবেক্ষন করছে , কামড়ের চারপাশে বেশ অনেক খানি জায়গা ফুলে গেছে , চিনচিন ব্যথাও করছে ,
তা দেখে তাহরিম মুচকি হেসে হাত দিয়ে আলতো হাসে জায়গা টা স্পর্শ করলো ,
পানি লাগার সাথে সাথে ই জায়গাটা জ্বলে উঠলো , তা অনুভব করে তাহরিম ঠোট কামড়ে হেসে উঠলো, লোকে দেখলে নির্ঘাত পাগল বলবে তাকে ,
আমি বিরক্ত হয়ে বিছানা গুছাতে লাগলাম , পুরা জঙ্গল বানিয়ে রাখছে ,
বিছানা গুছিয়ে কাপড় রেডি করে বিছানায় বসে আছি উনি বের হলে তারপর ঢুকবো কিন্তু উনার তো বের হবার নাম গন্ধ ও নেই ,
” এই আপনার হয় নি? বের হোন না কেন? ছেলে মানুষের এত দেরি লাগে নাকি? ”
হঠাৎ উনি ওয়াসরুমের দরজা একটু ফাঁক করে আমার দিকে তাকিয়ে বলল ,
” এই বউজান! ”
আমি ভ্রু কুচকে তাকালাম ,
” আবার কি? ”
“কাবার্ড থেকে একটু তোয়াল টা দাও না! ”
আমি অন্য দিকে ঘুরে বললাম ,
” পারব না , নিজে নিয়ে গেলেন না কেন? আমি এখন দিতে পারব না , নিজের টা নিজের এসে নিয়ে যান ”
” জান পাখি দাও না , তোমার ওয়ান এন্ড অনলি হ্যান্ডসাম জামাই ভেজা শরীরে দাঁড়িয়ে আছে, ঠান্ডা লাগবে তো , দিয়ে দাও ”
আমি ঘাড় ঘুরিয়ে ভ্রু বাঁকিয়ে তাকালাম উনার দিকে,
এক পলক উনার দিকে তাকিয়ে আশেপাশে কিছু খোঁজার চেষ্টা করে বললাম ,
” হ্যান্ডসাম কাকে বলছেন? এক মিনিট..
আপনি নিজেকে হ্যান্ডসাম বলছেন না তো? হুয়াট অ্যা জোক ব্রো ”
বলেই উঠে কাবার্ড থেকে উনার তোয়ালেটা হাতে নিলাম ,,
” সব কিছু ই বুঝলাম বাট ব্রো আই মিন ভাই কাকে বললে তুমি? আমি কি তোমার ভাই হই ? ”
আমি তোয়ালে দিতে দিতে বললাম ,
” এই ভাই সেই ভাই না ভাই.. এতো কথা না বলে তাড়াতাড়ি বের হোন , বলেই আমি চলে এলাম ,
উনি পিছনে থেকে বলে উঠলো ,
” কাবার্ডে দেখো আমার এ্যাস কালার পাঞ্জাবি টা বের করে রাখো ”
বলেই দরজা বন্ধ করে দিলো ,
আমি দীর্ঘ শ্বাস ফেলে পাঞ্জাবি বের করে বিছানায় রাখলাম ,
প্রায় ৩ মিনিটের মাথায় উনি শুধু একটা পাজামা পড়ে ওয়াসরুম থেকে বের হলেন , আমি এক পলক উনার দিকে তাকিয়ে ওয়াসরুমে ঢুকে গেলাম ,
গোসল শেষে শাড়ি কোন রকম পেচিয়ে রুমের মাঝে উকি দিলাম , যাক কেউ নেই ,
দরজা টা ভালো ভাবে লাগিয়ে যেই পিছনে ফিরতে যাবো দেখি উনি কথা বলতে বলতে বেলকনি থেকে রুমের মধ্যে ঢুকলো , ভাগ্য ভালো ছিলো যে শাড়ি টা পেচিয়ে নিয়ে ছিলাম , ভেবেছিলাম রুমে এসে শাড়ি টা পড়ব নয়তো ওয়াসরুমে ভিজে যাবে,
উনি ভ্রু কুচকে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
” লুঙ্গির মতো পেচিয়ে কি শাড়ি পড়া যায় নাকি ? এত কিছু পারো আর এটা পারো না , ইডিয়ট ! ”
বলেই ফোন টা বিছানায় রেখে আমার সামনে এসে দাড়ালো , আঁচলে ধরতেই আমি এক কদম পিছনে গিয়ে বললাম,
” না না আপনার হেল্প লাগবে না আমি পারব , আপনি বরং বেরিয়ে যান ”
” আর ইউ সিউর তুমি পারবে? ”
” হুম ”
উনি গিয়ে বিছানার উপর পায়ের উপর পা তুলে বসে বলল,
” ঠিক আছে পড়ো ”
আমি চোখ বড়ো বড়ো করে বললাম ,
” আপনি বের হোন, বসতে বলি নি , আমি এখন শাড়ি পড়ব ”
” তো পড়ো, আমি কি ধরে রাখছি নাকি?
” বের না হলে পড়ব কিভাবে ? ”
আমার কথা শুনে উনি নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বললেন,
” তোমার কাছে দুটো অপশন , এক আমি তোমাকে শাড়ি পড়িয়ে দেবো , দুই তুমি এখন আমার সামনে শাড়ি পড়বে , ইচ্ছে তোমার , যেকোনো একটা বাছাই করতে পারো ”
আমি কাদো কাদো দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকালাম , এই কোন মুসিবত , কি করব এখন !
কিছু ক্ষন ভাবার পর ও কোন উপায় না পেয়ে মিনমিনে কন্ঠে বললাম,
” ঠিক আছে আপনি ই পড়াই দেন , শাড়ি পড়ার সময় এমন ডেবডেব করে তাকিয়ে থাকলে শান্তি লাগবে না তার চেয়ে বরং আপনি ই কাজ করুন ”
উনি মুখে বিশ্ব জয়ের হাসি নিয়ে এগিয়ে এলেন ,
যদিও আমার ব্লাউজ ফতুয়া টাইপ, একদম পেট পর্যন্ত ঢাকা তবুও জীবনের প্রথম কোন পুরুষ মানুষের ছোঁয়া , অস্বস্তি তো লাগবেই, লাগাটাই স্বাভাবিক ,
উনি হয়তো আমার অস্বস্তির কারণ টা বুঝতে পেরেছেন তাই কোন রকম ফাইজলামি ছাড়াই সুন্দর করে শাড়ি পড়িয়ে দিলেন এবং খুব তাড়াতাড়ি , আমি ততটা সময় চোখ খিচে বন্ধ করে রেখেছিলাম , তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো , আমার মনে হয় নি পুরো টা সময়ে উনার হাত আমার শরীর স্পর্শ করেছে ,
কুচি ধরে বললেন ,
” নাও এটা ধরো ”
আমি কুঁচি ধরতেই উনি ঝুকে শাড়ির কুচি গুলো ঠিক করে দিতে লাগলেন ,
কুচি ঠিক করে বললেন ,
” নাও এবার গুঁজো ”
সব শেষ করে আমাকে নিয়ে আয়নার সামনে দাড়া করালো ,
” দেখো তো তোমার জামাই কেমন শাড়ি পড়ালো? ”
আমি এক পলক আয়নায় চোখ বুলিয়ে উনার দিকে তাকালাম ,
” বাহ্ বেশ সুন্দর করে শাড়ি পড়ান তো! কবে শিখলেন ? আই থিংক গার্ল ফ্রেন্ড ছিলো মনে হয় ! ”
উনি ড্রসিং টেবিল থেকে চিরুনি নিয়ে আয়নার দিকে তাকিয়ে ভ্র নাচিয়া হেসে বললেন ,
” হুমম ছিলো তো, এখনো আছে , সময় হলে ঠিক দেখা করাবো তোমার সাথে , আমার গার্ল ফ্রেন্ড সেই সুন্দরী , তোমার থেকে ও ”
বলেই আমার চুল গুলো সুন্দর করে আচরিয়ে মাঝ বরাবর সিঁথি করে দিলো
” নাও পারফেক্ট ভেজা চুল তাই আর বাধলাম না , ”
উনি আমার দিকে তাকিয়ে মোবাইল হাতে নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলো৷,
আমার মাথায় এখনো একটা কথায় বেজে চলেছে ,
” উনার গার্লফ্রেন্ড আছে! ”
চলবে..
[ আজকে বিশাল বড় একটা পার্ট দিলাম , তাই কমেন্ট গুলো ও বিশাল বিশাল হওয়া চাইই বুঝলে বাচ্চারা 😉]