মন_কেমনের_বৃষ্টি #পর্ব_৩৬ #পুষ্পিতা_প্রিমা

0
339

#মন_কেমনের_বৃষ্টি
#পর্ব_৩৬
#পুষ্পিতা_প্রিমা

মেয়েটির কথা শোনে না এরা বাপ মেয়ে। মেয়েটির রাগ হয়। অভিমান হয়। সে সারাক্ষণ বকবক করলে ও কেউ কানে নেয় না। না বাবা না মেয়ে। তার দোষটা কোথায়?
অভিমানে তার কান্না পায়। প্রচুর কান্না পাচ্ছে এই মুহূর্তে ও । খেতে ডাকছে তা ও আসছেনা। কিভাবে বললে আসবে।
মেয়েটি ধীরপায়ে হেঁটে ছেলেটির পিছু এসে দাঁড়ায়। ছোট্ট বাচ্চা মেয়েটি ডাকছে হাত বাড়িয়ে, বৃততি আয় আয় আয়।
আচমকা মেয়েটির দুচোখ জলে টলমল করে উঠল। কিন্তু সে কিছু বুঝে উঠার আগে ছেলেটি ছোট্ট বাচ্চা মেয়েটিকে কোলে নিয়ে নেয়। তার পাশ কেটে চলে যায়। বাচ্চা মেয়েটি যেতে যেতে বলে, বববো না কুথা বববো না। তা তা। তা তা। আমমমা নাই। নাই। নাই। বৃততি নাই।
মেয়েটি দাঁড়িয়ে থাকে তার জায়গায়। গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ল দুফোটা জল অভিমানে, অবহেলায়। তার দোষটা কোথায়?
সে আজ শাড়ি পড়েছে খুব সুন্দর করে কিন্তু ছেলেটি একবার ও ঘাড় ফিরিয়ে দেখল না তার দিকে। সে কি খুব অসুন্দর? অসুন্দর হলে বিয়ে করল কেন?

____________________

মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে বাইরে। খান বাড়িতে লোকজনের সমাগম। ভীড় করেছে মানুষ ইশা নামের মেয়েটির চিরযাত্রা দেখতে।পরিবেশ থমথমে। থেকে থেকে ভেসে আসছে কান্নার আওয়াজ। সবাই দেখছে ছোট্ট একটি বাচ্চা মেয়ে হাঁটছে গুটিগুটি পায়ে। মাথার চুলগুলো উসকোখুসকো। টান টান ভাব পুরো মুখে। কাঁদছে তাই। একটা মহিলা তাকে ডাকল,
‘ বাবু এদিকে এসো। কাঁদছ কেন?
অন্য একটি মহিলা বলে উঠল।
‘ এ মেয়েটির মা বোধহয় সে।
পরী তার মুখ নিয়ে চেয়ে রইল মহিলাগুলোর মুখের দিকে। মহিলাটি তার তাকানো দেখে বলে, মা নেই তাই কাঁদছ। এদিকে এসো।
পরী হাত দেখিয়ে বলে, আমমা নাই। আমমা নাই।
মহিলাটি বলেন, আমমা কাঁদিয়েছে?
পরী মাথা উপর নিচ করে জানান দেয়। আমমমা দুক্কু। আমমা নাই। নাই।
খান বাড়ির সদর দরজা পেরিয়ে হুড়মুড় করে ডুকে পড়ে একটি ছেলে। পরী তাকে দেখার সাথে চেঁচিয়ে কেঁদে দেয়। উপরের তলা দেখিয়ে বলে, আমমমা নাই, রিইইই আমমমা নাই! আমমা ঘুমমম।
রিইইই শক্ত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকে। পরী গিয়ে শক্ত করে তার পা দুটো জড়িয়ে ধরে। কোলে নেওয়ার জন্য হাত বাড়িয়ে বলে, রিইইই আমমমা নাই?
রিপ কোলে তুলে নেয় মেয়েটিকে। শক্ত করে চেপে ধরে। মেয়েটির ঘাড়ের কাছে চেপে ধরে নিজের চোখ। চাপা আর্তনাদে ভেসে গেল পুরো বাড়ি। দুজন বৃদ্ধ লোক কাঁদে। রিক বসা এলোমেলো, মুনা আর নীরা সামলাতে ব্যস্ত সবাইকে। মেঝেতে উত্তর দক্ষিণ করে শোয়ানো সাদা কাপনে মোড়ানো একটি লাশ। মুখটা খোলা। নাকে গুজা তুলো। মেয়েটির মাথার কাছাকাছি মেয়েটির মাথার কাছে শুয়ে আছে একটি ছেলে। ছেলেটির চুলগুলো এলোমেলো। কেউ একজন এসে হঠাৎ ছেলেটিকে বলল,
‘ আদি ওকে নিয়ে যাওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে। উঠে পড়।
আদি উঠে। কিন্তু ওই কাফনে মোড়ানো মেয়েটির হাত খুঁজে নেয়। নিজের হাতের মুঠোয় ঠান্ডা হাতটি নিয়ে বলে, না আমি কোথাও যাব না। মিষ্টি ও কোথাও যাবে না।
কিন্তু কে শোনে কার কথা। সবাই তাকে ছাড়িয়ে নেয়।
রিপ আর রিক ডুকতে চায় সেই রুমে। অনুরোধ করার মত করে কয়েকটা মহিলাকে বলে, একবার শেষ দেখা?
বলা শেষ করতে না করতেই বৃদ্ধ মহিলাটি চেঁচিয়ে উঠে।
‘ স্বামী ছাড়া আর কেউ দেখতে পাবে না।
রিপের কোল থেকে নেমে যায় পরী। দৌড়ে যায় শুয়ে থাকা মেয়েটির কাছে। মুখের উপর থেকে সাদা কাফন সরিয়ে টুপ করে চুমু খেয়ে ডাকে, আমমা আয়।
আমমা উঠে না। শোনে না তার মায়ের ডাক। বাচ্চা মেয়েটি শুয়ে থাকা মেয়েটির চোখদুটো আঙুল দিয়ে খুলে ফেলার চেষ্টা করে । চোখদুটো এতটা ঠেসে আছে,খুলছেই না। তখন আমমা দুষ্টুমি করে যখন চোখ বন্ধ করে থাকত তখন পরী আঙুল দিয়ে খুলে ফেলার চেষ্টা করত। তখন একটু একটু চোখ খুলত,আমমা খিক করে হেসে চোখ খুলে ফেলত। কিন্তু আজ কেন খুলছে না? পরী দুমদুম বাড়ি খায় মেঝেতে কপাল ঠেকে। ডাকে, আমমা পরররী নাই? নাই? আমমা পরীইই দুক্কু। দুক্কু।
কিছুক্ষণ পর খাটিয়ার উপরে তুলে নেওয়া হয় মেয়েটির নিথর দেহ। খাটিয়ার উপরে দিয়ে দেওয়া হয় তার লাল টকটকে বিয়ের শাড়ি। খাটিয়া কাঁধে তুলে নেয় দুইভাই এক মামা। আর স্বামী।
স্বামীর দুচোখ স্থির। হোঁচট খাচ্ছে কিছুক্ষণ পর পর। ছোট্ট একটি বাচ্চা মেয়ে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে তার দাদার পা। কেঁদে কেঁদে মাথা নেড়ে নেড়ে বলে,
‘ না না না না। আম্মা দাবে না না। আম্মা আমমমাল। আমমমাল। আমমা আয়। আমমমাল আমমমা। ইনননা আমমমাল।
যখন দেখল দাদা শুনছেনা। তখন গেল রিকের কাছে। পা আঁকড়ে ধরল শক্ত করে। কেঁদে কেঁদে ডাকল,
‘ পাপপপা আমমমা আমমমাল। দাবে না। দাবেনা। আমমা দাবে না। আমমা আমমমাল।
বাচ্চা মেয়েটির গলার স্বর ধরে যায়। ভেঙে যায়। বসে যায়। রিক ও কাঁদে মেয়ের সাথে সাথে। রিপ ও কাঁদে। অন্য ছেলেটি কাঁদে না। বাচ্চা মেয়েটি দৌড়ে যায় রিপের কাছে। পা জড়িয়ে ধরে মাথা এলিয়ে দিয়ে ডাকে,
‘ রিইইই আমমাল আমমমা। আমমা আমমাল। আমমমা পরররীর।
রিপ ফুঁপানোর জন্য কথা বলতে পারেনা। হাত দুটো দিয়ে খাটিয়া ধরা। তাই বাচ্চা মেয়েটিকে সরাতে ও পারছে না।
বাচ্চা মেয়েটি চোখ তুলে দেখে রিইইই ও কাঁদছে তাই সে ছেড়ে দেয় রিইইইকে। দৌড়ে যায় ওই স্থির চাহনির ছেলেটির কাছে। শত অভিযোগ, অভিমান,অবহেলার কষ্টের বাণী শোনায় তার আবববাকে। বলে,
‘ আববা রিইই দুক্কু। পাপপা দুক্কু। দাদ্দা দুক্কু। আমমমা ও দুক্কু।
ছেলেটি শুধু তাকিয়ে থাকে কিছুটা দূরে মাটির দিকে। মেয়েটি তার পা ঝাকিয়ে বলে,
‘ আবববা আমমমা আমমমাল। আমমা পরীররর। আমমমা দাবে না। আমমমা আমমাল। আববা আমমা নাই?
একটা লোক এসে কোলে নিয়ে নেয় মেয়েটিকে। মেয়েটি চিৎকার করে ডাকে, আমমমমা আয়।
মেয়েটির কান্নায় কাঁদে চারপাশ। কাঁদে আশেপাশের লোকজন।
মেয়েটির হাত পা ছুড়ে ডাকে।
‘ আবববা আমমা আমমমাল। পরীর আমমমা। ইশআআা আয়। আমমমা আয়। আমমাল ফিপি। আমমমাল আমমা।
তাকে কোলে নেওয়া ছেলেটির হাতে কামড় বসিয়ে দেয় সে। বৃষ্টি জলে ভেজায় আর কথা বলতে পারছেনা। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে ডাকছে, আমমমি দাবো। আমমমা আমমমি দাবো।
ছেলেটি নামিয়ে দেয় তাকে। ততক্ষণে খাটিয়া চলে গিয়েছে বহুদূর। আমমা চলে গিয়েছে। আমমমা চলে যাচ্ছে। পরী দৌড়ে বৃষ্টি জলে ভিজে ভিজে। পরী তার মিনমিনে গলায় বৃষ্টির উপর রাগ দেখিয়ে বলে,
‘ বৃততি যাহ। আমমমা আয়। আমমমা আয়।
আচমকা পাথরের উপর হোঁচট খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে পরী। রক্তে লাল হয়ে যায় সেই পাথর। রক্ত ধুয়ে মিশে যায় মাটিতে। পরী মাথা এলিয়ে দেয় পাথরের উপর। হাত বাড়িয়ে ডাকে, আমমা আয়য়।
আমমমা আমমমা ডাকতে ডাকতে পরী অজ্ঞান হয়ে যায়। আমমা তাকে কোলে নিতে আসেনা। আমমা তাকে আদর করতে আসেনা। আমমা কোলে নিয়ে গালে আদর দিয়ে বলেনা ,
‘ মা টা কি বেশি দুক্কু পেয়েছে?
বলেনা কেউ। আসেনা কেউ। কোলে নেয়না কেউ।
চারপাশ নিস্তব্ধ। বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ শুধু। আজ খুব একা পরী। আজ পরী এতিম। আজ আমমমা নেই আর তার।
ছোট্ট পরীর জ্ঞান ফিরতে ফিরতে তা মা চলে গেল মাটির নিচে। আর ছোঁয়া যাবেনা। মারা যাবে না। লালা লাগিয়ে দেওয়া যাবে না। আদর করা যাবে না। রাগ দেখানো যাবে না।

কবরে মাটি দিতে দিতে আদি উচ্চারণ করে, ঘৃণা আমি তোমায়। তুমি কষ্ট দিয়েছ আমাকে। আমার সন্তানকে। তুমি পাষাণ মিষ্টি। তোমার জন্য আমি কাঁদব না। আমি ভালো থাকব। আমি ভালো থেকে তোমাকে দেখাব। তুমি দেখবে। তুমি দেখবে আমি কতটা ভালো আছি। আমি তোমার মতো না। আমি কষ্ট দেব না আমার সন্তানকে। তুমি হৃদয়হীন মিষ্টি। হৃদয়হীনদের ক্ষমা হয়না।

মিষ্টি যখন পুরোপুরি তার চোখের আড়াল হয়ে যাচ্ছে তখন আচমকা সে পাগলামি শুরু করল।
‘ এই রিপ এভাবে ডেকে দিস না। মিষ্টিকে দেখা যাচ্ছে না তো। আমি দেখব না। ওর সাথে যে আমার অনেক হিসেব বাকি। অনেক কথা বাকি। এভাবে ঢেকে দিলে আমি কথা বলব কিভাবে? এভাবে ঢেকে দিস না। এটুকু কষ্ট না দিলে কি চলে না। সব তো মেনে নিয়েছি।
রিপ হাতের কব্জি দিয়ে চেপে ধরে তার দুচোখ। বলে,
‘ এটা হয়না আদি।
আদি মাটিগুলো হাত দিয়ে সরিয়ে দেয়। বলে,
‘ সব হয়। মিষ্টি সব পারে। তাহলে আমি পারব না কেন? এরকম থাক। আমি ওর সাথে কথা বলব। তোরা যাহ।
রিপ তাকে ঠেলে দেয়।
‘ পাগলামি করিস না আদি।
আদি তার হাত দিয়ে সরায় মাটি। বলে,
‘ এমন করছিস কেন? মিষ্টি ও তো এমন করে। সবাই করে। সবাই আমার সাথে এমন করে কেন?
রিক এসে টেনে নিয়ে যায় আদিকে। আদি চুপচাপ আর কিছু বলেনা। চেয়ে থাকে ওই কবরের দিকে। বৃষ্টি থামে ধীরে ধীরে। হঠাৎ করে অন্ধকার নেমে আসে চারপাশে। আদি ধীর পায়ে হেঁটে বসে কবরের কাছে। কবরের মাটিতে আঙুল দিয়ে মাটিতে দাগ বসিয়ে লিখে মিষ্টি, পরী।
ছোট্ট বাচ্চা মেয়েটির ঠোঁট কেটে রক্ত ঝড়ছে। বাচ্চা মেয়েটি কাঁপা কাঁপা পা হেঁটে হেঁটে আসে কবরের কাছে। হাতের মুঠো দিয়ে চোখ কচলে কচলে। রিপ আর রিক দৌড়ে যায়। বাচ্চা মেয়েটি তাদেরকে ছুঁতে দেয় না। কবরের কাছে বসে মাটি ছুঁয়ে ডাকে, আমমমা দুক্কু। পররী দুক্কু।
নিজের ঠোঁট দেখিয়ে দেয়। বলে, আমমমা এততো দুক্কু। পরীই দুক্কু। আমমাল আমমা।
আদি পরীর দিকে চেয়ে থাকে। গর্জন করে আচমকা সে ডেকে উঠে,
‘ মিষ্টি তুমি মেরেছ আমার মেয়েকে আর এখন ঘুমোচ্ছ? আরামে ঘুমোচ্ছ তুমি? উঠো। আমার মেয়েকে আদর করে দাও। ওর চোখ মুছে দাও। ওর কষ্ট দূর করে দাও। ওর ঠোঁট কেটে গেছে। ওর কষ্ট হচ্ছে। মিষ্টি তুমি মরে গিয়েছ, শান্তিতে আছ। আর আমাকে মেরে গিয়েছ। আমাকে নরক যন্ত্রণায় রেখে গেছ। আমার কষ্ট হচ্ছে। আমি ও মারা যাচ্ছি মিষ্টি। মারা যাচ্ছি আমি। পরী কবরের কাঁচা মাটির উপর কান পেতে শুনে বলে, আমমমা কুথাইইই? আমমমাল আমমমা কুথাইই। আমমমা পরীইই দুক্কু। আমমমা।
হঠাৎ আচমকা দূরে কোথাও এক বজ্রপাত ঘটে। আদি দেখে পরীর কান্না থেমে গেছে। সে দুহাতে কান চাপা দিয়ে জড়িয়ে ধরে পরীকে। চিৎকার দিয়ে উঠে।
জোড়াল শ্বাস নিতে নিতে এলোমেলো ভাবে বলে, মিষ্টি কেন চলে গেলে? কেন?

মাঝরাতে মেয়েটির ঘুম আপনাআপনি ভেঙে গিয়েছে। তাই সে ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে ছিল তার পাশে ঘুমন্ত ছেলেটির দিকে। ছেলেটি আচমকা তাকে এভাবে জড়িয়ে ধরবে সে ভাবতে ও পারেনি। হয়ত দুঃস্বপ্ন দেখেছে? নয়ত অন্যকিছু?
আদি শক্ত করে জড়িয়ে ধরে মেয়েটিকে। যেন ছেড়ে দিলেই হারিয়ে যাবে। মুখ তুলে দেখে মেয়েটির মুখ। দুহাতের আগলে ধরে সেই মুখ। এলোপাথাড়ি চুমু দেয়। তারপর আবার শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। মেয়েটি লজ্জায় চোখ খুলে তাকাতে পারেনা। আদি শক্ত করে জড়িয়ে ধরে নিজের দুচোখ, মুখ মেয়েটির ঘাড়ের কাছে। চোখের পানি লেপ্টে যায় মেয়েটির গলায়,ঘাড়ে।
মেয়েটি অবাক হয় তার এমন আচরণে। চুলের ভেতর হাত দিয়ে বিলি কেটে দিতে দিতে বলে,
‘ অবশেষে আমার সাধনা স্বার্থক ডক্টর আদি চৌধুরী। এবার পরীকে ছুঁতে দেবেন তো? আমাকে মা ডাকতে দেবেন ?
আদি চুপ হয়ে শোনে মেয়েটির কথা। আচমকা ডুকরে উঠে। মাথা তুলে দেখে মেয়েটিকে। হুট করে ছেড়ে দেয়। দূরে এসে বসে। তার পাশে ঘুমন্ত বাচ্চাটিকে কোলে তুলে নিয়ে গালে আদর দিয়ে বলে,
‘ পরী শুধু আমার আর মিষ্টির মেয়ে। তুমি মিষ্টি নও। পাষাণ। হৃদয়হীনরা কখনো মা হতেই পারেনা।
ছোট্ট বাচ্চা মেয়েটি ঘুমের মাঝে নড়েচড়ে উঠে। বিড়বিড় করে বলে,
‘ আমমমমালল আমমমা। আমমমাল। পরীর।

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here