#ভালোবাসিবো_খুব_যতনে
#Ayrah_Rahman
#last_part
___________________
প্রায় চার বছর পর…
রাত প্রায় আট’ টা। তাহরিম এখনো বাড়ির বাহিরে, তালুকদার বাড়ির সবাই সোফার রুমে বসে খবর দেখছিলাম। আমার যেমন টেনশন হচ্ছে তার চেয়ে ও বেশি আনন্দ হচ্ছে।
” বাবাহহ ”
হঠাৎ ছোট্ট প্রাজ্ঞের ডাক শুনে দরজার দিকে তাকালো সবাই। ক্লান্ত শরীর নিয়ে তাহরিম দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। পূর্ণা আর তাহরিমের ছোট্ট ছেলে তাহমিদ তালুকদার প্রাজ্ঞ।
আমি কোল থেকে ছেলেকে নামাতেই
ছেলেটা গুটি গুটি পায়ে দরজার দিকে এগিয়ে গেলো। তাহরিম হাঁটু গেড়ে বসে ছেলেকে কোলে তুলে গালে চুমু খেতে খেতে সোজা ভেতরে প্রবেশ করলো। বাপ যে হারে ছেলেকে চুমু দিচ্ছে ছেলেও একই হারে বাপ কে চুমু দিচ্ছে।
আমি ভ্রু কুঁচকে বাপ বেটার পিরিতি দেখছিলাম। ঘামে ভিজে জুবুথুবু অবস্থা হয়ে আছে তাহরিমের, এতোক্ষণ হয়তো কেন্দ্রেই ছিলো।
আজ নতুন করে সংসদ নির্বাচন হয়েছে। আর উনি এবারেও মন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত।
আমি উঠে রান্নাঘরে চলে গেলাম।
তানজিম দৌড়ে গিয়ে তাহরিম কে জরিয়ে ধরে বলল,
” কনগ্রেচুলেশন নিউ মন্ত্রী সাহেব, আমি জানতাম আমার ভাইকে কেউ টপকাতে পারবেই না! ”
তাহরিম প্রাজ্ঞের দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে তানজিমের দিকে তাকালো,
” এভাবে লাফাচ্ছিস কেন? বিয়ে করেছিস কয়দিন পর বাচ্চার বাপ হবি এখনো তোর লাফানো যায় না! ”
তানজিম ভ্রু কুঁচকে তাহরিমের দিকে তাকিয়ে বলল,
” বিয়াই হই আমি তোমার, সম্মান দিয়ে কথা বলো। আর দরকার হলে বাপ বেটি মিললা লাফামু, শত হোক আমার মেয়ে নাম করা তালুকদার বাড়ির বড় বউ হবে, একট্রা টেলেন্ট তো থাকবেই! তাই না বউ! ”
বলেই মেহবুবার দিকে তাকিয়ে চোখ মারলো, বেচারী মেহবুবা পারে না তো মাটি খুঁড়ে ভিতর ভেতরে ঢুকে যায়। বেচারীর এমনিতেই লজ্জা বেশি অল্পতেই গাল দুটো লাল হয়ে যায় তার উপর তানজিমের এমন বিহেভ!
আমি ট্রে তে শরবত নিয়ে ড্রয়িং রুমে প্রবেশ করতে করতে বললাম,
” হয়েছে হয়েছে এতো নাটক করতে হবে না আগে আমার ছেলে টাকে বড় হতে দাও, আর তানজিম, আমার বোন টাকে যেখানে সেখানে লজ্জায় ফেলবে না ”
তানজিম মাথা দুলিয়ে বলে উঠলো,
” জোওও হুকুম ভাবিজান ”
” এই যে আমার বিয়াই মশাই কোথায়? মিষ্টি তো আমরাও পাওনা, শত হোক ছেলের শশুর বাড়ি বলে কথা ”
দরজা থেকে চেনা কন্ঠ শুনতে পেয়ে সবাই দরজার দিকে তাকালো,
রুদ্র ভাই আর ইলমি দাঁড়িয়ে আছে, রুদ্র ভাইয়ের কোলে রুদ্র ভাই আর ইলমির একমাত্র ছেলে রওশান তালুকদার। বয়স তার সবে তিন হলো। আর ইলমির কোলে মিনি মানে আমার ছোট্ট বিল্লি টা। আমার কাছে থেকে মিনি কে নিয়ে ওই এতোদিন দেখাশোনা করতো।
” আমি তো তাহরিম ভাইয়ের ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ে দেবো তুমি বরং অন্য কোন মেয়ে দেখো রুদ্র ভাই ”
রুদ্র খানিকটা এগিয়ে এসে তানজিম এর মাথায় টোকা দিয়ে বলল,
” তোর মেয়েকে আমার বাড়ির বউ করব না যাহ, আমি তো তাহরিমের মেয়েকে ছেলের বউ করবো ”
তাহরিম ভ্রু কুঁচকে রুদ্রের দিকে তাকালো,
” আমার মেয়ে আসলো কোথ থেকে? ”
রুদ্র সোফায় বসতে বসতে বলল,
” ওমা নেই তো কি হয়েছে, হবে তো, তখন বিয়ে করাবো”
তাহরিম বিরবির করে বলল,
” সে গুড়ে বালি ”
আমাদের কথার মাঝে মা আর বাবা হলেন নিরব দর্শক।
আমি একে একে মা, বাবা, তানজিম, মেহবুবা, রুদ্র ভাই আর ইলমি কে শরবত দিলাম, হাতে একটা গ্লাস নিয়ে এগিয়ে গেলাম তাহরিম তালুকদার এর দিকে।
হাতে গ্লাস টা দিয়ে প্রাজ্ঞ কে কোলে নিতে গেলে তাহরিম আমাকে পাশ কাটিয়ে গিয়ে বাবার পাশে সোফায় বসলেন।
বেশ অনেক ক্ষন আড্ডার পর,
বেশ রাত হয়েছে বলে তানজিম আর মেহবুবা নিজেদের ঘরে গেলো। মেহবুবা এখন ছ’মাসের প্রেগন্যান্ট। ডাক্তার বলেছে মেয়ে বাবু হবে। তাই তার এতো লাফানো।
রুদ্র আর ইলমি ও দোতলায় রুমে গেলো।
মা ও উঠে নিজের রুমে চলে গেলো। আমি ওরা দুজনের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ শ্বাস ফেলে নিজের রুমে গেলাম। এখানে এখন থাকা মানে নিজের ইজ্জত নিজে খোয়ানো।
বাবা শরবত খাওয়া অফ করে আড় চোখে তাহরিমের দিকে তাকালো। ছেলে তার পাশে বসা মানেই বেফাঁস কথা বলা, এক বিন্দু বাপ বলে তো দাম ই দেয় না উল্টো এমন এমন কথা বলবে যে বাপ হয়ে নিজেই লজ্জায় পড়ে যায় অথচ এই বেহায়া ছেলের কিছু ই হয় না।
তাহরিম প্রাজ্ঞের দিকে তাকিয়ে বাবার উদ্দেশ্যে বলল,
” শরবত টা শেষ করো, এমনিতেই তো শরীরে শক্তি নাই তার উপর বাঁধিয়েছো ডায়বেটিস, আবার চিনি দেওয়া শরবত ও খাচ্ছো, এমন বুড়োকে কি মন্ত্রী তাহরিম তালুকদারের মা পছন্দ করবে? লুক আমার মা কতটা এট্রাক্টিভ, বিউটিফুল আর গর্জিয়াস আর তুমি! ভুঁড়ি ওয়ালা কাকু, মানায়! বলো? ”
প্রথম কথা গুলো জোরে বললেও পরের কথা গুলো বেশ আস্তেই বলল তাহরিম যা শুধু মাত্র বাবার কান পর্যন্তই পৌঁছালো।
বাবা শরবত খাওয়া থামিয়ে চোখ বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে ধরে বলল ,
” এই বেয়াদব ছেলে! আমি তোর বাপ হই বন্ধু না। আমার তো মাঝে মাঝে সন্দেহ হয় তাহরিম! তুই কি আসলেই আমার ছেলে তো? আমি তো এতো বেহায়া ছিলাম না, তুই কই থেকে এমন লাগাম ছাড়া হলি? ”
তাহরিম বাবার কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বলল,
” আমি কার ছেলে সেটা তো আমার থেকে ভালো তোমার জানার কথা মিস্টার তাপস তালুকদার! বাট আই হেভ এ গভীর প্রশ্ন ”
তাপস তালুকদার ভ্রু কুঁচকে ছেলের দিকে তাকালো,
” কি? ”
” আমার তো এখন সন্দেহ হচ্ছে! আসলে আমি তোমার ছেলে তো? ”
তাপস তালুকদার রাগী দৃষ্টি তাহরিমের দিকে তাকিয়ে বলল,
” কি বলতে চাস তুই বেয়াদব ছেলে! ”
” আমার কি দোষ! প্রশ্ন টা তুমি আগে করেছো! ”
” আমি তো কথার কথা বলেছি ”
” আমিও তো সিরিয়াসলি বলেছি ”
তাপস তালুকদার বসা থেকে উঠতে উঠতে ছেলের দিকে রাগী রাগী চোখ করে বলল,
” তুই থাক আমি ই গেলাম, ইজ্জত বাঁচানো ফরজ আর তোর সাথে থাকলে অকালেই আমার সেটা হারাতে হবে ”
তাহরিম ও বসা থেকে দাড়াতে দাঁড়াতে বলল,
” ছিইই মিস্টার তালুকদার, একজন বিশিষ্ট সমাজ সেবক, গুনী একজন মন্ত্রী, ইনোসেন্ট একটা ছেলেকে এতো বড় অপবাদ দিতে পারলেন! আপনার ঠোঁটে মুখে বাজলো না! আমি আপনার ইজ্জত নিয়ে টানাটানি করি? ছিইই ”
” এই শোন তাহরিম, তুই আমার বাপ না আমি তোর বাপ, একটা মানুষ এতো অভিনয় কিভাবে করতে পারে? হাউ ইজ দিস পসিবল? ”
তাহরিম সিরিয়াস হবার ভান করে বলল,
” বাবাআআআ ”
” বল ”
” তোমার আরেকটা নাতনি দরকার না? একটা হয়েও যেন ঘরটা কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগে, উমম এক কাজ করো, প্রাজ্ঞ কে তুমি রাখো ”
বলেই প্রাজ্ঞ কে তাপস তালুকদার এর কোলে দিয়ে সিড়ি উঠতে উঠতে বলল,
” বাবা প্রাজ্ঞ আজ তুমি তোমার দাদাভাই এর কাছেই থাকো আমি বরং তোমার খেলার সাথী আনার ট্রাই করি, কেমন! ”
প্রাজ্ঞ বাপের কথা কি বুঝলো জানা নেই তবে মাথা হেলিয়ে দাদার কাঁধে রাখলো, মানে সে দাদার সাথে ই থাকবে।
তাহরিম হাসলো, ছেলেটা হয়েছে একদম বাপের বাধ্যগত। বাপ যা বলে তাই।
তাহরিম তাপস তালুকদার এর উদ্দেশ্যে একটা ফ্লাইং কিস দিয়ে সিড়ি বেয়ে নিজের রুমে চলে গেলো।
বেচারা তাপস তালুকদারের কিছু বলার ভাষা নেই,
প্রাজ্ঞের দিকে তাকিয়ে বলল,
” দোয়া করি ভাই, তুই যেন তোর বাপের মতো হোস, তোর বাপ যেমন সারাটা জীবন আমাকে জ্বালালো তুই ও তোর বাপ কে জ্বালাবী! ”
বলেই নাতিকে নিয়ে নিজের রুমে চলে গেলো।
___________
পূর্ণ ওই যে দেখো তোমার পিছনে তেলাপোকা!
আমি ঘাড় ঘুরিয়ে তেলাপোকার দিকে না তাকিয়ে তাকালো তাহরিমের দিকে। ভ্রু কুচকে বলল,
” তোও আমি কি করবো? ”
তাহরিম ভ্যাবচ্যাকা খেয়ে গেলো, আমতা আমতা করে বলল,
” আবব না, বললাম আর কি! এখন কি করবে এটাকে? ”
আমি দীর্ঘ শ্বাস ফেললাম, দাঁতে দাঁত চেপে বললাম ,
“এক কাজ করি তেলাপোকা টা ধরে আপনার জন্য তেলের মধ্যে দিয়ে কড়কড়ে করে ভাজি করে আপনাকে পরিবেশন করি। কেমন? ”
আমার কথায় তাহরিম হকচকিয়ে উঠলো, ফলশ্রুতিতে তার কাশিও উঠে গেলো।
তার ধারণার ও বাইরের উত্তর ছিলো এটা।
কাশি থামিয়ে চোখ বড়ো বড়ো তাকিয়ে বলল,
” ইয়াক থুওও, কি জঘন্য কথা বার্তা! খাটাশ মেয়ে কোথাকার! ”
আমি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললাম,
” ইয়াহ আই নোওও ”
বলেই বিছানা ঠিক করতে লাগলাম,
তাহরিম বিরবির করে বলল,
” আনরোমান্টিকের বস্তা একটা ”
” আমি এমনই! ”
তাহরিম বিছানায় বসতে বসতে বলল,
” কোথায় ভাবলাম তেলাপোকা দেখে ভয় পেয়ে আমাকে একটু জরিয়ে ধরবা, একটু রোমান্স করবো! তা না, কি ঘোড়ার ডিম মার্কা কথা বলে মুডের চব্বিশ টা বাজিয়ে দিলা! ধুররর ”
আমি তাহরিমের সামনে গিয়ে কোমড়ে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে বললাম,
” শুনুন, আপনি ভুলে যাবেন না, একটার বাপ হয়েছেন, ক’দিন পর ছেলের বিয়ে দেবেন, এসব রোমান্সের ভুত মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে বিছানা ঠিক করে দিসি ঘুমান, বুড়ো বয়সে ভীমরতিতে পেয়েছে ”
তাহরিম হুট করেই আমার হাতে টান দিয়ে নিজের কোলের উপরে বসিয়ে কোমড় চেপে ধরে বলল,
” ঘরে এমন সুন্দরী আর মায়াবতী বউ থাকলে কি কেউ বুড়ো হয়, সবে তো একটা হলো, ডজন খানেক হোক তারপর না হয় বয়সের কথা চিন্তা করা যাবে! ”
আমি ভ্রু কুঁচকে উনার দিকে তাকিয়ে বললাম,
” প্রাজ্ঞ কোথায়? ”
উনি আমার ঘাড়ে নাক ঘষতে ঘষতে বলল,
” বাবার কাছে ”
আমি কিছু বললাম না…
” বউ ”
উনার এমন নেশাক্ত কন্ঠে কেঁপে উঠলাম,
” হুমম ”
” আজকের রাত টা আমার করে দিবি বউ? ”
উনার হাত টা খানিকটা আলগোছে ছাড়তেই আমি দৌড়ে বেলকনিতে এসে দাড়ালাম, বুকের মাঝে কেমন যেন মন্দিরের ঘন্টার মতো বেজে চলল। কি ভিষণ অস্থিরতা। শ্বাস প্রশ্বাস যেন ক্রমশই পাল্লা দিয়ে ভারী হয়ে চলল। তাকালাম দুর ল্যাম্পোস্টের আলোতে।
উনি রুমের লাইট অফ করে আমার পিছনে এসে দাড়ালো, অন্ধকারে উনার শক্ত পোক্ত হাত রাখলো আমার পেটের উপর যার শীতলতা কাপড়ের উপর থেকে ই টের পাচ্ছি আমি, অন্তর্দেশ কেঁপে উঠলো খনেখনে।
এ কেমন বাজে অনুভূতি!
আমার হাত ধরে ঘুরিয়ে নিজের দিকে ফিরিয়ে বেলকনির রেলিঙের সাথে চেপে ধরলো। আমি মাথা নিচু করে আছি, উপরে তাকানোর সাহস কেন যেন হচ্ছে না।
” বউ ”
“………….”
” তাকা না আমার চোখের দিকে ”
” নাহ ”
” এমন তো নয় যে আজ আমাদের প্রথম রাত! এতো লজ্জা পাচ্ছো কেন? ”
আমি তাকালাম উনার চোখের দিকে, জ্বলজ্বল করতে থাকা চোখের মনি উনার ভীষণ ভাবে টানে আমায়, তাকিয়ে থাকতে পারি না, চোখ জ্বালা ধরে। কিভাবে বোঝায় আমি তাকে?
” হাজার বছর পার হলেও আপনার প্রতি আমার অনুভুতি গুলো সেই প্রথম দিনের মতোই হবে মন্ত্রী সাহেব, সদ্য জন্ম নেওয়া অনুভূতিরা যেমন ছন্ন ছাড়া, বাঁধা হীন আপনার প্রতি আমার অনুভূতি গুলো ঠিক এমন ই বাঁধন হীন। আপনার ওই চোখে আমি যে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারি না মন্ত্রী সাহেব! এর জন্য কি আমার শাস্তি হওয়া উচিত? আমার চোখ গুলো কেমন বন্ধ হয়ে আসে, আপনার গায়ের গন্ধ কেমন যেন মাতাল মাতাল লাগে, নেশা ধরে যায়, এই অপরাধে কি আমার শাস্তি হওয়া উচিত? বলুন না মন্ত্রী সাহেব? ”
আমার আকুতি ভরা কন্ঠ শুনে উনি হাসলেন,
উনি মুচকি হেসে আমার আরোও কাছে আসলেন, মাঝে এক ইঞ্চি দুরত্ব ও অবশিষ্ট নেই। আমার কানের কাছে মুখ নিয়ে নেশাক্ত কন্ঠে বলে উঠলো,
” তোমার শাস্তি প্রাপ্য বউজান, আমাকে এতো বেশি ভালোবাসার শাস্তি, আমাকে আগলে রাখার শাস্তি, আমার চোখের মায়ার পড়ার শাস্তি, আমার গন্ধে মাতাল হবার শাস্তি, আমার জীবন টা এতো সুন্দর করে সাজিয়ে রাখার শাস্তি, আমার বাচ্চার মা হবার শাস্তি, আমাকে নিজের ভালোবাসায় বেঁধে ফেলার শাস্তি, তোমার জন্য আমার খেতে শান্তি নেই, বসে শান্তি নেই, ঘুমিয়ে ও শান্তি নেই, সব কিছু তোমার দখলে নেওয়ার শাস্তি তো তোমাকে পেতেই হবে বউ জান ”
কিছু টা থেমে.
আর তোমার শাস্তি হলো..
আমি ঘাড় ঘুরিয়ে উনার দিকে তাকালাম,
উনি মুচকি হেসে বললেন,
আমার একটা প্রিন্সেস লাগবে বউ, ঠিক তোমার মতো ”
আমি মাথা নিচু করে আছি,
উনি মাথা ঝুকিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
” আমি কি ধরেই নেবো নিরবতা সম্মতির লক্ষন! ”
উনি হুট করে আমাকে কোলে তুলে নিলেন, আমি চমকে তাকালাম উনার চোখের দিকে। কোলে তুলেই রুমের দিকে হাটা শুরু করলো।
…..আর ভেতরে যাবো না আমরা…..
সুখে থাকুক মন্ত্রী সাহেব আর পূর্ণার দুষ্টু মিষ্টি সংসার….
সমাপ্ত….
[ অনেকেই বলছিলেন গল্প টা যেন আরোও বড় করি কিন্তু একটা গল্প রাবারের মতো টানতে আমার ভালো লাগে না, নতুন নতুন চরিত্র নিয়ে লিখতে বেশ ভালো লাগে আমার। প্রথমেই ভেবেছিলাম গল্প টা সেড ইন্ডিং দিবো কিন্তু বেশির ভাগ রাজনীতি রিলেটেড গল্প গুলো সেড ইন্ডিং কিংবা মা*রা মা*রি থাকে, তাই আমি এইটায় এইসব না দিয়ে একটু ফানি আর রোমান্টিক করার চেষ্টা করেছি, জানি না কতটুকু সফল আমি, তবুও আপনাদের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি, আশা করছি আগামীতেও আমার পাঠক মহল আমার সাথে ই থাকবে।
আপনারা চাইলে এই গল্পের এক্সট্রা পর্ব দিতে পারি, তা সম্পূর্ণ আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে।
আল্লাহ হাফেজ ]