প্রনয়ের_দহন #Nusrat_Jahan_Bristy #পর্ব_৪৬

0
454

#প্রনয়ের_দহন
#Nusrat_Jahan_Bristy
#পর্ব_৪৬

ইশান চোখে মুখে পানির ঝাপ্টা দিয়ে আরশির দিকে তাকায়। চোখ দুটো লাল হয়ে আছে। চোখের সামনে বারবার ভেসে উঠছে তীরের কান্নারত চেহারা। চোখের সামনে ডান হাতটা নিয়ে এসে রা’গে মুঠো বন্দী করে নেয়। আজকে নিজের হাতে অতি প্রিয় মানুষটার গায়ে হাত তুলেছে। যাকে নিজের সবটা উজার করে ভালোবাসতে চেয়েছিলো সারাটা জীবনভর ধরে তাকে আজকে আ’ঘা’ত করেছে ইশান এই হাত দিয়ে। রা’গে দাঁতের চোয়াল শক্ত করে নিয়ে ইশান সজোরে আরশিতে ঘুসি মারে। নিমিষেই আরশি ভেঙ্গে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে নিচে পড়ে যায়। ইশানের হাত কেটে গেছে সাদা টাইলসে লাল র’ক্তে’র ফোঁটা দৃশ্যমানরুপে ফুঁটে উঠছে। তাতে ইশানের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই সে তো আছে অন্য মগ্নে বার বার তীরের মায়ের কথা গুলা কানে বাজছে। তার সাথে এটা করার কি খুব দরকার ছিলো তীরের মায়ের এতোটা কষ্ট কি করে সইবে সে। ইশান ওয়াসরুম থেকে এলোমেলো পায়ে বের হয়ে এসে ফ্লোরে বিধ্বস্ত অবস্থা বসে মাথাটা হেলিয়ে দেয় দেয়ালের সাথে আর চোখ বন্ধ করে অতিতে ডুব দেয়।

অতিত……

তীর আর ইশার রেজাল্টের পরের দিন। বিকেল বেলা ইশান গার্ডেন বসে অফিসের কিছু কাগজ পত্র চেক করছে। এমন সময় নিজের পাশে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে ইশান চকিতে তাকাতেই তীরের মাকে এমন সময় দেখে কিছুটা অবাক হয়ে বলে।

–আন্টি আপনি এখানে? মার সাথে দেখা করতে এসেছেন মা ভেতরেই আছে আপনি যান।

আয়েশা সুলতানা কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করে ভরাট কন্ঠে বলে।

–আমি তোমার মায়ের সাথে দেখা করতে আসে নি।

–তাহলে!

–তোমার সাথে দেখা করতে এসেছি।

–আমার সাথে।

–হুম।

–ঠিক আছে তাহলে বসুন।

আয়েশা সুলতানা ইশানের মুখোমুখি হয়ে বসে। ইশানের চিন্তা হচ্ছে হঠাৎ করে এভাবে ওনি ওর সাথে কেন দেখা করতে এসেছেন বুঝতে পারছে না? ইশানের ভাবনার মাঝে আয়েশা সুলতানা বলে উঠেন।

–তুমি কি কিচ্ছু লুকাচ্ছো ইশান আমার কাছ থেকে। যদি কিছু লুকিয়ে থাকো তাহলে বলে দাও।

ইশান কিছুটা অবাক হয় হঠাৎ এই কথা শুনে। কি লুকানোর কথা বলছেন আয়েশা আন্টি? ইশান কিঞ্চিৎ ভ্রু কুচ করে‌ বলে।

–ঠিক বুঝলাম না আন্টি আপনার কথাটা।

আয়েশা সুলতানা নিঃশব্দে হেসে বলে।

–আমি বোকা নই ইশান। আমি সবটাই বুঝতে পেরেছি। ঘাসে মুখ দিয়ে চলি না আমি।

ইশান কি বলবে ঠিক বুঝতে পারছে না। তবে অজানা ভ’য় জেগে উঠছে বুকের মাঝে। ইশান ঢোক গিলে কিছু বলতে যাবে তার আগেই আয়েশা সুলতানা বলে উঠেন।

–তোমার আর তীরের মাঝে কি কোনো সম্পর্ক আদৌ আছে নাকি সবটাই মিথ্যা।

ইশান চমকে উঠে ঠোঁট ভিজিয়ে কিছু বলতে‌ যাবে তার‌ আগেই আয়েশা সুলতানা ইশানের মুখের কথা কেঁড়ে নিয়ে বলেন।

–আমাকে বোকা বানানোর চেষ্টা করবে না ইশান যা বলবে সবটা সত্যি বলবে। আমি জাস্ট তোমার মুখ থেকে সত্যিটা শুনতে যাই। আমি যা ভাবছি সেটা সত্যি নাকি আমার মনের ভুল।

ইশান তপ্ত নিঃশ্বাস ছাড়ে আর কোনো লুকোচুরি নয়। এবার সত্যি বলার সময় হয়ে গেছে ভবিষ্যতে যা হওয়ার তাই হবে। ইশান আয়েশা সুলতানার চোখে চোখ রেখে বলে।

–হুম আমার আর তীরের মাঝে প্রনয়ের একটা সম্পর্ক আছে কিন্তু আন্টি বিশ্বাস করুন আমি আপনাদের বিশ্বাসের উপর আঘাত করতে চাই নি।

–কিন্তু আঘাত তো তুমি করে ফেলেছো‌ ইশান। তোমার উপর আমি ভরসা করতাম ইশান কিন্তু সেই ভরসাটা তুমি নিমিষেই ভেঙ্গে দিলেন। এটা তোমার কাছ থেকে আমি আশা করি না।

কি বলবে ইশান ভেবে পাচ্ছে না। সত্যি তো সে সেই ভরসা ভেঙ্গে দিয়েছে। কিন্তু সে তো যথাসম্ভব তীরের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রেখে থাকতো। তীরেই তো তাকে বাধ্য করেছে তাকে নিজের ভালোবাসাটাকে প্রকাশ করার জন্য। ইশানের মৌনতা দেখে আয়েশা সুলতানা পুনরায় বলেন।

–তুমি যদি ভেবে থাকো আমি তোমার আর তীরের সম্পর্কটা মেনে নিবো তাহলে তুমি ভাবছো।

ইশান চমকে তাকায় আয়েশা সুলতানার দিকে। সে তো আগে থেকেই জানতো এটা হবে কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি যে এমনটা হবে এটা বুঝতে পারে নি। আয়েশা সুলতানা আবারও বলেন।

–ওর বিয়ে আগে থেকেই ঠিক করা আছে ইশান। তাই আমি চাইলেও তোমার আর তীরের সম্পর্কটা মেনে নিতে পারবো না। আমি কারো কাছে অনেক আগে থেকেই ওয়াদাবদ্ধ হয়ে আছি সেই ওয়াদা আমি ভঙ্গ করতে পারবো না। তাই চাইবো সইচ্ছেতে তুমি তীরের জীবন থেকে সারা জীবনের জন্য সরে যাও।

ইশান এবার মুখ খুলে বলে।

–কিন্তু আন্টি আমি তীরকে ভালো…

ইশানকে থামিয়ে দিয়ে বলে।

–প্লিজ ইশান তোমার মুখ থেকে এই‌ কথাটা আমি শুনতে চাই না। আর তুমি যদি তীরকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বিয়ে করেও নাও তাহলে জেনে রেখো ওর সাথে আমাদের পরিবারের সকল সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে। তুমি নিশ্চয়ই চাইবে না দু দিনের ভালোবাসার জন্য জন্মদাতা পিতা-মাতার ভালোবাসা থেকে কোনো সন্তান বঞ্চিত হোক। এবার তুমি ভেবে দেখো তুমি কি করবে? তুমি বুদ্ধিমান একটা ছেলে তোমার সামান্য একটা ভুলের জন্য একটা পরিবার ধ্বং’স হয়ে যাক এটা নিশ্চয়ই তুমি চাইবে না।

ইশান কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। সত্যিই তো তার জন্য একজন সন্তান বাবা মায়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে যাবে। তার জন্য কারোর ওয়াদা ভঙ্গ হয়ে যাবে। একটা পরিবার ধ্বং’স হয়ে যাবে। এটাও তো সত্যি দু দিনের ভালোবাসা থেকে বাবা মায়ের ভালোবাসাটাই বড়ো। তীর যদি তার ভাগ্যে লিখা থেকে তো আল্লা চাইলে এমনেতেই তীর তার হবে। যদি লিখা না থাকে তো শত চেষ্টা করেও তীরকে নিজের করতে পারবে না। তবে কি ইশানকে তার ভালোবাসাই ব’লি দিতে হবে। ইশানকে চুপ‌ থাকতে দেখে আয়েশা সুলতানা বলে।

–ভাবো ইশান ভেবে দেখো তুমি কি করবে? তবে এটা মাথায় রেখো তুমি চাইলেই একটা পরিবার ধ্বং’স হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে আর নয়তো সব শেষ হয়ে যাবে।

আয়েশা সুলতানা চলে যাওয়ার জন্য উদ্যত হতে নিলেই‌ ইশান বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বলে।

–আপনি কি চান আন্টি?

–সারা জীবনের জন্য তীরের জীবন থেকে সরে যাও।

ইশান মুচকি হাসি দেয়। তবে এই হাসির মাঝে লুকিয়ে আছে শত বেদনা আর যন্ত্রণা।

–তাই হবে। সারা জীবনের জন্য সরে যাবো আমি তীরের জীবন থেকে তবে।

–তবে….

–তবেটা না হয় আমি কাজেকর্মে বুঝিয়ে দিবো।

আয়েশা সুলতানা আর কিছু না বলে চলে যান। ইশানের কাছ থেকে যা চেয়েছেন তা ওনি পেয়ে গেছেন। এখন আর এখানে থেকে কোনো লাভ নেই যতোই দেরি করবে ততোই পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যাবে। আয়েশা সুলতানা চাইলেও ইশান আর তীরের সম্পর্কটা মেনে নিতে পারবে না তার যে হাত পা বাঁধা। তবে‌ নিজের মেয়ের জন্য খুব চিন্তা হচ্ছে তীর সবটা মেনে নিবে নাকি পরিস্থিতি আরো ভ’য়ংক’র হবে।

বর্তমান……

ফরাজী বাড়ির সকলে ইশানের হাতে সাদা রুমাল বাঁধা দেখে অবাক হয়। বিশেষ করে রক্তের ছোঁপছোঁপ চাপ দেখে আতংকে উঠে। নেহা বেগম উদ্যত হয়ে ছেলের হাত ধরে বলেন।

–হাতে কি হয়েছে ইশান?

ইশান মায়ের কাছ থেকে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলে।

–কিছু হয় নি মা ওই একটু কে’টে গেছে। আমি ঠিক আছি।

–ঠিক আছিস মানে। তোকে দেখে আমার একদমেই ঠিক লাগছে না বাবা ক’দিন ধরেই দেখছি কেমন উদাস হয়ে আছিস তুই আর এখন…

ইশান মায়ের দু বাহু চেপে ধরে আশ্বাস দিয়ে বলে।

–মা আমি একদম ঠিক আছি আমার কিচ্ছু হয় নি। অফিসের কাজের চাপটা একটু বেশি তাই নিজের প্রতি খেয়াল রাখতে পারছি না। তাই একটু অন্যরকম দেখাচ্ছে আমাকে।

–তা না হয় বুঝলাম কিন্তু তোর হাতে.. হাতে কি হয়েছে? গতকালকে তো ঠিকেই ছিলো তাহলে এখন কি করে হাতটা কা’ট’লো।

এমন সময় ইহান হাতে ফাস্ট এইড বক্স নিয়ে এসে ভাইয়ের বাহু টেনে ধরে সোফতে বসিয়ে দিয়ে বলে।

–একটা কথাও বলবি না তুই আর! কি পেয়েছিস তুই আমাদের বলতো। তুই জানিস এখন নিয়ে তুই কত বার র’ক্তা’ক্ত হয়েছিস। আজকাল নিজের উপর তুই কতটা জু’লু’ম করছিস তা কি তুই বুঝতে পারচ্ছিস। হাতটা কা’ট’লো কি করে?

–ভাইয়া আমি ঠিক আছি।

–একটা দিবো কানের নিচে বেয়াদব ছেলে।

ইহান ইশানের হাত থেকে রুমালটা সরাতেই আতকে উঠে। এতো বা’জে ভাবে হাতের উপরি ভাগের অংশটা কেটেছে যা বলার বাহিরে। ইহান হতভম্ব চোখে ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলে।

–এভাবে হাতটা কা’ট’লো কি করে ইশান? কিসের দ্বারা কেটেছে হাতটা?

নেহা বেগম ছেলের হাতের এমন করুণ অবস্থা দেখে কেঁদেই ফেলেন। বড় ছেলেকে নিয়ে ওনার কোনো টে’ন’শ’ন নেই। যতো টে’ন’শ’ন এই ছোট ছেলেকে নিয়ে। সোহেল ফরাজী স্ত্রীর কান্না দেখে বলেন।

–শান্ত হও।

–কি করে শান্ত হবো তুমি বলো? এই ছেলেটা আমাকে শান্তিতে থাকতে দিছে না। আমার আগের ইশানের সাথে এই এখনের ইশানের আকাশ পাতাল তফাৎ। আগের ইশান এমন ছিলো না। এতোটা বেপরোয়া ছিলো না।

সোহেল ফরাজী শান্ত কন্ঠে ছোট ছেলের উদ্দেশ্যে বলে।

–হাতটা কে’টে’ছে কি করে ইশান?

ইশান কোনো কথা বলছে না কিচ্ছু ভালো লাগছে না তার। ইহান ইশানের হাত ব্যান্ডেজ করতে করতে বলে।

–কি হলো? বাবা কিছু জিজ্ঞেস করছে তোকে।

চোখ বন্ধ করে নেয় ইশান। এতো প্রশ্ন ইশানের একদম সহ্য হচ্ছে না। মন বলছে কখন এই সব প্রশ্নের বেড়াজাল থেকে ইশান বের হতে পারবে। ইশান ঠান্ডা কন্ঠে বলে।

–এতো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না আমি। দেরি হচ্ছে আমার যদি পারো নাস্তা সার্ভ করো না হলে নাস্তা না করেই বের হতে হবে আমাকে।

ইশানের একটা কথা শুনেই সকলে স্তব্ধ হয়ে যায়। ইশান যখন একবার বলে দিয়েছে কোনো উত্তর দিতে পারবে না তার মানে কোনো রকম ভাবে ইশানের মুখ থেকে উত্তর বের করতে পারবে না।‌ তবে নেহা বেগমের সন্দেহ হচ্ছে ছেলের মুখ দেখে মায়ের মন তো তাই ছেলের মুখ দেখলেই বুঝতে পারে ছেলের মনে কি ধরনের ঝ’ড় বইছে।

ইশান কোনো রকম ভাবে নাস্তা করে। গলা দিয়ে‌ যেন কোনো মতেই খাবার নামছে না। কিন্তু তারপরও বেঁচে থাকার জন্য তো‌ কিছু খেতে হবে। তাই জোর করে হলেই কিছুটা খেয়েছে।

ইশান অফিসের ব্যাগ নিয়ে বের হতে নিলে ইশাকে ডাক দেয়। ইশা এতোক্ষণ দুর থেকে দাঁড়িয়ে ভাইয়ের সব কার্যকলাপ দেখছে। মনের মাঝে আজেবাজে সকল চিন্তা হানা দিছে। সামনের দিন গুলা হয়তো ভ’য়ংক’র হতে যাচ্ছে এটা বুঝতে পারছে।

ইশা গুটিগুটি পায়ে হেটে ভাইয়ের সামনে এসে দাঁড়ায়। ইশান ব্যাগের চেইন খুলে তীরের ফোনটা বের করে বোনের হাত দিয়ে বলে।

–তীরের ফোনটা ওকে দিয়ে দিস। আর আমার ওয়াশরুমের আয়না ভেঙ্গে গেছে ওটা পরিস্কার করার ব্যবস্থা করিস।

বলেই দ্রুত পায়ে বের হয়ে যায় বাড়ি থেকে। ইশা অবাক চোখে ভাইয়ের যাওয়ার পানে তাকিয়ে থাকে। ইশান এটা কি বলে গেলো আয়না ভেঙ্গে গেছে মানে তবে কি ওই আয়না দ্বারাই ইশানের হাতটা কে’টে’ছ। ইশা দৌঁড়ে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে। পেছন থেকে নেহা বেগম ডাক দিলে ইশা তা উপেক্ষা করেই চলে যায়।

ইশা ইশানের ওয়াশরুমে ডুকে আতকে উঠে র’ক্তে’র দাগ আর কাচ ভাঙ্গা দেখে। র’ক্তে’র দাগ গুলা শুকিয়ে গেছে। তার মানে ইশার সন্দেহই ঠিক ইশানের হাত এই আয়না দ্বারাই কে’টে’ছে।

ইশা ইশানের ঘর থেকে বের হয়ে তীরদের বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়। তীর আর ইশানের মাঝে আবারও কিছু একটা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে এটা বুঝতে পারছে। না হলে তীরের ফোন ইশানের কাছে আসে কি করে হঠাৎ করে।

________

আয়েশা সুলতানা মেয়ের ফোলোফোলো মুখ দেখে বলে।

–কিছু কি হয়েছে তীর?

তীর নাস্তা খাওয়া বন্ধ করে বলে।

–কি হবে?

–তাহলে মুখটা এমন দেখাচ্ছে কেন?

–রাতে ঘুম হয় নি তাই।

কিন্তু আয়েশা সুলতানার বুঝতে আর বাকি নেই মেয়েরে যে কি হয়েছে। তাই আর কথা বড়ায় না কারণ গতকাল রাতে আয়েশা সুলতানা মেয়েকে দেখতে মেয়েরে রুমে এসে যখন মেয়েকে দেখতে পেলো না তখন ছাদে এসে ইশান আর তীরের শেষের কিছু কথোপকথন শুনে নেয়। এমন সময় ইশাকে হন্তদন্ত হয়ে আসতে দেখে নেহা বেগম অবাক হয়ে বলেন।

–ইশা তুমি এখানে?

–তীরের সাথে আমার জরুরি কিছু কথা আছে।

তীর নাস্তা চিবুতে চিবুতে উদাস কন্ঠে বলে।

–তো বল শুনছি আমি।

তীরের এমন উদাসীনতা দেখে ইশা দাঁত দাঁত চেপে বলে।

–তোর রুমে গেলে ভালো হয়।

–ওকে চল তাহলে। শুনি তুই কি এমন জরুরি কথা বলবি যে সজাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই চলে এসেছি।

ইশা যে কেন এতো সকালে এসেছে তীরের বুঝতে বাকি নেই। তবে তীর মনোস্থির করে ফেলেছে ইশানকে সে পৃথিবীর সকল কষ্ট উপরহার দিবে।

#চলবে______

রি-চেক করা হয় নি। বানান ভুল হলে একটু বুঝে নিয়েন প্লিজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here