স্বচ্ছ_প্রণয়াসক্ত #পর্ব_২২ #মুসফিরাত_জান্নাত

0
456

#স্বচ্ছ_প্রণয়াসক্ত
#পর্ব_২২
#মুসফিরাত_জান্নাত

রাত্রি বৃদ্ধি পাচ্ছে।সাথে কমছে গরমের তীব্রতা।সারাদিনে বয়ে যাওয়া উত্তপ্ত পবন শীতলতায় রুপান্তরিত হয়েছে।তাবাসসুম ও রাসেলের জন্য সাজানো বাসর ঘরে লোকজনের ভীর জমে আছে।একেকজন একেক কথা শোনাচ্ছে তাবাসসুমকে।কেও বা শশুর শাশুড়ীকে আপন বাবা মায়ের মতো দেখার উপদেশ দিচ্ছে।আবার কেও বা বসেছে বউয়ের গুন বিচারে।চির প্রচলিত প্রথা অনুসারে,নতুন বধু যতো সুন্দর অবয়বের অধিকারী হোক না কেনো,শশুর বাড়ির লোকজনের মাঝে কেও না কেও তার চেহারার কোনো একটা খুত টেনে বের করবেই।তাবাসসুমও যথেষ্ট সুন্দরী হওয়ার পরও তার চেহারায় খুঁত ধরতে ব্যস্ত হয়েছে রাসেলের কাজিন গ্রুপের মাঝে নিন্দুক স্বভাবের মেয়ে বানী।বানীর বক্তব্য অনুযায়ী তাবাসসুমকে আরও লম্বা হওয়া লাগতো।তাছাড়া রাসেলের সাথে মানাচ্ছে না।তীব্র গরমে মস্তিষ্ক এমনি তুঙ্গে।তার মাঝে এরকম কথা গুলোতে মেজাজ আরও চটে যাচ্ছে।কিন্তু নতুন বধু হওয়ায় সব হজম করতে হচ্ছে তাকে।ধীরে ধীরে সময় আরও গড়ালো।রাসেলের আগমন হলো।একে একে বেরিয়ে গেলো সবাই।

সবার প্রস্থানের পর দরজা অফ করে দিয়ে তাবাসসুমের কাছে যায় রাসেল।কিন্তু কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায় না তাবাসসুম।অভিজ্ঞ নয়নে মেয়েটিকে দেখে রাসেল বলে,

“কিছু হয়েছে তোমার?কেও কিছু বলেছে?”

“তেমন কিছু নয়।গরমে অতিষ্ঠ লাগছে।চেঞ্জ করবো আমি।”

ব্যাপারটা এড়িয়ে গিয়ে ভারী মুখে বলে তাবাসসুম।বিষ্মিত হয় রাসেল।তটস্থ কণ্ঠে বলে,

“এখনি চেঞ্জ করবে কেনো?তুমি না একা একা ছবি উঠতে চেয়েছিলে?”

“চেয়েছিলাম, কিন্তু এখন চাচ্ছি না।গরমে মুড নেই আর।”

কথাটা বলে গহনা গুলো খুলতে নেয় তাবাসসুম।কোনো কিছু ঠাহর করতে পারে না রাসেল।তাবাসসুমের হাত টেনে ধরে বলে।নিজেকে ধাতস্থ করে বলে,

“গহনা খুলছো কেনো?শখ অপূর্ণ রাখতে নেই।এমন দিন আর কখনো আসবে না।চলো ছবি উঠবে তুমি।”

“ছবি উঠে কি হবে?আমি কি দেখতে পারফেক্ট নাকি যে ছবি উঠতে হবে।”

তাবাসসুমের কথার ভঙ্গিতে রাসেল স্পষ্ট বোঝে কেও কিছু বলেছে তাকে।আর তাবাসসুম যে সেই ব্যক্তির নাম বা কি বলেছে তা রাসেলকে বলবে না তাও জানে সে।সমালোচনা বা ঝামেলা লাগানো মেয়েটির ধাঁচে নেই।এখন আচমকা কাকে আক্রমণ করবে বুঝতে না পেরে অসহায় বোধ করে সে।মলিন কণ্ঠে বলে,

“কে তোমাকে কি বলেছে জানি না।তবে সবার চোখে পারফেক্ট হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই তোমার।তুমি যেমনই হও না কেনো সর্বদা আমার চোখে পারফেক্ট।”

কথাটা বলে থামলো রাসেল।একটু পর নিজের ভুল শুধরে নিয়ে বললো,

“উহু ভুল বললাম।পারফেক্টের চেয়েও বেশি তুমি।এ কারণেই তো তোমাকে পেতে আমার এতো আয়োজন।যে যাই বলুক ওসব কানে তুলো না।ওরা তো জানে না তোমাকে পটাতে আমার উপর দিয়ে কতো ধকল গিয়েছে।”

রাসেলের প্রথম দিকের কথাগুলোয় মন ভালো হয়ে যায় তাবাসসুমের।আর অসহায় কণ্ঠের শেষ লাইনটা শুনে আচমকাই হাসি পায়।সত্যি তাদের সম্পর্কের শুরুতে অনেক খেটেছে রাসেল।পটার মতো মেয়ে তাবাসসুমও ছিলো না।অনেক পা’গলামি করে তাবাসসুমকে নিজের জীবনে টেনে নিয়েছে সে।সেসব মনে হতেই হাসি পায় তাবাসসুমের।সেই হাসির দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে রাসেল।ধীরে ধীরে সময় গড়ায়।তাবাসসুমকে কনভিন্স করে বেশ কয়েকটা ছবি তুলে দেয় সে।তারপর ফ্রেশ হয়ে অনেক গল্প করে তারা।চোখ লেগে আসে তাবাসসুমের।পাশ ফিরে শুয়ে পরে সে রাতের ঘুম দিতে।তড়িৎ বিস্ফোরিত হলো রাসেল।চোখ গোল করে সে বলে,

“মানে কি আজ রাতে তুমি ঘুমাবে?তোমার ঘুমানোর জন্য কি এতোগুলা এক্সট্রা টাকা খরচ করে বাসর ঘরে ঢুকলাম আমি?”

“তো কিসের জন্য এতোগুলো এক্সট্রা টাকা ওদের দিলে তুমি?”

সহজ সরল প্রশ্ন তাবাসসুমের।তার প্রশ্নে সরু চোখে তাকায় রাসেল।তীক্ষ্ণ কণ্ঠে বলে,

“তুমি বুঝোনি?”

“উহু।”

ছোট্ট স্বীকারক্তি মেয়েটির।যা রাসেলের কণ্ঠে বদমাইশি ভাবের আশকারা দিয়ে দিলো।বাঁকা হেসে সে বললো,

“কাছে আসো।বুঝিয়ে দিচ্ছি।”

কথাটা বলেই দুই হাতে তাবাসসুমকে জাপ্টে ধরে রাসেল।ছেলেটির ভঙ্গিমাই তার পদক্ষেপ সম্পর্কে মেয়েটিকে জ্ঞান দিয়ে দেয়।সারাদিনের ক্লান্তিতে অবস শরীরে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে তাবাসসুম।

“খবরদার এমনটা করবে না আজ।”

কিন্তু প্রেমিক পুরুষটি কি আর শোনে তার কথা।রাসেলের স্পর্শে ডুবতেই হয় তাবাসসুমকে।ঘরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে তাদের ভালোবাসার সুখানুভূতি।
_______
চৈতালি দুপুরের কাঠফাটা রোদ উঠেছে।সাথে বইছে দমকা হাওয়া।সেই হাওয়ায় উড়ছে রাস্তার ধুলাবালি।উড়ন্ত ধুলাগুলিকে অবজ্ঞা করে গাড়িতে করে কমিউনিটি সেন্টারে দ্বিতীয় দিনে বৌ ভাতের জন্য পদার্পন করে তাবাসসুম।তার মাথায় জড়ানো বউ ওড়না।পার্লার থেকে ভারী সাজে সজ্জিত হয়েছে সে।আজ কেনো যেনো একটু বেশিই চমৎকার লাগছে তাকে।বিয়ের পরদিন অকারণেই মেয়েদের একটু বেশি চমৎকার দেখায়।তাবাসসুম তার মূর্ত নিদর্শন।পায়ে হেঁটে তাদের জন্য সজ্জিত আসনে গিয়ে ধপ করে বসে সে।একটু পরে ঐশীও কমিউনিটি সেন্টারের চৌকাঠে পা রাখে।বোনের কাছে আসতেই জাপ্টে ধরে তাবাসসুম।মাথায় হাত বুলায় বোনকে।ঐশীও দুই হাতে তাকে জাপ্টে ধরে বলে,

“কেমন আছিস আপু?”

অতি স্বাভাবিক প্রশ্ন। অথচ চোখের কোন ভিজে যায় তাবাসসুমের।ব্যকুল হয়ে বলে,

“ভালো থাকি কেমনে বল?তোদের ছাড়া কোথাও থাকি কখনো? এক রাত এক আলোকবর্ষ সমান মনে হয়েছে।”

“আমাদেরও তোকে ছাড়া থাকতে কষ্ট হয়েছে আপু।”

ভেজা চোখে কথাটা বলে ঐশী।চারিদিকে তাকিয়ে সে ভাবে এখানটায় এভাবে কাঁদা বেমানান।তাই কথার মোড় ঘুরায় সে।রগড় করে বলে,

“কিন্তু খারাপ লেগেও লাগছে না এটা ভেবে যে এক সময় তো আমাদের কাছে এক রাত কাটিয়ে তোর এমন ফিলিংস হবে।”

তটস্থ হয় তাবাসসুম।

“মানে?”

“তখন তো দুলাভাইয়ের মাঝে অভ্যস্ত হয়ে যাবি।তাকে ছাড়া আর আমাদের কাছে ভালো লাগবে না।তখনও মনে হবে এক আলোকবর্ষ পাড়ি দিচ্ছিস।”

ঐশীর কথার অর্থ বুঝে লজ্জিত হয় মেয়েটি।লজ্জা ঢাকতে ত্যাড়ামো করে বলে,

“হ বলছে তোকে।”

“বলতে হবে না বইন আমি জানি।”

দাঁত কেলিয়ে তাবাসসুম বলে,

“কেন তোরও সাদাত ভাইকে ছাড়া এমন মনে হয় নাকি?”

তাবাসসুমের প্রশ্নে থতমত খায় ঐশী।নিজের কথার ফাঁদে যে নিজেই আটকে পড়বে বোঝেনি ঐশী।মুখ বাকিয়ে সে বলে,

“মোটেও না।”

অথচ ঐশীর মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে সাদাতের প্রতি কতোটা দূর্বল সে।ব্যাপারটা লক্ষ্য করে মুখ চেপে হাসে তাবাসসুম।রসিকতা করেবলে,

“যদিও সবকিছুতেই আমার চেয়ে তোর অভিজ্ঞতা বেশি।তবে এটা স্পষ্ট বলতে পারি সাদাত ভাই ছাড়া তোর খুব হাহাকার লাগে।তাই এমনটা বললি আমাকে।ব্যাপার না লজ্জা পাস কেন তোর জামাইই তো।”

পাল্টা কিছু একটা বলতে যাবে ঐশী তার পূর্বেই আরও লোক সমাগম হয়।একে একে তাবাসসুমের কাছে ভীর জমায় তারা।উঠে চলে যায় ঐশী।

ধীরে ধীরে সময় গড়ায়।জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে বেশ সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয় বউভাতের আয়োজন।আনোয়ার খাঁন তাবাসসুম ও রাসেলসহ কোলদাড়াদের নিয়ে চলে আসে খাঁন নিবাসে।পরের আনুষ্ঠানিকতা বেশ দ্রুতই কেটে যায়।আত্মীয় স্বজন সবাই যার যার বাড়ি চলে যায়।তাবাসসুমও শশুর বাড়ি চলে যায়।এক কন্যা ও পুত্রকে নিয়ে নিজ বাড়িতে থেকে যায় দুই পিতা মাতা।কারনে অকারণে বড় মেয়ের শূন্যতা বাড়ির সকল সদস্যকে নিঃস্ব করে দেয়।তবুও ধীরে ধীরেদিন গড়ানোর সাথে সাথে সবটা স্বাভাবিক হয়ে যায়।সময়ের নিয়মই তো সব স্বাভাবিক করে দেওয়া।

_____
দীর্ঘদিন পর কলেজে এসে উপস্থিত হয়েছে ঐশী।বাবার অসুস্থতা ও বোনের বিবাহ উপলক্ষে অনেকদিন কলেজ করতে পারেনি সে।আজ অনেকদিন পর এসে সবটা কেমন অন্যরকম লাগছে তার নিকট।কারণ কলেজ প্রাঙ্গনে বন্ধু বান্ধবের সাক্ষাৎ মিলে নি।নিজের মুঠোফোন বের করে সময়টা চেক দিলো একবার।আজ একটু আগেই এসে পড়েছে সে।ওদের জন্য অপেক্ষা করতে অভ্যসবসত আবারও ডিপার্টমেন্টের সামনের বারান্দা বেছে নেয় ঐশী।সেখানে তার ডিপার্টমেন্টের একটি মেয়ে দাঁড়ানো।কোলে বছর দুইয়ের একটি ফুটফুটে বাচ্চা।স্মিত হাস্যে সেখানে এগিয়ে যায় সে।মেয়েটির সাথে কিছু সময় গল্প করে বাচ্চাটির সাথে কলহাস্যে মেতে উঠে।একটু ছুঁয়ে দিতেই খিলখিল করে হেসে ওঠে বাচ্চাটি।তার হাসিতে হেসে ওঠে ঐশী ও তার মা।তাদের হাসির ঝংকার প্রতিধ্বনি তুলে ইট সিমেন্টের কঠোর দেওয়ালে।যা ক্ষীন সুরে অফিস রুমে বসা সাদাতের কানে গিয়ে ধাক্কা খায়।গভীর মনোযোগে ছেদ ঘটে তার।কণ্ঠটা পরিচিত ঠেকতেই বিষ্মিত হয়।ঐশী কলেজে এসেছে?মেয়েটি সত্যি কলেজে উপস্থিত হয়েছে নাকি তা যাচাই করতে নিজের দেহ সটান করে দাঁড়ায় সে।করিডোরের দিকে এগিয়ে যায় গোছানো পা মেলে।

দরজার কাছে এসে থমকায় সাদাত।একটা ছোট বাচ্চার সাথে গল্প করছে ঐশী।বাচ্চাটি আধো আধো কণ্ঠে কিছুটা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছে।যার পুরোটাই অস্পষ্ট।তবুও এর মাঝে এক অপার্থিব আনন্দের সন্ধান পায় ঐশী।চুমুতে ভড়িয়ে দেয় বাবুটির গুলুমুলু গাল।ছোট হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে আনাড়ি ভঙ্গিতে স্থানটা দ্রুত মুছে ফেলে বাবুটি।এই দৃশ্য দেখে খিল খিল করে হাসে সে।আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায়।বাচ্চাটির এই রাগী ভঙ্গিমার চেহারাটা বেশ উপভোগ করে ঐশী ও তার মা।শিশুটির সাথে মিশে নিমিষেই বাচ্চা হয়ে উঠে ঐশী।যার দরুন স্থান, কাল ভুলে এভাবে হাসি মজায় মেতে উঠে। বাচ্চাটির মাঝে এতোটাই মত্ত রমনীটি যার পারিপার্শিক কোনো খেয়াল নেই তার।একটু পরে সেখানে এগিয়ে আসে একটি যুবক লোক।বাচ্চাটিকে আগলে নেয় বাচ্চার মা।ঐশীর থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায় তারা।মূলত ক্লাস করতে নয় ডিপার্টমেন্ট হেডের সাথে একটা গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে এসেছিলো মেয়েটির স্বামী।কথার সমাপ্তি হতেই কলেজ থেকে বিদায় নেয় তারা।অন্যের একটা বাচ্চার মোহে মন ক্ষুন্ন হয় ঐশীর।তবুও নিরুপায় সে।অন্যের বাচ্চাকে তো নিজের মর্জি অনুযায়ী কাছে রাখতে পারবে না।তপ্ত শ্বাস ফেলে সে।এতোক্ষণে তার খেয়াল হয় গভীর দৃষ্টিতে কেও পর্যবেক্ষণ করছে তাকে।পাশ ফিরে তাকায় সে।অক্ষিপটে ভাসে সাদাতের মুখশ্রী।বিনা কারণে তার দিকে এভাবে তাকানোয় বিব্রতবোধ করে ঐশী।ভ্রু কুটি করে বলে,

“কি দেখছেন?”

“দেখছি না ভাবছি।”

“কি?”

“বাচ্চাপ্রিয় এই বাচ্চাটির নিজস্ব একটা বাচ্চা থাকলে মন্দ হতো না।”

সাদাতের বাঁকা হাস্যে এহেন কথা শুনে বিহ্বলিত হয় ঐশী।কথাগুলো মস্তিষ্কে পূর্ণ দমে বিশ্লেষিত হতেই আড়ষ্ট হয় সে।লজ্জারা ভীর জমায় চোখে মুখে।চোখ মুখ ঢেকে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে সে।এক প্রকার পালিয়ে গেলো যেনো।সেদিকে তাকিয়ে স্মিত হাসে সাদাত।ঐশী এখন লজ্জার ভীরে তাকে গাল মন্দ করতে বসবে হয়তো।এতে আর বাচ্চাটির জন্য মন খারাপের অবকাশ পাবে না।এটাই তো চেয়েছিলো সে।উদ্দেশ্য সফলের প্রশান্তিতে হৃদয় ছেয়ে যাওয়ার পূর্বেই থতমত খায় সাদাত।

তাদের একত্রে কাটানো এই মুহুর্তটা দেখে ফেলেছে জেবা ও তাসনিম।চোখে মুখে তাদের অপার বিষ্ময়।নিজের চোখকে যেনো বিশ্বাস করতে পারছে না।সাদাতের বলা কথাটা কর্ণগোচর না হলেও অভিব্যক্তিটা ভালোই পরিলক্ষিত করেছে তারা।বিষ্ময়ে বিহ্বলতায় ভয় ডর হারিয়ে ফেলে তারা।আশ্চর্য হয়ে জেবা বলে,

“কাহিনি কি স্যার?এমন করছেন কেনো আপনারা?”

হতভম্ব হয়ে যায় সাদাত।ভীতসন্ত্রস্ত হয় ঐশীও।নিজেদের সম্পর্কটা অপ্রকাশ্য রাখার জন্য বোনের বিয়েতেও এদের দাওয়াত দিলো না সে।অথচ এখন কিনা তা প্রকাশ পেয়েই গেলো।এর জবাবে কি বলবে তারা?

চলবে

(হসপিটাল টু বাড়ি, বাড়ি টু হসপিটাল করতে করতে সময় কাটছে।অসুস্থতা ও ব্যস্ততায় লিখে উঠতে পারছি না।অথচ আপনাদের অপেক্ষা করাতেও ভালো লাগছে না।তাই একটু করে হলেও লেখার চেষ্টা করছি।জানি না কি হাবিজাবি লিখেছি আজ।কষ্ট করে একটু মানিয়ে নেন।আর কয়েক পর্বেই গল্পটা শেষ হয়ে যাবে।আর লেখিকার জন্য একটু দোয়া করবেন।অগ্রিম ধন্যবাদ সবাইকে।-লেখিকা।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here