#হৃদয়জুড়ে_প্রেয়সীর_আভাস (২)
#পর্ব_০২
#মোহনা_হক
-‘রুয়াত তুই কি রেগে আছিস আমার উপর?’
রূহান কে স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি করে দিচ্ছে রুয়াত। হঠাৎ নিমির এমন কথা শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে তার দিকে তাকায়। মানছে নিমির একটা ভুল হয়েছে আর সে ভুলের সাথে রুয়াত ও জড়িত। তাই বলে কি কথা বন্ধ করে দিবে নাকি! বেডের একপাশে মুখ শুকনো করে বসে আছে নিমি। যেখানে কোনো খুশির ছোঁয়া নেই। রুয়াত নিমির সামনে এসে দাঁড়ায়। কিন্তু তার দৃষ্টি মেঝেতে। মুখ তুলে একবারো দেখলো না রুয়াতের দিকে। নিমির গালে হাত রেখে রুয়াত হেসে বলে-
-‘আমি কি রাগ করতে পারি তোর উপর? তুই তোর ভুল শুধরে নিলেই হবে। আর কখনো এমন ভুল করিস না।’
রুয়াতের হাতের উপর নিমি হাত রাখে। জিহ্বা দ্বারা অধর ভিজিয়ে নেয়।
-‘বাড়ির সবাই আমাকে ভুল বুঝে বসে আছে। মা বাবা কেউই কথা বলছে না। ভাইয়া ও বলছে না। আর আয়াজ ভাইয়ের কাছে তো আমি এখন খুব খারাপ মেয়ে হয়ে গেলাম।’
নিমি কেঁদে দেয়। রুয়াত তার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।
-‘আরে কাঁদছিস কেনো? মেজো মা আর মেজো বাবা একটু রেগে আছে এই আরকি। ঠিক হয়ে যাবে সবকিছু। এসব বলে কষ্ট পাওয়ার কোনো মানে হয়না। কাঁদিস না সব ঠিক হয়ে যাবে আবার আগের মতো।’
রূহান ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে দেখছে। কিছুই বুঝতে পারছে না। পড়াশোনা আর টিভি এর বাহিরে তার তেমন কোনো ধারণা নেই। নিমির কাঁদার মানেও তার কাছে অজানা। কালকের ঘটনা প্রায় ভুলে গিয়েছে। সামান্য পড়া মনে রাখতে পারে না, সেখানে তো বড় বড় ঘটনা মনে রাখা দুষ্কর। নিমির কান্না থেমে যায় একটু পর। এর মাঝে রুয়াত অনেক কথা বুঝিয়ে বলেছে তাকে।
মেহরুবা রুমে আসে। তিনি এসে রূহান কে তৈরি করে দেয়। নিমি একপাশে চুপটি করে বসে আছে। রুয়াত রূহানের ব্যাগ গুছিয়ে দিচ্ছে। রূহান কে আয়াজ তার সাথে নিয়ে যায়। তারপর স্কুলের সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে যায় তার কাজের উদ্দেশ্যে। এর ব্যাতিক্রম হয়নি কখনো। রুয়াতের সাথে রূহান নিচে আসে। পিছন পিছন নিমিও এসেছে। মাহের চৌধুরী কে দেখে লুকিয়ে পড়ে মায়া চৌধুরীর পিছনে। মাহের চৌধুরী একবার তার মেয়ের দিকে তাকিয়ে আবার চোখ সরিয়ে নেয়। টেবিলে বসে নাস্তা করছে আয়াজ। রূহান ও তার পাশে বসে। রুয়াত নাস্তা সার্ভ করছে রূহান কে। আয়াজ একবার তাকায় রুয়াতের দিকে। পরক্ষণেই আবার নজর দেয় মোবাইলের দিকে।
-‘রূহান তোমাকে কোনো মেয়ে ডিস্টার্ব করে?’
রুয়াত রূহান দু’জনেই অবাক চোখে আয়াজের দিকে তাকায়। সে তার মোবাইল পাঞ্জাবীর পকেটে পুড়ে। ভাবলেশহীন চোখে তাকায় রুয়াতের দিকে। রূহান মিহি কন্ঠে আয়াজের প্রশ্নের উত্তর দেয়-
-‘নাহ্ ভাইয়া।’
আয়াজ তার দু’পাশে মাথা নাড়ায়। টেবিলে নখ দ্বারা ঠকঠক শব্দ করে বলে-
-‘ঠিক আছে তোমাকে কেউ বিরক্ত করলে আমায় বলো।’
রূহান ছোট্ট করে ‘আচ্ছা’ বলে। রুয়াত তাড়াতাড়ি রূহান কে খাবার দিয়ে সরে আসে। সে ভাবতেও পারেনি যে আয়াজ হঠাৎ এসব বলবে তাও কিনা রুয়াতের সামনে। ভাবার বিষয় হলো কখনো এসব কথা বলেনি আজ আচমকা বলাতে একটু খটকা লাগছে রুয়াতের। আর রূহান তো ছোট ক্লাস নাইনের ছেলে কে কেইবা বিরক্ত করবে! কোন মেয়ের ঠে’কা পড়েছে? বড় করে নিঃশ্বাস টানে রুয়াত। ফজলুল চৌধুরীর পাশের সোফায় বসে। রুয়াত কে দেখা মাত্রই ফজলুল চৌধুরী মিষ্টি করে হাসি দেয়। প্রতিউত্তরে রুয়াত ও হাসে।
এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়নি এখনো। যার কারণে রুয়াত নিমি এক সাদামাটা জীবন কাটাচ্ছে। ফলাফলের পর তাদের আবার সেই ব্যস্ত জীবন শুরু হবে। নিমি আর রুয়াত এক রুমেই ঘুমায়। যদিও দুজনের রুম আলাদা আলাদা। কিন্তু তারা সব সময় একসাথে থাকে আবার একসাথেই ঘুমায়। এখনো বসে বসে কথা বলছে দু’জন। নিমি তার বর্তমান পরিস্থিতি বোঝাচ্ছে রুয়াত কে। বিরক্ত লাগলেও রুয়াত সেগুলোই শুনে যাচ্ছে।
(*)
শাফী আয়াজের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। শাফী কে ধরে বেঁধে নিয়ে এসেছে আয়াজের লোকজন। সে আসতেই চাইছিলো না উল্টো লুকিয়ে ছিলো তার কোনো এক বন্ধুর বাসায়। সেখান থেকে আয়াজের লোক তাকে ধরে এনেছে। বারবার ভয়ে ঢোক গিলছে শাফী। এ কার সামনে দাঁড়িয়ে আছে? একটু পর পর পুরো শরীর কেঁপে ওঠছে তার।
-‘কাল তোমার উদ্দেশ্যে বলা হয়েছিলো না তোমায় ধরে নিয়ে আসতে আমার বেশি সময় লাগবে না। আজ কালকের মধ্যেই ভুলে গিয়েছো? নাকি মনে রাখার পর ও ইচ্ছেই করে লুকিয়ে ছিলে?’
শাফী আয়াজের দিকে তাকিয়েই সাথে সাথে চোখ নামিয়ে ফেলে। এতো বড় নেতার চোখে চোখ রেখে কথা বলার মতো সাধ্য নেই শাফীর।
-‘স্যার আমার মনে ছিলো কিন্তু কাল রাতে বন্ধু ফোন করে বলেছে তার বাসায় যাওয়ার কথা।’
আয়াজ উঠে দাঁড়ায়। ভয়ে দু কদম পিছিয়ে যায় শাফী। আজ মনেহয় মেরেই ছাড়বে তাকে। কলমদানি থেকে একটা কলম নিয়ে আঙুলের সাহায্যে ঘুরাতে থাকে। শাফী একটু থতমত খেয়ে যায়। তাচ্ছিল্যপূর্ণ হাসি দিয়ে আয়াজ বলে-
-‘আমার কাছে মিথ্যে বলছো সেটা আমি চোখ বুজে বিশ্বাস করে নিবো? বয়স আমার এমনি এমনি হয়নি। এমপিও অযথা হইনি। আমাকে মিথ্যে কথা শুনাও? একটু বেশিই হাস্যকর লাগছে না তোমার কাছে? আর যদি একটাও মিথ্যে বলো তাহলে কিন্তু আজ এখান থেকে বের হতে পারবে না।’
-‘আমায় কেনো এনেছেন এখানে? আমি তো আপনার বোনের কোনো ক্ষতি করিনি? তাহলে কি জন্য আঁটকে রেখেন আমাকে?’
উল্টো ফিরে আয়াজ। আবার সোজা হয়। কোনো রকম ভনিতা ছাড়াই শাফীর প্রশ্নের উত্তর দেয়।
-‘কাল তোমার জন্য নিমি কে তার মা মেরেছে। ওর বাবা ভুল বুঝে আছে। নিমির সাথে তারা কেউ কথা বলছে না। এখন এসব কথা বাদ তুমি ভালোবাসো নিমি কে?’
সাথে সাথে শাফী তার মাথা দু’দিকে নাড়ায়। সহজ সরল বলে দেয়
-‘নাহ্ স্যার। আমি চাইনা আমার জন্য নিমি সবার কাছে খারাপ হয়ে থাকুক। ওর থেকে দূরে চলে আসবো তার অজান্তেই। আর কখনো কথা বলবো না নিমির সাথে। শুধু ওর ভালোটা আমি চাই।’
আয়াজ তার সামনে এসে থাকা চুলগুলো পিছনে ঠেলে। মুখে বিন্দু বিন্দু খুশির ছোঁয়া। যা কেউ সহজে দেখেই উপলব্ধি করতে পারবে। শাফী আর তাকায়নি আয়াজের দিকে। মাথা নিচু করে আছে।
-‘আমি কিন্তু তোমাকে জোর করে কিছু বলিনি। তুমিই আগে বলেছো। অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। রেকর্ড করে রেখেছি।’
শাফী মাথা তুলে আয়াজের দিকে তাকানো মাত্রই আয়াজ আবারও বলে উঠে
-‘উহুম এখন আর কিছু বলতে পারবে না। তোমার বলার সময় শেষ। আসতে পারো এবার।’
কিছু না বলেই শাফী বের হয়ে যায়। সে সত্যি নিমি কে খুব ভালোবাসে। এমন ভালোবাসা না সমাজ মানবে আর না পরিবার। যেখানে শাফীর বয়স আর নিমির বয়স এক। পড়াশোনা ও শেষ হয়নি তাদের। চাকরি তো এখনো অনেক দূর। ততদিনে নিমির বিয়েও হয়ে যেতে পারে। হয়তো তাদের সম্পর্ক থাকাকালীন অনেক ঝামেলার মুখোমুখি হতে পারে দু’জনেই। সেদিক বিবেচনা করে এই সম্পর্ক আর এগোতে ইচ্ছে করছে না শাফীর। তবে সারাজীবন ধরে সে একমাত্র নিমিকেই ভালোবেসে যাবে। শুধুমাত্র দূরত্ব বাড়িয়ে দিবে নিমির সাথে।
(*)
একদম টানা তিনমাস পর ইনিমা বাসায় এসেছে। পড়াশোনার কারণে হোস্টেলে থাকতে হয় তার। মায়া চৌধুরী তার মেয়ে কে এতোদিন পর কাছে পেয়ে ভীষণ খুশি। বাড়ির প্রত্যকটি সদস্যই খুশি হয়েছে। ইনিমা চৌধুরী বাড়ির বড় মেয়ে। আয়াজ ইনিমা দু ভাই বোন চৌধুরী বংশের বড় ছেলে মেয়ে। যদিও ইনিমা সাড়ে তিন বছরের ছোট আয়াজের। ভাই বোনের মধ্যে স্বভাব চরিত্রে অনেক তফাৎ। তবে চেহেরায় মিল আছে কিছুটা। আয়াজের মতো এতো রাগ নেই ইনিমার মধ্যে। নিতান্তই মিষ্টি একটা সহজ সরল মেয়ে। মায়া, জেবা, মেহরুবা তিন জা মিলে রান্না করছে। এখন বাসায় তেমন কেউই নেই। শুধুমাত্র মহিলারা ছাড়া। দিনের বেলায় পুরুষেরা কাজের উদ্দেশ্যে বাহিরে অবস্থান করে। ইনিমা এসেছে পর্যন্ত রুয়াত আর নিমি তার সাথে সাথে রয়েছে। অবশেষে তাদের একটা সঙ্গী এলো। ইনিমা আসলে রুয়াত আর নিমির সাহস বেড়ে যায়। তখন আর বাড়ির কেউ তাদের কিছু বলতে পারে না।
আরহাম আর ইনিমার বয়স এক। সাতদিনের বড় ছোট। আর সে সাত দিনের বড় ইনিমা। এ নিয়ে আরহাম আজ পর্যন্ত তাকে কিছুই বলতে পারে না। ইনিমা সব সময় বলে ‘তুই আমার ছোট’ এ কথা শুনতে শুনতে কান পঁচে গিয়েছে তার। কিছুক্ষণ আগেও ধমক দিয়েছে আরহাম কে। ইনিমা বাড়িতে আসলে এই দু’জনের খুনশুটি লেগেই থাকে।
নিচে সবাই পারিবারিক আলোচনা করছে। রুয়াত, নিমি আর ইনিমা উপরে উঠে এসেছে। কারণ ফজলুল চৌধুরী আগেই বলে দিয়েছেন এসব আলোচনায় যেনো ছোটরা না থাকে। তাই তারা উপরে চলে এসেছে। রাত প্রায় দশটা বাজতে চললো। এখনো আয়াজের আসার নাম গন্ধ নেই। ইনিমা অপেক্ষা করছে কখন তার ভাইয়ের সাথে একটু কথা বলবে। বেশ অনেক্ক্ষণ যাবত আড্ডা দেওয়ার পর ইনিমা রুয়াত কে নিয়ে নিচে আসে। নিমি কে আসার জন্য বলা হয়েছে কিন্তু নিমি আসবে না বলে দিয়েছে। মাহের চৌধুরী আর ফজলুল চৌধুরী টিভি দেখছে। আর কেউ নেই সেখানে। ইনিমা রুয়াত কে নিয়ে মায়া চৌধুরীর রুমে আসে।
-‘মা তোমার ছেলে কখন আসবে?’
ইনিমার কথা শুনে মায়া চৌধুরী তার দিকে তাকায়। মলিন স্বরে বলে-
-‘এসেছে তো একটু আগে। আমার সাথে দেখা করে গিয়েছে রুমে।’
ইনিমা রুয়াতের হাত ধরে দৌড়ে ছুটে আয়াজের রুমে। দরজার সামনে আসতেই রুয়াত ইনিমার হাত ছেড়ে দেয়। আমতা আমতা করে বলে-
-‘আপু তুমি যাও। আমি যাবো না ভিতরে। তুমি গিয়ে কথা বলে আসো।’
রুয়াতের কথা মোটেও শুনলো না। উল্টো তাকে নিয়ে এসেছে৷ আয়াজ তার পাঞ্জাবীর বোতাম খুলছিলো। ইনিমার কন্ঠস্বর শুনে সোজা হয়ে দাঁড়ায়।
-‘কেমন আছো ভাইয়া?’
আয়াজ একবার রুয়াতের দিকে তাকিয়ে আবার ইনিমার দিকে তাকায়।
-‘ভালো আছি। তুই কেমন আছিস?’
-‘ভালো। তুমি তো একদিন ও আমায় কল দাওনি ভাইয়া। এমনকি দেখতে ও যাওনি।’
-‘পরে কথা বলবো। আমি ফ্রেশ হইনি এখনো। এখন রুম থেকে যা।’
মাথা নাড়ায় ইনিমা। আয়াজ ক্লান্ত দেখেই বোঝা যায়। তাই ইনিমা আর কিছু বলেনি সোজা রুম থেকে চলে আসে। রাতে আর কথা হয়নি ইনিমার সাথে আয়াজের। সে খেয়েদেয়ে তার রুমে চলে এসেছে। নিমি রুয়াত আর ইনিমা বলেছে আজ সারারাত বসে গল্প করবে। সেটারই প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। সবাই ঘুমিয়ে যাওয়ার পর লিভিং রুমে এসে বসে। প্রায় রাত এখন একটা বাজতে চললো। সবার খাওয়া দাওয়া শেষ হতে হতেই অনেক সময় লেগে যায়। সবাই মোটামুটি এখন ঘুমে আছে। রুয়াত, নিমি আর ইনিমা পুরো লিভিং রুমের আলো জ্বালিয়ে দিয়ে কথা বলছে। বার বার প্রসঙ্গ বদলাচ্ছে নিমি। সেই বেশি বকবক করছে।
-‘আচ্ছা আয়াজ ভাইয়া একটু কেমন জানি তাইনা? তার মধ্যে প্রেম ভালোবাসা বলতে কিছু নেই।’
অন্যমনষ্ক হয়ে নিমি কথাটা বলে। চুম্বকের মতো গিয়ে রুয়াতের কানে প্রবেশ করে। নিমির কথা শোনা মাত্র কাঁশি উঠে যায় ইনিমার। মুখ ভেঙচি দিলো রুয়াত। এমন রসকষহীন মানুষের আবার প্রেম ভালোবাসা।
-‘শুন নিমি তোর মধ্যে এতো আবেগ থাকলেও ওনার মতো মানুষের এমন আবেগ নেই। আর প্রেম ভালোবাসা তো দূরে থাক।’
নিমি রুয়াতের দিকে তাকায়। অবশ্য রুয়াত ও অযুক্তিক কিছুই বলেনি। কথাটি একদম সঠিক বলেছে।
-‘ঠিকই বলেছিস রুয়াত।’
ইনিমা পানি খেয়ে এসে বলে-
-‘আমার ভাইয়ের বউয়ের যেনো কি হবে ভবিষ্যতে এমন বর পেয়ে।’
তিনজন হুট করে হেসে উঠে। তৎক্ষনাত রুয়াত মুখটা কাঁদো কাঁদো করে ফেললো।
-‘ইশশ হবু ভাবির জন্য আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।’
বলেই রুয়াত মুখে ওড়না দিয়ে ফেলে। হঠাৎ আয়াজ বুকে হাত গুঁজে তাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। এখন এই মুহুর্তে আচমকা আয়াজ কে দেখে নিমি ইনিমা হকচকিয়ে যায়। গম্ভীর ভাব মুখখানায়। নিমি চিমটি কাঁটে রুয়াত কে। ওড়না মুখ থেকে আয়াজ কে দেখে ভড়কে যায় রুয়াত। আয়াজের দৃষ্টি তার দিকেই। থমথমে পরিবেশে গম্ভীর স্বরে আয়াজ বলে-
-‘কার ভবিষ্যৎ কি সেটা কেউই বলতে পারে না। আর আমার বিষয়ে কারো কষ্ট পাওয়া লাগবে না। কোনো কথা ছাড়া এখন তিনজন ঘুমাতে যাবে। যাও এখান থেকে।’
#চলবে….
[আসসালামু আলাইকুম। এই সিজন টু হ্যাপি এন্ডিং হবে। এটা আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি। এবার নিশ্চিন্তে সবাই পড়তে পারেন। ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।]