#হৃদয়জুড়ে_প্রেয়সীর_আভাস (২)
#পর্ব_০৭
#মোহনা_হক
রাহীম চৌধুরী আর আয়েশা চৌধুরী আবার গ্রামে ফিরে যাবেন কাল। তারা অনেক জোর করছে নিমি আর রুয়াত তাদের সাথে যাওয়ার জন্য। চোখ মুখ ফুলে একাকার রুয়াতের। কালকের কাঁদার ফল এগুলো। সকালে সবাই বসে চা খাচ্ছেন। জেবা সবার মাঝে দাঁড়িয়ে আছে। হাত পা ওড়না দিয়ে ঢেকে বসে আছে রুয়াত। রূহান কে স্কুলে দিয়ে আসবে আয়াজ। রুয়াতের পাশের সোফায় আরহাম বসে বসে মোবাইল দেখছে। অপর পাশে নিমি ঘুমে দুলছে। এখনো ঘুম কাটেনি। জেবা আজ তাড়াতাড়ি করে তুলে দিয়েছে তাদের। আয়াজ নিচে আসাতেই নিমি ঠিকঠাক হয়ে বসে। তার ঘুম চলে গিয়েছে একদম। রুয়াত কে হালকা করে ধাক্কা দিলো। নিচু স্বরে বললো-‘
-‘ওই যে এসেছে তোর প্রেমিক পুরুষ।’
রুয়াত মাথা তুলে আয়াজের দিকে তাকায়। সে ভাবলেশহীন হয়ে বসে ফজলুল চৌধুরীর পাশে। ছোটখাটো ঢোক গিলে রুয়াত। শুধু যে নিমি কালকে আয়াজের ব্যবহার খেয়াল করেছে সেটা নয়। সে নিজেও খেয়াল করেছিলো। এক প্রকার হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলো। দ্রুত নজর সরিয়ে নেয়। জেবা আয়াজের হাতে চা দেয়। আয়াজ একবার রুয়াতের পাশে আরহামের দিকে তাকিয়ে আবার মোবাইলে মুখ গুঁজে।
-‘রুয়াত আর নিমি চলো আমাদের সাথে। অনেক দিন যাওয়া হয়নি তোমাদের। এখন তো তোমরা মোটামুটি ফ্রি আছো। দাদাভাইয়ের সাথে গেলে ভালো লাগবে। বেশি না কয়েকটা দিন থেকেই চলে এসো।’
নিমি সোফায় শরীর হেলিয়ে দেয়। আপাতত তার মন ভীষণ খারাপ। কোঁথাও যাওয়ার মতো ইচ্ছে নেই। তবে যদি জেবা রাজি হয় আর রুয়াত যায় তাহলেই সে যাবে। নাহলে একা একা কোঁথাও যাবে না। রুয়াত রাহীম চৌধুরীর কথায় উত্তর দিলো,
-‘মা আমায় যেতে দিবে কিনা সন্দেহ দাদাভাই। আর আমি গেলে রূহান ও বায়না করবে যাওয়ার জন্য। মা কে একা রেখে কিভাবে যাবো?’
আয়েশা চৌধুরী বলে উঠে
-‘আমি মেহরুবা কে বুঝিয়ে বলবো। আর বাসায় তো অনেকেই আছে। তোমরা আমাদের সাথে গেলে এই বুড়ো বুড়ির খুব ভালো লাগবে।’
দোটানায় পড়ে যায় রুয়াত। একদিকে মা অপর দিকে তার দাদাভাই আর দাদুর এতো অনুরোধ। কোনোটি উপেক্ষা করার মতো সাহস নেই তার। নিমি রুয়াতের উত্তরের আশায় আবুলের মতো তাকিয়ে আছে। এসব কাজে সে যেতে চায়না। আয়াজ মাথা তুলে সবাইকে একবার দেখে নিলো। সে বুঝে গিয়েছে কেনো রাহীম চৌধুরী আর আয়েশা চৌধুরী এতো জোর করছেন যাওয়ার জন্য গ্রামে। মোবাইল পকেটে পুড়ে। দু হাতে বুকে গুঁজে হেলান দেয়। স্বাভাবিক স্বরে উত্তর দেয়,
-‘ওদের এখন যাওয়া লাগবে না। কয়েকদিন পর এইচএসসির রেজাল্ট দিবে। এরপর যাওয়া যাবে। আর ইনিমা ও আসুক। সবাই মিলে একবার গ্রাম থেকে ঘুরে আসবে।’
রাহীম চৌধুরী মাথা নাড়ায়। কিন্তু আয়েশা চৌধুরীর ধৈর্য খুব কম। তাই বড় নাতির বলা কথাটি পছন্দ হলো না।
-‘না দাদুভাই। আমি তোমার কথা মানতে পারছি না৷ তুমি যে বলেছো যাবে। সেটা কবে? আদোও কি যাওয়া হবে আসলে?’
আরহাম ঠিকঠাক হয়ে বসে। টি-শার্ট একটু উঁচিয়ে বলে-
-‘এমপি আয়াজ ত্বায়ীম চৌধুরী কখনো মিথ্যে বলে না দাদু।’
বলেই দাঁত কেলিয়ে হাসি দেয়। রুয়াত বিরক্তিকর চোখ মুখ করে তাকায় আরহামের দিকে। আয়াজ সরু চোখে তাকিয়ে আছে। আরহাম হকচকিয়ে যায়। তার বলা কথাটি মনেহয় কারো পছন্দ হয়নি।
-‘দাদু আমি কথা দিচ্ছি সবাই কে নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি গ্রামে যাবো।’
আয়েশা চৌধুরী মেনে নিলেন কোনো উপায় না পেয়ে। ফজলুল চৌধুরী তার সামনে থেকে খবরের কাগজ সরিয়ে নেয়। আয়াজের উদ্দেশ্যে বলে-
-‘বের হবে না? দেরি হয়ে যাচ্ছে তোমার। আজ কি বাসায় থেকে যাবে?’
আয়াজ উঠে দাঁড়ায়। পাঞ্জাবীটা একটু টেনেটুনে নেয়। প্রেয়সীর পানে দৃষ্টি রেখে বলে-
-‘রুয়াত তোমার ভাই কে ডেকে আনো।’
উঠে যায় রুয়াত। রূহান কে ডেকে নিয়ে আসে। আয়াজ রূহানের হাত ধরে বেড়িয়ে পড়ে। সারাটা দিন মেহরুবা শুয়ে আছে। শরীর ভালো নেই তার। রুয়াত শাওয়ার নিয়ে এসে তার মায়ের পাশে বসে। রুয়াতের হাত টেনে ধরে মেহরুবা বললো,
-‘কাল একটা কথা বলতে পারিনি। তুই আর কখনো অন্য কারো কথায় উল্টো পাল্টা কাজ করবি না। আর যদি করিস আমায় মা ডাকবি না। কেনো এসব করে খারাপ হবি সবার কাছে? আমি বলছি না নিমি খারাপ। আর এটাও বলবো না যে তুই ওর সাথে আর চলাফেরা করবি না। মেয়েটার একটু বুদ্ধি কম। তুই তো সব বুঝিস। ওকে এসব কাজ করার আগে বোঝাবি। ভুলেও যদি আর এসব শুনি সত্যি আমি বলছি তোর সাথে আমার আর কোনো কথা থাকবে না। তুই তোর মা কে ভালো করে চিনিস কিন্তু। এটাই আমার শেষ কথা। আর বলবো না তোকে।’
অসুস্থ কণ্ঠে কথাগুলো বলতে কষ্ট হয়েছিলো মেহরুবার। রুয়াতের আর বুঝতে বাকি রইলো না তার মা আসলে ঠিক কিসের কথা বলছে। সেও ভেবেছে রেখেছে আর কক্ষনো এসবে জড়াবে না। পরে কিছু না করেও দোষ হয় তার। মেহরুবা কে আশ্বাস দেয় রুয়াত।
-‘আমি তোমার কথা রাখবো মা। সত্যি আর এমন কাজ করবো না। এবার একটু বিশ্বাস করে দেখো। আমি তোমার বিশ্বাস রাখার জন্য অনেক চেষ্টা করবো।’
মেহরুবা মলিন হাসে। রুয়াত বেরিয়ে আসে রুম থেকে। তার ফোন বেজেই যাচ্ছে অনেক্ক্ষণ যাবত। মায়ের রুম থেকে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। এতক্ষণ এখানে থাকার কারণে রিসিভ করতে পারেনি। মোবাইল কানে নিয়ে কথা বলতে বলতে আবারও মায়ের রুমে আসে রুয়াত। মেহরুবা ঘুমিয়ে গিয়েছেন। কথা বলা শেষ করে রুয়াত ও তার মায়ের পাশে শুয়ে পড়ে।
(*)
সন্ধ্যায় রাহীম চৌধুরী কবিতা পাঠ করে শোনাচ্ছেন রূহান কে। এক কালে গ্রামের সরকারি বিদ্যালয়ে চাকুরী করেছিলেন কয়েক বছর। পরে ব্যবসার কাজে যোগ দেয়। রুয়াত ও খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছে সব কিছু। আবার মুচকি মুচকি হাসছে। রূহান বেচারা না পেরে বসে আছে। মোটেও ভালো লাগছে না তার। টিভিতে কার্টুন দেখা মিস হয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ ক্রলিং বেজে ওঠে। রুয়াত দ্রুত মাথায় কাপড় দিয়ে সদর দরজা খুলতে যায়। আয়াজ এসেছে। রুয়াত কে দরজা খুলতে দেখে চমকায় খানিকটা। রুয়াত সরে আসে। পেছন পেছন আয়াজ ও আসে। একবার রুয়াতের দিকে তাকিয়ে উপরে চলে যায়। মায়া চৌধুরী ডেকেছেন রুয়াত কে। তিনি মেহরুবার রুমে আছেন। দৌঁড়ে রুয়াত সেখানে পৌঁছায়।
-‘বড় মা ডেকেছিলে?’
-‘আয়াজ এসেছে কি?’
-‘জ্বী একটু আগে এসেছেন ভাইয়া।’
-‘ওকে বল এই রুমে আসতে। আমি যেতে পারছি না। তোর মায়ের কাছে এখন বসেছি।’
রুয়াত মাথা নাড়িয়ে চলে যায়। অগ্রসর হয় আয়াজের রুমে যাওয়ার পর। বক্ষের মধ্যিখানে টুকটুক আওয়াজ করছে। আজকাল আয়াজ কে দেখলেই এমনটা হয়। ধীর পায়ে রুয়াত দরজার সামনে দাঁড়ায়। আমতা আমতা করে বলে-
-‘ভাইয়া আসবো?’
বাহির থেকে শব্দ আসছে। বেডে শুয়ে আছে আয়াজ। এখনো চেঞ্জ ও করেনি। রুয়াতের কন্ঠস্বর খুব ভালো করে চেনা তার। আর কে বলেছে কথাটি তাই আর চিনতে অসুবিধে হলো না। মাথা তুলে উচ্চস্বরে বলে-
-‘আসো।’
রুমের ভিতরে প্রবেশ করে রুয়াত।
-‘বড় মা ডাকছে আপনাকে। বলেছে মায়ের রুমে আসতে।’
-‘কোন মায়ের কথা বলছো? আমার না তোমার?’
রুয়াত বিপাকে পড়ে গেলো। হাত দ্বারা মুখ ঢেকে শুয়ে আছে আয়াজ। একবারও রুয়াতের দিকে তাকায়নি। রুয়াত সহসা বলে দিলো,
-‘আমার মায়ের রুমে বড় মা। সেখানেই যেতে বলেছে।’
সেই অবস্থায় থেকেই আয়াজ বলে-
-‘যাবো। আমায় একটা কথা বলো তোমার এতো কান্না কোঁথায় থেকে এসেছিলো কাল? বড় হয়েছো অথচ বুঝলে না। তোমার সেরকম বয়স নেই যে একদম সবার সামনে এভাবে কেঁদে ভাসাবে। ছোট মায়ের কথা অন্তত ভাবতে পারতে।’
বড় নিঃশ্বাস ছাড়ে রুয়াত। আসলে এগুলো যার সাথে হয় সেই বোঝে। অন্য কেউ শুধু স্বান্তনাই দিতে পারে। তাদের বোঝার আর ক্ষমতা নেই।
-‘বড় মা ডাকছে আপনাকে। এ কথার কোনো অর্থ নেই। প্রশ্ন করেছেন। অর্থ থাকলেই তো উত্তর থাকবে। আপনারা আসলে এগুলো বুঝবেন না। আর এসব কষ্ট বয়স মানে না। আমি আসছি।’
রুয়াত যাওয়ার পর আয়াজ নিঃশব্দে হাসে। প্রেয়সীর এমন অবস্থা দেখে কাল তার হৃদয়ের বেহাল দশা হয়েছিলো। সহ্য করা দায় ছিলো। তাও সবার সামনে চুপটি করে শুধু কান্না বন্ধ করার উপায় খুঁজেছিলো। শেষ পর্যন্ত মায়া চৌধুরী কে নিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো কান্না বন্ধ করার জন্য। আয়াজ উঠে দাঁড়ায়। চেঞ্জ করে মেহরুবার রুমে যায়। সবাই সেখানে উপস্থিত। ভ্রু কুচকায় আয়াজ। হঠাৎ এই রুমে কেনো সবাই? একটু খটকা লাগছে তার।
-‘কি হয়েছে? সবাই এখানে কেনো?’
মায়া চৌধুরী উত্তর দেয়,
-‘তোর ছোট মা অসুস্থ বাবা। তাই সবাই এখানে।’
আয়াজের ভ্রু আরেকটু কুচকে এলো। পরক্ষণে মনে হলো বাসায় না থাকার কারণে সে কিছু জানে না। তবে রুয়াত ও তাকে কিছু বললো না। এটা ভেবে রাগ উঠছে। আয়াজ মেহরুবার পাশে বসে। কপালে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে-
-‘কি হয়েছে তোমার ছোট মা?আমি নিশ্চিত টেনশন করে শরীরের এমন অবস্থা করেছো। কেনো যে তোমরা তোমাদের নিজের খেয়াল রাখো না।’
নিমি একটু রুয়াতের দিকে চেপে বসে। মায়া চৌধুরী একটু রাগ দেখায় মেহরুবার উপর। আয়াজের উদ্দেশ্যে বলে-
-‘তোর ছোট মা কে একটু বোঝা। আমাদের কথা তো শুনেই না।’
অসুস্থ মুখ নিয়ে হাসে মেহরুবা। কাল থেকেই শরীর খারাপ ছিলো। মোটেও মায়া চৌধুরীর অবাধ্য হয়নি। আজকের তুলনায় তবে কালকে বেশি ভালো ছিলো। হঠাৎ করে এই অবস্থা।
-‘আমায় জানানো হয়নি কেনো?’
আয়াজের কথায় একটু আধটু রাগ। মায়া চৌধুরী ছেলের পাশে এসে দাঁড়িয়ে কাধে হাত রাখে।
-‘ভুলে গিয়েছি বাবা। ভেবেছিলাম জানাবো। পরে আমারই মনে ছিলো না।’
রুয়াত কে ইশারা করে আয়াজ বলে-
-‘যাকে পাঠালে সেও তো বলেনি। কি জন্য গিয়েছে তাহলে?’
মায়া চৌধুরী হেসে ওঠে। রুয়াত মুখ ঘুরিয়ে নেয়। সে তো আয়াজের কথা থেকে বাঁচার জন্য তাড়াতাড়ি করে চলে এসেছে। নাহলে তো কতো কথা বলে চেপে ধরবে সেটা কি রুয়াত বুঝে না?
-‘আচ্ছা হয়েছে। আয়াজ খেতে আয়। মা খাবার দিচ্ছি। আর রুয়াত নিমি তোরাও খেতে আসবি। আমার যেনো না ডাকা লাগে।’
মাথা নাড়ায় দু’জন। আয়াজ বলে উঠে,
-‘মা আমি এখন খাবো না। আমার ভালো লাগছে না। পরে খেয়ে নিবো।’
-‘শুনেছো ছেলের কথা? এখন খাবেন না তিনি। কেনো এতো হেলাফেলা করিস খাবার নিয়ে? সময় মতো খেতে চাসনা।’
মায়া চৌধুরীর কথা শুনে নিমির চোখ বড় হয়ে এলো। কথাটি বিশ্বাস করতে আজ ভীষণ কষ্ট হচ্ছে তার। রুয়াতের কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে-
-‘শুনেছিস রুয়াত বড় মায়ের কথা? ওনি খাবার নিয়ে হেলাফেলা করলে এতো বলিষ্ঠ শরীর বানিয়েছে কিভাবে?’
-‘ছিহ্। কিসব কথাবার্তা। চুপ কর। ভাইয়া জানলে তোকে এই রাতের বেলায় বাঁ’শ দিবে।’
নিমি চুপ হয়ে যায়। আয়াজ কিছু না বলে তা মায়ের পিছন পিছন হাঁটা শুরু করে। দরজা থেকে বের হতেই আবার থেমে যায়। মুখটা একটু উঁচিয়ে বলে-
-‘দু’জন যে বসে আছেন, আপনারা ও আসুন আমার সাথে।’
রুয়াত নিমি হেঁটে চলে যায় আয়াজের সাথে। মায়া চৌধুরী খাবার সার্ভ করে দেয় সবাইকে। রূহান আরহাম আর রাহীম চৌধুরী ও বসেছেন তাদের সাথে। আয়েশা চৌধুরী খেয়ে ঘুমিয়ে গিয়েছেন। এখন আর বেশি রাত পর্যন্ত জেগে থাকতে পারেন না। রাহীম চৌধুরী খেতে খেতে আয়াজের উদ্দেশ্যে বললেন-
-‘দাদুভাই একটা অনুরোধ রইলো। আমরা বেঁচে থাকার আগে বিয়েটা সেরে ফেলো। যেনো আমি আর তোমার দাদু দেখে যেতে পারি।’
নিমি খাওয়া বন্ধ করে দেয়। আয়াজের দিকে তাকায়। কারণ সে প্রতিবার খেয়াল করেছে যে এই বিষয় নিয়ে কথা উঠলেই আয়াজ একবার না একবার রুয়াতের দিকে তাকাবেই। আর আয়াজ সে তো মাথা নিচু করে খেয়ে যাচ্ছে। রাহীম চৌধুরী যতবার বাসায় আসেন ততবার বিয়ে করো বিয়ে করো বলে পাগল বানিয়ে দেন।
-‘ইনিমা, নিমি, রুয়াত কে বিয়ে দেওয়ার পর করবো দাদাভাই।’
মায়া চৌধুরী হাসে উচ্চস্বরে। রুয়াত বিয়ের কথা শুনতেই চোখ মুখ কুচকে ফেললো। আয়াজের বিয়ের সাথে তাদের বিয়ের কি সম্পর্ক আজ পর্যন্ত বুঝে ওঠতে পারলো না। নিমির কোনো রকন ভ্রুক্ষেপ করলো না আয়াজের কথায়। কারণ তার মনোযোগ অন্য দিকে।
-‘এভাবে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলো না দাদুভাই। তোমার বিয়ে খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি আমরা।’
খাবার খাওয়ার পর উঠে যায় আয়াজ। হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুঁতে ধুঁতে রাহীম চৌধুরী কে বলে-
-‘ যেদিন তোমার ডার্লিং ❝আই লাভ ইউ❞ বলবে সেদিনের পরেরদিন বিয়ে করবো দাদাভাই।’
আয়াজ আর পিছন ফিরে চাইলো না। সোজা হাঁটা শুরু করে দিলো৷ আয়াজের কথা শুনে আরহামের কাঁশি ওঠে গেলো। রুয়াত পানি এগিয়ে দেয়। এই কাঁশি ওঠার অন্যতম কারণ আয়াজের এমন কথাবার্তা। রাহীম চৌধুরী হেসে রুয়াতের দিকে তাকিয়ে আবার খাওয়া শুরু করে।
#চলবে…
[আসসালামু আলাইকুম। কিছু কারণে গল্প দেওয়ায় অনিয়মিত হয়েছে দু’দিন। এবার থেকে কন্টিনিউ দিবো। গল্পটি কেমন লাগছে জানাবেন। ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।]