হৃদয়জুড়ে_প্রেয়সীর_আভাস (২) #পর্ব_১৪ #মোহনা_হক

0
275

#হৃদয়জুড়ে_প্রেয়সীর_আভাস (২)
#পর্ব_১৪
#মোহনা_হক

-‘আমার ছেলে মেয়েদের ব্যাপারে কথা বলার সর্বাধিক অধিকার আমার আছে। আমি ওদের বাবা হই। তাই বলছি ইনিমার বিয়ের সাথে সাথে আয়াজের ও বিয়েটা হবে। মানে দু’জনের বিয়ে একই সাথে হবে। আমি সব ঠিক করে রেখেছি। আশাকরি এখানে কেউ দ্বিমত পোষণ করবে না।’

সন্ধ্যায় এক পারিবারিক আলোচনায় ফজলুল চৌধুরী কথাটি বলে ওঠে। কাউকে না জানিয়ে হুট করে একটা কথা বলে ফেললো। মায়া চৌধুরী কিছুটা রেগে যায় কথাটি শুনে। ভাগ্যিস আয়াজ উপস্থিত নেই এখানে। এতদিনে অনেক কাজ জমা হয়ে পড়েছিলো। সে সকালে বেরিয়েছে এখনও আসেনি। অন্য সময় হলে তাড়াতাড়ি চলে আসতো। হয়তো আজ কাজের চাপ বেশি সেজন্যে আসতে পারছে না। বাবার কথা শোনামাত্র ইনিমা একদম হতভম্ব হয়ে যায়। বাসায় আসতে না আসতেই এমন খবর শুনবে তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলো না। ফজলুল চৌধুরী বলেছিলো ইনিমার পড়াশোনা শেষ হলে এসব নিয়ে ভেবে দেখবে। এখনো তো তার পড়াশোনাই শেষ হয়নি। আর এক বছর লাগবে। তার আগেই এসব কথা বলা শুরু করেছে। মায়া রেগে বলে উঠে,

-‘কিসব বলা শুরু করেছো? একসাথে দুই ছেলে মেয়ে কে বিয়ে দিবে মানে কি? আমাকে একবারও বলেছো এসব? কাউকে না জানিয়ে হুট করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে। একবারও জানানোর প্রয়োজন বোধ করোনি।’

ফজলুল চৌধুরী ভাবলেশহীন হয়ে বসে আছে। সবাই শুধু দেখে যাচ্ছে। কারো টু শব্দ করার ও সাহস নেই এখানে। হয়তো বা সেটা ফজলুল চৌধুরী পছন্দ ও করবে না।

-‘আমি বলেছি না আমার ছেলে মেয়ের ব্যাপারে কথা বলার সর্বাধিক অধিকার আমার আছে। তাহলে আবার এরকম প্রশ্ন করছো কেনো?’

মায়া চৌধুরী আবার বলে উঠে,
-‘আমি ওদের মা। আমার কি কথা বলার কোনো অধিকার নেই? সব অধিকার তুমি নিয়ে বসে আছো? আয়াজ বাসায় আসুক। আমি সব বলবো ওকে। বাবা হয়ে কি এক উপকার করেছো।’

ফজলুল চৌধুরী হাসে কিছুটা।
-‘আমি একবারও বলেনি তোমার অধিকার নেই। অবশ্যই আছে। তবে আমি যা ঠিক করেছি। সেটাই হবে। আর আয়াজ কে যা বলার আছে বলে নিও। উঠছি আমি।’

ফজলুল চৌধুরী চলে আসে সেখান থেকে। মায়ার রাগ উঠছে। আজকাল বেশি বেশি করছে ফজলুল চৌধুরী। কারো কথার পরোয়া করে না। নিজে যেটা ঠিক করে সেটাই করছে। এখন আবার ইনিমা আর আয়াজের বিয়ে নিয়ে কথা বলা শুরু করেছে। কি যে এক কান্ড! ইনিমা তার রুমে চলে যায়। রুয়াত আর নিমি কিছুই জানে না। এখন সন্ধ্যা। কিন্তু সেই বিকেলে ঘুমিয়েছে এখনও উঠেনি তারা। ঘুমে থাকার কারণে কেউই কিছু জানে না।
.

ইনিমা তার নিজ রুমে বসে আছে। ফজলুল চৌধুরী দরজা খোলার জন্য বলেছিলো কিন্তু সে খুলেনি। এতো বার ডাকার পর ও প্রতিউত্তরে কিছুই বলেনি। তার বাবার প্রতি রাগ জমেছে ভীষণ। ঠিক করেছে কোনো মতেই কথা বলবে না। কখন যে রুম এসেই বসে আছে তার খবর নেই। জেবা নিজে এসেও ডেকে গিয়েছে তারপর ও খুলেনি।

রুয়াত ঘুম থেকে উঠেছে কিছুক্ষণ হয়েছে। কিন্তু নিমি এখনো ঘুমাচ্ছে। বিকেল হলেই মাঝেমধ্যে বাচ্চাদের মতো রুয়াত নিমি কে টেনে নিয়ে আসে ঘুমানোর জন্য। তখন কোনো মতেই ঘুমাতে চায় না। আবার ঘুমালে উঠতে চায় না। অদ্ভুত প্রানী! অনেক্ক্ষণ ধরে নিমি কে ডেকে যাচ্ছে রুয়াত। এক সময়ে বিরক্ত হয়ে আর ডাকেনি। রুম থেকে বের হয়ে আসে। ইনিমার রুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। দরজায় দু’বার নক করার পর অপাশ থেকে শব্দ আসে,

-‘কে?’

-‘আপু আমি রুয়াত।’

রুয়াত এসেছে শুনে ইনিমা দরজা খুলে দেয়।
-‘তোরা এতো সময় ধরে ঘুমিয়েছিস?’

-‘হ্যাঁ। আমি তো উঠেছি। কিন্তু নিমি এখনও ঘুমাচ্ছে।’

ইনিমা চুপ হয়ে যায়। মুলত তার কথা বলতে এখন ভালো লাগছে না। রুয়াত ভ্রু কুচকে চেয়ে আছে। হঠাৎ ইনিমার মুখের এরূপ ভাব দেখে কিছুটা খটকা লাগলো। ফের বলে উঠে,

-‘কি হয়েছে তোমার আপু? কিছু নিয়ে চিন্তায় আছো তুমি?’

অবাক চোখে ইনিমা রুয়াতের দিকে তাকায়। রুয়াত জানে না কি হয়েছে? পরক্ষণেই মনে পড়ে তারা তো ঘুমিয়েছিলো। জানবেই বা কি করে? ইনিমা দুঃখভরা কন্ঠে বলে-

-‘বাবা আমার আর ভাইয়ার বিয়ে এক সঙ্গে দিবে বলে ঠিক করেছে। আচ্ছা তুই বল আমার পড়াশোনা এখনো শেষ হয়েছে? তার আগেই এসব নিয়ে পড়েছে। ভাইয়ারটা ঠিক ছিলো। কারণ ওর বয়স হয়েছে বিয়ের। ওকে বিয়ে দিলে দেওয়া যায়। কিন্তু আমার? জানিস আজ সন্ধ্যায় বাবা সবার সামনে এটা বলেছে। মাকে ও জানায়নি একবার। কি করবো সেটাই ভেবে উঠতে পারছি না।’

রুয়াত আশ্চর্য হয়ে গিয়েছে কথাটি শুনে।
-‘মানে?’

-‘হ্যাঁ ঠিকই বলেছি। বাবা যে কেনো এমন শুরু করেছে কে জানে? আমার এসব খুব বিরক্ত লাগছে। একদম ভালো লাগছে না এগুলো।’

রুয়াত আর কিছু বললো না। এবার মনেহয় সত্যি সত্যি আয়াজ কে হারিয়ে ফেলবে। এখন থেকেই এক অন্য রকম যন্ত্রণা শুরু হয়েছে। যখন আয়াজের বিয়ে হয়ে যাবে। আবার সেও এই বাড়িতে থেকে সবটা দেখবে। তখন কিভাবে সহ্য করবে? মাথায় ওড়না চেপে ধরে বসে আছে রুয়াত। ইনিমা ও কিছু বললো না। অতিমাত্রায় বিরক্ত লাগছে তার। হঠাৎ আয়াজ ইনিমার রুমে আসে। পাশেই রুয়াত বসে আছে। কোনো রকম কথা না বলেই সোজাসুজি বলে-

-‘ইনিমা বাবার রুমে আয়। কথা আছে আমার।’

আয়াজ একবার রুয়াতের দিকে তাকিয়ে সোজা হাঁটা শুরু করে। ইনিমা তার ভাইয়ের পিছন পিছন ফজলুল চৌধুরীর রুমের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। আয়াজ বাসায় আসার সাথে সাথেই মায়া সব জানিয়ে দেয় তাকে। প্রথমত তার বাবার সেদিনের কথা নিয়ে এখনো ক্ষোভ রয়েছে। তার উপরে আজকের ঘটনা পুরোটা শুনে আরও রাগ উঠে যায়। আজ কিছু বলাই লাগবে। দিন দিন যা শুরু করেছে। কিছু কথা বলে থামাতেই হবে। মায়া চৌধুরী ও ফজলুল চৌধুরীর রুমে অপেক্ষা করছে আয়াজ আর ইনিমার জন্য। আয়াজ এসেই বলে উঠে,

-‘ইনিমা তুই বাবার এই প্রস্তাবে রাজি?’

সহসা ইনিমা মাথা দু’দিকে ঝাঁকিয়ে বলে-
-‘না আমি একটুও রাজি না। এবং বাবা রাজি থাকলেও আমি কিছুতেই বিয়ে করবো না এখন। মন থেকে বলছি এই প্রথম বাবাr এই প্রস্তাবে আমি রাজি নই।’

তাচ্ছিল্য হেসে আয়াজ বলে-
-‘তুমি মা কে বলেছো না তোমার ছেলে মেয়ের উপর তোমার সর্বাধিক অধিকার রয়েছে। এখন সেই ছেলে মেয়েই বলছে এই প্রস্তাবে তারা রাজি না। আর তোমাকে আমি জানিয়েছি না আমার মনের কথা? তুমি তো রাজি হলেই না বরং আরও উল্টো পাল্টা কাজ শুরু করেছো। তুমি জানো বাবা লেবু বেশি চাপলে তেঁতো হয়ে যায়। স্ব’ইচ্ছায় নিজের ছেলে মেয়ের কাছে অকারণেই খারাপ হয়ে যেও না।’

ফজলুল চৌধুরী চুপ করে কথাগুলো শ্রবণ করে। অতঃপর বলে-
-‘আমি তো রাজি না তোমার সে প্রস্তাবে। আমার অনুমতি না নিয়ে দেখবো তুমি কিভাবে কাজটা করতে পারো।’

মায়া আর চুপ থাকতে পারলো না। সকালের সেই রাগ এখন আবার উঠেছে। ছেলে মেয়েকে দেখে একটু ভরসা পাচ্ছে। তাই বলে-

-‘আমিও রাজি না। দেখবো তুমি কিভাবে এই কাজ করতে পারো। আমরা মা ছেলে মেয়ে তোমার বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো। তুমিই একা থেকো। আমাদের কথার তো কোনো দাম নেই তোমার কাছে। থেকে কি করবো আর। দরকার পড়লে তুমি নিজে আরো একটা বিয়ে করে শান্তিতে থাকো। তাও আমাদের এসব বলে জ্বালিও না।’

ইনিমা তার মায়ের কথায় ফিক করে হেসে দিলো। আয়াজ চোখ রাঙিয়ে তাকায় ইনিমার দিকে। ব্যাস তার হাসি মুহুর্তেই উবে যায়। ফজলুল চৌধুরী নিজেকে শক্ত করে। গম্ভীরমুখে বলে-

-‘আমি যা বলেছি তাই হবে। এর নড়চড় হবে না।’

-‘তো তাহলে তুমিই বিয়েটা করে ফেলো। আমি এই এখন বলছি আমার ছেলে যাকে ভালোবাসে তাকেই আমার ঘরের বউ করে নিয়ে আসবো। তোমার অনুমতির দরকার নেই আমার। আর রইলো মেয়ের কথা। ওরটা পরে ভেবে দেখবো।’

আয়াজ ভালোবাসে? কাকে? কে সেই মেয়ে? ইনিমা তড়িঘড়ি করে আয়াজের দিকে তাকায়। সে কি আদোও কানে ঠিক শুনেছে? তার ভাই ভালোবাসে? কে মেয়েটা? আর এই কথা মায়া চৌধুরী বলছে মানে মিথ্যে হবে না। বিরক্তিকর শব্দ করে আয়াজ বলে-

-‘কার কথা শুনে এমন করছো জানিনা। তবে একটা কথা বলে রাখছি। সত্যিই ভালো হবে না এরকম কিছু করলে। তুমি আমার বাবা। আমায় ভালো করেই চিনো। তোমার জন্য সতেরো দিন বাড়ি ছিলাম না। শুধুমাত্র তোমার জন্য। এই কথাটি তুমি ছাড়া আর কেউ জানে না। এমন কিছু করলে আমি একেবারের জন্যই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো। বলে রাখলাম।’

আয়াজ বের হয়ে আসে রুম থেকে। মায়া চৌধুরী চোখ রাঙিয়ে তাকিয়ে আছে ফজলুল চৌধুরীর দিকে। তার সিদ্ধান্তে কি কেউই মত দিবে না নাকি? তাহলে পরের স্টেপে কিভাবে যাবে? এতো ভালো গেম যদি এখানেই শেষ হয়ে যায় তাহলে কি হবে? না কোনোমতেই এসবে কান দিবে না। শেষ পর্যন্ত যাবে বলে ঠিক করেছে।

-‘তুমি আমার ছেলে কে কি বলেছো? যার জন্য আয়াজ এতোদিন বাসায় ছিলো না।’

ফজলুল চৌধুরী দ্বিধাবোধ করলো না। সোজাসাপ্টা বলে-
-‘ বলেছি আমি তোমার ছেলের কথা মেনে নিবো না। তার এই সম্পর্কে আমার মত নেই। এটাই শুধু বলেছি। তখন ও মত দেইনি এখনও দিচ্ছি না।’

-‘ঠিক আছে। আমরাও দেখবো তুমি কি করতে পারো। আমরা কেউ তোমার এমন প্রস্তাবে মত দেইনি। আর দিবোও না।’

মায়া চৌধুরী ইনিমার হাত ধরে বেরিয়ে আসে। ফজলুল চৌধুরী অসহায় দৃষ্টিতে চেয়ে আছে। এই মা ছেলের রাগের কাছে বরাবরের মতোই পরাজিত তিনি। তবুও দেখেই ছাড়বেন শেষ পর্যন্ত কি হয়।

(*)

রূহান পড়তে বসেছে। আয়াজ ফ্রেশ হয়ে এসে রুয়াত কেই খুঁজে যাচ্ছে সারা বাড়ি। এমনকি তার রুমে গিয়েও খুঁজেছে। তবে পায়নি। মেয়েটা কে খুঁজে না পেয়ে এক প্রকার অস্থির হয়ে ওঠে। কারণ আজকের ঘটনাটি রুয়াত ও জানে। না জানার কথাও নয়। যেহেতু সে বাড়িতেই থাকে। তাহলে নিশ্চয়ই জানবে। পুরো ঘটনা ক্লিয়ার করার জন্য রুয়াত কে খুঁজে যাচ্ছে। নাহয় আবার কি পাগলামো শুরু করবে। কে জানে! রূহানের কাছে গিয়ে আয়াজ বলে-

-‘তোমার আপু কোঁথায় রূহান?’

বইয়ের থেকে মাথা তুলে আয়াজের দিকে তাকায় রূহান। চশমা ঠেলে ঠিক করে নেয়।
-‘ভাইয়া আমি তো জানি না। ইনিমা আপুর কাছে ছিলো।’

আয়াজ আর কিছু বললো না। নিমি তার মায়ের রুমে। ইনিমা তো মায়া চৌধুরীর কাছে ছিলো। তাহলে রুয়াত কোঁথায়? পরক্ষণেই মনে পড়লো ছাদে গিয়ে দেখেনি।আয়াজ সোজা ছাদে যায়।
ছাদের কিনারায় মেঝেতে বসে পা দুলাচ্ছে রুয়াত। বারবার একটি কথা ভাবতে ভাবতে মাথা ধরে গিয়েছে।

-‘তুমি কি ম’র’তে এসেছো?’

পিছন ফিরে রুয়াত আয়াজের দিকে তাকায়। আবার মুখটা সরিয়ে নেয়। আয়াজ ভ্রু কুচকে চেয়ে আছে। শুরু হয়েছে আবার রুয়াতের অভিমান। বুঝতে বাকি রইলো না। ফোস করে নিঃশ্বাস টানে। অতঃপর প্রেয়সীর পাশে এসে বসে। আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে-

-‘প্রেয়সী না তার এমপি সাহেব কে রীতিমতো শান্ত পুরুষ বানিয়ে দিয়েছে। এই যে সে বারবার অভিমান করে। আর আমি কোনো দোষ না করেও সেই অভিমান ভাঙানো লাগে।’

সহসা রুয়াত বলে-
-‘আপনি দয়া করে এখান থেকে চলে যান। আপনার কয়েকদিন পরেই বিয়ে সেটা নিয়ে ভাবুন। আমি অভিমান করিনি।’

-‘মেয়ে মানুষের প্রতিদিন একটা ঘাড় ত্যাড়া কথা না বললে শান্তি হয়না। বুঝেছি। আচ্ছা কষ্ট পেয়েছো তাহলে?’

-‘নাহ্। আমি আরও খুশি হয়েছি।’

-‘ওহ্ আচ্ছা। তা এতো রাতে এখানে বসে থাকার মানে কি?’

-‘আমার ইচ্ছে হয়েছে তাই এসেছি।’

আয়াজ রুয়াতের দিকে তাকায়।
-‘ভালোবাসি বলার পর ভীষণ অবাধ্য হয়ে গিয়েছো। আগে আমায় দেখলে তুমি থরথর কাঁপতে। মনে পড়ে সেগুলো?’

সিগারেট ধরায় আয়াজ। রুয়াত সেদিকটায় চেয়ে আছে। নাক মুখ কুঁচকে বলে-
-‘এটার গ’ন্ধ আমি সহ্য করতে পারি না।’

হাত থেকে সিগারেট ফেলে দেয় আয়াজ।
পরক্ষণেই বলে-
-‘জানো প্রেয়সী সিগারেটের ধোঁয়া আমার অন্তর এতো বেশি পোড়ায় না। যতটা না তোমার অভিমান, কান্না আমার হৃদয় পোড়ায়।’

#চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here