প্রেম_প্রার্থনা #তামান্না_আঁখি #পর্ব-২৯

0
516

#প্রেম_প্রার্থনা
#তামান্না_আঁখি
#পর্ব-২৯

চারু এক দমে বলল-

“আমি তোমারে বিয়ে করবাম তুমি অন্য কাওরে বিয়ে কইরো না।”

বলেই চারু ফোন কেটে দিলো। সে বড় বড় শ্বাস ফেললো । কয়েক সেকেন্ড পরেই রবিনের কল আসলো। চারুর বুক ধড়ফড় করে উঠলো। সে কল কেটে দিয়ে ফোন সুইচ অফ করে ফেললো।

চারু বিছানায় উঠে আপাদমস্তক কাঁথা মুড়িয়ে শুয়ে পড়লো। তার বুকের ভেতর টর্নেডো বইছে , হৃদপিন্ড বার বার তার অস্থিরতার কথা জানান দিচ্ছে। এই কিশোরী বয়সে এত আবেগ কি আর সহ্য করা যায়? যায় না। চারুর অস্থিরতাকে আরো বাড়িয়ে দিতে দরজায় করাঘাতের শব্দ হলো। চমকে উঠলো চারু। কাঁথা সরিয়ে বিছানায় উঠে বসলো। দরজায় আরো কয়েকটা করাঘাত হলো। পর পর শুনা গেলো ফারহানার কন্ঠ-

“চারু, দরজা খোল।রবিন ভাই আমারে কল দিছে, তোর সাথে কথা কইতো। ”

চারু বিস্ফোরিত চোখে দরজার দিকে তাকালো। তারপর তাকালো তার ফোনের দিকে। হায় আল্লাহ!! তার ফোন বন্ধ পেয়ে রবিন ফারহানাকে কল দিয়েছে। আবারো ডাকলো ফারহানা-

“চারু দরজা খোল। ”

চারু দুই পাশে মাথা নাড়লো। সে জীবনেও দরজা খুলবে না। সে একটু আগে লাজ লজ্জা বিসর্জন দিয়ে যেই কান্ড ঘটিয়েছে এরপর পৃথিবীর কোনো প্রাণির সামনে তার মুখ দেখানো চলবে না। ফারহানা কন্ঠ শোনা গেলো আবারো-

“চারু রবিন ভাই কলে আছে।তোর ফোন নাকি বন্ধ। এই চারু? ঘুমায় গেছস?”

চারু কাঠ হয়ে বিছানায় বসে রইলো। নিশ্বাস নিতেও তার ভয় হচ্ছে, পাছে নিশ্বাসের শব্দ ফোনের ওপাশে রবিনের কানে চলে যায় যদি। দরজার ওপাশ থেকে শোনা গেলো ফারহানা কলে থাকা রবিনকে উদ্দেশ্য করে বলছে-

“রবিন ভাই, চারু মনে হয় ঘুমায় গেছে। কাল সকালে কল দিও।”

বলতে বলতে ফারহানা নিজের ঘরের দিকে চলে গেলো। আস্তে আস্তে তার পায়ের শব্দ মিলিয়ে গেলো। চারপাশে পিনপতন নীরবতা আকড়ে ধরলো। সেই নীরবতার মাঝে চারু ঠায় বসে রইলো। তার মনে হচ্ছে অনেক বড় অপরাধের আসামী সে। চারপাশের সবাই এখন তাকে ফাঁসিমঞ্চে তোলার জন্য এগিয়ে আসবে। খানিক আগের ঘটনা টা আবারো মনে পড়তেই চারুকে অস্বস্তি ঘিরে ধরলো। সে আবারো আপাদমস্তক কাঁথা দিয়ে ঢেকে শুয়ে পড়লো। কিন্তু অনেক্ষন যাবত তার ঘুম আসলো না। গরমে আর চিন্তায় সে ঘেমে জবজবে হয়ে গেলো তাও কাঁথার বাইরে আসলো না। প্রতিজ্ঞা করলো এই মুখ সে আর কাউকে দেখাবে না।

চারুর প্রতিজ্ঞা সকাল হতেই আর রক্ষা করা সম্ভব হলো না। রাজিয়া বেগমের ডাকাডাকি তে তাকে ঘরের বাইরে আসতে হলো। সকালের খাবার খেতে হলো সবার সামনে বসেই। বার বার তার রাতের কথা মনে হয়েছে। খুব কষ্টে সে খাবার গিলেছে। তারপরেই ঘরে চলে এসেছে। বাড়িতে থাকলেই গত রাতের কথা বার বার মনে পড়বে এর চেয়ে স্কুলে গেলে আড্ডা দিয়ে দিন টা পাড় করা যাবে। চারু স্কুলের ব্যাগ গুছাতে লাগলো। ফারহানা এসে ঘরে ঢুকলো।চারুর কাছে এসে প্রশ্ন ছুড়লো-

“গত রাতে তোর কি হইছিলো? এত ডাকলাম সাড়া দিলি না? এতো ঘুম ই ঘুমাইছস?”

চারু আড়চোখে ফারহানার দিকে তাকালো। তারপর চোখ ফিরিয়ে নিলো। অস্বস্তি ধামাচাপা দিয়ে বলল-

“হেডফোন দিয়া গান শুনতে শুনতে ঘুমাইছি তো তাই শুনছি না।”

ফারহানা ভ্রু কুচকালো। সন্দেহবাতিক কন্ঠে বলল-

“গান শুনছস তেইলে আবার তোর ফোন বন্ধ দেখাইছে কেন? রবিন ভাই তোর ফোন বন্ধ পাইয়া আমারে কল দিছিলো।”

চারু অপ্রস্তুত হয়ে এদিক ওদিক দেখলো।সে কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। ফারহানা কোমড়ে হাত রেখে বলল-

“সত্যি কইরা ক তো তুই আবার কি কান্ড ঘটাইছস?”

চারু বই গুছানোর ভান করলো।থতমত খেয়ে বলল-

“আমি,আমি আবার কককি কান্ড ঘটাইবাম? আন্দাজি কথা কও।”

“তেইলে রবিন ভাই আমারে এত রাতে কল দিলো কেন?”

“আমি কি জানি।রবিন ভাইরে গিয়া জিগাও।”

“যদি চাচ্চুর হাতে আবার মাইর না খাইতে চাস তেইলে আর কোনো কিছু ঘটাইস না। এইবার কিন্তু তোরে বাচানোর লাইগা রবিন ভাই নাই।”

ফারহানা গটগট করে ঘর ছেড়ে চলে গেলো। চারু সেদিকে তাকিয়ে বড় একটা শ্বাস ফেললো। সে যেই কাজ করেছে এই কাজের কথা বাড়িতে জানলে এইবার আর কঞ্চির মার না সোজা কবরে পাঠাবে তাকে। সে আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে মনে দোয়া করলো –

“আল্লাহ রবিন ভাই যেন আব্বা আম্মারে বিচার না দেয়।”

______

সারা বার বার আয়নায় নিজেকে দেখছে তাও তার মন ভরছে না। আয়না টা আরেকটু বড় হলে মন টা ভরতো। এই ফেস পাউডারের ছোট আয়নায় ভালোভাবে দেখা যাচ্ছে না কিছুই। সারা আয়না নিচে নামিয়ে সামনের দিকে তাকালো। সেই কখন থেকে সে রেস্টুরেন্টে এসে বসে আছে এখনো রবিনের আসার নাম নেই। অবশেষে আরো পাঁচ মিনিট দেরি করে রবিন আসলো। রবিনকে দেখেই সারা গাল ফুলিয়ে অভিমানী মুখ করে বসে রইলো। রবিন চেয়ারে বসে সারার দিকে তাকালো। সারার চোখে মুখে অভিমান খেয়াল করে প্রশ্ন করল-

“কোনো সমস্যা?”

সারা অভিমানী কন্ঠে বলল-

“সেই কখন থেকে বসে আছি। এতক্ষন ওয়েট করানোর মানে কি? ”

রবিন ঘড়ি দেখলো। তারপর বলল-

“আমি মাত্র ৭ মিনিট লেট করছি এতেই এতো অভিমান?”

সারা এদিক ওদিক দেখলো। খানিক গলা ঝাড়লো। রবিন তো আর জানে না যে সে আধা ঘন্টা আগে থেকেই এসে বসে আছে। রবিন সারার ভাবগতি খেয়াল করে বলল-

“কি কইবি ক? আমার কাজ আছে।”

সারা নাক কুচকালো। এমন একটা ভাব যেন দেশ উদ্ধার করতে যাবেন উনি।পাঁচ মিনিট সময় তাকে দিলে কি হয়? হবু বউ ই তো নাকি। হবু বউ এর কথা মনে হতেই সারা লজ্জা পেলো। মৃদু কন্ঠে বলল-

“তোমার গুলির আঘাত টা সেরেছে?”

রবিন একটা ভ্রু উঁচু করলো।জিজ্ঞেস করলো-

“এইটা জিজ্ঞেস করার লাইগা ডাকছস?”

সারা মিথ্যা জবাব দিলো-

“মা তোমার জন্য টেনশন করছিলো। তাই আমাকে বললো তোমার সাথে দেখা করে শিউর হতে যে তুমি সুস্থ হয়েছো।”

“ও আচ্ছা।কি খাইবি ক।”

“এইটা কেমন ভাষা রবিন ভাই।অর্ধেক শুদ্ধ ভাষা অর্ধেক আঞ্চলিক ভাষা।”

রবিন আয়েশ করে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসলো। সারার দিকে তাকিয়ে বলল-

“আমি গ্রামের ছেলে। গ্রামের সবাই আঞ্চলিক ভাষায় ই কথা কয়। আর বাকি যারা একটু স্কুল কলেজে গেছে তারা শুদ্ধ আর আঞ্চলিক মিলায়া কথা কয়। আমি চাইলেই পুরোপুরি শুদ্ধ ভাষায় কথা কইতে পারি কিন্তু কই না।কারন আঞ্চলিক ভাষা ছাড়া কথা কইয়া আমি আরাম পাই না। আর পুরোপুরি আঞ্চলিক ভাষায় কথা কইলে আমার ভার্সিটির অন্য এলাকার বন্ধুরা আমার অনেক কথাই বুঝতে পারতো না। তাই দুইটা মিলায়া বলি।”

সারা এক ধ্যানে রবিনের দিকে তাকিয়ে থেকে কথা গুলো শুনলো।কি সাবলীলভাবে কথা বলে ছেলেটা!!কোনো রাখ ঢাক নেই। কি কঠিন ব্যক্তিত্ব তার। এই ব্যক্তিত্বের প্রেমেই তো সারা বার বার কুপোকাত হয়।

রবিন ওয়েটারকে ডাকলো। সারাকে ইশারা করে অর্ডার করতে বললো। সারা অর্ডার করলো। ওয়েটার কে বিদায় করে দিয়ে রবিন ফোনে ব্যস্ত হয়ে গেলো।

সারা একমনে সেদিকে তাকিয়ে রইলো। সামনের ধারালো চেহারার এই শ্যামপুরুষকে তার চাই, সারাজীবনের জন্য চাই, যে কোনো মূল্যে চাই।চাই ই চাই।

_______

চারু ক্লাসে বসে উসখুস করতে লাগলো।কিছুতেই তার ক্লাসে মন টিকছে না।বার বার গত রাতের কথা মনে পড়ছে। তার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। একটু পর পর পানি খাচ্ছে সে।রানি পুরো ব্যাপার টা খেয়াল করলো। ক্লাস শেষ হতেই সে চারুকে টেনে ক্লাসের পিছনের বেঞ্চগুলোর দিকে নিয়ে গেলো।একটা বেঞ্চে চারুকে বসিয়ে দিয়ে চারুর সামনে দাঁড়ালো রানি। জিজ্ঞেস করল-

“তোর কি হইছে ক তো?”

চারু হাতের আংগুল ঘষতে ঘষতে বললো-

“কি হইতো? কিছু হয় নাই?”

“আমারে মিথ্যা বলিস না।তোর মতো শয়তানের হাড্ডি ক্লাসে কথা না বইলা চুপচাপ ক্লাস করছে। নিশ্চয়ই কিছু হইছে। ক আমারে?”

চারু এইবার আর কথা পেটে চেপে রাখতে পারলো না।এম্নিতেই এত বড় কান্ড ঘটিয়ে তার অস্থিরতার শেষ নেই তার উপর মনের মাঝে কথা টা চেপে রাখতে রাখতে তার অস্থিরতা আরো বাড়ছে। সে রানির হাত চেপে ধরে বলল-

“রানি আমি না বুইঝা একটা কাজ কইরা ফেলছি।”

রানি কিছুটা ঝুঁকলো।গলা নামিয়ে প্রশ্ন করলো-

“কি কাজ?”

চারু দেখলো আশেপাশে কেউ আছে কিনা।তারপর গলার স্বর নিচু করে বলল-

“আমি রবিন ভাই রে ভালবাসার কথা বইলা দিছি।”

রানি প্রথম প্রথম বুঝলো না কথাটা। সে চোখ ছোট ছোট করে জিজ্ঞেস করল-

“কি বইলা দিছস?”

তারপরে অবাক হওয়ার মতো একটা শব্দ করে মুখে দুই হাত চেপে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে গেলো। চারু অসহায় চোখে তাকিয়ে থাকলো রানির দিকে। রানি এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলো কেউ শুনেছে কিনা। তারপর চারুর পাশে বসে চারুর বাহুতে কয়েকটা থাপ্পড় দিলো। বলল-

“নির্লজ্জ বেহায়া! তুই মেয়ে জাতির কলংক।নিজে থাইকা কেউ ভালবাসার কথা কেমনে কয়।”

চারু বিষন্ন মুখে বসে রইলো। রানি কিছুটা ধাতস্থ হয়ে বলল-

“ভাইয়া এসব শুইনা কি কইছে?”

চারু মিনি মিনি করে বলল-

“কিছু বলার আগেই আমি কল কাইটা দিছি। পরে ফোন অফ কইরা দিছিলাম।”

রানি মুখ ভেঙিয়ে বলল-

” খুব ভালো করছস।এতক্ষনে ভাইয়া বোধ হয় মামা মামী সবাইরে বিচার দিয়া দিছে।”

চারু রানির দিকে চেপে বসলো। রানির হাত ধরে ভয়ার্ত কন্ঠে বলল-

“এমনে ভয় দেখাইস না প্লিজ।”

“এহহহ! এখন ভয় পাস কেন? এই কাজ করার সময় ভয় পাস নাই?”

চারু ক্ষেপে গেলো।রাগী কন্ঠে বলল-

“তোর লাইগাই হইছে এমন।তুই কল দিয়া সারা আপু আর রবিন ভাইয়ের বিয়ের কথা কইছস তাই আমি অস্থির হইয়া এই কাজ করছি।”

“চুপ একদম আমার দোষ দিবি না।আমি কইলেই কি তুই গু খাইবি?”

চারু বড় বড় চোখ করে তাকালো।রানি আবারো বলল-

“তেইলে আমার দোষ দিবি না। নিজের বুদ্ধিতে এই কাজ করছস এখন নিজের ঠেলা নিজে সামলা।”

চারু কাঁদো কাঁদো মুখে বসে রইলো। তার কাছে রানিকে পৃথিবীর সবচেয়ে নিষ্ঠুর বন্ধু মনে হলো।এমন বন্ধু যেন কারো না হয়।।

পরের দুটো দিন চারুর খুব ভয়ে ভয়ে কাটলো। খালি মনে হতে লাগলো এই বুঝি রবিন কল করে সব বলে দেয়। সে অনলাইনে বেশি এক্টিভ থাকলো না। রবিনকে অনলাইন হতে দেখলেই সে অফলাইন হয়ে যেতে লাগলো।প্রয়োজন ছাড়া ফোন টাও সে অফ করে রাখলো। তৃতীয় দিন চারুর সমস্ত ভয় কেটে গেল। সে ফুরফুরে মন নিয়ে এদিক ওদিক ঊড়ে বেড়ালো। ওইদিন আর স্কুলে গেলো না।
বিকেলের দিকে রানি কল করলো। চারুকে তালুকদার বাড়ি যেতে বললো। চারু সেজেগুজে ফুরফুরে মন নিয়ে ওড়না দুলাতে দুলাতে তালুকদার বাড়ি হাজির হলো। রানির সাথে আড্ডা দেয়ার এক পর্যায়ে রানি বলল-

“ছাদে মা আচার রোদে দিছে। গিয়ে আন তো। খাইতে খাইতে আড্ডা দেই।”

চারু আচারের কথা শুনতেই এক দৌড়ে ছাদে চলে আসলো। কিন্তু এদিক ওদিক খুজেও কোনো আচার পেলো না। হঠাৎ পিছন থেকে এক গম্ভীর আওয়াজ ভেসে আসলো-

“কি খুঁজস?”

চারু চমকে পিছনে তাকালো।তাকিয়ে সে স্তব্ধ হয়ে গেলো। রবিন ঘাড় বাঁকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।চারুর দিকে তাকিয়ে সিগারেটে টান দিয়ে ধোঁয়া ছাড়লো সে। চারু অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।রবিন আস্তে আস্তে এগিয়ে এসে চারুর সম্মুখে দাঁড়ালো। মাথা দিয়ে ইশারা করে বুঝালো “কি”।

চারু এক দৌড় দিয়ে সেখান থেকে যেতে উদ্যত হলো।পারলো না। রবিন খপ করে চারুর বাহু ধরে ফেললো। এক টানে চারুকে এনে দেয়ালের সাথে দাঁড়া করালো। চারুর এক পাশের দেয়ালে হাত রেখে কিছুটা ঝুঁকে দাঁড়ালো। চারুর দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকালো। চারু সেই দৃষ্টিতে একবার তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিলো। কি ভয়ংকর দৃষ্টি!! এমনভাবে তাকায় কেন? আগে তো এমন ভাবে তাকিয়ে থাকতো না। নাকি এমন ভাবেই তাকিয়ে থাকতো।হয়ত চারু কোনোদিন খেয়াল করেনি।

রবিন হাতের সিগারেটটায় একটা শেষ টান দিয়ে দূরে ছুড়ে ফেললো। বাম দিকে মুখ বাঁকিয়ে ধোয়া ছাড়লো। এক রাশ ধোঁয়া উড়ে গেলো রবিনের কাঁধ ছুয়ে। চারু মনে মনে চাইলো সে নিজেও এরকম ধোঁয়া হয়ে উড়ে যাক।তাহলে যদি রক্ষা হয়।।
রবিন চারুর দিকে তাকিয়ে কিছুটা ঝুঁকলো।চারুর কানের কাছে গিয়ে কন্ঠে মাদকতা ঢেলে বলল-

” আমায় বিয়ে করতে চাস?”

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here