#প্রেম_প্রার্থনা
#তামান্না_আঁখি
#পর্ব-১২
“তুই অনেক বড় হয়ে গেছিস চারুলতা।”
চারুলতা?? চারু মুখ তুলে রবিনের দিকে তাকালো। রবিন ঠিক আগের দৃষ্টিতেই তাকিয়ে আছে। চারু বিস্মিত হলো। রবিন ভাই তো তাকে চারুলতা ডাকে না। আজ ডাকলো যে? সে খুব ই অপ্রস্তুত হয়ে গেলো। তার মনে রবিনের জন্য কি আছে সে জানে না,কিন্তু রবিন তাকে চারুলতা ডাকায় তার মন ভালো লাগায় ভরে গেলো।
চারুকে চিন্তায় ডুবে যেতে দেখে রবিন চারুর মুখের সামনে তুড়ি বাজালো। চারু চিন্তা ভেংগে রবিনের দিকে মনোযোগ দিল। রবিন স্মিত হেসে বলল-
“মেলার দিন রেডি থাকিস। ফারু আর রনিরেও রেডি থাকতে বলিস। এখন যা। আর এই ভূতের মত সাজ তুল গিয়ে।”
চারু আস্তে করে উঠে নিচে চলে গেলো। রানির রুমে এসে সে থম মেরে বসে রইল। রানি এতক্ষন গোসলে ছিল। সে বাথরুম থেকে বের হয়ে চারুকে বসে থাকতে দেখে এগিয়ে এলো। উৎসুক কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো-
“কি রে! ভাইয়া কি বলসে? নিয়া যাইব?”
চারু অন্যদিকে চেয়ে মাথা নেড়ে বুঝালো “নিয়ে যাবে”। রানি খুশি হয়ে চুল মুছতে মুছতে ঘর জুড়ে হাঁটছে আর হাত নেড়ে নেড়ে চারুকে বলছে মেলায় গিয়ে কি কি কিনবে, কি কি খাবে। চারুর কানে কিছুই ঢুকছে না। তার কানে একটা কথাই বাজছে
“চারুলতা” “চারুলতা”
“তুই অনেক বড় হয়ে গেছিস চারুলতা”।।
আসলেই কি সে বড় হয়ে গেছে? রবিন কি এতদিনে তা খেয়াল করেছে? খেয়াল করলেও সে কথা বলার কি আছে ? ছোট থেকেই তো চারুকে দেখছে। চারু ওভাবেই থম মেরে বসে রইল। তার কিশোরী মনে নতুন গজানো অনুভূতিরা ডালপালা মেলতে শুরু করেছে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। সঠিক সময় এলেই পাতা গজিয়ে ফুল ফুটতেও শুরু করবে।
চারু আর তালুকদার বাড়ি থাকলো না। ভর দুপুরেই রুবিনা বেগমকে এটা ওটা বুঝিয়ে না খেয়েই বাড়ি চলে এলো। বাড়িতে এসেও তার মাথা ঝিম ধরে রইল। সেই দুপুরে ছাদের ঘটনা টাই ঘুরে ফিরে আসতে লাগলো। ছাদে যাওয়ার আগে সে সাজলো কেন, আর রবিন তাকে পেত্নী ডাকায় তার মন ই বা খারাপ হলো কেন? রবিনের কাছে সুন্দরী হওয়ার এত কিসের আকাঙ্ক্ষা তার? চারু চোখ বন্ধ করে বিছানায় পড়ে রইল।
সন্ধ্যায় চারু পড়ার টেবিলের চেয়ারে বসে টেবিলে মাথা রেখে খাতায় আঁকাআঁকি করছে। তখনি দুম করে দরজা খুলে গেলো। চারু মাথা তুলে দেখলো লিজা এসেছে। সে আবারো আগের মতো টেবিলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো। লিজা এগিয়ে এসে বললো-
“তুই নাকি রানিদের বাড়িতে ছিলি? রানি নাকি অসুস্থ? আমারে কইতি আমিও একটু গিয়া দেইখা আসতাম রানিরে।”
চারু কোনো উত্তর করল না। লিজা রানির জন্য তালুকদার বাড়ি যাবে নাকি কিসের জন্য যাবে তা সে জানে। লিজা আবারো বলল-
“এইবার মেলায় কার সাথে যাইবি? ফরহাদ ভাই ত নাই এইবার। কে নিয়া যাইব?”
” রবিন ভাই নিয়া যাইব।”
রবিনের কথা শুনেই লিজার মুখ আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে উঠলো। সে চট করে বলে ফেলল-
” তাইলে আমিও তোদের সাথে যাইবাম মেলায়।”
চারুর রাগ হলো। সে মাথা তুলে বললো-
“তুমি আমরার সাথে কেন যাইবা? তোমার চাচাত ভাই বোন দের সাথে যাও।”
“তোদের সাথে রবিন ভাই যাইতাছে। তাই যাইবাম।”
চারুর মুখ চোখ কুচকে এলো। লিজা আবার বললো –
“ভালোবাসার ফান্দে পড়স নাই ত তাই এইটার জ্বালা জানোস না। ”
চারু উদাস হয়ে প্রশ্ন করল-
“কি জ্বালা?”
“সবসময় তারে দেখতে মন চায়।”
চারু অন্যমনস্ক ভাবে বলল-
“তার আশেপাশে থাকতে মন চায়।”
লিজা বলল-
“তার সাথে একটু কথা কইতে মন চায়।”
চারুও বললো –
“তার কাছে একটু বসতে মন চায়।”
“হ আর….. ” বলেই লিজা থেমে গেলো। ভ্রু কুচকে চারুর দিকে তাকিয়ে বললো –
“এসব তুই কেমনে জানোস? তুই ও কি কারোও প্রেমে পড়ছস নাকি?”
চারু আবার টেবিলে শুয়ে পড়লো। ক্লান্ত কন্ঠে বলল-
“নাহ”
“তুই না তাহসান রে বিয়ে করবি। কয়েকদিন আগে ত আরেকজনের উপর ক্রাশ খাইছিলি। এখন কি অন্য কারো উপরে ক্রাশ খাইছস নাকি।”
চারু কোনো কথা বললো না।সে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে শুয়ে থেকে বললো-
“লিজা আপু তুমি এখন যাও। আমার মাথা ধরছে।”
লিজা মুখ ভেংচি দিয়ে চলে গেলো।
রাতের খাবারের সময় চারু খেতে গেল না। রাজিয়া বেগম মেয়ের হঠাৎ এমন পরিবর্তন দেখে খুব ই চিন্তায় পড়লেন। তিনি সব কাজ শেষ করে ভাতের থালা হাতে চারুর ঘরে ঢুকলেন, চারু তখন টেবিলে বসে খাতায় কিসব আঁকছে। রাজিয়া বেগমের আসার আভাস পেয়ে চারু মুখ ফিরিয়ে তার মায়ের দিকে তাকালো। রাজিয়া বেগম বিছানায় বসলেন। মেয়ের কপালে হাত রেখে বললেন –
“তোর কি শরির খারাপ নাকি?”
চারু মাথা নেড়ে বুঝালো তার শরির খারাপ না।রাজিয়া বেগম ভাতের প্লেট নিয়ে ভাত মাখতে মাখতে বললেন-
“আজ সারাদিন তোর খাওয়া দাওয়ার ঠিক নাই। এম্নে চললে তো অসুস্থ হইবি।নে হা কর।’
চারু বাধ্য মেয়ের মতো খাবার খেতে লাগলো। হুট করে ফারহানা এসে দরজায় দাঁড়ালো। অভিমানের কন্ঠে বললো-
” তুমি খালি ওরেই খাওয়ায় দিবা চাচী? আমি ও তো ভাল কইরা খাইছি না, আমারে খাওয়াইবা না?”
রাজিয়া বেগম হাসলেন।বললেন-
“এদিকে আইসা বস। আর আসার আগে তোর ছোট চাচীরে এক বাটি ভাত নিয়া আসতে ক।”
ফারহানা চিৎকার করে সামিরা কে ভাত নিয়ে আসতে বললো।। সে এসে বিছানায় আসন পেতে বসলো। রাজিয়া বেগম তার মুখে খাবার তুলে দিলো। একটু পর দরজায় এসে দাঁড়ালো রনি। তার হাতে ভাতের বাটি। সে ফারহানার চিৎকার শুনেই বুঝতে পেরেছে যে ছোট কাকি মুখে তুলে খাইয়িয়ে দিচ্ছে। তাই সে ও লোভ সামলতাএ না পেরে মায়ের কাছ থেকে ভাতের বাটি নিয়ে নিজেই চলে আসলো।।রনি এসেই রাজিয়া বেগমের গা ঘেষে বসলো। রাজিয়া বেগম রনির মুখেও ভাত তুলে দিলেন। ফারহানা মুখের ভাত শেষ করে বলল-
“চাচী তোমার হাতে ভাত খাইলে অমৃত লাগে। কি দিয়া মাখাও তুমি?
রাজিয়া বেগম হেসে দিয়ে বললেন-
” তাড়াতাড়ি খাইয়া পড়তে বস গিয়া। সামনে তোর পরিক্ষা।”
ফারহানা, রাজিয়া বেগম আর রনি একসাথে গল্প জুড়ে দিলো। চারু তাকিয়ে রইল তাদের দিকে। তার কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছে না। রাজিয়া বেগম কথার ফাঁকে ফাঁকে খাবার তুলে দিচ্ছেন ওদের মুখে।
________
চারু স্কুলের জন্য বাড়ি থেকে বের হলো। যাওয়ার পথে রানিকে ডেকে নিয়ে গেলো। একবার বাড়ির আশেপাশে তাকালো। রবিন কে দেখতে পেল না কোথাও। স্কুলে গিয়েও চারু ক্লাসে মন দিতে পারলো না। ফিরার পথে তুহিনকে দেখলো মোড়ে বসে থাকতে। দূর থেকে ওদের দিকে তাকিয়ে ক্যাপ খুলে তার মাথা দেখালো ইশারা করে। তার ভাবখানা এমন যে-
“তোমরা দেখো আমার মাথায় চুল উঠছে।”
চারু আর রানি দুজনেই বিরক্ত মুখে অন্য দিকে চেয়ে থেকে বাড়ির পথ ধরল। আসার পথে চারু দূর থেকে রবিনকে দেখতে পেল।রাস্তার পাশের গাছ গাছালির নিচে বসে আছে। আরেকটু কাছে যেতেই খেয়াল হলো যে রবিন সিগারেট খাচ্ছে। সিগারেটে টান দিয়ে মুখ নিচু করে বাম পাশে মুখ বাঁকিয়ে ধোয়া ছাড়ছে। কাঁধের পাশ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে ধোয়া। মাঝে মাঝে আকাশের দিকে মুখ করেও ধোয়া ছাড়ছে। চারুর মনে হলো সে এত সুন্দর দৃশ্য এর আগে দেখে নি। সিগারেট খেলেও যে মানুষকে এত সুন্দর লাগে তার জানা ছিল না। তার মনে হলো সিগারেটের সৃষ্টিই হয়েছে রবিনের জন্য।
চারু মাথা নাড়িয়ে সচকিত হলো। নিজেকে শাসালো। অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নিল। কিন্তু তার কিশোরী মনের সদ্য অনুভূতি তার বারন শুনলো না। সে বার বার চোরা চোখে তাকালো। যতক্ষন রবিনকে দেখা গেল ততক্ষন ই সে দেখে গেলো।
_____
বিকেল পেরিয়ে প্রায় সন্ধ্যা সন্ধ্যা। তুহিন একা একা মাঠের পাশ দিয়ে হেঁটে আসছে। তার পরনে লুংগি।গত রাতে বৃষ্টি হয়ার দরুন হালকা কাঁদা হয়েছে মাঠ ঘাট। চার পাশে একটা সতেজ সতেজ ভাব। তুহিন ফুরফুরা মনে গান গাইতে গাইতে আসছে। আরেকটু আগাতেই সে থেমে গেলো। আগে পিছে তাকালো। কোথাও কেউ নেই। সামনে রবিন হেঁটে হেঁটে আসছে।দৃষ্টি তার দিকে নিবদ্ধ। তুহিন একবার ভাবলো দৌড় দিবে কিনা। পরে ভাবলো দৌড় দিলে রবিন ধরেই নিবে যে সে কিছু করেছে।। সে দাঁড়িয়েই রইল।
রবিন এগিয়ে এসে বললো-
“রানির সাথে তুই কি করছস? তোর কি এখনো শিক্ষা হইছে না?”
“না জাইনা কথা কইস না। আমি তোর বইন রে কিছুই করি নাই।”
“তাই? আমি যদি কিছু জানতে পারি গতবার ত গাড়ির কাচ ভাংছি এইবার অন্য কিছু ভাংবাম।”
তুহিন একটু ভয় পেল। রবিন যে একটা তার ছিড়া সে জানে।কিন্তু সে সাহস হারালো না। সে গলা উঁচিয়ে বলল-
“হোপ!! কি করবি তুই? ছাড় দিছি দেইখা যা খুশি তাই কইবি?”
রবিন স্থির চোখে তাকিয়ে রইল তুহিনের দিকে। সে একটু এগিয়ে আসলো। তুহিন দুই হাত সামনে এনে বলল-
“যেইনে আছস ওইনে দাঁড়ায় থাক। তুই একটা তার ছিড়া, তোরে দিয়া আমার বিশ্বাস নাই।”
রবিন গর্জে উঠলো-
“কি কইলি?”
তুহিন পাশের একটা ক্ষেতে কাটা তারের বেড়া দেওয়া দেখল। সে একটু এগিয়ে লাফ দিয়ে সেই বেড়া পার হয়ে অই পারে গিয়ে রবিন থেকে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়ালো তারপর বলল-
“তোর বইন রে বিয়া করলে আমি তোর ভগ্নীপতি হইবাম। জামাই আদর করবি এখন থাইকা। বুঝছস?”
বলেই তুহিন এক হাতে লুংগি ধরে দৌড় দিল।সে কাঁদা মাঠে এক প্রকার ব্যাঙের মতো দৌড়াচ্ছে। দৌড়ের মাঝে দাঁত কেলিয়ে পিছন ফিরে রবিনকে দেখছে।
রবিন বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছে। তুহিন যে এভাবে হঠাৎ দৌড় দিবে সে ভাবে নি। তাকে আরো বিস্মিত করে দিয়ে পিছলা খেয়ে তুহিন মুখ তুবড়ে কাদা পানিতে পড়ে গেল। উঠে আবারো রবিনের দিকে ফিরে দাঁত কেলিয়ে দৌড় দিল।
_______
জামশেদ মজুমদার তার বাড়ির বসার ঘরে দলের লোকজনকে নিয়ে বসে আছেন। আগামী নির্বাচন নিয়ে তাদের পরিকল্পনার কথা বলছেন। এমন সময় তুহিন বারান্দা দিয়ে ওই পাশে র ঘরে ঢুকে চিৎকার করে তার মাকে ডাকতে লাগল। তুহিনের ডাক শুনে জামশেদ মজুমদার মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে আসলেন। কাঁদায় মাখামাখি ছেলেকে দেখে তিনি যারপরনাই অবাক হলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন-
“তোর এই অবস্থা কেম্নে হইলো?”
“পিছলা খাইয়া পইড়া গেছিলাম আব্বা।”
“শুনলাম তালুকদারের ছেলে রবিনের সাথে নাকি তোর কিসব ঝামেলা হইছে। তোর মাথা নাকি রবিন ন্যাড়া কইরা দিছে।”
তুহিন একটা হাত দিয়ে কথা টা উড়িয়ে দিয়ে বলল-
“আরে না আব্বা। কই থাইকা যে এইসব কথা ছড়ায়। গরম লাগে বইলা আমি আর সজল মাথা ন্যাড়া করছি। রবিন ত আমার বন্ধু। ওর সাথে আবার ঝামেলা কি।”
বলেই তুহিন আর দাঁড়ালো না ভিতর ঘরে চলে গেলো। জামশেদ মজুমদার একটা হতাশ শ্বাস ফেললেন। তিন মেয়ের পর তার এই একটা ছেলে। অথচ ছেলেটা কেমন জানি বোকা কিসিমের। তিনি পুনরায় বসার ঘরে মিটিংয়ে ফিরে গেলেন। সবুর আলি সেখানে গলা পরিষ্কার করে বললেন –
“শুনতাছি মেলার দিন রবিনের সাথে তার বইন ও থাকব।”
জামশেদ মজুমদার গম্ভীর কন্ঠে বললেন-
“আমরার শত্রুতা তালুকদার বাড়ির পুরুষদের লগে।মাইয়া মাইনষের লগে না।মাইয়া মানুষের গায়ে যেন হাত না পড়ে। আমার নিজের ও মাইয়া আছে। রবিন রে একটু মার ধর কইরা ছাইড়া দিলেই হইব।”
সবুর আলীর মুখ টা ছোট হয়ে গেলো।সে আর কিছু বলল না। মিটিং শেষে মজুমদার বাড়ি থেকে বের হয়ে সে তার বিশ্বস্ত কয়েকজন কে জড়ো করল।বলল-
“মজুমদারের কথা শুইনা কাম করলে হইত না। আমরা আগে যেই কথা কইছি সেই কথামতোই সব হইব।”
পাশের জন্য উত্তর করলো-
“কিন্তু জামশেদ কাকা ত রবিন রে জানে মারতে কয় নাই।”
সবুর আলী ধমক দিল-
“চুপ কর ব্যাটা। মজুমদারের সাহস নাই দেইখাই ত ক্ষমতায় যাইতে পারে না। মজুমদারের কথা মত চললে হইত না।আমি যা কই তা শুন্। ”
“কিন্তু দাদা মাইয়াগো ব্যাপারে কি করবাম? জামশেদ কাকা তো হাত দিতে না করলো।”
সবুর আলী খ্যাক খ্যাক করে শরির নাড়িয়ে বিশ্রি একটা হাসি দিল। তারপর হাসি থামিয়ে বলল-
“মাইয়া মানুষ হইতাছে বাড়ির সম্মান। সেই সম্মানে হাত দিলে পুরুষ মানুষ এম্নেই হাঁটু ভাইংগা পইড়া যায়।তখন তাদেরকে হারাইতে সুবিধা হয়। তালুকদার বাড়ির কোনো মাইয়ারেই বাকি রাখবি না, সবার গায়েই কলংক লেইপ্পা দিবি।”
চলবে