#প্রেম_প্রার্থনা
#তামান্না_আঁখি
#পর্ব-১৩
সকাল থেকে উঠেই ফারহানা আর রনি দুজনেই মেলায় যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিল। তাদের উত্তেজনার শেষ নেই। ফারহানা তার আলমারি থেকে সব জামা-কাপড় নামালো। একটা একটা করে জামা গায়ে ধরছে আর চারুকে দেখাচ্ছে। চারু গালে হাত দিয়ে ফারহানার এসব দেখে যাচ্ছে। তার এসবে কোনো আগ্রহ নেই। ফারহানা গলা উঁচু করে বলল-
“কি রে বল! কোন ড্রেস টায় বেশি সুন্দর লাগতাছে? একটু পর ই রবিন ভাই আইসা পড়ব।”
রবিনের আসার কথা শুনে চারু একটু সচেতন হল। আজকে সে রবিনের প্রতি সমস্ত আজাইরা অনুভূতি কে কবর দিবে। সে কিছুতেই এসব আর বাড়তে দিবে না। সে মুখোমুখি হবে এসব অনুভূতির। এভাবে থাকলে তার চলবে না। সে গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়ালো। মনে ফুরফুরে ভাব এনে একটা ড্রেস হাতে তুলে নিল। উল্টেপাল্টে দেখলো, তারপর ফারহানার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল-
“এই গোলাপি টা পড় আপু। এইটার সাথে লাল ওড়না আর সালোয়ার। জোস লাগব তোমারে।”
ফারহানা খুশি মনে হাতে ড্রেস টা নিল। তারপর চারুকে বলল –
“তুই যা। রেডি হ তাড়াতাড়ি। দেরি করলে রবিন ভাই বকব।”
চারু ফারহানার ঘর থেকে বেড়িয়ে গুন গুন করতে করতে নিজের ঘরের দিকে চললো। নাহ! এভাবে আর এসব অনুভূতি নিয়ে দ্বিধায় পড়ে মনমরা হয়ে থাকবে না। সে জোর করে মনে খুশি এনে নাচতে নাচতে ঘরে গেলো তৈরি হতে। আলমারি খুলে সে জামা পছন্দ করতে বসলো। তারপর একটা নীল কামিজ বের করে নিলো সাথে মেজেন্টা ওড়না আর সালোয়ার। ম্যাচিং করে কানের দুল বের করল, সাথে বের করলো নীল আর মেজেন্টা কালার চুড়ি। ব্যাস, ওর সব বের করা শেষ।এবার রেডি হবার পালা। তখনি রনি এসে ধরাম করে দরজা খুলে ঢুকলো।চারু যারপরনাই বিরক্ত হলো। এই ছেলেটা কখনোই নক করে না। সে বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলো-
“কি হইছে?”
“চাচ্চু তোমারে ডাকে। এখনি যাইতে কইছে।”
চারু চিন্তায় পড়ে গেলো। তার বাবা এমন সময় ডাকে কেন? সে তার বাবার ঘরের দিকে রওয়ানা দিল। ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে বলল-
“আব্বা, আসব?”
ঘর থেকে জবাব এলো-
“আয়”
চারু ঘরে ঢুকল। কামরুজ্জামান আলমারি খুলে কি যেন করছেন। চারুকে দেখে আলমারি লাগিয়ে চেয়ারে বসলেন। চারুর দিকে তাকিয়ে বললে-
“রবিন নাকি তোদের মেলায় নিয়া যাইতাছে শুনলাম?”
চারু মাথা নেড়ে বলল-
“জী”
“সাবধানে যাইস। মেলায় গিয়া এদিক ওদিক যাইস না। সবাই একসাথে থাকিস। আর এইটা নে। এইবার ত আমি যাইতে পারতাছিনা। তাই এইটা দিয়া যা মন চায় কিনিস।”
বলেই চারুর দিকে কিছু টাকা এগিয়ে দিলো। চারু তার বাবার দিকে এক পলক চেয়ে টাকাগুলো হাতে নিল। অনেক দিন পর তারা বাবা তার সাথে এত আদর করে কথা বলছে। চারুর কান্না পেল।
কামরুজ্জামান মেয়ের মনমরা মুখের দিকে তাকিয়ে উঠে দাঁড়ালেন।মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে বললেন-
“এইবার আব্বার অনেক কাজ পইড়া গেছে। পরের বার তোরা সবাইরে নিয়া যাইবাম মেলায় ইন শা আল্লাহ। ”
চারু মাথা নাড়িয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে নিজের ঘরে গিয়ে দরজা আটকে দিল। দরজা আটকে চারু হু হু করে কেঁদে দিলো। কত দিন পর তার আব্বা তার সাথে এত আদর করে কথা বলল।চারুর মন টা একদম ভাল হয়ে গেলো। সে ফুরফুরা মনে সাজতে বসল। সুন্দর করে সাজল। চোখে কাজল দিয়ে হালকা লিপ্সটিক দিলো। চুড়ি পড়তে পড়তে সে রবিনের গলার আওয়াজ শুনল। রবিন আর রানি চলে এসেছে। সে তাড়াতাড়ি তৈরি হতে লাগলো।
রবিন বসার ঘরে বসে আছে। ইতোমধ্যে তার মামীরা নাস্তা দিয়ে টেবিল ভরে ফেলেছে। ফারহানা রনি সবাই সাজগোজ করে বসার ঘরে বসে আছে। সাজেদা বেগম রবিনের সাম্নের সোফায় বসে বললেন-
“আপারে নিয়া আসতি। তোরা সবাই মেলায় চইলা গেলে আপা ত বাড়িতে একলা থাকব।”
রবিন চায়ে চুমুক দিতে দিতে বলল-
” বাবা বাড়িতে থাকব। মা এই জন্য বাড়িতেই থাইকা গেছে।”
রানি নুডুলস খেতে খেতে বলল-
“মামী চারুরে ডাইকা দেও। দুপুর হইয়া যাইতাছে তো।”
রাজিয়া বেগম সিড়ির মাথা থেকে চারুকে ডেকে এলেন। চারু ওড়না গলায় দিয়ে আরো একবার নিজেকে আয়নায় দেখে এক দৌড়ে বসার ঘরে চলে এলো। বসার ঘরে এসেই রবিনের দিকে চোখ পড়ল। রবিন নিচের দিকে মাথা ঝুঁকিয়ে গম্ভীর মুখ করে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছে। চারু ওইদিকে চেয়ে হাটতে হাটতে ফারহানার সাথে ধাক্কা খেল। ফারহানা তাকে চোখ রাঙালো। চারু পাত্তা দিলো না।সে আবারো তাকালো রবিনের দিকে। কি সুন্দর করে চা খায়। কি সুন্দর করেই না চুমুক দিচ্ছে।
রবিন চায়ের কাপ নামিয়ে রেখে উঠে দাঁড়িয়ে বলল-
“এখন রওয়ানা দেওয়া দরকার। নইলে আসতে আসতে সন্ধ্যা হইয়া যাইব।”
রাজিয়া বেগম এগিয়ে এসে বল্লেন-
“সাবধানে যাইস বাপ। এই বিচ্চু গুলারে চোখে চোখে রাখিস।”
রবিন মাথা নাড়িয়ে সবার দিকে তাকিয়ে আদেশ করলো –
“তোরা সবাই বের হ। তাড়াতাড়ি। ”
বলেই সে আগে আগে বাইরে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো। চারু রবিনের দিকে চোখ নিবদ্ধ করে আনমনে হাঁটতে লাগলো। সে মুগ্ধ চোখে রবিনকে দেখছে। খয়েরি রঙের শার্ট, কালো ট্রাইজার আর ম্যাচিং স্নিকারসে কি সুন্দর ই না লাগছে এই শ্যামবর্ণের পুরুষকে। শার্টের হাতা গুটিয়ে রাখা, সেই হাতে মেটালের ঘড়ি টা যেন তার দাম্ভিকতাকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। চারু মুগ্ধ চোখে চেয়ে থেকে আনমনে হাঁটতে লাগলো। একটু আগেই সে মনকে শাসিয়েছে, কিন্তু তার অবাধ্য মন প্রথম প্রেমের ঘ্রাণে সব ভুলে বসেছে।
গাড়ির কাছে গিয়ে রবিন ড্রাইভিং সিটে উঠে বসলো। গাড়িতে আগে থেকেই লিমন বসে ছিলো। ওদের দেখে দাঁত কেলিয়ে হাসলো। রনি গিয়ে সামনের সিটে বসা লিমনের কোলে উঠে বসল। ফারহানা, রানি আর চারু পিছনের সিটে উঠে বসলো।
রবিন সামনের লুকিং গ্লাস ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ঠিক করে নিল। লিমন সেটা দেখে রবিনের কাছাকাছি গিয়ে বললো-
“ভাই, ভাবিরে কি আয়নায় দেখা যায়?”
রবিন রাগী চোখে তাকালো। লিমন একটা চোখ টিপ দিয়ে দূরে সরে গেল। রনি জোরে চিল্লিয়ে বলল-
“ভাবি কে লিমন ভাই? ভাবি কে?”
লিমন তাড়াতাড়ি রনির মুখ চেপে ধরলো। রবিন একটা হতাশ শ্বাস ফেলে গাড়ি স্টার্ট দিলো।
________
সবুর আলী মেলার বাইরে একটা দোকানে বসে আছে। তিনি দূর থেকে রবিন দের গাড়ি মেলার গেটে থামতে দেখলো। তার আশেপাশের লোকদের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা ইশারা করলো। সবাই সেই ইশারার অর্থ বুঝলো। সবাই সবার কাজ বুঝে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো।
মেলার গেটে গাড়ি থামিয়ে রবিন সবাইকে নিয়ে ভিতরে ঢুকল। কয়েকটা দোকান পড়েই চুরির দোকান দেখে ফারহানা রানি সেদিকে গেল। চারুও পিছু পিছু গেলো। রনি যাবে খেলনার দোকানে। রনিকে লিমনের দায়িত্বে দিয়ে রবিন চললো চুড়ির দোকানের দিকে।
ফারহানা রানি চুড়ি দেখতে ব্যস্ত। চারু দেখলো রবিন চুড়ির দোকানের এখানে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছে। সে এগিয়ে গেলো সেদিকে। গিয়ে পাশে থাকা চুড়ির ঝুড়ি থেকে কয়েকটা চুড়ি হাতে নিল। পরে আবার রেখে দিলো। তারপর রবিনের দিকে তাকিয়ে ডাকলো-
“রবিন ভাই।”
রবিন শুনলো না। চারু আবার ডাকলো-
“রবিন ভাই।”
রবিন ফোন কানে নিয়ে চারুর দিকে ফিরলো। মাথা ইশারা করে জানতে চাইলো “কি?”
চারু চুড়ির ঝুড়ির দিকে দেখিয়ে বলল-
“আমি চুড়ি পছন্দ করতে পারতাছিনা। তুমি একটু পছন্দ কইরা দাও না।”
রবিন স্থির চোখে চারুর দিকে তাকিয়ে রইল।চারু চোখ নামিয়ে নিল।নিজের নির্লজ্জতার জন্য নিজেকেই অনেক গুলো গালি দিল। চারু ফের চোখ তুলে চাইলো। রবিন ঝুড়ির দিকে না তাকিয়ে চারুর দিকে চোখ রেখেই হাত বাড়িয়ে কাগজে মোড়ানো কয়েক ডজন চুড়ি তুলে চারুর হাতে ধরিয়ে দিয়ে ফোনে কথা বলতে বলতে অন্য দিকে ফিরে চাইল।
চারু পুরো ঘটনায় ভ্যাবলা হয়ে গেলো। সে হাতের দিকে তাকিয়ে নাক কুচকে ফেললো। তার হাত তিন টা চুড়ির প্যাকেট। দুইটা হলুদ রঙের আর একটা কলাপাতা রঙের। চারুর বড্ড মেজাজ খারাপ হলো। মানুষ লাল টুকটুকে দেখে চুড়ি পছন্দ করে দেয় আর এই লোককে চুড়ি পছন্দ করে দিতে বলেছে বলে এমন বিশ্রি কালার পছন্দ করে দিবে? চারু চুড়ি গুলো ঝুড়িতে রেখে দিতে নিলো কিন্তু পারলো না ততক্ষনে রবিন চুড়ি দাম মিটিয়ে ফেলেছে। সে রানি আর ফারহানাকেও কয়েক ডজন কিনে দিল।সবাই চুড়ির দোকান থেকে বেড়িয়ে অন্য দোকানে গেল। চারুও বিরস মুখ তাদের পিছু পিছু গেলো।
মেলায় ঘুরাঘুরি শেষে ফুচকার দোকান দেখে চারু বায়না ধরলো ফুচকা খাবে। রবিন তর্জনি দিয়ে ঘাড় চুলকাতে চুলকাতে বলল-
“পাশের নদী আছে যে দেখছস? ওই পানি দিয়া ফুচকার টক বানায়। আর ওই নদীতে গ্রামের সব গরু গুলারে গোসল করায়।”
ফারহানা, রানি, চারু সবাই মুখ দিয়ে একটা বিরক্তির শব্দ করে রবিনের দিকে তাকালো। রানি আস্তে করে বললো-
“ভাইয়া এইটা কিন্তু ঠিক না। ফুচকা কত প্রিয় আমাদের। আর তুমি এসব বইলা আমাদের খাওয়ার মুড নষ্ট কইরা দিতাছো।”
রবিন দুই হাত কাঁধ পর্যন্ত উপরে তুলে বলল-
“আচ্ছা আচ্ছা, চল ফুচকা খাইতে চল।’
সবাই ফুচকার দোকানে এসে ফুচকা অর্ডার দিলো। রানির তখন ফুচকার পাশের দোকানের একটা পুতুলের দিকে চোখ পড়ল। সে রবিনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে চারুকে নিয়ে পুতুল কিনতে গেলো। রানি দোকানে ঢুকে পুতুল দেখতে দেখতে অন্য পাশে চলে এলো। তখনি কানের কাছে একটা গরম নিশ্বাস অনুভূত হলো, সাথে ভেসে এলো চেনা কন্ঠ-
” কি খবর মহারানি, পুতুল কিনতে আসছো?”
রানি ছিটকে সরে গেলো। সরে গিয়ে সে তুহিনকে দেখলো। তুহিন মিষ্টি হেসে তাকিয়ে আছে। রানি তুহিনকে এড়িয়ে চলে যেতে চাইলো কিন্তু পারলো না। তুহিন পথ আগলে ধরলো। রানি মাটির দিকে চেয়ে বললো-
“দেখেন তুহিন ভাই। আমি কিন্তু ভাইয়ারে ডাক দিব।”
তুহিন রানির মুখের দিকে একটু ঝুঁকে এলো।তারপর বলল-
” তাই নাকি? তাইলে ওইদিনের ঘটনা তোমার ভাইরে বললা না কেন?? ”
“আমি কোনো ঝামেলা চাই না তাই কইছি না। এখন কিন্তু আমি ভাইয়ারে সব বইলা দিব।”
“না বইলা ভালই করছো। আর বলার দরকার নাই। আমাদের পারসোনাল ব্যাপার গুলা আমাদের মাঝেই থাকা ভালো।”
তখনি চারু এলো।তুহিন কে দেখে সে কন্ঠ গরম করে বললো-
“তুহিন ভাই তোমার কি লজ্জা শরম নাই?”
তুহিন পিছনে তাকিয়ে চারুকে দেখে বলল-
“আরে চালের নাড়ু যে!! তুমিও পুতুল কিনবা নাকি। ওইদিকে গিয়া কিনো যাও। আমার আর রানির একটু পারসোনাল কথা আছে।”
চারুর মেজাজ চটে গেল। সে এক্টা ধাক্কা দিয়ে তুহিনকে দূরে সরিয়ে রানির হাত ধরে বেরিয়ে গেলো।
যাওয়ার আগে বল্লো-
“নির্লজ্জ, বেহায়া লোক।”
বিনিময়ে তুহিন একটা মধুর হাসি দিলো।
চারু রানিকে নিয়ে ফুচকার দোকানে এসে বসলো। এখনো তার রাগ পড়ে নি। তুহিনের “চালের নাড়ু” ডাক তার একদম সহ্য হয় না। রবিন লিমন আর রনিকে নিয়ে দোকানে এসে বসলো। দোকানদার ফুচকার প্লেট দিয়ে গেলো।
চারু একটা ফুচকা হাতে নিল। ফুচকা মুখে দিবে তার আগেই বিকট শব্দে রবিনের সাম্নের কাচের গ্লাস টা ভেংগে গুড়িয়ে গেলো। রবিন ছিটকে চেয়ার থেকে পড়ে গেলো। তখনি আরো একটা গুলি এসে লাগলো তার পাশে থাকা চেয়ারে। গুলির শব্দে আশে পাশের মানুষ দৌড়াতে লাগলো। লিমন তাড়াতাড়ি বাকি সবাইকে টেনে হিচড়ে একটা বড় টেবিলের নিচে নিয়ে বসিয়ে দিলো। রবিন ও ততক্ষনে নিরাপদে আড়ালে চলে গেলো। সে চারপাশে তাকিয়ে বুঝলো কি হতে যাচ্ছে। সে নিজেকে শক্ত করলো।পাশ ফিরে তার ভাই বোনদের দিকে চাইলো। আজ যাই হয়ে যাক না কেনো, সে ওদের গায়ে একটু আচড় ও লাগতে দিবে না।
রবিন পকেট থেকে ফোন বের করে তার দলের বাকি সদস্যদের মেলায় আসতে বললো। আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো সব মানুষ দৌড়াচ্ছে। থেমে থেমে গুলির শব্দ আসছে।আস্তে আস্তে এগিয়ে আসছে সেই শব্দ। শত্রুরা ঘিরে ধরেছে তাদের। এখান থেকে এখনি বের না হলে আর বের হয়া সম্ভব না। সে লিমনকে চিৎকার করে ডাকলো-
“লিমন, ওদের কে নিয়ে যেমনেই হোক গাড়ির কাছে যা।”
“ভাই, তুমি তাড়াতাড়ি লুকাও। ওরা তোমারে মারতে আসছে।”
চারু, রানি, ফারহানা আর রনি সবাই ভয়ে কাঁপছে।রবিন কে মারার কথা শুনে রানি হাউ মাউ করে কেঁদে দিলো। রানির কান্না রবিনের কানে পৌছালো। সে মুখ ঘুরিয়ে বোন কে দেখলো।নিজেকে খুব অসহায় লাগলো তার। কি করবে সে? কিভাবে বাঁচাবে ওদের?
চলবে