#প্রেম_প্রার্থনা
#তামান্না_আঁখি
#পর্ব-১৯
শাখাওয়াত তালুকদার তার অফিসঘরের চেয়ারে গম্ভীর হয়ে বসে আছেন। তার সামনের টেবিলে রাখা অনেক গুলো ফুলের তোড়া। পাশের ছোট টেবিলে অনেক মিষ্টি ফলমূল রাখা। তার দলের বিভিন্ন বড় বড় নেতারা এসেছে রবিনকে দেখতে।
রবিন তার বাবার টেবিলের পাশে একটা সিংগেল সোফায় বসা। তার গুলি লাগা হাত টা ফ্রাকচার সাপোর্টার বেল্ট দিয়ে গলায় ঝুলিয়ে রাখা। তার চেয়ারের পিছনে তার অনুসারী কয়েকটা ছেলে দাঁড়ানো। সাম্নের সোফা এবং চেয়ার গুলোয় সব নেতারা বসে আছে। পুরো ঘর জুড়ে দলের আরো অনেকে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে আছে। বাবার অনুরোধে তার অনিচ্ছা স্বত্তেও এখানে আসতে হয়েছে। যদিও তার বাবার অফিস তাদের বাড়ির আলাদা একটা রুমে। তাই তার আসতে তেমন অসুবিধা হয় নি। তারপর ও রবিন চোখে মুখে স্বাভাবিক ভাব ফুটিয়ে রাখতে পারলো না। চোখে মুখের আনাচে কানাচে বিরক্তিভাব লেগে রইলো।
দলের বড় একজন নেতা রবিনের দিকে তাকিয়ে বললেন-
“রবিন, তুমি কোনো চিন্তা কইরো না। যে ই এই কাজ কইরা থাকুক না কেন আমরা একজনরেও ছাড় দিতাম না। দরকার পড়লে রক্তের বদলে রক্ত নিবাম।”
রুমের সবাই সমস্বরে “হ্যা হ্যা” বলে সমর্থন করলো। পাশের আরেকজন গলা উঁচিয়ে বললো –
“মজুমদারের এত বড় সাহস বাড়ির মাইয়াগো উপ্রেও আক্রমণ করাইছে। এই অসম্মানির বদলা নেয়াই লাগব। ”
আরেকজন তাল মিলিয়ে বললো –
“মজুমদারের কি নিজের পোলার জীবনের ভয় নাই? আমরা যদি ওর একমাত্র পোলারে জানে মাইরা দেই তাইলে কি ওর করার কিছু থাকব?”
সবাই আবারো মাথা নেড়ে সমস্বরে সমর্থন জানালো। রবিন খুব ই বিরক্ত হলো। সে পায়ের উপর পা তুলে বাম হাত সোফার হাতলে ঠেকিয়ে ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে বসে ছিলো। সে বাম হাতের দুই আংগুল দিয়ে ঠোট ঘষলো। চোখ তুলে সবার দিকে চেয়ে বললো-
“কুত্তায় কামড় দিলে দিছে, কিন্তু মানুষের তো কুত্তারে কামড় দেয়া শোভা পায় না।”
পুরো ঘর থমথমে হয়ে গেলো।সবার মুখ ছোটো হয়ে গেলো। একজন আরেকজনের মুখের দিকে তাকাতে লাগলো। শাখাওয়াত তালুকদার মনে মনে প্রমাদ গুণলেন। এই অসামাজিক ছেলেকে তিনি দলের লোকদের সামনে আনতে চান নি। কিন্তু না পেরে আনতে হয়েছে। এতক্ষন এই ছেলে চুপচাপ ছিলো বলে তিনি কিছুটা নিশ্চিন্ত ছিলেন। কিন্তু সে ই ত এই ছেলে ঠিক ই মুখ খুলে বোম্ব ফাটালো।
একজন নেতা গোছের কমবয়সী লোক বলল-
” প্রতিশোধ না নিলে তো ডরাইতো না। আমরারে দূর্বল ভাববো। রাজনীতির ময়দানে প্রতিশোধ নেওনের দরকার আছে।”
রবিন সোফায় হেলান দিয়ে মাথা পিছন দিকে দিয়ে সবার দিকে তাকিয়ে আবারো বলল-
“প্রতিশোধ যদি নিতেই চান তাইলে সাম্নের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেন। নির্বাচনে জয়লাভ করাই হইব সবচেয়ে প্রতিশোধ।তবে আমার সন্দেহ আছে দলের যেই অবস্থা এই অবস্থায় প্রতিশোধ ত দূর নির্বাচনে টিকা সম্ভব হইব কিনা কে জানে।”
বয়স্ক একজন নেতা গমগম কন্ঠে বললেন-
“কেন? সম্ভব হইব না কেন? দলের আবার কি হইছে?”
“দলের ভাবমূর্তি তো অনেক আগেই নষ্ট হইয়া গেছে। দলের ভিতর দলাদলি চলে, গোপনে দলের নাম ব্যবহার কইরা বেআইনি কাজ চলে, দলের ভিতর অনেক সন্ত্রাসের আনাগোনা এই অবস্থায় দল নিয়া নির্বাচনে যাইবেন কেমনে?”
শাখাওয়াত তালুকদার বড় বড় চোখে তাকালেন ছেলের দিকে। এই ছেলে তো তার চেয়ারম্যান এর চেয়ারের বারটা বাজিয়ে দিচ্ছে। নির্বাচন পর্যন্ত কি অপেক্ষা করা যেত না? এর পরে না হয় দলের আবর্জনা গুলোকে তাড়ানো যাবে। কিন্তু এই ছেলে তো এখনি ওর দল ভেংগে দিচ্ছে নির্বাচন তো পরের আলাপ।
ঘরের সবাই নড়েচড়ে বসলো। দলের কয়েকজনের মুখ কালো হয়ে গেলো। রবিনের খোচা খেয়ে কয়েকজন মুখ কঠিন করে বসে রইলেন। রবিন উঠে দাঁড়ালো। সবার দিকে একবার চোখ বুলিয়ে বললো –
“আপনাদের সাথে আরো অনেক্ষন থাকার ইচ্ছা ছিল কিন্তু সম্ভব না। দলের অনেকে এখনো হাসপাতালে ভর্তি তাদের সাথে দেখা করতে যাব। আপনারা আমার জন্য আর আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। আসসালামু আলাইকুম। ”
বলেই রবিন বেরিয়ে গেলো। তার পিছু পিছু তার অনুসারী ছেলেগুলোও বের হয়ে গেলো।
শাখাওয়াত তালুকদার সবার দিকে তাকিয়ে একটু হাসলেন কিন্তু দলের কেউই সেই হাসিতে যোগ দিল না। তিনি বাধ্য হয়ে আবারো আগের মতো গম্ভীর মুখ করে ফেললেন।
___________
চারু উদাস হয়ে শুয়ে আছে তার বিছানায়। তার মন টা অনেক খারাপ। সে খবর পেয়েছে রবিন আজকে ঢাকা চলে যাচ্ছে। শাখাওয়াত তালুকদার রবিনের নিরাপত্তার জন্য তাকে ঢাকা পাঠিয়ে দিচ্ছে। রুবিনা বেগম প্রথমে ছেলেকে পাঠাতে নারাজ হলেও সার্বিক দিক বিবেচনা করে রাজি হয়েছেন।
আস্তে করে দরজা ঠেলে রনি ভিতরে ঢুকলো। চারুকে এভাবে দেখে ছোট করে একটা কাশি দিলো। চারু কাশির শব্দ শুনে উঠে বসলো। দেখলো রনি দাঁড়িয়ে আছে তার পায়ের কাছে। অন্যদিন হলে নক না করায় সে বকতো এই ছেলেকে কিন্তু আজ কিছু বলল না। সে হাতের ইশারায় রনিকে কাছে ডাকলো। রনি ধীরে ধীরে এগিয়ে বিছানায় উঠে বসলো। চারু রনিকে কোলের কাছে নিয়ে জড়িয়ে ধরে বলল-
“আমাদের ছোট সাহেবের কি মন খারাপ?”
রনি চারুর মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো কিছু বলল না। চারু আবারো বলল-
“কিরে! কি হইছে তোর?”
“তুমি রবিন ভাইয়ের সাথে কই চইলা গেছিলা? জানো চাচী অজ্ঞান হইয়া গেছিলো তোমার চিন্তায়।”
চারু একটু হাসলো। এই ছোট ছেলেটা অনেক বড় ধাক্কা খেয়েছে ওইদিন। এত বড় ঘটনাটা নিশ্চয়ই ওর মনে বড় দাগ কেটেছে। চারু বলল-
“আমি আর রবিন ভাই সাইকেল দিয়া ঘুরতে ঘুরতে আসছি তাই দেরি হইছে।”
রনি চোখ বড় বড় করে ফেললো। সে বিস্মিত গলায় বলল-
“তোমরা সাইকেল নিয়া ঘুরতে গেছিলা? সত্যি?”
চারু মাথা নেড়ে বুঝালো সত্যি।রনি রেগে গেল। চারুর কাছ থেকে দূরে সরে গেল ।বলল-
“তোমরা সবাইরে চিন্তায় রাইখা ঘুরতে গেছিলা? তোমরা এত খারাপ? মারামারিতে কেম্নে মানুষ ঘুরতে যায়?”
“আমরা ত মারামারি থাইকা তখন বের হইয়া গেছিলাম। তাই ভাব্লাম একটু ঘুইরা আসি।”
“আমরা যে ভ্যানে আসলাম, আমরারে নিলা না কেন?”
রনির কথায় চারু শব্দ করে হেসে দিলো। বাচ্চাদের মতো করে বলল-
“এক সাইকেলে কি সবাই উঠা যায়? তাই তো নিছি না।”
রনি কিছুক্ষন ভাবলো। আসলেই ত সাইকেলে তো সবার উঠা যায় না। তাই কি ওদের কে ভ্যানে পাঠিয়ে দিয়েছিলো। চারু আবারো রনিকে আগলে নিয়ে বলল-
“এর পরের বার আমরা সবাই মিল্লা সাইকেল দিয়া ঘুরবাম। এর আগে তোরে সাইকেলে চড়া শিখাইবাম আর চাচ্চুরে বলবাম তোরে সাইকেল কিন্না দিতে।”
সাইকেল কিনার কথা শুনে রনির চোখ মুখ উজ্জ্বল হয়ে গেলো।সে চারুকে খুশি হয়ে জড়িয়ে ধরলো।
সাজেদা বেগম আর রাজিয়া বেগম তালুকদার বাড়ি যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করলেন। আজ রবিন চলে যাবে তাই তারা যতটুকু সম্ভব রবিনের জন্য এটা ওটা রান্না করে নিয়ে যাচ্ছে। রবিন অসুস্থ বলে দেশি মুরগির ঝোল,কবুতরের মাংস, কচুশাক থেকে শুরু করে সব ধরনের ভাল ভাল খাবার রান্না করেছেন। তাদের সাথে চারু আর রনিও যাচ্ছে। ফারহানা আর সামিরা বেগম বাড়িতেই থাকবেন। ওই ঘটনার পর থেকে ফারহানা জ্বরে পড়েছে তাই তার যাওয়া সম্ভব না। সাজেদা বেগম সবাইকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। বাইরেই গাড়ি অপেক্ষা করছে। বাড়ির পুরুষরা তাদের কর্মস্থল থেকে তালুকদার বাড়ি যাবেন।এখন শুধু মহিলারাই আগে আগে যাচ্ছে।
তালুকদার বাড়ি পৌছে সবাই ই রবিনকে ঘিরে ধরলো। বসার ঘরে রবিন সবার মধ্যমনি হয়ে বসে রইলো।সৈয়দ বাড়ির পুরুষরাও ততক্ষনে চলে এলো। দুপুরে খাওয়ার সময় সাজেদা বেগম রবিনকে নিজ হাতে সব খাবার প্লেটে তুলে দিলেন।রবিনের পাশে দাঁড়িয়ে থেকে তিনি মন ভরে খাওয়ালেন।
চারু খাওয়া শেষে রানির রুমে গিয়ে গোমড়া মুখে বসে রইলো। সে সারাটা সময় মন খারাপ করে ছিলো। রানি একটু পর পর চারুকে বিভিন্নভাবে খোঁচা দিচ্ছে কিন্তু চারুর তাতে মন নেই। তার মন অন্য দিকে। আসার পর থেকে রবিন চারুর সাথে ভদ্রতাসূচক কয়েকটা কথা বলেছে তারপর তাকিয়েও দেখে নি। কি অকৃতজ্ঞ! এইসব ছেলেদের কপালেই তো ডাইনীর মতো বউ থাকে। থাকাই উচিত।
চারু পা টিপে টিপে রবিনের ঘরের সামনে এসে দাঁড়ালো। দরজা অনেকটা খোলা। সে উঁকি দিলো।কিন্তু এ কি! ওই অকৃতজ্ঞটা তো ঘরে নেই। চারু পুরো দরজা টা মেলে দিয়ে দরজার সামনে কোমড়ে হাত দিয়ে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে ঘরের এপাশ ওপাশ দেখলো। পরে ছুট লাগালো ছাদের দিকে। ছাদের দরজার কাছে এসে ওর ছুটা বন্ধ হয়ে গেলো। আস্তে আস্তে দরজায় দাঁড়িয়ে নিজেকে আড়াল করে উঁকি দিলো। ওইতো অকৃতজ্ঞ ছেলেটা বসে আছে।বসে বসে আবার সিগারেট খাচ্ছে দেখি।
রবিন ছাদে পাতা চৌকিতে বসে দুই হাঁটুর উপর হাত রেখে মাথা নিচু করে বসে আছে। থেমে থেমে সিগারেটে টান দিচ্ছে।বাম পাশে হালকা মুখ ফিরিয়ে ধোয়া ছাড়ছে। এক রাশ ধোয়া উড়ে যাচ্ছে তার বাম কাঁধ ছুয়ে। চারু হা করে সে দৃশ্য দেখলো। সিগারেট খাওয়াও যে এত শৈল্পিক হতে পারে তা তো তার জানা ছিলো না। এরকম শৈল্পিকভাবে সিগারেট খাওয়া লোকের কিছুটা অকৃতজ্ঞ হওয়া দোষের না।।
রবিনের এক পাশ দেখা যাচ্ছে। ডান দিকে ঘাড় ঘুরালেই সে চারুকে দেখতে পাবে। রবিন এইবার আকাশের দিকে মুখ তুলে ধোয়া ছাড়লো। তারপর অনেক্ষন এক দৃষ্টিতে ওইদিকেই তাকিয়ে রইলো। চারুও রবিনের দৃষ্টি অনুসরণ করে তাকালো। কিন্তু হালকা নীল আকাশ ছাড়া কিছুই নজরে এলো না। সে আবারো রবিনের দিকে তাকালো। সাদা শার্টে এই শ্যামলা ছেলেকে দেখতে সুদর্শন লাগছে। চারু তো ছোট থেকেই রবিনকে দেখছে কই আগে তো এমন মনে হয় নি!! নাকি আগে সে ভাল করে দেখেই নি। চারু আর দাঁড়ালো না। সে আবারো পা টিপে টিপে নিচে নেমে গেলো।
দুপুরের রোদ হালকা পড়ে এলে রবিন বাড়ির সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে এক গাদা ব্যাগ নিয়ে গাড়িতে চড়ে বসল। তার মা থেকে শুরু করে মামীরাও তাকে বক্স ভর্তি খাবার দিয়ে দিয়েছে। ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দিলো। সে আবারো হাত নেড়ে বিদায় জানালো।
______________
রাত বাজে ১১:৪৫। চারুর কিছুতেই মন মানছে না। রবিন ভাই গুলি লাগা হাত নিয়ে কিভাবে হলে গিয়ে থাকবে? তার কাজ গুলা কে করে দিবে? শার্ট পড়ানোর দরকার হলে কে পড়াবে? শার্টের কথা মাথায় আসতেই চারুর ওইদিনের কথা মনে পড়ে গেলো। সে বেশ লজ্জা পেল। লজ্জা মিশ্রিত হাসি দিয়ে সে ফোন টা টেনে নিলো। সে সিদ্ধান্ত নিলো সে রবিনকে ভিডিও কল দিবে। কিন্তু এত রাতে কি ভিডিও কল দেয়া ঠিক হবে? হ্যা হবে। এর আগেও তো কত বার রবিনের সাথে সে তার ফোন দিয়ে ভিডিও কলে কথা বলেছে। যদিও তখন বাড়ির সবাই একসংগে কল দেয়া হত তাও আবার কখনো মাঝরাতে দেয়া হয় নি। কিন্তু তাতে কি? এখন তো রবিন অসুস্থ। অসুস্থ মানুষটা ভাল করে গেলো কিনা সেই খবর তো নেয়া উচিত। চারু তো আর পাষন্ড না।
চারু ভিডিও কল দেয়ার প্রস্তুতি নিল। আয়নায় দাঁড়িয়ে মুখে একটু পাওডার দিলো। তার চোখ পড়লো রবিনের কিনে দেয়া চুড়িগুলোর দিকে। ভাগ্যিস লিমনকে দিয়ে তাদের কেনা জিনিসপত্র আগেই গাড়িতে পাঠানো হয়েছিলো। নাহলে এগুলো ও ভেংগে গুড়িয়ে যেত। তীব্র অপছন্দ থাকা সত্ত্বেও সে হলুদ রঙের কয়েকটা চুড়ি দুহাতে পড়লো। এইবার সুন্দর করে ওড়না ঠিকঠাক করে লাইটের আলো যেখানে বেশি পড়ে সেখানে গিয়ে ভিডিও কল দিল । প্রথম বার রিসিভ হলো না। পরের বার আবার দিতেই রিসিভ হলো। চারু হাসি হাসি মুখ করে চাইলো। কিন্তু তার হাসি বেশিক্ষন থাকলো না।স্ক্রিনে একটা সুন্দরী মেয়ের মুখ ভেসে উঠলো।এই মাঝ রাতে রবিন ভাইয়ের ফোন একটা মেয়ে ধরলো কেন? চারু বেশিক্ষন ভাবতে পারল না।তার ভাবনার ছেদ ঘটিয়ে চিকন সুরে ভেসে আসলো-
“হ্যালো। কে? চারু?”
চলবে
[ দুইদিন দেইনি বলে অনেকেই রাগ করেছেন। আমি দুঃখিত।৷ কিছু পারসোনাল সমস্যার জন্য দিতে লেট হয়েছে। তবে এবার থেকে প্রতিদিন গল্প পাবেন ইন শা আল্লাহ ]