#প্রেম_প্রার্থনা
#তামান্না_আঁখি
#পর্ব ২৭-
সারা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শাড়ির কুচি ঠিক করছে। উলটে পালটে দেখছে কুচিগুলো ঠিকঠাক হয়েছে কিনা। ঠিকঠাক হয়েছে দেখে সন্তুষ্ট হয়ে কুচিগুলো গুঁযে নিলো। তারপর আঁচল টা ছেড়ে দিলো। আয়নায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখলো। সবকিছু ঠিক লাগছে। ক্লিপ দিয়ে আটকানো চুল গুলো ছেড়ে দিলো।হালকা একটু সেজে নিলো। জানালা দিয়ে বাইরে তাকালো, সকাল গড়িয়ে দুপুরের কাছাকাছি চলে গেছে।ভালোই রোদ উঠেছে বাইরে। সারা আরেকবার নিজেকে আয়নায় দেখে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলো। রবিনের ঘরের সামনে এলো।
দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে আঁতকে উঠলো। রবিন বিছানার উপর লাগেজ রেখে জামা কাপড় গুছাচ্ছে।বিছানার এদিক ওদিক জামা কাপড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ছড়ানো ছিটানো জামা কাপড় একটা একটা করে তুলে কোনো মতে পেচিয়ে লাগেজের ভিতর ছুড়ে মারছে সে। সারা তড়িৎ গতিতে রবিনের পাশে এসে দাঁড়ালো।প্রশ্ন করলো –
“কি করছো তুমি এইসব?”
রবিন গম্ভীর কন্ঠে উত্তর করলো-
“কাপড় গোছাই।”
“কেন?”
“আজ হলে চইলা যাইবাম।”
সারা হা করে তাকিয়ে রইলো।তার মুখে কথা সরলো না। রবিন ঝুঁকে লাগেজে কাপড় রাখছিলো সারাকে চুপ করে থাকতে দেখে সে অবস্থায় তাকালো।সারাকে শাড়ি পরিহিত দেখে সে আস্তে আস্তে সোজা হয়ে দাঁড়ালো। ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো-
“হঠাৎ শাড়ি পড়লি যে?”
সারা লাজুক কন্ঠে নত মুখ করে উত্তর দিলো “এমনি”
রবিন একটা সুন্দর হাসি দিয়ে বলল-
“অনেক সুন্দর লাগতাছে তোরে।”
বলেই আবারো ব্যাগ গুছানোই ব্যস্ত হয়ে গেলো। রবিনের মুখে সুন্দর লাগছে শুনে সারার বুকের ভেতর টা কেমন জানি করে উঠলো। সে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো লজ্জামাখা হাসি নিয়ে। ফাতেমা বেগম দুই হাতে খাবারের ব্যাগ নিয়ে রবিনের ঘরে ঢুকলেন।ঢুকেই সারাকে দেখে চমকে গেলেন।চমক কাটিয়ে বললেন-
“ওমা এইটা কেডা? কি সুন্দর লাগতাছে!!!”
বিছানার এক পাশে ব্যাগগুলো রেখে সারাকে ধরে এদিক ওদিক ঘুরিয়ে দেখতে লাগলেন।থুতনিতে হাত রেখে চুমু খেয়ে বললেন –
“কত বড় লাগতাছে আমার মেয়েটারে।তাই না রে রবিন?”
রবিন সারার দিকে তাকালো।চোখে মুখে কৌতুকের হাসি ফুটিয়ে বলল-
“হুমম, খুব তাড়াতাড়ি শ্বশুড় বাড়ি পাঠানো লাগব।”
ফাতেমা বেগম ফিক করে হেসে দিলেন। রবিনের দিকে তাকিয়ে বললেন-
“সে তো পাঠাবোই।খুব তাড়াতাড়ি ই পাঠাবো।”
রবিন খাবারের ব্যাগ গুলোর দিকে ইশারা করে বলল-
“এত কিছুর কি দরকার ফুপি? আমি একা এত কিছু কেমনে খাব?’
ফাতেমা বেগম কপট রাগ দেখিয়ে বললেন –
“তুই যে একা খাস না তা খুব ভালো কইরাই জানি। সব ই তো তোর সাঙ্গপাঙ্গ রা সাবাড় কইরা দেয়।”
রবিন হাসলো শুধু। ফাতেমা বেগম রবিনের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন-
“সাবধানে থাকিস। ”
ফাতেমা বেগম চলে গেলেন যাওয়ার আগে সারাকে ইশারা করে কিছু একটা বলে গেলেন। সারা রবিনের আরেকটু নিকটবর্তী হয়ে মিষ্টি কন্ঠে বলল-
“তুমি সরো আমি গুছিয়ে দেই।”
রবিন সারার দিকে না তাকিয়েই বলল-
” আচ্ছা দে।”
বলেই বিছানার অন্য পাশে গিয়ে সারার দিকে পিছন ফিরে বসে ফোন ঘাটতে লাগলো। সারা কোমড়ে আঁচল গুজে কাপড় ভাঁজ করতে লাগলো। আয়নায় একটু উঁকি মেরে দেখলো একদম বউ বউ লাগছে তাকে। কিন্তু সে দেখলে কি হবে যার দেখার জন্য এত কষ্ট করে সাজলো সে ই তো তার দিকে পিছন ফিরে বসে আছে। কোথায় ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকবে তা না একটু প্রশংসা করেই খালাস। অসহ্য!!
______
রানি ছাদে এসে রবিনের জন্য বানানো ছাউনিতে বসে আছে। তার দৃষ্টি দূরের একটা গাছের দিকে। সেই গাছের মগডালে একটা চিল এসে সেই কখন বসেছে। এখনো ঠায় বসে আছে,নড়ার নাম নেই। রানি চিন্তা করলো আচ্ছে এই চিলটার কি রোদের তাপ লাগছে না? নাকি চিলটার ও তার মতো অস্থির মন। এইজন্য ই কি এই ভর দুপুরে মগ ডালে বসে আছে? রানির ভাবনার সুতো কেটে গেল ফোনের মেসেজের শব্দে। সে তড়িঘড়ি করে ফোন হাতে নিলো। ফোন হাতে নিয়েই সে মৃদু হাসলো। সেই কাঙ্খিত আইডিটা থেকেই এসেছে মেসেজ টা।রানি মেসেজ ওপেন করলো।ভেসে উঠলো সাদা পানজাবি পায়জামা পরিহিত এক যুবকের ছবি।তার মাথায় আবার টুপি।বোঝাই যাচ্ছে নামাজে গিয়েছিলো সে। কিন্তু এ কি! গলায় একটা লাল ওড়না কেন?রানি চিনতে পারলো ওড়না টা। এটা তার ওড়না। এটা তুহিন পড়ে আছে কেন? পরক্ষনেই আরেকটা মেসেজ আসলো।সেখানে লেখা-
“শুক্রবারে নামাজের পর ছবি টা তুলছি।কেমন হইছে?”
তারপর আবার আরেকটা মেসেজ আসলো-
“তোমার ওড়না গলায় ঝুলাইছি বইলা কতজনের কত কথা শুনতে হইছে। কিন্তু তুমি নিশ্চিত থাকো এসব কথায় আমি কান দেব না। প্রেয়সীর হৃদয় পাইতে শুধু ওড়না কেন থ্রি পিস পড়তেও অসুবিধা নাই।”
মেসেজ দেখে রানি হাসবে না কাঁদবে বুঝলো না। এই ছেলের মাথার তার আসলেই ছিড়া নাহলে একটা ওড়না নিয়া এমন কান্ড কে করে? তুহিন আবারো একটা মেসেজ পাঠালো-
“মহারানি তুমিও নিশ্চয়ই সর্বক্ষন আমার গামছা পইড়া বইসা থাকো তাই না?”
গামছার কথা মন পড়তেই রানির নাক কুচকে গেলো।যে বিশ্রি গন্ধ ছিলো গামছায় এটা পড়ে বসে থাকলে তাকে আর পাওয়া যেত না। সে ছাদে টাঙানো দড়িটার দিকে তাকালো।সেখানে গামছা টা ঝুলছে। এতক্ষনে বোধ হয় শুকিয়ে গিয়েছে। গামছাটার দিকে তাকিয়ে রানির মনে হলো একটু আগের মনের সমস্ত অস্থিরতা হুট করে কেটে গেছে। মনে কেমন জানি এক শীতলতা বিরাজ করছে।অদ্ভুত তো!!
________
বিকেলবেলা চারু রান্না ঘরে এসে এক বাটি মুড়ি চানাচুর মাখালো। হুট করে যে রানি এসে তাকে সারাপ্রাইজ দিবে এটা সে ভাবে নি। গত রাতে সে যা ঘটিয়েছে এরপর থেকে মন টা একটু খারাপ ছিলো। কিন্তু এখন রানি আসায় ভালো লাগছে। সে মুড়ির বাটি হাতে ঘরের দিকে চললো। ঘরে ঢুকতেই দেখলো রানি দুই হাত কোমড়ে গুঁযে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে। চারু হাতের বাটিটা বিছানায় রেখে জিজ্ঞেস করলো-
“কি হইছে? ”
রানি এগিয়ে এসে চারুর পিঠে ধুমাধুম কিল বসাতে লাগলো। চারু কিলের চোটে বিছানায় আধশোয়া হয়ে পড়ে গেলো।সে কোনোমতে বললো –
“মারস কেন? কি করছি আমি?”
রানি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বড় বড় শ্বাস নিয়ে বলল-
“চরিত্রহীন মাইয়া,তুই আমার ভাই রে নিয়া ডায়রিতে এইসব কি লিখছস?”
চারু দেখলো টেবিলের উপর তার ডায়রিটা খোলা পড়ে আছে।তার মানে রানি ডায়রিতে লিখা রবিনের ব্যাপারে তার অনুভূতির কথা পড়ে ফেলেছে। চারু আমতা আমতা করে বলল-
“আসলে হইছে কি……মানে…অনুভূতি…. ”
রানি চারুকে কিছুই বলতে দিলো না। রাগি গলায় বলল-
“চুপ,তুই চুপ।বেয়াদব মেয়ে!! তোর অনুভূতি আমি ভোতা কইরা দিব। ছেলে পাইলেই তোমার অনুভূতি আইসা পড়ে, তাই না??”
চারুর রাগ পেলো। সে লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নেমে বললো –
” আশ্চর্য!! অন্য কারো প্রতি কখনো আমার অনুভূতি ছিলো না।ওইরকম একটু ক্রাশ টাশ সবার ই থাকে। ওদেরকে তো আর বিয়ে করতাছি না। বিয়ে করবাম তোর ভাই রে।”
শেষের কথা টা বলে চারু লজ্জা মাখা হাসি দিয়ে মুখ নামিয়ে নিলো। রানি বিস্ফোরিত চোখে সেই মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো।এত নির্লজ্জ মেয়ে সে জীবনে দেখে নি। সে রাগ সংবরণ করে বলল-
“এই কথা ভাইয়ার সামনে কইস।এক চড় দিয়া বিয়ের ভূত নামায়া দিব।”
“তোর ভাই আমারে বিয়ে করার জন্য এক পায়ে খাড়া থাকব।”
“জীবনেও না।”
চারু এগিয়ে এসে রানির সামনে হাত মেলে দিয়ে বলল-
“বাজি?”
রানি আত্নবিশ্বাসের সাথে চারুর হাতে হাত দিয়ে বাড়ি দিয়ে বলল- “বাজি।”
চারু বিছানায় এসস বসে মুড়ি মুখে নিয়ে খেতে খেতে বলল-
“তোর ভাই রাজি হইলে তুই কিন্তু না রাজি হইয়া থাকতে পারবি না।মনে থাকব?”
রানিও বিছানায় বসে মুড়ি চিবাতে চিবাতে বলল-
“তুই একটা বেহায়া।”
চারু প্রতিউত্তরে একটা গা জ্বালা মধুর হাসি দিলো।
_______
রাত নয়টা বাজে।রাতের খাবারের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। তারপর ও এখনো কেউ খেতে আসছে না। খাবার সব ঠান্ডা হয়ে গেছে। সাজেদা বেগম আবারো সব গরম করলেন। বাড়ির দুই কর্তা ফরহাদ আর স্মৃতিকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে মিটিং বসিয়েছে। তাদের মিটিং না শেষ হওয়া অবদি কেউই খেতে আসবে না। তিনি আবারো তাদেরকে ডেকে এসেছেন। কামরুজ্জামান ঘরের ভেতর থেকে বলেছে এক্ষনি নাকি খেতে আসবে। রাজিয়া বেগম রান্নাঘরে ঢুকলেন। বড় জা কে খাবার গরম করতে দেখে বললেন-
“আপা, কিসের এত গোপন কথা ওদের? আমরারে তো কিছুই কয় না। স্মৃতিরে এত কইরা জিজ্ঞেস করলাম এক্টা কথাও বাইর হইলো না।”
সাজেদা বেগম তরকারি নাড়তে নাড়তে বললেন-
“দরজায় কান লাগায়া কিছু শুনছস?”
রাজিয়া বেগম দুপাশে মাথা নাড়ালেন।মুখে বললেন-
“কিছুই শুনা যায় না। সামিরারে রাইখা আইছি। দেখি ও কিছু শুনতে পায় কিনা।”
রাজিয়া বেগম ও হাত লাগালেন কাজে। হঠাৎ কাচ ভাঙার বিকট শব্দে চমকে উঠলেন দুজনেই। শব্দ টা এসেছে শাহজাহান আলীর ঘর থেকে।ওই ঘরেই শাহজান আলী আর কামরুজ্জামান স্মৃতি আর ফরহাদ কে নিয়ে মিটিংয়ে বসেছে। সাজেদা বেগম আর রাজিয়া বেগম দৌড়ে সেদিকে গেলেন। ঘরের কাছাকাছি গিয়ে দেখলেন সামিরা বেগম দরজা থেকে দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।তার চোখে মুখে ভয়। আরেকটু কাছে যেতেই ভিতর থেকে কামরুজ্জামান এর চিৎকার শোনা গেলো। পর পর কানে ভেসে আসলো স্মৃতির হাউ মাউ কান্নার শব্দ। রাজিয়া বেগম দরজায় এসে ধাক্কাতে লাগলেন, জোরে জোরে ডাকলেন কিন্তু দরজা খুললো না। তারপর হঠাৎ করেই ধরাম শব্দে কাঠের দুই পাল্লার দরজা খুলে গেলো। দরজার ধাক্কায় রাজিয়া বেগম কিছুটা পিছিয়ে গেলেন। বের হয়ে আসলেন কামরুজ্জামান। তিনি ঝড়ের বেগে বারান্দা পেরিয়ে উঠোন দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে গেইটের দিকে চললেন। রাজিয়া বেগম পিছু নিলেন স্বামীর। জিজ্ঞেস করলেন-
“কি হইছে? কই যাও তুমি? কিছু কও…..”
কামরুজ্জামান কোনো কথার উত্তর না দিয়ে বের হয়ে গেলেন।শব্দ শুনে চারু ফারহানা নিচে নেমে এলো।তারা এখনো বুঝতে পারছে না কি হয়েছে। অল্প সময়ের ব্যবধানে ফরহাদ স্মৃতির হাত ধরে টানতে টানতে ঘর থেকে বের হলো। সোজা চলে গেলো দুতলায়। সবাই স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলো সেদিকে। কেউ কিছু বুঝতে পারছে না। রাজিয়া বেগম কোন দিকে যাবেন বুঝতে পারছেন না। সাজেদা বেগম তাড়াতাড়ি ঘরের দরজায় গিয়ে দাঁড়ালেন।সেখানে শাহজাহান আলী পিছনে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে অন্য দিকে ফিরে দাঁড়িয়ে আছেন।ফ্লোরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ফুলদানির ভাংঙা কাচের টুকরো। রাজিয়া বেগম ও জায়ের দেখাদেখি দরজায় এসে দাঁড়ালেন। সব কিছু দেখে শাহজাহান আলীকে প্রশ্ন করলেন-
“ভাইজান, কি হইছে? আপনার ভাই এমনে কইরা কই গেলো?স্মৃতি ফরহাদ কি করছে?”
শাহজাহান আলী উত্তর করলেন না।সেভাবেই ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন। রাজিয়া বেগম আর কিছু জিজ্ঞেস করার ফুরসত পেলেন না তার আগেই ফরহাদ আর স্মৃতি নিচে নেমে এসেছে। ফরহাদের হাতে একটা ব্যাগ। উপস্থিত সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। ফরহাদ ক্রন্দনরত স্মৃতিকে টানতে টানতে গেটের দিকে চললো। সবাই হা করে তাকিয়ে রইলো। কেউ কিছুই বুঝতে পারছে না।ওরা গেটের কাছে পৌছে যেতেই টনক নড়লো চারুর।সে দৌড়ে গেলো সেদিকে। চিৎকার করে বলল-
“আম্মা, আপু আর ভাইয়া চইলা যাইতাছে।আটকাও।”
চারুর কন্ঠ শুনে রাজিয়া বেগম সাজেদা বেগম সবাই ই ছুট লাগালেন কিন্তু তার আগেই ফরহাদ স্মৃতিকে নিয়ে বড় বড় পা ফেলে গেট পেরিয়ে রাস্তায় চলে গেলো। চারু সহ বাড়ির সব মহিলারা গেটের বাইরে আসলেন। রাজিয়া বেগম চিৎকার করলেন-
“স্মৃতি…স্মৃতি.. কই যাস? যাইস না।”
সাজেদা বেগম দৌড়ে গিয়ে ওদেরকে ধরতে চাইলেন কিন্তু পারলেন না।কামরুজ্জামান সামনে এসে দাঁড়ালেন। গম্ভীর স্বরে বললেন-
“ওইদিকে আর এক পা ও দিবেন না ভাবি।সৈয়দ বাড়ির মেয়ে বউ রা রাস্তায় রাত বিরাতে দৌড়ায় না।ঘরে যান।”
রাজিয়া বেগম ক্রোধে ফেটে পড়লেন। চিৎকার করে বললেন –
“আমার মেয়েটার সাথে তুমি কি করছো? আমার মেয়েটা এই রাত বিরাতে বাড়ি থাইকা বাইর হইয়া গেল কেন?”
কামরুজ্জামান হুংকার ছাড়লেন-
“চুপ করো। এই মেয়ের নাম আমার সামনে নিবা না। ঘরে যাও সবাই।”
কামরুজ্জামান রাগে চলে গেলেন অন্যদিকে। রাজিয়া বেগম সামনে তাকিয়ে দেখলেন অনেক আগেই ফরহাদ আর স্মৃতি রাস্তা থেকে দৃষ্টি সীমার বাইরে চলে গেছে। রাজিয়া বেগম সেখানেই মাটিতে বসে পড়লেন।
চলবে