#প্রেম_প্রার্থনা
#তামান্না_আঁখি
#পর্ব-২৮
জামশেদ মজুমদার তার অফিস ঘরে বসে আছেন। বাড়ির বসার ঘরের পাশের একটা ঘরেই তার অফিস। চেয়ারে বসে চায়ের কাপে ছোট ছোট চুমুক দিচ্ছেন তিনি। বেশ আরাম লাগছে তার। চুমুক দেয়ার ফাঁকে এক বার টেবিলের অপর প্রান্তের চেয়ারে বসা সবুর আলীর দিকে তাকালেন। সবুর আলীর সামনে চায়ের কাপ রাখা। তিনি একবারের জন্য ও সেই কাপ ছুয়ে দেখেননি। মুখ কঠিন করে ক্ষিপ্ত চোখ মুখ নিয়ে বসে আছেন।জামশেদ মজুমদার চায়ের কাপ টেবিলে নামিয়ে রাখলেন।হালকা গলা ঝেড়ে বললেন-
“চাচা, আপনার ভালোর লাইগাই আমি এই সিদ্ধান্ত নিছি। আপনি……. ”
সবুর আলী কথা থামিয়ে দিয়ে রুক্ষ কন্ঠে বলল-
“আমি তোমার দাদার আমলে এই দলে যোগ দিছি,তোমার বাপ আমার পরামর্শে চলছে আর তুমি আমার ভালো আমারে শিখাও?”
জামশেদ মজুমদার নড়েচড়ে বসলেন। কন্ঠ গম্ভীর করে বললেন-
” আপনার জন্য দলের অনেক বড় ক্ষতি হইতো। আপনি আমারে না জানায় রবিনের উপর গুলি চালাইছেন, ওদের বাড়ির মাইয়াগো অসম্মানি করার চেষ্টা করছেন,নতুন ভাড়া করা ছেলে দিয়া আক্রমণ করাইছেন। ওইসব ছেলেরা আরেকটু হইলেই আপনার নাম বইলা দিত পুলিশের কাছে। আমার দলের একজন মুরুব্বি এই কাজে যুক্ত থাকলে নির্বাচনে আমার দলের ভাবমূর্তি কেমন হইতো আপনি ভাবতে পারতাছেন?”
সবুর আলী কিছু বলল না। কঠিন মুখ করে আগের মতোই বসে থাকলো। জামশেদ মজুমদার কিছুটা নিচু স্বরে বললেন-
” আপনার লাইগা আরেকটু হইলেই খুনের মামলায় ফাইসা যাইতাম। আপনি রবিনরে খুন করতে চাইছিলেন। তাও আবার ভাড়া করা পুলাপান দিয়া। যারা দলের ভালোমন্দ বুঝে না উল্টা পুলিশের কাছে মুখ খুলছে। ”
সবুর আলী আগুন লাল চোখে তাকিয়ে বললেন-
“তো এখন তুমি কি করতে চাও?”
“আমি তো আপনারে কইছিই আমি কি করতে চাই। আপনি দল থাইকা সইরা যান।নতুনদের সুযোগ দেন।আপনার বয়স হইছে। আপনার এখন পরহেজগার হইয়া মসজিদে থাকা উচিত।”
সবুর আলী ক্ষেপে গেলেন। টেবিলে থাবা দিয়ে বললেন-
“তুমি আমারে দল থাইকা বাইর করনের কেডা? ভুইলা যাইও না এই দলে আমার অবদান সবচেয়ে বেশি।”
জামশেদ মজুমদার মাথা নেড়ে সায় জানালেন। কন্ঠ কিছুটা সরল করে বললেন-
“আমি এই কথা অস্বীকার করি না চাচা। আমি চাই আপনি আপনার সম্মান নিয়া দল থাইকা অবসর নেন। দলের অন্যান্য বয়োজ্যেষ্ঠদের মতো আপনার লাইগাও ভাতা দেয়া হইব।”
সবুর আলো উঠে দাঁড়ালেন। চিবিয়ে চিবিয়ে বললে –
” আমারে টেকার গরম দেখাইয়ো না। আমি টেকার লাইগা দল করি না। কামডা তুমি ভালা করলা না। এর খেসারত তোমার দেওন লাগব।”
সবুর আলী ঝড়ের বেগে ঘর ছেড়ে বের হয়ে গেলেন। জামশেদ মজুমদার থুতনিতে হাত রাখলেন।তিনি কি কাজ টা ঠিক করলেন? এছাড়া তার পথ ছিলো না। সবুর আলী দলের নাম নিয়ে অনেক অন্যায় করেছে। নির্বাচনে সে অসদুপায় অবলম্বনের জন্য এর আগের বার দলকে নির্বাচন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এইসব তিনি মেনে নিয়েছিলেন কিন্তু রবিনকে খুন করার চেষ্টা আর মেয়েদের অসম্মান করার ব্যাপার টা তিনি মেনে নিতে পারেন নি। যার ফলস্বরূপ তাকে এই পথ বেছে নিতে হয়েছে।
_______
চারু উঠোনে ঝাড়ু হাতে দাঁড়িয়ে আছে। সে গভীর চিন্তায় নিমগ্ন। অন্য কোনো দিকে খেয়াল নেই তার। সাজেদা বেগম বারান্দা দিয়ে রান্না ঘরে যাচ্ছিলেন চারুকে উঠোনে ঝাড়ু হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে হাঁক ছাড়লেন-
” কিরে চারু!! রোদে দাঁড়ায়া আছস কেন?”
সাজেদা বেগমের কথায় চারু চমকে গিয়ে তাকালো। সাজেদা বেগম মাথা ইশারা করে জানতে চাইলেন। চারু বলল-
“কিছুনা চাচী, উঠান ঝাড়ু দেই।”
“তোর ঝাড়ু দেওয়া লাগত না। মন্টুর মা আইসা ঝাড়ু দিব।তুই ঘরে আয়। রোদে গায়ের রঙ কালো হইয়া যাইব তো।”
চারু উঠোনের আশ পাশ তাকালো। সে অর্ধেক ঝাড়ু দিয়ে এতক্ষন দাঁড়িয়ে ছিলো। সাজেদা বেগমের কথায় সে ঝাড়ু রেখে বারান্দায় উঠে এলো। সাজেদা বেগম রান্নাঘরে চলে গেলেন। চারুও পিছু পিছু গেলো। রান্নাঘরে উঁকি দিয়ে দেখলো রাজিয়া বেগম তরকারি কুটছেন। সে রান্নাঘর ছেড়ে এসে সোফায় পা তুলে বসলো। গালে হাত দিয়ে আবারো ভাবনার জগতে পাড়ি দিলো।
স্মৃতি আর ফরহাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর দুইদিন কেটে গেছে।দুই দিন ফরহাদ আর স্মৃতি ফোন বন্ধ রেখেছে, যোগাযোগ করার উপায় রাখে নি।এর মধ্যে সাজেদা বেগম আর রাজিয়া বেগমের কান্নাকাটিতে ঢাকায় লোক পাঠানো হয়েছিলো খোজ করার জন্য। ফরহাদ আর স্মৃতি দুজনেই দেখা করে বলেছে তার সুস্থ আছে, চাইলে রাজিয়া বেগম আর সাজেদা বেগম তাদেরকে গিয়ে দেখে আসতে পারে। এরপর বাড়ির পরিবেশ কিছুটা নরমাল হয়েছে।
চারু বুঝে পেলো না কি এমন হলো যার কারনে দুজনেই বাড়ি ছাড়লো। সে অনেক ভেবেও কোনো কূল কিনারা পেলো। মাঝে তার মনে ফরহাদ আর স্মৃতির কোনো ভালোবাসার সম্পর্ক আছে কিনা এই সন্দেহ এসেছিলো।ফারহানার সাথে এই বিষয়ে কথা বলতেই এক বড়সড় ধমক খেয়েছিলো। সত্যিই তো তাদের ভালোবাসার সম্পর্ক থাকলে বাড়ির লোকজন এক পায়ে খাড়া থেকে ওদের বিয়ে দিয়ে দিবে।এই বিষয় নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার মতো তো কিছু ঘটে নি। চারু এদিক ওদিক চোখ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ভাবনার জগতেই আটকে থাকলো।
সারা ঘর জুড়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে। উত্তেজনা আর খুশিতে তার হাত পা কাঁপছে। কি লজ্জার ব্যাপার!! তার মা এখনি রবিনের সাথে বিয়ের বিষয় নিয়ে কথাবার্তা শুরু করে দিয়েছে। রবিনের কানে কথা টা গেলে কি হবে তখন? তার তো রবিনের সামনে দাঁড়াতেই লজ্জা লাগবে। না না!! এই সুযোগে সারা কোথাও একটা লুকিয়ে পড়ুক। তখনি ফাতেমা বেগম দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকলেন। সারা হাঁটা থামিয়ে মায়ের দিকে তাকালো। ফাতেমা বেগম হাতের ফোন বাড়িয়ে দিয়ে বললেন-
“নে ধর।তোর মামীর সাথে কথা ক।”
সারা কাঁপা হাতে ফোন টা নিলো। তার মা কি মামীর সাথে তার আর রবিনের বিয়ের ব্যাপার টা বলে দিয়েছে নাকি? সারা ফোন কানে নিয়ে বলল-
“আসসালামু আলাইকুম মামী।”
রুবিনা বেগম সহাস্যে জবাব দিলেন-
“ওয়ালাইকুমুসসালাম। কেমন আছো সারা?”
“জী আলহামদুলিল্লাহ মামী।আপনারা ভাল আছেন তো? রানি ভালো আছে?”
“হ্যা হ্যা সবাই ভালো। তুমি কতদিন হইলো মামার বাড়িত আসো না। আর কয়দিন পর রানির জন্মদিন তোমার আম্মারে নিয়া এক সপ্তাহ আগেই কিন্তু আসবা।”
“জী মামী আসব।”
আরো কিছু কথা বলে সারা ফোন টা মায়ের দিকে বাড়িয়ে দিলো। ফাতেমা বেগম ফোন কানে নিয়ে কথা বলতে বলতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন।সারা ধপ করে বিছানায় বসে পড়লো। ওড়নার কোণা হাতে প্যাঁচাতে লাগলো। মানে কি? তার মানে কি তার মা এখনো তার বিয়ের কথা রবিনের মায়ের কাছে বলে নি? ধুরু!! সে কি থেকে কি চিন্তা করে বসে আছে। বিয়ে নিয়ে কত কি কল্পনা করে ফেললো সে। কল্পনার কথা মাথায় আসতেই সারা লজ্জা পেলো। সে বিছানায় শুয়ে পড়লো। বিড়বিড় করে বলল-
“এই কল্পনার প্রহর কবে শেষ হবে রবিন ভাই? ”
_____
রানি বিছানায় বিরস মুখে বসে আছে। কি এক বিপদে পড়লো সে!! তুহিন নামক এই পাগলের পাল্লায় পড়ে তার নিজের ও পাগল হওয়ার জোগাড়। রানি আবারো ফোনের মেসেজের দিকে তাকালো। সেখানে তুহিনের মেসেজ-
” রানি তুমি আমাকে গামছার ছবি দেখাও। তোমার ওড়না কত যত্ন কইরা রাখছি আমি। তুমিও দেখাও তুমি কেমন যত্নে রাখছো আমার গামছা রে।”
এই মেসেজের উত্তর রানি কি দিবে? গামছার প্রতি যত্ন কিভাবে দেখাবে সে? সে কি এখন গামছায় চুমু খেয়ে ছবি পাঠিয়ে দেখাবে কত যত্ন করছে? কোন কুক্ষণে যে গামছা আর ওড়না টা অদল বদল হতে গেলো। রানি গামছা টা ভাঁজ করলো তারপর সেটাকে আলমারির তাকে রেখে ছবি তুলে পাঠালো। এখন নিশ্চয়ই তুহিন তাকে নিস্তার দিবে। কিন্তু তুহিন ছবিতে একটা এংরি রিয়েক্ট দিলো। সাথে লিখলো-
“এইটা কেমন যত্ন রানি? তুমি যদি আমার গামছারে আলমারিতে তুইলা রাখো তাহলে আমার গামছার তো অপমান হয়। আমি তোমার ওড়না গায়ে জড়ায়া ঘুমাই। তোমার তো অন্তত হাতে নিয়া ঘুমানি উচিত।”
মেসেজ দেখে রানির সর্বাঙ্গ জ্বলে গেলো। এই তার ছিঁড়ার সাথে সে আর কথা বলবে না। সে এক ক্লিকে অফলাইন হয়ে গেলো।
রাত দশটার উপরে বাজে।চারু চেয়ারে বসে পড়ার টেবিলে মাথা দিয়ে খাতায় আঁকিবুকি করছে। তার মন অনেক খারাপ। একে তো তার নিজের অনুভূতি নিয়ে ঝামেলায় আছে তার উপর স্মৃতি র এই ঝামেলা। রানির কল পেয়ে চারু মাথা তুললো।ফোন রিসিভ করে কানে নিয়ে আবারো টেবিলে মাথা দিয়ে বসে রইলো। কল রিসিভ করতেই রানির উচ্ছ্বসিত কন্ঠ শোনা গেলো-
“চারু তোর তো কপাল পুড়লো রে।”
চারু ভ্রু কুচকে বলল-
“কেন? আমার কপালের আবার কি হইছে?”
“আরে চারু রে!! রবিন ভাইয়ের তো বিয়ে হইয়া যাইতাছে। কি মজা! আমি আর তুই কিন্তু বিয়েতে নাচবাম।”
চারু তড়িৎ গতিতে সোজা হলো। অবিশ্বাসের সুরে বললো-
“কিহ? বিয়ে হইয়া যাইতাছে মানে? ফাযলামি করস?”
“আরেহ নাহ সত্যিই। বিশ্বাস না হইলে যেদিন বিয়ের দাওয়াত পাইবি ওইদিন ই প্রমাণ হইয়া যাইব এই রানি মিথ্যা কথা কয় না।”
“তাই না?? তেইলে ক কার সাথে বিয়ে হইতাছে?”
রানি হাসি হাসি স্বরে বলল-
“সারা আপুর সাথে। আমি আজকে বিকালে আম্মার সাথে ফুপির আলাপ শুনছি। আম্মা আর ফুপি সারা আপু আর রবিন ভাইয়ের বিয়ে দিতে চায়। সবাই ই রাজি।”
চারু আনমনে বললো –
“না না, রবিন ভাই এইটা করতে পারে না।”
রানি অভিযোগের সুরে বলল-
“কেন করতে পারে না শুনি?”
চারু সরাসরি জবাব দিলো-
“আমি রবিন ভাই রে ভালোবাসি।”
রানি একটা শয়তানি হাসি দিয়ে বলল-
“তুই বাসলে কি হইছে ভাইয়া তো আর তোরে ভালোবাসে না তাই না। ভাইয়া তো জানেই না এই খবর।”
চারু একটা ঢোক গিলে বলল-
“রবিন ভাই ও কি রাজি?”
রানি জোর দিয়ে বলল-
“অবশ্যই রাজি। রাজি না থাকলেও রাজি হইব। তার তো অন্য জায়গায় প্রেম নাই যে রাজি হইব না।”
চারু খট করে ফোন টা কেটে দিলো। কান থেকে ফোন নামিয়ে রানি কিটকিট করে দুষ্টু হাসলো। সে চারুকে জ্বালানোর জন্য মিথ্যা বললো। সে তার মা আর ফুপিকে সারার বিয়ে নিয়ে কথা বলতে শুনেছে তবে সেখানে রবিনের নাম ছিলো না। রানি হাসতে হাসতে খাটে শুয়ে পড়লো। চারুকে জব্দ করতে পেরেছে সে।
চারু ফোন নামিয়ে রেখে কিছুক্ষন থম মেরে বসে থাকলো। সে একটা কঠিন কাজ করবে এখন। সে অনেক বার পরিক্ষা করে দেখেছে রবিনের প্রতি তার এই অনুভূতি ফেলনা কোনো অনুভূতি না।সে অনেক বার এই অনুভূতি থেকে বের হয়ে আসতে চেয়েও পারে নি। নাহ এই অনুভূতির কথা সে লুকিয়ে রাখবে না।সে রবিনকে জানাবে। চারু নিজেকে ঠিকঠাক করে ফোন হাতে তুলে নিলো। লাজলজ্জা ভুলে ভিডিও কল দিলো রবিন কে। রবিনের মুখভঙ্গি তার দেখা প্রয়োজন। প্রথম কল টা কেউ ধরলো না। এরপর দ্বিতীয় বার কল দিতেই রিসিভ হলো। স্ক্রিনে ভেসে উঠলো একটা ধারালো শ্যাম বর্নের চেহারা। স্থির কিন্তু গভীর চোখে তাকিয়ে আছে সরাসরি চারুর দিকে। সেই দৃষ্টিতে চারুর হৃদপিণ্ড কয়েকটা বিট মিস করলো।
রবিন ফোন টা টেবিলে একটা বইয়ের সাথে দাঁড়া করিয়ে রেখে কিসব লিখতে লাগলো। লিখার দিকে মনোযোগ দিয়েই বললো –
“কিছু বলবি?”
চারু ঢোক গিললো।জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজালো। কল তো দিয়ে ফেললো কিন্তু বলবে কিভাবে তার যে একটা শব্দ ও বের হচ্ছে না গলা দিয়ে। রবিন এক পলক চারুর দিকে তাকিয়ে আবারো লেখায় মনোযোগ দিয়ে বলল-
“কিছু কইলে ক, নয়ত ফোন রাখ।”
চারু ব্যস্ত হয়ে বলল-
“না না বলব।”
“হুম্মম, তাইলে বল।”
চারু সাহস করলো। রবিনের দিকে তাকিয়ে বলল-
“তুমি আমার দিকে তাকাও রবিন ভাই। তুমি না তাকাইলে বলব না।”
রবিন কিছুটা বিস্মিত হলো। সে বিস্ময় নিয়ে তাকালো।
চারু চোখ বন্ধ করে নিশ্বাস নিয়ে ছাড়লো। তারপর বললো-
“আমার তোমারে ভাল লাগে রবিন ভাই।”
রবিন ভ্রু কুচকে তাকালো। চারুর কথা তার বুঝতে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে।সে উত্তর করলো-
“হুম্ম, তো?”
চারু এক দমে বলল-
“আমি তোমারে বিয়ে করবাম তুমি অন্য কাওরে বিয়ে কইরো না।”
বলেই চারু ফোন কেটে দিলো। সে বড় বড় শ্বাস ফেললো । কয়েক সেকেন্ড পরেই রবিনের কল আসলো। চারুর বুক ধড়ফড় করে উঠলো। সে কল কেটে দিয়ে ফোন সুইচ অফ করে ফেললো।
চলবে