#ভালোবাসার_ফোড়ন_২
#মিমি_মুসকান
#পর্ব_৩৫
মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে থমকে গেল। আহিয়ান প্রথমবার নিতি”র নাম শুনে অবাক হলেও মেয়েটা কে দেখে এখন সে শান্ত। চুপচাপ ফুচকা খাচ্ছে। মেয়েটা আর কেউ না টিনা। সেও যেমন আমাকে দেখে চুপ আমিও চুপ। টিনা আহিয়ানের দিকে তাকিয়ে দেখে উনি ফুচকা খাচ্ছে। টিনা বলে উঠে,
“আহি!
আহিয়ান বলে উঠে,
“ফুচকা খাবি!
উনার কথায় আমি আর টিনা দু’জনেই থমকে গেলাম। টিনা আমাকে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে আহিয়ানের দিকে তাকিয়ে বলে,
“আমি ভাবলাম তোর সাথে নিতি এসেছে!
আহিয়ানের ফুচকা খাওয়া শেষ। সে ফুচকার প্লেট টা রেখে বলে,
“এখন তো দেখলি নিতি নেই। তা তুই এখানে!
টিনা চুপ হয়ে তাকিয়ে আছে। হয়তো চমকটা এখনো নিতে পারে নি সে। পিছনে একটা ছেলেকে দেখছি।সে তাকিয়ে আছে টিনা’র দিকে। মনে হচ্ছে অপেক্ষা করছে হয়তো টিনার জন্য, তার সাথেই এসেছে।
আহিয়ান ও দেখল ছেলেটাকে। অতঃপর আমাকে বলল,
“দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি শেষ করবে।
“আর খাবো না।
“তাহলে রেখে দাও!
উনি আমার হাত থেকে প্লেট টা নিয়ে রেখে দিলেন। টিনা অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে আছে। আহিয়ান টিনা কে বলল,
“কিছু বলবি!
টিনা মাথা নাড়িয়ে না বলল।
উনি টিনার সামনেই আমার হাত ধরে নিয়ে চলে গেল। টিনা মনে হচ্ছে একের পর এক শক খাচ্ছে, তার সাথে আমিও। কিছুতেই এই শক থেকে বের হতে পারছি না। আমি পিছনে ফিরে একবার টিনা কে দেখতে চাইলাম। উনি আমাকে বলেন,
“পিছনে ফিরো না, চুপচাপ সামনে হাটো।
আমি কোন কথা না বলে চুপচাপ হেটে যাচ্ছি।
সন্ধ্যা নেমে গেছে, আমি উনার বাইকের পেছনে বসে আছি। উনি বাইক চালাচ্ছে। আমার মন কেমন জানি লাগছে। এরপর কি হবে? নিতি কি আমায় আস্ত রাখবে।
“আচ্ছা এরপর কি হবে?
“কি আর হবে? নিতি তোমার ক্লাস নিবে।
“আপনার কি মজা লাগছে।
“না তা কেন লাগবে?
“তাহলে এভাবে কেন বলছেন।
“যা সত্যি তাই তো বললাম
“আপনি জানেন আমি কতোটা ভয় পাচ্ছি।
“ভয় কেন পাচ্ছ, ও কি বাঘ না ভাল্লুক!
“না তা না।
“তাহলে, তোমার মতোই মানুষ সে। সে তোমাকে বলতে পারলে তুমি কেন পারবে না।
“কারন আমি ওর মতো না।
“ওকে কিছু বলতে হলে ওর মতো হতে হবে না বুঝলে।
আমি মাথা নিচু করে নিলাম। আমি সত্যি’ই পারবো না ওর সাথে। কেন জানি ভয় করে ওকে, সাহস হয় না কিছু বলার।
.
বাসায় নামিয়ে দিয়ে চলে গেলেন। মাথায় টেনশন নিয়ে ঘরে গিয়ে বসলাম। এর মাঝেই মুন্নি আপু এলো। বলে উঠে,
“কোথায় গেছিস?
“এখানে!
“ইতি কি ছেড়ে দিল তোকে এখানে।
“হুম।
“বাসায় আনলি না কেন।
“আসতে চাইলো না।
“ওহ আচ্ছা
“হুম।
অতঃপর আপু উঠে চলে গেল। কেন এতো কিছু জিজ্ঞেস করল, কি জানতে চাইল আমি কিছুই জানি না। আমার মাথায় শুধু ঘুরছে নিতি’র কথা। কি হবে কাল!
.
পরদিন ভার্সিটি যাবো না বলেই ভেবে রেখেছিলাম। কিন্তু আজ না গেলে তো পরেও যাবো তখন তো ঠিক’ই আমায় পাবে। কিন্তু আজ আহিয়ানের সাথে যাবো না। কারন আমি জানি আজ নিতি ভার্সিটিতে সবার আগে এসে বসে থাকবে। আর তখন আমাদের একসাথে দেখলে আরো আমার উপর রাগ ঝাড়বে।
আমি আগে আগেই বের হয়ে গেলাম। ভার্সিটিতে এসে পৌঁছালাম। যা ভেবেছিলাম ঠিক তাই। নিতি অনেক আগেই এসেছে। শুধু সে না তার সাথে টিনা, আনিকা, নাহান, আনাফ আর সিফাত ও। আকাশ ভাইয়া কে দেখছি না কোথাও। এখনো আসে নি নাকি।
আমি ভয়ে ভয়ে ঢুকছি ভার্সিটিতে। তখনই আমার সামনে এসে নিতি দাঁড়াল। আমি একটা ঢোক গিলে তার দিকে তাকালাম। সে আমার দিকে তাকিয়ে একটা বাঁকা হাসি দিল।
পুরো ক্যান্টিনে একটা হাসির পাত্র হয়ে গেছি আমি। সবাই দেখে হাসছে আমাকে। নিতি একটু একটু আগেই আমার মাথার উপর রান্না করা নুডুলস ফেলেছে। আমি ব্যাগ শক্ত করে ধরে মাথা নিচু করে আছি। সবাই হাসছে। মজা করছে আমাকে নিয়ে। নিতি একটা কোকাকোলা’র ক্যান হাতে নিয়ে আমার চারপাশে ঘুরছে আর বলছে,
“গতকাল খুব সুন্দর করে সেজে, শাড়ি পরে নাকি ঘুরতে গিয়েছিলে আহি’র সাথে। তোমার সাহস দেখে আমি অবাক হচ্ছি। এতো সাহস পাও কিভাবে তুমি!
আমি চোখ বন্ধ করে সব শুনছি। নিতি আমার মাথার উপর কোকাকোলা ফেলছে আর বলছে,
“তোমার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এতে। বুঝি না কি এমন আছে তোমার মাঝে যা দিয়ে তুমি আমার আহি কে এভাবে বশ করছো।
আশেপাশের সবাই দেখছে আর হাসছে। অনেকে অনেক কথা বলছে। এক পর্যায়ে টিনা এসে নিতি’র কানে কি জানি বললো। নিতি রেগে আমার দিকে তাকাল। আমার থিতুনি চেপে বলল,
“তুই নাকি রোজ আহির বাইকে করে ভার্সিটি আসিস। তলে তলে এতোদূর চলে গেছিস। দেখে তো মনে হয় ভাজা মাছ টা উল্টে খেতে পারিস না। আর এখন কথা বলছিস না কেন?
জোরে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হলো। আমি চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। হঠাৎ করেই সবাই চুপচাপ হয়ে গেল। টিনা নিতি কে ডাক দিল। নিতি আমার থিতুনি ছেড়ে দিয়ে সামনে পেছনে তাকাল। আহিয়ান, ইতি আর আকাশ। তিনজন’ই একসাথে এসেছে। আহিয়ানের মুখ শান্ত,গম্ভীর। ইতি আর আকাশ দুজনেই অবাক। আহিয়ান দাঁড়িয়ে দেখছে আমাকে। জানি সে কিছু বলবে না কারন সে আগে থেকেই বলে দিয়েছে সে কিছু বলবে না।
সবাই চুপ হয়ে গেল, পুরো জায়গা নিরব, নিস্তব্ধ! আমি দ্রুত হেঁটে বের হয়ে গেলাম সেখান থেকে। বাইরে বার হতেই সবার নজর আমার দিকে। চোখ বড় বড় দেখছে সবাই আমাকে। হাসাহাসি ও করছে। কাঁদতে কাঁদতে ভার্সিটির বাইরে চলে গেলাম আমি। হাঁটছি আমি, এর মাঝেই একটা গাড়ি এসে থামল। গাড়ি থেকে আহিয়ান বের হলো।
সে আমার হাত ধরে গাড়িতে বসাল। আমি চুপচাপ গাড়িতে তার পাশে বসে আছি। চোখ থেকে অশ্রু কণা গড়িয়ে পড়ছে। উনি ড্রাইভ করতে করতে বলেন,
“কাঁদছো কেন?
আমি উনার দিকে তাকালাম। উনি আমার দিকে তাকিয়ে বলে,
“নুডুলস গুলো কি খুব ঝাল ছিল নাকি!
রেগে বলে উঠি,
“মজা করছেন আপনি!
“আহ মজা কেন করবো, তুমি কাঁদছো তাই জিজ্ঞেস করছি।
“জানেন না কেন কাঁদছি।
“তোমার কাঁদতে কারন লাগে বুঝি, তুমি তো সবসময় কাঁদো। তোমার নাম কাঁদুনি ভূতনি হওয়া দরকার ছিল।
“আমাকে এখানে নিয়ে এসে কি বোঝাতে চাইছেন আপনি।
“কি বোঝাব।
“কি বোঝাবেন মানে। সবার সামনে কেন কিছু বলেন নি আপনি।
“তোমাদের মেয়েদের ঝগড়ার মাঝে আমি কি বলবো।
“কেন এভাবে তো দেখাতেন আসেন আপনি আমার স্বামী,তো সেখানে কেন পালন করলেন না স্বামীর দায়িত্ব।
“তুমি বলো সেখানে আমার দায়িত্ব কি ছিল।
“কি ছিল মানে, অনেক দায়িত্ব ছিল। সবাইকে বলা উচিত ছিল আমি আপনার স্ত্রী! কেন তারা আমাকে এভাবে হেনস্তা করছে, কোন সাহসে।
উনি গাড়ি থামিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে হেসে বলে,
“কথাটা তো তুমিও বলতে পারতে তাই না!
উনার কথায় থতমত খেয়ে গেলাম। কিছুক্ষণ উনার দিকে তাকিয়ে চোখ নিচে নামিয়ে ফেললাম। উনি আবারো গাড়ি চালাতে শুরু করেছেন। আমি ধীরে ধীরে বলি,
“আমি বললেই কি তারা বিশ্বাস করতো নাকি।
“সেটা পরের ব্যাপার। বিশ্বাস করার দায়িত্ব আমার। তোমাকে আমি জোর করে শুধু বিয়েই করেছি কখনো জোর খাটাই নি। আর না খাটাবো। তুমি আমার পরিচয় চাও না তাই আমি দিই নি। তুমি চাইলে নিয়ে নিবে আমার দিতে হবে না। অধিকার আছে তোমার।
“ঘোড়ার ডিমের অধিকার!
“এই তোমার সমস্যা বুঝলে। বাইরে কিছু বলতে পারো না কিন্তু সব ঝাল মিটাও আমার উপর এসে।
আমি চোখ ঘুরিয়ে উনার দিকে তাকাই। উনি হেসে বলেন,
“এতো সাহস নিতির সামনে দেখালেই পারতে।
“চুপ করুন তো আপনি।
“আচ্ছা বুঝেছি তোমার মাথা গরম, হয়তো ক্ষিদে পেয়েছে তা কি খাবে নুডুলস।
“চুপ না করলে আপনার মাথা ফাটিয়ে দেবো আমি।
“আচ্ছা খুনখারাবি না করি। নাও পানি খাও মাথা ঠান্ডা করো।
বলেই একটা পানির বোতল দিল। আমি সেটা নিয়ে কয়েকবার উনাকেই মারলাম। উনি মজা নিচ্ছে আমার সাথে। কি আজব! আমি কাঁদছি আর উনি মজা নিচ্ছে। আজ ছাড়বো না উনাকে।
“ভূতনি গাড়ি ড্রাইভ করছি, এমন করো না এক্সিডেন্ট হয়ে যাবে।
“ভালোই হবে।
উনি আমার হাত থেকে বোতলটা কেড়ে নিয়ে বলেন,
“ভূতনির ভালো করতে নেই। যাও খাওয়া লাগবে না তোমার পানি।
আমিও মুখ ঘুরিয়ে গাড়ির বাইরে দেখতে লাগলাম। উনি কিছু না কিছু বলছেন আমি কিছুই বলছি না। একসময় আমাকে চিমটি মেরে বলেন,
“কিছু বলছো না কেন?
“আপনার সাথে নাকি আমি ঝগড়া করি, তাহলে কথা বলছেন কেন সেধে সেধে!
“সবসময় তো করো না। কিন্তু একটা কথা কি জানো আজ যা হলো তার জন্য তুমি দায়ী।
“আপনি কি একটা সেকেন্ড ও আমার দোষ না খুঁজে শান্তি পান না
“এখানে দোষ আসলেই তোমার। তুমি আমার জন্য অপেক্ষা না করে চলে এলে কেন?
“ভালো করেছি এসেছি।
“না মোটেও ভালো করো নি। শুরুটাই আজ খারাপ হলো। বাইকের কি হলো কে জানে। বের হতে হতে দেরি হয়ে গেল। তোমার বাসায় গিয়ে তোমাকে পেলাম না। তারপর ভার্সিটিতে এসে তোমাকে খুঁজতে লাগলাম। উফ অনেক ঘুরেছি আমি। ঠিক’ই বলে মেয়েরাই পারে শুধু তাদের পিছনে ছেলেদের ঘুরাতে। আর তুমি তো ভূতনি। আমাকে চরকার মতো ঘুরিয়ে ছাড়লে।
“তো এখানে আমার দোষ কি? আপনার সাথে যখন আসতাম তখন হয়তো কিছু বলতো না তাই বলে কি পরে পেত না। ক্ষোভ জমিয়ে রেখে পরে শোধ তুলতো।
“তুমি ওদের এতো ভয় কেন পাও বুঝছি না।
আমি আর কথা বাড়ালাম না। চুপ হয়ে গেলাম। হ্যাঁ ভয় আমি পাই। যাকে ভয় পাই এমনেতেই পাই। এখন সাথে যে কেউই থাকুক না কেন আমার ভয় তখনো কমে না। ভয়টা যে আঁকড়ে ধরেছে আমায়।
.
বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলেন উনি। আমি দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে ঘরে চলে এলাম। সোজা ঢুকলাম গোসলখানায়। গোসল করে বের হয়ে এসে বসে রইলাম রান্না ঘরের মেঝেতে। দেওয়ালে ঠেসে মাথা ঠেকিয়ে বসে রইলাম। ঘুমিয়ে গেলাম কখন গেলাম টের পেলাম না।
দরজা ধাক্কানোর আওয়াজে ঘুম ভাঙল আমার। কে আছে দরজার ওপাশে এমন ভাবে দরজা ধাক্কাচ্ছে মনে হচ্ছে আজ দরজা ভেঙেই ফেলব। আমি উঠে চোখ ঢলতে ঢলতে দরজার কাছে গেলাম। খুলে দেখি উনি আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি চোখ ঢলতে ঢলতে বলে,
“আপনি।
“এতো গভীর ঘুম তোমার, কখন থেকে দরজা নক করছি।
“নক করছিলেন না দরজা ধাক্কা দিয়ে ভেঙে ফেলছিলেন।
ভ্রু কুঁচকে বলে,
“ঘরে ঢুকতে দেবে না নাকি!
“আমি দরজা ছেড়ে দাঁড়ালাম। উনি ঘরের ভেতর এলেন। দরজা বন্ধ করে উনাকে বলি,
“কেন এসেছেন!
“ভাবলাম তুমি যদি মরে টরে যাও তাই দেখতে এলাম।
“মরতে যাবো কেন?
উনি বিছানায় গিয়ে বসে বলেন,
“বাহ যা হলো আজ তোমার সাথ, অন্য কেউ হলে তো সুইসাইড করতো কিন্তু তুমি তো দেখছি আরামছে ঘুমাচ্ছিল।
“আপনি আমাকে খোঁচা মারছেন কেন
“তোমাকে কিছু বললেই তোমার কেন মনে হয় বলো তো আমি তোমার খোঁচা মারছি।
আমি মুখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে রইলাম। আজাইরা কথা ছাড়া কিছু আসে না উনার মুখে। আমি বলে উঠি,
“চা খাবেন
“না তুমি এখানে আসো।
“কেন?
“দরকার আছে।
আমি সামনে যেতেই উনি হাত ধরে আমাকে বসালেন। অতঃপর প্যাকেট থেকে একটা বক্স বের করে আমাকে দিলেন।
“কি এটা?
“ফোন!
“ফোন নিয়ে আমি কি করবো।
“কথা বলবে!
“আমাকে কল করবে কে?
“আমি করবো।
“কেন করবেন?
“প্রেম করার জন্য!
“কিহহ!
“হ্যাঁ! ( বাক্সটা আমার মাথায় মেরে ) স্টুপিড ভূতনি!
“আপনি অসভ্য!
“তুমি ভূতনি!
“গালাগালি কেন করছেন! আর মারছেন কেন?
“তুমি বোকা বোকা কথা কেন বলছো। ফোন রেখে দিবা, আমি বলছি তাই। কথা বলবে তোমার চাচা’র সাথে, মা সাথে বাবার সাথে।
“আপনার ফোন আমি কেন নেবো
“সকালে না বললে আমি স্বামীর দায়িত্ব কেন পালন করি না এই যে করলাম। এটা শুরু!
“কচু! আসছে নাটক দেখাতে।
“এই বকবক করা রেখে চা বানাতে যাও তো। তোমার বক বক এ আমার মাথা ধরে গেছে।
“হুহ। তো আসছেন কেন?
“তুমি যাবে!
আমি উঠে চলে যেতে নিলাম উনি আমার হাতে ফোনটা দিয়ে বলেন,
“দেখো পছন্দ হয় কি না।
আমি মুখ ভেংচি দিয়ে ফোনটা হাতে দিয়ে রান্না ঘরে এলাম। এর মাঝেই ফোনটা বেজে উঠল। ব্যাপার টা কি হলো? ফোন বাজল কিভাবে? আর কাল’ই বা করল কে? আমি তাকিয়ে আছি ফোনের স্ক্রিনের দিকে। এদিকে ফোন বেজে যাচ্ছে!
#চলবে….