#তুই_শুধু_আমার 💕
#Nusrat_Jahan_Bristy
#Part_30
জিসান আর ইশা এক সাথে বাড়ির ভিতরে ঢুকে। ইশা আর জিসান বাড়িতে ঢজকতেই ইশান দৌঁড়ে এসে ইশাকে জড়িয়ে ধরে।
–মাম্মাম কোথায় চলে গিয়েছিলে তুমি? তোমাকে কত খুজেছি আমি। তোমার কথাটা শুনে বুঝতে পেরেছিলাম তুমি এসেছো কিন্তু পরে তোমাকে কোথাও পাই নি।
ইশা ইশানের সামনে হাটু ভেঙ্গে বসে বলে।
–ইশান বাবা আমি তোমার পাপাকে আনতে গিয়েছিলাম।
–পাপা! কোথায় পাপা?
–এই তো তোমার পাপা।
জিসানকে দেখিয়ে কথাটা বলে ইশা। ইশান জিসানের দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুচ করে বলে।
–না না বাবা আঙ্গেল আমার পাপা হবে কেন?
–না সোনা ওনিই তোমার পাপা ওনিই তোমার বাবা আঙ্গেল।
–বাবা আঙ্গেল যদি আমার পাপা হয় তাহলে এত দিন আমাকে বলে নাই কেন?
–তোমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য দাদু ভাই।
সবাই পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখে একলাস তালুকদার আর আয়েশা বেগম দাঁড়িয়ে আছে।
–দাদু ভাই।
ইশান দৌঁড়ে একলাস তালুকদারের কাছে যায়। ইশা অবাক হয়ে বলে।
–মা বাবা তোমরা এখানে?
আয়েশা বেগম হাসি মুখে বলেন,
–কি ভেবেছিলি আমরা আসবো না জিসান আমাদেরকে ফোন করে সব বলেছে।
–আচ্ছা দাদু ভাই সত্যি কি বাবা আঙ্গেল আমার পাপা।
একলাস তালুকদার ইশানের কথা শুনে মুচকি হেসে বলেন।
–হে দাদু ভাই বাবা আঙ্গেলেই তোমার পাপা।
–তাহলে পাপা এতো আমার সাথে দেখা করে নি কেন?
জিসান মুচকি হেসে ইশানের কাছে বলে।
–ইশান সোনা কি আমার উপর তার জন্য রেগে আছো? আচ্ছা ঠিক আছে আমি তোমাকে খুব বেশি আদর করে দিছি।
জিসান ইশানে কোলে নিয়ে গালে চুমু দিয়ে বলে।
–এবার আমাকে আদর করো!
ইশান জিসানের গালেও চুমু দিয়ে বলে।
–পাপা তুমি এত দিন কোথায় ছিলে আমাদের ছেড়ে বলো?
–আসলে হয়েছে কি আমি একটু কাজে ব্যস্ত ছিলাম। কিন্তু এখন থেকে আমি তোমার সাথে সবসময় থাকবো।
ইশান খুশি হয়ে বলে।
–সত্যি….
–হে তিন সত্যি।
এভাবে জিসান আর ইশার দিন গুলো কাটতে থাকে।
______
রাত তখন সাড়ে এগারোটা বাজে ইশা বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে আকাশের দিকে মুখ করে। হঠাৎ করে অনুভব করে চোখে কেউ কাপড় বেঁধে দিছে। ইশা কাপড়ে হাত রেখে বলে।
–কি হয়েছে? এভাবে চোখ বাঁধছো কেন?
জিসান ইশার কানের কাছে ফিসফিস করে বলে।
–চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাক।
কথাটা বলেই জিসান ইশাকে কোলে তুলে নেয়। ইশা মৃদু চিৎকার করে বলে।
–কি করছো কি তুমি?
জিসান রাগ দেখিয়ে বলে।
–চুপ থাকতে বলছি তো।
ইশা চুপটি করে জিসানের বুকে মাথা রাখে। জিসানও ইশাকে আলতো করে ধরে। জিসান ইশাকে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠছে কিন্তু কেন ছাদে উঠছে সেটা বুঝতে পারছে না। জিসান ইশাকে নিয়ে ছাদে এনে দাঁড় করাতেই যেই ইশা চোখে বাঁধন খুলতে যাবে তখনেই জিসান বলে।
–এক দম চোখের বাঁধন খুলবি না।
ঠিক আছে কিন্তু এখানে এত রাতে আনলে কেন?
–তুই চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাক। এতো কথা বলিস কেন তুই?
ইশা চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। জিসান একটু পরেই এসে ইশার চোখের বাঁধনটা খুলে দেয়। ইশা আস্তে আস্তে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে ছাদের কিছুটা জায়গা লাইটিং করা আর ছাদের মাঝে একটা টেবিলের ওপরে একটা কেক রাখা। ইশা টেবিলের কাছে গিয়ে দেখে কেক উপরে লিখা…
“”Happy 6th Marriage Anniversary Jan””
ইশা অবাক হয়ে জিসানের দিকে তাকিয়ে বলে।
–আজকে আমাদের বিবাহ বার্ষিকী।
–হে ম্যাডাম।
ইশাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে কথাটা বলে জিসান।
–আমার তো মনেই ছিলো না।
মন খারাপ করে বলে কথাটা ইশা। জিসান ইশার মন খারাপ করা দেখে বলে।
–তাতে কি আমি তো আছি আমি তোকে সবসময় আমাদের এই দিনটার কথা মনে করেই দিবো। আর তুই যখন ছিলি না আমি এই পাঁচটা বছর এইভাবেই কেক কেটে আমাদের এই দিনটা উৎযাপন করেছি।
–সরি।
–ঠিক আছে আর সরি বলতে হবে না। এখন কেকটা কাট এতো বছর তো আমি একা কেটেছি এবার দুজনে মিলে কাটি।
–হুমমমমমম।
জিসান ইশার হাত ধরে কেক কাটতে যাবে সাথে সাথে একটা কন্ঠ ভেসে আসে।
–মাম্মাম পাপা তোমরা আমাকে রেখে কেক কেটে ফেলবে।
জিসান আর ইশা পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখে ইশান একা দাঁড়িয়ে আছে। ইশা তাড়াতাড়ি ইশানের কাছে গিয়ে বলে।
–ইশান তুমি এখানে একা এতো রাতে কি করে এলে? তুমি না দাদুভাইয়ের সাথে শুয়ে ছিলে।
–একা কোথায় আমি আমার সাথে তো সবাই এসেছে।
এমন জিসা ছাদে প্রবেশ করতে করতে বলে।
–কি ভাইয়া ভাবি তোমরা দুজন একা একা সেলিব্রেট করবে আর আমার একা একা বসে থাকবো তা তো হয় না।
সালিহা বেগমও জিসার পেছন থেকে বেরিয়ে বলেন।
–হে এক দম ঠিক।
জিসান অবাক হয়ে বলে।
–মা তুমিও!
–হে আমিও খুব পেকে গেছিস না বউকে নিয়ে রাতে একা একা এসে সেলিব্রেট করা হচ্ছে।
–শুনো ভাইয়া আমরা সবাই এসেছি তাই আমাদের সামনে তোমরা কেকে কাটবে।
–ওকে।
–পাপা আমি কেক কাটবো না।
–হে বাব তুমিও তো কেক কাটবে এসো আমার কোলে এসো।
জিসান ইশা আর ইশান এক সাথে কেক কাটে। সবাইকে এক এক করে কেকে খাইয়ে দেয় জিসান আর ইশা। সারা রাতটা সবাই আনন্দ করেই কাটিয়ে দেয়।
সকাল থেকেই চৌধুরী বাড়ি সাজানো হচ্ছে ইশা আর জিসানের বিবাহ বার্ষিকীর উপলক্ষে। সারাটা দিন সবার ব্যস্ততার মাঝ দিয়েই কেটে যায়।
সন্ধ্যায় পার্টি শুরু হয় একে একে সবাই আসতে থাকে।
জিসান আজকে একটা মেরুন কালারের পাঞ্জাবি পড়েছে। ইশান আর জিসান সেইম ড্রেস পড়েছে। ইশাকে জিসান অনেক ক্ষন ধরে ইশাকে দেখতে পায় নি আর দেখবেই বা কি করে ইশাকে যে সাজানো হচ্ছে।
–পাপা মাম্মাম কোথায়?
–তোমার মাম্মাম সাজাছে।
–সাজছে কেন???
–আজকে একটা বাড়িতে অনুষ্টান তো তাই।
–ওওও আচ্ছা।
–ইশান যাও তুমি গিয়ে খেলা করো।
–আচ্ছা।
জিসান কখন থেকে ছটপট করছে ইশাকে দেখার জন্য কিন্তু ইশার দেখা নেই। হঠাৎ করে জিসানের সামনে কেউ এসে দাঁড়ায়। জিসান পা থেকে মাথা পর্যন্ত এক বার তাকিয়ে দেখে ইশা দাঁড়িয়ে আছে।
ইশা একটা কালো শাড়ি পড়েছে। সাথে হালকা কিছু গহনা চুল গুলো ছেড়ে দিয়েছে কোমড় পর্যন্ত। চুলে বেলি ফুলের মালা গুজে রেখেছে। ঠোঁটে লিপস্টিক, চোখে গাঢ় কাজল নাকে নথ পড়েছে। ইশার খানিকটা লজ্জা লাগছে জিসানের তাকানো দেখে।
–কি দেখছো??
–আমার সুন্দরী বউটাকে।
–মনে হচ্ছে যেন আগে কোনো দিন দেখো নি।
–সত্যি তোকে আজ অনেক বছর পরে এই সাজে দেখছি। চোখ সারাতেই পারছি না।
–থাক আর পাম দিতে হবে না।
–তোদের মেয়েদের একটাই সমস্যা কিছু বলেই বলবি থাক আর পাম দিতে হবে না। আচ্ছা আমাকে কেমন লাগছে বললি না তো।
–হুমমমম! একদম বাজে লাগছে আমার সাথে একদম যাচ্ছে না তোমাকে।
–কি বললি? জানিস আমার জন্য এখনও কতো মেয়ে পাগল যদি আমি একটু সাড়া দেই না তাহলে দেখবি এই জিসান চৌধুরীর পেছনে কত মেয়ের লাইন পড়ে।
–ওওও তার মানে তোমার খুব ইচ্ছে আছে তাই না যাতে তোমার পেছনে মেয়েদের লাইন পড়ে তাই তো।
–আরে আরে এটা আমি কখন বললাম। তুই বলেছিস যে আমাকে বাজে দেখাছে তাই বলেছি আর কি?
–হয়েছে হয়েছে থাক আর কিছু বলতে হবে। যা বুঝার বুঝে গেছি…..
–কি বুঝে গেছিস???
–মাম্মাম।
ইশান দৌঁড়ে এসে ইশাকে জড়িয়ে ধরে।
–ইশান কোথায় ছিলে তুমি এতক্ষন? বাহ আমার ইশান বাবকে দেখতে আজকে তো খুব সুন্দর লাগছে।
-মাম্মাম.. মাম্মাম জানো আমার সাথে না একটা আঙ্গেলের দেখা হয়েছে খুব ভালো আঙ্গেলটা।
–আঙ্গেল! কোন আঙ্গেল???
–চলো তোমাকে দেখাচ্ছি আমি।
ইশান ইশাকে নিয়ে চলে যায়। জিসান অসহায় ভাবে ইশার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে বলে।
–ও আল্লাহ আমার কপালটাই খারাপ বউয়ের সাথে যে একটু প্রেম করবো তার কোনো উপায় নেই। ধ্যাত!
–মাম্মাম এসো এসো।
–ইশান কোথায় তোমার আঙ্গেল?
–এখানেই তো ছিলো।
–ইশান বাবা চলো মনে হয় তোমার আঙ্গেল চলে গেছে।
ইশা আর ইশান চলে যাওয়া সাথে সাথে দেয়ালের আড়াল থেকে একজন লোক বেরিয়ে আসে আর একটা পৈশাচিক হাসি দেয়।
ইশা আর জিসান স্টেজে এসে দাঁড়ায় সাথে ইশানও আছে সবাই ইশা আর জিসানকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। এর মাঝে ইশানকে মাকে বলে।
–মাম্মাম আমি একটু আসছি।
–কোথায় যাচ্ছো?
ইশান দৌঁড় দিয়ে চলে যায়। ইশানের যাওয়া দেখে জিসান ইশার কাছে এসে বলে।
–কি হলো ইশান কোথায় চলে গেলো?
–জানি না।
–আচ্ছা তুই চিন্তা করিস না আমি গিয়ে দেখছি ইশান কোথায় গেলো?
প্রায় অনেকক্ষণ হয়ে গেলো ইশা জিসান আর ইশানকে দেখছে না। ইশার মনে একটা অজানা ভয় কাজ করছে। বুকের উপরে হাত রেখে বলে।
–এমন ভয় লাগছে কেন? কোনো কিছু অঘটন হবে না তো। হে আল্লাহ আমার সাথে আর এমন কিছু করো না। অনেক সহ্য করেছি আমি আর সহ্য করতে পারবো না।
ইশার পাশে একজন এসে ইশার হাতে একটা ধরিয়ে দেয়। ইশা অবাক হয়ে লোকটার দিকে কিন্তু লোকটার চেহারা দেখতে পারলো না মাক্স থাকার কারণে। লোকটা সাথে সাথে চলে যায় ইশা কিছু বলার আগেই।
–আরে কে আপনি? আজব তো কি আছে এই খামে?
ইশা খামটা খুলে দেখে একটা চিঠি দেখে। ইশা চিঠি পড়ে একটা জোরে চিৎকার করে।
–ইশানননননননননন…..
সবাই ভরকে যায় ইশার চিৎকার শুনে। জিসান মাত্রই ঘরে ঢুকছিলো আর তখনেই ইশার চিৎকার শুনে তাড়াতাড়ি দৌঁড়ে ইশার কাছে এসে দেখে ইশা মেঝেতে বসে আছে আর পাশেই চিঠিটা পড়ে আছে। জিসান তাড়াতাড়ি করে চিঠি হাতে নিয়ে পড়তে থাকে।
“মিসেস চৌধুরী আজকের দিনে আমার তরফ থেকে একটা ছোট্ট গিফট দিলাম আপনাকে। সেটা কি জানেন আপনার ছেলেকে কিডন্যাপ করে। এখন আপনার মনে হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে আপনার ছেলেকে কেন কিডন্যাপ করেছি? সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে নিচের ঠিকানাতে আপনার হাসবেন্ড আর আপনি চলে আসেন। আর একটা কথা আপনার হাসবেন্ডকে বলবেন একদম চালাকি করার চেষ্টা যাতে না করে। তার ফল কিন্তু ইশানের জন্য ভালো হবে না। আপনাদের অপেক্ষাতে রইলাম প্লিজ তাড়াতাড়ি আসবেন”।
জিসান কি করবে কিছু বুঝতে পারছে না ইশা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে।
–ইশু প্লিজ শান্ত হ ইশানের কিছু হবে না।
–আমার ইশানকে এনে দাও প্লিজ। ওকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না।
–তুই শান্ত হ! আমরা এখনেই যাবো ইশানের কাছে। সাঈদ তুই তাড়াতাড়ি করে সব কিছু রেডি কর। ও যেই হোক না কেন ও জানে না কার কলিজাতে ও হাত দিয়েছে?
–হে ভাইয়া!
সালিহা বেগম এসব দেখে চিৎকার করে বলে।
–কি হয়েছে জিসান বলবি কি আমাকে?
–মা তোমাকে পরে সব বলছি।
ইশা আর জিসান তাড়াতাড়ি করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। জিসান খুব জোরে ড্রাইভ করছে। জিসানের গাড়ি গিয়ে থামে গন্তব্যে। জিসান আর ইশা গাড়ি থেকে বের হয়ে দেখে একটা বিশাল বড় বাড়ি আর বাড়ির চারপাশে শুধু কালো পোশক পরিহিত গার্ড।
–ইশা ভয় পাস না আমি আছি তো তোর সাথে।
–হুম কিন্তু আমার ইশান।
–কিছু হবে ইশানের কিছু না।
গার্ডরা ইশা আর জিসানকে সার্চ করে বাড়ির ভেতরে ঢুকতে দেয়। ইশা আর জিসান বাড়ির ভেতরে ঢুকতেই সবকিছু অন্ধকার হয়ে যায়। ইশা ভয়ে বলে উঠে।
–জিসান কোথায় তুমি?
ইশা ভীষণ ভয় পেয়ে যায় হঠাৎ করেই লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য। কিছুক্ষণ পরেই আবার চারিদিক আলোয় ভরে যায়।
ইশা সামনের দিকে তাকিয়ে যা দেখে ইশান মাথায় তাতে যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। জিসান আর ইশানকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছে। দুজনে অজ্ঞান হয়ে আছে। জিসান আর ইশানের মাথায় বন্দুক ধরে আছে। ইশা জিসান আর ইশানের কাছে যেতে চাইলে ইশাকে কতো গুলো লোক ঘিরে ধরে।
–ইশান বাবা।
ইশান কান্না করতে করতে বলে।
–মাম্মাম-পাপা প্লিজ আমাকে তোমার কাছে নিয়ে নাও। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।
–কারা আপনারা কেন এমন করছেন আমাদের সাথে?
–আরে ম্যাডাম রিলাক্স এত হাইপার হবেন না তাতে আপনারেই ক্ষতি।
ইশা তাকিয়ে দেখে একজন চেয়ারে বসে আছে উল্টো মুখ করে। ইশা চিৎকার করে বলে।
–কে আপনি? কেন করছেন এমন?
–শুধু মাত্র তোমাকে পাওয়ার জন্য।
–মানে!
–মানেটা হলো তোমাকে আমার চাই!
–কি যা তা বলছেন আপনি? আমি বিবাহিত আর কে আপনি আপনার মুখ দেখান আমাকে??
–এত ইচ্ছা আমাকে দেখার জন্য ঠিক আছে দেখো তাহলে আমাকে।
লোকটা মুখ ঘুরে তাকায় কিন্তু ইশা তাকে চিনতে না পেরে বলে।
–কে আপনি?
–তোমার আশিক।
–ঠিক করে কথা বলুন।
–সত্যি আমি তোমার আশিক। আমার নাম হলো আশিক হায়দার তোমাকে প্রথম দেখাতে ভালোবেসে ফেলেছি আর যে কোনো মূল্যে আমার তোমাকে চাই।
ইশার কাছে এসে কথাটা বলে আশিক। ইশা চোখ মুখ কুচকে বলে।
–আমার কাছ থেকে দুরে থাকুন প্লিজ।
আশিক বাকা হেসে বলে।
–এখনো তো কাছেই আসলাম না ভালো করে দূরে কি করে সরে যাবো? ঠিক আছে তুমি যখন বলছো দূরে যাওয়ার জন্য তাহলে চলে যাচ্ছি।
আশিক গিয়ে চেয়ারে বসে। আশিক ইশারা করতেই জিসানের গায়ে একটা লোক এসে পানি ঢালতেই জিসান ধড়ফড়িয়ে উঠে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে জিসানের হাত পা বাধা।
–হ্যালো মিস্টার! চৌধুরী কেমন আছেন? আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে আপনি খুব একটা ভালো নেই।
জিসান সামনে দিকে তাকাতেই হতবাক হয়ে বলে।
–আশিক তুই এখানে?
–হে আমি! কি ভেবেছিলি তুই আমাকে দূরে সরিয়ে দিলে আমি ইশার কাছ থেকে দূরে সরে যাবো কিছুতেই না। আমি ফিরে এসেছি জিসান আমি ফিরে এসেছি। তোর সুখের জীবনটা ধ্বং’স করে দেওয়ার জন্য।
কথাটা বলেই অট্টহাসিতে হাসতে থাকে।
#চলবে