#The_Villain_Lover
#Part_1
#Writer:#Tisha_Islam_Nabila
ফ্যামিলির সাথে ঘুরতে এসেছে তিশা….সবসময় নিজের ফ্যামিলি কে কাছে পেলেও….একসাথে ঘুরতে আসা খুব কম হয়…. তিশা’র বয়স মাএ ১৬ বছর…. এবার ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে….৩ ভাইয়ের এক বোন তিশা….বাবা শহরের নামকরা বিজনেস টাইকুন….মা একজন উকিল….ভাইদের নাম নীল, আবির, অভি…. তিশা সবার ছোট তাই খুব আদরের…. ৩ ভাইয়ের কলিজা তিশা….তিশা কে কখনো কষ্ট পেতে দেয়না….কখনো যদি তিশা ব্যথা পায়ও….মনে হয় ওরা ব্যথা পেয়েছে….ঘুরতে এসে তিশা’র আনন্দের শেষ নেই….গাড়ি থেকে নেমে এদিক ওদিক ছুটছে….!!
নীলঃ মিষ্টি কলিজা এভাবে ছুটছো কেন??
অভিঃ এভাবে ছুটাছুটি করে না বোন….তুমি পড়ে গেলে ব্যথা পাবে……
আবিরঃ এখানে এসে বসো মিষ্টি..!!
আবির তিশা কে মিষ্টি বলে….নীল মিষ্টি কলিজা বলে….অভি বোন বলে ডাকে……
আরশাল চৌধুরীঃ তুমি যদি ব্যথা পাও….তাহলে ব্যথা তোমার ভাইয়েরা পাবে….সো এখানে চলে এসো কাম মামনি…!! (তিশা’র বাবা)
তিশাঃ নো পাপা ইটস নাইস প্লেস…. আই জাস্ট লাভ ইট…. আমি এখানে আরেকটু থাকি??
আবির, অভি আর নীল গিয়ে….তিশা কে নিয়ে বসিয়ে দেয়….তিশা গাল ফুলিয়ে রেখেছে….তিশা কে একদম পিচ্চি লাগছে….একটা লাল টি শার্ট গায়ে….আর লাল লং স্কার্ট….মুখে তেমন সাজ নেই….শুধু হালকা লাল লিপস্টিক….গলায় লাল একটা স্কার্ফ….মাথায় বাচ্চাদের মতো ব্যান্ড দেয়া….যার দুই সাইডে পুতুল ঝোলানো….চোখগুলো বড় বড়….আবির গিয়ে আইসক্রিম নিয়ে এলো….কারন আইসক্রিম আর চকলেট….এগুলো তিশা’র ফেবারিট….তাই রেগে থাকলেও….আইসক্রিম আর চকলেট পেলেই হলো….রাগ সাথে সাথে গায়েব….তিশা আইসক্রিম দিয়ে পুড়ো মুখ….একদম বাচ্চাদের মতো মাখিয়ে ফেলেছে….আবির, অভি আর নীল সাইডেই আছে….তিশা আইসক্রিম খেতে খেতে….পার্ক থেকে বাইরে চলে এলো….বাইরে এসে মনের সুখে আইসক্রিম খাচ্ছে….এরমাঝে হাটতে হাটতে রাস্তার মাঝে চলে এলো….রাস্তার মাঝে এসে তিশা হা করে তাকিয়ে আছে….কারন রাস্তার পাশেই একটা ছেলে….যার মুখে মাস্ক লাগানো….একটা লোক কে ছুড়ি দিয়ে একের পর এক….অনবরত আঘাত করে যাচ্ছে….আস্তে আস্তে লোকটা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো….লোকটা ছটফট করা বন্ধ করে দিলো….ঠিক তখনই সেই ছেলেটা….লোকটার শরীরে গুড়া মরিচ ছিটিয়ে দিয়ে….পাগলের মতো হাসতে হাসতে বললো..!!
—-হা হা হা বলেছিলাম না??আমার কথার অবাধ্য হবি না….তুই কি করলি??আমার কথা শুনলি না তাইনা??এবার মরতে হলো তো??আমার কথার অবাধ্য হলে তাদের অবস্থা….ঠিক এতটাই ভয়ংকর হয়…. কারন আমি দ্যা ভিলেন আমার নাম……
আর কিছু বলার আগেই….তিশা জোড়ে চিৎকার করলো….ছেলেটা সাথে সাথে চোখ মুখ লাল করে….তিশা’র দিকে তাকালো….কিন্তুু তিশা কে দেখে সব রাগ….এক নিমিষে যেন গায়েব হয়ে গেলো….তিশা চোখ মুখ খিচে রেখেছে….মুখের মধ্যে আইসক্রিম মাখা….সামনে কিছু কাটা চুল….ছেলেটা ঘোর লাগা দৃষ্টিতে দেখছে….তিশা’র চিৎকারে সবাই চলে এলো….ছেলেটা ওখান থেকে চলে গেলো….তিশা ওখানেই সেন্সলেস হয়ে গেলো….আবির, অভি, নীল তো পাগল হয়ে গিয়েছে প্রায়….তিশা কে নিয়ে তাড়াতাড়ি হসপিটালে গেলো..!!
.
.
.
.
.
.
এবার বলি কে এই ছেলে?? এর নাম সম্রাট খাঁন….মাফিয়া জগতের কিং সম্রাট খাঁন….যাকে মাফিয়া জগতের সবাই ভয় পায়….প্রত্যেকটা রাষ্টে যাকে একনামে চেনে সবাই….সম্রাটে’র বয়স ২৫ গায়ের রং ফর্সা….মায়াবী চোখ চোখের মনি হালকা নীল….যার জন্য বেশী ভাল লাগে….লম্বায় ৬.৩” লাল ঠোট….ঠোটের নিচে তিল….কিন্তুু এই সম্রাট কারো সামনে আসেনি….খুন করুক বা প্রেস কনফারেন্স করুক….অলওয়েজ নিজেকে কাভার করে রাখে….কেউ এই ব্যাপারে প্রশ্ন করতে পারেনা….কারন সম্রাট সেটা এলাও করে না….একবার একজন বারবার, জিগ্যেস করছিল….সম্রাট বারন করেছিলো বাট লোকটা….সে তো শুনবেই এটাই তার নিয়ত ছিলো….নিয়তের জন্য নিয়তি তাকে ছেড়েছে….লোকটাকে মরতে হয়েছে….সম্রাট ওখান থেকে বাড়ি চলে আসে….নিজের কাছের ছুড়িটা গরম পানিতে ছেড়ে দেয়….এরপর জোড়ে হাসতে থাকে….গরম পানির মধ্যে হাত দিয়ে….ছুড়িটা আবার উঠিয়ে নেয়….বডিগার্ডরা ভয়ে কাঁপছে….ধারালো ছুড়ি আর এটাই সম্রাটে’র মারার স্টাইল….ছুড়ি দিয়ে মারুক বা পিস্তল দিয়ে….মারার পর গুড়া মরিচ দিয়ে দেয়….ছুড়িটা ড্রয়ারে রেখে বেরিয়ে যায়….!!
এদিকে তিশা কে নিয়ে হসপিটালে এসেছে…. হসপিটালে এসে ডক্টরের কেবিনে ঢুকে যায়….ডক্টর কে দেখে অবাক হয়….কারন ডক্টর মাস্ক পড়া….আর চোখে কালো সাইনগ্লাস….কিন্তুু এটা নিয়ে ভাবার সময় ওদের নেই……
আবিরঃ ডক্টর আমার বোন কে দেখুন..!!
ডক্টরঃ কি হয়েছে ওনার??
নীলঃ দেখতে পারছেন না??আমার বোন সেন্সলেস হয়ে গিয়েছে……
ডক্টরঃ ওকে আমি দেখছি আপনারা বাইরে যান..!!
অভিঃ বাইরে কেন যাবো??
ডক্টরঃ বাইরে না গেলে দেখবো কি করে??
আবিরঃ আমাদের সামনেই দেখুন……
ডক্টরঃ ডক্টর এস আই মিন ডক্টর অজানা….নিজের মনোমত পেশেন্ট দেখো….সো প্লিজ আপনারা যান..!!
ওরা দাতে দাত চেপে বেরিয়ে যায়….এদিকে ডক্টর তিশা কে এক ধ্যানে দেখছে….যখন নিজের হুশ আসে তাড়াতাড়ি তিশা কে দেখে….তিশা’র হাতে একটা ইনজেকশন দিয়ে দেয়….একটুপর তিশা’র সেন্স আসে….সেন্স এসেই ডক্টর অজানা কে দেখে….আর দেয় এক চিৎকার….বেচারা ডক্টর তো থতমত হয়ে যায়….ওরা ভেতরে চলে আসে….আর ডক্টর কে রাগারাগি করে….ডক্টর দাতে দাত চেপে বলে……
—-এই মেয়ে চেচালে কেন??আমি কি তোমাকে কিছু বলেছি??
.
.
.
.
.
.
তিশা আমতা আমতা করে বলে..!!
—-আসলে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম….তোমরা কেউ ছিলে না তাই….উনি আমাকে কিছু বলেনি….আমি বাড়ি যাবো ভাইয়া……
নীল তিশা কে কোলে নিয়ে….হসপিটাল থেকে বেরিয়ে আসে….তিশা’র মাথা থেকে বেরিয়ে গিয়েছে….যে ও কি দেখে সেন্সলেস হয়েছিলো….এদিকে ডক্টর অজানা বলে..!!
—-কি মেয়েরে বাবা??এত বড় মেয়ে কে কোলে নেয়া লাগে??পাগল নাকি??
এবার বলি ইনি অজানা কেন??কারন এনার নাম কেউ জানেনা….এই হসপিটাল ওনাদেরই….নিজেদের হসপিটালে ডক্টরী করে….সবাই ডক্টর অজানা বলেই চেনে….সব জায়গায় অজানা দেয়া….তাই সবাই ভাবে এটাই ওনার নাম….অজানা তো তিশা কে নিয়ে ভাবছে….তিশা কে নিয়ে বাড়ি চলে আসে….পরেরদিন তিশা কলেজে চলে আসে….গাড়ি থেকে নেমে এক দৌড়ে….নিজের বেষ্টু রুপে’র কাছে চলে যায়….রুপ তিশা কে দেখে বলে……
—-কালকে আসিসনি কেন??
তিশাঃ কালকে আমি ঘুরতে গিয়েছিলাম….আমি মাম্মা, পাপা ভাইয়ারা….জানিস অনেক মজা হয়েছে??
—-রিয়েলি বেবী??খুব মজা হয়েছে??
পিছনে তাকিয়ে দেখে শুভ….এই কলেজের র্যাগিং মাষ্টার….তিশা রেগে গিয়ে বললো..!!
—-তোমাকে বলেছি না??আমাকে বেবী বলবে না ফাজিল ছেলে….তোমাকে তো পেটানো উচিত…..
শুভ তিশা’র সামনে এসে বললো..!!
—-তা কে পেটাবে আমাকে??তোমার ওই ৩ ভাই??আমি জানি তুমি আমার কথা….ওদের এখনো বলোনি বলতে পারোনি….আর বলতে পারোনি কারন….তুমিও আমাকে ভালবাসো……
তিশা ভেংচি কেটে বললো..!!
—-আমার এত খারাপ সময়ও আসেনি….যে তোমাকে ভালবাসবো যত্তসব……
বলে রুপ কে নিয়ে চলে গেলো..!!
শুভঃ তুমি শুধু আমার বেবী….শুভ আহমেদে’র তুমি আর কারো না….তোমাকে পেতে সব করতে পারি….প্রয়োজনে খুনও করতে পারি তাছাড়া…..
বলে শুভ বাঁকা হাসলো….তিশা গিয়ে ক্লাস করতে লাগলো…!!
শুভ আহমেদ কলেজের সবার ক্রাশ….মেয়েরা শুভ বলতে পাগল….শুভ’র বাবা, মা নেই তাই একটু বখাটে টাইপ….বাবা, মা না থাকলে যেমন হয়….শুভ ওর চাচ্চুর কাছে থাকে….শুভ বড়লোক বাবার আদরের ছেলে ছিলো….আজ সব থাকলেও বাবা, মা নেই….তিশা কে ভালবাসে কিন্তুু তিশা বাসেনা……
.
.
.
.
.
.
ক্লাস শেষ করে তিশা বেরিয়ে আসে….কলেজের ক্যান্টিনে যায় খেতে….বার্গার আর স্যান্ডুইচ অর্ডার করে….যেই না হাত দিতে যাবে….ওমনি কেউ টান দিয়ে প্লেট নিয়ে যায়….তিশা রেগে তাকায় তাকিয়ে দেখে রিশান….রিশান মেয়েদের অলওয়েজ বিরক্ত করে….কিন্তুু আজকে ভুল জায়গায় হাত দিয়েছে….তিশা বসা থেকে দাড়িয়ে….রিশান কে ঠাস করে থাপ্পর মেরে বলে..!!
—-হাউ ডেয়ার ইউ রাস্কেল??তোর সাহস হয় কি করে??তিশা চৌধুরী’র খাবার নিস??তুই জানিস আমি কে??আমার ভাইয়ারা তোর কি হাল করতে পারে??ইউ হ্যাব নো আইডিয়া….দাড়া আমি এক্ষুণি কল করছি….তারপর দেখ তোর কি হয়??
তিশা ফোন বের করলেই রিশান নিয়ে নেয়……
রিশানঃ এবার কি করবি তুই??খুব অহংকার না তোর??দেখ আজ তোর কি করি..!!
বলতে বলতে রিশান কে কেউ ঘুসি মারে….তিশা তাকিয়ে দেখে শুভ….শুভ’র চোখগুলো লাল হয়ে গিয়েছে….মনে হচ্ছে রক্ত পড়ছে….শুভ ফোন নিয়ে তিশা কে দিয়ে দেয়….তিশা ওর ভাইয়াদের ফোন করে….এদিকে শুভ রিশান কে মারছে….মারতে মারতে অবস্থা খারাপ….কিছুক্ষণ পর আবির, অভি, নীল চলে আসে….ওদের দেখে শুভ রিশান কে ছেড়ে দেয়….অভি গিয়ে রিশান কে ওঠায়….এরপর কয়েকটা ঘুসি মেরে বলে……
—-তোর সাহস কি করে হলো??আমার বোন কে টাচ করার??তুই কি জানিস না ও কে??আমাদের বোন আরশাল চৌধুরী’র মেয়ে….তোকে তো জানে মেরে ফেলবো..!!
তিশা গিয়ে আটকিয়ে বলে……
—-ছাড়ো ভাইয়া ও জানোয়ার….বাট তোমরা তো ভাল….এরপর ও এমন কিছু করলে তখন জানে মেরে দেবো..!!
নীলঃ শুধু ও না কেউ যদি এই ভুল করে….তাকে জানে মেরে দেবো……
আবিরঃ আই হোপ সবাই জানো….আমাদের বোন আমাদের কলিজা….সো এই ভুল কেউ করো না গট ইট??
শুভ সহ সবাই ঢোক গিললো….ওরা ৩ ভাই তিশা কে নিয়ে বাড়ি গেলো..!!
শুভঃ জল্লাদের বোনে’র জল্লাদ ভাইরা….তাতে আমার কি??আমি তো আমার তিশা কে চাই….যে কোন মূল্যে তিশা আমার……
.
.
.
.
.
.
সম্রাট নিজের রুমে বসে আছে….তিশা’র ছবিসহ সব ইনফরমেশন….একদিনে কালেক্ট করে ফেলেছে….ছবির সামনে দাড়িয়ে মুচকি হেসে বললো..!!
—-ইউ নো ওয়াট??তুমি সেই মেয়ে যাকে নিয়ে এই সম্রাট….লাইফে ফার্স্ট স্বপ্ন দেখছে….সো তোমাকে আমার চাই….নিজের বুকে তোমাকে চাই….এই বুকের আগুন নেভাতে….তোমাকে আমার চাই জান……
বলে সম্রাট হাসতে লাগলো….এদিকে অজানাও তিশা কে নিয়ে ভাবছে..!!
—-কি আছে তোমার মাঝে??কেন ভাবছি তোমাকে নিয়ে??তোমার বাচ্চামো গুলো মনে পড়ছে কেন??তাহলে কি এটা ভালবাসা??
অজানা কিছুক্ষণ ভাবলো….এরপর লাফিয়ে উঠে বললো……
—-ইয়েস আই লাভ হার….আই লাভ ইউ পিচ্চি….ভালবাসি তোমাকে আমি….ভালবেসে ফেলেছি তোমাকে….তোমাকে আমার চাই খুব তাড়াতাড়ি..!!
#To_Be_Continued….♣♣
[চলে এলাম নতুন গল্প নিয়ে….গল্পটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক….বাস্তবের সাথে মেলাবেন না….আগেই বলে নেই গল্পটা….রহস্য দিয়ে ঘেরা পুড়ো রহস্যময় গল্প….রহস্য, রোমান্স, মজা সব থাকবে…. আশা করি সবার ভাল লাগবে….😒😒]