#The_Villain_Lover
#Part_11
#Writer:#Tisha_Islam_Nabila
৬ মাস পর..!!
বেলকনিতে রাতের আধারে….দাড়িয়ে আছে তিশা স্থির দৃষ্টি….আকাশের সুন্দর চাঁদটার দিকে….চোখের কোনা বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে পানি….আজকাল এটাই যেন নিয়তি হয়ে গিয়েছে….আজকাল খুব কান্না পায় তিশা’র….কান্না পাবেনাই বা কেন??সম্রাট যে নিখোজ হ্যা সেই রাতের পর….তিশা বেঁচে গেলেও সম্রাট কে আর পাওয়া যায়নি….সেই রাতে তিশা যখন ব্রিজের নিচে পড়ে….তখন ব্রিজের নিচে একটা নৌকা ছিলো….আর তিশা গিয়ে সেই নৌকার উপর পড়ে….আর নৌকাওয়ালা তিশা কে চিনতো….তিশা মাঝে মাঝেই রুপ কে নিয়ে….নৌকায় ঘুরতে যেতো নৌকাওয়ালা….মানুষ ডেকে তিশা কে হসপিটালে নিয়ে যায়….আর হসপিটালের ডক্টর তিশা’র বাবা কে ফোন দেয়….এরপর সবাই হসপিটালে চলে আসে….গুলি তিশা’র বুকে লাগায় অবস্থা খারাপ ছিলো….ডক্টররা হাল ছেড়ে দিয়েছিলো….ঠিক সেই সময় তিশা জোড়ে নিঃশ্বাস নেয়….ডক্টররা আবার ট্রিটমেন্ট শুরু করে….কিন্তুু তিশা কোমায় চলে যায়….তিশা কে নিয়ে সিঙাপুর চলে যেতে বলে….আল্লাহ’র রহমাতে সিঙাপুর নেয়ার….২মাস পরই তিশা’র সেন্স আসে….আর সেন্স আসার পর বাংলাদেশে এসে….জানতে পারে সম্রাট নিখোজ….জুন মাসের ২২ তারিখ রাত থেকে….তিশা’র মনে পড়ে যায় এই রাতেই….সম্রাট ওকে গুলি করেছিলো….আর এটাও মনে পড়ে ও ব্রিজ থেকে পড়ে যাওয়ার পর….সাথে সাথে ও সেন্স হারায়নি….তাই ও ব্রিজের উপরে আরো একটা…. গুলির আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলো….এরপর তিশা সেন্সলেস হয়ে যায়….২মাস পর যখন সেন্স আসে তিশা’র….আর ও যখন জানে সম্রাট নিখোজ….তখন তিশা সম্রাট’দের বাড়ি গিয়েছিলো….কিন্তুু বাড়ি কেউ নেই জনমানব শূন্য….বাইরে থেকে তালা মারা যে সেটা নয়….জনমানব শূন্য মানে সম্রাট বা ওর কেউ নেই….আছে শুধু কেয়ারটেকার রহিম চাচা….আর রহিম চাচা সবসময় চেপে যায়….সম্রাট কে নিয়ে কিছু জানতে চাইলেই….উনি মুখ লুকিয়ে কান্না করে চলে যায়….তিশা’র ব্যাপারটা ভাল লাগেনা…….
তিশাঃ কেন সেই রাতে আমাকে….তুমি মারতে চেয়েছিলে??কেন গুলি করেছিলে??আর গুলি করে কোথায় চলে গেলে??
তিশা কান্না করতে করতে বলে….হয়তো ও মাফিয়া সম্রাট খাঁন কে ঘৃনা করতো….কিন্তুু শুভ আহমেদ কে তো ভালবাসতো….সম্রাট’ই তো শুভ সেজেছিলো..!!
তিশাঃ কেন আমার জীবনটা এমন হলো??যাকে ভালবাসলাম তাকেই ঘৃনা করতে হলো….আসলে কি ঘৃনা করতে পেরেছি??না পারিনি তাহলে আজ তার জন্য কাঁদতাম না….আল্লাহ আমি জানিনা কোথায় সম্রাট….কিন্তুু তুমি ওকে ভাল রেখো প্লিজ…….
তিশা বেলকনি থেকে এসে….বিছানায় বসে ভাবলো কাল….আবার রহিম চাচার কাছে যাবে….আর কাল জেনেই ছাড়বে সম্রাট কোথায়??
এদিকে তিশা’র সব কথা….ওর মা শুনে খুব কষ্ট পায়….নিজের মেয়ের এভাবে কান্না….কোনো মা পারবে না সহ্য করতে….উনি গিয়ে আরশাল চৌধুরী কে সব বলে..!!
পরেরদিন তিশা গাড়ি নিয়ে….সম্রাট’দের বাড়ি চলে আসে….এসেই রহিম চাচা কে ডাকে…….
রহিম চাচাঃ বৌমা তুমি??
তিশা সম্রাটে’র বউ তাই বৌমা বলে….আর তিশা ও কিছু বলেনা..!!
তিশাঃ চাচা আমি তো তোমার মেয়ের মতো বলো??
রহিম চাচাঃ হ্যা মা আমি তোমাকে….সবসময় আমার মেয়ের মতো ভাবি……
তিশাঃ তাহলে আজ একটা সত্যি বলবে চাচা??
রহিম চাচাঃ কি সত্যি??
তিশাঃ আগে কথা দাও সত্যি বলবে..!!
রহিম চাচাঃ কথা দিলাম সত্যি বলবো…….
তিশাঃ সম্রাট কোথায় চাচা??
ওমনি রহিম চাচার মুখ কালো হয়ে যায়….চোখের কোনে পানি ছলছল করছে….তিশা রহিম চাচার হাত ধরে বলে..!!
—-চাচা আজ আমাকে বলো….আমি আর পারছি না এভাবে….প্লিজ বলো কোথায় সম্রাট??
রহিম চাচাঃ সত্যিটা তুমি মানতে পারবে না মা……
তিশা ভয় পেয়ে যায় কাঁপা গলায় বলে..!!
—-তুমি ব বলো চা চাচা……
রহিম চাচাঃ ছোট সাহেব আর নেই মা..!!
তিশা স্তব্ধ হয়ে যায়….চেচিয়ে বলে ওঠে…….
—-এসব কি বলছো রহিম চাচা??
রহিম চাচাঃ হ্যা মা ৬ মাস আগেই….গুলি লেগে উনি মারা গিয়েছে….ওনার শরীরে মোট ৬টা গুলি লেগেছিলো….ডক্টর ৫টা গুলি বের করলেও….ওনার মাথায় যেই গুলি লেগেছিলো….সেটা নাকি বের করতে পারেনি….তাই ওনাকে লন্ডন নিয়ে যায়….কিন্তুু ১ সপ্তাহ পর ওনার লাশ আনে বাড়ি..!!
তিশা’র মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে….তিশা জোড়ে কান্না করতে করতে বলে……
—-না এটা হতে পারেনা তুমি মিথ্যে বলছো..!!
রহিম চাচাঃ মিথ্যে না আমার সাথে চলো বুঝবে……
তিশাঃ কোথায় যাবো??
রহিম চাচাঃ চলো গেলে জানতে পারবে..!!
রহিম চাচা তিশা কে নিয়ে….সম্রাট’দের পারিবারিক কবরস্থানে যায়….তিশা চারপাশে ঘুরে ঘুরে দেখছে….একটা কবরে চোখ যায় যেটাতে লেখা….মৃত খলিল খাঁন সম্রাটে’র দাদুভাইয়ের কবর….একটা কবরের সামনে এসে রহিম চাচা বলে…….
—-এটা দেখো বৌমা..!!
উনি সরে যায় আর তিশা যা দেখে….তা দেখে ওর বুঝতে বাকী থাকেনা….যে রহিম চাচা যা বলেছে সব সত্যি….তিশা চিৎকার করে বসে পড়ে….ওই কবরে লেখা আছে মৃত সম্রাট খাঁন আয়াশ….আর মরার তারিখও লেখা….জুন মাসের ২৯তারিখ….তিশা চিৎকার করে কান্না করছে…….
তিশাঃ সম্রাট এটা হতে পারেনা….আমি কেন বুঝলাম না তোমাকে??কেন তোমাকে রেখে চলে গেলাম??সম্রাট তুমি না আমার চোখের….পানি সহ্য করতে পারোনা??দেখোনা আমি কান্না করছি….তুমি মুছে দেবেনা বলো??তুমি কি করে মরতে পারো??তুমি মরতে পারোনা সম্রাট..!!
তিশা কাঁদতে কাঁদতে অসুস্থ হয়ে পড়ে….নীল ও চলে আসে কারন নীল….অনেকক্ষণ আগেই তিশা কে ফলো করে এসেছে….নীল দৌড়ে গিয়ে তিশা কে ধরে….তিশা নীলে’র বুকে ঢলে পড়ে….নীল তিশা কে কোলে নিয়ে গাড়িতে শুইয়ে….তাড়াতাড়ি হসপিটালে নিয়ে যায়…….
নীলঃ ডক্টর আমার বোন??
ডক্টরঃ মানসিক চাপ থেকে উনি সেন্সলেস হয়েছে….প্রেশার তো একদম লো শরীরও উইক….ওনাকে ঠিকমত খাওয়াবেন..!!
নীলঃ জ্বি ডক্টর…….
নীল তিশা কে নিয়ে বাড়ি যায়….বাড়ি নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেয়….সবাই চলে এসেছে তিশা’র রুমে….বাড়ি আনার পরই তিশা’র সেন্স আসে….তিশা ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে….সবাই অস্থির হয়ে পড়ে ওর কান্নায়..!!
অভিঃ বোন কেন কাঁদছো??
আবিরঃ মিষ্টি বলো প্লিজ কেন কাঁদছো??
কল্লোলঃ মিষ্টি সোনা বলো না…….
আরশাল চৌধুরীঃ মামনি কেউ কিছু বলেছে??
নীলঃ পাপা আমি বলছি..!!
সবটা শুনে সবাই হতবাক…….
অভিঃ ওয়াট কি বলছিস তুই??
কল্লোলঃ সম্রাট মারা গিয়েছে??
নীলঃ হ্যা ৬মাস আগেই আর তাই….মিষ্টি কলিজা কাদছে..!!
কনিকা চৌধুরীঃ ছেলেটা মরে গেলো??
আবিরঃ মাম্মা আমিতো বিলিভই করতে পারছি না……
তিশাঃ এই সব আমার জন্য হয়েছে….সম্রাটে’র মৃত্যুর জন্য আমি রেসপন্সিবল….ও আমাকে সত্যি ভালবাসতো তবুও….আমি ওকে ছেড়ে গেলাম..!!
কনিকা চৌধুরীঃ এখন বুঝে কি হবে??
অভিঃ কিন্তুু বোন তোমাকে তো….সম্রাট গুলি করেছিলো সেদিন……
কল্লোলঃ তবুও তুমি ওকে নিয়ে ভাবছো??
আবিরঃ একদম তাই কেন ভাবছো মিষ্টি??
তিশাঃ কারন সম্রাট আমার স্বামী..!!
বলে তিশা আবার কাঁদতে থাকে….সবাই কে রুম থেকে চলে যেতে বলে….বাধ্য হয়ে সবাই চলেও যায়….তিশা হাটুতে মুখ গুজে কান্না করছে……
এভাবে কেটে গিয়েছে আরো ১০দিন….তিশা কে নিয়ে সবাই এখন টেনশনে আছে….ঠিকমত খায়না রুমের দরজা দিয়ে বসে থাকে….আগে কান্না করলেও কাউকে বুঝতে দিতোনা….সবার সামনে ঠিকই হাসি মুখে থাকতো….এখন তো জোড়ে জোড়ে কান্না করে ওঠে….যখন বুকের ভেতরে কষ্টটা বেশী লাগে….তখন আর সইতে না পেরে চিৎকার করে কান্না করে….তিশা’র বাবা মেয়ে কে নিয়ে….টেনশন করে অসুস্থ হয়ে গিয়েছে..!!
.
.
.
.
.
.
ড্রয়িংরুমে বসে আছে সবাই….এরমাঝে সৌহাদ্র আসে সৌহাদ্র কে দেখে….নীল আর অভি চিনতে পারে তাই বলে……
—-সৌহাদ্র তুমি??
সৌহাদ্রঃ হ্যা গতকাল রাতেই এসেছি..!!
আরশাল চৌধুরীঃ ও কে নীল??
নীলঃ পাপা ও তিশা’র ফ্রেন্ড….বাট ও তিশা’র ৩বছরের সিনিয়র……
সৌহাদ্রঃ আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল..!!
আরশাল চৌধুরীঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম…….
সৌহাদ্র এদিক ওদিক তাকাচ্ছে….তিশা কেই খুজছে না পেয়ে বলে..!!
—-নীল ভাইয়া তিশা কোথায়??
সবাই চুপ হয়ে যায়….সৌহাদ্র আবার জিগ্যেস করে……
অভিঃ তিশা ওর রুমে আছে..!!
সৌহাদ্রঃ ওকে ডেকে দাও প্লিজ…….
নীলঃ ও আসবে না..!!
সৌহাদ্র অবাক হয়ে বলে…….
—-কেন ওকি আমার সাথে কথা বলতে চায়না??
নীলঃ সৌহাদ্র তিশা’র সম্পর্কে….তুমি অনেক কিছুই জানোনা..!!
সৌহাদ্রঃ কি জানিনা??
অভিঃ আগে তুমি বসো এরপর বলছি…….
সৌহাদ্র বসে নীল সব বলতে শুরু করে….সব শুনে সৌহাদ্র শকড হয়ে বলে..!!
—-তিশা ম্যারিড??
আবিরঃ হ্যা ম্যারিড…….
সৌহাদ্রঃ আই ডোন্ট কেয়ার….তিশা’র অতীতে কি ছিলো….আমি যাচ্ছি ওর কাছে ওর রুম??
কনিকা চৌধুরীঃ শিরি দিয়ে উপরে উঠে….একটু এগিয়ে রাইট সাইডে..!!
সৌহাদ্রঃ থ্যাংক ইউ আন্টি…….
সৌহাদ্র উপরে তিশা’র রুমের সামনে গিয়ে তিশা কে ডাকে..!!
তিশাঃ প্লিজ চলে যাও আমি একা থাকতে চাই…….
সৌহাদ্রঃ তিশা ওপেন দ্যা ডোর….ইটস মি ইউআর বেস্ট ফ্রেন্ড সৌহাদ্র..!!
তিশা অবাক হয়ে এসে দরজা খোলে….পরিবারের সবাই অবাক হয়ে যায়….হাজার চেষ্টা করলেও তিশা দরজা খোলেনা….আর সৌহাদ্র একবার বলাতে দরজা খুলে দিলো….কিন্তুু তিশা তো দরজা খুলেছে সৌহাদ্র….এতদুর থেকে এসেছে তাই…….
তিশাঃ সৌহাদ্র তুমি??
সৌহাদ্রঃ আগে সরো রুমে যেতে দাও..!!
রুমে গিয়ে সৌহাদ্র হা করে তাকিয়ে আছে….সম্পূর্ণ রুম অগোছালো বেডশিট ফ্লোরে….মোটকথা গরুর গোয়াল মনে হচ্ছে…….
সৌহাদ্রঃ ওয়াট দ্যা হেল??
তিশাঃ একচুয়েলি..!!
সৌহাদ্রঃ আমি সব জানি কোনো ব্যপার না….ওয়েট আমি সব গুছিয়ে দিচ্ছি……
তিশাঃ আরে না আমি করে নেবো..!!
সৌহাদ্রঃ আমি করছি……
সৌহাদ্র এক এক করে সব গোছায়….তিশা অবাক হয়ে দেখছে..!!
তিশাঃ তুমি কি করে পারো??
সৌহাদ্রঃ আমি সব পারি….আর তোমার কি অবস্থা??তোমাকে এভাবে দেখলে….তোমার পরিবারের লোকের কষ্ট পায় তুমি বোঝোনা??তিশা তোমার ৩ভাই যারা তোমাকে এত ভালবাসে….তাদের কথা একবারও ভাববেনা??তোমার পাপা অসুস্থ তোমার টেনশনে জানো তুমি??
তিশাঃ কি বলছো পাপা অসুস্থ??
সৌহাদ্রঃ হ্যা যাও ফ্রেশ হয়ে এসো….আজকে তুমি নিচে যাবে……
তিশা একটা টি শার্ট….আর প্লাজু নিয়ে ওয়াসরুমে যায়….এরপর ফ্রেশ হয়ে এসে আয়নার সামনে গিয়ে….চুলগুলো একটা ঝুটি করে নিচে গিয়ে….ওর বাবা কে জড়িয়ে ধরে বলে..!!
—-আই এম সরি পাপা……
আরশাল চৌধুরীঃ তুমি যে আমার কাছে এসেছো….এতেই আমি খুব খুশি..!!
তিশা সবার সাথে কথা বলে….এরপর আবার রুমে চলে যায়…….
নীলঃ সৌহাদ্র আমি তোমাকে যা জিগ্যেস করি….তুমি তার সঠিক উত্তর দেবে..!!
সৌহাদ্রঃ হ্যা শিওর বলো……
নীলঃ তুমি কি তিশা কে পছন্দ করো??
সৌহাদ্রঃনা..!!
নীলঃ তাহলে এতকিছু কেন করলে??
সৌহাদ্রঃ কারন আমি তিশা কে ভালবাসি…….
সবাই অবাক হয়ে যায়..!!
অভিঃ সব জেনেও এটা বলছো??
সৌহাদ্রঃ হ্যা ভাইয়া আপনারা রাজি থাকলে….আমি তিশা কে বিয়ে করবো…….
কনিকা চৌধুরীঃ কিন্তুু তিশা কি রাজি হবে??
এরমাঝে আরশাল অসুস্থ হয়ে পড়ে..!!
আবিরঃ পাপা কি হলো??
চেঁচামেচি শুনে তিশা চলে আসে….এসে দেখে এই অবস্থা….আরশাল চৌধুরী কে তাড়াতাড়ি হসপিটালে নিয়ে যায়….তিশা সবথেকে বেশী কাঁদছে….ডক্টর ওনাকে ভেতরে নিয়ে যায়….১ঘন্টা পর ডক্টর বেরিয়ে আসে..!!
নীলঃ ডক্টর আমার পাপা??
ডক্টরঃ উনি ব্রেইন স্ট্রোক করেছে……
আবিরঃ ওয়াট??কেমন আছে পাপা??
ডক্টরঃ দেখুন এখন উনি ঠিক আছে….কিন্তুু ওনাকে কোনোরকম টেনশন দেয়া যাবেনা….ওনাকে কোনো চাপ দেয়া যাবেনা….তাহলে কিন্তুু ওনার বড় ক্ষতি হতে পারে..!!
তিশাঃ না ডক্টর আমরা পাপা কে দেখে রাখবো……
কনিকা চৌধুরীঃ আমরা কি ভেতরে যাবো??
ডক্টরঃ হ্যা যান..!!
সবাই ভেতরে আসে তিশা গিয়ে….আরশাল চৌধুরী কে জড়িয়ে ধরে……
আরশাল চৌধুরীঃ তুমি কি চাও আমি মরে যাই??
তিশাঃ পাপা এসব কি বলছো??আমি এসব কেন চাইবো??
আরশাল চৌধুরীঃ তাহলে আমি যা বলবো তুমি করবে??
তিশাঃ করবো পাপা তুমি বললে জীবনও দিয়ে দেবো..!!
আরশাল চৌধুরীঃ জীবন দিতে হবেনা….তুমি সৌহাদ্র কে বিয়ে করো……
তিশা ওর বাবা কে ছেড়ে দিয়ে বলে..!!
—-এসব কি বলছো পাপা??
আবিরঃ মিষ্টি রাজি হয়ে যাও….ডক্টর কি বলেছে মনে নেই??
তিশাঃ আল্লাহ এখন আমি কি করবো??[মনে মনে]
তিশা’র বাবা আবার অসুস্থ বোধ করে….ভয় পেয়ে তিশা বলে ওঠে…….
—-আমি রাজি পাপা….তুমি যা বলবে আমি তাই করবো..!!
বলে তিশা বেরিয়ে গিয়ে কান্না করতে থাকে……
নীলঃ পাপা তুমি কি সত্যি অসুস্থ??
আরশাল চৌধুরীঃ মানে??
নীলঃ নাকি মিষ্টি কলিজা কে….বিয়েতে রাজী করানোর জন্য নাটক করলে??
আরশাল চৌধুরীঃ নীল কি বলছো তুমি??
নীলঃ সরি পাপা..!!
২দিন পর আরশাল চৌধুরী কে বাড়ি নিয়ে যায়….সৌহাদ্র ওর পরিবার কে সব বলে….ওনারা এসে জানুয়ারি ১০তারিখে বিয়ে ঠিক করে….আজ ২তারিখ আর ৮দিন পর….বিয়ের শপিং শুরু করে দিয়েছে….দেখতে দেখতে ৬দিন চলে যায়….এবার আর অত হৈ চৈ নেই….তিশা বারন করে দিয়েছে….তবুও গায়ে হলুদ করছে আজ গায়ে হলুদ…….
—-না না আমি ওটা নেবোনা..!!
এভাবেই বাচ্চাদের মতো….প্রলাপ বকছে একটি ছেলে….কারন ওকে ইনজেকশন দিতে চাইছে……
ছেলেটিঃ আমি পাগল না আমি ওটা নেবোনা..!!
যে ইনজেকশন দিতে চাইছে সে একজন ডক্টর…….
—-এটা নাও তুমি ঠিক হয়ে যাবে….তুমিতো একজন পাগল..!!
ছেলেটিঃ নো আই এম নট ম্যাড…….
বলে ছেলেটি ছুটতে থাকে….তাই দেখে ডক্টর কাউকে ডাক দেয়….সাথে সাথে কয়েকজন ভেতরে আসে….তাদের দেখে ছেলেটি ভয়ে ঢোক গিলে বাচ্চাদের মতো বলে..!!
—-প্লিজ আমাকে ছেড়ে দাও….আমি ওটা নেবোনা ওটা নিলে….আমার শরীর খুব ব্যথা করে…….
ডক্টরঃ তোমরা ওকে ধরো..!!
সবাই গিয়ে ছেলেটি কে চেপে ধরে….আর ডক্টর ইনজেকশন পুশ করে দেয়….এটা এমন একটা ইনজেকশন….যেটা দিলে শরীর অকেজো হয়ে যাবে….কিন্তুু ওনারা বোঝেনা এখনও হচ্ছেনা কেন??এদিকে ইনজেকশন দেয়ার পর ছেলেটি ছটফট করছে….আস্তে আস্তে চোখ বন্ধ করে ঢলে পড়ে…….
আজকে তিশা’র বিয়ে….সবাই নিজেদের কাজে ব্যস্ত….জানালার গ্রিল ধরে দাড়িয়ে আছে তিশা….চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে….একটুপর তিশা কে সাজাতে আসে….বর আসার কথা শুনে সবাই নিচে চলে যায়….রুপ কেও সাথে নিয়ে যায়….তিশা বিছানা থেকে উঠে যায়….একটুপর আবার বিছানায় বসে….চোখের পানি মুছে মুচকি হাসে….সবাই আবার উপরে আসে তিশা কে নিতে..!!
#To_Be_Continued….♣♣
[আগের বার দাওয়াত দিতে পারিনি….এবার দিলাম সবাই আসবেন বিয়েতে……🐸🐸🐸🐸
আমার জন্য চকলেট আর আইসক্রিম নিয়ে আসবেন…..😋😋😋😋]