The_Villain_Lover #Part_2 #Writer:#Tisha_Islam_Nabila

0
496

#The_Villain_Lover
#Part_2
#Writer:#Tisha_Islam_Nabila

সবাই যখন তাদের ভাবনায় বিভোর….তখন দেখে নেই তিশা কি করছে….তিশা ড্রয়িংরুমে বসে কার্টুন দেখছে….পড়নে কালো টি শার্ট আর….কালো থ্রি কোয়াটার প্যান্ট….লম্বা চুলগুলো দু পাশে ঝুটি করা….এক হাতে রিমোট আরেক হাতে চকলেট….পাশেই বসা তিশা’র ৩ ভাই….এমনি এমনি বসে নেই….গত ১ ঘন্টা ধরে বসে আছে….তিশা কে ফ্রুট জুস খাওয়ানোর জন্য..!!

নীলঃ মিষ্টি কলিজা এবার খেয়ে নাও……

তিশা নাক মুখ শিটকে তাকালো..!!

আবিরঃ মিষ্টি তুমি কিন্তুু বলেছো….এই চকলেট খাওয়া শেষ হলে….তুমি এই ফ্রুট জুস খেয়ে নেবে…….

তিশা নিজের মনোমত চকলেট খাচ্ছে….যেন ওর কানে কথা যাচ্ছেনা….অভি তিশা কে কোলে বসিয়ে….জুসের গ্লাস সামনে ধরলো….তিশা ঠোট উল্টে তাকিয়ে আছে..!!

অভিঃ ঠোট উল্টে লাভ নেই….এটা এক্ষুণি ফিনিশ করো হারি আপ……

তিশা ভেংচি কেটে জুস খেয়ে নেয়….এরপর অভি’র কোল থেকে নেমে….সোফায় সটান হয়ে শুয়ে পড়ে….তিশা এটা তখনি করে যখন মন খারাপ হয়….অভি আবির কে চোখ দিয়ে ইশারা করে….আবির গিয়ে ফ্রিজ থেকে এক বক্স আইসক্রিম নিয়ে আসে….এনে তিশা’র সামনে মিনি টেবিলে রাখে….আইসক্রিম দেখে তিশা লাফিয়ে ওঠে….নিয়েই খেতে শুরু করে….৩ ভাই মুচকি মুচকি হাসছে..!!

আরশাল চৌধুরীঃ মামনি তুমি আইসক্রিম এত লাইক করো কেন??

তিশাঃ ইউ নো ওয়াট পাপা??ইটস সো ইয়াম্মী……

কনিকা চৌধুরীঃ তুমি তো জানো আরশাল….আইসক্রিম হলো তোমার মেয়ের….প্রথম ভালবাসা তাইনা সোনা??

তিশাঃ ইয়া মাম্মা ইউআর রাইট..!!

নীলঃ মাম্মা আমার কি মনে হয় জানো??

আবিরঃ কি মনে হয় ভাইয়া??

নীলঃ মিষ্টি কলিজা আমাদের থেকে….চকলেট, আইসক্রিম বেশী ভালবাসে…….

অভিঃ একদম ঠিক বলেছিস..!!

নীলঃ আই নো ভাইয়া বিকজ….নীল চৌধুরী অলওয়েজ ঠিক বলে……

এদের মধ্যে অভি সবার বড়….তারপর নীল তারপর আবির….৩ ভাই মাশাআল্লাহ দেখতে কিউট….অভি নিজের বাবার বিজনেস সামলায়….ওর পড়াশোনা আগেই শেষ….অভি’র বয়স ২৮ বছর….এরপর নীল নীলও ব্যবসা সামলায়….অফিসে খুব কম যায় নীল….নীলে’র বয়স ২৫ বছর….আবির এখনো পড়াশোনা করে….আবির এবার এলএলবি ফাইনাল ইয়ারে….আবিরে’র বয়স ২৩ বছর..!!

তিশা গাল ফুলিয়ে….আইসক্রিম বক্স রেখে দিয়ে বললো…….

—-না তোমরা ঠিক বলোনি….আমি তোমাদের ভালবাসি….আর আইসক্রিম খাবোনা..!!

বলতে বলতে ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে দিলো….৩ ভাই তো ব্যস্ত হয়ে পড়লো….তিশা কে এটা ওটা বলছে কিন্তুু তিশা….সে তো কেঁদেই যাচ্ছে….ঠোট উল্টে বাচ্চাদের মতো বললো……

—-আমি তোমাদের বেশী ভালবাসি….যদি বিশ্বাস না হয়….তাহলে কিছু চেয়ে দেখো….আমি ঠিক তোমাদের দেবো প্রমিস..!!

অভিঃ বোন আমরা মজা করছিলাম……

তিশাঃ না চাও এখনি আমি দেবো..!!

নীলঃ মিষ্টি কলিজা আমাদের কিছু চাইনা……

আবিরঃ হ্যা মিষ্টি তুমি আছো তো..!!

তিশাঃ না আমি দেবো তোমরা চাও….ও মাম্মা ও পাপা বলো না চাইতে……

এবার ওরা পড়ে গেলো মুশকিলে….অভি বুদ্ধি খাটিয়ে বললো..!!

—-আচ্ছা যখন চাই তখন দিয়ো কেমন??

তিশা লাফাতে লাফাতে বললো…….

—-ওকে ভাইয়া আমি দেবো..!!
.
.
.
.
.
.
কনিকা চৌধুরীঃ ওকে অনেক হয়েছে….এবার সবাই ডিনার করবে চলো……

ডিনারের কথা শুনে তিশা….মুখটা কাঁচুমাচু করে বলে..!!

—-মাম্মা আজ খাবোনা প্লিজ??

কনিকা চৌধুরীঃ তিশা তুমি জানো না??আমি খাওয়া নিয়ে বাহানা লাইক করি না……

তিশা মুখটা চুপসে গিয়ে খেতে বসে….কনিকা চৌধুরী প্লেট দেয়..!!

অভিঃ মাম্মা তুমি কি জানোনা??আমরা বোন কে খাইয়ে দেই….ও কি কাটা বেছে খেতে পারে??

এরপর ওরা তিশা কে….নিজেদের প্লেট থেকে খাইয়ে দেয়….খাইয়ে তিশা কে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে….৩ ভাই মিলে ছাদে আসে……

নীলঃ ভাইয়া আমরা খুব লাকি তাইনা??কারন আমাদের বোন আছে….যাকে আমরা এত ভালবাসি….আর মিষ্টি কলিজাও আমাদের এত ভালবাসে..!!

আবিরঃ হ্যা মিষ্টি কে পেয়ে আমরা পরিপূর্ণ……

অভিঃ এরজন্য তো আমি আল্লাহ কে….লাখ লাখ শুকরিয়া জানাই….যে আল্লাহ আমাদের একটা পিচ্চি পরী দিয়েছে..!!

নীল, আবিরঃ ঠিক বলেছো……

অভিঃ আচ্ছা এখন গিয়ে ঘুমিয়ে পড়….আর আবির তোর তো ক্লাস আছে….তুই এখনো জেগে আছিস??

আবিরঃ তোমাদের তো অফিস আছে না??

নীলঃ হ্যা চল ঘুমিয়ে পড়ি……

এরপর যে যার রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে….সকালে ঘুম থেকে উঠে….তিশা আগে ফ্রেশ হয়ে নেয়….এরপর একটা টপস পড়ে….টপসটা একদম কালো….আর সাথে থ্রি কোয়াটার প্যান্ট….সাদা জুতো জুতোর উপর লাল ডল বসানো….চুলগুলো ঝুটি করে নেয়….ঠোটে হালকা লিপস্টিক….রেডি হয়ে ব্যাগ নিয়ে নিচে চলে আসে….শিরি দিয়ে হেলেদুলে নামছে….সবাই তাকিয়ে আছে….মনে হচ্ছে কোনো বাচ্চা মেয়ে নামছে….অভি, নীল, আর ওর বাবা অফিসে যায়….আর আবির তিশা কে নিয়ে কলেজ যায়….ব্রেকফাস্ট ক্যান্টিনে গিয়ে করে তিশা….এই বিষয়ে কেউ জোড় করতে পারেনা….তাহলে রেগে যায় তাই ওরাও অফিসে গিয়ে করে….আর আবির নিজের ভার্সিটি ক্যান্টিনে….তিশা কে ওর কলেজে নামিয়ে দেয়..!!

আবিরঃ মিষ্টি কেউ কিছু বললে….জাস্ট একটা কল করবে….বাকিটা আমরা বুঝে নেবো….আর একদম দুষ্টমি করবে না……

আবির নিজের ওয়ালেট থেকে….১ হাজার টাকার ৩ টা নোট বের করে….তিশা’র হাতে দিয়ে বলে..!!

—-এই টাকা শুধু খাওয়ার জন্য….বাট বাইরের বাজে খাবার খাবেনা ওকে??আর আমি এসে নিয়ে যাবো….নয়তো ভাইয়ারা কেউ আসবে….একা একা বের হবেনা মনে থাকবে??

তিশাঃ ওকে মনে থাকবে ভাইয়া বাই…….

আবিরঃ বাই মিষ্টি..!!
.
.
.
.
.
.
আবির গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চলে যায়….রুপ তিশা’র কাছে এসে বলে……

—-তিশা তুই অনেক লাকি রে….এরকম ৩ জন ভাইয়া পেয়েছিস….যারা তোকে প্রানের চেয়ে ভালবাসে..!!

তিশাঃ হুুম আই এম সো লাকি….এখন চল ক্যান্টিনে যাই……

তিশা কে বাজে নজরে দেখছে….আর এই বাজে নজরের লোক কে….দুর থেকে দেখছে সম্রাট….চোখ লাল করে তাকিয়ে আছে….চোখ দিয়ে যেন রক্ত পড়ছে….সম্রাট হাত মুঠ করে রেখেছে..!!

সম্রাটঃ আমার জান কে বাজে নজরে দেখছিস??তুই তো আজ গেলি….তোর হায়াত এই পর্যন্তই….এবার দেখ আমি তোর কি হাল করি…….

তিশা ক্যান্টিনে বসে খাচ্ছে….কোথা থেকে শুভ এসেই….তিশা’র পাশের চেয়ারে বসে পড়ে….তিশা সেদিকে পাত্তা না দিয়ে….নিজের মনোমত খেয়ে যাচ্ছে….শুভ শুধু দেখছে একটুপর বললো..!!

—-বেবী তোমার ৩ ভাইয়া….ওনারা এত খারুশ কেন??

তিশাঃ শাট আপ শুভ তুমি আমার সিনিয়র…. তাই আমি তোমাকে সম্মান করি….আমার পেছনে পড়ে আছো….তোমাকে এখনো কিছু বলিনি….তারমানে এটা নয়….তুমি আমার ভাইয়াদের কিছু বলবে….আর আমি সেটা সহ্য করবো….আমার ভাইয়ারা অনেক ভাল….সো নেক্সট টাইম এমন কিছু বলবে না….আন্ডারস্ট্যান্ড মিস্টার শুভ??

শুভঃ ইয়েস বেবী বুঝেছি….বাট তুমি এখনো অনেক কিছুই বোঝোনি….বিকজ তুমি বাচ্চা এখনো……

তিশাঃ তাহলে বাচ্চার পিছনে….এত ঘুরঘুর করো কেন??

শুভঃ এই বাচ্চাটাকে আমার চাই….সারাজীবনের জন্য চাই….ভালবাসি যে অনেক বেবী..!!

বলে শুভ চলে যায়….এদিকে রুপ তিশা কে বলে……

—-শুভ ভাইয়া তোকে ভালবাসে….অনেক বেশী ভালবাসে তিশা….আমি শুভ ভাইয়ার চোখে….তোর জন্য ভালবাসা দেখেছি..!!

তিশাঃ তাহলে তুই ওকে ভালবাস……

রুপঃ আরে শুভ ভাইয়া তোকে ভালবাসে..!!

তিশাঃ কিন্তুু ওর চোখে ভালবাসা তুই দেখেছিস……

খাওয়া শেষে ওরা ক্লাসে চলে যায়….মন দিয়ে ক্লাস করে….ক্লাস শেষে বেরিয়ে আসে….তিশা আইসক্রিম কিনে….কলেজের বেন্চে বসে খাচ্ছে….এরমাঝে তিশা’র সামনে কেউ দাড়ায়….যার পড়নে কালো শার্ট….কালো জিন্স প্যান্ট….শার্টের হাতা ফোল্ড করা….যার কারনে হাতে করা ট্যাটু দেখা যাচ্ছে….মুখে রুমাল বাধা চোখে সাইনগ্লাস….তিশা ভ্রু কুঁচকে বললো..!!

—-কে আপনি??

লোকটা যেন শকড হলে….তবুও নিজেকে সামলে বললো……

—-আমি তোমার ভালবাসা মাই লাভ..!!

তিশা’র হাত থেকে আইসক্রিম পড়ে গেলো….রাগী দৃষ্টিতে বললো……

—-আর ইউ ম্যাড??পুরান পাগল ভাত পায়না….নতুন পাগলের আমদানি….এই ওয়েট আপনি কি ডক্টর??

অজানাঃ ইয়েস মাই লাভ ডক্টর অজানা..!!

তিশা চোখ মুখ খিচে বললো…….

—-এখানে কি চাই??কেন এসেছেন এখানে??

অজানাঃ তোমাকে চাই তোমার জন্য এসেছি..!!
.
.
.
.
.
.
তিশা নিচু হলো ডাল উঠাতে….ওটা দিয়ে অজানা কে পেটাবে….এটাই ওর ইচ্ছে তাকিয়ে দেখলো নেই……

তিশাঃ আরে এই ব্যাটা গেলো কোথায়??ওহ বুঝেছি ভয় পেয়ে পালিয়েছে….আর এই রুপ কোথায় গেলো??

তিশা হাটতে হাটতে চলে আসে….এসে দেখে রুপ আসছে….তিশা গিয়ে রুপ কে কিল মারে..!!

রুপঃ কি হলো মারলি কেন??

তিশাঃ কোথায় গিয়েছিলি??

রুপঃ পানি খেতে গিয়েছিলাম……

তিশাঃ ওইতো ভাইয়া এসেছে যাই রে..!!

এরপর রুপ ওর বাড়ি….আর তিশা নিজের বাড়ি চলে আসে……

রাত ১ টা বাজে সারা শহর ঘুমে….ঘুম নেই শুধু কয়েকজনের….তার মাঝে সম্রাট একজন….যাকে এই মুহূর্তে হিংস্র বাঘ লাগছে….রাগে চোখ লাল হয়ে আছে….ঘাড়ের রগ সব ফুলে গিয়েছে….চোখ দিয়ে যেন আগুন পড়ছে….হাতে ধারালো ছুড়ি মুখে শয়তানি হাসি….আর সম্রাটে’র সামনের চেয়ারে….কলেজের সেই ছেলেটা….যে তিশা কে লোলুপ দৃষ্টিতে দেখছিলো….সম্রাট দাতে দাত চেপে বললো..!!

—-তোর সাহস হয় কি করে??আমার জান কে লোলুপ দৃষ্টিতে দেখিস??তোর এমন হাল আমি করবো….রাস্তার কুৃুকুরও তোর লাশ দেখে ভয় পাবে……

লোকটাঃ আমাকে ছেড়ে দিন বলছি..!!

সম্রাটঃ ইউ ব্লাডি রাস্কেল আই উইল কিল ইউ….এন্ড রাইট নাউ……

বলেই হাতে থাকা ছুড়িটা….লোকটার চোখের ভেতর ঢুকিয়ে দেয়….লোকটা গলা কাটা মুরগির মত ছটফট করছে….ছুড়িটা বের করে আরেক চোখে ঢুকিয়ে দেয়….এরপর ছুড়ি বের করে লোকটার ছোখে….পাশে থাকা গুড়া মরিচ ছিটিয়ে দেয়….লোকটার বুকে ছুড়ি ঢুকিয়ে….সেখানেও গুড়া মরিচ দিয়ে দেয়….লোকটা ছটফট করতে করতে মারা যায়….মৃত দেহটা কে দেখে সম্রাট পাগলের মত হাসছে….আর সমস্ত শরীর ছিন্নভিন্ন করছে….সারা শরীরে গুড়া মরিচ ছিটিয়ে….গম্ভীর কন্ঠে বলে..!!

—-এটাকে রাস্তায় ফেলে দাও……

রিয়াজঃ ই ইয়েস ব ব বস..!!(বডিগার্ড)

সম্রাট ভ্রু কুঁচকে তাকায়….এরপর গাড়ি নিয়ে হনহন করে বেরিয়ে যায়….বডিগার্ডদের অবস্থা খারাপ….কারন সম্রাট এত ভয়ংকর ভাবে আজ অবদি….নিজের কোনো শএুকে মারেনি….মরে যাওয়ার পর গুড়া মরিচ দেয়….আর ওদের শুধু ছুড়ি পেটে নয়তো বুকে ঢুকিয়ে দেয়….গাড়ি নিয়ে সম্রাট বাড়ি চলে আসে….তিশা’র ছবির সামনে দাড়িয়ে বলে..!!

—-তুমি আমার জান….তোমার দিকে কেউ চোখ তুলে তাকালে….আর আমি যদি সেটা জানতে পারি….কসম আল্লাহর তাকে জানে মেরে দেবো….এতদিন ছিলাম The Villain….আর এবার থেকে#The_Villain_Lover……

বলে সম্রাট বাঁকা হাসে..!!

#To_Be_Continued….♣♣

[গল্পটা শুরু হয়েছে কাল….আর কাল থেকেই ইনবক্সে….কমেন্টে হামলা আপু হিরো কে??তাড়াতাড়ি বলেন হিরো কে??ওয়াট দ্যা হেল গাইস??একটু পেশেন্চ রাখতে পারছেন না??আচ্ছা আমি যদি এখনি বলে দেই….তাহলে কি টুইস্ট থাকবে??আস্তে আস্তে সব জানতে পারবেন….আর কয়েকজন বলেছেন….যে ১৬ বছরে তিশা কলেজে পড়ে??এতে অবাক হওয়ার কি আছে??আমি ১৬ বছরে ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে উঠেছি….১৭ বছরে সেকেন্ড ইয়ারে….আর এখন আমার বয়স ১৮….আমি এবার HSC candidate ২০২০ এর….আই হোপ বুঝতে পেরেছেন….]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here