#The_Villain_Lover
#Part_8
#Writer:#Tisha_Islam_Nabila
[আগে কিছু কথা বলি….সেটা হচ্ছে যে আমার আইডিতে….বারবার প্রবলেম হচ্ছে আইডি ডিজেবল হচ্ছে….আবার ব্যাক আসছে অন্য আইডি থেকে আজ গল্প দেয়ার কথা ছিলো….এটা দিয়ে দিলাম বিকজ রাতে এই আইডি ব্যাক পেয়েছি….একচুয়েলি আমার প্রথম আইডিতে যখন প্রবলেম হয়….তখন আমি আরো ২টা আইডি রেখে দেই….যাতে একটা আইডি ডিজেবল হলে….আরেকটা আইডি দিয়ে গল্প লেখতে পারি….বাট এত প্রবলেমের জন্য গল্প লেখতে ইচ্ছে করেনা….তবুও রানিং গল্প তাড়াতাড়ি শেষ করে দেবো….আর গল্প লেখবো না লেখলেও অনেক লেট হবে….আর এর জন্যই গল্প পোষ্ট করতে লেট হলো….আশা করি সবাই প্রবলেমটা বুঝবেন….]
২দিন পর আজকে তিশা আর শুভ’র রিসেপশন….কিছু সমস্যার জন্য আজ রিসেপশন হবে….সকাল থেকেই বাড়িতে সবাই কাজ করছে….তিশা শুভ’র রুমে বসে আছে….এখন তো দুজনেরই রুম শুভ গিয়ে বললো..!!
—-বেবী খেয়ে নাও……
তিশাঃ আমি খাবোনা শুভ..!!
শুভঃ কেন খাবেনা কেন??
তিশাঃ আমার ক্ষিদে নেই তাই……
শুভ খাবার প্লেট পাশে রেখে….তিশা’র পাশে বসে বললো..!!
—-মন খারাপ??
তিশা মাথা নাড়িয়ে হ্যা বললো……
শুভঃ কেন মন খারাপ??
তিশাঃ সবাই আসছে না কেন??
একচুয়েলি আজ রিসেপশন….তাই তিশা’র বাড়ির সবার আসার কথা….এখনো আসেনি আসবে তো রিসেপশন পার্টি শুরু হলে….শুভ তিশা’র কপালে চুৃমু দিয়ে মুচকি হেসে বললো..!!
—-ওনারা আরেকটু পর চলে আসবে….আগে তুমি খেয়ে নাও……
শুভ তিশা কে খাইয়ে দেয়….আর তিশা ঠোট উল্টে খেয়ে নেয়….খাওয়া শেষ শুভ প্লেট রেখে আসে..!!
দুপুর ১টা তিশা কে সাজাচ্ছে….ব্লু লেহেঙ্গা পড়িয়েছে….ব্লু’র মধ্যে গোল্ডেন স্টোন বসানো….গলায় ডায়মন্ড নেকলেস কানে ঝুমকো….হাতে চিকন চুরি চোখে মোটা করে কাজল….ঠোটে লাল লিপস্টিক তিশা কে সাজিয়ে বসিয়ে রাখলো….একটুপর শুভ এলো শুভ কে দেখে তিশা’র চোখ আটকে গেলো….শুভ ব্লু কালার পান্জাবী পড়েছে….ব্লু কালারের পান্জাবীতে গোল্ডেন স্টোন….স্টোন গুলো গলার কাছে দুটো বোতাম খোলা….পান্জাবীর হাতা ফোল্ড করা ফর্সা হাতে কালো বেল্টের ঘড়ি….চুলগুলো স্পাইক করা চোখে কালো সাইন গ্লাস….আর ঠোটের কোনে কিলার হাসি….সব মিলিয়ে ক্রাশ লুক…. শুভ কে দেখে সবাই চলে গেলো….শুভ তিশা’র সামনে গিয়ে বললো……
—-কি ম্যাডাম আমাকেই দেখবেন??
তিশা চোখ ছোট ছোট করে বললো..!!
—-তোমাকে কেন দেখবো??
শুভঃ আমাকেই তো দেখছিলে……
তিশাঃ মোটেও না হু..!!
শুভঃ ওকে বাট ইউআর লুকিং সো প্রিটি…..
তিশাঃ হয়েছে পাম দিতে হবেনা….এবার নিচে চলো..!!
শুভ আর তিশা হাত ধরে নিচে যায়….সবাই হা করে তাকিয়ে আছে….একদম মেড ফর এচ ওদার….তিশা ওর বাড়ির লোকদের দেখে….দৌড়ে গিয়ে সবাই কে জড়িয়ে ধরে……
তিশাঃ তোমরা এত লেট করলে কেন??
নীলঃ মিষ্টি কলিজা আমরা ঠিক টাইমেই এসেছি..!!
আবিরঃ হ্যা মিষ্টি তোমার মনে হচ্ছে……
তিশাঃ না তোমরা লেট করেছো..!!
কল্লোলঃ আরে মিষ্টি সোনা থাক না….চলো সবার সাথে পরিচয় হই……
শুভ সবার সাথে আলাপ করে….সবার সাথে ওদের পরিচয় করিয়ে দেই..!!
রিসেপশন শেষে তিশা আর শুভ কে….তিশা’দের বাড়িতে নিয়ে যায়….এখানে এসে শুভ পড়েছে বিপাকে….কারন শুভ কে ইচ্ছেমতো খাওয়াচ্ছে….তিশা কে যে বলবে তিশা চলে গিয়েছে গল্প করতে….শুভ খাবার টেবিলে খাচ্ছিলো তখন ওর চোখ গেলো শিরিতে….শুভ’র চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো……
শুভঃ এই পিচ্চি আমার বউ..!![মনে মনে]
শুভ’র এটা বলার কারন….তিশা শিরি দিয়ে নামছে গায়ে পিংক কালার টি শার্ট….কালো থ্রি কোয়াটার প্যান্ট….মাথায় দু পাশে ঝুটি করেছে….আর ডল ব্যান্ট নিয়েছে মাথায়….তিশা নেমে এসে শুভ’র পাশে বসে বললো……
—-কি হলো তাকিয়ে আছো কেন??
শুভঃ বেবী শাড়ি পড়োনি কেন??
তিশাঃ শাড়ি পড়ে আমি পড়ে গিয়েছিলাম..!!
শুভঃ তাহলে পড়তে হবেনা……
পরেরদিন সকালে তিশা ঘুম থেকে উঠে….শুভ কে পেলোনা হাজার খুজেও পেলোনা..!!
তিশাঃ আরে শুভ কোথায় গেলো??একটা ফোন করে দেখি……
তিশা শুভ কে ফোন করলো….কিন্তুু শুভ ফোন তুললো না….তিশা গাল ফুলিয়ে বসে রইলো….বেলা ১০টায় শুভ এলো রুমে গিয়ে দেখলো….তিশা গাল ফুলিয়ে বসে আছে..!!
শুভঃ বেবী কি হলো তোমার??
তিশাঃ কিছু করেছিস যে হবে??
শুভ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো….বাট বুঝতে পারলো তিশা রেগে আছে….তাই তিশা’র পাশে গিয়ে বসলো….মিনমিন করে শুভ বলে উঠলো……
—-বেবী রেগে আছো কেন??
তিশাঃ কোথায় গিয়েছিলে তুমি??
শুভঃ আমি বাইরে গিয়েছিলাম..!!
তিশাঃ আমাকে না বলে??এভাবে লুকিয়ে কেন গিয়েছো??
শুভঃ দরকার ছিলো বেবী……
তিশাঃ ওহ আচ্ছা..!!
তিশা উঠে চলে গেলো….শুভ তিশা’র যাওয়ার দিকে তাকিয়ে….এরপর নিজেও উঠে গেলো…….
.
.
.
.
.
.
পরেরদিন শুভ আর তিশা চলে যায়….দিন কাটছে বাট শুভ এখনো….তিশা কে কাছে টেনে নেয়নি তিশা’র অদ্ভুত লাগে ব্যাপারটা….যে শুভ ওকে এত ভালবাসে….সে এখনো কাছে টেনে নেয়নি কেন??
কলেজে বসে আছে তিশা….শুভ নিজের ক্লাসে গিয়েছে….তিশা আর রুপ বসে আছে বেন্চে….দুর থেকে একটা ছেলে বাজে নজরে তিশা কে দেখছে….শুভ এসে তিশা কে নিয়ে চলে যায়….আর রুপ ভ্যাবলাকান্ত হয়ে বসে থাকে….এরপর নিজেও বাড়ি চলে যায়..!!
চৌধুরী বাড়িতে সবাই কথা বলছে….বিশেষ করে বড়রা এতদিন পর এক জায়গায়….আবির বসে গেমস খেলছিলো তখন আহানিতা এলো….আবির ভ্রু কুঁচকে বললো……
—-কি রে সামনে এসে দাড়ালি কেন??
আহানিতাঃ কি সারাদিন গেমস খেলো..!!
আবিরঃ তো কি করবো??
আহানিতাঃ চলো আমরা ঘুরতে যাই……
আবিরঃ তোর যাওয়ার হলে তুই যা..!!
আহানিতাঃ তুমিও যাবে সাথে……
কল্লোল দেখে বললো..!!
—-এই কি এত ফুসুর ফুসুর করছিস??
আবিরঃ ভাইয়া এটাকে সরাও……
নীলঃ কেন ও কি করলো??
আহানিতাঃ ঘুরতে যেতে চেয়েছি শুধু..!!
আবিরঃ আমি কোথাও যাবোনা ওকে??
আহানিতা মুখ ফুলিয়ে বসে পড়লো….সেটা দেখে আরশাল চৌধুরী বললো…..
—-আবির ওকে নিয়ে ঘুরতে যাও….যেতে চাইছে যখন নিয়ে যাও..!!
আবিরঃ বাট পাপা আমি……
আরশাল চৌধুরীঃ নো মোর টক গো..!!
আবিরঃ যা রেডি হয়ে আয়……
দাতে দাত চেপে বললো আবির….আহানিতা দাত কেলিয়ে বললো..!!
—-আমি তো রেডি……
আবির খেয়াল করে দেখলো সত্যি..!!
আবিরঃ তাহলে আর কি চল……
আহানিতাঃ তুমি রেডি হবেনা??
আবিরঃ আমি ঠিক আছি চল..!!
আবির আহানিতা কে নিয়ে গেলো….বাকীরা মুচকি মুচকি হাসছে……
শুভ কলেজ থেকে এসেই বেরিয়ে গিয়েছে….এখন দুপুর ৩টা বাজে এখনো ফেরেনি..!!
তিশাঃ শুভ এখনো আসছে না কেন??
.
.
.
.
.
.
তখনি গাড়ির শব্দ পেলো….তিশা গিয়ে বেলকনিতে দাড়ালো….দেখলো শুভ আসছে তাই তিশা রুমে গেলো….শুভ ওর গায়ের শার্ট খুলে বললো……
—-বেবী এটা ওয়াসরুমে রেখে আসবে প্লিজ??
তিশাঃ হ্যা দাও রেখে আসছি..!!
শুভ তিশা কে শার্ট দিলো….তিশা ওটা নিয়ে ওয়াসরুমে গেলো….শুভ বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছে….৫মিনিট হয়ে গিয়েছে বাট তিশা আসছে না……
শুভঃ বেবী কি হলো??আসছো না কেন??
তিশাঃ আসছি..!!
তিশা ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে বললো……
—-কোথায় গিয়েছিলে তুমি??
শুভঃ অফিসে গিয়েছিলাম..!!
তিশাঃ ওহহহহ আচ্ছা শুভ….তুমি তো আমাকে এত ভালবাসো….তাহলে আমাকে কাছে টেনে নিচ্ছো না কেন??
শুভঃ তুমি ছোট তাই……
তিশাঃ তাহলে আমাকে বিয়ে কেন করেছো??
শুভঃ আরে বেবী কি শুরু করলে??
তিশাঃ কিছুনা..!!
শুভঃ ওকে আমি একটু ঘুমাই……
তিশাঃ তুমি কে শুভ??ইদানিং তোমাকে আমার সন্দেহ হয়….তুমি নিজেকে যেটা দেখাও….সেটা তো তুমি না তাহলে কে??আমাকে জানতেই হবে..!![মনে মনে]
৫দিন পর হঠাৎ শুভ খাওয়া রেখে….তাড়াহুড়ো করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়….তিশা ও শুভ কে ফলো করে বেরিয়ে যায়….আর তিশা যেটা দেখে যেটা জানে….তিশা’র পায়ের তলার মাটি সরে যায়….তিশা নিজেদের বাড়ি যেতে গিয়েও চলে আসে……
এদিকে শুভ আগেই বাড়ি ফিরেছে….শুভ মনে মনে কিছু একটা বলছে….এরমাঝে আওয়াজ করে বলে..!!
—-কি নামে ডাকবে??
তিশা হাততালি দিতে দিতে এসে বলে ওঠে……
—-আমিও সেটাই ভাবছি….তোমাকে আমি কি বলে ডাকবো??শুভ, অজানা নাকি তোমার আসল নামে মিস্টার সম্রাট খাঁন??
তিশা’র কথা শুনে শুভ’র হাত থেকে….ফোনটা ফ্লোরে পড়ে যায় ভীতু কন্ঠে বলে……
—-মা মানে কি কি ব ব বলছো??
তিশা এগিয়ে এসে ঠাস করে থাপ্পর মারে..!!
#To_Be_Continued….♣♣
[একেতো আইডি প্রবলেম….তার উপর গল্পে আগের মতো রেসপন্স নেই….গল্প শেষ করে দেবো ২/১দিনের মধ্যে….😒😒]