#তুই_শুধু_আমার 💕
#Nusrat_Jahan_Bristy
#Part_17
দুটো দেহ একে ওপরকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে একই চাদরের নিচে। জিসানের বুকে ইশা চুপটি করে শুয়ে আছে। জিসানের বুকেই যে ইশার সব থেকে সুখের স্থান। সূর্যের আলো পড়তেই জিসান মিটিমিটি করে চোখ খোলে তাকিয়ে দেখে ইশা তার বুকে শুয়ে আছে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। জিসান ইশার মায়া ভরা মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষন। ইশার মুখে পড়ে থাকা চুল গুলো সরিয়ে দেয় জিসান। জিসানের নজর যায় ইশার ঘাড়ের দিকে জায়গাটা কালচে লাল হয়ে আছে। জিসান ইশার লাল হয়ে যাওয়া জায়গাতে হাত বুলায়। এই লাল হয়ে জায়গায় দাগটা যে জিসানেরই দেওয়া। ইশার প্রতি জিসানের ভালোবাসাগুলো যে খুব প্রখর ছিল যার জন্য জিসান ইশাকে মাঝে মাঝে কামড় দিয়ে দেয় আর সেটা ইশাও তা সহ্য করে নেয়। জিসান ইশার ঘাড়ে একটা কিস করে।
ইশা একটু নড়ে ওঠে উঠতেই জিসান তাড়াতাড়ি করে নিজের চোখ বন্ধ করে নেয় আর ঘুমের ভান করে। ইশা নিজের চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে জিসান তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে ইশা একটুও নড়তেও পারছে না। ইশা জিসানের দিকে তাকিয়ে দেখে জিসান খুব শান্তিতে ঘুমাছে। ইশা জিসানের গালে হাত রেখে স্লাইড করছে আর রাতের ঘটনাটা মনে পড়তেই লজ্জায় গাল দুটো লাল হয়ে যায়। ইশার নিজের মুখটা উচু করে জিসানের গালে একটা টুপ করে কি’স করে। ইশা জিসানের কাছ থেকে সরে আসতেই দেখে জিসান তার দিকে ডেবডেব করে তাকিয়ে আছে। জিসানের এমন চাওনি দেখে ইশার ভীষণ লজ্জা লাগে।
–বাহ সকাল সকাল এত বড় একটা ডোজ পেয়ে ঘুম থেকে উঠে গেলাম। না জানি এই ডোজটা পেলে কি হবে আমার???
জিসানের নিজের ঠোঁট দেখিয়ে ইশারা করে বলে কথাটা।
ইশা আমতা আমতা করে বলে।
–ভাইয়া আমাকে…. মানে আমাকে ছাড়ো উঠতে হবে।
–কেন???
–কেন মানে অনেক সকাল হয়ে গেছে! আমাকে উঠতে হবে তাই।
–ঠিক আছে তোকে আমি ছেড়ে দিবো কিন্তু একটা শর্ত আছে।
–শর্ত…. কি শর্ত? শুনি
–তুই যদি আমাকে একটা কথা বলিস তো আমি তোকে সাথে সাথে ছেড়ে দিবো।
ইশা ভ্রু-কুচকে বলে।
–ওকে বলো! কি বলবো????
–বলবি! জিসান জান আমাকে এখন ছেড়ে দাও প্লিজ। এখন আমাকে উঠতে হবে অনেক সকাল হয়ে গেছে…
–কিহ??? আমি পারবো না এসব বলতে।
–ঠিক আছে তোকে বলতে হবে আর তোকেও উঠতেও হবে না।
ইশাকে না। নিজের আরো কাছে এনে বলে।
–প্লিজ আমাকে ছাড়ো অনেক সকাল হয়ে গেছে…
–তোকে বলছি তো ওইটা বললে তকে আমি সাথে সাথে ছেড়ে দিবো…
–আমি পারবো না বলতে। আমার এভাবে বলার অভ্যাস নেই।
–ঠিক আছে তাহলে আমি একটু ঘুমাই
ইশা আরও কাছে টেনে নেয় জিসান।
–আরে আজব তো তুমি ঘুমাও কিন্তু আমাকে ছাড়ো। আমি ঘুমাবো না।
জিসান বিরক্তবোধ নিয়ে বলে।
–ইশা কানের কাছে এত বকবক করিস না তো আমাকে একটু শান্তিতে ঘুমাতে দে।
ইশা নাক ফুলিয়ে মনে মনে বলে।
–এই হিটলারকে যদি আমি এই কথাটা না বলি তো আমাকে ছাড়বে না তার চেয়ে ভালো বলেই দেই। কিন্তু কি করে বলবো আমি লজ্জা লাগে তো। নাহ ইশা লজ্জা পেলে চলবে না চোখ বন্ধ করে বলে দে।
জিসান এক চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে ইশা গভীর ভাবে চিন্তা করছে। ইশা বলে।
–এহেম এহেম…. আমি রাজি আমি এইকথাটা বলার সাথে সাথে কিন্তু তুমি আমাকে ছেড়ে দিবে।
–ওকে কিন্তু সব সময় আমাকে জিসান বলে ডাকতে হবে।
ইশা মনে মনে ভাবে।
–এখন তো ছাড়া পাই পরের টা পরে দেখা যাবে।
ইশা জিসানের দিকে তাকিয়ে বলে।
–ওকে বলবো।
–ঠিক আছে তাহলে বল।
ইশা নিজের চোখ বন্ধ করে বলতে যাবে সাথে সাথে জিসান বলে ওঠে।
–চোখ বন্ধ করে বললে চলবে না চোখ খুলে বল।
–কিন্তু…
–কোনো কিন্তু না চোখ খুলে বলতে হবে।
–ঠিক আছে বলছি।
ইশা একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে।
–জিসান জান প্লিজ আমাকে ছেড়ে দাও অনেক সকাল হয়ে গেছে।
জিসান এই কথাটা শুনা মাএই ঝড়ের বেগে ইশাকে নিজের নিচে ফেলে দিয়ে ইশার উপরে নিজের সব ভার ছেড়ে দেয়। ইশা তো অবাক হয়ে যায় জিসান এমনটা করাতে।
–তুই কি সত্যি এই কথাটা বলেছিস ভাবতেই পারছি না আমি।
–এবার ছাড়ো আমাকে আমি তো বলেছি কথাটা।
–উমমমমম হু…. এত সহজে তো তোকে আমি ছাড়বো না জান।
ইশা ভ্রু কুচ করে বলে।
–কেন তুমি বলেছিলে আমাকে এই কথাটা বলার সাথে সাথে আমাকে ছেড়ে দিবো।
–কখন বলেছি এই কথাটা আমার তো মনে পড়ছে না।
–কি তোমার মনে নেই এই কথাটা? ছাড়ো আমাকে বলছি ছাড়ো।
জিসান ইশাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে ইশার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট বিলিয়ে দেয়। ইশার তো চোখ গুলো রসোগোল্লার মতো হয়ে গেছে। জিসান ইশাকে ছেড়ে দিয়ে বলে।
–এখন যা ছেড়ে দিলাম তোকে।
জিসান পাশ ফিরে শুয়ে পড়ে। ইশা উঠে দাঁড়িয়ে বলে।
–তুমি একটা মিথ্যুক কথা দিয়ে কথা রাখলে।
-;কি বললি তুই?
ইশা দৌঁড় দিয়ে ওয়াশরুমে ডুকে পড়ে। জিসান তা দেখে বলে।
–পাগলি একটা……
জিসান আবারও শুয়ে পড়ে। ইশা শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে আছে হঠাৎ করেই মনে পড়ে ইশা ও তো কাপড় আনে নি। এবার কি হবে?
–ওও খোদা আমি তো তাড়াতাড়ি ওয়াশরুমে ডুকে গেছি….. কাপড় আনতেই তো ভুলে গেছি এবার কি হবে আমার?
মাথায় হাত দিয়ে বলে।
#চলবে