ভালোবাসার_ফোড়ন_২ #মিমি_মুসকান #পর্ব_৭

0
824

#ভালোবাসার_ফোড়ন_২
#মিমি_মুসকান
#পর্ব_৭

আমি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি তার দিকে, খুব ছোট ছোট পায়ে দ্রুত গতিতে দৌড়ে যাচ্ছে সে। সে নিতান্তই একটা বাচ্চা কাঠবিড়ালী! আর এই ছোট কাঠবিড়ালী টা আমার কাঠ বাদামের ভাগিদার হয়েছে। বেশ দেখতে সে। হালকা বাদামি রঙের সে, সামনের ছোট ছোট হাত গুলো দিয়ে বাদাম টা ধরে রেখেছে। কিন্তু সে একটা বাচ্চা কাঠবিড়ালী এটা আমি বলতে পারি।

তাকে দেখার পর আবারো তাকে দেখবার কৌতূহল জাগল আমার মনে। আমি তার পিছু পিছু যেতে লাগলাম। এই শুকনো পাতার’র উপর দৌড়ে দৌড়ে যাচ্ছে সে। তাকে লক্ষ্য করে আমি নিচু হয়ে চলছি তার পিছু পিছু। হঠাৎ মনে হলো ধাক্কা খেলাম কারো সঙ্গে। পড়ে যেতে নিলাম কিন্তু সে আমার হাত টা ধরল।

আমি মুখটা উঁচু করে তার দিকে তাকিয়ে দেখি এটা আর কেউ না আহিয়ান! তার এক হাতে ফোন, কানে হেডফোন গুজানো আর অন্য হাতে আমার হাত ধরে অবাক চাহনিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমাকে এখানে দেখে কি সে খুব অবাক হলো। কিন্তু অবাক কেন হবে?
খানিকক্ষণ এর মধ্যেই বুঝতে পারলাম আমার হাত জ্বলছে। দ্রুত তার হাত থেকে নিজের হাত সরিয়ে নিলাম। হাতের যে অংশ তিনি ধরেছেন সেখানে পুড়ে গেছে। কিন্তু পুড়ল কিভাবে?

আমি উনার হাতের দিকে তাকিয়ে দেখি যেই হাত দিয়ে আমাকে ধরেছে সেই হাতে জ্বলন্ত সিগারেট! বুঝতে বাকি রইলো না হাত টা কিভাবে পুড়ল তবে সেটা খুব কম। একটা জ্বলন্ত সিগারেট এর আগুন তো আর আমাকে পুড়িয়ে ফেলবে না কিন্তু তবুও আমি তার উপর চটে গেলাম। কারন ছিল কাঠবিড়ালী!

“কিহ বললে কাঠবিড়ালী!

“হ্যাঁ কাঠবিড়ালী! আপনার জন্য কাঠবিড়ালী বাচ্চা টাকে হারিয়ে ফেললাম। কি সুন্দর দেখছিলাম তাকে। কে বলেছিলো মাঝখানে আপনাকে আসতে!

উনি আমার দিকে ছোট ছোট চোখ করে তাকিয়ে সিগারেট টা মুখে দিলেন। অতঃপর চলে গেলেন! তার উপর মেজাজ এতো খারাপ লাগলো যা বলে প্রকাশ করার মতো না। আমার খুব ইচ্ছে সেই কাঠবিড়ালী কাঠ বাদাম নিয়ে কি করে সেটা দেখার। জানি এটা সে খেয়ে ফেলবে কিন্তু তবুও তাকে দেখার কৌতুহল আটকে রাখতে পারছি না!

আমি তাকে খুঁজতে খুঁজতে একটু সামনে গেলাম। দেখলাম একটা ভয়াবহ দৃশ্য! ভয়ে আমি দুই হাত একসঙ্গে মুষ্টিবদ্ধ করে এক পা পিছনে চলে গেলাম। একটা সাপ আর কাঠবিড়ালী’র যুদ্ধ চলছে এখানে। এটা মনে হচ্ছে সেই বাচ্চা কাঠবিড়ালী আর সাপটা তার থেকেও অনেক বড়। দু’জনেই বেশ হামলা করছে তাদের উপর।‌ কাঠবিড়ালী টাকে দেখে মনে হচ্ছে সে হার মনে নেবে এখনো”ই। খুব মায়া হচ্ছে তাকে দেখে ইচ্ছে করছে গিয়ে বাঁচা’ই তাকে। কিন্তু সাপের কারনে বেশ ভয় ও করছে আমার!

আমি আশপাশে দেখছি কিছু খুঁজে পাই কি না যা দিয়ে সাপ টাকে তাড়ানো যায়। হঠাৎ দেখলাম সাপটার উপর কেউ গাছের ঢাল ছুঁড়ে মারল। আমি পিছনে তাকিয়ে দেখি আহিয়ান! গাছের ঢালের আঘাতে সাপ টা চলে গেছে। অতঃপর আমি দ্রুত যাই সেই কাঠবিড়ালী’র কাছে। বেচারা’কে দেখে বেশ ক্লান্ত লাগল।‌ আহিয়ান আমাকে জিজ্ঞেস করল..

“ও কি ঠিক আছে!

“ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে হয়তো বাঁচবে!

উনি হাতের সিগারেট টা ফেলে আমার হাত থেকে কাঠবিড়ালী টা কে নিলেন। অতঃপর তাকে নিয়ে চলে যেতে লাগলেন। আমি উঠে তার পিছু যেতে যেতে বললাম..

“কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন ওকে!

“ডাক্তারের কাছে, দেখি বাঁচে কি না!

আমি আর কিছু বললাম না।‌ বিষয় টা তো ভালো যদি বেঁচে যায় কাঠবিড়ালী’টা তাহলে তো ভালোই! দুজনেই হাঁটতে হাঁটতে বাগানে বাইরে এলাম। এসে দেখি আরেক কান্ড! ইতি হেসে হেসে, দুলে দুলে কথা বলছে আকাশ ভাইয়ার সাথে। আমি ওকে দেখতেই থাকি। এর মাঝেই আহিয়ান আকাশ ভাইয়া কে ডাক দেয়। তারা দুজনেই আমাদের দিকে তাকায়। আমাদের দু’জন কে একসাথে দেখে তারা অবাক হয়। অতঃপর তাদের চোখ পড়ে আহিয়ান’র হাতে থাকা আঘাত পাওয়া কাঠবিড়ালী’র দিকে।

ইতি চমকে উঠে বলে..
“এসব কিভাবে হলো?

আকাশ ভাইয়া বলেন..
“কাঠবিড়ালী’র অবস্থা তো ভালো না।

আমি কিছু বলতে যাবো এর আগেই আহিয়ান বলে উঠে..
“এসব কথা বাদ দিয়ে গাড়ি বের কর, ডাক্তার’র কাছে নিয়ে যাবো ওকে!

আকাশ ভাইয়া কোন কথা না বলে চলে যায়। আহিয়ান ও যায় তার পিছু পিছু! ইতি আমাকে বলল যাতে আমরা তাদের পিছু পিছু যাই কিন্তু আমি না বলে দিলাম। কারন আমার আবার টিউশনি তে যেতে হবে, এভাবেই অনেকটা লেট হয়ে গেছি আমি। এখন আর সময় নষ্ট চলবে না। উনি যখন নিয়ে গেছেন তাহলে কাঠবিড়ালী টাকে দেখেই রাখবেন। পরে খোঁজ নিয়ে নেবো।

ইতি আর কিছু বললো না। অতঃপর দুজনেই বের হয়ে গেলাম।
.
বাসায় আসতে আসতে আজ খুব দেরি হয়ে গেল। ঘরে এসে ঘড়িতে দেখি সময় চলে যাচ্ছে। তাই আর বসে না থেকে বের হয়ে গেলাম। দুপুরে আজ আর খাওয়া হলো না, সময়টা ওই বাগানেই চলে গেল খানিকক্ষণ!

রিনু’র মা আজ মনে হচ্ছে একটু রেগে আছেন। দরজা খোলার সময় তার মুখটা বেশ গম্ভীর দেখেই আমি বুঝতে পারলাম। কারন টা অবশ্য আমার জানা, সেটা হলো আজ আমি ১০ মিনিট দেরি করে এসেছি। তবে আমি ১০ মিনিট বেশি পড়িয়েই যাবো কিন্তু তবুও তিনি এমনটাই করবে।

পড়তে বসতে বললেই রিনু’র বাহানা বের হয়ে যায়। অনেক ধরনের বাহানা করে সে। আমি যত’ই বলি না বলতে সে তত’ই আরো বেশি করে বলে। ওর মা একসময় রেগে গিয়ে বলেন..

“এতো দুষ্টুমি কেন করছো, জানো না ম্যাম পড়াবেন ১ ঘন্টা। আর যদি ১ ঘন্টাই তোমার বক বক এ চলে যায় তাহলে পড়বে কি শুনি!

রিনু ওর মা’র ধমক এ ভয় পেয়ে চুপ হয়ে গেলেন। কথা গুলো যে তিনি আমাকে শোনাতে চেয়েছিলেন আমি তা বুঝতে পেরেছি। এসব কথা শুনলে খুব খারাপ। মন ভিতর কোথাও গিয়ে আঘাত করে এ শব্দ গুলো। আচ্ছা এসব কথা বলা কি খুব জরুরি! সবাই তো এক ঘন্টাই পড়ায় কিন্তু এরপরও তিনি…

রিনু কে পড়িয়ে তোহা কে পড়ালাম, ওর মা আজ বার বার বসতে বলল। কিন্তু আমি আজ বসলাম না। হয়তো তিনি আজ ক্ষুব্ধ হবেন। এসময় তাকে রাগানো ঠিক না কিন্তু আমি’ই বা কি করতে পারি। প্রতিদিন কি ভালো লাগে আমার এসব। আজ এভাবেই আমার মন টা খুব খারাপ, তার উপর এতো কিছু আমার মন কে আরো দুর্বল করে দিচ্ছে। হ্যাঁ আমি জানি অন্যের অধীনে কাজ করলে এমন দু একটা কড়া কথা আপনাকে শুনতে হবেই, আর এসব কথা আপনি শুনতে বাধ্য। তবে সবসময় সেসব কথা শোনার বোধগম্য সবার হয় না।

তুহিনের আম্মু আজ তাকে একটু বেশি পড়াতে বলল, কারন সামনে তার পরিক্ষা! বলছে একটু বেশি সময় দিয়ে পড়াতে। আমি শুধু একটা কিঞ্চিত হেসে মাথা নাড়লাম। কারন তার কথার মাঝে বিনয় ছিল। বিনয়ের সাথে কথা বললে সেটা কটু কথা হলেও শুনতে ভালো লাগে। আর তুহিন.. তার মা বেশি পড়াতে বলে গিয়ে যাবার পরপরই সে বলল তাকে কম পড়াতে। তাদের এই মা আর ছেলের মাঝে আটকে থাকি আমি সবসময়। একজন কিছু বললে অন্যজন তার উল্টো বলে। তবে আমাকে অভিভাবক’র কথাই শুনতে হবে। আমি বাধ্য তার কথা শুনতে!

তুহিন’র বাসা থেকে বেরিয়ে দেখি আঁধার নেমে গেছে। ইদানিং এমন’ই হবে আমি ধারনা করতে পারছি। গন্তব্য এখন শুধু বাসা। সারাদিন না খেয়ে থাকার কারণে বেশ ক্ষিদে পেয়েছে। কখন যে বাসায় যেয়ে দু’মুঠো ভাত খাবো সেটাই ভাবছি। এই ভাতের দায়ে মানুষ অনেককিছুই করে, কেউ সারাদিন ঘাটে তো কেউ মানুষ খুন করতে রাজি হয়। তবে দুটোর পিছনে কারন এক আর তা হলে দিনের শেষে দু’মুঠো ভাত!
.
ভার্সিটির এক কোনে দাঁড়িয়ে আছি আমি,আমার পাশে ইতি বসে ডায়রি তে কি আঁকাআঁকি করছে। আমার দৃষ্টি আহিয়ান আর তাদের বন্ধুদের উপর। বলতে গেলে আহিয়ানের উপর। তার দিকে তাকানোর মানে হলো কাঠবিড়ালী’র কথা জানতে ইচ্ছে করছে খুব। কিন্তু কিভাবে যাবো তার কাছে এটা ভাবতে গিয়েই আমি বার বার হতাশ হচ্ছি। অতঃপর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলি। ইতি হেসে বলে…

“একটা কাঠবিড়ালী’র কথাই তো জিজ্ঞেস করবি। এতে এতো অস্থিরতা কারন কি?

“বুঝতে পারছি না!

আমার কথায় সে মুখ টিপে হেসে বলে..
“এই কথাটা বেশির ভাগ মেয়ে তাদের প্রেমের বিরহে বলে থাকে।

“বাজে কথা বাদ দে!

“আচ্ছা ব্যাপার কি বলতো, গতকাল তুই আর আহিয়ান ভাইয়া একসাথে আসলি!

“আসলে… ( সব টুকু বললাম শুধু ধাক্কা খাওয়া বাদে। নাহলে এটা নিয়ে সারাদিন কানের কাছে মাছির মতো ভন ভন করবে ইতি )

“ওহ!

আমি “হুম” বলে সামনে তাকাতেই দেখি তারা সব বের হয়ে যাচ্ছে। এই চলে যাচ্ছে নাকি, কিন্তু কাঠবিড়ালী’র খবর যে আমার চাই। নাহলে খুব চিন্তা হবে আমার। কি মনে করে আমি ব্যাগ নিয়ে ছুটে গেলাম তাদের কাছে। আমাকে ছুটতে দেখে ইতিও ছুটল আমার পিছনে। দুজনেই ছুটছি!

আমি পেছন থেকে আকাশ ভাইয়া বলে ডাক দিলাম। আমার ডাক শুনে তারা থেমে গেল। অতঃপর তারা সবাই পিছনে ফিরে আমাকে দেখল। সবার নজর আমার দিকে হলেও আহিয়ান’র নজর আমার দিকে না। সে হাতে একটা বই নিয়ে কি জানি পড়ছে খুব মন দিয়ে। নিতি মেয়েটা অদ্ভুত ভঙ্গিতে আমার দিকে তাকাল। আনিকা আর টিনা বিরক্তিকর ভঙ্গিতে। বাকি সবাই কৌতুহল বসত তাকিয়ে আছে।সবার আগ্রহ আমি কি চাই তাদের কাছে।

আকাশ ভাইয়া বলল..
“কিছু বলবে!

“আসলে ভাইয়া আমি..

বলার আগেই আহিয়ান বলে উঠে..
“কাঠবিড়ালী ঠিক আছে, ডাক্তার তাকে কিছু ঔষধ দিয়েছে। আর আপাতত সে তার কাছেই আছে। সাপটা বিষধর ছিল না বলে কাঠবিড়ালী বেঁচে গেছে।

কথাগুলো বইয়ের উপর মুখ রেখেই বললেন তিনি। তার কথায় মনের কোথাও শান্তি পেলাম। সবাই অবাক হলেও আকাশ ভাইয়া হেসে বলে..

“তুমি বুঝি কাঠবিড়ালী’র খবর জানতে এসেছো!

আমি কানের কোনে হাত দিয়ে মাথা নেড়ে বলি..
“হুম!

আমার কথায় ভাইয়া হেসে দেয়। ইতি বলে উঠে..
“কাঠবিড়ালী’র খবর জানার আগ্রহে এতোক্ষণ আমাকে জ্বালাচ্ছিল। এখন খবর পেলি তো!

নিতি মেয়েটা বলে উঠে..
“কি ব্যাপারে কথা হচ্ছে!

আকাশ ভাইয়া বলেন..
“তোদের বলবো, যা গাড়িতে গিয়ে বস সবাই আমি আসছি!

“তুই আসছিস মানে!

“আসছি মানে আসছি। লেট হচ্ছে তোরা যা!

তার কথায় সবাই চলে যায়, কিন্তু আহিয়ান সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে বই হাতে নিয়ে। আমি তার বই টার দিকে তাকিয়ে আছি। মনে হচ্ছে কোন গল্পের বই। কারন গল্পের বই ছাড়া বই পড়ায় এতো মনোযোগ সবাই দেয় না। তিনি খুব মনোযোগ দিয়ে গল্পের বই পড়ছেন। একপর্যায়ে তাকে নিতে আনিকাও চলে এলো। সে তার পাশে দাঁড়িয়ে বই’টার দিকে তাকাল।

আমি এবার আকাশ ভাইয়া’র দিকে তাকালাম। খুব গম্ভীর লাগছে তাকে। তিনি আমাকে একটু গম্ভীর গলায় জিজ্ঞেস করেন..

“নিহা একটা কথা জিজ্ঞেস করবো তোমায়?

“জ্বি ভাইয়া বলুন!

“তোমার হাতে ওই দাগ টা কিসের?

“কোন দাগ!

ভাইয়া আমার হাতের দিকে ইশারা দিলেন। আমি তাকিয়ে দেখি সেই সিগারেট’র পোড়া দাগ এটা। ইতি এসে আমার হাত ধরে বলে..

“দেখি দেখি! এমা এতো পুড়ে যাবার দাগ!

“হ্যাঁ পুড়ে যাবার’ই দাগ! কিন্তু নিহা এখন এটা বলো না তুমি রাঁধতে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলেছ। কারন এটা সিগারেট’র পোড়ার দাগ।‌ আমি কিন্তু এই দাগ চিনি!

সিগারেট’র পোড়ার দাগ শুনে আনিকা, ইতি দুজনেই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি তাকিয়ে আছে আহিয়ান’র দিকে। আর তার মনোযোগ বইয়ের দিকে। এখন কি করে সবাইকে বলবো এটা দাগ’টার কারন আহিয়ান। আকাশ ভাইয়া’র চোখে অনেক প্রশ্ন! আমি বেশ বুঝতে পারছি তার ইঙ্গিত টা আসলে কোথায়? সে আমার মিথ্যে কল্পনার সেই প্রিয় মানুষ কে ইঙ্গিত করছে। সে কি ভাবছে আমার সেই মিথ্যে কল্পনার মানুষ টি আমাকে অত্যাচার করছে।

যদি এসব ভাবে তাহলে বলতে হবে তিনি খুব ভালো একজন মানুষ। যে কিনা আমার মতো অসহায় একটা মেয়ের পাশে দাঁড়াতে চাইছেন। ভাবছেন আমি হয়তো অনেকটা নিরুপায়। তবে নিজের কাছে নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে। এভাবে মিথ্যে বলে কারো অনুগ্রহ পাওয়া টা ঠিক, কিন্তু তিনি তো ঠিক। ভুল তো আমি!একটা মিথ্যে বলার কারনে আজ এতো সমস্যা’র সম্মুখীন হতে হচ্ছে আমায়। এখন কি করা উচিত আমার!

#চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here