সিনিয়র গুন্ডি মেয়ের ভালবাসা** writer : Akash khan পার্ট : ৬

0
311

**সিনিয়র গুন্ডি মেয়ের ভালবাসা**

writer : Akash khan

পার্ট : ৬

**তারপর আমি একটু রেস্ট নেওয়ার জন্য বিছানায় সুয়ে পরি,,,।কিন্তু বিছানায় সুয়ার পর কখন যে আমি ঘুমিয়ে পরি সেটা নিজেও জানি না,,।আমি যখন গভীর ঘুমে মগ্ন তখন হঠাৎ ঘুমের মাঝে আমি অনুভব করি কে যেন আমার গালে নরম হাতের কমল পর্স্শ দিয়ে আমার গালে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে,,,।এটাকে আমি এতটা আমলে না নিয়ে আবার ঘুমানোর চেষ্টা করি,,।কিন্তু না আস্তে আস্তে সেই নরম হাতের ছোয়াটা যেন আরো বাড়তে লাগলো,,।আমার গালে হাত ভুলিয়ে দিচ্ছে আমার চুলে আস্তে আস্তে বিলি কেটে দিচ্ছে,,,। আর এতখনে আমার ঘুমটাও ভেঙ্গে যায়,,।আমি যখন চোখ খুলি দেখার জন্য সেই মানুষটাকে,, যে কে আমার এত যত্ন করে আদর দিচ্ছে,,।আর চোখটা খোলে আমি যাকে দেখলাম,,তাকে দেখে আমি অভাক হয়ে যাই,,।

**কারণ সেই মানুষ টি হল অধরা আপু,,।অধরা আপুকে দেখেই আমি তারাতারি সুয়া থেকে ওঠে বসি,,।তখন অধরা বলল,,,

অধরা : কিরে ওঠে পরলি কেন,,? সুয়ে থাক আমি তোর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি,,,, (মিষ্টি হেসে বলল)

**অধরার কথা শুনে আমি মনে মনে বলতে থাকি,,(অধরা আপুর আবার কী হল,,।কিছুখন আগেই তো মেরে আমার গাল লাল করে দিছে,,। হঠাৎ আবার কী হল এত আদর দেখাচ্ছে কেন,,?সত্যিই মেয়ে মানুষের মন বুঝা অনেক কঠিন,,,।তারা কখন কী করে নিজেরাও জানে না,,)আমি যখন চুপ করে বসে মনে মনে এসব ভাবছিলাম, তখন আমার এই চুপ থাকা দেখে অধরা আপু বলল,,,

অধরা : কিরে শুভ্র এমন চুপ করে কী ভাবছিস,,। সুয়ে পর এখানে (একটু কড়া গলায় বলল)

**অধরা আপুর কথা শুনে আমি বললাম,,

আমি : আপু,,, আপনার মাথা ঠিক আছে তো,,,(ভয়ে ভয়ে বলললাম)

অধরা : ঠা,,,স,,,,ঠা,,,,,স,,

**আমি কথাটা বলার সাথে সাথে অধরা আমাকে দুইটা চড় মারে,,।কিন্তু চড় গুলো খুব জুড়ে দেই নাই,,।তখন আমি গালে হাত দিয়ে বললাম,,,

আমি : ওওওওওহহহহ,,,এখন আবার কেন মারলেন,,? আমি তো কিছু করি নাই,,,

অধরা : তুই এখন আমাকে আপু ডাকলি কোন সাহসে,,।তোকে না মানা করলাম আমাকে আপু ডাকতে তাহলে ডাকলি কেন,,,(রাগী কন্ঠে বলল)

আমি : আচ্ছা,, আপনি সত্যি করে বলেন তো আপনার কী হইছে,,মাথা ঠিকঠাক আছে তো,,,(নরম সুরে বললাম)

অধরা : তাহলে তুই কী বলতে চাচ্ছিস,, আমি পাগল,,, (রাগী কন্ঠে বলল)

আমি : না না আমি ঠিক তা বলি নি,,।আপনি পাগল কেন হতে যাবেন,,।আসলে সকালে আপনি নিজের হাতে মেরে আমার গাল লাল করে দিছেন যেটার ব্যাথা এখনো গালে লেগে আছে,,।আবার এখন নিজেই এসে আমার ঘুমের মাঝে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন,,,আদর করছেন,,।আর সব থেকে বড় কথা আপনি আমার থেকে গুনে গুনে দুই বছরের বড় তাহলে আমি কী করে আপনাকে নাম ধরে ডাকি,, সেটা আপনি নিজেই বলেন,,,।তাই জন্য বললাম আপনার মাথা ঠিক আছে কী না,,,,,,(অধরার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বললাম)

**আমার কথা শুনে অধরা বসা থেকে ওঠে আমার কাছে,, তারপর তার কমল হাত দুটো যেই আমার গালের কাছে নিয়ে আসে তখনি আমি তার কাছ থেকে একটু দুরে সরে যাই,,।কারণ আমি ভাবছি অধরা হয়তো আমাকে আবার চড় দিবে,,।তাই আমি একটু দুরে সরে যাই যাতে চড় দিতে না পারে,,কারণ সকালের চড় খেয়েই আমার চাপার দাঁত নরে গেছে,,।আমি যখন অধরার কাছ থেকে দুরে সরে যাই তখন অধরা আমার দিকে চোখ লাল করে তাকায় আর আমাকে ওর কাছে আসতে বলে,,। কিন্তু আমি ভয়ে তার কাছে না যাওয়াতে অধরা নিজে আবার আমার কাছে,,।অধরা আমার কাছে এসে ওর হাত গুলো দিয়ে খুব আলতু ভাবে আমার দুই গালে হাত রাখে,,।আর আমার চোখের দিকে তাকিয়ে অধরা বলল,,,,

অধরা : শুভ্র,,, সকালের চড় গুলো খুব জুড়ে লাগেছে তাই না রে,,,,(খুব নরম সুরে বলল)

আমি : আরে না,,ওটা তেমন কোন বিষয় না,,।আর আমি অন্যায় করলে আপনি আমায় শাসন করবেন এটাই তো সাভাবিক,,,। এটা নিয়ে আপনি মন খারাপ করবেন না,,, ( হেসে বললাম,,,যদিও সকালের চড় গুলো খুব জুড়ে লাগছে,, কিন্তু অধরাকে এটা বলে কষ্ট দিতে চাই না,,।)

অধরা : আমি জানি তুই আমার সাথে মিথ্যা বলছিস,,। সকালের চড় গুলো তোর খুব লাগছে কারণ তোর গালে এখনো আমার হাতের ছাপ রয়ে গেছে,,,।আসলে কী করবো বল,, আমার রাগ ওঠলে আমি কিছুতেই তা কন্ট্রোল করতে পারি না,,।মাথা ঠিক থাকে না,,কী থেকে কী করে বসি নিজেও জানি না,,,,।তাই রাগের মাথায় তোর সাথে এমন করছি,,। তবুও তুই আম্মুর কাছে আমার নামে কিছুই বলিস নি,,,,।আমি যে তোকে মারছি এটা আম্মুর কাছে বললি না কেন,,,?(আমার গালে হাত বুলাতে বুলাতে বললো)

**অধরার কথা শুনে আমি অভাক হয়ে যাই,,।কারণ বড় আম্মু যখন আমাকে চড়ের কথা জিঙ্গাসা করে তখন তো অধরা সেখানে ছিল না,,।তাহলে সে কী করে জানলো আমি বড় আম্মুর কাছে মিথ্যা বলছি এটাই মাথায় আসছে না,,।তখন আমি বললাম,,,,,

আমি : কিন্তু আপনি কী করে জানলেন,,,আমি বড় আম্মুর কাছে মিথ্যা বলছি,,,,?(অভাক চোখে তাকিয়ে প্রশ্ন করলাম)

অধরা : এত অভাক হওয়ার কিছু নাই,,তুই যখন আম্মুর কাছে এসব বলছিলি তখন তোর ছোট নবাব পাশেই ছিল,,।সে এসে আমাকে সব বলছে,,। এখন বল আম্মুর কাছে মিথ্যা কেন বললি,,,,,,(আমার গালে হাত রেখেই কথা গুলো বলল)

আমি : ও,, তাহলে ছোট নবাব আপনাকে সব বলছে,,,।আসলে আমি অন্যায় করছি তার শাস্তি সরুপ আপনি আমাকে শাসন করছেন,,। আর আমি এটা কখনোই চাইনা আমার জন্য আপনি বকা খান বা কোন প্রকার কষ্ট পান,, তাই বড় আম্মুর কাছে মিথ্যা বললাম,,।নাহলে বড়আম্মু হয়তো আপনাকে বকা দিতো,, তাই ইচ্ছা করেই বড় আম্মুর সাথে তখন মিথ্যা বলি,,,,

**আমি কথা গুলো বলে অধরার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি,, অধরার চোখে পানি টলমল করছে,, মনে হয় একটু পরেই বেরিয়ে আসবে,,,।তখন অধরার আমাকে খুব মায়া জড়ানো কন্ঠে বলল,,,

অধরা : শুভ্র ,,,, তুই এত ভালো কেন রে,,,,?(গালটা হালকা চেপে ধরে বলল)

আমি : কোথায় আমি ভালো,,,।আমার চাইতে আপনি ভালো,,এবার গালটা ছাড়েন ব্যাথা লাগছে,, (হেসে বললাম)

অধরা : তোর গালে কী বেশি ব্যাথা করছে,,,,(হালকা করে গালে হাত রেখে বলল)

আমি : আরে না,,একটু পরেই ঠিক হয়ে যাবে,,,(হেসে বললাম)

অধরা : আমি যেহেতু তোকে মেরে এমন অবস্থা করছি তাহলে আমিই এখন সব ব্যাথা ঠিক করে দিবো,,, (হালকা হেসে বলল)

**অধরার কথা শুনে অভাক হয়ে যাই,,। মেয়ে বলে কী সে নাকি ব্যাথা ঠিক করে দিবে,,।পড়াশুনা তো এখনো বাকি তাহলে ব্যাথা ঠিক করার ডাক্তার কবে হলো সেটাই ভাবছি,,,।তখন আমি বললাম,,,,

আমি : কী বলেন আপনি,,,? ব্যাথা ঠিক করবেন কিভাবে,,,,।এটা তেমন কোন বিষয় না এমনেই ঠিক হয়ে যাবে আপনাকে কিছু করতে হবে না,,,,

**আমার কথা শুনে অধরা বলল,,,,

অধরা : আমি কিভাবে ব্যাথা ঠিক করি,, সেটার চিন্তা তোকে এত করতে হবে না,,,।এখন তুই বেশি কথা না বলে চোখ বন্দ কর,,,,(দমক দিয়ে বলল)

আমি : এটা আবার কেমন কথা,,, ব্যাথা কমার চিকিৎসা করতে কী চোখ বন্ধ করতে হয় নাকি,,? এমন চিকিৎসা আমার লাগবে না,,আপনি আপনার রুমে যান আমার ব্যাথা এমনেতেই কমে যাবে,,,,

**আমার কথা শুনে অধরা আমার গালটা হালকা চেপে ধরে রাগী কন্ঠে বলল,,,

অধরা : ঐ হারামী বেশি কথা বলিস কেন,,,? তোকে চোখ বন্ধ করতে বলছি তুই চোখ বন্ধ করবি,, নাহলে সকালের মত দিবো আরও কয়েকটা,,,,

আমি : এই না না,,আর দিয়েন না,,।তাহলে চাপার দাঁত একটাও থাকবে না,,। এই যে আমি চোখ বন্ধ করলাম,,,, (ভয়ে ভয়ে বললাম)

অধরা : হুম,, তারাতারি বন্ধ কর,, আর একদম তাকাবি না বলে দিলাম নাহলে তোর খবর আছে,,(হেসে বলল)

**তারপর আমি অধরার সামনে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে থাকি,,।কিন্তু কিছুখন হয়ে গেল অধরার কোন রকম সারা শব্দ পাচ্ছি না,,।আছে নাকি চলে গেছে বুঝতে পারছি না,,।তারপর হঠাৎ করে মনে হল কেউ একজন তার হাত দিয়ে আমার দুটো চোখ আটকানোর চেষ্টা করছে,,।আমি বেশ বুঝতে পারছি এটা অধরা,, কিন্তু সে কী করতে চাচ্ছে সেটা বুঝতে পারছি না,,।তারপর আস্তে আস্তে মনে হচ্ছে অধরার নিশ্বাস আমার মুখের ওপর পরতে লাগলো,,,।আর আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই অধরা যা করলো,,,,,,,,,,,

***চলবে***

প্রিয় পাঠক পাঠিকা, আপনারা আমাকে নিয়ে একটু বেশী ভাবছেন, পুরো গল্পেটা কাল্পনিক, বাস্তব লাইফে কিস তো দূরের কথা, কোন মেয়ের হাত ও ধরি নাই, 😒

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here