**সিনিয়র গুন্ডি মেয়ের ভালবাসা**
writer : Aksh Khan
অন্তিম পর্ব
**আমি কথাটা বলেই একবার সবার দিকে তাকাই,,তখন দেখি আমার কথা শুনে অধরার মা বাবা মিটমিট করে হাসতেছে,,।আর অধরার আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,।তখনি অধরা বলল
অধরা : ঐ শুভ্র কী বললি তুই আরেক বার বলতো শুনি,,,(রাগে গড়গর করতে করতে বলল)
আমি : দেখুন আপু কথায় কথায় এত ভয় দেখাবেন না,,।আর আমি আপনার ছোট হয়ে কী করে আপনাকে বিয়ে করি,,।তার থেকে বড় কথা আমার সাথে আপনার যায় না,,আপনি আমার চাইতে অনেক ভালো কাউকে ডির্জাব করেন,,,,,,
**আমার কথা শুনে অধরা কতখন চুপ করে তাকিয়ে থেকে কী জেন ভাবে,,।তারপর অধরা ওর আব্বুকে উদ্দেশ্য করে বলল,,,,
অধরা : আচ্ছা শুভ্র যদি আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয় তাহলে কবে আমাদের বিয়ে হবে,,,,,
বড় আব্বু : তুই শুভ্রকে নিয়ে যেই অবস্থা শুরু করছিস,, আমি চাই না এ রকম আর কোন ঘটনা সৃষ্টি হোক,,।তাই শুভ্র যদি রাজি থাকে তাহলে কালকেই একদম ঘরোয়া ভাবে তোদের বিয়েটা করিয়ে রাখবো,,।পরে যখন শুভ্র লেখা পড়া শেষ করে নিজে প্রতিষ্ঠিত হবে তখন নাহয় বড় করে একটা অনুষ্ঠান করে সবাইকে তোদের বিয়েটা জানিয়ে দিবো,,,।এখন সব নির্বর করছে শুভ্রের মতামতের ওপর,,,। আমরা শুভ্রকে নিজের সন্তানের মত আদর করে বড় করছি বলে তার ওপর কোন সিধান্ত চাপিয়ে দিবো না,,,।শুভ্রের যেকোন সিধান্ত আমরা মেনে নিবো,,,,,
**বড় আব্বুর কথা শুনে নিজের অজান্তেই চোখ দিয়ে দুফোটা পানি গড়িয়ে পড়ে,,।আসলে তাদের সাথে যদি জীবনে কখনো দেখা না হতো তাহলে হয়তো কখনো জানতেই পারতাম না যে পৃথিবীতে এখনো এত ভালো মানুষ আছে,,,।সত্যি আল্লাহ যা করেন মানুষের মঙ্গলের জন্যই করেন,,।নাহলে আমার মত একটা এতিম ছেলে না চাইতেও আল্লাহ এত কিছু দিছে হয়তো যাদের মা বাবা আছে তারাও এত কিছু পায় নাই,,।আমি হয়তো মা বাবার আদর পাই নি,,কিন্তু তারা আমাকে এত আদর ভালবাসা দিছে যে নিজের মা বাবার ভালবাসার কথা খুব একটা মনে পরে না,,।আবার এখন এমন একজন মানুষ আমার জীবনে নতুন করে আসতে যাচ্ছে,, যে কিনা আমাকে তার নিজের চাইতে বেশি ভালবাসে,,। আমার জন্য যে একাই পুরো পৃথিবীর সাথে লড়তে পারে,, সত্যি অনেক ভাগ্যবান আমি,, অনেক অনেক ভাগ্যে বান,,। আমি যখন মনে মনে এসব চিন্তা করছি তখন অধরা বলল,,,
অধরা : আম্মু তোমরা সবাই একটু বাহিরে যাও,,।আমি তোমাদের জামাইকে রাজি করিয়ে নিয়ে আসছি,,,,,(আমার দিকে চোখ বড় করে তাকিয়ে বলল)
বড় আম্মু : ঠিক আছে,,,তবে মনে রাখিস জামাইয়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে নাই,,,(হেসে বলল)
**কথাটা বলেই অধরার মা – বাবা মুসকি হেসে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়,,,।আর তখন অধরা গিয়ে রুমের দরজাটা আটকে দিয়ে মুসকি হেসে আমার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে,,।তখন আমি বললাম,,,,
আমি : আপু প্লিজ সামনে আসবেন না,,নাহলে আমি চিৎকার করবো,,,(একটু মজা করে বললাম..কারণ আমি বুঝে গেছি এই গুন্ডিটাই আমার গলায় ঝুলবে তাহলে একটু মজা নিয়ে নেই)
**আমি কথাটা বলতে বলতেই অধরা আমাকে ধাক্কা মেরে বিছানায় ফেলে দিয়ে জড়িয়ে দরে,,।আর আমার বুকের সাথে নিজের শরীরটা মিশিয়ে দিয়ে,,অধরা বলল,,,,,
অধরা : এই যে আমার জুনিয়র বর,,এখন যদি তুমি চিৎকার কর তাহলে বাহিরে থেকে সবাই অন্য কিছু মনে করবে বুঝলে,,, (আমার নাক টিপে বলল)
আমি : অন্যকিছু মনে করবে মানে কী,,(অভাক হয়ে বললাম)
অধরা : সবাই মনে করবে আমরা বিয়ের আগেই বাসর শুরু করছি,,,,(মিষ্টি হেসে বলল)
**অধরার কথা শুনে আমি বেশ লজ্জা পেলাম,,কিন্তু গুন্ডিটা দাঁত বের করে হাসতে লাগলো,,।তখন আমি মজা করে বললাম,,,,
আমি : বাসর কেমনে করে,,,,(হেসে বললাম)
অধরা : তুমি মনে হয় কচি খোকা কিছু বুঝো না,,।কালকে বিয়েটা হয়ে যাক তারপর তুমাকে দেখাবো বাসর কেমনে করে,,,,।এখন বল তুমি কী বিয়েতে রাজি না,,,।আমি কী দেখতে এতই খারাপ যে আমাকে বিয়ে করা যায় না,,,,(মুখটা একটু মলিন করে বলল)
আমি : আপনি দেখতে খারাপ কেন হবেন,,আপনি তো পরীর মত সুন্দর,,। যে পুরুষ আপনাকে সঙ্গী হিসাবে পাবে যে অনেক ভাগ্যবান হবে,,,,
অধরা : তাহলে তুমি কেন আমাকে বিয়ে করতে চাও না,,আমাকে একটু ভালবাসতে চাও না,,।বিশ্বাস কর শুভ্র তুমাকে আমি অনেক অনেক ভালবাসা দিবো,,কখনো কোন কষ্টের ছোয়া তুমাকে লাগতে দিবো না,,।আমার শাড়ীর আচল দিয়ে সবসময় তুমার মাথার ওপর ছায়া দিয়ে রাখবো,, প্লিজ আমাকে একবার কাছে টেনে দেখো,,,,(কান্না মাখা কন্ঠে বলল)
আমি : দেখেন,,, বড় আব্বু যেহেতু চাইছে আমাদের বিয়ে দিতে তাহলে সেখানে আমার আর কোন কথা নাই,,।কারণ তাদের কথায় আমি তো মরতেও রাজি আর এতো শুধু সামান্য বিয়ে মাত্র,,। কিন্তু এটাও সত্যি আপনার সাথে আমার সাভাবিক হতে একটু সময় লাগবে,,।কারণ এটা সত্যি আমি কোন দিন আপনাকে অন্যকোন নজরে দেখি নাই,,সবসময় আপু বলতাম আর এটাই ভেবে আসছি,,।তাই আপনার সাথে স্বামী, স্ত্রী সম্পর্ক সাভাবিক হতে আমাকে একটু সময় দেওয়া লাগবে,,,
**আমি কথাটা বলার সাথে সাথে অধরা একটা হাসি দিয়ে নিজের গোলাপের পাপড়ির মত সুন্দর ঠোট গুলো আমার ঠোটের সাথে মিশিয়ে দেয়,,তারপর শুরু করে♥♥♥♥♥♥♥এটা না বুঝলে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি খান বুঝে যাবেন,।অধরা প্রায় ১৫ মিনিট পরে আমাকে ছেড়ে দিয়ে মুসকি হেসে বড় বড় নিশ্বাস নিতে থাকে,,।এদিকে আমার প্রাণ চলে যাওয়ার অবস্থা,,। তখন আমি নিশ্বাস নিতে নিতে বললাম,,,
আমি : এই জন্যই সিনিয়র মেয়েদের সাথে বিয়ে অথবা প্রেম কোনটাই করতে নাই,,।কারন তাদের আদর আর মাইড় দুটাই ভয়ংকর,,শুরু করলে নাকের ডগায় দম না এনে ছাড়ে না,,,(একটু রাগী কন্ঠে বললাম)
**আমার কথা শুনে অধরা হাসতে হাসতে বলল,,,
অধরা : আরেক রাউন্ড দিবো নাকি,,,, তখন কিন্তু মেরেই ফেলবো,,,,
আমি : না আপু আপনার এক রাউন্ডেই আমার যায় যায় অবস্থা,,। জানি না বাকি জীবন কী হবে,,,(অসহায় কন্ঠে বললাম)
অধরা : ঠা,,,স, ঠা,,স,,। কুত্তা কালকে আমি তোর বউ হবো আর এখন আমাকে আপু বলছিস,,,।আরেক বার বললে তোর জিব টেনে ছিড়ে ফেলবো,,,,(রাগী কন্ঠে বলল)
আমি : ওওওওওও,,,,এটা তো মুখে বললেও বুঝা যায়,,তার জন্য হাত ব্যবহার করতে হয়,,(গাল ডলতে ডলতে বললাম)
অধরা : মুখের কথায় কাজ না হলে হাতের ব্যবহার করা ফরজ,,, জানিস এটা,,
আমি : আগে না জানলেও এখন আপনার কাছ থেকে জেনে নিলাম,,।আচ্ছা কিছু মনে করবেন না একটা কথা বলি,,আমি মাঝে মাঝে কনফিউজ হয়ে যাই,,আপনি তো গুন্ডি মেয়ে যে কথায় কথায় মাড়েন তাহলে মাঝে মাঝে এত রোমান্টিকতা কোথায় থেকে আসে আপনার মাঝে,,,,
**আমার কথা শুনে অধরা হাসতে হাসতে বলল,,,,
অধরা : এতদিন সিনিয়র গুন্ডি মেয়ের ভালবাসা দেখছিস,,এবার গুন্ডি বউয়ের ভালবাসা দেখবি,।আর অত্যাচারের দেখছিস কী এখন দেখবি গুন্ডি বউয়ের রোমান্টিক অত্যাচার,,,। এখন বেশি কথা না বলে চল,আমাদের মতামত জানিয়ে আসি,,,,
আমি : হুম,,চলেন,,,।শুভ্র চল বাবা চল,, এত দিন গুন্ডি মেয়ের অত্যাচার সহ্য করছিস,, এবার গুন্ডি বউয়ের অত্যাচার সহ্য কর,,(অসহায় সুরে নিজেই নিজেকে বললাম)
অধরা : কী বললি তুই আমি গুন্ডি বউ,,,।বেশি বললে এখনি কিন্তু শুরু করবো,,,,(রাগী কন্ঠে বলল)
আমি : না, না, আপনি তো লক্ষী, শান্ত ইনোসেন্ট একটা মেয়ে,,(দেখছেন কত বড় হারামী,,নিজেই বলে গুন্ডি বউ হবে,, আবার আমি বললেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠ)
**তারপর আমি আর অধরা মিলে অধরার আব্বু আম্মুর রুমে যাই,,।সেখানে গিয়ে আমাকে দাঁড় করিয়ে অধরাই সবকিছু গড়গর করে বলতে থাকে,,।জীবনে প্রথম দেখলাম কোন মেয়ে নিজের বিয়ের কথা নিজেই আলোচনা করতে,,।আমাকে আগে থেকে কড়া ভাবে হুসিয়ারী করা হয়ে যে সব কথা শুধু হ্যা হ্যা করতে হবে,,একদম না শব্দ উচ্চারণ করা যাবে না,,।তাই আমি খাম্বার মত দাঁড়িয়ে কথায় কথায় শুধু মাথা নাড়িয়ে হু, হু করি,,।মানুষ বলে বিয়ের পর ছেলেরা পরাধীন হয়ে যায়,,কিন্তু আমি তো শালার বিয়ের আগেই পরাধীন হয়ে গেলাম,,,,চোখের সামনে ভাসতেছে আমার অন্ধকার জীবন,,,।তারপর পরিবারের সবাই মিলে সিধান্ত নেয়,, কালকে একদম ঘরোয়া পরিবেশে বিয়েটা হবে,,।আমিও কোন কথা না বলে শুধু হ্যা বলে দেই,,।তারপর সেখান থেকে কথা বলা শেষ করে নিজের রুমে চলে আসি,,,।আমি রুমে সুয়ে সুয়ে কালকে কী হবে সেটা নিয়ে ভাবছিলাম,,।আসলে আমার জীবনে আজ অব্দি যা কিছু হইছে সব কিছুই হঠাৎ করে হইছে কোন কিছু প্লানিং করে হয় না,,।তবে আল্লাহর ওপর এতটুকু বিশ্বাস আছে তিনি যা করবেন অবশ্যই আমার ভালোর জন্যই করবেন,,,।
**আমি যখন সুয়ে সুয়ে নানান চিন্তা করছি তখনি অধরা আমার রুমে এসে বলল,,,,
অধরা : যে মসাই সুয়ে সুয়ে এত কী ভাবছেন,,আজকের রাতটা কষ্ট করে এখানে কাটিয়ে দেন,,কালকে থেকে দুজনের রুম একটাই হবে,,,(হেসে বলল)
আমি : কিছু ভাবছি না,,আপনি এখন যান আমি ঘুমাবো,,
অধরা : হুম,, হুম,, ঘুমাও আমিও গিয়ে ঘুমাই কালকে আবার রাত জাগতে হবে,,,(অন্যরকম হাসি দিয়ে বলল)
আমি : জানতো খালি ফাইজলামি করেন,,,(দমক দিয়ে বললাম)
**আমার কথা শুনে অধরা হাসতে হাসতে রুম থেকে বেরিয়ে গেছে,,।আর আমিও সব চিন্তা বাদ দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি,,।পরের দিন সকালে আমি একটু দেরি করে ঘুম থেকে ওঠি,,।আর ঘুম থেকে ওঠে দেখি বাড়ির পরিবেশটা বেশ অন্যরকম লাগছে,,। অধরার মামার বাড়ি থেকে কয়েকজন মানুষ আসছে,,ও চাচা চাচিরা আসছে,,সাথে অধরাদের আরো কিছু ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা আসছে,,।আর সবাই দেখি আমাকে দেখলেই কেমন যেন মুসকি হাসে,,,।আমার জন্য বিষয় একটু অসাভাবিক লাগছিলো,,তবে সব থেকে বড় কথা ঘুম থেকে ওঠে আজকে অধরাকে দেখি নি,,আর আমিও ইচ্ছে করে তার রুমে যাই নাই দেখা করতে,,।আর এভাবেই সারাদিন টুকটাক ব্যস্ততার মাঝে দিনটা পাড় হয়ে রাত মেনে আসে,,।সারাদিন অধরাকে দেখি নি,,সন্ধ্যায় যখন আমাদের বিয়ে পড়ানো হয় তখন দেখি অধরাকে অনেক সুন্দর করে বউ সাজিয়ে আমার পাশে বসানো হয়,,।আর একটু পরেই কাজি সাহেব বিয়ের সকল নিয়ম মেনে আমাদের বিয়েটা সম্পূর্ণ করে,,।বিয়ের পড়ে অধরার বাবা, মা আমাকে অনেক বুঝায়,,।আগে যারা যাদের বড় আব্বু,বড় আম্মু ডাকতাম,,আজ তারা সত্যিই আমার মা বাবা হয়ে গেল,,।ছোট নবাব হয়ে গেল নিজের ভাই,,শুধু অধরা সিনিয়র আপু থেকে সিনিয়র বউ হয়ে গেল,,।
**তারপর সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া করে যে যার রুমে চলে যায়,,।অধরাকে ওর চাচি বউ সাজিয়ে বাসর ঘরে বসিয়ে আসে,,আর আমাকে বলে রুমে যাওয়ার জন্য,,।তারপর আমি বেশ কিছুখন পরে আস্তে আস্তে অধরার রুমে প্রবেশ করি,,।আসলে নিজের কাছে কেমন যেন লাগছিল,,অধরার রুমে প্রবেশ করতে,,।তবুও বুকে সাহস নিয়ে ডুকলাম,,।আর রুমে গিয়ে দেখি অধরা লম্বা একটা ঘুমটা টেনে খাটের মাজ খানে বসে আছে,,আমি রুমে প্রবেশ করতেই সে খাট থেকে নেমে এসে আমাকে সালাম করে আবার গিয়ে ঘুমটা টেনে বসে পড়ে,,।এই মুহূর্তে আসলে আমার কী করা উচিত ঠিক বুঝতেছি না,,ইচ্ছে করছে দরজা ভেঙ্গে পালিয়ে যাই,,।তখন খাটে না বসে চিয়ারের ওপর বসে পড়ি,,আর এটা দেখে অধরা বলল,,,
অধরা : এই তুমি ওখানে কেন বসলে,,? আমার কাছে এসে ঘুমটা তুলে দেখ,, কেমন লাগছে আমায়,,,(মৃদু সুরে বলল)
আমি : প্লিজ আমাকে মাফ করে,,আমি এসব পারবো না,,।এই রুমে আমার জানি কেমন কেমন লাগছে মনে হচ্ছে দম বন্ধ হয়ে আসবে,,,আপনি বরং সুয়ে পড়ুন আমি আমার রুমে চলে যাই,,,,,,,
**আসলে অধরাকে বউ হিসাবে ভাবতে আমার কেমন যেন লাগছিলো,,,আমি যখন এই কথা বলে রুম থেকে বেরিয়ে আসতে যাবো ঠিক তখনি অধরা পিছন থেকে আমার পান্জাবীর কলার ধরে টেনে বিছানায় সুয়িয়ে দেয়,,।আর নিজে আমার ওপর সুয়ে রাগী কন্ঠে বলল,,,,
অধরা : আজকের রাতটা আমার কাছে অনেক স্পেশাল,,। তোমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখছি আজকের এই রাতটা ঘিরে,,।আমি আজকে আমার পূর্ণ স্ত্রীর মর্যাদা চাই,,কোন ছাড় দিবো না,,আর যদি কোন রকম উল্টা পাল্টা কর তাহলে কিন্তু খবর আছে,,,
আমি : আমি কিন্তু একটু সময় চাইছি,,,,(অসহায় ভাবে বললাম)
অধরা : তুমার যত সময় দরকার তুমি কালকে সকালে নিও,,কিন্তু এখন কোন সময় দেওয়া যাবে না,,,
আমি :এখন আমার দারা কিছু করা সম্ভব না,। আমি কিছু করতে পারবো না ,,
অধরা : আমার দারা সব সম্ভব,, আর যা করার আমিই করবো,,তুমি জাস্ট দেখো,,,(হেসে বলল)
**তখন দেখলাম অধরা হাতে মোবাইল নিয়ে কাকে যেন কল দিচ্ছে,,। আর একটু পরে কল রিসিভ হতেই দেখি এটা তো অন্তরা,,।অধরা ওকে ভিডিও কল দিছে,,।তখন অধরা অন্তরাকে বলল,,,
অধরা : এই দেখ,,আমার ভালবাসা আমি নিজের করে নিছি,,।আজকে থেকে শুভ্র আমার স্বামী আর আমি ওর স্ত্রী। এরপর যদি তোকে ওর আশে পাশে দেখি তাহলে তোকে জানে মেরে ফেলবো,,এখন আমরা বাসর করবো,,কালকে কলেজে আসিস,, আজ রাতে শুভ্রের সাথে কী করি তোকে সব বলবো,,,।একটা কথা মনে রাখিস,,,যো চিজ মেরি হে,,ওসমে কিসিকো হাক তো ক্যায়,, নজরতাক বরদাস নেহি হে,,,,
**কথাটা বলেই কলটা কেটে দিলো,,অন্তরাকে কিছু বলার সুযোগই দেয় নাই,,।তখন আমি বললাম,,,,
আমি : এখন কী করবে,,,,
অধরা : এই যে পাঠকরা অনেক পড়ছেন,,এবার বাড়ি যান,,আমি একটু আপনাদের শুভ্র সাহেবের ক্লাস নিবো,,পরে আবার দেখা হবে,,।আর এই বেটা আকাশ তুইও অনেক লিখছিস এবার বন্ধ কর লেখা,, বাসর রাতের কথাও লিখবি নাকি বেটা ফাজিল,,।তোর গল্প পড়ে কেউ কমেন্ট করে না,, তাহলে লিখিস কেন,,? এখন লেখা বন্ধ কর,, আমি বাসর করবো,,,(দমক দিয়ে বলল)
শুভ্র:পাঠক পাঠিকা আমার গুন্ডি বউ কি ক্লাস নিবে, যানি না বেচে ফিরি কি না 😁
আকাশ : না,,না,,আমি আর কিছু লিখবো না,,আপনি বরং বাসর করেন গুন্ডি আপু,,।আর এই যে পাঠকরা গল্প পড়ে কমেন্ট করেন না,কেন? আপনাদের জন্য বকা শুনতে হয়,,,
**এদিকে অধরা আর শুভ্র ওরা দুরা 😇
কেউ আবার যানতে চাইয়েন না ওরা দুরা কি, তাহলে এই ছোট আমি শেষ 😁************
(সমাপ্ত)
আপনাদের একটা কথা বলা হইনি পুরা গল্পটায়, যেটা বলা হয়নি সেটা হলো, সবাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন, আর আপনাদের সবাই কে অনেক ধন্যবাদ, পুরো গল্পটায় আমার পাশে থাকার জন্য,
সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আর আমিও করবো,
আর কি বলবো এই ছোট আমার সাথে অনেক অন্যয় করছে গুন্ডি টা,,
এমন একটা আপু থাকলে জীবনটা সার্থক হতো আমার 😄
Join please..
https://www.facebook.com/groups/534560331033352/?ref=share
*** কল্পনা এত সুন্দর ব্যস্তব কেন বিপরীত?