যদি_দেখার_ইচ্ছে_হয় #আফসানা_মিমি |পর্ব: ছয়|

0
381

#যদি_দেখার_ইচ্ছে_হয়
#আফসানা_মিমি
|পর্ব: ছয়|

“ তুমি সুন্দর, সুন্দরতম! আমন্ত্রণগাথার কালো রঙ, তুমি জোছনার ডানাযুক্ত পরী! আমার হৃদয়ে কালবৈশাখী ঝড়ের উদ্রেক শুধুই তুমি! আমার আন্ধার ঘরের আলোর প্রদীপ তুমি। শুনো মেয়ে তুমি, অল্প অল্প করে আমা! তোমার করে ফেলছো! তা কী জানো তুমি?”

প্রভাতের কিরণ উপচে পড়ছে গগনতলে তার সাথে জানালা দিয়ে আসা কিরণ অল্প আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে মিষ্টির মায়াভরা মুখশ্রীতে। সেই কিরণে অন্তিক মিষ্টিকে দেখছে। অন্তিক কথাগুলো আনমনে বলে নিজেই অবাক হয়ে যায়। মিষ্টির থেকে চোখ সরিয়ে সোজা হয়ে শুয়ে মাথার উপরে ঘুরতে থাকা ঘুরন্ত পাখার দিকে দৃষ্টি ফেলে।
অনিশ্চিত জীবনে মেয়েটাকে এনে সে ভুল করেছে, মহা ভুল! মেয়েটা তাকে মায়ায় ফেলে দিচ্ছে। অন্তিক মাথা বাঁকা করে আবারো মিষ্টির দিকে তাকায়। মেয়েটার ঘুমের অবস্থা খুবই খারাপ। এই যে বর্তমানে ঠোঁট উল্টে অন্তিকের উপর শরীরের অর্ধ অংশ ছড়িরে আরামে ঘুমুচ্ছে। মিষ্টি কী জানে! অন্তিকের এখন খুব কঠিন কাজ করতে ইচ্ছে করছে! একজন মেয়ের সামনে নিজের পুরুষত্ব সংবরণ করা খুব কষ্টের। তার উপর মিষ্টি তার বিয়ে করা বঁধু! মিষ্টির চালচলন অন্তিককে বুঝাচ্ছে যে সেও তার মতো অন্তিককে ঠিক কতোটা চায়! কিন্তু অন্তিক তো অপারগ! সে চাইলেও মিষ্টি কী অন্য কোনো মেয়েকেই আপন করতে পারবে না। অন্তিকের সত্য জানলে মিষ্টির কাছে সে সারাজীবনের জন্য অপরাধী হয়ে যাবে যা অন্তিক সহ্য করতে পারবে না। ঘড়ির কাঁটা সাতটা ছুঁই ছুঁই। অন্তিকের অফিস আটটায়। গতকাল যেভাবে চলে এসেছিল তারপরে তার চাকরি আছে কী নেই তার ব্যাপারে সন্দীহান অন্তিক। নানান ভাবনায় অন্তিকের চোখের কোণে জল চলে এসেছে সে নিজেও টের পায়নি। কারো গরম,নরম হাতের স্পর্শে অন্তিকের শরীর শিরশির করে ওঠে। অন্তিক জানে স্পর্শটা তার নব বঁধুর। আবেশে অন্তিক চোখ বন্ধ করে নেয়। পরমুহূর্তে তার কানে কিছু জাদুময়ী কথা ভেসে আসে, “ মিষ্টি প্রভাতে মিষ্টির আদরে সুন্দর হোক আপনার সকাল,অন্তু!”

পরপর নরম ঠোঁটের স্পর্শ পড়ে অন্তিকের গালে। অন্তিক চোখ খুলে তাকায়।মিষ্টি তার দিকের ঘুমঘুম চোখে তাকিয়ে আছে। অন্তিক দেখতে পায়, তার দেয়া কামড়ের দাগ মিষ্টির গালে। মনে মনে সে খুবই আফসোস করে তার কৃতকর্মে। হাত বাড়িয়ে মিষ্টির গাল ধরে জিজ্ঞেস করে,“ খুব লেগেছে?”

মিষ্টি দুষ্ট হেসে অন্তিকের হাত বক্ষস্থলের বাম পাশটায় রেখে বলে, “ এখানে ব্যাথা করছে।”

অন্তিক হাত সরিয়ে নিতে চাইলে মিষ্টি বাঁধা দেয় না বরং অন্তিকের হাত নিজোর হাতের মুঠোয় নিয়ে নেয়।অন্তিক বলে, “ কারণ?”

“ আপনি আমায় মেনে নিচ্ছেন না কেন, অন্তু! আপনার একটা সিদ্ধান্তে আমাদের জীবনটা পাল্টে যাবে।”

অন্তু লম্বা নিশ্বাস ত্যাগ করে বলে, “ কিছুই পাল্টাবে না মিষ্টি! না আপনি, না আমি। সব একই থাকলে। শুধু মাঝে কিছু জীবনের অকাল মৃ’ত্যু হবে।”

“ চাইলেই সব বাঁধা অতিক্রম করে নতুন জীবন পাওয়া সম্ভব।একবার চেষ্টা করলে দোষ কোথায়?”

অন্তিকের এবার রাগ হয়। মিষ্টি এতো অবুঝ কেন? কেন বারবার তাকে মিষ্টির দিকে টেনে নিতে চাইছে। কী হবে তাতে? কয়েকদিন হাসিখুশি থাকলে সত্যিটা জানার পর তাকে ফেলে মিষ্টি চলে যাবে। সে কপট রাগ দেখিয়ে বলতে শুরু করে, “ বলছি না,আমি আপনাকে আপন করতে পারব না! পারব না মানে পারব না। এ-ই পড়াশোনা করোছেন? নাকি গ্রামের নানী দাদীরা যথা শিখিয়েছে তাই শিখেছেন। বাংলা কথা বুঝেন না?”

মিষ্টির চোখে পানি টলমল করছে। সে অন্তিকের উচ্চ আওয়াজ মেনে নিতে পারছে না। নাক টেনে কান্না নিবারণের চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। এক সময় আওয়াজ করেই কেঁদে উঠে। অন্তিকের কাছে এসে তার বুকে কয়েকটা কিল ঘুষি দিয়ে বলতে শুরু করে, “ আপনি খারাপ অন্তু! খুব খারাপ। আমাকে কষ্ট দিয়েছেন। আমার কষ্ট হচ্ছে অন্তু! আমি কী সাধে আপনার কাছে আসতে চাইছি! আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি বলেই তো একটু বেহায়া হয়ে গেছি। আপনি চাইলে আর কাছে আসবো না। অন্তু বলেও ডাকব না। বিছানায়ও ঘুমাবো না। জমিনে পড়ে থাকবো। যদিন আপনার মন আমার জন্য কাঁদবে সোদিন আসবো।”

মিষ্টির মুখের অন্তু সম্বোধনটা অন্তিকের প্রিয় হয়ে গেছে। মিষ্টির কান্নামাখা কথাগুলো শুনে অন্তিকের মন খারাপ হয়ে যায়। মিষ্টি তখনও কাঁদছে। শ্বশুর বাড়িতে সব মেয়েরাই অসহায় হয়ে থাকে। এক পরিবেশ থেকে অন্য পরিবেশে এসে স্বামীকেই আপন ভাবে। সেই স্বামীই যদি খারাপ আচরণ করে তো মেয়েদের মনটাই ভেঙে যায়।বিশ্বাস উঠে যায় পুরুষদের উপর থেকে। মিষ্টি অন্যদিকে ফিরে বলতে শুরু করে, “ আপনি যান, অন্তিক! আমার কান্না দেখলে পরে আপনার মন গলে যাবে। আমি নিজেকে ঠিকই সামলে নিব।”

মিষ্টির ভাঙা স্বরে অন্তিক মূর্ছা যায়। মনের কথন না শোনার ইচ্ছে জাগে। সে আপাতত সম্মুখে ক্রন্দনরত মেয়েকে আগলে রাখতে চায়। সে ভবিষ্যৎ জানে না। সময় সাপেক্ষে যা হবে তাই মেনে নিবে। অন্তিক এগিয়ে এসে মিষ্টির শরীর ঘেঁষে শুয়ে পিছন থেকে মিষ্টিকে জড়িয়ে ধরে তার মাথায় ঠোঁট ছুঁয়ে বলতে শুরু করে, “ অন্তু বলো! তোমার মুখে অন্তু মানায়।”

মিষ্টি হাত সরিয়ে দেয়। অন্তিক পূর্বের চেয়ে আরো শক্তকরে মিষ্টিকে জাপটে ধরে বলতে শুরু করে,“ আমার অনিশ্চিত জীবনে তোমাকে স্বাগতম, মিষ্টি। আমার অপরিপক্ব জীবনে তোমাকে জড়িয়ে অপরাধী হতে চাইনি। তুমি আজ বুঝতে চাইছো না, একদিন ঠিকই বুঝবে।”

“ অনিশ্চিত জীবন মানে কী? আপনি কি ক্যা’ন্সা’রের রোগী? নাকি হাত পা অকেজো? কিডনি নাই? নাকি হার্ট ফুটা। নাকি হিজলা?”

শেষোক্ত কথা শুনে অন্তিক জোরে হেসে ফেলে। মিষ্টির কাঁধে কামড়ে দিয়ে বলে,“ প্রমাণ দিব?”

মিষ্টি চটে গিয়ে অন্তিকের দিকে ফিরে। অন্তিক তাকে কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে তার ঠোঁট জোড়া মিষ্টির ঠোঁট জোড়ায় আঁকড়ে ধরে। মিষ্টি এমনটির জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না। দম বন্ধ হয়ে আসছে তার। শরীর কাঁপছে। নিজের ভারসাম্য ঠিক রাখতে অন্তিকের সাহায্য নেয় সে। অন্তিককে একইভাবে জড়িয়ে ধরে সে যেভাবে অন্তিক তাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরেছে। লম্বা সময়ের মিষ্টির ভাষ্যমতের ভিটামিন-এ গ্রহন করার পর অন্তিকের কাছ থেকে ছাড়া পায় সে। দু’জনই হাঁপাচ্ছে, অন্তিক মিষ্টির কপালের সাথে কপাল ছুঁয়ে মাতাল সুরে বলতে শুরু করে, “ আজ নিজের কাছেই হেরে গেলাম মিষ্টি। কথা দাও, যে কোনো পরিস্থিতিতে আমার উপর আস্থা রাখবে? যাই হয়ে যাক, দূরে সরে যাবে না?”

মিষ্টি কী বলবে, কীভাবে বলবে! সে এখনো হাঁপাচ্ছে। অন্তিকের দিকে তাকাতেই লজ্জা লাগছে। অন্তিক কী বিষয়টি বুঝতে পেরেছে? হয়তো! তাইতো মিষ্টিকে বুকের মাঝে ঠায় দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকে। কিয়ৎ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর মিষ্টি নিজেকে সামলে নেয়।প্রত্ত্যুত্তরে বলে, “ আপনি জানেন না আমার মনে কতটুকু জায়গা দখল করে নিয়েছেন, অন্তু! শুধু এতটুকু বলব, আজ থেকে আপনার এবং আমার রঙিন জীবন শুরু!”

————————

বহুবছরের প্রচলন ভেঙে দিল মিষ্টি। আজকের সন্ধ্যাটায় মোল্লা বাড়ির ছেলে মেয়ে সকলেই বাড়িতে। অন্তিকদের বিয়ের পরদিন সকালে অন্তিকের চাচার ব্যবসা জনিত কারণে সিলেট গিয়েছিল। সেখান থেকে দুপুরেই ফিরেছেন। সন্ধ্যায় বাবার তলবে বাসায় এসে দেখেন এলাহি কাণ্ড। মিষ্টি আজ বাসায় চা আড্ডার ব্যবস্থা করেছে। নাজিমউদ্দীনের কথা কেউ ফেলতে পারেনি। ইচ্ছায় অনিচ্ছায় সকলেই বসারঘরে চায়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। এই সুযোগে বহুদিন পর নাজিমউদ্দীন ছেলেদের খবরাখবর নিচ্ছেন। লায়লা বেগম ও কলি অদূরেই বসে আছে। তাদের মুখ বরাবরের মত পানসে। লায়লা বেগম মিষ্টির উৎসাহ দেখে নিজেই গিয়েছিলেন চুলার ঘরে। উদ্দ্যেশ্য ছিল মিষ্টিকে আট দশ কথা শোনানোর। নাজিমউদ্দীন তা হতে দেননি। ধমক দিয়ে বসিয়ে দেন অদূরে। কথার ফাঁকে সকলের অগোচরে অন্তিক চুলারঘরে প্রবেশ করে। নব বঁধুকে কোমড়ে আঁচল গুঁজে কাজ করতে দেখে বিস্তর হাসে। মিষ্টি তখন উপুড় হয়ে কি যেন খুঁজছিল। চুলার পাশে থাকার জন্য মেয়েটা ঘেমে একাকার! সাদা দৃশ্যমান কোমড়ে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে আছে। অন্তিকের মনে বড়ো ইচ্ছে জাগে মিষ্টিকে আদরে সোহাগে জ্বালিয়ে দিতে। করেও তাই, মিষ্টির দৃশ্যমান কোমড়ে আলতোভাবে ছুঁয়ে দেয়। অন্তিক ভেবেছিল মিষ্টি তার ছোঁয়া বুঝতে পেরে তাকে দুএকটা কথা শুনিয়ে পুনরায় কাজে মনোযোগ দিবে। কিন্তু তা আর হয়নি! মিষ্টি ও মা গো বলে গগনবিদারী চিৎকার করে উঠে। বসারঘরের উপস্থিত সকলে মনে করে, হয়তো মিষ্টির হাত আবার পুড়ে গেছে! পিছনে ফিরে অন্তিকের অসহায় চাহনি দেখে মিষ্টি জিভ কাটে। পরমুহূর্তে মাথায় ঘোমটা টেনে চায়ের ট্রে হাতে নিয়ে অন্তিকের দিকে শক্ত চাহনি নিক্ষেপ করে বলতে শুরু করে, “ আসতে হবে না! ইঁদুর সামনে পড়েছিল তাই চিৎকার দিয়েছি।”

অন্তিক ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে নিজের দিকে তাকিয়ে বলে, “ কোনদিক থেকে আমাকে ইঁদুর মনে হয়!”

নাজিমউদ্দীনের দিকে চা বাড়িয়ে দেয় মিষ্টি। বাচ্চামোর সুরে বলে, “ শুনেছি নতুন বউয়ের হাতের প্রথম খাবার ভালো হলে উপহার দেয়া হয়। চায়ে চুমুক দিয়ে বলুন তো দাদাজান! কেমন হয়েছে?”

একে একে সকলকে চা পরিবেশন করে নিজেও এক কাপ চা নিয়ে অন্তিকের পাশে বসে। নাজিমউদ্দীন সহ সকলেই চায়ে চুমুক দিয়ে চুপ করে বসে রয়! যেন তারা অতীতের কোনো স্বাদ পেয়েছে চায়ে! সকলের স্তব্ধতা দেখে লায়লা বেগমও চায়ে চুমুক বসায়! স্বাদ পরখ করে মুখ ফসকে বলে ওঠে, “ একদম বুবুর চায়ের স্বাদ।”

সকলেই লায়লা বেগমের দিকে তাকান। কায়েস চায়ের কাপ সহ কাউকে কিছু না বলে উঠে চলে যান। ফিরোজ এই প্রথম মিষ্টির উদ্দেশ্যে বলে, “ এই চা বানানো কোথায় শিখেলে?”

“ একবার বাবার সাথে পঞ্চগড় গিয়েছিলাম। সেখানে এক দোকানদার মামাকে এভাবে চা বানাতে দেখেছি। কৌতূহল বশত সেটাই শিখে নেই। কেন জেঠু! খারাপ হয়েছে?”

মিষ্টির কথার প্রত্ত্যুত্তরে কেউ কিছু বলে না। নিঃশব্দে চা পান শেষ করে নাজিমউদ্দীন গলা ঝেড়ে বলে, “ আমার নাত বউ আজ রাতে সকল রান্না করবে। এটাই তার জন্য আপাতত উপহার। চায়ের স্বাদের মতো অন্য খাবারের স্বাদও আমি নিতে চাই। আজ বাড়ি থেকে ছেলেরা বের হবে না। সকলে একসাথে রাতের খাবার খাব।”

নাজিমউদ্দীনের কথাই চির ধার্য। সকলেই মানে। এদিকে মিষ্টি গরমের জন্য চা পান করছিল না। অন্তিক বুঝতে পেরে মিষ্টির চায়ের পাত্রে ফু দিয়ে ঠান্ডা করার বৃথা চেষ্টা করতে থাকে। মিষ্টি বিষয়টি বুঝতে পেরে অন্তিককে হালকা ধাক্কা দিয়ে ফিসফিস করে বলে,“ কি করছেন, অন্তু! মুরুব্বিরা আছে!”

অন্তিক ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে, “ আমার বউ, আমার অধিকার। একটা অধিকারও নষ্ট করব না।”

দূর থেকে কলি সবকিছুই দেখছে। মিষ্টির গালে কামড়ের দাগ দেখে বুঝতে পারে নব দম্পতির মধ্যে সব ঠিকঠাক।সে রাগান্বিত দৃষ্টিতে মায়ের দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করে, “ আমার অন্তিক ভাইকে চাই। যদি এই মেয়েটাকে বাড়িথেকে না তাড়াও তাহলে আমার ম’রা মুখ দেখবে।”

একটা বিপদই কী কম ছিল না লায়লা বেগমের কাছে! মেয়ের ম’রা’র কথা শুনে লায়লা বেগম শয়তানি হাসে। সে চায়ের কাপে চুমুকের বদলে থুতু ফেলে বলতে শুরু করে,” কা’টা দিয়ে কা’টা তুলতে এই লায়লা খুব জানে। তোকে শেষ করতে আমার নাড়ির ধনকেই কাজে লাগাবো, বদমায়েশ মেয়ে।”

চলবে……………

[এখন থেকে প্রতিদিন ৯ টায় গল্প আসবে। আপনাদের রেসপন্স কমে যাচ্ছে যে?গত পর্ব পড়ে কী ভালো লাগেনি? রেসপন্স দেখে আমি হতাশ!]

টাইপোগ্রাফি করেছেন নাজমুল ভাইয়া

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here