অন্যরকম_তুমিময়_হৃদয়াঙ্গণ #লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান) #পর্ব_১৬

0
610

#অন্যরকম_তুমিময়_হৃদয়াঙ্গণ
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
#পর্ব_১৬

“আপনি আমাকে কি কারণে চ’ড় মা’রলেন আফরাজ? আমি তো আপনার কোনো কথা অমান্য করিনী। তবুও?”

কথার সমাপ্তির পূর্বেই পুনরায় ‘ঠাসস’ চ’ড়ের শব্দ হলো। এই নিয়ে আরেক বার চ’ড় মা’রল আফরাজ। একেবারে নীরবতা ছেড়ে গেল রুমের মধ্যে। বিবিজানের নিশ্চুপতা যেন আফরাজ এর মেজাজ খারাপ করে দিল। রাগান্বিত গলায় চিৎকার দিয়ে বলে,

“দাহাব এহসান এর সাথে কিসের সম্পর্ক তোমার হ্যা? খেয়াল করলাম আজকাল তোমার মোবাইলের কল-লিস্টে তার কলের আনাগোনা চলছে। আমি তো ব্যস্ত থাকায় তোমায় ফোন অব্দি দিতে করতে পারি না। তাই বলে অন্য পুরুষের সাথে তুমি রংতামাশায় মগ্ন হবে?”

স্বামীর হাতে চ’ড় খেয়ে প্রথমত আশ্চর্য হয়ে যায় নাজীবা। কিন্তু দ্বিতীয় ক্ষেত্রে কথাগুলো শুনে তীব্র রাগ পেয়ে যায় নাজীবার। স্বামীর মুখে অবাঞ্ছিত কথা শোভা পেল কেমনে বুঝার চেষ্টা করল সে। তার চরিত্রের উপর আঙ্গুল তোলার আগেই উপ্রে ফেলল নাজীবা। আফরাজ কে ধাক্কা দিলো। বিবিজান এর আকস্মিক ধাক্কা সামলাতে না পেরে কাপের্টের উপর পড়ে যায় সে। তার কারণে মাথায় হালকা আঘাতও পেল। ‘আহ’ করে মাথায় হাত ধরে উঠে বসে। নাজীবার রাগ দমে গেল। স্বামীকে আঘাত করার মোটেও ইচ্ছে ছিল না তার। বরং শুধু চুপ করাতে চেয়ে ছিল। তাই সে আফরাজ-কে ছুঁতে নিলে এক ঝটকায় তার হাত সরিয়ে দেয়। নাজীবা অবাক চাহনি নিয়ে বলে,

“দেখুন আইম সরি। আমি ইচ্ছে করে আপনা-কে আঘাত করতে চাইনি। আপনি আমার ব্যাপারে খারাপ কথা বলতে নিচ্ছিলেন। যেটা আমার সহ্য হচ্ছিল না। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমাকে দেখান কোথায় বেশি ব্যথা লাগছে? বলুন আমায়।”

নাজীবা-কে ছুঁতে দিল না। বরঞ্চ সে নিজ দায়িত্বে নিজের মাথায় মলম লাগিয়ে নেয়। কথা বিহীন রুম থেকে বেরিয়ে যায়। নাজীবার চোখজোড়া কান্নায় ভরে গেল। সে দু’হাতে মুখ চেপে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগল। খানিকবাদে কাঁধে কারো হাতের স্পর্শ চমকে তাকায়। শ্বাশুড়ি কে দেখে ইতস্তত বোধ করল নাজীবা। লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)কোনো মতে চোখ মুছে বসা থেকে দাঁড়িয়ে যায়। মিসেস ফেরদৌসী নাজীবার বাহু ধরে বিছানায় বসিয়ে দেন। নিজ হাতে পানির মগ এগিয়ে দেন। নাজীবা বিব্রত অবস্থায় পানির মগে চুমুক দিয়ে পান করে ফেলে। শ্বাশুড়ি মায়ের সামনে এরূপ অবস্থায় পড়া কতটা লজ্জার তা সে হারে হারে বুঝতে পারছে। মিসেস ফেরদৌসী বউমাকে নিশ্চুপ দেখে স্বেচ্ছায় কথা বলতে আগ্রহ দেখালেন।

“বউমা আফরাজ এর সাথে কোনো কারণে রাগারাগী হয়েছে? আজ প্রায় পাঁচ-ছয় দিন ধরে দেখছি তোমরা এক ছাদের নিচে থেকেও কোনো কারণে যেন দূরত্ব বহন করছো। এমনটা হওয়ার কারণ জানতে পারি কি?”

“আম্মু আপনি যেমনটা ভাবছেন তেমনটা নয়। আসলে একটু রাগারাগী করেছেন উনি। এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।”

কৌশলে চ’ড়ের কথাটা চুপিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে জোরপূর্বক হাসল নাজীবা। মিসেস ফেরদৌসী বুঝতে পেরে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলেন,

“তুমি বুঝি আমাকে শিখাচ্ছো বউমা? জানো কি তোমার এসব দিন আমি পার করে এসেছি। তাই শিখিয়ে লাভ নেই। বলো কি হয়েছে? মায়ের সাথে যদি ভাগাভাগি না করো। তবে সুরাহা পাবে কেমনে হুম? আর আমার ঢেড়স-কেও তো একটু মজা বোঝাবে তাই না?”

নাজীবা কষ্ট ভুলে হেসে ফেলল। যা তৃপ্তি সহকারে দেখতে লাগলেন মিসেস ফেরদৌসী। তিনি নাজীবার চিবুক ধরে মুখখানির উপর দোয়া পড়ে ফুঁ দিলেন। তার মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন,

“মা এবার বলো কি হয়েছে? মনে কষ্টের কথা জমিয়ে রাখলে মানসিক কষ্টে তোমার শরীরের অবনতি হবে। তাই নির্দ্বিধায় বলে ফেলো।”

নীরব হয়ে গেল নাজীবা। তবুও বিব্রত বোধক কণ্ঠে বলে উঠে।

“জানি না আম্মা কি হয়েছে উনার? আজ কয়েকদিন উনি আমার ফোন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছেন। আমিও এসবে মন দেয়নি। কারণ সামনের মাসে মিড টার্ম এক্সাম। তাই পড়তে হচ্ছে। এখনো প্রথম সেমিস্টারের ছয় মাসের মধ্যে মাত্র একমাস শেষ হবে। হানিমুন ট্যুর’টা তো ক্যান্সেল করতে চেয়ে ছিলাম। কারণ কুসুমা ভাবী প্রেগন্যান্ট। কিন্তু কুসুমা ভাবী নিজ মুখে অস্বীকৃতি দিয়ে আমাকে আর আফরাজ কে যেতে বলে। ভাবীর ঐ অবস্থায় ছেড়ে যেতে মন চাইছিল না। আকবর ভাই আর ভাবী মিলে আমাকে মেন্টালি সাপোর্ট দেওয়ার পর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম যে, মিড টার্মের পর একসপ্তাহ ছুটি দেওয়া হবে। তখন আমরা হানিমুনে যাবো। তিনিও দ্বিমত করেননি। কারণ উনিও বলছিলেন একমাস এর জন্যে ব্যবসাভিত্তিকে বিদেশে যাবেন। মন খারাপ হলেও মানিয়ে নিয়ে ছিলাম। কিন্তু যে কয়েকদিন ভার্সিটি যাওয়া আসা শুরু করলাম। উনার স্বভাব বদলে গেল। যেন আমার ভার্সিটিতে যাওয়া-আসা উনি মোটেও পছন্দ করছেন না। তার উপর আজকে উনি আমার ক্লাসের লেকচারার দাহাব এহসান স্যারের সাথে আমার নাম মিলিয়ে অসভ্য কথা বলতে চাইছিলেন। যা আমি সহ্য করতে না পেরে কান চেপে ধরতে নিলে হাতের ধাক্কা লেগে যায় আফরাজ এর সাথে। এতে উনি পড়ে একটু ব্যথাও পায়। আমি দেখতে চাইলেও দেখতে দিলেন না। রাগ করে চলে গেলেন।”

বউমা-র প্রতিটা কথা শুনে তিনি সন্দেহের কণ্ঠে বলেন,

“দাহাব এহসান এর সাথে কেনো তোমার নামে কটু কথা বলল সে? তুমি কি পরপুরুষের সাথে হাঁটাচলা করেছো?”

শ্বাশুড়ি মায়ের গাম্ভীর্য ভরা গলায় নাজীবা থতমত খেলো। তৎক্ষণাৎ মাথা নেড়ে না বোঝিয়ে বলে,

“এমনটা না আম্মা। আমি তো দাহাব স্যার-কে শুধু স্যারই ভাবি। উনিই আমাকে একলা ফেলে যেমনে তেমনে কথা বলতে চাইতেন। এই যে আপনাকে বললাম, কল লিস্টে স্যারের নাম্বার দেখে উনি রাগারাগী করলেন। অথচ আমি স্যারের কোনো কলের ব্যাপারে জানিই না। অবশ্য স্যার জিজ্ঞেস করে ছিলেন। আমি কেনো তার কল রিসিভ করি না? কিন্তু এর জবাব না থাকায় আমি মুখ ফিরিয়ে চলে এসে ছিলাম। এর পর থেকে স্যার উনার গাড়িতে উঠতে বাড়াবাড়ি করতেন। যেন উনি আমাকে পৌঁছে দিতে পারেন। তাই ভয়ে আমি নিজেকে উনার কাছ থেকে সরিয়ে নিতে থাকি। এসব ব্যাপারেই হয়ত উনি জানতে পেরেছেন। কিন্তু আম্মা আপনিই বলুন এতে কি আমার দোষ ছিল?”

কথার স্বরে কান্নাভাবটা চলে এসেছে নাজীবার গলায়। মিসেস ফেরদৌসী বুকে আগলে নেন মেয়ে-কে। ছোট বাচ্চার মত মায়ের গন্ধ পেয়ে বুকের সাথে গুটিয়ে গেল নাজীবা। আজ বহু পর সে মায়ের স্পর্শ পেল। কান্নার মাঝেও সুখ অনুভব করল। আড়ালে আফরাজ তৃপ্তির হাসল। সে রেগে লাইব্রেরীর মধ্যে পায়চারী করছিল। সে জানত তার বিবিজান মন খারাপে নিজের শরীরকে কষ্ট দিতো। তাই বুদ্ধি করে সে তার মা’কে ফোন দিয়ে রুমে যেতে বলে। তার মাও বিনা বাক্য ব্যয় করে ছেলের বেডরুমে চলে যান। সেখানে গিয়ে ছেলের ফোন করার কারণ বুঝতে পারলেন। কাপের্টের উপর হাঁটুতে মুখ গুঁজে বউ-মা কে কাঁদতে দেখলেন। আফরাজ ভাবনা ছেড়ে পুনরায় লাইব্রেরীর মধ্যে চলে এলো। সে রুমের বাহিরে দাঁড়িয়ে ছিল। কারণ তার মা রুমে এসেছে কিনা তার একবার পরখ করতে। মা-কে দেখে সে নিশ্চিন্তে লাইব্রেরী রুমে ফিরে গেল। তার ইচ্ছে করছে বিবিজান-কে বুকের মধ্যে চেপে ধরে চোখের পানি নিজ হাতে মুছে দেওয়ার। কিন্তু অনুতপ্ততায় সে নিজের রকিং চেয়ারে বসে চোখ বুজল। রকিং চেয়ারে দুল খেতে থেকে ভাবনায় ডুব দিল।

পূর্বের ঘটনা……

যখন থেকে আফরাজ তার স্মৃতি সম্পর্কে জানতে পারল। যে, নাজীবা-ই তার ছোটবেলার খেলার সঙ্গী এবং বর্তমানে তার অর্ধাঙ্গিণী। লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান) তখন থেকে সে নিজের আচরণ স্বয়ংসম্পূর্ণে পরিবর্তন করে নেয়। প্রতিনিয়ত নাজীবার প্রতিটা কাজে খেয়াল রাখা শুরু করে, কোনো ব্যথা পেলে তৎক্ষণাৎ সেই ব্যথা উপশমের জন্য তড়-জড় লাগিয়ে দেয়, কোনো কাজ করলে সেও তার সঙ্গে থাকবে নাহয় কলের মধ্যে তাকে দেখতে থেকে কাজ করবে এই শর্ত জুড়ে দেয়। স্বামীর কান্ডে নাজীবা ক্লান্ত হয়ে গিয়ে ছিল। তার স্বামীর পাগলামী ওতপ্রোতভাবে নাজীবার হৃদয় রাঙিয়ে দিতে লাগল। কুসুমা ভাবী-কে তো আকবর কাজে হাতে দিতে বারণ করে দিয়ে ছিল। কারণ সে প্রেগন্যান্ট এই নিয়ে তিন সপ্তাহ চলছে। তার প্রেগন্যান্সির ব্যাপারে যে দিন আকবর শুনল , সে দিন খুশিতে যেন পাগলামীপনা ছাড়িয়ে দিয়ে ছিল। সে তার অনাথ জীবনে এত ভালোবাসা কামনাও করেনি। অথচ আল্লাহ তাকে ভরিয়ে দিচ্ছেন। সম্ভবতাও হচ্ছিল আফরাজ এর কারণে। তার বউ প্রেগন্যান্ট শুনে সর্বপ্রথম বন্ধুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ছিল হাসিমুখী ছেলেটা। আফরাজ ও ব্যঙ্গ করে নেগপুল করতে থাকে। নাজীবা তো কুসুমা ভাবীর আগপিছ ঘুরতে থেকে প্রেগন্যান্টে কিরূপ অনুভূতি হয় তা নিয়ে জানার আগ্রহ প্রকাশ করতো। কিন্তু নাজীবার বায়ো-ডেটা চেক করার পর আফরাজ সিদ্ধান্ত নিল। সে তার বিবিজান-কে অনার্সে ভর্তি করিয়ে দিবে। কারণ তার এইচএসসি পরীক্ষার পর এক’বছর পার হয়ে গেল। অথচ নানাবিধ কারণে তার শিক্ষাময় জীবন থেমে গিয়ে ছিল। সেই ভিত্তিতে খুশির মহলে নাজীবার শিক্ষা ব্যবস্থার কথাও বলে দেয়। যা শুনে নাজীবাও ভীষণ খুশি হয়। অনার্সের প্রথম সেমিস্টারের ফি পে করার তিনদিন পর ফ্রেশার্সের জন্যে ওরিয়েন্টেশন ডে ডিকলার করা হয়। আফরাজ শার্ট-কোর্ট-প্যান্ট পরে নিজেকে স্টাইলিশ লুকিং দেয়। নাজীবা রাগে ফোঁসে উঠে। মুখ ভেটকিয়ে বলে,

“এত সুন্দর হওয়ার দরকার নেই। আমার নামের সাথে মিসেস এড করা আছে। আপনি যে আমার জামাই সেটা সবাই জেনেই যাবে।”

আফরাজ বাঁকা হেসে বলে,

“ভুল বললে বিবিজান। তোমার নাম মিস নাজীবা মুসাররাত দেওয়া। আর ম্যারিটাল স্টেটাসে আনম্যারিড দেওয়া। যেনো কেউ আমাদের সম্পর্কে না জানতে পারে সেই ব্যবস্থাই করে রেখেছি। এখন তো আমি মেয়েদের সঙ্গে ভাব নিতেই পারব রাইট?”

আফরাজ এর কথায় রাগে বালিশ তুলে ছুঁড়ে মা’রল নাজীবা। সেও কম কিসে? ওয়াশরুমে গিয়ে ঢিলাঢালা কটন সিল্কি থ্রিপিচ পরে নেয়, চোখে কাজল-আইলানার টেনে মুখে হালকা পাউডার মেখে নেয়। মাথায় সুন্দর করে হিজাব পরে পিনআপ করে ড্রেসিং টেবিলের সামনে এসে দাঁড়ায়।
আফরাজ থ হয়ে গেল। নাজীবা হাতের কবজিতে আতর মেখে ব্ল্যাক মাস্ক পরে স্বামীর দিকে তাকায়। স্বামীর ঘোরলাগা নজর দেখে সন্নিকটে গিয়ে চুলগুলো এলোমেলো করে দেয়। আফরাজ এর ধ্যান ফিরে বিবিজান এর কান্ডে। তার নজরকাড়া সৌন্দর্য দেখে দাঁতে দাঁত চেপে বলে,

“এত সাজার কোনো দরকার ছিল না। যাও গিয়ে মুখ ধুয়ে আসো। তোমার ওরিয়েন্টেশন-ডে-তে গিয়ে বেসিক জিনিসগুলো দেখেই চলে আসব আমরা। তাই এতো রেডি-সেডি হয়ে ছেলেদের ফাঁদে ফেলতে হচ্ছে না। ভার্সিটির কোনো ছেলেও পাগলের প্রেমে পড়ে না।”

নাজীবা মুখ ভেঙিয়ে মুখের পাউডার মুছে নেয়। তবুও তার সৌন্দর্য কমেনি। বরং মনে হচ্ছিলো সৌন্দর্যতা দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। আফরাজ মনে মনে বলে,

“আজকের পর প্রতি ক্লাসের বাহিরে দাঁড়িয়ে পাহাড়া দিতে হবে। নাহলে বউ হারানোর সম্ভাবনা ১০০%।”

“নিজের মত করে কি বলছেন হ্যা? যা বলার জোরে বলুন?”

আফরাজ নীরবে নাজীবার হাত ধরে গাড়িতে গিয়ে বসে পড়ে। ওরিয়েন্টেশন-ডে সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিল। অতঃপর আফরাজ আর নাজীবা স্বামী-স্ত্রী হওয়ার কারণে একসাথে বসে ছিল। সকল টিচার্স এর পরিচিতি দেওয়া হলো। এতে বেশ বোরিং ফিল করে দুজনে। অতএব, আড়ালে দু’জনে মোবাইলের মধ্যে লুডু খেলতে লাগে। হঠাৎ করেই হোস্টের ভাষণে এমন একটি নাম শুনল। যে নামের মালিক-কে আফরাজ এই ভার্সিটি-তে আশা করেনি।
‘দাহাব এহসান দ্যা নিউ লেকচারার অফ ফার্মেসী ডিপার্টমেন্ট’।
দাহাব এহসান? নামটায় নাজীবাও চমকে সামনে তাকায়। আফরাজ আড়চোখে বিষয়টা খেয়াল করে। দাহাব এহসান কে আপাত-মস্তক চোখ বুলিয়ে নেওয়ার পরপর নাজীবা শান্তির শ্বাস ফেলল। কেননা স্টেজে উক্ত নামের মালিক-কে দেখতে আফরাজ এর বয়সী মনে হচ্ছে। একটুর জন্যে তার মনে হয়ে ছিল তার অতীতের সৎ দাদা বুঝি বর্তমানে ফিরে এলো। বুকের কাঁপনও স্বাভাবিক হয়ে যায়। আফরাজ-কে ইশারা করে আর খেলবে ‘না’ বোঝায়। সেও দ্বিরুক্তি করল না। দাহাব এহসান লেকচারার হিসেবে তার বক্তব্য শেষ করে স্টেজ থেকে নেমে যায়। তাদের পেছনের সিট থেকে কয়েকজন ছেলে শিস বাজিয়ে নাজীবার কাধে স্পর্শ করার স্পর্ধা করে। বি’শ্রী হেসে নাজীবা-কে উ্যক্ত করতে লাগে।

চলবে……..
(ক্ষমা করবেন সবাই আমার আজ সকাল থেকে প্রচন্ড মাথা ব্যথা করছিল। কিছুক্ষণ আগেই ওষুধ খেয়ে আলহামদুলিল্লাহ মাথা ব্যথা কমায় চট করেই গল্পটা লিখে ফেললাম। ছোট হওয়ায় কেউ রাগ করবেন না। ধন্যবাদ । আল্লাহ হাফেজ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here