তোমায়_যবে_পাই_দেখিতে #তাসমিয়া_তাসনিন_প্রিয়া #পর্ব_১১ (প্রাপ্তবয়স্ক ও মুক্তমনাদের জন্য উন্মুক্ত।)

0
316

#তোমায়_যবে_পাই_দেখিতে
#তাসমিয়া_তাসনিন_প্রিয়া
#পর্ব_১১
(প্রাপ্তবয়স্ক ও মুক্তমনাদের জন্য উন্মুক্ত।)

কই একজন ডিভোর্সি পুরুষ একজন অবিবাহিতা মেয়েকে বিয়ে করলে কেউ তো কোনো কথা তোলে না! তাহলে মেয়েদের বেলায় কেনো এতো দুমুখো আচরণ সমাজের? সমাজ,লোকজন, এই জিনিসগুলোকে মনে মনে চরম ঘৃণা করে তিয়াস। ছোটো থেকেই এই সমাজ কী বলবে শুনে বড়ো হয়ে উঠেছে তিয়াস। কোথাও যেনো তার এই বিক্ষিপ্ত জীবনের জন্য সমাজকেই দায়ী মনে করে মানুষটা।

গাড়ি চলছে। একা একা গাড়ি চালাতে মোটেই ভালো লাগছে না আবরিশামের। প্রিয়ন্তিকে ফিরিয়ে দিয়ে এসে ভীষণ শান্তি লাগছে মনে। এরকম ভালোবাসার মানুষ ক’জনের কপালে থাকে? তিয়াসের প্রতি প্রিয়ন্তির ভালোবাসা দেখে প্রতিদিন মুগ্ধ হতো আবরিশাম। আর মুগ্ধতা থেকেই ধীরে ধীরে বদলে গেছে আবরিশাম। সব মেয়েদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে আবরিশাম। মনের কোণে একটু হলেও প্রিয়ন্তির জন্য মায়া জন্মেছিল। কিন্তু সেটা ভালোবাসা নয়। আবরিশামও খুব করে চায় প্রিয়ন্তির মতো কেউ একজন তাকেও খুব ভালোবাসুক। যে ভালোবাসায় কোনো চাওয়া-পাওয়া থাকবে না থাকবেনা কোনো ভনিতা। হঠাৎ করেই অর্ষার কথা মনে পড়ে গেলো আবরিশামের। সেই শ্যামবতী কন্যা যে অনেক বার অপমানিত হয়েও নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করতে এসেছিলো আবরিশামের কাছে। সম্পর্কে মামাতো বোন হয় অর্ষা। গ্রামের বাড়িতেই থাকে মামা-মামীদের সাথে। আবরিশামের চেয়ে গুনে গুনে ছয় বছরের ছোটো অর্ষা। আজ এতো বছর পর হঠাৎ করে অর্ষার কথা মনে পড়তেই কেমন গিল্টি ফিল হচ্ছে আবরিশামের। মেয়েটা কতোবার ভালোবাসি বলেছিলো তাকে। কিন্তু নিজেদের মধ্যে কোনো সম্পর্কে জড়াতে চায়নি আবরিশাম। তাছাড়া একাধিক শহুরে মেয়েদের সাথে সম্পর্কে থাকতো আবরিশাম। শহুরে সুন্দরী মেয়েদের সামনে গ্রাম্য অর্ষা যেনো বিগ জিরো মনে হতো তখন। এখনও কি একইরকম আছে সেই শ্যামবতী? ভুল করেছে সে। দিনশেষে রূপের চেয়ে মনের সৌন্দর্য বেশি দরকার। সুন্দর চেহারা হওয়া গর্বের বিষয় নয় কিন্তু সুন্দর মনের অধিকারী হওয়া অবশ্যই গর্বের।

সন্ধ্যা নেমেছে। রেজওয়ান বাসায় নেই। দোকানে সব সময় না গেলেও আসরের পরে গিয়ে রাত দশটার মধ্যে চলে আসে। কিন্তু আজকে দোকানে যেতে চাচ্ছিলেন না তিনি। প্রিয়ন্তিকে একা ঘরে রেখে বাইরে যেতে মন স্বায় দিচ্ছিলো না। কিন্তু প্রিয়ন্তি বুঝিয়ে বলে, ঘরের মধ্যে দরজা আঁটকে থাকবে। তাছাড়া তিয়াস আসার কথা বলেছিলো সন্ধ্যায়। একা ঘরে তিয়াসের আসার কথা শুনলে আগে হলে অশান্তি হতো। এমনকি বলার সাহসও হতোনা প্রিয়ন্তির। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। তিয়াসই যে প্রিয়ন্তির নিশ্চিত ভবিষ্যত সেই বিষয় অর্পা কিংবা রেজওয়ান কারোরই সন্দেহ নেই। অগত্যা মেয়ের কথায় সন্ধ্যা নামার আগ মুহুর্তে বেরিয়ে গেছে রেজওয়ান। একা ঘরে সময়ও কাটছিলো না প্রিয়ন্তির। এক কাপ কফি খেয়ে দরজা খুলে বাসার সামনে হাঁটতে বের হয় সে। সরু রাস্তার মাথায় গিয়ে একটা বালির মাঠ। মাঠের পুরো সীমানা কেবল বালি দিয়ে পরিপূর্ণ। আগে অবশ্য এটা একটা বড়ো পুকুর ছিলো। সেখানেই এলাকার ছেলেরা শীতের মৌসুমে ব্যাডমিন্টন খেলে। হাতে থাকা ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে সময় দেখে নিলো প্রিয়ন্তি। সাড়ে সাতটা বেজেছে। হাঁটতে হাঁটতে যখন রাস্তার একেবারে শেষ প্রান্তে পৌঁছে তখনই তিয়াসের কল আসে। প্রিয়ন্তি কল রিসিভ না করে পেছনে ফিরে নজর বুলাতে ব্যস্ত হয়ে উঠে। কেনো জানি মনে হচ্ছে মানুষটা ওর আশেপাশে আছে। রাস্তার দুই পাশে কিছু দূর পর পর বাতির ব্যবস্থা থাকায় সবকিছুই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। অস্থির চোখজোড়া তিয়াসকে দেখে স্থির হলো। প্রিয়ন্তি বিপরীত দিকে এগুতে শুরু করেছে। বাসন্তী রঙের থ্রিপিসে কেমন স্নিগ্ধ লাগছে মুখখানা! তিয়াস এগোতে এগোতে প্রিয়ন্তিকে পূর্ণ দৃষ্টিতে পরখ করে নিলো একবার। বাইরে ভালোই ঠান্ডা পড়েছে। তিয়াস একটা চাদর গায়ে জড়িয়েছে। প্রিয়ন্তির বরাবরই ঠান্ডা কম। শরীরে শীতের পোশাক চড়াতে ভীষণ অনীহা তার।
” ওদিকে কোথায় যাচ্ছিলে এখন?”
” ব্যাডমিন্টন খেলা দেখতে। বাসায় বাবা নেই, একা একা বোর হচ্ছিলাম।”
তিয়াস ভ্রু কুঞ্জন করে আশেপাশে দেখে নিলো একবার। তারপর শান্ত ভঙ্গিতে বললো,
” যথেষ্ট বড়ো হয়েছো তুমি প্রিয়। আর তোমার পরিস্থিতি সম্পর্কে তুমি অবগত। এই রাতের বেলা একা রাস্তায় হাঁটছো,কোনো ছেলে যদি অসভ্যতা করতে আসতো? সবাই কি তিয়াস? ”
” এহহ! সবাই তিয়াস হতে যাবে কেনো শুনি? কিন্তু সরি আমার খেয়াল ছিলোনা এরকম কিছু ঘটতে পারে। আসলে আমার যে ডিভোর্সি তকমা লাগাতে সমাজের চোখে খারাপ হয়ে গেছি সেসব মনে ছিলোনা। ”
তিয়াস লম্বা শ্বাস ফেলে প্রিয়ন্তির ডান হাত ধরে হাঁটতে শুরু করে। বাম হাতে তার ফোন। প্রিয়ন্তি শক্ত করে হাতটা আঁকড়ে ধরেছে।
” এসব ভেবে আমি বলিনি প্রিয়। তোমার বিষয় কে কী ভাবলো কিংবা বললো সেটা নিয়ে আমি বিন্দুমাত্র আগ্রহী নই। তুমি যেমন তেমনই তোমাকে গ্রহণ করবো আমি। আমি বললাম আঙ্কেল আন্টির সম্পর্কে চিড় ধরার কারণেও এলাকায় অনেকে অনেক কিছু বলে। কিছু বজ্জাত ছেলেকে তো সেদিন মেরেছি পর্যন্ত। ”
কথাগুলো বলতে বলতে ক্রোধে চোখ রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে তিয়াসের। প্রিয়ন্তি অবশ্য সেসব দেখছে না। তার মনে অন্য রকম ভালোলাগার রেশ বয়ে যাচ্ছে এখন। তাই চুপচাপ হাঁটছে কেবল। রেজওয়ান যে নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য নিজের মেয়েকে ধরে বেঁধে বিয়ে দিয়েছিলো সে নিয়ে এলাকার কিছু বাজে ছেলেপেলেরা নানান কটুক্তি করে। কেউ কেউ তো এটাও বলে টাকার জন্য নিজের মেয়েকে হয়তো শহরে বিক্রি করে দিয়েছে সে। এসব শুনেই তিয়াসের মাথায় রক্ত চড়ে গিয়েছিল সেদিন। তারপর ইচ্ছেমতো মেরেছিলো তাদের। টাকাপয়সা হওয়ায় কেউ তিয়াসের সামনে এসে আর কথা বলার সাহস পায়নি কিন্তু তিয়াসের আগের অবস্থান থাকলে নির্ঘাত এই কাজের জন্য তাকেও নানান ঝামেলা পোহাতে হতো। আসলে টাকা ছাড়া দুনিয়া ফাঁকা। টাকা থাকলে সবাই সমীহ করে আর টাকা না থাকলে কেউ মূল্য দেয় না। বিশেষ করে পুরুষদের! পুরুষ মানুষ টাকা ছাড়া পতিতা-দের চেয়েও অসহায়। কথায় আছে মানুষের এককাল সুখে কাটে আর আরেক কাল দুঃখে! তিয়াসেরও বুঝি দুঃখের কাল কেটে গেছে । সৃষ্টিকর্তা খুব প্রসন্ন ছিলো বলেই এতো অল্প সময় ব্যবসায় উন্নতি হয়েছে তিয়াসের।
” বাসার সামনে এলে কেনো? সাড়ে আটটা বেজেছে কেবল! বাবা ফিরবে অনেক দেরি। তোমার কি কাজ আছে এখন?”
” রাস্তায় শীতের মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে তো ঠান্ডা লাগবে তোমার। এমনিতেই কোনো শীতের পোশাক পর্যন্ত পরোনি। তারচে দু’কাপ কাফ কফি করে আনবে দু’জন গল্পগুজব করবো।”
প্রিয়ন্তি হেসে দরজার তালা খুলে তিয়াসকে নিয়ে ভিতরে ঢুকে। তিয়াস বসার ঘরে বসে টিভি অন করেছে। প্রিয়ন্তি কথামতো মিনিট দশেক পরে দু’কাপ কফি নিয়ে বসার ঘরে উপস্থিত হলো। তিয়াসের হাতে একটা কফির কাপ দিয়ে অন্যটা নিজের হাতে করে পাশের সোফায় বসলো। টিভিতে নির্বাচনী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
” মা তো একবারও কল দিলো না আসার পরে, কিছু হয়েছে কী?”
প্রিয়ন্তির প্রশ্নে সন্ধ্যা বেলা সেই ভদ্রমহিলার তিক্ত কথাগুলোর কথা স্মরণ হলো তিয়াসের। অর্পার মনটা খারাপ। আজ সবকিছুই রেজওয়ানের জন্য। রেজওয়ানের জন্য প্রিয়ন্তির জীবনে এরকম একটা কালোদাগ পড়ে গেছে। এসব ভেবেই মন খারাপ করে আছে অর্পা। কিন্তু সেসব প্রিয়ন্তিকে বলবে না তিয়াস।
” কই কিছু তো হয়নি! বিকেলে তো ছিলে অনেক সময় একসাথে, এজন্য হয়তো কল করেনি। আগে তো দূরে থাকতে তাই ঘনঘন কল দিতেন।”
প্রিয়ন্তি কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে তিয়াসের কথা শুনছিলো।
” ওহ আচ্ছা। স্নেহার কাছে শুনলাম রিক্তা না-কি তোমাকে ভালোবাসে? আমার অবর্তমানে সে তোমাকে নিজের করতে চেয়ছিলো। ওর সাথে কখনো আমি আর কথা বলবো না। বজ্জাত মেয়ে একটা! ”
প্রিয়ন্তিকে দেখে মৃদু হাসলো তিয়াস। সেই হাসিতে প্রিয়ন্তির মেজাজ আরে বিগড়ে গেলো। সহসাই কফির কাপটা সামনে থাকা টেবিলে রেখে দ্রুতবেগে তিয়াসের শার্টের কলার চেপে ধরলো প্রিয়ন্তি। দাঁতে দাঁত খিঁচিয়ে বললো,
” সুখ সুখ লাগছে তাই না? আহা! একটা মেয়ে সেধেছিল প্রেম করতে তাতেই এতো আনন্দ। একেবারে খু*ন করে ফেলবো।”
” জানো তো প্রিয় তোমাকে আগে কখনো এরকম রূপে দেখিনি। কেমন ক্ষুধার্ত বাঘিনী মনে হচ্ছে। এতো জেলাস? খুব ভালোবাসো? ”
প্রিয়ন্তি এক চুল নড়লো না। ঠাঁয় কলার চেপে ধরে রইলো। রাগের মাথায় কথা চিবিয়ে চিবিয়ে বললো,
” আগে বলো রিক্তার সাথে কতদূর এগিয়েছিলে? নয়তো খেয়েই ফেলবো। ”
তিয়াস হুট করেই হাতের কাপটা রেখে প্রিয়ন্তিকে ঝটকায় নিজের কোলে বসালো। ঘটনার আকস্মিকতায় হকচকিয়ে গেলো প্রিয়ন্তি। রাগ গলে লজ্জায় লাল হয়ে গেলো সে।
” রাগলে তোমাকে আরো বেশি সুন্দর লাগে। এজন্য সুন্দরী মেয়েদের রাগ করতে নেই। কারণ তাতে তাদের প্রেমিক পুরুষের অবস্থা ভীষণ নাজেহাল হয়ে যায়। যেমন এখন আমার গেছে। ”
প্রিয়ন্তি লজ্জায় কিছু বললো না। মাথা নত করে তিয়াসের গলা আঁকড়ে বসে রইলো শুধু। তিয়াস আবারও বলতে শুরু করলো,
” রিক্তা তোমাকে ভীষণ ভালোবাসে প্রিয়। হ্যাঁ আমার প্রতি ওর ফিলিংস আছে কিন্তু সেটা নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি সে করেনি। আমি যখন স্পষ্ট তাকে জানিয়েছি, তুমি ছাড়া এ জীবনে আর কাউকে স্থান দিবো না আমি তখন সে বিনাবাক্যে মেনে নিয়েছে সবকিছু। এই মেয়েটা ছিলো বলেই আজ ব্যাবসায় এতটা উন্নতি হয়েছে। ওর বাবা যদি মোটা অঙ্কের লোন পাওয়ার জন্য সুপারিশ না করতো আমি পেতাম না। কারণ আমার যে অবস্থান ছিলো ব্যাংক এতো টাকা দিতো না। আর তখন তো রিক্তা ভেবেছিলো তুমি আর ফিরবে না। আর আমার অবস্থাও খারাপ ছিলো। মানসিকভাবে ভীষণ ভেঙে পড়েছিলাম…. ”
” থাক আর বলতে হবে না। আমি বুঝতে পেরেছি তিয়াস। হুট করে মাথা গরম হয়ে গেছিলো। আমি জানি রিক্তা কেমন এবং আমাকে কতটা ভালোবাসে। আগামীকাল দেখা হবে আমাদের। ”
” এইতো আমার লক্ষ্মী প্রিয়। তবে তোমার জেলাসি হওয়া দেখে বেশ ভালো লেগেছে। কত্তো ভালোবাসো আমাকে। ”
” তাহলে তো তুমি আমাকে ভালোবাসো না।”
তিয়াস দু’হাতে আরেকটু গভীরভাবে জড়িয়ে ধরে প্রিয়কে। দু’জন নর-নারীর নিঃশ্বাসের শব্দ ব্যতীত অন্য কোনো আওয়াজ নেই ঘরে।
” কেনো শুনি?”
” এতোগুলা দিন যে অন্যের ঘরে ছিলাম সেই নিয়ে তো তোমার কোনো জেলাসি নেই। ”
” কারণ আমি জানতাম ওটা পরিস্থিতি! পরিস্থিতি এমনই সৃষ্টি হয়েছিল আমি দূর থেকে কতটা জেলাস ফিল করেছি তুমি তো দেখতে পাওনি। অবশ্য আমি জানতাম মন থেকে তুমি শুধু আমাকেই ভালোবাসো এবং বাসবে। যেখানে মনের ভেতর আমি সেখানে বাহ্যিক সৌন্দর্যে কে থাকলো না থাকলো বিষয় না। ”
” বাহ্যিক সৌন্দর্যেও কেউ ছিলো না। আবরিশাম আর আমার মধ্যে কখনো বৈবাহিক সম্পর্ক তৈরি হয়নি। ওর কতগুলো জিএফ আছে তুমি ভাবতেও পারবে না।”
” হাহাহা! যাক এসব বিষয় থাক। এতো কাছে বসে আছো তবুও কি একটু ঠোঁট ছুঁইয়ে দিবে না আমার ললাটে? ”
” তুমি না ভীষণ অসভ্য হয়ে গেছো।”
” তা একটু। প্রিয়,এতোদিন আমাকে কতটা মিস করেছো?”
দু’হাতে শক্ত করে কোমর জড়িয়ে প্রিয়ন্তির দিকে মাথা ঝুঁকিয়ে ওষ্ঠে ওষ্ঠ ছুঁইছুঁই করে শুধালো তিয়াস। লজ্জায় যাচ্ছেতাই হয়ে যাচ্ছে প্রিয়ন্তি। দু-চোখ বন্ধ করে তপ্ত নিঃশ্বাস ফেললো কয়েকবার।
” একটুও না।”
” মিস করোনি কেনো? এজন্য এখন শাস্তি পেতে হবে। ”
প্রিয়ন্তি ভড়কে গেলো। মানুষটা এতো রোমান্টিক কবে হলো! আগে তো হাত পর্যন্ত ধরতো না। অবশ্য পরিস্থিতি বদলায় সাথে মানুষ ও বদলায়।

চলবে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here