স্বচ্ছ_প্রেমের_পদ্মপুকুর #লেখা_চাঁদনী_ইসলাম #পর্ব_১৩

0
604

#স্বচ্ছ_প্রেমের_পদ্মপুকুর
#লেখা_চাঁদনী_ইসলাম
#পর্ব_১৩

“গায়ে ভীষণ জ্বর,এ তো জ্বর নয়।
আপনাকে মনে করার তোলপাড় এক ঝড়।”

কিছু কিছু সময় থাকে অদ্ভুত ভাবে বয়ে চলে।যেই সময়টুকুতে নিজের বলতে কিছু থাকে না।সুন্দর স্মৃতিঘন মুহূর্ত থাকে না। ভালো লাগা থাকে না।শুধুমাত্র অসহনীয় এক যন্ত্রণা আর এলোমেলো ভাবনা ছাড়া কিছু থাকে না।শুধু কাউকে প্রচন্ডরকম মিস করা থাকে। নিরু আর আসাদের ও এখন তেমনই একটা সময় যাচ্ছে।দুজন দুই প্রান্তের মানুষ জানছে না দুজন দুজনের অগোচরে কি ভীষণ মিস করছে।কি অসহনীয় যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে প্রতিটাক্ষণ পার করছে।

নিরুর প্রাইভেট টিচার তানজিলা আফরিন সপ্তাহে পাঁচ দিন পড়াতে আসে। তিন দিন সকালে পড়ায় আর দুইদিন বিকেলে পড়ায়।আজ বিকেলে কাজ থাকায় সন্ধ্যায় পড়াতে এসেছে।তানজিলা আসাদের বন্ধু রাকিবের বড় বোন।আসাদের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক। আসাদের কথাতেই তানজিলা নিরুকে পড়াতে আসে।গত কাল রাত থেকে নিরুর শরীরটা খারাপ। হালকা জ্বর নিয়েই নিরু স্কুলে গেছিলো।স্কুল থেকে এসে বিছানায় শুয়েছে।শরীর খারাপের চেয়ে মন খারাপে নিরুকে বেশি কাবু করে ফেলেছে।শরীর খারাপ তো ঔষধ খেলে সেরে যায়।কিন্তু নিরুর এই মন খারাপ কিভাবে সারবে?তানজিলা নিরুর ঘরে এসে দেখে নিরু কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে।নিরুর গায়ে হাত দিতেই দেখে নিরুর শরীর জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে।তারপর নিরুকে বলে। “এই নিরু এতো জ্বর কখন হলো।ঔষধ নাওনি?”

নিরু চোখ খুলে চারপাশ ঝাপসা দেখলো।স্কুল থেকে যখন বাসায় আসে এতটা শরীর খারাপ ছিলো না। পুরো শরীর ব্যাথা, চোখ জোড়া খুলে তাকাতে পারছে না। চোখে জল টলমল করছে।তানজিলা নিরুর ঘর থেকে বের হয়ে আমিনাকে গিয়ে বলল। “আন্টি নিরুর তো অনেক জ্বর, ঔষধ নেয়নি? ডক্টরের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার তো।”

“কই আমাকে কিছু বলেনি তো।সকালে তো ঠিক ছিলো।সুস্থ মেয়ে স্কুলে গেল।আমি মার্কেটে গেছিলাম। তুমি আসার দু’মিনিট আগে আমি বাসায় ঢুকলাম।”

আমিনা বেগম কথা গুলো বলতে বলতে নিরুর ঘরে গেল।মনিকা আর মাহিয়াও আমিনার পিছু পিছু নিরুর ঘরে এলো।আমিনা নিরুর কপালে হাত দিয়ে আতকে উঠল।’একদিনে এতো জ্বর!’ আমিনা বেগম বালতিতে পানি এনে নিরুর মাথা ধুয়ে দিলো।আজিজুল হককে ফোন করে দ্রুত বাসায় আসার জন্য বলল।রান্না ঘরে গিয়ে নিরুর জন্য খাবার নিয়ে এলো।কিন্তু নিরু উঠে বসতেই পারলো না।আমিনা বেগমদের সাথে নিরু এতদিন আছে।এতদিনে নিরুর এমন জ্বর হতে আমিনা বেগম দেখেনি।
আজিজুল হক বাসায় আসতে আসতে ডক্টরকে কল করে বাসায় আসতে বললেন।ঘন্টাখানেকের মধ্যেই নিরুর গা কাঁপিয়ে জ্বর এলো।কয়েকটা কম্বল দিয়েও নিরুর কাঁপুনি কমানো গেল না।আমিনা বেগম বুকের সাথে জড়িয়ে রাখলেন।

ডক্টর এসে হালকা খাবার খাইয়ে দিতে বলে ঔষধ দিলো।প্রেসক্রিপ করলো।কেমন থাকে ফোন করে জানাতে বলল।আমিনা বেগমের নিয়ে আসা খাবারটা মাহিয়া গরম করে এনে কিছুটা খাইয়ে দিলো।
আজিজুল হক নিরুর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। নিরুর এমন জ্বর আরও একবার হয়েছিলো।নিরুর বাবা মা ভাইকে হারানোর পর নিরু এমন জ্বরে পড়েছিলো।তখন আজিজুল হক বুকে আগলে নিয়েছিলো।সেই শোক আজিজুল হক কখনো মুছে দিতে পারবে না। কিন্তু আজকের এই এতো অসুস্থতা কিসের? সেদিনের মতো কেন এতো কষ্ট পাচ্ছে তার মেয়েটা?
তানজিলা কিছুক্ষণ নিরুর পাশে বসে থেকে বাসায় চলে গেল।

গুণে গুণে পাঁচদিন পর নিরু স্বাভাবিক অবস্থায় এলো।জ্বর কিছুটা কমে এসেছে।বিকেল থেকে উঠে বসছেও।নিরুর কাছে মাথাটা এখনো ভারি ভারি লাগছে।মাহিয়া নিরুকে ধরে নিয়ে এসে ড্রয়িংরুমের সোফাতে বসালো। “এই তোমার হঠাৎ এতো জ্বর হলো কেন?ভাবলাম তোমার সাথে কত জায়গায় ঘুরতে যাবো।কিছুই হলো না।”

” সরি আপু! এতো জ্বর কেন হলো আমিও জানিনা।আমার সচরাচর এতো শরীর খারাপ হয় না।”

” তাড়াতাড়ি সুস্থ হও।আমাকে ঘোরাতে হবে।”

নিরু মাথাটা ঘোরালো।আমিনা বেগম কিছু ফল কেটে নিয়ে নিরুর কাছে এসে কপালে হাত রাখলো। “যাক জ্বরটা নেই।এই গুলো সব খেয়ে নিবি।একটাও যেন না থাকে।থাকলে পিটানি দেবো।”

নিরু বাটিটা আগে মাহিয়ার দিকে এগিয়ে দিলো।” নাও আপু।”

“তুমি খাও।আমি খেয়েছি।”

“আমি খাচ্ছি।তুমিও নাও।”

সন্ধ্যার দিকে আমিনা বেগমের কাছে আসাদ ফোন দিয়েছে।ফোনটা সোফার উপরে নিরুর পাশেই ছিলো।ফোনে রিং বাজতেই ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখে আসাদ নামটা ভেসে আছে।নামটা দেখেই নিরুর বুকটা কেঁপে উঠল।
“কি রে নিরু কে ফোন দিয়েছে?”

” আ আ আসাদ ভাই মামানি।”

” ফোনটা রিসিভ কর।”

নিরু ফোনটা মাহিয়ার দিকে এগিয়ে দিলো। “আপু মামানিকে ফোনটা দিয়ে এসো।”

মাহিয়া কথা বলতে বলতে ফোনটা আমিনা বেগমের কাছে নিয়ে গেল।নিরুর বার বার মনে হচ্ছে। আসাদ কিভাবে ধমকে উঠতো।সারাদিন কি কি করতো।মাথার মধ্যে আসাদের কথায় যেন ঘুরপাক খাচ্ছে।নিরু নিজের উপরেই কপট রাগ নিয়ে বলল, “মাথাটা তো এমনি এমনি ভারি হয়ে নেই।জলজ্যান্ত আস্ত একটা মানুষকে এইভাবে মিস করতে থাকলে তো, মাথা ভারি বোঝা হয়ে থাকবেই।”

কথা গুলো ভেবে নিরু ফল গুলো চিবাতে চিবাতেই সোফার উপরে শুয়ে পরল।

বেশ কিছুদিন হলো,আসাদ বাসার বাইরে গেছে।এর মধ্যে নিরুও দাদু বাসা থেকে ঘুরে এসেছে।মাসখানেকের মধ্যে নিরুর ফুপাতো বোন আয়েশার বিয়ে,কিছুদিন পরেই নিরুকে আবার যেতে হবে। আজিজুল হক এর মধ্যে আসাদকে একবার দেখে এসেছেন।পড়াশোনা কেমন চলছে খোঁজ খবর নিয়ে এসেছেন।

ঢাকাতেই আসাদের মামার বাসা।কিন্তু আসাদ মামার বাসায় ওঠেনি।বন্ধুদের সাথে এক সাথে থাকবে বলে মেসে উঠেছে।আজিজুল হক বলেছিলেন একটা ফ্ল্যাট নিয়ে উঠতে।কিন্তু আসাদ এখন ফ্ল্যাট নিয়ে উঠতে চায় না।এডমিশনের পর ফ্ল্যাট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে।আসাদ আর রাজিব কোচিং সেন্টার থেকে ফিরছিলো।রাকিব আসাদের পিঠ চাপড়িয়ে বলল। ” তোর কি বউ মারা গেছে? ”

” বউ মারা যাবে কেন?”

” তাহলে এমন শোক পালন করার কি আছে বল।”

” এডমিশন টেস্ট নিয়ে চিন্তায় আছি রে ভাই।”

” তুই এডমিশন নিয়ে চিন্তায় আছিস এইটা অন্তত আমাকে বিশ্বাস করতে বলিস না।”

” অনিমার খুব জ্বর ছিলো ভাই।এখনো মনে হয় পুরো সুস্থ হয়নি।”

“এবার আসল কাহিনি উঠে এসেছে।”

” নিরু চটপটি অনেক পছন্দ করে।আমি বাসায় থাকলে ওর জন্য চটপটি নিয়ে যেতাম।আমার মন বলছে আমি বাসায় থাকলে এতো জ্বর ওর হতো না।অল্প জ্বরে ওকে তাড়া দিয়েই ওর জ্বর ভালো করে দিতাম।”

” তাড়া দিয়ে জ্বর ভালো করতি কিভাবে?”

” অনিমা খুব উদাসীন, বিশেষ করে নিজের উপরে। ওর শরীর খারাপ হলে সহজে ঔষধ খেতে চায় না। ওর শরীর খারাপ হলে একটা ধমক দিতাম ঔষধ খেয়ে নেওয়ার জন্য, আমার ধমকে সচেতন হতো।আমি বাসায় থাকলে কি ওর জ্বর বাড়তে পারতো বল?”

” যাকে প্রতিটা মুহূর্ত চোখে হারাস,তার কাছ থেকেই এতো তাড়াতাড়ি আসার তাড়া করলি কেন?”

আসাদ সেদিন বিকেলের পুরো ঘটনাটা রাকিবের সাথে শেয়ার করল।রাকিব আসাদের পিঠে একটা চাপড় মেরে বলল। “তুই কি বলদ?”

“কেন,আমি আবার কি করলাম?”

“ওই ছেলেটাকে চিনিস তুই? কি করে জানিস?”

” না চিনি না। দেখলাম হাতে একটা বই ছিলো পড়াশোনা করে হয়তো। ”

“সেদিন ওদের সামনে যাসনি কেন?”

” আমি সামনে যেতে যেতে ছেলেটা ওখান থেকে অনেকটা এগিয়ে গেছিলো।নিরুকে জিজ্ঞেস করার পর কি বলল।তোকে তো বললাম-ই।”

“শোন ওই ছেলেটাকে কি তুই জামশেদ মামার চায়ের দোকানের পাশের ওই লেদের দোকানটায় কখনো দেখিসনি?”

” এই এক মিনিট, এক মিনিট, হ্যাঁ দেখেছি।”

আসাদ কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল। “তুই কিভাবে জানলি? ”

” রিংকি মামি বলছিলো।”

“রিংকি মামি বলছিলো মানে?”

” মানে হলো আমাদের রিংকি মামি অনিমার খুব নাম করছিলো।বলছিলো যে, ‘আসাদদের বাসায় যেই মেয়েটা থাকে।ওই মেয়েটা অমায়িক একটা মেয়ে এবং খুবই ভালো।’ ”

” রিংকি অনিমাকে চিনলো কিভাবে?”

“রিংকিদের পাশের ফ্লাটেই অনিমার বান্ধবী রাহিমারা থাকে।রিংকির সাথে রাহিমার ভালো সম্পর্ক। এক সাথে থাকে ।”

“তারপর বল।”

“তারপর অনিমাদের স্কুলে একটা মেয়ে খুবই অসহায়, বই কিনতে পারে না। আর কেউ ফ্রী ফ্রী বই দেয় না।বইয়ের অর্ধেক দাম নিয়ে বই দেয়।সেখানে অনিমা ওর ক্লাস এইটের বই গুলো ওই মেয়েটাকে এমনি এমনি দিয়েছে।আবার কিছু খাতাও দিয়েছে নাকি।”

“ওর মনটা অনেক ভালো জানি।শুধু বই না,ওর অনেক জিনিস-ই থাকে। যেগুলো ও বিনাদ্বিধায় অন্যকে দিয়ে দেয়।কিন্তু এই ঘটনার সাথে ওই ছেলের কি সম্পর্ক? ”

“ওই ছেলেটায় হচ্ছে অসহায় পরিবারটার বড় ছেলে।তুই যেদিনের কথা বললি ওই দিনই নিরু বই গুলো ওই মেয়েটার ভাইয়ের হাতে দেয়।মেয়েটা তো এতো গুলো বই নিয়ে যেতে পারবে না। তাই ছেলেটা এসে নিয়ে যায়।রাহিমাও অনিমার সাথে ছিলো কিছুক্ষণ, ওইটা রাহিমা রিংকির সাথে শেয়ার করেছে।রাতে তুই যখন বললি রিংকিকে আমি যেন সাথেই নিই।তখন রিংকিকে ফোন দিয়েছিলাম।কাহিনিটা তখনই বলল।”

” কি করেছি এইটা আমি,আমি কেন বুঝলাম না।”

” মন খারাপ করিস না।এবার বাসায় গিয়েই প্রপোজ করে দিবি যা হয় হবে।”

” হুম।”

“রিংকি মামিকে ধন্যবাদ দিও।”

আসাদ ভ্রু জোড়া কিঞ্চিৎ বাকা করে বলল। “রিংকি তোর কোন ধারের মামি?”

” তোর ধরে মামা।”

“তোর মার খাওয়ার শখ হয়েছে? ”

“তুই দেখ শুধু তোর উপরে না,তোর পরিবারের প্রত্যেকটা মানুষের সবকিছু ওর জানা।এবং সব নজরে রাখে।আর জেনেও রাখে।তুই সহ পুরো তোর পরিবারকে পটিয়ে ফেলবে।”

রাকিব হাসতে হাসতে আরও বলল। “দেখো না হয় মামা। রিংকি যতটা খেয়াল রাখে তুমি ও কিন্তু পারোনি।মামি মনে হয় হয়েই গেল। ”

“ফাজলামি বন্ধ কর।আমার মাথায় আর কাজ করছে না।”

“মন খারাপ করিস না।সব ঠিক হয়ে যাবে। ”

আসাদ আর রাকিব ফুটপাত ধরে হাঁটছে।চারপাশে এতো কোলাহল তাও যেন চারপাশটা আসাদের কাছে শূন্য লাগছে।নিরুর কণ্ঠটা শোনার জন্য বড্ড অস্থির লাগছে।আসাদ রাস্তার মধ্যে থেকেই আসাদের মায়ের কাছে কল দেয়।আমিনাই ফোনটা ধরে,আসাদ আর বলতে পারে না। “আম্মু নিরুর কাছে ফোনটা দাও।”
মায়ের সাথে কথা বলে আসাদ ফোন রেখে দেয়।এশার আযান পর্যন্ত অপেক্ষা করে। কারণ এশার আযানের পর পর-ই আমিনা বেগম নামাযে বসেন।তখন আজিজুল হক ও বাসায় আসেন না।ফোন বাজলে নিরুই ফোন ধরবে।সেই আশায় আসাদ অপেক্ষায় ছিলো।
এশার আযানের পাঁচ মিনিট পরেই আসাদ ফোন দিলো।প্রথমবার কল কেটে যায়।দ্বিতীয় বার ফোন রিসিভ হয়। আসাদের ধারণায় ঠিক হলো।নিরুই ফোন ধরেছে।

নিরু ড্রয়িংরুমে বসে পড়ছিলো।ফোনটা বাজতে দেখে নিরু ফোনের কাছে গেল।মামা ফোন করেছে ভেবে তাড়াতাড়ি-ই গেল। আসাদের নাম্বার দেখে ফোনটা ধরতে ইচ্ছে করলেও নিরুর হাতটা যেন কোনভাবেই এগোচ্ছিলো না।নিরুর ভীষণ অভিমান হচ্ছিলো।ফোনটা কেটে গিয়ে আবারও রিং বেজে ওঠে।নিরু এবার ফোনটা ধরল।

“হ্যালো অনিমা।”

“আমি ফোন ধরেছি।আপনি জানলেন কিভাবে? আমি তো আগে কথা বলিনি।”

“কেমন আছিস তুই?”

” ভালো আছি। ”

“আমি কেমন আছি জানতে চাইবি না।”

“মামানি তো বলে ভালোই আছেন।অসুস্থ থাকলে তো শুনতে পারতাম।”

” আমার উপর রাগ করে আছিস তুই?”

” না!”

” সরি নিরু!আমি তোকে ভীষণ মিস করছি। ”

এই কথাটুকুতেই নিরুর কি যে হলো। নিরু ডুকরে কেঁদে উঠল।সব অভিমান অভিযোগ যেন চোখের জলের সাথে বেড়িয়ে পড়তে চাইলো।নিরু আর কোন কথা বলতে পারলো না।চুপ করে ফোনটা কানের সাথে ধরে রাখলো।

“এই অনিমা শুনতে পাচ্ছিস?”

” হু!”

” কিছু বলবি না?”

” না আপনাকে কিছু বলার নেই।কখনো বলবোও না।”

নিরু কলটা কেটে দিলো।আসাদ ফোনটা কান থেকে নামিয়ে বুকে চেপে ধরল। আসাদ বুঝতে পেরেছে নিরু কাঁদছে।নিরুর ডুকরে ওঠা কাঁন্নাটুকুতে আসাদের আজ খারাপ লাগেনি।বরং স্বস্তি দিয়েছে।নিরুর অভিমান বুঝতে পেরেছে।আসাদ যদি পারতো এখনই নিরুর কাছে চলে যেত।অভিমানে ভরা মুখখানি দুই হাত দিয়ে ধরে চোখের জল মুছিয়ে দিতো।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here