স্বচ্ছ_প্রেমের_পদ্মপুকুর #লেখা_চাঁদনী_ইসলাম #পর্ব_৩৪

0
567

#স্বচ্ছ_প্রেমের_পদ্মপুকুর
#লেখা_চাঁদনী_ইসলাম
#পর্ব_৩৪

আসাদ পরের দিন রাত বারোটার পর বাড়ি আসে।সারাটাদিন হন্যে হয়ে মেডিকেলের আনাচে কানাচে নিরুদের খুজেছে।নিরুর ছবি বের করে দেখিয়েছে,আশপাশে কেউ দেখেছে কিনা।আনাস মোল্লার ফোনে একাধিক বার কল দিয়েছে।উদ্ভ্রান্তের মতো খুজেছে,তারপর না পেয়ে ক্লান্ত হয়ে বাড়ির দিকে এসেছে।দুটো দিন না খাওয়া,আসাদের শরীর আর চলছে না।গতকাল সকালে না খেয়েই বের হয়েছিলো।একটানা ড্রাইভ করে গেছে,আবার ফিরে এসেছে।অস্থির মন নিয়ে কোথাও দাঁড়িয়ে খাওয়ার মতো ইচ্ছে ছিলো না।দুটো দিন পথে পথেই কাটালো।পাগলের মতো নিরুকে খুজলো।আসাদের বার বার মনে হচ্ছিলো এই বুঝি নিরু সামনে আছে,এখনই দেখা হয়ে যাবে। ঘন্টার পর ঘন্টা চলে গেল নিরুর দেখা আর পেলো না।

আসাদের কাছে ঘরের মেইন দরজার চাবি থাকায় আসাদ কলিংবেল চাপলো না।এখন কলিংবেল চেপে আমিনার প্রশ্নের মুখোমুখি হতে ইচ্ছে করলো না।আসাদ টলতে টলতে নিজের ঘরে ঢুকতে গিয়ে চিল্লাচিল্লির শব্দ শুনে একটু এগিয়ে গেল।আজিজুল হক আর আমিনা উচ্চস্বরে কথা বলছেন।এক প্রকার ঝগড়া করছেন বলা চলে। আসাদ নিজের ঘরে চলে আসছিলো।তখনই আমিনা বেগম উঁচু গলায় বললেন, “আসাদের আব্বু তোমাকে আমি বার বার বলছি, নিরুকে আমি কখনোই আসাদের বউ করে আনবো না।এতদিন আমি নিরুকে মেয়ের মতো করে বড় করেছি এতিম হিসেবে,আমার ছেলের বউ বানানোর জন্য না।”

“আজিজুল হক চিৎকার করে বললেন, ” খবরদার আমিনা তুমি আর একবারো নিরুকে এতিম বলবা না।”

“আমি কি বানিয়ে এতিম বলছি?তুমি কেন বুঝতে পারছো না।”

“আমি যথেষ্ট বুঝেই বলছি।আমার কথার উত্তর দাও,তোমার বোন আর বোন জামাই যদি বেঁচে না থাকতো?মাহিয়া যদি একা হতো,তখন ও কি এইসব বলতে?”

আমিনা ঘাবড়ে গেল কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল, “যেইটা হয়নি সেইটা ভেবে তোমার উত্তর দিতে পারছিনা।এতদিন নিজের বোনের মেয়েকে খাইয়ে পড়িয়ে বড় করেছো।এখন ভালো ছেলে দেখে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বিয়ে দিয়ে দাও।আমার কোন আপত্তি নেই।কিন্তু নিজের ঘরে আনার চিন্তা একদম করো না।আমার বোনের মেয়ে হলে কখনোই এমনটা করতো না,যার খেলো তার-ই পাত ফুটো করলো।”

“আমিনা নিরু কেমন তুমি আমার চেয়ে ভালো জানো।”

“জানি বলেই এখনো তোমাদের বুঝিয়ে যাচ্ছি।কোন মা চাইবে না তার ছেলের কপাল পুরুক।কোন এতিম মেয়েকে ঘরে তুলে নিজের শখ, আহ্লাদ থেকে বঞ্চিত হোক।শুধু ভালবাসা দিয়ে আনন্দ শখ পরিপূর্ণ হয় না।চারপাশে আপনজন লাগে।উভয় পরিবারের সাপোর্ট থেকে সম্পর্কের সৌন্দর্যতা আসে।তুমি ভুলে গেছো আমার বাবার বাড়ি থেকে তুমি এখন পর্যন্ত কি পরিমাণ ভালবাসা পাও।আর কত খুশি হও,এই গুলো থেকে আমার ছেলে বঞ্চিত হবে কেন?”

আজিজুল হক আমিনার পরিবার থেকে অনেক ভালবাসা,আদর, যত্ন, ভক্তি পেয়েছেন,এখনো পাচ্ছেন।আজিজুল হক অস্বীকার করেন না।বিয়ের পর এমন কিছু পাওয়া সৌভাগ্যের কিন্তু নিরুর ক্ষেত্রে এইসব মানতে পারছেন না।

“আমিনা নিরু আমাদের মেয়ে,আর নিরু আসাদ দুজন দুজনকে পছন্দ করে।”

“পছন্দ করে তো কি হয়েছে?দেখাশোনা করে বিয়ে করে কি ভালো সম্পর্ক তৈরি করা যায় না। আর পছন্দ করেছে বলে কী?”

আজিজুল হক জোর গলায় বললেন, “আসাদের বউ নিরুই হবে।”

“তুমি ভুলে যেও না,আমি মনিকাকে কথা দিয়েছি।আর এইটা তোমার অজানা নয়।”

“যেখানে ছেলেই রাজি নয়,সেখানে কথা দেওয়া আর না দেওয়ায় কি যায় আসে?”

“তোমার ছেলের সিদ্ধান্তে সব কিছু হবে না।”

“তোমার সিদ্ধান্তেও সব হবে না। মনিকার সাথে আমি কথা বলবো।এইসব চিল্লাচিল্লি বন্ধ করে ঘুমাও।”

“আমার কথা শেষ হয়নি,তুমি তোমার ছেলেকে বোঝাও,মাহিয়াকেই বিয়ে করতে হবে।”

আসাদের হঠাৎ করে সুমাইয়ার কথাটা মাথায় এলো, “ভাইয়া আপনি অন্য কাউকে বিয়ে করবেন না প্লিজ!”
সুমাইয়ারা এই বিষয়ে পুরো ঘটনা জানে,না হয় বিয়ের কথা বলবে কেন? তারমানে নিরু ও সব জানে,এইসবের জন্যই এতো পরিবর্তন?
আসাদ আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলো না।আমিনাদের ঘরে ঢুকে আমিনার দিকে তাকিয়ে বলল, “আম্মু আমি বিয়ে করলে নিরুকেই করবো।আর এইসব বাজে চিন্তা ভাবনা তোমার মাথায় এলো কীভাবে?”

“আসাদ আমার কথা শোনো।”

“আম্মু তুমি কি বলবা আমার আর অজানা নয়।এইসব নিচু মানসিকতার চিন্তাভাবনা বাদ দাও।আমি নিরুকেই বিয়ে করবো।আর এবারই করবো।”

আসাদ আমিনাদের ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।আজিজুল হক মাথায় হাত দিয়ে বসে রইলেন।
আমিনা গর্জে উঠে বললেন,”এই ব্যাপারে তোমাদের বাবা ছেলের কথা যদি আমাকে মানতে হয়।তাহলে তোমরাও মাথায় ঢুকিয়ে নাও, এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে দুইবার ভাববো না।”

আসাদ নিজের ঘরে গিয়ে দরজাটা শব্দ করে লাগিয়ে দিলো।আনাস মোল্লার ফোনে আবারও কল দিলো।দুইদিন থেকে কল দিয়ে একই কথা শুনছে।এতোরাতে আয়েশাকে কল দিতে গিয়েও দিলো না।সকাল হওয়ার অপেক্ষায় রইল।আসাদ কল্পনাতেও ভাবেনি, ট্রেনিং শেষ করে এসে এমন অসহ্য যন্ত্রণার মুখোমুখি হতে হবে। আসাদ শুধু নিরুর অবস্থাটাই ভেবে চলেছে।

নিরু আমিনার কাছ থেকে যেদিন শোনে আসাদ ট্রেনিং শেষ করে বাড়ি আসছে।নিরু সেদিনই আনাস মোল্লাকে রাজি করিয়ে ফোনে সিম বদলিয়ে ফেলে।নতুন নাম্বার মামানিকেও নিরু দেয়নি।নিরু আর ওই বাড়ির কারো সাথে যোগাযোগ রাখতে চায় না।এই জন্য আসাদ এতো ফোন করেও আনাস মোল্লাকে পায়না।আমিনা ভোরের দিকে খাদিজাকে ফোন দিয়ে আনাস মোল্লার নতুন নাম্বার নেয়।আমিনার নাম্বার আনাস মোল্লা চেনে তাই রিসিভ করছিলো না।আর নিরু ও অনুরোধ করেছে কারো সাথে কথা না বলতে,বার বার কল আসাতে আনাস মোল্লা নিরুর ঘরেই ফোনটা দিয়ে আসে।নিরু ধরবে না ধরবে না করেও, কারো যদি কিছু হয় এইটা ভেবে কলটা রিসিভ করলো।
নিরু হ্যালো বলতেই, আমিনা বেগম ঝটপট করে বললেন, “সিম বদলিয়েছিস ভালো, তাই বলে আমাকে নতুন নাম্বার দিবি না?”

নিরুর প্রচন্ড রাগ উঠলো,তারপরও কিছু বললো না।আমিনা বেগম বললেন, “নিরু আসাদ খুব পাগলামি করবে,তুই যেন নরম হবি না।তুই আসাদকে বুঝিয়ে বলবি।মস্তিষ্ক দিয়ে ভাবতে বলবি।”

“মামানি তুমি কী এই গুলো বলার জন্যই ফোন দিয়েছো?”

“হ্যাঁ এইগুলো বলার জন্যই ফোন দেওয়া।আমার জীবনে আর শান্তি নেই।এইদিকে মনিকা একেরপর এক ফোন দিয়ে বলছে বিয়েটা কবে পড়াবো।আমার আর সহ্য হচ্ছে না।”

“তুমি কান্নাকাটি করো না। তোমার ছেলের কাছ থেকে আমি সরে এসেছি।আর কোন যোগাযোগ করবো না। ”

“তোর উপর বিশ্বাস আছে আমার,তারপরও শোন নিরু তুই যদি আসাদকে বোঝাতে না পারিস।তাহলে তোরা এই বাড়িতে সংসার করবি,আমি আজীবনের জন্য চলে যাবো।এইটা মনে রাখবি।”

নিরু আঁতকে উঠা গলায় বলল, “মামানি পাগল হয়ে গেছো? তুমি নিশ্চিন্তে থাকো,আসাদ ভাই আমার কাছে হাত জোড় করলেও আমি তোমাদের মাঝে আর যাবো না।ছেলে তোমার,সংসার ও তোমার তুমিই সাজিয়ে রাখো।আমি এতিম আমার এতো সংসার, ভালবাসা দিয়ে কি হবে।এইসব আমাদের জন্য না।রাখো!এই ফোনে আর ফোন দিও না।আমি আর কখনো তোমাদের কারো ফোন রিসিভ করবো না।আসাদ ভাইকে তুমি ভালো করে বুঝিয়ে বিয়ে দিয়ে দাও,রাখছি!”

নিরুর জন্য মামা মামানির সংসারে অশান্তি এইটা কোনভাবে নিরু নিতে পারছে না।আসাদকে ছাড়া থাকতে হবে এইটাও ভাবতে পারছে না।নিরু কি করবে এখন?
নিরুর ভালবাসা বাচাতে মামা মামির সংসারে অশান্তি এইটা তো নিরু কখনোই মানতে পারবে না।যেই মানুষটা মা হয়ে বুকে আগলে রেখেছিলো,জ্বর হলে বুকে জড়িয়ে রাখতো।সেই মানুষকে নিরু কীভাবে কষ্ট দেবে?
নিজের বুকের যন্ত্রণা সহ্য করে নেবে,কিন্তু মামানির কথা অগ্রাহ্য করতে পারবে না।
আসাদের কথার মুখোমুখি আজ না হয় কাল নিরুকে হতেই হবে।নিজেকে এখন থেকেই কঠিন কথা বলার জন্য তৈরি করতে হবে।

আসাদ সকাল সকাল আয়েশার ফোনে কল দিলো।আয়েশা দুইবারের বেলায় ফোন রিসিভ করলো।

“হ্যালো আসাদ!কেমন আছিস?”

“আমি আছি আলহামদুলিল্লাহ! তোরা কেমন আছিস? নিরুর কোন খবর জানিস?

” ভালো আছি রে,হ্যাঁ জানবো না কেন? সকালে গেছিলাম নিরু তো নিজের ঘরেই বসে ছিলো দেখলাম।কিন্তু নিরুর শরীর খারাপ সারাদিন বিছানা থেকে উঠে না।”

“তুই নিরুর কাছে ফোনটা নিয়ে যেতে পারবি প্লিজ!”

“কেন কিছু কী হয়েছে?”

“তিনদিন থেকে দাদুর ফোনে কল দিচ্ছি,কল যায় না,কোন খোঁজ পাচ্ছি না।পরশু ঢাকায় এসেছিলো এতো খুঁজেও পেলাম না।”

“নানু ঢাকায় যাবে কেন?আমাদের বাড়ি গেছিলো, আম্মুর শরীর খারাপ তাই দেখতে গেছিলো।কাল সন্ধ্যায় চলে এসেছে।সকালেই তো নানুকে ফোনে কথা বলতে দেখলাম।”

আসাদ আয়েশাকে সবটা খুলে বললো,তারপর আয়েশাকে অনুরোধ করলো আসাদকে একটু সাহায্য করার জন্য, আয়েশা পুরো কাহিনি শুনে অবাক হয়ে গেল। এতোকিছু হয়েছে আর নিরু কিছু জানালো না।দাদুরাও কেউ কিছু বললো না।আয়েশার একটু অভিমান ও হলো।এইসবের জন্যই নিরু হাসে না,ভালো করে কথা বলে না। আয়েশা ভাবে মামাদের কথা মনে পড়ছে,তাই হয়তো মন খারাপ। নিরুকে আর ঘাটে না।এখন সবটা বুঝতে পারছে।
আসাদ আয়েশা বলে ডাকতেই আসাদের গলা শুনে আয়েশা হু বলে জানালো, আয়েশা এখনও লাইনে আছে।আর এইটাও বললো এখনই নিরুর কাছে যাচ্ছে।আসাদ আয়েশাকে বলল, কল কাটতে হবে না।নিরুদের বাড়িতে গিয়ে নিরুর কাছে ফোনটা দিতে।আয়েশা নিরুদের বাড়িতে গিয়ে নিরুর ঘরে এলো।নিরু শুয়ে ছিলো।আয়েশা গিয়ে নিরুকে ডেকে বললো, “নিরু ঘুমিয়ে আছিস?”

নিরু উঠে বসে বলল,”না আপু বলো।”

“আসাদ কথা বলবে,নানুর ফোনে কল আসছে না বলে।তাই আমার ফোনে কল দিয়েছে নে ধর।”

আয়েশা নিরুর কাছে ফোন রেখে ঘর থেকে বেরিয়ে এলো।নিরু নিজ থেকে কিছু না বলা পর্যন্ত আয়েশা কিছু জিজ্ঞেস করে নিরুকে কষ্ট দেবে না। আয়েশা এখন বুঝতে পারছে নিরু কি ভয়ানক সময়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
আয়েশা ঘর থেকে বেরিয়ে গেলে নিরু একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ফোনটা কানে ধরে হ্যালো বলে।আসাদের কথায় রাগ অভিমান আর তেজের মিশ্রণ, “তুই কি চাস আমি মরে যাই?”

নিরুর চোখে জল এলো,ডুকরে কান্না পেলো। তারপরও নিজেকে ধাতস্থ করে নিয়ে বলল, “আমি এইসব চাইবো কেন?”

“তাহলে কেন এতো লুকোচুরি,আমাকে যন্ত্রণা দিচ্ছিস কেন? আমার সাথে কি হয়েছে তোর,আমি তো তোর সাথে আছি নিরু।”

“দেখুন আসাদ ভাই,দাদু আমার বিয়ে ঠিক করেছে,সামনে আমার বিয়ে।এইসব নিয়ে কথা বলতে আমার ভালো লাগছে না।”

“এই দাঁড়া তোর বিয়ে মানে?”

“বিয়ে মানে আবার কি,বিয়ে মানে বিয়ে।দাদু চাচারা চান না কোন আত্নীয়র সাথে আমার বিয়ে হোক।এইটা আপনার আর মামার-ই কথা।তাই এইসব ভুলে সুন্দর করে জীবনটা গুছিয়ে নেন।”

“নিরু আমার সাথে হেয়ালি করিস না।তোর হেয়ালি শোনার মতো মন এখন আমার নেই।দুটো দিন পাগলের মতো পথে পথে খুঁজেছি তোকে,আমার সাথে এইটা কেন করলি?”

“আমি কিছু করিনি আসাদ ভাই।”

“আচ্ছা তুই কিছু করিসনি,আমি এখনই রাজশাহী আসছি।আমরা আজকেই বিয়ে করবো।”

নিরু বুকে পাথর চেপে বলল, “আপনাকে আর আমার ভালো লাগে না আসাদ ভাই।”

“ভালো না লাগলেও আমার সাথে তোকে আজীবন থাকতে হবে।”

নিরু এবার চিৎকার করে বলল, “এই আপনাকে না বলছি,আপনাকে আমার ভালো লাগে না, সহ্য হয় না আপনাকে,আর কোনদিন আপনি আমার সামনে আসবেন না।”

“আমি এখনই আসবো।দুচোখ ভরে তুই আমাকেই দেখবি।ট্রেনিং থেকে এসে না হয় একটু কালো হয়ে গেছি।”

“আসাদ ভাই আমি মজা করছি না।”

“নিরু তোর কী হয়েছে,এমন করছিস কেন?

” আপনি আর কখনো ফোন দিবেন না।”

“আমি ফোন না দিলে,তুই আমাকে ছাড়া ভালো থাকবি?”

“অবশ্যই ভালো থাকবো।”

“আমি ভালো থাকতে পারবো না। আমার বুকে চিনচিন একটা ব্যাথা করছে।আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি।তোকে খুব মনে পড়ছে।”

“আমাকে মনে করতে বলছে কে আপনাকে?

” নিরু এবার কিন্তু খুব বেশি হয়ে যাচ্ছে।”

“আপনাকে কতবার বলতে হবে, আপনাকে আমার সহ্য হচ্ছে না। মুক্তি দেন আমাকে,আপনার থেকে মুক্তি চাই।”

“নিরু আমি তোর সাথে আছি,আমার আর কাউকে লাগবে না। শুধু তুই আমার হয়ে থাক।”

“সম্ভব না,আমি দাদুর কথায় শুনবো।”

“আমি এসে দাদুর সাথে কথা বলছি।”

“আপনি আমাদের বাড়িতে এলে আমার এখানেই শেষ দিন হবে।আজন্মে আমাকে চোখের দেখাও দেখতে পাবেন না। আমাকে আমার মতো করে থাকতে দিন।”

আসাদকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে নিরু কল কেটে দিলো।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here