#স্বচ্ছ_প্রেমের_পদ্মপুকুর
#লেখা_চাঁদনী_ইসলাম
#পর্ব_২৯
কিছুদিন আগে আনাস মোল্লা নিরুকে রাজশাহী নিয়ে গেছে।আমিনা বেগম কাউকে কিছু না বলে সেই রাতেই আনাস মোল্লাকে ফোন দিয়ে বলেন, নিরুকে নিয়ে যেতে।আনাস মোল্লা নিরুর পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকে নিরুকে আনতে চাচ্ছিলেন।আমিনা বলার পরের দিন নিরুকে নিতে আসে।নিরু ভাবছিলো দাদু কাউকে কিছু না জানিয়ে একাই নিতে এসেছে।আজিজুল হকের জরুরি কাজ পড়ায় ভোরের দিকে কয়েকদিনের জন্য ঢাকার বাইরে যান,আনাস মোল্লার সাথে দেখাটাও হয়নি।
নিরু,আসাদ দুজনেই ভাবে দাদু বেড়াতে নিয়ে গেল।কিন্তু এই যাওয়ায় নিরুর জীবনে কাল হলো।আমিনা বেগম আনাস মোল্লাকে বললেন,নিরুকে রাজশাহী কোচিং সেন্টারে ভর্তি করাতে।আনাস মোল্লা খুশিই হলেন, নিরুর এখান থেকে কোচিং করা হবে, আর ছুটিটাও কাটিয়ে যেতে পারবে।
নিরুর রাজশাহী গিয়ে কোচিং সেন্টারে ভর্তি হওয়ার কথা শুনে আসাদ আমিনা বেগমের কাছে গিয়ে শুধালো, “আম্মু নিরু রাজশাহী কোচিং সেন্টারে ভর্তি হলো কেন?”
আমিনা বেগম সবজি কেটে উঠছিলেন,আসাদের কথা শুনে আসাদের দিকে একবার তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিলে বললেন, “নিরুর দাদু চান নিজের কাছে রাখতে,রাজশাহী থেকেই কোচিং করুক।”
আমিনা বেগমের কণ্ঠটা কেমন যেন শোনালো,রুক্ষ কণ্ঠস্বর, আসাদ এই কণ্ঠস্বরের সঙ্গে পরিচিত নয়।আসাদের মনে হচ্ছে আমিনা বেগমের মধ্যে কিছু একটা চলছে।আসাদ আমিনার পিছু পিছু গিয়ে শুধালো, “আম্মু তোমার কী শরীর খারাপ লাগছে?এমন অস্থির হয়ে আছো কেন?না নিরুর জন্য মন খারাপ হচ্ছে?”
“এতো গুলো প্রশ্ন করছো কেন?আমার মন খারাপ হবে কেন?”
আমিনার কথায় আসাদ চুপ হয়ে গেল,আমিনা কখনো আসাদের সাথে এইভাবে কথা বলে না।আমিনা রান্না ঘরে ঢুকে রান্নায় ব্যস্ত হয়ে গেল।আসাদ চুপচাপ মায়ের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে রইল।আজিজুল হক বাড়ি এলে,আসাদ বাবার কাছে গিয়ে বসে।তারপর বলে, “আব্বু, আম্মুর কী হয়েছে জানো?”
“তোমার আম্মুর আবার কী হবে?”
“আম্মু আমাকে তাড়া দিয়ে কথা বলছে কেন?তোমার সাথে কিছু হয়েছে সেই জের আমার উপর দিয়ে তুলছে।”
“আমার সাথে তোমার আম্মুর কখনো কিছু হয়েছে?”
আসাদ মাথা নাড়িয়ে না বললো।আজিজুল হক বললেন, “শরীরটা খারাপ যাচ্ছে হয়তো, আমি কথা বলে দেখছি বাবা।”
“কিছু বলতে হবে না,কয়দিন পর চলে যাবো,তখন কার রাগ কাকে দেখায় দেখবো।”
আসাদ বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়ে গেল।আজিজুল হক আমিনাকে ডাকলেন।আমিনা পাশে এসে বসতেই,আমিনাকে বললেন, “কি হয়েছে? আসাদের সাথে রুক্ষ আচরণ করেছো কেন?”
আমিনা এক প্রকার তেজ দেখিয়ে বললেন,”এইসব তোমার না দেখলেও চলবে,তোমার দায়িত্ব বাইরে নজর রাখা,ঘরের কিছু দেখার দায়িত্ব তোমার না।”
আজিজুল হক আমিনাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে বললেন, “এতো অভিমান হয়েছে কেন?”
“আমি বললাম না বাইরের দায়িত্ব নিয়ে থাকো,ঘরের দায়িত্ব আমার একার,সবকিছু দেখার দায় আমার,তোমার কিছু জানা লাগবে না।আমি তো আছি সারাদিন সংসারের বোঝা টেনেও সবদিকে নজর রাখার জন্য।”
“কি হয়েছে না বললে বুঝবো কীভাবে।”
“তোমাকে কিছু বুঝতে বলেছি?”
“ঝগড়া করার মুড নিয়ে বসে আছো?”
“আমাকে রাগাবা না, এখান থেকে যাও।”
আজিজুল হক জানেন এখন শত বার জিজ্ঞেস করলেও আমিনা কিছু বলবে না।যতক্ষণ না নিজের ইচ্ছে হবে।তাই উঠে যাচ্ছিলেন,যাওয়ার আগে বললেন, “নিরুকে রাজশাহী কোচিং সেন্টারে ভর্তি করলো কেন?আমি এখানে কথা বলে রেখেছিলাম।আমাকে কিছু জানালোও না,আমি তো ব্যস্ততার মধ্যে ছিলাম।তোমাকে জানিয়েছিলো নাকি?”
এই কথাটুকুতেই আমিনা ক্ষেপে গিয়ে বললেন, “আর কতদিন পুষবা?এতকাল পুষেও হয়নি?”
“এইসব কী বলছো?”
“ঠিকই বলছি,যাদের মেয়ে তারা এবার পুষবে,খুব হয়েছে।”
আজিজুল হক ভেবে পেলেন না কি এমন হয়েছে।নিজের রাগটুকু সংবরণ করে আমিনার হাত ধরে শুধালেন, “কী হয়েছে বলো তো?”
আমিনা কিছু সময় চুপ করে থেকে বললেন, “তুমি না বলেছিলে তোমার বোনের মেয়ে কিছু জানে না?তোমার ছেলের মনেই ওই গুলো আছে।”
“পুরোটা খুলে বলো কী হয়েছে?”
আমিনা সেদিনের পুরো ঘটনাটা আজিজুল হককে বললেন,আজিজুল হক কি বলবেন বুঝতে পারলেন না,থম মেরে বসে রইলেন।আমিনা বললেন,”আমি চাই না নিরু এই বাড়িতে ফিরুক,ভালো একটা ছেলে দেখে বিয়ের ব্যবস্থা করো।”
আজিজুল হক কিছু বললেন না, চুপচাপ বসে রইলেন,এই বিষয়ে ছেলের সাথে কীভাবে কথা বলবেন?আসাদ কেমন রিয়াক্ট করবে?আজিজুল হক কীভাবেই বা সামলাবেন এই পরিস্থিতি?
এইভাবেই একমাস কেটে গেল।আনাস মোল্লার ফোন থেকে দিনে দুইবার করে নিরু আর আসাদের কথা হয়।নিরুর পড়াশোনার কথা ভেবে আসাদ নিরুর সাথে বেশিক্ষণ কথা বলে না,পাঁচ মিনিট মতো কথা বলে কেটে দেয়।এইভাবেই দিন গুলো যায়।ট্রেনিংয়ে যাওয়ার আগে নিরুর সাথে এই দূরত্ব আসাদ মানতে পারে না।নিরুর জন্য বুক পোড়ে,বুকের মধ্যে হাহাকার হয়।নিরুর মন খারাপের কথা ভেবে,নিরুর সাথে যেটুকু কথা বলে হেসে কথা বলে।
নিরু রাজশাহী এসে পর্যন্ত আমিনার সাথে তিনদিন কথা হয়েছে।তাও দুই থেকে তিনটা কথা, ভালো ভাবে পড়তে বলে আমিনা কল কেটে দেয়।নিরু ভাবে নিরুর পড়াশোনার ক্ষতি হবে বলে সবাই কম কথা বলছে।
এইভাবেই কিছুদিন যাওয়ার পর হঠাৎ করে আসাদ রাজশাহী আসে।বাড়িতে বলে ট্রেনিংয়ে চলে যাবে, তাই দু’দিনের জন্য রাকিবের সাথে সীতাকুণ্ডে যাবে।রাতে রওনা দিয়ে সকালের দিকে আসাদ রাজশাহীতে পৌঁছায়।নিরুর কাছে কোচিং সেন্টারের নাম শুনেছিলো।সেই নাম অনুযায়ী কোচিং সেন্টারের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে রইল।
নিরু কোচিং শেষ করে বাইরে বেরিয়ে আসাদকে দেখে চমকে উঠে, কয়েক সেকেন্ড থমকে দাঁড়িয়ে রইল। আসাদ নিরুর দিকে তাকিয়ে হেসে দিতেই নিরু এক প্রকার দৌড়ে গিয়ে আসাদের সামনে দাঁড়ালো।লোকালয় শূন্য এলাকা হলে নিরু সেই কখন আসাদের বুকে ঝাপিয়ে পড়তো।নিরু বুকের উপর হাত রেখে টানা একটা শ্বাস নিলো।আসাদ নিরুর দিকে অপলক চোখে তাকিয়ে রইল, ‘কই এখন তো বুকে ব্যাথা নেই?কোন হাহাকার নেই?বুকের ভিতরটা এতো হালকা লাগছে কেন? কথা গুলো ভেবে আসাদ আনমনেই ঠোঁট কামড়ে হেসে ফেললো।
“সকালে ফোন দিলাম ধরলেন না কেন?আপনি আসছেন আমাকে বলেননি কিসের জন্য? ”
“বলে দিলে এই চমকটা দিতাম কীভাবে?”
“আমি আপনাকে ভীষণ মিস করেছি।”
“আজকে মিস করেছিস শুধু,তাই আজকেই হাজির হয়েছি দেখছিস?”
“একদমই না,আমি প্রতিটা মুহূর্ত মিস করি। ”
“নিরু রে এই নিরু!”
“হ্যাঁ বলেন?”
“ভালবাসি!”
নিরু ও মুচকি হেসে বলল, “ভালবাসি! মামা মামানি কেমন আছে আগে বলুন।”
“ভালো আছে,দাদু কেমন আছেন? ”
“বাড়ি গিয়েই দেখবেন চলেন।”
“বাড়ি কীভাবে যাবো,আম্মু আব্বুকে বলে এসেছি রাকিবের সাথে সীতাকুণ্ডে যাচ্ছি।না জানিয়ে এখানে এসেছি শুনলে কি ভাববে,সন্দেহ করবে।”
“বিকেলের মধ্যে চলে যাবেন?”
“দুইদিন থাকবো বলে বের হয়েছি।”
“তাহলে দুইদিন কোথায় থাকবেন?”
“হোটেলে থাকবো।”
নিরু কিছুক্ষণ ভেবে বলল,”আচ্ছা এক কাজ করুণ, দাদুকে বলবেন সীতাকুণ্ডে একটা দরকারে গেছিলেন।ট্রেনিংয়ে চলে যাবেন বলে দাদুকে দেখতে এসেছেন,বাড়িতে মামা মামানি কেউ জানে না।বাড়ির সবাই ট্রেনিংয়ের আগে বাইরে ঘোরাঘুরি করতে নিষেধ করেছে।তারপরও দাদু আর আমার সাথে একটু দেখা করতে এসেছেন,আর বলবেন আমার জন্য কিছু বই এনেছেন।মামাকে যেন না জানায়,দাদু দেখবেন জানাবে না।এতো ঘোরপ্যাঁচ দাদু বোঝে না।”
আসাদ একটু ভেবে নিরুকে বলল, “তোর সমস্যা হতে পারে এতকিছুর দরকার নেই।আজ একটু ঘুরবো,কাল যাওয়ার আগে দেখা করে চলে যাবো।”
নিরু আসাদের কোন কথা শুনলো না।সোজা বাড়ি নিয়ে গেল,আনাস মোল্লা আসাদকে দেখে খুব খুশি হলেন,আরও যখন শুনলেন ট্রেনিংয়ে যাওয়ার আগে দেখা করতে এসেছে, এইটা শুনে আরও বেশি খুশি হলেন।নিরুর বলা কথা গুলোও আসাদএক সুযোগে আনাস মোল্লাকে বলে দিলো।
নিরু রাজশাহী এসে পর্যন্ত বাড়িতেই রান্না করে ফেলে,আয়েশাকে বলেছে যতদিন থাকবে নিজেই রান্না করে দাদুকে খাওয়াবে।আয়েশা রান্নার কাজে না এলেও প্রায় সময়েই নিরুর কাছে এসে বসে থাকে,গল্প করে।দুপুরে আনাস মোল্লা,আসাদ আর নিরু এক সাথে খেতে বসেছিলো।সেই সময়ে আয়েশা আনাস মোল্লার পছন্দের চিংড়ি ভুনা রান্না করে নিয়ে আসে,এসে আসাদকে দেখে অবাক হয়!সাথে খুশিও হয়।
আসাদ পুরো বিকেলটা আনাস মোল্লার সাথে গল্প করে কাটায়।আনাস মোল্লা গল্প করার সঙ্গ পেয়ে খুবই উৎফুল্ল হয়ে আছেন।
নিরু এতদিনে আজকেই শান্তি নিয়ে পড়তে পারছে।এতোদিনে পড়া গুলো মাথায় ঢুকতো না,সব এলোমেলো লাগতো।আজ মনোযোগ দিয়ে পড়ছে।যেইটায় সমস্যা হচ্ছে আসাদের কাছ থেকে বুঝিয়ে নিচ্ছে।নিরু যদি এই সময়টায় ঢাকায় আসাদের পাশাপাশি থাকতে পারতো,পড়াশোনাটা ভালোই হতো,এমন কেন হয়ে গেল? নিরুর হঠাৎ করে এই গুলো মাথায় আসায় বুক ভার হলো।আসাদকে দেখার ছুতোয় পড়ার টেবিল থেকে উঠে চা বানিয়ে আনাস মোল্লা,আর আসাদের জন্য নিয়ে গেল।
আসাদ প্রতিটাক্ষণ আনাস মোল্লার সাথে ছায়ার মতো আছে।একটুও চোখের আড়াল হয়নি।এমনকি আনাস মোল্লা বাথরুমে ঢুকলে আসাদ জোরে জোরে রাকিবের সাথে ফোনে কথা বলেছে।আনাস মোল্লা যেন কোন কিছু টের না পায়,সেই চেষ্টায় আসাদ করেছে।রাতেও এক সাথে গল্প গুজব করে নিরুর কিছু পড়া দেখিয়ে দিয়ে,আলাদা ঘরে না ঘুমিয়ে আনাস মোল্লার সাথে শুয়ে পড়েছে।
নিরু চোখের ইশারায় আসাদকে অনেক জ্বালিয়েছে।আসাদ ও ফিচেল হেসে বুঝিয়েছে নিজের কাছে নিয়ে গিয়ে সময়মতো এই শোধ ঠিক তুলে নিবে।
ভোরে নামাজ আদায়ের পর কোরআন তেলাওয়াত করে আনাস মোল্লা বাড়ির সামনে বাগানে জগিং করে।আসাদ ঘুম ভেঙে জানালা দিয়ে দেখে আনাস মোল্লা জগিং করছে।আসাদ দ্রুত উঠে হাত মুখ ধুয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে দেখে, নিরু রান্না ঘরে রুটি বানাচ্ছে।রান্না ঘরের জানালা দিয়ে আনাস মোল্লাকে পুরোপুরি দেখা যাচ্ছে।আসাদ রান্না ঘরে ঢুকে জানালার কাছ থেকে নিরুকে একপাশে টেনে নিয়ে, নিরুর মুখটা দু’হাতে ধরে নিরুর কপালে চুমু দেয়।তারপর নিরুকে বুকের সাথে শক্ত করে জাপটে ধরে।নিরুও দুই হাতের বন্ধনে আসাদকে জড়িয়ে নিলো।
নিরু সেদিন আর কোচিংয়ে গেল না,সারাদিন বাড়িতেই থাকলো।এক সাথে বসে গল্প করার মাঝেও টুকটাক নিজেদের কথা হলো,আসাদ বললো সামনের মাসে ট্রেনিংয়ে চলে যাবে।নিরুর চোখ দু’টো জলে টলমল করে উঠলো।আসাদকে কতদিন দেখতে পাবে না? না পারবে ফোনে যোগাযোগ করতে, আর না পারবে এখন সামনে থেকে দেখতে,এই সময়েই এমন দিন আসতে হলো?
নিরুর মনের অবস্থা বুঝে আসাদ আনাস মোল্লাকে বলল, “দাদু ট্রেনিং শেষ করে ধুমধাম করে বিয়ে করবো তৈরি থেকো,অনেক মজা করতে হবে।”
আনাস মোল্লা হেসে বললেল, “অবশ্যই দাদুভাই!”
“হ্যাঁ আর দোয়া করো তাড়াতাড়ি যেন, এক হালি বাচ্চাকাচ্চা দের বড় বাবা হয়ে যেতে পারো।”
কথাটা বলে নিরুর দিকে তাকিয়ে নিরুকে চোখ টিপ মারলো।নিরু চোখ রাঙিয়ে আসাদের দিকে তাকিয়ে রইল।নিরুর চোখ রাঙানো দেখে আসাদ হেসে ফেললো।
রাতের ট্রেনে আসাদ ঢাকায় চলে গেল। আনাস মোল্লা আর নিরু আসাদের সাথে স্টেশনে গেছিলো।আসাদকে ট্রেনে তুলে দিয়ে আনাস মোল্লা নিরুকে নিয়ে বাড়ি আসেন।নিরুর দিকে তাকিয়ে আনাস মোল্লা বলেন, “আসাদ দাদুভাই আমার থেকেও কী,আমার নিরুকে বেশি ভালবাসে?”
নিরু দাদুর কথায় মাথা নিচু করে ফেললো।লজ্জায় কি বলবে বুঝতে পারলো না।
রাতে আমিনার কথায় আজিজুল হক খাদিজার কাছে ফোন দেন,নিরুর জন্য ভালো একটা ছেলের খোঁজ করার জন্য, খাদিজা ও আজিজুল হকের কথায় সাড়া দিয়ে, ‘ঠিক আছে’ বলেন। তারপর কথার মাঝে আজিজুল হককে বলে বসেন, ‘আসাদ একা বাবাকে আর নিরুকে দেখতে এলো,আপনি আর ভাবি আসলেন না কেন ভাইজান।’
পাশেই আমিনা বেগম বসে ছিলেন।আজিজুল হক খাদিজার কথার পিঠে কথা এগোতে পারলেন না। ‘কিছুদিন পর যাবো।’ বলে কল কেটে দিলেন।
চলবে…..
‘আসসালামু আলাইকুম!’
“আমার পরীক্ষার রুটিন দিয়ে দিয়েছে।কিছুদিনের মধ্যে আমার পরীক্ষা,এই জন্য ঠিক একই সময়ে গল্প দিতে পারছিনা।পর্ব গুলোও খুব একটা বড় হচ্ছে না।আমি নিজের পড়শোনার মাঝে মাঝে লিখছি।তাই গল্প দিতে দেরি,আমি চেষ্টা করবো একটু দেরি হলেও রেগুলার গল্প দেওয়ার।অপেক্ষা করানোর জন্য দুঃখিত!”