#তাহার_উম্মাদনায়_মত্ত
#লাবিবা_আল_তাসফি
৬.
অন্তি আর তন্নি পৃথক দুটো মানুষ হলেও তাদের যেন এক প্রাণ। একে অপরকে ছাড়া চলে না। একে অপরের নাড়ি নক্ষত্র সব জানা তাদের। সেই হিসেবে তন্নি খুব ভালো করেই অন্তির মানসিক অবস্থা বুঝতে পারছে। মেয়েটার পগলাটে কান্ড সবার কাছে মজার মনে হলেও সে জানে ঠিক কতটা ডেস্পারেট হয়ে মেয়েটা এসব কান্ড ঘটিয়েছে। রিকশা কলেজ মোড়ে পৌঁছাতেই সে রিকশা থেকে নেমে পড়ে। আশপাশ মানুষ জনে ভর্তি। এই সময়টা এখানে প্রচুর মানুষ থাকে।
দিহানদের আড্ডাস্থানে আজ দিহান নেই। বাদবাকি সবাই গাড়িতে হেলান দিয়ে,বসে আড্ডা দিচ্ছে। তন্নির সাহস হচ্ছে না সামনে এগিয়ে যাওয়ার। একটা মেয়ে এত্তগুলো ছেলের মাঝে দাঁড়িয়ে কথা বলছে ব্যাপারটা দেখতেও কেমন দৃষ্টি কটু লাগে। অন্তির ব্যাপার আলাদা। সে এসবে তোয়াক্কা করে না। পাছে লোকে কিছু বলে কবিতাটা খুব ভালো ভাবেই আয়ত্ত করেছে সে। এজন্যই এসব লোকভয় তার মাঝে নেই।
নুহাশ খুব ক্ষিপ্ত মেজাজে বসে আছে। আজকাল সব কেমন অসহ্য ঠেকছে তার কাছে। এতকিছু সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে রীতিমতো। এদিকে দিহান গুরুত্বপূর্ণ একটা মিটিং এ অ্যাটেন্ড করেছে। আজকাল প্রেশার বেড়েছে খুব।
‘শুনছেন?’
রিনরিনে মেয়েলি কন্ঠে কপালের কুঁচকানো চামড়া আরো কুঁচকে এলো। পাশ ফিরে তাকাতেই একজোড়া ভয়ার্ত চোখ নজরে এলো। মাথায় বড়ো করে কাপড় টেনে দেওয়া। জুবথুব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটা কি ভয় পাচ্ছে? নুহাশের কুঁচকে থাকা কপাল সোজি হয়ে আসে। চট করে মেয়েটাকে আরো একবার স্ক্যান করে নেয়। পড়নে সাদা কালো মিশ্রণে লং কামিজ। সাদা রঙের ওড়না দিয়ে সুন্দর করে মাথা ঢেকে রাখা। গায়ের রঙ ফর্সা। এক কথায় সুন্দরী বলা চলে। নুহাশ চেতনা থেকে বেরিয়ে জিজ্ঞাসা করে,
‘কি চাই?’
এমন প্রশ্নে তন্নি আরো কিছুটা ঘাবড়ে গেল। শক্ত করে চেপে ধরলো ওড়নার এক পাশ। এই লোকটাও কি দিহান ভাইয়ার মতোই হিংস্র? ভয়ে বুক কাঁপে মেয়েটার।
‘তোমাকে কোথাও দেখেছি মনে হচ্ছে!’
নুহাশ বলে। মনে করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরপর সোজা চেয়ে বলে ওঠে,
‘আমি কি তোমাকে চিনি? কোথাও দেখেছি?’
তন্নি ঘাড় ডানে বামে নাড়ায়। সে জানে না। নুহাশ ধমক দেয়।
‘কথা বলতে পারো না? মুখ নেই?’
তন্নির অবস্থা কাঁদো কাঁদো। প্রাণের বান্ধবীর লাইন ঠিক করতে যেয়ে তার জীবনের লাইনটাই যে বেঁকে যাচ্ছে!
তন্নি বুক ভরে শ্বাস নেয়। চোখ বন্ধ করে বলতে শুরু করে,
‘আপনি আমাকে চেনেন কিনা এ ব্যাপারটা আমার জানার কোনো প্রশ্নই আসে না। এটা তো আপনিই ভালো জানবেন! তবে আমি আপনাকে চিনি। দু একবার দিহান ভাইয়ার সাথে দেখেছি।
আমি এখানে এসেছি দিহান ভাইয়ার নম্বরটা নেওয়ার জন্য। আপনার মিষ্টি ভাবী আমাকে পাঠিয়েছে।’
কথা শেষে তন্নি পিটপিট করে তাকালো। নুহাশের মুখভাব বদলেছে। তার চোখে মুখে এখন দারুণ কৌতুহল খেলা করছে। নুহাশের এখন মনে পড়লো মেয়েটাকে সে অন্তির সাথেই দেখেছিল। মানে ভাবীর বান্ধবী। ভাবতেই বাঁকা হাসে। তবে কিছু বলে না। এক পলক ভিতু চোখজোড়ার দিকে তাকিয়ে ফোন বের করে দিহানের নম্বর এগিয়ে দেয়।
তন্নি পারলে সেই কখন ছুট মারে। কিন্তু এভাবে ছুট লাগানোটা তো ভালো দেখায় না। তাই সে আস্তে ধীরেই নুহাশদের সামনে থেকে সরতে চাইলো। তখনি পেছন থেকে নুহাশ বলে উঠলো,
‘মেয়ে তোমার নাম,ঠিকানা থেকে শুরু করে যাবতীয় ইনফরমেশন মিলিয়ে একটা সিভি দিয়ে যাবে। এবং সেটা কালকের মধ্যে।’
তন্নির পা থেমে গেছে। ভয়ে প্রাণ যাই যাই করছে। এই লোক সিভি দিয়ে কি করবে? বাসায় যেয়ে নালিশ বসাবে? তেমন হলে তার আর বেঁচে থাকা হবেনা। মনে মনে বিরবির করে বললো, অন্তি তোর প্রেম সার্থক হবেই। কারণ তোর জন্য আমি জীবন স্যাকরিফাইস করতে চলছি।
তন্নির ভাবনার কাঠি ঘুরিয়ে নুহাশ তার জন্য রিকশা ঠিক করে দিলো। তন্নি ড্যাবড্যাব করে সেদিকে তাকিয়ে। এই গুন্ডাদের মধ্যে মানবতাও আছে! ইন্টারেস্টিং!
‘আমাকে পরে দেখার অনেক সুযোগ পাবে। এখন চটজলদি বাসায় যাও। সন্ধ্যা হয়ে আসছে। কুইক!’
তন্নি মনে মনে মুখ বাঁকালো। তার ওতো দেখার সখ নেই। অন্তির মতো ভুল সে ইহজনমে করবে না। অন্তি নিজের ভালো না বুঝলেও সে বোঝে। প্রেমে অন্ধ হওয়ার মতো মেয়ে সে না। রিকশায় চেপে বসতেই নুহাশ রিকশাওয়ালাকে কঠোর ভাবে বললো,
‘চাচা যেখানে যেতে চাইবে সেখানেই পৌঁছে দিয়ে আসবেন। এবং পৌঁছানোর পর আমাকে জানাবেন। নাম্বার আছে না?’
রিকশাওয়ালা ভদ্রলোক মাথা ঝাঁকিয়ে হাসলো।
‘হ বাবা আছে।’
তন্নি অবাকের উপর অবাক। সে অন্তির ফ্রেন্ড বলেই কি এত খাতির যত্ন করছে! হতেই পারে। ফিউচার ভাবীর বান্ধবী বলে কথা!
___________
আজ আকাশে রূপালি আলোয় রাঙা চন্দ্র উঠেছে। আশপাশে তার হাজারো তারার মেলা। যেন একখন্ড কালো চাদরে রূপালি সুতোয় কারুকার্য করা হয়েছে। সেই চাদর থেকে রূপালি দ্যুতি চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে। এই অতি সুন্দর পরিবেশ প্রকৃতিকে অগ্রাহ্য করে এক পুরুষ ছাদের রেলিংয়ে ভর দিয়ে সিগারেটের ধোঁয়া উড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। পুরুষটির এমন নির্মম কান্ডে চাঁদের বোধহয় অভিমান হলো। তার রূপে মুগ্ধ না হওয়া পুরুষটার প্রতি একরাশ মন খারাপ নিয়েই বিশাল এক মেঘের পেছনে নিজেকে আড়াল করে নিলো। মাঝে মাঝেই উঁকি দিয়ে পুরুষটির ভাবাবেগ বোঝার চেষ্টা করলো। এই পুরুষের মাঝে কি রূপের মোহতা নেই? এত নিষ্ঠুর কেন এই মানব?
দিহানের সিগারেটে শেষ হতেই সে সিগারেটের প্যাকেট থেকে চতুর্থ নম্বর সিগারেট বের করতে নিলে দেখা গেলো সিগারেট ফুরিয়ে গেছে। চোখ মুখ কুঁচকে চ শব্দ করলো। সারাদিনের ব্যাস্ততার মাঝে আজ একটাও সিগারেট খাওয়া হয়নি। এই কেবল একটা জিনিস যা দিহানকে সাময়িক শান্তি দিতে পারে। চোখ তুলে আকাশ পানে চাইতেই বিরক্তে মুখ কুঁচকে আসে। চাঁদ তার পছন্দ না। অন্ধকারে ঘেরা কালো আকাশটাই তার প্রিয়। চাঁদের এই রূপালি সুন্দর রূপ সবাইকে মুগ্ধ করলেও তাকে মুগ্ধ করতে পারে না। তার মতে চাঁদের কোনো নিজস্ব ক্ষমতা নেই। এই যে সুন্দর রূপালি দ্যুতি; এটাও সূর্যের থেকে ধার করা। এমন ধারকরা রূপের প্রশংসা সে করবে না। কখনোই না।
দিহানের পাশে রাখা ফোনটা জ্বলে উঠলো। নুহাশ কল করেছে। দিহান কল রিসিভ করে লাউডে দিয়ে ফোন পাশে রাখলো। নুহাশ উদ্বিগ্ন কন্ঠে বললো,
‘কখন ফিরছিস?’
‘ঘন্টাখানেক হবে।’
‘একবার জানাতে হয় এই নূন্যতম ভদ্রতাও দেখছি তোর মধ্যে নাই।’
দিহান তার ভ্রুদ্বয়ে ভাঁজ ফেলে বললো,
‘হু আর ইউ?’
নুহাশ খুব বাজে একটা গালি দিতে গিয়েও মুখ সামলে নিলো। পরক্ষণে কিছু মনে পরতেই বললো,
‘যাই হোক। আমি এখন ফোন রাখি। নয়তো কেউ একজন কল করে আবার আপনাকে পাবে না।’
‘কে সে?’
‘কেন বলবো? হু আর ইউ?’
বলেই খট করে কল কেটে দিলো নুহাশ। ব্যাটা বজ্জাত! তাকে কিনা বলে ‘হু আর ইউ?’ আমি তোর জম। বলেই ফোঁস ফোঁস করে শ্বাস ছাড়লো।
এদিকে নুহাশ কল কাটার প্রায় সাথে সাথেই আননোন এক নম্বর থেকে কল আসলো। দিহান কপাল কুঁচকে এগারো ডিজিটের নম্বরটির দিকে তাকিয়ে থাকলো। কোনোভাবেই সে এই নম্বর চিনতে পারছে না। তাছাড়া তার এই নম্বর বাহিরের কারো জানার কথা না। যারা জানে তাদের নম্বর মূলত ফোনে সেভ করা রয়েছে। এসব ভাবতে ভাবতেই কল কেটে গেল। দিডহান ফোন রেখে দিতে উদ্যত হতেই আবারো কল আসলো। এবার কল আসার প্রায় সাথে সাথেই কল রিসিভ করলো দিহান। কানে চেপে রুক্ষ কন্ঠে বললো,
‘কে বলছেন?’
ফোনের ওপাশ থেকে অন্তি চুপ করে রইলো। কেন যেন তার খুব ভয় করছে। লোকটা রেগে গেলে তাকে দেখার সৌভাগ্য টুকুও দুর্ভাগ্যে পরিনত হবে। তাই অন্তি এক চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে দিহানকে কল করবে ঠিক কিন্তু কথা বলবে না। লোকটা জানতেও পারবে না তায কথা! হোয়াট এ বুদ্ধি!
‘চুপ করে থাকলে দেশের যে প্রান্তে আছো সেখানে গিয়ে থাপ্পড় মেরে আসবো। অভদ্র মেয়ে! স্পিক আপ!’
অন্তি কেঁপে উঠে বুক চেপে ধরলো। কি ভয়ংকর লোক! কেমনে বুঝলো?
‘ধমকাবেন না একদম!’
‘নম্বর কোথায় পেয়েছো? সোজা উত্তর দিবে। নয়তো মেরে ফেলবো একদম!’
অন্তি গাল ফুলালো। লোকটা একদম সুন্দর করে কথা বলতে পারে না। অভিমান নিয়ে বললো,
‘আপনি শুধু আমাকে মারতে চান কেন? আমি মরে গেলে কে আপনায় ভালোবাসবে?’
দিহান দমলো। তার হিংস্র চোখ শান্ত হয়ে এলো। কুঁচকে থাকা কপাল সোজা হলো। পাথরের মতো হৃদয়টা কিছুটা কোমল হলো বোধহয়। চোখ বন্ধ করে বড় করে শ্বাস ফেলল। মেয়েটাকে সে অন্যসবার মতো ধমকাতে পারে না। খুব একটা কঠোর হতে পারে না। ঐ কোমল মুখখানা দেখলেই তার হিংস্রতা ক্ষীণ হয়ে আসে। মেয়েটার চঞ্চলতা অকারণেই তার ভালো লাগে। মেয়েটা যেন মরুর বুকে সবুজ সতেজ এক চারাগাছ।
‘এই যে শুনছেন?’
অন্তি ডাকে। দিহান ছোট করে জবাব দেয়,
‘হুম।’
অন্তির ঠোঁটে হাসি ফোটে। জ্বলজ্বল করে উঠে মুখ। ইশশ! লোকটা তার কথা শুনছে! অন্তি খাটে গোল হয়ে বসলো। জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে বললো,
‘ফোন কাটবেন না ঠিক আছে?’
দিহান উত্তর দিলো না। চুপ করে অন্তির কথা শুনলো। নিরবতাকে সম্মতি ধরে নিয়ে অন্তি বলতে শুরু করল,
‘আচ্ছা আপনাকে কিছু বলতে হবে না। আমি বলছি আপনি শুনেন। এত অগোছালো কেন আপনি? চুলগুলো কত বড় হয়ে এসেছে একটু ছোট করে নেন না কেন? দেবদাসের মতো লাগে! আমি তো মরে যাই নি! আপনিকি আপনার চুলগুলো একটু কেটে ছোট করবেন? অনেক ছোট না। একদম অল্প।’
‘কথা শেষ?’
অন্তির মুখ কালো হয়ে এলো। খানিক চুপ থেকে নরম গলায় বললো,
‘আপনি কি আমার উপর বিরক্ত?’
‘বুঝতে এত সময় লাগলো!’
কথাটার তৎক্ষণাৎ জবাব দিতে পারলো না অন্তি। কান্নায় তার মুখ ভেঙে আসছে। চোখ থেকে টুপটাপ করে জল গড়াচ্ছে। কষ্ট সাথে অপমান অনুভব হচ্ছে তার। এই নিষ্ঠুর মানুষটাকে সে আর ভালোবাসবে না। যে ভালোবাসা বোঝে না তাকে ভালোবাসা বোকামি। অন্তি কান্না চেপে রেখে ছোট করে বললো,
‘সরি! আর বিরক্ত করবো না।’
দিহান তার স্বভাবসুলভ চোখ ছোট করলো। আর বিরক্ত করবে না বলতে কি বুঝাতে চাচ্ছে মেয়েটা?
অন্তি বুকে একরাশ কষ্ট নিয়ে বললো,
‘রাখছি। আল্লাহ হাফেজ। ভালো থাকবেন।’
কিন্তু তার কল রাখা হলো না। দিহানের দমক তার হাত থামিয়ে দিয়েছে।
‘একদম কল কাটবে না। থাপড়ে দাঁত ফেলে দিব!’
ব্যাস। অন্তির সাধ্য হলো না দিহানের কথার বিপক্ষে যেয়ে কল কাটতে। কানে ফোন চেপে রেখেই ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো মেয়েটা। দিহান ফোনের ওপাশ থেকেই কান্নার সে শব্দ স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে। বেশ কিছু সময় কাটার পরও যখন অন্তির কান্না থামে না তখন দিহান প্রথম বারের মতো নরম গলায় কথা বলে।
‘মেয়ে কান্না থামাও। কথা বলো।’
দিহানের নরম কন্ঠে অন্তির কান্নার গতি যেন বেড়ে গেল। সে আর বিরক্ত করবেনা শুনতেই লোকটা এত ভালো ব্যাবহার করছে! এত অপছন্দ করে লোকটা তাকে?
‘কান্না থামাতে বলেছি। কান্না না থামালে আই সয়ার আমি সত্যিই তোমাকে মেরে ফেলব।’
অন্তি এবার সত্যিই কান্না থামালো। তবে পুরোপুরি ভাবে থামাতো পারলো না। হেঁচকি উঠেগেছে তার। দিহান বুঝতে পেরে তপ্ত শ্বাস ফেলল। বললো,
‘আমার সম্পর্কে আইডিয়া আছে তোমার? আমি কিন্তু মোটেই ভালো মানুষ না। আমাকে ভালোবাসা মানেই নিজ হাতে বিষ পান করা। তুমি আমাকে যতটা ভয়ংকর ভাবো তার থেকেও অনেক বেশি ভয়ংকর আমি। বুঝতে পারছো তুমি?’
অন্তি নাক টেনে জবাব দিলো,
‘যতই ভয়ংকর হন না কেন আমি আপনাকেই ভালোবাসব?’
দিহান প্রায় সাথে সাথেই বললো,
‘একটু আগেই না বললে আর বিরক্ত করবে না? এখন পাল্টি খাচ্ছ কেন?’
‘বিরক্ত না করার কথা বলেছি। ভালোবাসবোনা তা কখন বললাম?’
দিহান আর কথা বাড়ালো না। কেবল শীতল গলায় বললো,
‘ঘুমিয়ে পড়ো।’
কল কেটে গেল। এতক্ষণ মরা কান্না করা অন্তি মুহূর্তেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠলো। লোকটা কতক্ষন তার সাথে কথা বললো! নিশ্চই সে সো কল্ড হোঁচট খেয়েছে। কিছুদিন পর প্রেম ও করবে। নো ডাউট!
অন্তি চটজলদি তন্নিকে কল করলো। এই খুশির খবরটা মেয়েটাকে না জানালে আজ আর ঘুম হবে না তার।
চলবে……….
(১৬০০+ শব্দ লিখেছি। কেউ ছোট বলে অভিযোগ করবেন না😤। ভালোবাসা রইলো 💓)