নব_প্রেমের_সূচনা #Sumaiya_Akter_Bristy #পর্ব_২৭

0
366

#নব_প্রেমের_সূচনা
#Sumaiya_Akter_Bristy
#পর্ব_২৭

সমুদ্র নিলুর থেকে জেনেছে মিনহাজ সাড়ে সাতটার দিকে সুইমিংপুলে পা ভিজিয়ে বসে ছিলো। এখন বাজে আটটা এগারো। তারমানে মিনহাজ এই সময়টার মাঝেই রিসোর্ট থেকে বের হয়েছে।

সেজন্য সমুদ্র সিসি ক্যামেরায় ধারনকৃত ফুটেজ 2x স্পিডে দিয়ে গেট দিয়ে আসা যাওয়া প্রতিটি মানুষকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দেখে যাচ্ছে।

প্রথম ২০ মিনিটের মধ্যে তেমন কিছুই সমুদ্রের চোখে পড়ে নি। কিন্তু ২০ মিনিট পর দেখতে পায় ফায়াজ গেট দিয়ে বের হচ্ছে।

আরভী যদি নিজের মায়ের সাথে সময় কাটানোর জন্য আসতো তাহলে ফায়াজকে সাথে আনার কথা না। যেহেতু ফায়াজকে সাথে নিয়ে এসেছে তারমানে নিশ্চিত কিছু একটা চলছে আরভীর মনে। আরভী আবার সব কিছু জেনে যায় নি তো?

এসব চিন্তা-ভাবনার মাঝেই সমুদ্র দেখলো ফায়াজের এক থেকে দু’মিনিট পর মিনহাজ কেমন যন্ত্রমানবের মতো করে হেঁটে ফায়াজের পিছু পিছু যাচ্ছে।
কিন্তু মিনহাজের হাটার ধরন ছিলো অদ্ভুত। মিনহাজকে দেখে মনে হচ্ছে অনুভূতি হীন কোনো রোবট হেঁটে যাচ্ছে। কিন্তু এরকম করে হাটছে কেন মিনহাজ?
একসময় ফায়াজ ও মিনহাজ দুজনেই আড়াল হয়ে যায় ক্যামেরার সামনে থেকে।

সমুদ্রের মনে এখন প্রশ্ন জাগছে ফায়াজ কি মিনহাজকে কোনো ভাবে চিনে? না চিনে থাকলে দুজন একই সময় একই দিকে কেন গেলো? এটা কি আদো কাকতালীয় কোনো ঘটনা? নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারন রয়েছে?

কোনো কিছু না ভেবে সমুদ্র আবার গেটের কাছে এসেছে। ফায়াজ ও মিনহাজ যেদিকে গেছে সেদিকে তাকায়। দেখতে পায় সাদা রঙের একটা গাড়ি সেদিকটাতেই যাচ্ছে। অজান্তেই সমুদ্রের চোখ পড়ে যায় গাড়ির পেছনে থাকা নম্বরের দিকে।

গাড়ির নম্বরটা সমুদ্র বেশ ভালো করেই চিনে। কারন এটা আরভীর গাড়ির নম্বর।
সমুদ্রের মনে অজানা এক ভয় ঢুকে যায়। সমুদ্র নিজের চুল এক হাতে পেছনের দিকে টেনে ধরে। আরভী জেনে গেছে সব কিছু। এটা কাকতালীয় কোনো ঘটনা হতেই পারে না। আরভী খুঁজে পেয়েছে হেমন্তকে। কিন্তু এসবের থেকেও যেই জিনিসটা সমুদ্রকে বেশি পীড়া দিচ্ছে সেটা হলো আরভী এবার কি করবে।

এভাবে মিনহাজ ও আরভীকে একা ছাড়া যাবে না। কখন কে কি করে বসে বলা যায় না। তাই সমুদ্র সময় অপচয় না করে দ্রুত নিজের গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে গেলো। গাড়ির স্পিড বাড়িয়ে দিয়ে আরভীর গাড়ি যে পথে গিয়েছে সে পথে যেতে লাগলো। সমুদ্রের বিশ্বাস আরভীকে অনুসরণ করেই মিনহাজের কাছে পৌছানো যাবে।

সমুদ্রের ভয় হচ্ছে, সমুদ্র যদি ঠিক সময় না পৌছাতে পারে? আর এর মাঝেই যদি খারাপ কিছু ঘটে যায়?

অনেক স্পিডে গাড়ি চালানোর পরও সমুদ্র আরভীর গাড়ি খুঁজে পায় নি। উল্টো চৌরাস্তার মোড়ে গাড়ি থামিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় কোন পথে যাবে।
ইচ্ছে মতো যেকোনো এক পথে গেলেই তো আর হবে না। তাতে ভুল পথে যাওয়ার সম্ভবনাই বেশি।

সমুদ্র গাড়ির স্টিয়ারিং হুইলের উপর মাথা ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে। জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে ভাবছে এবার কি করবে।
হুট করে তন্ময়ের কথা মাথায় এলো। তন্ময় থাকতে সমুদ্র কেন এতো ভাবছে? দেরি না করে সাথে সাথেই তন্ময়ের নম্বর ডায়াল করলো।

তন্ময় কল রিসিভড করেই চিন্তিত স্বরে জিজ্ঞেস করলো,”কোনো সমস্যা হয়েছে? আরভী আর মিনহাজ সামনাসামনি পড়েছে?”

“এসব বলার টাইম নেই। তুই তাড়াতাড়ি ফায়াজের লোকেশন ট্র‍্যাক করে আমাকে জানা প্লিজ।”

“ফায়াজের লোকেশন কেন ট্র্যাক করবো বল তো।”

“উফ এসব বলার সময় নেই বললাম তো। তোকে যা করতে বলেছি তাড়াতাড়ি কর।”

“আচ্ছা আমাকে একটু সময় দে। আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই লোকেশন সেন্ড করে দিচ্ছি তোকে।”

——-

মিনহাজ একটা চেয়ারে বসে আছে। চারপাশ ঘুটঘুটে অন্ধকার। মিনহাজ বুঝতে পারছে না সে এখন ঠিক কোথায় আছে। এটা কি রিসোর্টের কোনো রুম? কিন্তু এতো অন্ধকার কেন? সমুদ্র নিশ্চয় মজা নিচ্ছে এরকম করে! মিনহাজকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। এই ছেলেটার এই একটা স্বভাব। সব সময় বাদরামি করে বেড়াবে।

মিনহাজ উঠে দাঁড়াতে চাইলো। কিন্তু দাঁড়াতে পারছে না। শরীর কেমন নিস্তেজ হয়ে আছে। তারউপর মিনহাজ বুঝতে পারলো হাত পা ও কোমর মোটা রশি দিয়ে বাঁধা। মিনহাজ চমকালো। সমুদ্র এমন কিছু করতে পারে না। অন্তত এভাবে বেঁধে রাখবে না। তারমানে এটা অন্য কারো কাজ। মিনহাজ মনে করার চেষ্টা করছে এখানে কিভাবে এলো। মিনহাজ তো সুইমিংপুলের পানিতে পা ভিজিয়ে বসে ছিলো। কোত্থেকে যেনো একটা ছেলে এসে পাশে বসে। মিনহাজ পাশ ফিরে তাকিয়ে দেখে নি ছেলেটা কে। কিন্তু শার্টের হাতা ফোল্ড করার বাহানায় মিনহাজের সামনে হাত সোজা করে ধরেছিলো ছেলেটা। তারপর হঠাৎ কি হলো ঠিক মনে পড়ছে না। মনে হচ্ছে মাথা থেকে কিছু সময়ের মেমোরি ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে।

এই রুম জুড়ে এতোটাই পিনপতন নীরবতা বিরাজ করছে যে মিনহাজের শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ স্পষ্ট শুনতে পারছে মিনহাজ।

মিনহাজের মাথায় ঢুকছে না কে এভাবে মিনহাজকে কিডন্যাপ করবে। জানার জন্য মিনহাজ শব্দ করলো। উচ্চস্বরে বলে উঠলো,”কেউ আছেন? আমাকে এভাবে আটকে রেখেছেন কেন?”

এই বাক্যটি ঘরের চার দেওয়ালের সাথে বাড়ি খেয়ে প্রতিধ্বনির সৃষ্টি হলো। মিনহাজ থেমে যাওয়ার পরেও চারপাশ থেকে এই শব্দ ভেসে আসতে লাগলো। তবে এই শব্দের সাথে আরো একটা শব্দ মিনহাজের কানে এলো। সেটা হলো দরজা খোলার শব্দ।

মিনহাজ দরজা খোলার শব্দ পেয়ে শব্দের উৎস ধরে দরজার দিকে তাকায়। দেখতে পায় সেখানে একটা নারী অবয়ব দাঁড়িয়ে। যা আস্তেধীরে মিনহাজের দিকে এগিয়ে আসছে।

হঠাৎ করে ঘরে আলো জ্বলে উঠে। এতোক্ষণ অন্ধকারে থাকায় এই আলোতে মিনহাজের চোখ কুচকে আসে। যখন ভালোভাবে চোখ মেলে তাকায় তখন নিজের সামনে আরভীকে দেখতে পায়।

আরভীকে দেখে বাঁকা হাসে মিনহাজ। আর বলে,”তাহলে মিস আরভী রায়হান শেষমেশ আমাকে খুঁজে পেলেন।”

“আরু থেকে ডিরেক্ট আরভী রায়হান! আপনার তো দেখছি বেশ উন্নতি হয়েছে হেমন্ত।”

“অনাধিকার চর্চা আমার স্বভাবের মাঝে পড়ে না।”

“ওহ আচ্ছা। তবে কি মামার কথা শুনে মেয়েদের মন ভাঙ্গা আপনার স্বভাব? নিরহ মানুষদের জীবন কেড়ে নেওয়া আপনার স্বভাব?”

মিনহাজ অবাক হলো। মামা! মামা কে আবার? মিনহাজের তো কোনো মামাই নেই।

“আমার কোনো মামা আছে বলে আমার মনে পড়ছে না মিস আরভী রায়হান।”

“তবে কি আমার এই মূহুর্তে বলা প্রতিটি কথা আপনি অস্বিকার করতে চাইছেন?”

“না, শুধু মামার কথাটা অস্বীকার করছি। আমার কোনো মামা নেই। আমি বাবার কথায় সব করেছি।”

প্রথমত আরভী আশ্চর্য হয় মিনহাজের স্বীকারোক্তি দেখে। আরভী ভেবেছিলো মিনহাজ সহজে স্বীকার করতে চাইবে না কিছু। ভুলভাল বুঝাবে আরভীকে। কিন্তু এখন তো দেখা যাচ্ছে আরভীর চিন্তাভাবনা উল্টো হচ্ছে। আর কি বললো? বাবার কথায় সব করেছে? কিন্তু আরভীর জানা মতে হেমন্ত নাহিদ চৌধুরীর ভাগ্নে।

আরভী এতোক্ষন যাবত শান্ত ছিলো। শান্ত স্বরে কথা বলছিলো। অনেকটা ঝরের আগের শান্ত পরিবেশের মতো। যখন ঝর শুরু হবে তখন আরভী নিজের প্রলয় শুরু করবে।

আরভী এবার উচ্চস্বরে হাসলো। উদ্ভুত ভাবে হাসলো। আরভীর এরকম অদ্ভুত হাসি গুমোট এই পরিবেশকে ভারী করে তুলেছে।

আরভী কোনো রকমে নিজের হাসি থামিয়ে মিনহাজের দিকে সামান্য ঝুকে মিনহাজের পুরো মুখ জুরে একটা ছুড়ি দিয়ে ছুয়ে দিতে দিতে শান্ত স্বরে বললো,”তবে কি বলতে চাচ্ছেন নাহিদ চৌধুরীর সাথে আপনার কোনো সম্পর্ক নেই? নাহিদ চৌধুরী আপনার মামা হোন না?”

“আপনি আসলে ঠিক কাকে খুঁজছেন মিস আরভী রায়হান? হেমন্তকে নাকি নাহিদ চৌধুরীর ভাগ্নেকে?”

আরভী হেমন্তের পেছনে গিয়ে দাঁড়ায়। গলায় হালকা ভাবে ছুড়ি স্পর্শ করে বলে,”দুজনকেই। তবে হেমন্তকে সব থেকে বেশি খুঁজেছি। নিজ হাতে শেষ করবো বলে। হেমন্তের রক্তে নিজের হাত লাল করবো বলে।”

“হেমন্ত আপনার সামনেই বসে আছে। আর হেমন্তের গলায় আপনি ধারালো ছুড়ি ধরে আছেন। কোনো ইচ্ছে অপূর্ণ রাখতে নেই। হাত চালিয়ে দিন। হেমন্তের রক্তে নিজের হাত রঞ্জিত করুন।”

আরভী ছুড়িটা আরেকটু চেপে ধরে হেমন্তের গলায়।গলার চামরা কিছুটা কেটে ঈষৎ রক্ত বের হতে থাকে। তা দেখে ফায়াজ অবাক চোখে আরভীর দিকে তাকিয়ে আছে। ফায়াজ কখনো আরভীর এই রুপ ভাবতেও পারে নি। কেমন ভয়ংকর দেখাচ্ছে আরভীকে। ফায়াজের নিজেরই ভয় হচ্ছে আরভীকে দেখে। কেমন বদ্ধ-পাগলের মতো লাগছে আরভীকে।

“এতো সহজ মৃত্যু কেন দিবো আপনাকে?” বলে ছুড়ি গলা থেকে নামিয়ে হেমন্তের সামনে এসে হেমন্তের দিকে আবারো ঝুকে দাঁড়ায় আরভী। ছুড়ির মাথা এবার হৃদপিণ্ড বরাবর ঠেকিয়ে হালকা চাপ দিয়ে বলে,”আপনি আমার এখানটায় কষ্ট দিয়েছেন। প্রথমে ভেবেছি আপনাকে মারতে আমার রিভলভারের তিনটে বুলেটই যথেষ্ট। তারপর ভাবলাম, না। এতো সহজ মৃত্যু আপনার হতে পারে না।”

“তাহলে কিভাবে আমাকে মৃত্যু দিবেন শুনি?” মিনহাজ শান্ত স্বরে জিজ্ঞেস করলো।

“নিজের মৃত্যুর বিবরণ নিজেই শুনতে চান? এটাকে কি আপনার শেষ ইচ্ছে ধরে নিবো?”

“ধরে নিন। ক্ষতি কি?”

“তাহলে শুনুন। প্রথমে এই ছুড়ির আঘাতে আপনার হৃদপিন্ডটাকে রক্তাক্ত করবো। সেই রক্তে নিজের হাত রঞ্জিত করবো। তারপর শ্বাস রোধ করে আপনাকে একটা গাড়িতে বসিয়ে গাড়ি খাদ থেকে ফেলে দিবো। সবাই ভাববে গাড়ি ব্রেকফেল হয়ে খাদে পড়ে গেছে। ভালো হবে না?”

মিনহাজ নিজের মৃত্যুর বিবরণ শুনে সামান্য হাসলো। নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। ক’জনেই বা নিজের মৃত্যুর বিবরণ শুনতে পায় প্রাণ থাকা অবস্থায়?

“সময় নিচ্ছেন কেন? মেরে ফেলুন?”

“মারবো তো। ধীরেসুস্থে মারবো। যেনো এনজয় করতে পারি আপনার মৃত্যুটাকে।”

“এ ভাই, আমার মৃত্যুর পর মিস আরভী রায়হানকে মস্তিষ্কের ডক্টর দেখিয়ো। তোমার কাছে আমার শেষ ইচ্ছে এটা।” কথাটি ফায়াজকে বলে হেমন্ত নিজের বুক বরাবর তাকায়। ভেতরে চিনচিন ব্যাথা করছে। আর বাহিরে কালো রঙের শার্টটা ছুড়ির আশপাশ জুড়ে রক্তে ভিজে যাচ্ছে।

“তাহলে আপনি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত তো হেমন্ত? ওরফে নাহিদ চৌধুরীর আদরের ভাগ্নে।” মিনহাজের চোখে চোখ রেখে বললো আরভী।

“আপনার কোথাও একটা ভুল হচ্ছে ললনা। নাহিদ চৌধুরীর ভাগ্নে হেমন্ত নয়, নাহিদ চৌধুরীর ভাগ্নে আমি। সমুদ্র মুনতাসিন।”

এ কথা শুনে আরভীর হাত আলগা হয়ে আসে। কানে বারবার বাজতে থাকে নাহিদ চৌধুরীর ভাগ্নে আমি, সমুদ্র মুনতাসিন। আরভী তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে। দু ভাই ভালোই নাটক করতে জানে। একজন আরেকজনের থেকে কোনো দিক দিয়েই কম যায় না। কি নিখুঁত তাদের অভিনয়!
হেমন্তের বুকের উপর থেকে ছুড়ি সরিয়ে পিছু ফিরে তাকায় আরভী। দেখতে পায় সমুদ্র দাঁড়িয়ে দরজার সামনে। হাতে রিভলবার। আরভীর দিকে টার্গেট করে ধরে আছে । সেটাও দক্ষ হাতে।

সমুদ্রকে রিভলবার হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আরভী অবাক চোখে তাকিয়ে আছে সমুদ্রের দিকে। কেননা সমুদ্র রিভলবার দেখলেই এমন অভিনয় করতো দেখে মনে হতো অনেক বেশি ভয় পায় এই জিনিসটাকে। অথচ আজ দেখে মনে হচ্ছে রিভলবার চালানো সমুদ্রের কাছে অনেক সাধারণ একটা ব্যাপার। অবশ্য এখানে অবাক হওয়ার কিছু নেই। যারা এতো সুন্দর করে ভালোবাসার অভিনয় করতে পারে তাদের জন্য এটা বড় কিছু না।

তবে আরভীর মনে প্রশ্ন জাগলো। সমুদ্র কেন নিজেকে নাহিদ চৌধুরীর ভাগ্নে বলে দাবি করছে? যদি সমুদ্র নাহিদ চৌধুরীর ভাগ্নে হয় তাহলে হেমন্ত কে? আর যদি হেমন্ত নাহিদ চৌধুরীর ভাগ্নে হয়ে তবে সমুদ্র কেন মিথ্যে বলছে? সমুদ্রের সাথে হেমন্তের কি সম্পর্ক?

আরভীর দৃষ্টি বুঝতে পেরে সমুদ্র আরভীর দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বললো,”ও মিনহাজ, নাহিদ চৌধুরীর একমাত্র ছেলে। আর আমি নাহিদ চৌধুরীর ভাগ্নে। যাকে আপনি খুঁজছেন।”

কথাটি বলে সমুদ্র আরভীর কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়ে আবার বলে উঠে,”সেদিন যেই মেইল আপনার কাছে পাঠানো হয়েছিলো সেটা ইমতিয়াজ নয় আমি পাঠিয়েছিলাম।”

চলবে….

বি.দ্র. : সমুদ্র পরিবারকে নিয়ে ট্রেনে আসার পরও গাড়ি কোথায় পেলো সেটা অন্য পর্বে জানানো হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here