মেঘের_আড়ালে_রোদ #পর্ব_১৫ লেখিকা #Sabihatul_Sabha

0
747

#মেঘের_আড়ালে_রোদ
#পর্ব_১৫
লেখিকা #Sabihatul_Sabha

আহনাফ মহুয়ার দিকে হাত বাড়িয়ে বলে উঠলো, ‘ আপনি কি জব করবেন! আপনার তো পায়ের ডাক্তার দেখানো দরকার। হুটহাট যেখানে সেখানে পড়ে যাওয়ার রোগ আছে আপনার।’

মহুয়া লজ্জায় আহনাফের হাত ধরলো না। নিজেই উঠার চেষ্টা করলো সাথে রাগও হলো ভীষণ সে তো এমনি এমনি পড়ে যায়নি এখনে কিছু পড়ে ছিলো। তাই সে পিছল খেয়ে পড়েছে।

মহুয়া আহনাফ কে ইগ্নোর করে নিজে উঠে দাঁড়ালো।

আহনাফ থমথমে মুখে নিজের হাত পকেটে ঢুকিয়ে মহুয়ার দিকে তাকালো। এই মেয়ে সব সময় ওকে অপমান করার একটু ক্লু পেলে ছাড়ে না।

মহুয়ার পায়ে ব্যাথা পেয়েছে সাথে হাতের কনুইও ছুলে লাল হয়ে গেছে।

আহনাফ দেখেও না দেখার মতো গম্ভীর মুখে নিজের চেয়ারে গিয়ে বাসলো।

মহুয়ার দিকে তাকিয়ে বললো,’ কাজে কোনো গাফলতি আমার একদম পছন্দ না। কাজের প্রতি আমি খুব সিরিয়াস। পেশেন্টের সকল ডিটেইলস, পেশেন্টের ফাইল তৈরি করা, সার্জারী টাইম হাতে লিখে রাখবেন, যেদিন যেদিন আমার ডিউটি সপ্তাহে পাঁচ দিন, সেই পাঁচদিনের সকল কাজের বিবরণ আপনার নোট বুকে লিখে রাখবেন।রিমাইন্ডার দিবেন আমাকে, মাখে মধ্যে ফিল্ড ওয়ার্কে যাওয়া লাগে, সেখানেও আমার সাথে থাকবেন, সব কিছু একদিনে বুঝানো সম্ভব না আস্তে আস্তে বুঝে যাবেন।

~ জ্বি।

আহনাফের ক্যাবিনটা অনেকটাই বড়। সোফায় পাশে টেবিল রেখে মহুয়ার জন্য ডেক্স বানালো।

মহুয়াঃ আগের এসিস্ট্যান্ট ও কি এখানেই ছিলো.?
আহনাফঃ না, ওর জন্য বাহিরে ছিলো।
মহুয়াঃ তাহলে আমি এখানে কেনো..?
আহনাফ পকেটে হাত দিয়ে মহুয়ার দিকে তাকালো, ‘ কেনো সমস্যা হবে.?
মহুয়া বলতে চাচ্ছিলো আসলেই সমস্যা হবে।সারাদিন একটা ছেলের সামনে পুতুলের মতো সে বসে থাকতে পারবে না। তবুও মুখে বললো,’ নাহ্’
আহনাফঃ সমস্যা হলেও এখানেই থাকতে হবে।

মহুয়া চুপচাপ গিয়ে বসলো। আঁড়চোখে আহনাফের দিকে তাকালো। কেমন লজ্জা লজ্জা লাগছে একটা ছেলের সামনে বসতে আর সারাদিন সে কিভাবে থাকবে!.? কিভাবে কথা বলবে! কাজ করবে..? এইসব ভাবতেই মন খারাপ হয়ে গেলো।

আহনাফ মহুয়া কে এতোক্ষন পর্যবেক্ষণ করলো। মেয়েটার গাল ভীষণ লাল হয়ে গেছে, এলার্জি সমস্যা..?

আহনাফ নিজের চেয়ারে বসে নিচের দিকে তাকিয়ে মহুয়াকে জিজ্ঞেস করলো,’ আপনার এলার্জি সমস্যা আছে..??’
মহুয়াঃ না।
আহনাফঃ তাহলে আপনার মুখ এতো লাল হয়ে আছে কেনো.?
মহুয়াঃ আমি যখন লজ্জা পাই আমার গাল লাল হয়ে যায়। বলেই দুই হাতে মুখ চেপে ধরলো। এটা সে কি করলো.? ভুলে সত্যি কথা বলে দিলো!!.এখন আহনাফ কি ভাববে.?

আহনাফ অবাক হয়ে মহুয়ার দিকে তাকালো। মেয়েটা লজ্জা কেনো পাচ্ছে.? আহনাফ তো লজ্জা পাওয়ার মতো কিছু বলেনি!
মহুয়া লজ্জায় নিচের দিকে তাকিয়ে আছে, এক হাত দিয়ে মুখ আড়াল করে রেখেছে।

আহনাফ হাসলো, নিঃশব্দে হাসি। বুঝলো মেয়েটা এমনিতেই লজ্জা পেয়ে আছে তার উপর সত্যি কথা বলে আরও লজ্জা পেয়ে গেছে এখন কিছু বললে আরও লজ্জা পাবে।

আহনাফ নিচের দিকে তাকিয়ে মহুয়াকে ওর সামনে আসতে বললো।

মহুয়া ধীর পায়ে এসে দাঁড়ালো।

আহনাফঃ বসেন।
মহুয়া বসতেই আহনাফ খুব সুন্দর করে ওকে শুরুটা বুঝিয়ে দিচ্ছে। কিভাবে কি করতে হবে।

___________________

শ্রাবণ রুমে শুয়ে আছে। আজ সে অফিসে যায়নি। ভালো লাগছে না।

মেঘলা দরজা ঠেলে রুমে আসলো।
শ্রাবণ মেঘলা কে দেখে ভ্রু কুঁচকে তাকালো, ওর দিকে তাকিয়ে কুঁচকানো ভ্রু আরও কুঁচকে গেলো।

মেঘলা রুমে এসে হাতের ব্যাগ গুলো রেখে ভেতর দিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো।

শ্রাবণঃ দরজা লাগালে কেনো.??
মেঘলাঃ স্বামী, স্ত্রীর মধ্যে কথা হবে বাহিরে জেনো না যায় সেই জন্য।
শ্রাবণঃ তোমার সাথে আমার কোনো কথা নেই রুম থেকে বের হও। আর নিজেকে আমার স্ত্রী ভাবা বন্ধ কর।
মেঘলাঃ আচ্ছা বন্ধ করলাম কারন আমি ভাববো কেনো.? আমি তো কাগজ কলমে আপনার স্ত্রী।
শ্রাবণঃ হুম শুধু কাগজ কলমে আর কোথাও না।
মেঘলাঃ কাগজ কলমে হোক আর যেভাবেই হোক বিয়ে তো বিয়েই আর আমি বিয়ের পর সিঙ্গেল কেনো থাকবো!? আমি আজ থেকে এই রুমে থাকবো।

শ্রাবণ দুই হাত বাজ করে বুকে রেখে বলে উঠলো, ‘ তোমার মনে হচ্ছে না একটু বেশি বেশি করছো.??’
মেঘলাঃ একদম মনে হচ্ছে না, কেনো মনে হবে.? এখনো আমাদের ডিভোর্স হয়নি আমি আপনার বিয়ে করা বউ। আমি এইরুমে এই বিছানায় থাকবো শেষ কথা আমার।

শ্রাবণঃ তাহলে আমি কোথায় থাকবো.??
মেঘলাঃ আবার কোথায় এই রুমে। এটা সিনেমা নয় যে আপনি অন্য রুমে আমি অন্য রুমে ছুটাছুটি করবো।
শ্রাবণঃ আমি তোমার সাথে এক রুমে থাকবো না।
মেঘলাঃ কেনো আপনি আমার প্রেমে পড়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন.?? নাকি আমাকে দেখলে এমনিতেই প্রেম প্রেম পায়!? যে এক রুমে থাকলে নিজেকে আটকাতে পারবেন না।

শ্রাবণ রেগে মেঘলার গাল চেপে ধরে বলে উঠলো, ‘ তোমাকে দেখলেই আমার রাগ হয়, বিরক্ত লাগে, ঘৃণা আসে এখানে প্রেম ভালোবাসা কোনো দিন আসবে না।এই সব ফালতু স্বপ্ন দেখা বন্ধ করো মাত্র তিন মাস আছো।
মেঘলাঃ খুব জলদি আসবে প্রেম, ভালোবাসা। ঘৃণা হয়েই থাকতে চাই তাওও তো আপনার মনে থাকবো। ভালোবেসে না হোক আপনার ঘৃণায় আমাকে রেখে দেন আপনার মনে।

শ্রাবণ মেঘলাকে ধাক্কা দিয়ে রুমে ফেলে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।

মেঘলা চিৎকার করে বলে উঠলো, ‘ এ্যাঁই জামাই আপনার চরিত্র তো ঠিক নেই। মুখে বলেন এক আর হাতে করেন আরেক। কিছু বলতে না বলতেই দেয়ালে চেপে ধরেন, গাল চেপে ধরেন ব্যাপার কি হ্যাঁ.?।

মেঘলার এইসব শুনে আরও রাগ বেড়ে যায় শ্রাবণের। ফিরে আসতে গিয়েও চলে যায়।

____________

মেঘলা এই নিয়ে চার ঘন্টায় ১৪ গ্লাস পানি খেয়েছে। আবার গ্লাসে হাত দিতেই আহনাফ মহুয়ার দিকে তাকালো।

আহনাফঃ বাসা থেকে খেয়ে এসেছিলেন.?
মহুয়াঃ জ্বি।
আহনাফঃ আপনার কি শরীর খারাপ.?
মহুয়াঃ না।
আহনাফঃ আরও পানি এনে দিতে বলবো.?
মহুয়াঃ হুম।
আহনাফঃ এদিকে আসেন।
মহুয়াঃ কোথায়.?
আহনাফঃ আমার সামনে।
মহুয়া উঠে আহনাফের সামনে দাঁড়াতে আহনাফ মহুয়ার দিকে শান্ত দৃষ্টিতে তাকালো।
মহুয়া মাথা নিচু করে আছে।
আহনাফ মহুয়ার থেকে চোখ সরিয়ে ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে বললো,’ আপনার কি কোনো সমস্যা হচ্ছে.?? এতো পানি খাচ্ছেন কেনো.?
মহুয়াঃ পানির পিপাসা পেয়েছে তাই।

কিছু সময় থেমে মহুয়া আবার বলে উঠলো, ‘ আমি কি হসপিটালটা একবার ঘুরে দেখতে পারি!.?’
আহনাফঃ বেশি সময় নিবেন না।

মহুয়া মাথা নেড়ে ঘুরে দাঁড়ালো। সে তো এতোক্ষন এটা বলতেই চেয়ে ছিলো সাহসের জন্য বলতে পারিনি তাই বার বার পানি খাচ্ছিলো।

মহুয়া ক্যাবিন থেকে বের হয়ে লম্বা শ্বাস নিলো। সে মেঘলার থেকে আগেই জেনে নিয়েছে পলাশ কোন ক্যাবিনে আছে। সে দেরি না করে দ্বিতীয় ফ্লোরে চলে গেলো। ২০৩ নং রুমের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। মনে সাহস নিয়ে মাক্স পড়ে দরজা খুলে ভেতরে গেলো।

পলাশ ঘুমিয়ে আছে আশেপাশে কেউ নেই। ওইদিন ইট দিয়ে মহুয়া কানের পাশে মেরে ছিলো। ঠিক এতোটাই শক্তি দিয়ে মেরে ছিলো ইটটা যে কানের পাশ ফেটে গিয়ে ছিলো। কান অপারেশন করানোর পর এখন সে কানে শুনতে পায় না।কাল ওকে রিলিজ দিয়ে দিবে।সে আর কোনোদিন ডান কানে শুনবে না।

মহুয়া চুপচাপ পলাশের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো। ব্যাগ থেকে গুড় বের করে পলাশের বাম কানের ভেতর দিয়ে কতোগুলো পিঁপড়ে কানের পাশে ছেড়ে দিলো। হাত পা বেঁধে মুখে ট্যাপ মেরে দিলো। পলাশকে ঘুমের ইনজেকশন দেওয়া হয়ে ছিলো যার জন্য ওর ঘুম ভাঙছে না।

মহুয়া ব্যাগ থেকে ছুরি বের করে পলাশের হাত টান দিয়ে অনেকটা কেঁটে ফেললো, রক্ত গড়িয়ে পড়ছে সেখানে মরিচ গুঁড়ো ডেলে চুপচাপ বেরিয়ে গেলো।

মাক্স খুলে দ্রুত নিচে নেমে ক্যাবিনের সামনে এসে দাঁড়ালো।

মহুয়াঃ আসবো ভাইয়া..?
আহনাফঃ আসুন।
মহুয়া নিজের জায়গায় গিয়ে বসে পড়লো। নিচের দিকে তাকিয়ে আহনাফের দেওয়া কাজ গুলো শেষ করতে লাগলো।

আহনাফঃ আমি আপনার স্যার আর কখনো ভাইয়া বলবেন না।
মহুয়াঃ ঠিক আছে।
আহনাফঃ হসপিটাল দেখা হয়েছে.?
মহুয়াঃ জ্বি।
আহনাফঃ পাঁচ মিনিটেই শেষ!
মহুয়াঃ আমি পড়ে ভালো করে দেখে নিবো এখন শুধু আশপাশটা একটু দেখে আসলাম।

আহনাফ মহুয়ার দিকে আঁড়চোখে তাকালো। মনে মনে বলে উঠলো ” মেয়েটা কি সব সময় লজ্জা পায়.? গাল গুলো এতো লাল হয়ে আছে কেনো.? নাকি আমার সামনে আসতে লজ্জা পায়!.? কই এতোদিন তো লাল দেখিনি।
_________

ছোঁয়া রেগে নির্জনের দিকে তাকিয়ে আছে এটা বাইক চালাচ্ছে নাকি ঠেলা গাড়ি!!

ছোঁয়াঃ এ্যাঁই থাম, থাম বলছি!!
নির্জন কানে ইয়ারফোন কানে দিয়ে গান শুনছিলো। আসলে সে গান শুনছে না ছোঁয়া কে বুঝানোর জন্য কানে ইয়ারফোন গুঁজে রেখেছে।
ছোঁয়া ওর কান থেকে ইয়ারফোন খুলে রাস্তায় ছুড়ে ফেললো।

নির্জনঃ কটকটির বইন এটা কি করলি!.? তুই জানোস এটার দাম কতো.?
ছোঁয়াঃ তোরে থামতে বলছি না!..
নির্জনঃ মাঝ রাস্তায় কেনো থামবো.?
ছোঁয়াঃ এটা বাইক নাকি ঠেলা গাড়ি.?
নির্জনঃ আমার ইয়ারফোন খুঁজে নিয়ে আয়।
ছোঁয়াঃ পারবো না।
নির্জনঃ আমাকে রাগাবি না ছোঁয়া। ভালোই ভালো বলছি খুঁজে আন।
ছোঁয়াঃ আমি পারবো না তুই যা করার করে নে আমি পারবো না! না! না। তোর যে রাগটা।

নির্জন ছোঁয়ার কথা শুনে আরও রেগে গেলো। ছোঁয়ার দিকে তাকিয়ে ঠাসসস করে থাপ্পড় বসিয়ে দিলো।

থাপ্পড়টা অনেকটা জুড়ে ছিলো। ছোঁয়ার নরম গাল লাল টকটকে হয়ে গেছে। পাচ আঙ্গুলের ছাপ পড়ে গেছে।

ছোঁয়া স্তব্ধ হয়ে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো নির্জনের দিকে। আস্তে আস্তে নিজের হাত গালে রাখলো চোখ গুড়িয়ে আশেপাশে তাকালো। রাস্তার পাশ দিয়ে মানুষ তাকিয়ে যাচ্ছে।
ছোঁয়ার চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। কান্না আটকিয়ে রাখার চেষ্টায় ফুঁপানো শুরু করলো।

নির্জন রেগে দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠলো, ‘ পাঁচ মিনিটের ভেতরে আমার ইয়ারফোন সামনে না দেখলে ঠিক এভাবে আরও কয়েকটা তোর গালে পড়বে। যাএএএএএ!!

ছোঁয়া নির্জনের লাস্ট চিৎকার দিয়ে বলা কথা শুনে আবার কেঁপে উঠল। ভেতর থেকে চিৎকার করে কান্না আসছে। কখনো কেউ ওর গায়ে হাত তুলেনি, এই নির্জন হাত তুললেও এতো শক্ত মাইর কখনো দেয়নি আর না এমন ব্যাবহার করেছে। এর থেকেও বেশি দুষ্টুমি, বেয়াদবি করেছে ছোঁয়া কিন্তু এমনতো কখনো করেনি নির্জন। চোখ ঝাপসা হয়ে বার বার পানি গড়িয়ে পড়ছে। হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে চোখ মুছছে আবার চোখ ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে।

নির্জনঃ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি আমার চেহারা দেখছিস! নাকি রাস্তায় দাঁড়িয়ে ন্যাকা করে আশেপাশে ছেলেদের Attention পাওয়ার চেষ্টা করছিস..?

ছোঁয়া এক পা দু পা করে পিছিয়ে গেলো। পেছনের দিকে ফিরেই হাঁটা শুরু করলো। একটা বাইক দেখতেই সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পরলো। বাইকটা থামতেই ছোঁয়া কিছু না বলে বাইকে বসে” শান্তি নীড়ে” যেতে বললো।

হেলমেট পড়া ছেলেটা ছোঁয়ার চোখে পানি দেখে আর কিছু জিজ্ঞেস না করেই বাইক নিয়ে হাওয়ার বেগে নির্জনের চোখের আড়াল হয়ে গেলো।

হাত মুষ্টি বদ্ধ করে শক্ত চোখে তাকিয়ে রইলো নির্জন ওদের যাওয়ার দিকে।

ছোঁয়া নিজেও জানেনা সে কার বাইকে উঠেছে। রাগের মাথায় যেটা মন বলেছে সে সেটাই করেছে। এই মাঝ রাস্তায় সে না কোনো রিক্সা পাবে আর না কোনো গাড়ি।

নির্জন রেগে বলে উঠলো, ‘ নিজের শাস্তির পাল্লা আরও ভারি করলি’

চলবে…
ভুলত্রুটি মার্জনীয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here