মেঘের_আড়ালে_রোদ #পর্ব_১৮ লেখিকা #Sabihatul_Sabha

0
668

#মেঘের_আড়ালে_রোদ
#পর্ব_১৮
লেখিকা #Sabihatul_Sabha

ছোঁয়া বই টেবিলের উপর রেখে রুম থেকে কিছু একটা হাতে নিয়ে বের হয়ে নির্জনের রুমের সামনে দাঁড়ালো।
দরজা খুলে ভেতর দেখে নিলো কেউ আছে কিনা।
ওয়াশরুম থেকে পানির শব্দে বুঝে গেলো নির্জন ওয়াশরুমে।
শয়তানি একটা হাসি দিয়ে আশেপাশে তাকালো । বিছানার উপর নির্জনের তোয়ালে রাখা।
ছোঁয়া এই সুযোগটা সুন্দর করে কাজে লাগালো।

নির্জন ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে তোয়ালে হাতে নিয়ে মুখ মুছে হাত, ঘার, পা মুছে আবার বিছানায় রাখলো। মোবাইল হাতে নিয়ে বিছানায় শুয়ে ফেসবুকে স্কল করলো।
মুখে এক দুই বার চুলকিয়ে নিল। আস্তে আস্তে হাতে,পায়ে,ঘারে,মুখে প্রচুর চুলকাতে শুরু করলো৷ নির্জন শুয়া থেকে উঠে বসে পড়লো হাত দিয়ে চুলকিয়ে হচ্ছে না। নির্জনের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছে। শরীরে কেমন ছোট ছোট কি জেনো বের হচ্ছে আর চুলকানো দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

এক পর্যায়ে নির্জন সহ্য করতে না পেরে হালিমা বেগম কে ডাকতে লাগলো। নির্জনের এমন চিৎকার চেচামেচি শুনে সবাই দৌড়ে রুমে আসলো।

ছোঁয়া মনের খুশিতে মোবাইলে DJ গান লাগিয়ে রুম দরজা বন্ধ করে নাচতে লাগলো। প্রতিশোধ নিতে পেরেছে সে।

হালিমা বেগম কান্না জুড়ে দিলেন ছেলের অবস্থা দেখে। আনোয়ার চৌধুরী নির্জনের অবস্থা খারাপ থেকে আরও খারাপ দেখে জলদি ওকে গাড়িতে নিয়ে হসপিটালের উদ্দেশ্য বের হলো। গাড়িতে নির্জন ছটফট করছে। এমনিতেই নির্জনের শরীরে এলার্জি বেশি , আজেবাজে কিছু খেলে,একটু ময়লায় গেলেই এলার্জি দেখা দেয় আর ছোঁয়া তো চুলকানোর পাউডার সবটা তোয়ালে আর বিছানায় ছিটিয়ে দিয়েছে।

ছোঁয়া তাকিয়ে রইলো নির্জনের গাড়ি যাওয়ার দিকে ওর চোখে পানি টলমল করছে। ভাবতেও পারিনি নির্জন এতোটা অসুস্থ হয়ে যাবে। সে তো একটু মজা করার জন্য এমনটা করেছে নির্জন এতোটা কষ্ট পাবে ভাবতে পারিনি। চোখের পানি গাল বেয়ে পরছে। ওর কি একবার হসপিটাল যাওয়া দরকার.? কি অবস্থা এখন নির্জনের.??? ওর ভীষণ কান্না পাচ্ছে আজ নির্জনের কিছু হয়ে গেলে!! এইসব ভেবে হেঁচকি তুলে কান্না শুরু করলো।

বাড়িতে একমাত্র ছোঁয়া ছাড়া আর কেউ নেই সবাই হসপিটাল গেছে হালিমা বেগমের কান্না কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। মিরাজ চৌধুরীও হসপিটাল পৌঁছে গেছে ছেলে দুষ্টু হলেও মা বাবার কাছে বেঁচে থাকার একমাত্র কারন। মা বাবার কাছে দুষ্টু মনে হয় না সব সময় তাদের কাছে আদুরে রাজপুত্রের মতোই থাকে।

হসপিটাল আনার পর নির্জনের অবস্থা দেখে আহনাফ ভয় পেয়ে গেলো তাও নিজেকে সামলে বলে উঠলো, ‘ ওর এই অবস্থা কিভাবে হলো.??’
নির্জনের শরীরে একটা ইনজেকশন পোষ করে আহনাফ চিকিৎসা শুরু করলো।

নির্জনের শরীর লাল হয়ে গেছে।

আহনাফ বের হয়ে বললো,’ টেনশন না করে একজন থেকে বাকিরা বাসায় চলে যান নির্জনকে ঘুমের মেডিসিন খাইয়েছি সে এখন ঘুমাবে, ঘুম থেকে উঠে ঠিক হয়ে যাবে। আমি যা যা প্রয়োজন করে দিয়েছি।ইনশাআল্লাহ আক রাতের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাবে।

পেছন থেকে ছোঁয়া বলে উঠলো, ‘ ভাই আমি থাকি.? ছোঁয়াও চলে এসেছে।
আহনাফঃ তোর তো কাল এক্সাম এখন বাসায় যা। তুই ছাড়াও অনেকে আছে।
ছোঁয়াঃ বড়,ছোটো মামী, আম্মু,নানাভাই কেউ থাকতে পারবে না। কিছু হবে না একদিনে তো আর সব মুখস্থ করতে পারবো না। আমি আজ রাত থেকে কাল সকালে চলে যাবো।

সবাই চেষ্টা করেও ছোঁয়া কে নিতে পারলো না। ছোঁয়া নির্জনের ক্যাবিনের সামনে চেয়ারে বসে রইলো। কান্না করে চোখ মুখ ফুলিয়ে ফেলেছে।

আহনাফ বিরক্ত হয়ে ঘড়ির দিকে তাকালো। চার ঘন্টা হয়ে গেছে মহুয়া এখনো আসেনি। অথচ বাড়ি থেকে আহনাফের আগে বের হয়েছে। আহনাফ ছোঁয়া কে ডাকলো।

ছোঁয়াঃ বলো ভাইয়া।
আহনাফঃ মহুয়া কি আজ কলেজ গিয়েছে.?
ছোঁয়াঃ না ভাইয়া। ছোঁয়া তো হসপিটাল থাকার কথা।
আহনাফঃ চার ঘন্টা হয়ে গেছে এখনো আসেনি।
ছোঁয়াঃ কি বলো!! ওর কোনো বিপদ হলো না তো.??
আহনাফের মনও কেমন করে উঠলো ‘ কোনো বিপদে পরলো না তো.??’
আহনাফঃ ওর কি কোনো ফ্রেন্ড আছে.? ফ্রেন্ডের বাসায় গিয়েছে.?
ছোঁয়াঃ না ভাইয়া ওর কোনো ফ্রেন্ড নেই কলেজে। ও কারো সাথেই কথা বলে না। প্লিজ ভাইয়া খুঁজ নাও মহুয়া কোথায় আমার ভীষণ টেনশন হচ্ছে।

আহনাফ বাড়িতে কল দিয়ে মহুয়ার কথা জিজ্ঞেস করলো৷

আহনাফ চিন্তিত হয়ে মোবাইল রেখে চোখ বন্ধ করে ছোঁয়া কে নির্জনের কাছে যেতে বললো।

ছোঁয়াঃ ভাই মহুয়া.?
আহনাফঃ তোর ওকে নিয়ে টেনশন করতে হবে না। তুই নির্জনের পাশে থাক আর কোনো সমস্যা হলে আমি ডাক্তার সোনিয়া কে বলে যাবো।

____

আহনাফ গাড়িতে বসে আছে সে জানে না কোথায় যাচ্ছে। তবে বাড়ি থেকে হসপিটাল ভালো করে রাস্তায় মহুয়াকে খুঁজলো না পেয়ে কলেজ গেলো। কলেজ না পেয়ে ওর নাম্বারে কল দিলো মোবাইল বন্ধ। মহুয়ার কোনো খোঁজ না পেয়ে আনোয়ার চৌধুরীর কাছ থেকে ওর নিজ বাড়ির নাম্বার চাইলো। আনোয়ার চৌধুরী ভড়কে গেলেন উনার কাছে তো মহুয়ার বাড়ির কোনো ঠিকানা বা নাম্বার নেই।
আনোয়ার চৌধুরী আমতা আমতা করে বললেন,’ নাম্বার হারিয়ে ফেলেছেন।’
আহনাফ ভীষণ বিরক্ত হলো। এটা কোনো কথা একটা নাম্বার রাখতে পারো না!!

আনোয়ার চৌধুরী অবাক হচ্ছে আহনাফের ব্যাবহারে। আহনাফ পাগলের মতো মহুয়াকে খুঁজছে। মনে হচ্ছে ওর কোনো মূলবান কিছু হারিয়ে গেছে

ছয় ঘন্টা পেরিয়ে গেছে মহুয়ার কোনো খবর নেই৷ এর মধ্যে মেঘলা মাত্র বাড়িতে আসলো। কারো দিকে না তাকিয়ে নিজের মতো নিজের রুমে চলে গেলো। এই বাড়ির কোনো খবর ও জানে না। সকাল থেকে একটা কাজে আঁটকে গিয়ে ছিলো।এখন সে নিজেই ভীষণ ক্লান্ত।

রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নিচে আসলো অনেক খিদে পেয়েছে।

রান্না ঘরের দিকে যাওয়ার সময় দেখলো বাড়িতে পুলিশ। কৌতুহলে সামনে গেলো দেখতে একজন পুলিশ দেখেই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে আড়ালে চলে গেলো। আর একটু হলে সবার সামনে ধরে পড়ে যেতো। কিন্তু উনি এখানে কেনো..??
মেঘলা আড়াল থেকে ওদের সব কথা শুনলো। মহুয়াকে ৭ঘন্টা ধরে পাওয়া যাচ্ছে না শুনেই মেঘলা চমকে উঠলো। মহুয়ার বিষয় সবটা না জানলে অনেকটাই জানে। মহুয়ার যাওয়ার মতো তেমন কোনো জায়গা নেই। তাহলে কি মহুয়ার খুঁজ ওরা পেয়ে গেছে..? এটা কিভাবে সম্ভব! মহুয়ার খুঁজ করা বা ওকে চিনে এমন সবাই তো জেলে, ফুলবানু আর ওর দল-বল সবাই জেলে তাহলে মহুয়াকে নিলো কে.??? অবশ্য মহুয়া নিজেও জানেনা ওরা যে জেলে এখন।

মেঘলা দেরি না করে নিজের রুমে চলে গেলো। শার্ট, প্যান্ট মুখে মাক্স, মাথায় ক্যাপ পড়ে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে গেলো।

বাড়ির সবাই খুব চিন্তিত মহুয়াকে নিয়ে । এতোক্ষন নির্জনকে নিয়ে চিন্তিত ছিলো আর এখন মহুয়াকে নিয়ে।

আহনাফ রাস্তায় মহুয়ার জুতা দেখে হাতে নেয়। এখানে জুতা কেনো.?? এটা তো মহুয়ার!! আহনাফ আশেপাশে তাকায় রাস্তার পাশে সিসিটিভি আছে কিনা.?

সিসিটিভি অফিসে গিয়ে চেক দিয়ে দেখতে পায় ” কয়েকজন ছেলে জোর করে মহুয়াকে কালো একটা গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছে। ”

গাড়ির নং এবং লাস্ট লোকেশন দেখে আহনাফ নিজেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। সাথে পুলিশদের কল দিয়ে লোকেশন জানিয়ে দেয়।

আহনাফ গাড়ি থেকে নেমে একটা অন্ধকার গলিতে ঢুকে পড়লো। সন্ধ্যা হয়ে গেছে সেই ৮টায় মহুয়া কিডন্যাপ হয়েছে আর এখন বাজে সন্ধ্যা ৭টা।

অন্ধকার গলি একটু হাঁটতেই আলোর দেখা মিলল। কিছু লোক গোল করে বসে জুয়া খেলছে, কিছু লোক খেলা দেখছে আর সিগারেট টানছে, কেউ বা নেশা করে পড়ে আছে। আহনাফ এই পর্যন্ত এসে থেমে গেলো এখন সে কোথায় খুঁজবে.?? চারপাশে ছোটো ছোটো ঘর কোথায় আছে মহুয়া.? আর ঠিক আছে তো.?? বুক ধুকপুক করছে, মাথা ঝিমঝিম করছে,হাত, পা কাঁপছে।
আহনাফ কিছু লোক দেখে আড়ালে লুকিয়ে গেলো।
একটা লোক আরেকটা কে বলছে,’ মাইয়াডারে দেখে আয় ভাই একটু পর আসবো। ‘
~ ভাই মাইয়াডা পুরাই আগুন একটু ধরে দেখি।
~ একদম এই ভুল করলে ভাই জিন্দা কবর দিয়ে ফেলবো এই পাখি অন্য কারো শিকার।
~ ভাই এতো সুন্দর টকটকে ফল সামনে দেখলে…
~ আর একটা কথাও মুখ থাক্কা বার করবি না, মুখ বন্ধ করে বাহিরে দাড়ায় থাক।
~ ভাই দাঁড়াইলেই কি আর না দাঁড়াইলেই কি রনি ভাইয়ের আস্তানায় পা রাখার সাহস কারো নাই।

আহনাফ হাত মুষ্টি বদ্ধ করে নিলো। রাগে ইচ্ছে করছে সব গুলোর জীবন নিয়ে নিতে। ইতিমধ্যে আহনাফের কিছু লোক চলে আসলো। আহনাফ ইশারা দিতেই সবগুলো লুকিয়ে গেলো আর একটা একটা করে নিয়ে আড়ালে চলে যাচ্ছে।

মহুয়ার সামনে কেউ হাঁটু গেড়ে বসে ওর জ্ঞান ফিরানোর চেষ্টা করলো। মহুয়ার পায়ের বাঁধন খুলে হাতের বাঁধন খুলবে তখনি মনে হলো ঘরে কেউ আসছে। খুব সাবধানে দরজার পেছনে লুকিয়ে গেলো।

লোকটা ঘরে ঢুকে লাইট জ্বেলে মহুয়ার মুখে পানি মারলো। মহুয়া চোখ পিটপিট করে খুলতেই বিশ্রী একটা হাসি দিয়ে ময়লা দাঁত গুলো বের করে মহুয়ার দিকে তাকালো।

মহুয়ার মাথা ঘুরছে।সারাদিন একটু পানিও খাওয়া হয়নি, হঠাৎ করে তার সেই আগের বন্দি অবস্থার কথা মনে পড়লো, মনে পড়লো সেই অসহ্য যন্ত্রণা আর মারের কথা, এভাবে হাত পা বাঁধা অবস্থায় তিনদিন ছিলো এক ফুটা পানির জন্য কতো কাতরেছে। ওইসব মনে হতেই শরীর কাঁপতে লাগলো। চোখ ঝাপসা হয়ে আবার জ্ঞান হারালো৷ এবার হয়তো তার মুক্তি নেই, সে আগের মতো মনে শক্তি পাচ্ছে না, ওর ভাগ্যে আসলেই এই জীবন লেখা হয়ে গেছে ও পালিয়ে বেড়াবে কতো দিন..???? পালিয়ে যাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ! আর কেউ হয়তো আসবেও না। ওলকে বাঁচাতে তখনো কেউ আসেনি নিজেকে লড়তে হয়েছে। এবার কি সে পারবে.? হয়তো পারবে না মনে শক্তি নেই এখানেই ওর হার।

লোকটা মহুয়াকে আবার জ্ঞান হারাতে দেখে বিরক্ত হলো। প্রতি সপ্তাহে এভাবে পাঁচ থেকে সাতজন মাইয়া এমনে তুইললা আনে তবে এবারের মেয়েটারে মনে হয় বেশিই গুরুত্ব দেওয়া হইতাছে কারন এই মাইয়ারে বড় বসের কাছে পাঠানো হইব, বলে মুখে বিরক্তির ছাপ এনে।

লোকটা মহুয়ার দিকে তাকিয়ে পেছনে ফিরতেই কেউ ওর মুখে স্প্রে মারে এটা অজ্ঞান হওয়ার স্প্রে ছিলো লোকটা সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে যায়। এখানে আসার সময় দশজনকে অজ্ঞান করে এসেছে।

মহুয়ার মুখে পানি দিয়ে জ্ঞান ফিরাতে চেষ্টা করলো। মহুয়া ঝাপসা চোখে তাকালো। সে অজ্ঞান হয়নি তখন শুধু ক্লান্ত শরীরে চোখ বন্ধ করে নিয়ে ছিলো।

মহুয়ার হাতের বাঁধন খুলে হাত ধরে বাহিরে নিয়ে আসতে নিলে মহুয়া হাত ধরা ব্যক্তির দিকে তাকালো সারা শরীর ডাকা চোখও ক্যাপের কারনে ডেকে আছে।কে এই আগুন্তকঃ? ওকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে.? মহুয়ার চোখ গেলো কোমরের দিকে পকেট থেকে একটা কার্ড অর্ধেক বের হয়ে আছে যেখানে লেখা CID এর একটু নিচে নামের পাশে লেখা ” মেঘ” আর কিছু পড়ার আগেই পায়ের শব্দ পেয়ে মহুয়াকে ধাক্কা দিয়ে বসিয়ে ব্যক্তিটি লুকিয়ে গেলো।

মহুয়া ধাক্কায় ভীষণ ব্যাথাও পেয়েছে তাও চোখের সামনে আলো দেখতে পাচ্ছে মুক্তির পথ দেখতে পাচ্ছে। কেউ তো এসেছে ওকে বাঁচাতে!

দরজা দিয়ে আর কেউ নয় আহনাফ প্রবেশ করলো। দরজার ভেতরে এসে দাঁড়িয়ে গেলো আহনাফ। মহুয়াকে দেখেই দ্রুত এসে বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো থমকে গেলো মহুয়া। আহনাফ শান্ত হলো, বুকের ভেতর জ্বলতে থাকা আগুন নিভল।মস্তিষ্ক ঠান্ডা হলো কিন্তু মহুয়াকে ছাড়লো না।
মহুয়ার মনে হলো সে স্বপ্ন দেখছে এখানে আহনাফ কিভাবে আসলো.? আর এভাবে জড়িয়ে ধরলো কেনো.??

বেশি কিছু ভাবতে পারলো না তার আগেই জ্ঞান হারিয়ে আহনাফের বুকের সাথে মিশে রইলো।

” আজ থেকে তুমি আমার বাহুডোরে বন্দী হয়ে গেলে মেহুরাণী,তোমার অতীত আর এই অন্ধকার জীবন থেকে খুব জলদি মুক্তি পাবে শুধু সূর্যোদয়ের অপেক্ষা ”

চলবে……
ভুলত্রুটি মার্জনীয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here