নব_প্রেমের_সূচনা #Sumaiya_Akter_Bristy #পর্ব_২৪

0
422

#নব_প্রেমের_সূচনা
#Sumaiya_Akter_Bristy
#পর্ব_২৪

অনেক কষ্টে সবাই মিনহাজকে রাজি করিয়েছে দুদিনের জন্য সবার সাথে ঘুরতে যাওয়ার জন্য। আজ রাতের ট্রেনে করে সবাই বান্দরবন যাবে। তারপর সেখানে দুরাত কাটিয়ে তবেই হৃদয়পুর ফিরবে।

আজ বুধবার। আর নাহিদ চৌধুরীকে কোর্টে নিয়ে যাওয়া হবে রবিবার। এ জন্যই সবাই শনিবার ফিরে আসবে। কেউ যেহেতু জানে না নাহিদ চৌধুরী পালিয়েছেন তাই সমুদ্র মিথ্যে বলেছে। এছাড়া সমুদ্র ও মিনহাজ মিলে বড় একজন লয়ার হায়ার করেছে এমনটা জানিয়েছে সবাইকে।

বিকেলে নাহিদ চৌধুরী ঘরের ভেতরে হাটছিলেন। সেসময় “মামা!” বলে পেছন থেকে কেউ একজন ডাকলো। নাহিদ চৌধুরী পিছু ফিরে দেখলেন উনার ভাগ্নে দাঁড়িয়ে আছে। অনেকদিন পর নিজের ভাগ্নেকে দেখে আনন্দিত হয়ে বললেন,”ভাগ্নে আয় আয়। তোর না কাল আসার কথা ছিলো?”

“আজই আসলাম। তোমাকে অনেক দেখতে ইচ্ছে করছিলো।”

“ভালো করেছিস। আয় বস।”

দুজনে মিলে খাটে বসলেন। ছেলেটা এবার নাহিদ চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে মলিন স্বরে বললো,”মামা, তুমি হৃদয়পুর ছেড়ে চলে যাও। পুলিশ র‍্যাব যেভাবে তোমাকে খুঁজছে খুব জলদি ওরা তোমাকে ধরে ফেলবে। আমি আর মিনহাজ মিলে তোমার পাসপোর্টের দিকটা সামলাচ্ছি। আজ থেকে তিনদিন পর রাত একটার ফ্লাইটে তোমরা কানাডায় যাবে। এখানে আর ফিরো না প্লিজ। এসব রাজনীতি, শত্রুতা ছেড়ে একটু শান্তিতে বাঁচতে শেখো।”

“না ভাগ্নে, তুই অন্তত মিনহাজের মতো বলিস না। আমি সব মিথ্যে প্রমাণ করে তবেই ক্ষান্ত হবো। আমি আবার আমার সাম্রাজ্য ফিরিয়ে আনবো।”

“এভাবে নিজের ধ্বংস ডেকে এনো না মামা। আটবছর যাবত সব’ই তো তোমার মন মতো করেছো তুমি। এবার না হয় আমার আর মিনহাজের কথা একটু শুনো প্লিজ। তোমার বিরুদ্ধে এমন এমন প্রমাণ র‍্যাবের হাতে লেগেছে যা থেকে তুমি বাঁচতে পারবে না। প্লিজ আমাদের কথা একটু বুঝার চেষ্টা কর।” অনুনয়ের স্বরে বললো ছেলেটি। ছেলেটির চোখে-মুখে স্পষ্ট ভয়ের দেখার মিলেছে।
উনার দুই ছেলে উনাকে নিয়ে এত্তো ভাবে সেটা জেনে উনার বেশ ভালো লাগলো।
নাহিদ চৌধুরী পুরো জীবনে এই দুজনকেই তো ভালোবেসেছে। না চাইতেও এই দুজনের প্রতি অদ্ভুত এক ভালোবাসা সৃষ্টি হয়ে গেছে। ছেলে দুটোও বড্ড ভালোবাসে উনাকে।

“আচ্ছা ভাগ্নে। শুধুমাত্র তুই বললি দেখেই আমি রাজি হয়েছি কানাডায় যাওয়ার জন্য। তবে এই মূহুর্তে হৃদয়পুর ছেড়ে আমি বের হবো কিভাবে?”

“সেসব আমার উপর ছেড়ে দাও তুমি। তোমাকে এই হৃদয়পুর থেকে বের করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব আমার। আজ রাতে প্রস্তুত থেকো। আর হ্যাঁ, এ কথা যেনো কেউ না জানে। এমনকি হিমেল ও ইমতিয়াজও না।”

——–

সন্ধায় নাহিদ চৌধুরী একা একা বসে ছিলেন। এভাবে একা একটা ঘরের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসছে উনার। নিজেকে বন্দি খাঁচার পাখি মনে হচ্ছে। এর আগে কখনো এভাবে কোথাও আটকা পড়েন নি উনি। কানাডায় ফিরে হয়তো আবার মুক্ত জীবন অতিবাহিত করতে পারবেন। এ আশাতেই এখন অপেক্ষার প্রহর গুনছেন নাহিদ চৌধুরী।

কিছুক্ষন পর নাহিদ চৌধুরীর ঘরে ইমতিয়াজ এলো। মূলত ইমতিয়াজ’ই এখন উনাকে তিনবেলার খাবার থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব কিছু দিয়ে যায়। কেননা হিমেল নিজের গ্রামে পালিয়ে গেছে। দুজন একসাথে থাকাটা সম্ভব না। নাহিদ চৌধুরী ধরা পড়ে গেলে হিমেল সাহায্য করতে পারবে। মিনহাজের থেকে হিমেল সবার সাথে বেশি পরিচিত।

নাহিদ চৌধুরী ইমতিয়াজের দিকে তাকিয়ে দেখলেন ইমতিয়াজের হাতে দুটো অ্যালকোহলের বোতল। অনেক দিন হয়ে গেছে নাহিদ চৌধুরী এসব ছুয়েও দেখেন নি। যেখানে আগে প্রতি রাতে এটা ছাড়া উনার চলতোই না। তাই অনেক দিন পর অ্যালকোহল দেখে উনি নিজেকে সামলাতে পারলেন না। ইমতিয়াজের হাত থেকে এক প্রকারে কেড়ে নিলেন বোতল দুটো। আর প্রফুল্লচিত্তে বললেন,”ভালো করেছো এটা এনে। কতদিন হয় এসব খাই না। তুমি তো আমার মন ভালো করে দিয়েছো একদম।”

কথা শেষ করে বোতলের ক্যাপ খুলে ঢকঢক করে পুরো এক বোতলের অর্ধেক পান করলেন। দেখেই মনে হচ্ছে অনেক দিনের তৃষ্ণার্ত উনি।

নাহিদ চৌধুরীকে এভাবে অ্যালকোহল পান করতে দেখে ইমতিয়াজ নাহিদ চৌধুরীর চোখ এড়িয়ে সামান্য হাসলো। এতো মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতো সহজেই এই পানীয় নাহিদ চৌধুরীকে খাওয়াতে পারবে বলে ভাবে নি ইমতিয়াজ। অবশ্য যারা প্রতিনিয়ত এসব পান করে তারা যদি বেশ কয়েকদিন এসব থেকে দূরে থাকে তাহলে হঠাৎ তাদের সামনে এই পানীয় রাখা হলে তারা নিজেকে এর থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে না।

এক বোতল প্রায় শেষের দিকে। হঠাৎ নাহিদ চৌধুরীর কাছে নিজেকে কেমন মাতাল মাতাল মনে হচ্ছে। নিজেকে যেনো কোথায় একটা হারিয়ে ফেলছেন উনি। কই এর আগে তো কখনো এমন হয় নি!
বোতলের দিকে তাকালেন উনি। ঠিকই তো আছে। সবসময় তো এটাই খান উনি। তবে আজ কেন নেশাটা চড়ে বসেছে!
নাহিদ চৌধুরী আবারো বোতলটায় চোখ বুলালেন। কিন্তু একি! সব কিছু এমন ঝাপসা হয়ে আসছে কেন?

নাহিদ চৌধুরী ইমতিয়াজের দিকে তাকালেন। ঠিক মতো দেখতে পারছেন না ইমতিয়াজকে। এরকম হওয়ার কারন জানতে উনি মাতাল স্বরে ইমতিয়াজকে জিজ্ঞেস করলেন,”এই, এটা খেয়ে আমার মাথাটা এরকম ঘুরছে কেন?”

“স্যার হয়তো বেশি খেয়ে ফেলেছেন।” ঢোক গিলে বললো ইমতিয়াজ।

“নাহ, আমি বেশি খাই নি। দু বোতল খেলেও আমার নেশা হয় না। আজ তো এক বোতলও খাওয়া হলো না।” নিভু নিভু চোখে থেমে থেমে বললেন উনি।

বর্তমানে উনার চোখের সামনে সব কিছু কেমন অন্ধকার হয়ে আসছে ধীরে ধীরে। অনেক কষ্টে নিজের চোখ যুগল খুলে রেখেছেন। মাথাটা কেমন ভনভন করে ঘুরছে। মনে হচ্ছে অন্য এক জগতে আছেন উনি। তবে ভালো লাগছে। নিজেকে কেমন হালকা মনে হচ্ছে যেনো আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছেন।

নাহিদ চৌধুরীর নেশাটা ভালোমতো হয়েছে বুঝতে পারলো ইমতিয়াজ।
নেশা তো হওয়ারই কথা। কেননা এর মাঝে নেশা জাতীয় এক প্রকার দ্রব্য মিশিয়ে এনেছে ইমতিয়াজ।

আরেকটু মাতাল করার জন্য অপর বোতল নাহিদ চৌধুরীর সামনে ধরে বললো,”স্যার এই যে আরেক বোতল আছে।”

“না, আমি আর খাবো না। আমার পেটে এ-ই টুকুনি জায়গা নেই। এই বোতল খেলে আমার পেট পুরো ফেটে যাবে।” হাত পেটের উপর রেখে খাটের সাথে হেলান দিয়ে বসে বললেন উনি।

ইমতিয়াজ আর রিস্ক নিতে চাইলো না। এমনিতেই ঠিক মতো বসে থাকতে পারছেন না নাহিদ চৌধুরী। আর না পারছেন ঠিক মতো চোখ খুলে রাখতে। আরেকটু খেলে যদি সেন্স হারিয়ে বসেন তাহলে আরেক ঝামেলা বাঁধবে। তাই আর না সেধে মোবাইলের রেকর্ডিং অন করলো। মোবাইলটা টেবিলের উপর রেখে নাহিদ চৌধুরীর সামনা সামনি বসে জিজ্ঞেস করলো,”স্যার, আপনি ঠিক আছেন?”

“হ্যাঁ, আমি একদম ঠিক আছি। আমার আবার কি হবে?”

“না মানে আপনাকে অন্য রকম দেখাচ্ছে। আচ্ছা এসব থাক, আপনাকে কিছু কথা জিজ্ঞেস করার ছিলো।”

“কি কথা?” ভ্রু উঁচু করে জিজ্ঞেস করলেন নাহিদ চৌধুরী।

“জ্বি আরশাদ রায়হানকে চিনেন আপনি?”

“আরশাদ রায়হান!” বলে উচ্চস্বরে হেসে উঠলেন নাহিদ চৌধুরী। হাসতে হাসতে বিছানায় ঢলে পড়লেন। উনাকে দেখে মনে হচ্ছে ভারী মজার কথা শুনেছেন উনি।

ইমতিয়াজ কোনো শব্দ না করে নাহিদ চৌধুরীকে ধরে বসিয়ে দিয়ে পাশে বালিশ রাখলো যেনো উনি আবার পড়ে না যান। তারপর আবার জিজ্ঞেস করলো,”আপনি চিনেন উনাকে? শুনেছি উনি নাকি কার এক্সিডেন্টে মারা গেছেন! উনার গাড়ি নাকি ব্রেক ফেল করে খাদে পড়ে যায়?”

“আরশাদকে আবার চিনবো না? আমরা খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলাম। আর বললে না এক্সিডেন্ট হয়েছে? সেটা মিথ্যে। ওকে তো আমি সরিয়েছি। আমার পথের কাঁটা ছিলো ও।” মাতাল হওয়ার ফলে থেমে থেমে বললেন কথাগুলো।

“স্যার আপনি সরিয়েছেন মানে? কিভাবে? সবাই তো বলেছে এটা একটা এক্সিডেন্ট ছিলো।”

নাহিদ চৌধুরী কিছু বললেন না। ঝিমুতে লাগলেন।

উনি এখন ঘুমিয়ে পড়লে বা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ঝামেলা বেঁধে যাবে। এই সুযোগ আর কখনো মিলবে না। তাই উনাকে এভাবে ঘুমোতে দিলে চলবে না। এই ভেবে ইমতিয়াজ নাহিদ চৌধুরীর দুগালে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে কিছু থাপ্পড় মেরে জাগানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু নাহিদ চৌধুরী আগের মতোই ঝিমুচ্ছেন।
ইমতিয়াজ এবার জোরে নাহিদ চৌধুরীর শরীর ঝাকাতে শুরু করলে নাহিদ চৌধুরী চোখ মেলে তাকান।

নাহিদ চৌধুরীকে তাকাতে দেখে ইমতিয়াজ সব সত্য উনার মুখ থেকে বের করার জন্য আবার বললো,”স্যার বললেন না তো!”

“কি বলবো?”

“আরশাদ রায়হান কিভাবে মারা গেলেন?”

“তোমাকে কেন বলবো? তুমি কে?”

“স্যার আমি ইমতিয়াজ। আপনি বলেছিলেন আমাকে সবটা বলবেন।”

“ওহ বলেছিলাম?” ভাবুক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন নাহিদ চৌধুরী।

“হ্যাঁ।”

“তাহলে বলি।”

“জ্বি বলুন।”

“আরশাদকে তো প্রথমে ওর প্রাণ প্রিয় মেয়ের হবু বর হেমন্তকে দিয়ে ডেকে আনিয়েছিলাম। পরে নিজ হাতে ওর শ্বাসরুদ্ধ করে লাশটা গাড়িতে রেখে দেই। আর তারপর নিজে সেই গাড়ি ঠেলে খাদে ফেলে দিয়ে আসি। যদিও আরশাদের জায়গায় অন্য কেউ থাকলে এ কাজগুলো আমি করতাম না। কিন্তু প্রাণপ্রিয় বন্ধুর মৃত্যুর সময় আমি সাথে না থাকলে কে থাকবে বলো?”

“কিন্তু স্যার পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে এক্সিডেন্ট হয়েছে এমনটা কেন আসলো?”

“টাকা, সব টাকার খেল। টাকা দিয়ে আমি রিপোর্ট বদলে দিয়েছি। আরভীর হাতে প্রথমে আসল রিপোর্ট পড়ে যায়। পরে সেটা ওর হেমন্ত ওর থেকে লুকিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ফেলে। বেচারি, জানলোও না হেমন্ত আমার কথায় ওর সাথে ভালোবাসার নাটক করেছে।” বলে আবার মাতালদের মতো করে হাসতে লাগলেন নাহিদ চৌধুরী।

“স্যার হেমন্ত,,” ইমতিয়াজ কথাটি সম্পূর্ণ করার আগেই নাহিদ চৌধুরী জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন।
ইমতিয়াজ অনেক ভাবে জাগানোর চেষ্টা করলো কিন্তু এবার আর উনি উঠলেন না। তাই ইমতিয়াজ হাল ছেড়ে রেকর্ডিং বন্ধ করে এখান থেকে চলে যায়। যেটুকু তথ্য কালেক্ট করেছে সেটুকুই যথেষ্ট। এছাড়াও নাহিদ চৌধুরীর বাড়ি থেকে অনেক কিছু সংগ্রহ করেছে।
আজকের পর ভুল করেও আর নাহিদ চৌধুরীর সামনে পড়বে না এমনটা ভেবে নেয় ইমতিয়াজ। কেননা নাহিদ চৌধুরী একবার যদি জানতে পারেন ইমতিয়াজ উনাকে ধোঁকা দিয়েছে তবে ইমতিয়াজকে এই পৃথিবী থেকে সরিয়ে ফেলতে উনি দুবার ভাববেন না।

ইমতিয়াজের মনে পড়ে যায় সেদিনের কথা। যেদিন আরভীর সামনে ধরা পড়েছিলো ইমতিয়াজ।

“ম্যাম সরি। আমি আর কখনো এরকম করবো না। প্লিজ আমাকে কাজ থেকে বের করবেন না। আমি সব কিছু টাকার জন্যই করেছি। আমার এগারো বছরের মেয়েটার ক্যান্সার ধরা পড়েছে। ওর চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। আমার কাছে আর কোনো টাকা অবশিষ্ট নেই যা দিয়ে আমি ওর চিকিৎসা করাবো। নিজের সব কিছু বিক্রি করে দিয়েছি। শেষে যখন নাহিদ চৌধুরী আমার সামনে এই অফারটা রাখলো আমি নিজের মেয়ের কথা ভেবে ভুল পথে চলে যাই। আমাকে মাফ করে দিন ম্যাম।”

“আমি কাল জেনেছি আপনার মেয়ের কথা। আপনি আমাকে কেন জানালেন না ইমতিয়াজ? আমি রাজনীতিতে জড়িতেছি সমাজ সেবা করার জন্য। আর আপনি আমার এসিস্ট্যান্ট হয়েও আমাকে জানালেন না? আল্লাহ না করুক কিন্তু আপনার এই খারাপ কাজের ফল যদি প্রকৃতি আপনার মেয়েকে দেয় তাহলে?”

এ কথা শুনে ইমতিয়াজ চুপ হয়ে গেলো। সত্যিই তো, এরকমটা হলে ইমতিয়াজ কি করবে?

“শুনুন ইমতিয়াজ, খারাপ কাজ করে কখনো ভালো হয় না। একসময় ঠিকই খারাপ কাজ সবার সামনে চলে আসে। সব সময় সত্যেরই জয় হয়। আপনার মেয়ে যদি জানতে পারে আপনি অসৎ পথে অর্থ উপার্জন করছেন তহলে পারবেন নিজের মেয়ের সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে?”

ইমতিয়াজ মাথা নিচু করে অনুতপ্ত হয়ে বললো,”আমি আর কখনো ভুল পথে যাবো না ম্যম।”

ইমতিয়াজের কথায় আরভী দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,”আপনার মেয়ের চিকিৎসার সব দায়িত্ব আজ থেকে আমার। তবে আপনাকেও আমার হয়ে একটা কাজ করতে হবে?”

“কি কাজ ম্যাম? আমি আমার মেয়ের জন্য সব কিছু করতে প্রস্তুত।”

“নাহিদ চৌধুরীর সামনে গিয়ে এমন নাটক করবেন যেনো উনি মানতে বাধ্য হোন আমি আপনাকে কাজ থেকে বের করে দিয়েছি। আর তারপর আপনাকে কি করতে হবে তা আমি অন্য একজনের মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দিবো।

সেদিন না চাইতেও ইমতিয়াজ রাজি হয় আরভীর কথায়। নিজের মেয়েকে বাঁচানোর জন্য সব কিছু করতে প্রস্তুত। ইমতিয়াজের যা হওয়ার হোক, শুধু মেয়েটা সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকুক। এমনটাই তো চায় ইমতিয়াজ।

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here