#মেঘের_আড়ালে_রোদ
#পর্ব_১২
লেখিকা #Sabihatul_Sabha
হাতের লাল টকটকে গোলাপ ফুলগুলো নিয়ে মেয়েটার সামনে এসে দাঁড়ালো।
কলেজের মেয়েরা হ্যাঁ করে তাকিয়ে আছে ছেলেটার দিকে।
মেয়েটা খুশিতে আত্নহারা হয়ে আশেপাশে তাকিয়ে লজ্জায় মুখ ডেকে নিলো। জেনো সে ভীষণ লজ্জা পেয়েছে ,।
মহুয়া থমথমে মুখে তাকিয়ে আছে মেয়েটার মুখের দিকে। হঠাৎ করে মেয়েটার মাঝে নিজেকে দেখতে পেলো…
” ১৬ বছরের এক কিশোরী মেয়ে এভাবে মুখে হাত দিয়ে লাজুক হাসছে আর মুগ্ধ হয়ে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে আছে। কাঁপা কাঁপা হাতে ফুলগুলো নিয়ে নিলো।
~ আমার দেখা পৃথিবীর সব চেয়ে সুন্দর নারী তুমি মহুয়া। এই ছেড়ে যাওয়ার যুগে, তুমি একটু কষ্ট করে থেকে যেও। আমি দুনিয়াতে এতো এতো নারী থাকতে শুধু তোমাতেই আসক্ত হতে চাই বার বার। তুমি থাকবে তো.??
ছেলেটার এমন মুগ্ধকর কথা সামনে দাঁড়ানো কিশোরী আবারও নতুন করে প্রেমে পড়ে গেলো। ধীর মিষ্টি লাজুক কন্ঠে বলে উঠলো ‘ পলাশ ভাই জীবনে কখনো যদি ছেড়ে যাওয়ার শব্দ আসে তাহলে আমি আমার মৃত্যু বেছে নিবো তাও আপনাকে ছেড়ে যাবো না”
সেই একই পুরুষ, সেই একই কথা, কিন্তু সেই কিশোরীর জায়গায় আজ অন্য নারী।
” ইতিহাস সাক্ষী পুরুষ তুমি শান্ত মস্তিষ্কের এক নিকৃষ্ট খু’নি!ছলনাময় !” এটা কথাটা জেনো খাপেখাপ মিলে গেলো আজ।
মহুয়া হাত মুষ্টি বদ্ধ করে তাকিয়ে রইলো। আজকাল কান্না আসে না কোনো কিছুতে নিজেকে পাথর মনে হয়।
” ছোঁয়া ইনি হলো তুহিন, তোকে সব সময় যার কথা বলি।”
ছোঁয়া মুচকি হেঁসে বললো,’ কেমন আছেন.? ‘
~ জ্বি ভালো, আপনাকে দেখে আরও ভালো হয়ে গেছি। আপনার কথা সব সময় বলে। অনেক ইচ্ছে ছিলো একবার দেখার। কল্পনায় আপনার ছবিও একে নিয়েছি তবে কল্পনার থেকেও বেশি সুন্দর আপনি।
ছোঁয়া তুহিনের দিকে তাকিয়ে একটু হাসার চেষ্টা করলো। মহুয়ার দিকে তাকিয়ে বললো, ‘ আমাদের এখন যাওয়া দরকার ‘
ছেলেটার নজর এবার গেলো ছোঁয়ার পেছনে দাঁড়ানো মেয়েটার দিকে।
মহুয়া স্বাভাবিক ভাবে হেঁসে মাথা দোলালো।
হঠাৎ তুহিনের চোখ মুখের রঙ পাল্টে গেলো। এক ঝাঁক ভয় এসে ভীর করলো। ভয়ে কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে গেলো। হাত কাঁপছে সাথে হৃদয় ও। চোখের রঙিন চশমাটা ভালো করে দিয়ে চোরের মতো এদিক ওদিক তাকালো। মহুয়ার দিকে তাকিয়ে দেখলো বাঁকা হেঁসে তাকিয়ে আছে। সে কি চোখে বেশি দেখছে.???
ভালো করে তাকালো, না সে ভুল দেখছে না!! ওর সামনে মহুয়া দাঁড়িয়ে আছে।
মহুয়ার এই হাসি সবার কাছে স্বাভাবিক হলেও তুহিন ওরফে পলাশ ঠিক বুঝে গেলো এই হাসির পেছনে কতোটা ভয়ংকর হাসি লুকিয়ে আছে।
মহুয়া ছোঁয়ার হাত ধরে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসলো। আশার সময় একবার পেছনে ফিরে দেখে নিলো তুহিনের ভয়ার্ত মুখটা।
মহুয়া খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে সামনে যা হবে একদম ভালো কিছু হবে না। এতোদিনের লুকোচুরি খেলা হয়তো আজ এই মূহুর্ত থেকে শেষ। আজ থেকে বাড়ির বাহিরে প্রতিটি পা সাবধানে ফেলতে হবে। আজ আবার বুকের ভেতর ভীষণ ব্যাথা করছে। মস্তিষ্কে প্রতিশোধের নেশা চরে বসলো। সে নিজ হাতে শাস্তি দিবে এই মানুষ টাকে।
মহুয়া আর ছোঁয়া একটা রেস্টুরেন্টে আসলো। রেস্টুরেন্টে ঢুকার আগেই নির্জনের সাথে দেখা হলো।
নির্জনঃ এখানে কি..?
ছোঁয়াঃ এখানে কি করতে আসে মানুষ..??
নির্জনঃ এখানে মানুষ খাবার খেতে আসে কিন্তু তুই তো আমার জানা মতে মানুষ না।
ছোঁয়া রেগে দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠলো, ‘ তাহলে আমি কি এলিয়েন!.?? ‘
নির্জনঃ নাহ্ পেত্নী..।
ছোঁয়া আশেপাশে তাকিয়ে রাস্তার পাশ থেকে ইটের টুকরো হাতে নিতেই নির্জন বলে উঠলো, ‘ আরেএ পাগল কে পাগল বললে রেগে যায়, পেত্নী কে পেত্নী বললে পেত্নীও রেগে যায় কিন্তু তুই কেনো রেগে যাচ্ছিস!..?’
মহুয়া বলে উঠলো, ‘ ছোঁয়া শান্ত হও, চুপ করো এটা রেস্টুরেন্ট।’
ছোঁয়া ইটের টুকরো নির্জনের পায়ে ছুঁড়ে রেস্টুরেন্টে ঢুকে গেলো।
নির্জন ব্যাথা পেয়ে মহুয়ার দিকে ইনোসেন্ট মুখ করে বলে উঠলো, ‘ ভাবি সরি আপু আপনাকে সুন্দর লাগছে, এভাবে হাসবেন সব সময়। ‘
মহুয়া সাথে সাথে হাসি বন্ধ করে দিলো।
নির্জনঃ চলুন, আমিও রেস্টুরেন্টে এসে ছিলাম।
মহুয়া এই ছেলের ব্যাবহারে মাঝে মাঝে অবাক হয়। সব সময় প্রথম ভাবি বলবে তারপর আপু কিন্তু দেখা যাবে বয়সে মহুয়া নির্জনের থেকে অনেক ছোটো।
মহুয়া, নির্জন, ছোয়া বসে আছে। ছোঁয়া একটু পর রাগী চোখে নির্জনের দিকে তাকাচ্ছে। নির্জন মুচকি মুচকি হাসছে।
মহুয়া আশেপাশে তাকাতে গিয়ে দেখলো ওদের দুই টেবিল সামনে আহনাফ বসে আছে পাশে একটা মেয়ে। মেয়েটা দেখতে ভীষণ সুন্দর । মুখে ভারী সাজ, ঠোঁটে কড়া লাল লিপস্টিক। মহুয়া বিড়বিড় করে বলে উঠলো, ‘ ডাক্তার রেস্টুরেন্টে বসে রোগীর চিকিৎসা করছে। তাহলে হসপিটাল কিসের জন্য!.? অপ্স সব চিকিৎসার মেডিসিন তো আর হসপিটালে থাকে না ‘
ওর পাশেই ছোঁয়া ছিলো। ছোঁয়া ভ্রু কুঁচকে মহুয়ার দিকে তাকিয়ে সামনে তাকালো। আহনাফ কে দেখেই খুশি হয়ে উঠে দাঁড়ালো। নির্জন ও আহনাফ কে দেখলো।
ছোয়ার খুশি আর বেশি সময় রইলো না। মুখটা ফাটা বেলুনের মতো চুপসে গেলো। ছোঁয়া নিজের জায়গা বসে বলে উঠলো, ‘ এই মেয়ে কে.?’
মহুয়াঃ হয়তো উনার গার্লফ্রেন্ড।
ছোঁয়াঃ ভাইয়ার তো গার্লফ্রেন্ড নেই ভাইয়া বলেছে।
নির্জনঃ নেই বলেছে হতে কতোক্ষন।
ছোঁয়া মুখ কালো করে নির্জনের দিকে তাকালো।
নির্জন আয়েশ করে মুখে খাবার দিয়ে বলে উঠলো, ‘ আজকের খাবার গুলো অন্য দিনের থেকে তেতু, সবাই গার্লফ্রেন্ড নিয়ে এসেছে আমি সিঙ্গেল বলেই হয়তো।
ছোঁয়াঃ প্রতিদিন একটা করে মেয়ে নিয়ে আসিস আজ তো অন্য রকম লাগবেই।
নির্জনঃ মেয়েটা ভাইয়ার এসিস্ট্যান্ট।
ছোঁয়াঃ তুই চিনিস.?
নির্জনঃ হুম সাথে ভাইয়ার আর ওর মধ্যে কিছু চলছে।
ছোঁয়াঃ তুই সিউর কিভাবে.??
নির্জনঃ ওদের মুখের হাসি দেখে।
ছোঁয়া চুপচাপ তাকিয়ে রইলো আহনাফ আর মেয়েটার দিকে। রাগ হলো ভীষণ মেয়েটার উপর। ইচ্ছে করছে গিয়ে ধাক্কা দিয়ে আহনাফের থেকে দশ হাত দূরে ফেলতে কিন্তু সাহস তো থাকতে হবে!.
মহুয়া আহনাফের দিকে তাকাতেই আহনাফ ওর দিকে তাকালো। হাত দিয়ে মুখ ডেকে নিলো মহুয়া তাও কিছুই লাভ হলো না আহনাফ দেখে ফেললো ওদের।
___________
বাড়িতে আশার পর থেকে ছোঁয়া একদম চুপচাপ হয়ে আছে।
মহুয়াঃ মন খারাপ..?
ছোঁয়াঃ হুম।
মহুয়াঃ তাহলে ব্যালকনিতে গিয়ে অন্ধকার আকাশের ওই বহু দূরের চাঁদের কাছে মনে জমে থাকা কষ্ট, মন খারাপ খুলে বলো মন হাল্কা হয়ে যাবে।
ছোঁয়াঃ আমার ফ্রেন্ডদের বললে, আম্মুকে বললে বলতো আমার কাছে বলো কি হয়েছে? মন হাল্কা হবে আর তুমি বলছো চাঁদের সাথে বলতে!..।
মহুয়া হাসলো,’ মানুষের কাছে কষ্ট গুলো শেয়ার করার থেকে চাঁদের সাথে শেয়ার করা ঢের ভালো, করে দেখো, আমি আর কিছু বলতে হবে না।’
ছোঁয়া তাই করলো। এক ছুটে ব্যালকনিতে চলে গেলো।
মহুয়া নিচে এসে রান্নাঘরের সামনে দাঁড়ালো।
আমেনা বেগম রান্নায় ব্যস্ত।মহুয়ার দিকে একবার তাকিয়ে বলে উঠলো, ‘ মহুয়া আমার একটা কাজ করে দিবে.?।
মহুয়াঃ জ্বি আন্টি বলুন।
~ আমি একটু কাজে ব্যস্ত তুমি কি আহনাফের রুমে এই কফিটা দিয়ে আসতে পারবে.?
মহুয়া নিষেধ করলো না। কফির মগ হাতে নিয়ে আহনাফের রুমের সামনে আসলো। দরজায় শব্দ করতেই ভেতর থেকেবলে উঠলো, ‘ দরজা খুলা ভেতরে আসতে।
মহুয়া ভয়ে ভয়ে দরজা ঠেলে ভেতরে আসলো। রুমটা খুব সুন্দর করে গুছানো।
আহনাফ ল্যাপটপ হাতে নিয়ে ব্যালকনি থেকে রুমে আসলো। মহুয়াকে রুমে দেখে অবাক হলো। গম্ভীর কণ্ঠে বললো , ” আপনি..?’
মহুয়াঃ আপনার কফি।
আহনাফঃ আপনি কেনো এনেছেন.?
মহুয়াঃ আন্টি ব্যস্ত সেই জন্য।
আহনাফ বিছানায় ল্যাপটপ রেখে নিজেও বসলো।
মহুয়াঃ এটা কোথায় রাখব.?
আহনাফঃ আমার হাতে দেন।
মহুয়া হাতে দিয়ে বেরিয়ে আসতে নিলে আহনাফ বলে উঠলো, ‘ দাঁড়ান ‘
মহুয়া দাঁড়াল পেছন ফিরে আহনাফের দিকে তাকাতেই আহনাফ বললো,’ কফিতে মিষ্টি কম হয়েছে। ‘
মহুয়া হাত কচলে বললো,’ আচ্ছা তাহলে দেন আবার বানিয়ে নিয়ে আসি।’
আহনাফ মুচকি হেঁসে কফির মগ দিলো।
মহুয়া নিজে কফি বানিয়ে আনলো।
আহনাফ এবার মুখে দিয়ে বললো,’ মিষ্টি অনেক বেশি হয়ে গেছে। ‘
মহুয়াঃ আমার কাছে তো ঠিক মনে হলো। আচ্ছা আমি আবার বানিয়ে আনছি।
মহুয়া আবার কফি বানিয়ে আনলো।
আহনাফঃ কফি তো ঠান্ডা হয়ে শরবত হয়ে গেছে।
মহুয়ার ভীষণ রাগ হলো তাও নিজেকে সামলে আবার কফি বানাতে গেলো।
নিরুপমা, হালিমা,আমেনা বেগম মহুয়ার এভাবে কফি নিয়ে দৌড়া দৌড়ি দেখে অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো।
মহুয়া খুব ভালো করে বুঝতে পারছে আহনাফ ইচ্ছে করে এমন করছে। এবার আহনাফের কাছ থেকে ফিরিয়ে আনা ঠান্ডা কফিতে দুই চামচ হলুদের গুঁড়া, তিন চামচ লবন, এক চামচ মরিচ সাথে বেশি করে চা পাতা দিয়ে স্পেশাল কফি বানিয়ে নিয়ে গেলো।
এতোক্ষন মহুয়ার এই কফি রান্না চোখ বড় বড় করে দেখছিলো সবাই। আজ আহনাফের কফি খাওয়ার সখ আকাশে পাঠাবে।
আহনাফ ব্যাস মজা পাচ্ছে মহুয়াকে খাঁটিয়ে।
মহুয়া এবার হেঁসে আহনাফের দিকে কফি এগিয়ে দিয়ে বললো, ‘ এবার আমি যাই আমার টিউশনে যেতে হবে।’
আহনাফ কফির দিকে না তাকিয়ে মহুয়ার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো,’ আপনি টিউশন কেনো নিয়েছেন.? আমাদের বাড়িতে কি সব কিছু পাচ্ছেন না.?’
মহুয়াঃ আমার নিজের পরিচয় এবং বাড়ি প্রয়োজন। আর বাড়ি বাড়া নিতে হলে টাকা লাগবে সেই জন্য টিউশন নেওয়া।
আহনাফঃ ওহ।
আহনাফ কফি মুখে দিয়ে মহুয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো। সে না পাড়ছে ফেলতে আর না পাড়লে গিলতে।
মহুয়াঃ ভালো হয়নি.?
আহনাফ কিছু না বলে চুপচাপ কফির মগের দিকে তাকিয়ে আছে।
মহুয়া আস্তে করে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। বাহিরে এসেই হাসতে শুরু করলো। বেচারার মুখটা দেখার মতো ছিলো।
______
মহুয়া টিউশন থেকে ফিরতে ফিরতে বাহিরে অন্ধকার হয়ে গেলো।আশেপাশে তাকিয়ে হাঁটতে শুরু করলো। কিছু দূর এসেই মহুয়ার পা আপনা আপনি থেমে গেলো। ওর সামনে তুহিন দাঁড়িয়ে আছে।
মহুয়া সতর্ক চোখে আশেপাশে তাকালো বুঝার চেষ্টা করলো কতো জন আছে এখানে!?
তুহিন মহুয়ার সামনে এসে কাতর কন্ঠে বলে উঠলো, ‘ মহুয়া’
মহুয়া অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে চোখ দিয়েই এই ছেলেকে খু’ন করবে।
তুহিনঃ তুমি রেগে আছো.? আমি তোমাকে ওখানে রেখে আস্তে চাইনি, আমি সত্যি তোমাকে ভালোবাসি বিয়ে করার জন্য নিয়ে গিয়ে ছিলাম কিন্তু ওরা আমাকে আঁটকে ফেলে, আমি গিয়ে ছিলাম টাকা চাইতে! তুমি তো জানো আমার কাছে টাকা ছিলো না। আমি তোমাকে খুঁজতে কতোবার সেখানে গিয়েছি তোমাকে পাইনি। আমি তোমাকে অনেক খুজেছি মহুয়া আমার ভালোবাসা সত্যি ছিলো তাই তো তোমাকে আবার ফিরে পেলাম।
মহুয়া নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েও পাড়লো না। তুহিনের কলার চেপে ধরে ঠাসস ঠাসস করে গালে থাপ্পড় মারতে শুরু করলো।
~ মহুয়া স্টপ! মহুয়া কি করছো.!!??
~ তোকে এখন জীবিত রেখেছি আলহামদুলিল্লাহ বল। তোর ভালোবাসা না মৃত্যু তোকে আমার সামনে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে এসেছে।তুই আমাকে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছিস আর এখন বুঝাতে এসেছিস আমাকে! আমাকে বাচ্চা মনে হয়..? তোর নিখুঁত অভিনয় আমি বুঝতে পারিনি। ভালোবেসে বিশ্বাস করে বাড়ি ছাড়লাম তোর হাত ধরে আর তুই আমার জায়গা করে দিলি পতিতা পল্লীতে বলেই ব্যাগ থেকে কলম হাতে নিয়ে তুহিন কিছু বুঝার আগেই ওর বুকের বাম পাশে কলমটা একদম ঢুকিয়ে দিলো সবটা।
তুহিন বুকে হাত দিয়ে রেগে মহুয়ার চুল ধরতে গেলেই মহুয়া কারাতে মাইর দিয়ে নিচে ফেলে দিলো। রাস্তার পাশ থেকে বড় একটা ইট এনে শরীরের শক্তি দিয়ে তুহিনের মাথায় আঘাত করলো। মাথা ফেঁটে রক্ত পড়ছে। মহুয়া ফিসফিস করে বলে উঠলো, ‘ তুই এতো জলদি মরবি না তোকে আমি এতো কম শাস্তি দিয়ে মুক্তি দিবো না । আমার মতো হাজারটা মেয়ের জীবন নষ্ট করেছিস আমি তো ভাগ্যের জুড়ে বেঁচে গেছি কিন্তু বাকি মেয়েগুলো তোদের মতো নরপশুদের প্রেমে ফেঁসে নিজের সব হারিয়েছে। তোর মৃত্যু এতোটা ভয়ংকর হবে যে এমন বিশ্বাস ঘাতকতা করার আগে প্রতিটা পুরুষের বুক কেঁপে উঠবে! এর আগে চারটা খু’ন করেছি তুই আমার শেষ খু’ন।
চলবে…
ভুলত্রুটি মার্জনীয়।