#মেঘের_আড়ালে_রোদ
#পর্ব_১৬
লেখিকা #Sabihatul_Sabha
আহনাফ পলাশের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। মুখ ফেঁকাশে হয়ে গেছে। রক্ত গিয়েছে অনেক। ব্যথায় চোখ লাল হয়ে আছে।
একজন নার্স বলে উঠলো, ‘ স্যার আমি রুমে এসে ছিলাম স্যালাইন চেক করতে এসে দেখি রোগী ছটফট করছে,হাত থেকে রক্ত পড়ে ফ্লট লাল হয়ে আছে।
আহনাফ পলাশের দিকে তাকিয়ে বললো সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন। এই রুমে আপনার আগে কে এসে ছিলো দেখুন।
পলাশের অবস্থা দেখে মহুয়া ভেতর ভেতর ভীষণ খুশি হয়েছে ভেতর ভেতর পৈশাচিক আনন্দ অনুভব করছে। সে তো চায় এই লোক ওর সামনে কাতরাতে কাতরাতে নিজের মৃত্যু ভিক্ষা চাক।
পলাশের কানে অনেক পিঁপড়ে ঢুকে গিয়ে ছিলো। পিঁপড়ের কামড় সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায় পলাশ জ্ঞান হারায়।
সিসিটিভির কথা শুনে মহুয়া মুচকি হাসে। সে এতোটাও কাঁচা খেলোয়াড় নয়। সিসিটিভি অন্য পাশে ঘুরতেই মহুয়া পলাশের রুমে এসে ছিলো।
সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে এসে জানালো সন্দেহ জনক কাউকে দেখা যায়নি। তার মানে পলাশ নিজের হাত নিজেই কেঁটেছে।
আহনাফ পলাশের দিকে খেয়াল রাখতে বলে চলে আসে।
ক্যাবিনে এসে মহুয়ার দিকে তাকিয়ে বললো,’ ব্যাগ গুছিয়ে চলে যান।’
মহুয়া ব্যাগ হাতে নিয়ে বের হতে গিয়ে দরজার সাথে কপালে ভারি খায়।
আহনাফ ল্যাপটপ থেকে চোখ সরিয়ে মহুয়ার দিকে তাকায়।
মহুয়া কপাল ডলতে ডলতে বেরিয়ে যায়।
হসপিটাল থেকে বের হয়ে একটা রিক্সা দাঁড় করিয়ে বসে পরলো।
রিক্সা চলছে আর মহুয়া তাকিয়ে আছে সন্ধ্যার রাস্তার পাশে ছোটো ছোটো দোকান গুলোর দিকে। হঠাৎ মনে হলো সে কাউকে দেখেছে! রনি.? হ্যাঁ সে রনিকে দেখেছে তাও আজ কতোগুলো দিন পর। ওইদিন কোথাও রনিকে দেখা যায়নি। আজ চায়ের দোকানে রনিকে দেখে ব্যাস অবাক হয়েছে সে।
বাসায় এসে নিজের রুম দেখে ভীষণ অবাক হয়। সব কিছু এলোমেলো হয়ে আছে। ফ্রেশ হয়ে রুমে এসে বসলো। ভীষণ ক্লান্ত লাগছে যদিও আহনাফ ওকে দিয়ে বেশি কাজ করায়নি। প্রথম দিন খুব সুন্দর করে কাজ বুঝিয়ে দিয়েছে, বেশি কাজ দেয়নি। তাও এই কাজ ওর জন্য প্রথম ছিলো।
কিছু সময় বসে থেকে উঠে ব্যালকনিতে গেলো। ব্যালকনিতে গিয়ে পা থেমে গেলো। হৃদয় মুচড়ে উঠলো দ্রুত ছোঁয়ার কাছে ছুটে গেলো।
ছোঁয়া ব্যালকনিতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।
মহুয়া ছোঁয়াকে কোলে করে রুমে নিয়ে আসতে চাইলো। মেয়েটার শরীর পুড়ে যাচ্ছে জ্বরে। মহুয়া চেষ্টা করেও কোলে নিয়ে রুমে আসতো পারলো না৷ অজ্ঞান ছোঁয়ার ওজন একটু বেশিই হয়ে গেছে। মহুয়ার মাথা শূন্য শূন্য লাগছে। সে এখন কি করবে..? ওর জ্বর আর বাড়ির কেউ একটু খুঁজ ও নেয়নি.? ভীষণ রাগ হলো বাড়ির প্রতিটি সদস্যর উপর। ছোঁয়ার চোখে মুখে পানির ছিটা দিলো কিন্তু তাতে কোনো কাজ হলো না।
মহুয়া রুম থেকে বের হয়ে আহনাফের রুমে আসলো কিন্তু রুমে আহনাফ নেই। ওয়াশরুম থেকে পানির শব্দ আসছে তারমানে আহনাফ ওয়াশরুমে মহুয়া দেরি না করে আহনাফের রুম থেকে বের হয়ে নিচে যাচ্ছিলো তখনি নির্জন কে দেখে বললো,’ ভাইয়া আমার সাথে একটু আমাদের রুমে আসুন।’
নির্জনের মন ভালো না তাই বলে উঠলো, ‘ এখন আমি একটু ব্যস্ত মহুয়া। ‘
মহুয়ার রাগ আকাশ ছেয়ে গেলো অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে উঠলো, ‘ ছোঁয়ার শরীর খারাপ অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে প্লিজ আমার রুমে দুই মিনিটের জন্য আসুন।’
ছোঁয়ার শরীর ভালো না শুনেই নির্জন ঘাবড়ে গেলো। মহুয়াকে রেখেই দৌড়ে রুমে আসলো।
মহুয়া পেছন থেকে বলে উঠলো, ‘ ব্যালকনিতে।’
নির্জন ব্যালকনিতে গিয়ে ছোঁয়ার মুখে হাত রেখে কয়েক বার ডাকলো তারপর কোলে নিয়ে রুমে এসে বিছানায় শুইয়ে আহনাফ ভাইকে ডাকতে বললো।
মহুয়া অবাক হয়ে নির্জনের ছটফট দেখতে লাগলো।
নির্জন ছোঁয়ার মুখে পানির ছিটা মেরে মাথায় হাত বুলিয়ে ডাকছে।
মহুয়া এক নজর তাকিয়ে রুম থেকে বের হয়ে আবার আহনাফের রুমে গেলো।
আহনাফ সবে মাত্র গোসল করে বের হয়েছে। গেঞ্জি বা শার্ট কিছু গায়ে নেই, চুল গুলো কপালে এসে লেপ্টে আছে।
মহুয়া ধাক্কা দিয়ে রুমে ঢুকেই আহনাফের দিকে তাকিয়ে আছে।
আহনাফঃ নিজের চোখ সরাও,আমি জানি আমি অনেক হ্যান্ডসাম তাই বলে তাকিয়ে তাকিয়ে অন্যের সম্পত্তি তে নজর লাগাবে না।
মহুয়া আহনাফের থেকে চোখ সরিয়ে অন্য দিকে ফিরে বলে উঠলো, ‘ ফালতু কথা রাখুন আপনি হ্যান্ডসাম..? ওপ্স আপনি না বললে তো আমি জানতামি না।অন্যের সম্পত্তির দিকে তাকানোর মতো স্পেশাল কিছু আপনার মধ্যে নেই।
আহনাফঃ তুমি আমাকে অপমান করছো.? অথচ একটু আগেই ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে ছিলে।
মহুয়াঃ কাপড় পড়ুন। আমি আপনার দিকে নয় অন্য দিকে তাকিয়েছি।
আহনাফঃ যখন তখন আমার রুমে এভাবে চলা আশা আমার পছন্দ না। কেনো এসেছেন.?
মহুয়াঃ ছোঁয়া অসুস্থ অজ্ঞান হয়ে গেছে,অনেক জ্বর।
আহনাফঃ আরও আগে বলা উচিত ছিলো।
মহুয়াঃ আপনি সুযোগ দিয়েছেন.??
নির্জন ছোঁয়ার সামনে বসে আছে। ছোঁয়ার জ্ঞান ফিরেছে তবে জ্বরের গুড়ে আবল তাবল বকছে। নির্জন একবার কান পেতে শুনতে গিয়ে ছিলো। ছোঁয়া বিড়বিড় করে নির্জন কেই বকছে। এটা দেখে মুচকি হাসলো নির্জন।
আহনাফ আর মহুয়ার পিছু পিছু বাড়ির সবাই আসলো।
নিরুপমা মেয়ের পাশে চিন্তিত হয়ে বসলেন। মেয়েটার কয়েকদিন পর পর এভাবে জ্বর আসে। একদম বাবার মতো হয়েছে। ছোঁয়ার আব্বুরও জ্বর আসলে অজ্ঞান হয়ে যেতো, অল্পতেই জ্বর উনাকে কাবু করে ফেলতো। আর ছোঁয়া হয়েছে একদম ওর আব্বুর মতো।
আহনাফ জ্বর মেপে দেখলো ১০৩°জ্বর। আহনাফ কিছু মেডিসিন দিয়ে বললো কিছু খাইয়ে মেডিসিন গুলো খাইয়ে দিতে এখনি।
হালিমা বেগম ছোঁয়ার মাথায় পানি দিচ্ছে।
নির্জন অপরাধীর মতো তাকিয়ে আছে। আজ ওর জন্য ছোঁয়ার এই অবস্থা। মেয়েটা অনেক কেঁদেছে। চোখ মুখ ফুলে আছে। কেমন ফর্সা মুখ লাল হয়ে, চোখ গুলো ফুলে গেছে।
ছোয়াকে একটু স্যুপ খাইয়ে মেডিসিন খাইয়ে দিলো৷ মহুয়া নিজে ওর যত্ন নিবে বলে সবাইকে চলে যেতে বলল।
সবাই চলে গেছে অনেক সময় হলো। নিরুপমা যেতে চায়নি মহুয়া বুঝিয়ে শুনিয়ে পাঠিয়ে দিলো। ছোঁয়ার চুল মুছে, হাল্কা করে ঘা মুছে দিলো। নিচটা মুছে এসে ছোঁয়ার পাশে বসলো। ছোঁয়া ঘুমাচ্ছে। মহুয়ার নিজের ও ক্লান্ত লাগছে লাইট বন্ধ করে ওর পাশে ঘুমিয়ে পরলো।
রাত ২টা ছুঁই ছুঁই দরজায় কেউ কড়া নাড়তেই মহুয়ার ঘুম ভেঙে যায়।
মহুয়া লাইট জ্বালিয়ে গিয়ে দরজা খুলতেই দেখলো নির্জন দাঁড়িয়ে আছে।
নির্জনঃ গুড মর্নিং না হওয়া ভাবি।
মহুয়া বিরক্ত হলো। এটা কেমন মজা এতো রাতে এই ছেলে এখানে কেনো.? আর এইসব উল্টো পাল্টা কি বলছে.?
নির্জনঃ ভাবি ছোঁয়া এখন কেমন আছে.?
মহুয়া দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠলো ” ভাবি কে.?? আপনি নিজেই সুস্থ আছেন তো.??
নির্জনঃ সরি ক্রাশ।
মহুয়া এবার বুঝে যায় আসলেই ছেলেটা উল্টো পাল্টা কিছু খেয়েছে।
নির্জনঃ আমার উত্তর দিলেন না.?
মহুয়াঃ কয়টা বাজে.?
নির্জন হাত সামনে এনে ঘড়ি দেখে দরজায় ঠেস মেরে দাঁড়িয়ে বলে উঠলো, ‘ ২:৩৪। ‘
মহুয়াঃ আপনি ঘুমাননি.?
নির্জনঃ ঘুম আসছে না।
মহুয়াঃ ছোঁয়া ঠিক আছে ঘুমাচ্ছে।
নির্জনঃ ও কিছু খাবে.?
মহুয়া কিছু সময় চুপ থেকে বললো,’ হুম স্যুপ, নুডলস, কফি।এখন এইগুলো হলেই হবে। বলেই ওর মুখের উপর দরজা বন্ধ করে হাসতে লাগলো।
নির্জন ঠোঁট উল্টে কিছু ভাবতে ভাবতে একবার দরজার দিকে তাকিয়ে নিচে নেমে গেলো।
রান্না ঘরে ঠুস ঠাস শব্দ শুনে আহনাফ এগিয়ে আসলো। নির্জন কে দেখে অবাক হলো এতো রাতে কি করছে.?
~ কি করছিস.?
নির্জন ভয়ে পেছন ফিরে আহনাফ কে দেখে হেঁসে বলে, ‘ নুডলস। ‘
আহনাফঃ তুই তো নুডলস পছন্দ করিস না। আর ফ্রিজে তো খাবার আছে গরম করে খেয়েনে।
নির্জনঃ আমি তো এই খাবার অন্য কারো জন্য বানাচ্ছি।
আহনাফঃ কার জন্য.?
নির্জনঃ মহুয়ার জন্য।
আহনাফ কিছু সময় চুপচাপ তাকিয়ে রইলো নির্জনের দিকে।
আহনাফঃ মহুয়ার জন্য মানে.?
নির্জনঃ মহুয়া সারা রাত ছোঁয়া কে পাহারা দিয়েছে এখন ওর নুডলস খেতে ইচ্ছে করছে তাই ভাবলাম ক্রাশ বলে কথা।
আহনাফ থমথমে মুখে নুডলসের দিকে তাকালো তারপর নির্জন কে জিজ্ঞেস করলো,’ আর কখনো রান্না করেছিস..?’
নির্জনঃ না, তবে ইউটিউব থাকতে এটা কোনো ব্যপারি না।
আহনাফ নুডলসের দিকে তাকিয়ে হাসলো। নির্জনের কথা একটাও বিশ্বাস হয়নি ওর। মহুয়া নিশ্চয়ই খাবার বানাতে ওকে বলবে না, কি লুকাচ্ছে.?
আহনাফ কথা না বাড়িয়ে পানি নিয়ে নিজের রুমে চলে গেলো। আর যাওয়ার সময় বলে গেলো ‘ অনেক ভালো রান্না হচ্ছে, আগে উনাকে খাওয়াবি তুই প্রথম খেলে রান্নার স্বাদ চলে যাবে। এতে তোর ক্রাশ তোর প্রেমেও পড়ে যেতে পারে ‘ বলেই মুচকি হেঁসে উপরে চলে গেলো।
নির্জন সব কিছু বানিয়ে কফি হাতে নিয়ে সামনে শ্রাবণ কে দেখে থমকে গেলো সাথে বিরক্ত ও হলো। আজ রাতে কি সবাই ওকে পাহারা দিতে জেগে আছে।
নির্জনঃ ভূতের মতো সামনে এসে দাঁড়ানোর কি আছে! সুন্দর করে কথা বলতে বলতে আসতে পারো।এভাবে মাঝ রাতে হার্ট অ্যাটাক করানোর ধান্দায় ঘুরতেছো!?
শ্রাবণঃ তুই এতো রাতে রান্নাঘরে কেনো.?
নির্জনঃ আর কয়জন কে বলতে হবে একসাথে আসো.!!
শ্রাবণ নির্জনের এমন পাগলের মতো কথা শুনে ভ্রু কুঁচকে তাকালো।
নির্জনঃ ভাবির জন্য রান্না করতে এসেছি।
শ্রাবণঃ ভাবি.?
নির্জনঃ দেখো ভাই তুমি মান আর না মান আমি তো মেঘলা ভাবিকে, ভাবি মেনে নিয়েছি। সারাদিন এক বারও ভাবির একটু খুজ নাও না। দেবর হিসেবে আমার ভীষণ খারাপ লাগে।কতো মিষ্টি একটা মেয়ে দেখলেই মন গলে যাওয়ার কথা। ভাবির ঘুম আসছে না আমি জিজ্ঞেস করলাম কিছু খাবেন বললো নুডলস খাবে। যেটা তোমার করার কথা সেটা আমি করে দিচ্ছি মানবতার ফেরিওয়ালা বলে কথা।
শ্রাবণ চুপচাপ নির্জনের সব কথা শুনলো।তারপর জিজ্ঞেস করলো, ‘ তোর ভাবি কোথায় আছে এখন.?’
নির্জনঃ গেস্ট রুমে।
শ্রাবণঃ চল দেখে আসি।
নির্জনঃ তুমি কেন যাবে। ভাবি এখন ঘুমাবে।
শ্রাবণঃ মিথ্যা কথা বলার আগে দেখে নেওয়া দরকার মানুষটা কোথায়!? মিথ্যা কথাও ঠিক ঠাক বলতে পারিস না। এক কাজ করবি কাল থেকে ভালো করে তোর ভাবির কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিবি। বলেই নিজের রুমের দিকে চলে গেলো। রান্না ঘরে লাইট দেখে ভেবেছিলো চোর হবে।
বেচারা নির্জন হাতে খাবারের বাটি নিয়ে শ্রাবণের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বললো, ‘ ভাবি তোমার রুমে.? তোমাদের মধ্যে কি কিছু চলছে.? আমি জানতাম এতো সুন্দর বউ রেখে আমার ভাই সিঙ্গেল ঘুমায় কিভাবে! আজ একটা বউ নেই বলে একা ঘুমাতে হয়।’
শ্রাবণ সোফা থেকে একটা বালিশ নির্জনের দিকে ছুঁড়ে মারলো। বেচারা একটুর জন্য খাবার গুলো সহ বেঁচে গেলো।
শ্রাবণ রুমে এসে বিছানার দিকে তাকায়। মেঘলা ঘুমিয়ে আছে। অফিসের সব কাজ শেষ করে ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ালো। আজকের চাঁদটা একটু বেশিই সুন্দর আর বড়।
আকাশে দিকে তাকিয়ে তাঁরা গুনতে শুরু করলো। কিছু সময় ব্যালকনিতেই পার করে দিলো। মেঘলার হঠাৎ চেঞ্জ ওকে ভাবায়। সারাদিন আজ ওকে অনেক জ্বালিয়েছে।
হঠাৎ চোখ গেলো পাশে একটা বইয়ের দিকে।
বইটা হাতে নিয়ে দেখলো একটা ইংরেজি রোমান্টিক বই। শ্রাবণ কৌতূহলি হয়ে বইটা নিয়ে রুমে আসলো। কে এই বই পড়ছে.? সোফায় বসে বইটার প্রথম পৃষ্ঠা খুলে আরও চমকে উঠলো।
খুব সুন্দর করে গুটিগুটি ইংরেজি অক্ষরে লেখা “Meghla ”
শ্রাবণ অবিশ্বাস চোখে ভাবতে লাগলো, এই মেঘলা কে..? চোখ তুলে মেঘলার ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো, ‘ তুমি কে.? আর এই বই কার.?বইয়ে মেঘলা নাম কেনো.?
চলবে…..
ভুলত্রুটি মার্জনীয়।