হৃদয়_সায়রে_প্রণয়ের_ছন্দ|১৯| #শার্লিন_হাসান

0
690

#হৃদয়_সায়রে_প্রণয়ের_ছন্দ|১৯|
#শার্লিন_হাসান

দিনটা শুক্রবার। চৌধুরী বাড়ীর সদস্যবৃন্দ নিজেদের সব ব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে তৈরী হয়ে নেয়। সময়টা সাড়ে বারোটার মতো। সবার সাথে শুভ্র ও নিজেকে তৈরী করে নেয়। জুমার নামাজ নামাজ আদায় করে তারা গাড়ীতে বসে।
আর্থ, শুভ্র তারা একসাথে যাবে। বড়রা ফ্যামিলির বড় কারে করে পাটওয়ারী বাড়ীর উদ্দেশ্য রওনা হয়। শুভ্র কিছুটা মন মরা হয়ে আছে। আর্থ তাকে খোঁচা মেরে বলে,
‘ভাবী নেই দেখে?’

‘কিসের ভাবী? আমার বিয়ে করা বউ না যে ভাবী বলবি তুই।’

‘আরে ইয়ার এতো চাপ নেওয়ার কিছু হয়নি। অন্য জায়গায় পাত্রি দেখছি। বাবার বন্ধুর মেয়ে! জোশ হবে ব্যপারটা।’

‘হুহ্!’

শুভ্র কিছুটা দীর্ঘ শ্বাস ছাড়ে। পাটওয়ারী বাড়ীতে আসে তারা সবাই। লিভিং রুমে সবার আনাগোনা। কিরণ পাটওয়ারী এবং সিহান পাটওয়ারী, অক্ষর তারা খাবার সার্ভের দায়িত্বে আছে। দুপুরের খাবার খেয়ে তারা সবাই কথাবার্তা বলে। বিশাল লিভিং রুমের একপাশে ছোট্ট করে ডেকোরেশন করা। ডেকোরেশন সোফার সামনে ছোট্ট টেবিলের উপর তিনটা কেক রাখা। সাথে কেক জাতীয় কিছু খাবার রাখা। শশীকে আনা হলে আর্থকে নিয়ে সোফায় বসানো হয়। সেখানেই তারা দু’জন দু’জনের অনমিকা আঙুলে রিং পড়ায়। কিছু পিকচার ক্যাপচার করে নেয় সবাই। শশীর দু’জন মেয়ে কাজিন! রাফা এবং সাফা একটা ছেলে কাজিন রিহাভ আছে তাঁদের সাথে। রাফা সেরিনকে ভিডিও কল দিয়ে দেখাচ্ছে। রাখার পেছনেই শুভ্র দাঁড়ানো। সেরিনে হাসিমুখ টা তার চোখে ভাসছে। এটা ওটা জিজ্ঞেস করছে মেয়েটা। শুভ্র তাকে দেখছে। কেক টেক কেটে সবার সাথে পিকচার তুলে নেয় সবাই। বিকেলের দিকে তাঁদের জন্য নাস্তার হরেকরকমের আইটেম রাখা হয়। অক্ষরের সাথে শুভ্র,আর্থর পরিচয় হয়। শুভ্রর বিরক্ত লাগছে অক্ষরকে। তারউপর অক্ষর মাহির থেকে তার ফোন নিয়ে সেরিনকে ভিডিও কল দিয়ে শুভ্রর পাশে বসেই কথা বলছে। যেখানে শুভ্রর প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে অন্য প্রতিষ্ঠানের স্টুডেন্ট আসলে তাকে গেট আউট বলে তাড়িয়ে দেয় শুভ্র সেখানে তার পার্সোনাল গায়িকাকে নিয়ে তার সামনেই রংঢং করে কথা বলছে। শুভ্র হাত মুষ্টি বদ্ধ করে নেয়। কপাল স্লাইড করে। ব্লুটুথ কানে গুঁজে গান শোনে যাতে অক্ষরের কথা কানে না আসে। তবুও মাঝেমধ্যে ফোনের স্ক্রিনে নজর পড়ে যায় তার। সেখানেও সেরিন হাসি মুখে অক্ষরের সাথে কথা বলায় ব্যস্ত। অক্ষর আর্থ,শশীকে দেখাচ্ছে পেছনের ক্যমরায়। তখন আবার শুভ্র উঠে অক্ষরের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তার হাতের ধাক্কায় ফোন ফ্লোরে পড়ে যায়। ঘটনাটা এক্সিডেন্টলি হলেও শুভ্র প্রচুর খুশি হয়েছে।

অক্ষর ফোন উঠিয়ে দেখে কিছুই হয়নি। সেরিন জিজ্ঞেস করে,
‘কী হয়েছে? হাত থেকে ফোন পড়ে গেলো কীভাবে?’

‘শুভ্র ভাইয়ার হাতের ধাক্কা লেগে।’

‘ওহ্! আচ্ছা রাখি আমি বায়।’

‘বায়।’

সেরিন কল কেটে হাসতে থাকে। তার কেনো জেনো ভীষণ হাসি পাচ্ছে। তবে সে ভীষণ মিস করছে সবাইকে। অক্ষরের সাথেও তার কথা বলা কমাতে হবে। সে চায়না অক্ষর তার প্রতি দুর্বল হয়। সে নাহয় এজ এ সিস্টার হিসাবে কথাবার্তা বলবে। বাট অক্ষর! সে তো সেসব মানবে না।

পাটওয়ারী বাড়ী থেকে সন্ধ্যায় কফি পান করে সবাই বিদায় নেয়। চৌধুরী পরিবার যেতে শশী তার রুমে এসে হাত পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে শুয়ে পড়ে। পেছন দিয়ে সাফা রাখা আসে। তারাও শশীর পাশে বসে। রাফা বসততে,বসতে বলে,
‘ওই যে ফর্সা করে লম্বা ছেলেটা কে রে?’

‘শুভ্র স্যার?’

‘কী জানি! দেখে শুভ্র,শুভ্রই লাগে।’

‘বল তাকে দিয়ে তোর কী কাজ?’

‘ভালো লেগেছে তাকে। কথাবার্তায় কঠোরত্বো প্রকাশ পেয়েছে। যাই হোক গম্ভীর লোকটাকে আমি ভালো লেগেছে। একটু সেটিং করিয়ে দে।’

‘সিরিয়াস?’

‘হুম।’

রাফার কথায় শশী বলে,
‘ওনার ফেসবুক আইডিটা নিয়ে নে, আরজিন চৌধুরী শুভ্র। এবার যা করার করতে পারিস। আই হোপ ইমপ্রেস হবে না।’

‘ইমপ্রেস হবে না কেন?’

‘আরে ভদ্র এবং বুদ্ধিমান লোকেরা কখনো প্রেম করে না। তার ডিরেক্ট বিয়ে করে।’

‘তো সমস্যা কী কয়দিন কথা বলে ডিরেক্ট বিয়ে।’

শশী আর জবাব দেয়না। সে ফ্রেশ হয়ে কড়া করে কফি খেয়ে। লাইট অফ করে শুয়ে পড়ে। তাকে যাতে আর কেউ ডাক না দেয়।

এদিকটা সামলে সাফা,রাফা,রিহাভ,অক্ষর,মাহী তারা আড্ডা দিতে বসে। বিশেষ করে বিয়ে নিয়ে প্লানিং তাঁদের। রাখা বার-বার মাহিকে বলছে,

‘শুভ্র স্যারকে ইমপ্রেস করবো। প্লিজ ভাই হেল্প কর।’

রাফার কথায় বাকীরা কথা থামিয়ে তার দিকে তাকায়। রাফা ও বোকা বনে যায়। সে কী এমন বললো যে এভাবে তাকাতে হবে? তখন রাফা বলে,
‘এভাবে তাকানোর কিছুই হয়নি। আমি তো আমার মাইন খুঁজছি।’

তখন মাহি শুধায়,
‘তোমার মাইন অন্য কারোর ইনবক্সে সাইন করছে। সো প্যারা নিও না! অক্ষর ভাইয়াকে কাজে লাগাও।’

তখন অক্ষর বলে,
‘ছেলে দেখলেই কী নিজের সম্পত্তি মনে হয় নাকী? আর সবাই সিঙ্গেল বসে নেই। সবারই একজন করে মাইন আছে।’

‘তাহ আমাদের অক্ষর ভাইয়ার মাইন টা কে?’

রিহাভ শুধায়। তখন অক্ষর বলে,
‘হুম আছে তো একজন!’

‘ভিনদেশী নাকী?’

‘না বাঙালি অষ্টাদশী কন্যা ।’

অক্ষরের কথা সবাই তার দিকে তাকায়। রাফার শরীর আগুনের মতো জ্বলছে। অক্ষর আর মাহী তাকে ঠান্ডা মাথায় অপমান দিলো। করবে না সে প্রেম! ছেলেদের থেকে দূরে থাকবে। ও কী ওদের মতো বারো রাইস নাকী যে প্রেম করবে। আর বললেই কী প্রেম হয়ে যায়? একদম না! অক্ষরকে অ’পমানের জবাব না দেওয়া অব্দি শান্তি নেই রাফার।

সেদিনের মতো তাা তাঁদের আড্ডা পাট চুকিয়ে নেয়। সবাই ক্লান্ত তাই যে যার মতো শুয়ে পড়ে।

*******

সেরিন সকাল,সকাল ঘুম থেকে উঠে কফির মগ নিয়ে আয়াশের সাথে ছাদে যায়। কেউই উঠেনি তেমন তাই তো ছাঁদে আসার দুঃসাহস দেখিয়েছে সে। আয়াশ,সেরিন দুজন রেলিং ঘেঁষে দাঁড়িয়ে সামনের গেটের পরের মেইন রোড দেখছি। মানুষের আনাগোনা দেখা দিয়েছে। তখন আবার ছাঁদে আসে এক যুবক। সেরিন তাকে দেখে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। চোখে কালো ফ্রেমের চশমা। উজ্জ্বল শ্যামলা গায়ের বরণ! সেরিনের মুখটা চেনাচেনা লাগলেও ক্যাচ করতে পারছে না আপাতত। ছেলেটা ছাঁদের এক কোণে গিয়ে কিছুটা ঠান্ডা বাতাস গায়ে নিচ্ছে। সেরিন চুপিসারে সরে আসে আয়াশকে নিয়ে। সেরিনের যাওয়া টের পেয়েও আড়চোখে তাকায় তাতান। হ্যাঁ মেয়েটাকে সে চেনে। সুন্দর গান গাইতে পারে। তাতান ছোটোখাটো একজন ফ্যান। সেরিনের ফেসবুক পেজ ফলো করে সে! মোটামুটি মেয়েটার ভালো অডিয়েন্স আছে। আর সেদিন মিউজিক একাডেমিতে দেখেছে। এডমিশন নিয়েছিলো মেয়েটা।

সেরিন ফ্লাটে ঢুকে কফির মগটা টেবিলের উপর রেখে তার আন্টির কাছে কিচেনে যায়। সে নাস্তা বানানোর কাজে ব্যস্ত। সেরিনকে দেখে সানজিদা শারমিন বলেন,
‘পড়তে যাও দু’দিন পর এক্সাম। আমি নাস্তা দিয়ে আসবো।’

‘আরে খালামনি পড়বো এখন একটু একটা গান দেখি। বিকেলে সেটার ভিডিও বানাবো।’

‘আচ্ছা যাও।’

সেরিন রুমে এসে ফোন হাতে নেয়। একটা গান সে নেয় সেটা হলো, ‘এই অবেলায় তোমারি আকাশে’ সেরিন গানটা শোনে। এর আগে একবার কোন ভিডিওতে শুনেছিলো ভালো লেগেছে। সময়ের অভাবে তেমন ঘেঁটে দেখা হয়নি। তবে আজকে সে ঘেঁটে দেখছে। ফেসবুক ক্রোল করার সময় শার্লিন হাসানের লেখা ধারাবাহিক চলমান গল্প #হৃদয়_সায়রে_প্রণয়ের_ছন্দ সামনে আসে। গল্পটায় দুষ্টুমিষ্টি ক্যামিস্ট্রির সেরিন প্রতিদিন গল্পটা পড়ে।🤭
গল্প পড়া শেষ করে সে গানটা শোনে,

এই অবেলায়, তোমারি আকাশে, নিরব আপোষে
ভেসে যায়
সেই ভীষন শীতল ভেজা চোখ
কখনো দেখাইনি তোমায়
কেউ কোথাও ভালো নেই যেন সেই
কতকাল আর হাতে হাত অবেলায়?
কতকাল আর ভুল অবসন্ন বিকেলে
ভেজা চোখ দেখাইনি তোমায়।
অবাক জোছনায় লুকিয়ে রেখেছি
ভেজা চোখ দেখাইনি তোমায়।(ক্রমশ)

সেরিন গানটা শোনে তার প্রিয়দের তালিকায় যুক্ত করল নেয়।

সময়টা ব্যস্ততায় কাটলেও একটু অবসন্নতা! ভেতর জুড়ে মন খারাপ তার। তবুও সেসব উপেক্ষা করে নিজেকে নিজের মতো করে গুছিয়ে নিচ্ছে। কিছু জিনিস না পাওয়াতে সুন্দর। কিছু গল্প অপূর্ণতাতে মানান সই! কিছু চাওয়া বিসর্জন দিয়ে স্থান ত্যাগ করাই উত্তম।

******

রবিবার দিন সকালে শুভ্র কলেজে উপস্থিত হয়। আজকে তার জন্য রঙিন বক্সে মোড়ানো কোন উপহার এসেছে। শুভ্র রঙিন বক্স টা নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। কেচি দিয়ে স্কচটেপ কেটে ভেতরে কী আছে দেখে। তেমন কিছু না শুধু একটা লাভসেপের কুশনের মতো যেটা উপরে লেখা, ‘Babur Papa’ সাথে কয়েকটা চিরকুট। তাতে লেখা,
‘ভেবেছিলাম চিঠি দেওয়া বন্ধ করে দেবো। গত দুইদিন দিতে পারিনি। মাত্র একটা চিঠি দিয়েছি কিন্তু মন টানে না তাই তো গতানুগতিক ধারায় চিঠি দিয়েই যাচ্ছি। কেমন আছো বাবুর আব্বু?’

শুভ্র চিঠি দেখে মেজাজ হারায়। গত চিঠিটা ও আবোলতাবোল লেগেছে তার কাছে। এই চিঠিটা তো একবারে বিরক্তিকর। অপরিচিতার লেখা এমন ডাস্টবিন মার্কা হতে পারে না। শুভ্রর ডাউট ফিল হচ্ছে। অপরিচিতা এমন চিঠি লেখে বিষয়টা হাস্যকর লাগলো। শুভ্র সিদ্ধান্ত নেয় চর চিঠি গ্রহণ করবে না যাই আসবে সে ডাস্টবিনে ছিঁড়ে ফেলে দিবে।

সেরিন এক্সাম দিয়ে বাসায় আসে দেড়টায়। শাওয়ার নিয়ে লান্স করে রেডি হয়ে নেয়। মিউজিক একাডেমিতো যাবে সে। সন্ধ্যার মধ্যে ক্লাস শেষ করে বাসায় ফিরবে। নিজের ব্যাগে পানির বোতল,হাল্কা খাবার সাথে ফোনটাও নিয়ে নেয়। একাডেমিতে বসেই আজকে একটা ভিডিও মেক করবে।

রিকশা ধরে একাডেমির গেটের সামনে আসে সেরিন। তার মতো কয়েকজন ও নতুন এসেছে। কেউ বা অনেকটা এগিয়ে। গিটার বাজানো সেরিন মোটামুটি আয়ত্ত করতে পারলেও হারমনিয়াম আরো অনেক কিছু যেগুলো এখনো পারে না সে। গিটারের অনেক ধাপ আছে সেরিন সেসব আয়ত্ত করেনি এখনো।

গান প্রেকটিস করে তার সাথের কয়েকটা মেয়ের সাথে সে একটা ফাঁকা জায়গায় গিটার নিয়ে বসে। সেরিন তার অনলাইন ফ্লাটফর্মের ছোট্টো পরিচয়ের কথাও তাঁদেরকে বলে। একটা মেয়ে নাম তার আদ্রিতা আয়াত চৌধুরী। সেরিনকে বলে,
‘তোমায় অনেক আগে থেকেই আমি ফলো করি। আমার বড় ভাইয়াও তোমার গান শুনে মেবি। এবং সে তোমার অনেক বড় ফ্যান। তবে প্রকাশ করে না। আমার ভাইটা ইন্ট্রোভার্ট আর রাগী।’

সেরিন হাসে। তবে তার সাথের আরেকটা মেয়ে বলে,
‘ভাইয়া কী স্টাবলিস্ট? তাহলে বলো মিশাতকে তার বউ বানানোর ব্যবস্থা করবো।’

তখন আদ্রিতা বলে,
‘হ্যাঁ আমার ভাইয়া জব করে আমার দাদুর প্রতিষ্ঠানে।মিশাত বললে আমি আমার জন্য হলেও ভাইয়ার বউ বানাবো। কারণ এতো কিউট সুইট মিশুক মেয়েকে হাত ছাড়া করতে রাজী নই আমি।’

আদ্রিতার কথায় বাকীরাও হাসে। সেরিন তার ভিডিও অন করে। তাদের সাথের একজন গিটারে অনেকটা পারদর্শী। সে গিটার বাজায়! সেরিন গান গায় বাকীরাও মাঝেমধ্যে তাল মেলায়।

সন্ধ্যার মধ্যে সেরিন তার কাজ শেষ করে আদ্রিতার সাথেই বেরোয়। আদ্রিতার বাসা সেরিনের বাসার আগের রোডে। তাই একসাথে একই রিকশায় উঠে দু’জন। যদিও শুধু নামটাই তাঁদের জানা। এছাড়া কেউই তারা তাঁদের গ্রামের বাড়ী বা কিছুই জানে না। আদ্রিতা মেয়েটা বেশ মিশুক। সেরিন সন্ধ্যার শহরটা দেখছে। তখন আদ্রিতা বলে,
‘তুমি ভিডুটা আপ দিবা কখন?’

‘এই তো অবসর হয়েই্।’

‘আমি তোমায় নক আর রিকুয়েষ্ট দেবো। একসেপ্ট করে নিও।’

‘আচ্ছা করবো।’

দুজনে কথাবার্তা বলে আদ্রিতা তার বাসার সামনে নেমে সেরিনকে বিদায় দেয়। সেরিন চুপচাপ বসে সামনে দেখছে। গেটের সামনে নেমে ভাড়া মিটিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে তাতানের সাথে তার চোখাচোখি হয়। সেরিন চোখ সরিয়ে নিয়ে দ্রুত ভেতরে চলে যায়।

#চলবে

(রেসপন্স কমে যাচ্ছে। আর আপনারা বলুন কার সাথে কার মিল দেবো। জুটি কিন্তু অনেকগুলো হবে।)🙂

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here