খোলা_জানালার_দক্ষিণে #পর্ব_১৯ #লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

0
468

#খোলা_জানালার_দক্ষিণে
#পর্ব_১৯
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

লা’শে’র ফ্রিজিং ড্রয়ার খুলতেই এক সুন্দর রমণীর মুখশ্রী ভেসে উঠল। সমস্ত মুখশ্রী ফ্যাকাশে হয়ে আছে। পুরো শরীর রক্ত বিহীন সাদা বর্ণের হয়ে গিয়েছে। সমস্ত শরীর পাথরের ন্যায় ঠান্ডায় জমে আছে। রক্তিম আঁখিযুগল রমণীর মুখশ্রীর দিকে দৃষ্টিপাত করে আছে। যখনই প্রতিশোধের নেশা দমে যায়। তখনই এই মুখশ্রীর দিকে দৃষ্টিপাত করলে, প্রতিশোধের নেশা দাউদাউ করে জ্বলে উঠে। চোয়াল শক্ত হয়ে এল যুবকের। সে ঘৃণা ভরা দৃষ্টি নিয়ে লা’শে’র গালে স্পর্শ করল। তাচ্ছিল্যের করে বলে উঠল,

–আমার অর্ধাঙ্গিনী হয়ে বেঁচে থাকার তোর খুব শখ ছিল তাই না। তোর শখকে আমি সারাজীবনের জন্য নিশ্চুপ করিয়ে দিলাম। আর আসবি না অর্ধাঙ্গিনীর অধিকার নিয়ে বাসবি না ভালো আমায়। তোর জন্য আমি নিজের প্রেয়সীকে নিজের করে পাইনি। তোকেও আমি বাঁচতে দেইনি। এখন তোর কেমন অনুভূতি হচ্ছে। আমি ভিষণ শান্তিতে আছি জানিস। তোর মুখশ্রীর দিকে দৃষ্টিপাত করলে ঘৃণায় আমার পুরো শরীর রি রি করে। তোর জন্য আজ আমি ত্যাজ্য পুত্র হয়েছি। শরীরটা নেতিয়ে গিয়েছিল। তোর বিশ্রী মুখশ্রীর দিকে দৃষ্টিপাত করলে প্রতিশোধের আগুন দাউদাউ করে জ্বলে উঠে। তুই যতদিন বাঁচবি তোকে এভাবে জমে থাকতে হবে। এতটুকু মাটির ছোঁয়াও তোকে পেতে দিব না। আমার প্রেয়সী আমাকে না পাবার আক্ষেপে ধরণীর মায়া ত্যাগ করে বিদায় নিয়েছে। যার জন্য আজ আমাদের করুন অবস্থা হয়েছে। সেই মুনতাসিম
কে ধরণীর বুক থেকে বিতাড়িত করে, নিজেও বি’ষ পানে জীনের মায়া ত্যাগ করে ধরণী ছাড়ব। কথাগুলো বলেই শব্দ করে হাসতে শুরু করল যুবক। সে কি ভয়ংকর হাসি। যে কেউ দেখলে তার রুহু কেঁপে উঠবে। এই মায়াবী মুখশ্রীর দিকে তাকিয়ে যে কারো মায়া হবে। কিন্তু পাষাণ যুবকের মায়া হলো না।

সময় যেন স্রোতের বিপরীত চিহ্ন স্রোত যেমন কারো জন্য থেমে থাকে না। ঠিক তেমনই সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না। প্রাকৃতিক নিয়মে নিজ গতিতে ছুটে চলে যায়। দেখতে নির্বাচনের সময় চলে আসলো। মুনতাসিম নিবার্চন নিয়ে ভিষণ ব্যস্ত। সেজন্য মেহেভীনের সাথে দেখা হয় না বহুদিন। প্রেয়সীকে না দেখায় তৃষ্ণায় মনটা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাকে দেখার অসুখ মুনতাসিমের কোনোদিনই সারবে না। তার শূন্যতায় ভেতরটা ছটফট করে। দৌড়ে গিয়ে প্রেয়সীকে বুকে আগলে নিতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সে নিরূপায় ইচ্ছে থাকলে-ও উপায় নেই। গোধুলি আলোয় চারদিক চকচক করছে। প্রাকৃতিক সুন্দর্য যেন ঝরে ঝরে পড়ছে। মেহেভীনের বাবা কালকে স্ট্রোক করেছেন। সে খবর পেয়ে মেহেভীন ছুটে আসছে নিজ মাতৃভূমিতে। নিজের মাতৃভূমিতে চরণ রাখতেই কিছু মুহূর্তের জন্য থমকে গেল। চারদিকে পোস্টারের ছড়াছড়ি ভোট আসলে এ নতুন কিছু নয় স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু মেহেভীনের আঁখিযুগল থমকে গেল পোস্টারের দিকে। এই মানুষটাকে সে চিনে খুব ভালো করে। কিছুক্ষণ চেয়ে থাকলো পোস্টটারের দিকে। তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বাড়ির দিকে চলতে শুরু করল। শত-শত মোটর সাইকেল নিয়ে মিছিল যাচ্ছে। এলাকার অলিতে-গলিতে শত-শত মানুষ তার আপনজনের জন্য ভোট চাওয়া ব্যস্ত। চারদিকে মাইকিং হচ্ছে ভোট চাই ভোটারের দোয়া চাই সকালের। আরো কিছু রেকর্ড করা বক্তব্য কর্ণে এসে পৌঁছাচ্ছে। কর্ণ একদম ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে। মেহভীন সেগুলো মানুষকে উপেক্ষা করে বাসার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। একটু দূরে যেতেই নির্দিষ্ট মানুষের দেখা মিলল। কিছু মানুষ দলবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসছে। মুখশ্রীতে নিজের পছন্দের নেতার প্রতীকের প্রতিধ্বনি। সামনে থাকা মানুষটাকে চিনতে খুব একটা সময় লাগলো না। মুনতাসিম মেহেভীনকে দেখেও না দেখার ভান করে চলে গেল। মুহুর্তের মাঝে অদৃশ্য মন খারাপ এসে তাকে আলিঙ্গন করল। এতদিন পর দেখা মানুষটা তার দিকে ফিরেও চাইল না। ভিষণ অভিমান হলো মেহেভীনের। বাবার কথা স্মরন হতেই সে বাসার মধ্যে চলে গেল। কলিং বেলে চাপ দিতেই মেহেভীনের মা এসে দরজা খুলে দিল। মেহেভীন কোনো বাক্য উচ্চারণ না করে দ্রুত বাবার কক্ষের দিকে অগ্রসর হলো। দীর্ঘদিন পর মেয়েকে দেখে জানে পানি আসলো। হাত বাড়িয়ে মেয়েকে ডাকলেন। বাবার আদুরে ভাবে ডাকটা মেহেভীন উপেক্ষা করতে পারল না। দৌড়ে গিয়ে বাবার বুকের মধ্যে গিয়ে মুখ লুকালো। কিছু সময় অতিবাহিত হবার পরে মেহেভীন রাগান্বিত হয়ে বলল,

–তোমাকে কতবার বলেছি আব্বু তুমি একদম চিন্তা করবে না। তোমার কিসের এত চিন্তা আমি তো আছি। তোমার মেয়ে কি ম’রে গিয়েছে। তোমাকে আর কোনো কাজ করতে হবে না৷ আমি প্রতি মাসে যে টাকা পাঠাই তার পরিমান আরো বাড়িয়ে দিব। তবুও তোমাকে আর কাজ করতে দিব না। তুমি যদি আমার কথা না শুনেছ। তাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না আব্বু।

–আমার একটা কথা রাখবি মেহেভীন?

–তোমার একটা কথা কেনো আব্বু। আমি তোমার সব কথা রাখতে রাজি আছি।

–আমি মনে হয় বেশিদিন বাঁচব না। আমি মা’রা যাবার আগে তোকে একটা দায়িত্ববান পুরুষের হাতে তুলে দিয়ে যেতে চাই। আমার মতো তো সবাই হতে পারবে না। তবে আমার মতো করে তোকে যে ভালো রাখার চেষ্টা করবে। আমি তার হাতে তোকে তুলে দিতে চাই। পড়াশোনা করতে চেয়েছিস। আমি তোকে নিষেধ করিনি। বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে চাকরি করেছিস। তবুও আমি তোকে কিছু বলিনি। তোর ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিয়েছি। আজ যদি আমার কথা না শুনিস। তাহলে আমি ম’রা’র পরে যেন আবার না পস্তাস। সামনে ভয়ংকর রকমের ঝড় আসতে চলেছে। আমি চাইনা আমার করা পা’পে’র ঝড়ের প্রভাব তোর জীবনে এসে পড়ুক। তোর জীবনে ঝাড় আসলেও সে আগলে নিবে। এমন একটা মানুষ তোর জীবনে এনে দিতে পারলেই আমার শান্তি।

–একদম বাজে কথা বলবে না আব্বু। তোমার কিছু হয়ে গেলে আমি কিভাবে বাঁচব। তুমি আমাকে বিয়ে দিতে চাইছ মানছি। তাই বলে আমাকে দুর্বল করার জন্য আঘাতপ্রাপ্ত করবে আব্বু। আমাকে কয়টা দিন সময় দাও আব্বু। আমি বিয়ে করব।

–তুই আমার অবস্থা বুঝতে পারছিস না মেহেভীন। আমার শরীরের অবস্থা ভালো না। বেলা যেকোনো সময় ফুরিয়ে যেতে পারে। তার আগেই তোকে বিয়ে দিয়ে যেতে চাই। কেউ তোর ক্ষতি করার চেষ্টা করলে, সে যেন ছাদ হয়ে তোকে আগলে নেয়। আমি জানতাম তুই আসবি। সেজন্য আমি হসপিটালে থাকি নাই। সব সময় শরীরের ঔষধে মানুষ সুস্থ হয় না৷ কিছু কিছু সময় মনের ঔষধে মানুষ সুস্থ হয়ে যায়। আর আমার মনের ঔষধটা কে জানসি? আমার মনের ঔষধ হচ্ছিস তুই। তোকে দেখেই আমি অর্ধেক সুস্থ হয়ে গিয়েছি।

–কাজটা তুমি একদম ঠিক করনি আব্বু। তুমি হাসপাতালে থাকলে যে সেবা গুলো পেতে, বাসায় কি সেই সেবা গুলো পাবে। তোমাকে কালকেই হসপিটালে রেখে আসব।

–শোন মানুষ মাত্রই ভুল করে আরিয়ানও করেছে। তার জন্য আরিয়ান ভিষণ কষ্ট পাচ্ছে। ছেলেটা আমার কাছে তোকে চাইছে। আমিও ভেবে দেখলাম ছেলেটা সত্যিই অনুতপ্ত। মানুষ একবার ভুল করলে তাকে একটা সুযোগ দেওয়া উচিৎ। আমি আরিয়ানের সাথে তোর বিবাহ দিতে চাইছি। এতে তুই সবসময় আমার চোখের সামনে থাকবি৷ আমিও শান্তিতে থাকতে পারব। একবার আমাকে অসম্মানিত করেছিস। দ্বিতীয়বার এমন করার চেষ্টা করিস না। যদি করিস আমি দম বন্ধ হয়ে বোধহয় মা’রা’ই যাব। আমি এই বিষয়ে তোর বড় আব্বুর সাথে কোনো কথা বলিনি। তুই মতামত দিলেই সামনের দিকে আগাব। তোর পছন্দ থাকলে বলতে পারিস। আমি তোর পছন্দের মানুষের সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে দেখব। তাকে যদি আমার যোগ্য মনে হয় তাহলে তার হাতে তোকে তুলে দিব। মুনতাসিম ছাড়া অন্য কারো হয়ে যাবে কথাটা ভাবতেই ভেতরটা হুঁ হুঁ করে উঠল। বুকের ভেতরটায় কেমন মোচড় দিচ্ছে। অসহনীয় যন্ত্রনায় সমস্ত শরীর কাতর হয়ে আসছে। কথা বলার শক্তি যেন সে হারাচ্ছে। সে বাবার মুখের ওপরে বলতে পারছে না। বাবা আমি একজনকে পছন্দ করি। কিন্তু বিপরীতে পক্ষের মানুষটা আমাকে পছন্দ করে কি না সেটা আমি জানিনা। সে কথা বললে তার বাবা মানবে কি? নিশ্চই দু’টো কড়া বাক্য শুনিয়ে দিবে। মেহেভীন কিছু বলতে পারল না। সে মলিন মুখশ্রী করে কক্ষ থেকে বের হয়ে গেল।

নিস্তব্ধ রজনী, বিষন্ন মন, বিষাদগ্রস্ত শরীর দিয়ে নিজের কক্ষে শুয়ে ছিল মেহেভীন। মুনতাসিম ছাড়া অন্য কারো ছায়াকেও তার অসহ্য লাগে। সে সহ্য করতে পারে না। সেখানে আরিয়ানকে সে কিভাবে নিজের অর্ধাঙ্গ হিসেবে মেনে নিবে। তার বাবা কি জানে না। আরিয়ান তাকে কি করতে চেয়েছিল। সবকিছু জানার পরেও কেন তার মতো নিকৃষ্ট মানুষের সাথে বিবাহ দিতে চাইছে। ভাবতেই পুরো শরীর ঘৃণায় রি রি করে উঠছে। অদ্ভুত ভাবে পুরুষ জাতির প্রতি ঘৃণা চলে আসছে। সবার মতো মুনতাসিমকেও নোংরা মনে হচ্ছে। মনের আড়াল থেকে ডেকে বলছে। সে-ও সব পুরুষের মতো হবে। তুই তাকে ভুলে যা নিজেকে গুছিয়ে নে। কিন্তু মেহেভীন মানতে নারাজ তার মহারাজ এমন হতেই পারে না। মেহেভীনের ভাবনার মাঝেই মুঠোফোনটা জানান দিল মেসেজ আসছে। মেহেভীন বিরক্ত হয়ে ফোনটা হাতে তুলে নিল। অচেনা নাম্বার থেকে মেসেজ আসছে।

“কালকে পুকুর পাড়ে দেখা করতে পারবেন ম্যাডাম। আপনার সাথে আমার জরুরি কথা আছে। ” মেসেজটা কার বুঝতে বেগ পেতে হলো না মেহেভীনের। সে কিছুক্ষণ নিরুত্তর রইল। কিছুক্ষণ পরে ফোনটা আবার বেজে উঠল। আবার মেসেজ এসেছে। “আপনি কি আমার ওপরে রাগ করেছেন? মেহেভীন বিষন্ন মন নিয়ে জবাব দিল, ” রাগ করব কেন? আপনি কি রাগ করার মতো কোনো কাজ করেছেন? এবার আর দ্রুত মেসেজ এল না। মানুষটা হয়তো হাজারও ব্যস্ততা নিয়ে তাকে মেসেজ করেছিল। কথাটা ভাবতেই অজানা অনুভূতিতে মনটা ফুরফুরে হয়ে গেল। দশ মিনিট পরে মেসেজ এল। “রাগ করবেন না ম্যাডাম। বাজে ভাবে মানসিক চাপে আছি। আমি কথা বলার মতো অবস্থাতে নেই। কালকে সকালে আমি আপনার জন্য অপেক্ষা করব। আমার বিশ্বাস আপনি আসবেন। এই অবেলায় অবহেলা শুরু করবেন না। আমি শেষ হয়ে যাব। শুভ রাত্রী। ” মেহেভীন মেসেজটা দেখেই ফোনটা রেখে দিল। যাবে কি যাবে না সেটা ভেবেই দোটানায় ভুগছে। অদ্ভুত এক অনুভূতি রাতে আর ঘুম হলো মেহেভীনের। ভোরের মধুর স্বরে আজানের প্রতিধ্বনি কর্ণকুহরে আসতেই উঠে বসলো মেহেভীন। নামাজ আদায় করে বিছানায় গা এলিয়ে দিল। রাজ্যের নিদ্রা এসে মেহেভীনের আঁখিযুগলে ধরা দিবে। তখনই মেসেজ আসলো, “একদম ঘুমাবেন না ম্যাডাম। আমি জানি আপনি-ও আমার মতোই নির্ঘুম রজনীর পার করেছেন। একটা রজনী না হয় আমার জন্য নষ্ট করলেন। প্রভাতের আলো ছড়াতে আর কিছুক্ষণ বাকি। উঠে গিয়ে কফি বানিয়ে খান। সকল নিদ্রা মামা বাড়ি পালিয়ে যাবে। মেহেভীন বিস্ময় নয়নে ফোনের স্ক্রিনের দিকে দৃষ্টিপাত করে আছে। মানুষটা কিভাবে বুঝল একেই বুঝি বলে হৃদয়ের টান৷ মেহেভীন ছোট করে উত্তর দিল, “ঘুমাব না। বিপরীত পক্ষ থেকে কোনো উত্তর আসলো না। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে নির্দিষ্ট সময় চলে এল। মুনতাসিম পুকুরের ধারে এসে দাঁড়িয়ে আছে। তাকে ঘিরে চারপাশে গার্ড দাঁড়িয়ে আছে। এই পুকুর পাড়ের দিকটা বেশ নিরিবিলি। এখানে সচরাচর মানুষ খুব কমই আছে। সেজন্য মুনতাসিম ভোরে মেহেভীনের সাথে দেখা করতে চাইছে। সে এই মুহুর্তে নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করে মেহেভীনের ক্ষতি বয়ে নিয়ে আসতে পারে না। কিছুক্ষণের মধ্যে মেহেভীন সেখানে এসে উপস্থিত হলো। মেহেভীনের পেছনে পেছনে আরিয়ান আসছিল। সেটা মেহেভীন টের পাইনি। সে তার নির্দিষ্ট মানুষটার কাছে পৌঁছানোর জন্য আকুল হয়েছিল। প্রভাতেরই আলো ফুটতেই ছুটে এসেছে। আরিয়ানকে দেখেই মুনতাসিমের মুখশ্রীতে আঁধার ঘনিয়ে এল। সে গম্ভীর কণ্ঠে বলল,

–আপনি মেহেভীনের পেছনে পেছনে আসলেন কি কাজে? আমি কি আপনাকে ডেকেছি! মুনতাসিমের কথায় মেহেভীন হতভম্ব হয়ে গেল। পেছনে দৃষ্টিপাত করতেই বিস্মিত হয়ে গেল মেহেভীন। আরিয়ান কখন আসলো। অস্থিরতায় কোনোকিছু না দেখেই চলে আসছে। তখনই আরিয়ানের গম্ভীর কণ্ঠ স্বর শোনা গেল,

–আমার বউকে আমি একা একা কোনো পর পুরুষের সাথে দেখা করতে দিতে পারিনা। তাই নিজের সাথে করে নিয়ে আসছি। এত নামী দামি মানুষ হয়ে এত ভোরে একটা মেয়েকে ডাকতে আপনার লজ্জা করল না। যা বলার আমার সামনেই বলুন। আরিয়ানের কথায় মুনতাসিমের চোয়াল শক্ত হয়ে এল। মুহুর্তের মধ্যে আঁখিযুগল রক্তিম বর্ন ধারণ করল। তার যদি ক্ষমতা থাকতো। তাহলে আঁখিযুগল দিয়েই আরিয়ানকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিতো।

চলবে…..

(এতদিন গল্প লিখার জন্য পাগল ছিলাম। হঠাৎ করে গল্প লিখায় মন বসাতে পারছি না। বুঝলাম আবার রাইটিং ব্লকে পড়েছি। সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত দশটার বেশি সময় লাগলো এক পর্ব লিখতে আর অন্য সময় মুহুর্তের মাঝেই হয়ে যায়। সবাই রেসপন্স করবেন বেশি বেশি যেন দ্রুত রাইটিং ব্লক থেকে বের হয়ে আসতে পারি। রাইটিং ব্লকের মতো বাজে জিনিস দু’টো নেই। একটা শব্দও ভেতর থেকে আসতে চায় না।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here