খোলা_জানালার_দক্ষিণে #পর্ব_১৫ #লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

0
610

#খোলা_জানালার_দক্ষিণে
#পর্ব_১৫
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

দিন যায়, রাত যায়, প্রহের পর প্রহর চলে যায়। তবুও নির্দিষ্ট মানুষের দেখা মিলে না। কেটে গিয়েছে দু’টো মাস। মানুষটা যেন হাওয়ার মতো মিলিয়ে গেল। সাথে তৈরি করে দিয়ে গেল একরাশ হতাশা। মনটা তীব্র ব্যথায় ছটফট করে। ভেতরটা শক্তিহীনতায় ভুগছে। এই যে সে মানুষটার জন্য যন্ত্রনায় ছটফট করছে। মানুষটার কি তার কথা একটি বারের জন্য স্মরন হচ্ছে না। মানুষ এতটা স্বার্থপর কিভাবে হতে পারে! মনটা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আজকাল কিছুই ভালো লাগে না তার। সবকিছু বিষাদ গ্রাস করে ফেলছে। যত দিন যায় মেয়েটা তত ছন্নছাড়া হয়ে যাচ্ছে। এর মাঝে রাইমা বেগম মেয়ের বাসায় এসে সাতদিন থেকে গিয়েছে। তার প্রাণবন্ত মেয়েটা হঠাৎ করে শান্ত নদীর মতো থম মে’রে গেল কেন? সেটাই তার সরল মস্তিষ্কে ঢুকছে না। মানুষ একটা বয়সে এসে একাকিত্বে ভূগে, একাকিত্ব মানুষকে ভয়ংকর ভাবে ধংস করে দেয়। মেয়েটার যথেষ্ট বয়স হয়েছে। মেয়েটাকে একটা পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ করতে হবে। তাকে হাজার বার বলা হয়েছে। কাকে বিয়ে করেছিস। সে একটাই জবাব দেয় সে বিয়ে করেনি। সবকিছু দেখে সবাই মেনেই নিল মেহেভীন বিয়ে করেনি। শরীর অসুস্থ হলে শরীরে ডক্টর দেখালে ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু হৃদয়ে যে হুটহাট রক্তক্ষরণ হয়। মনটা বাজে ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে, বিধাতা মনের ডক্টর কেন তৈরি করেনি। ভেতরটা যে যন্ত্রনায় জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে। এই উত্তপ্ত হৃদয়কে কিভাবে সে শীতল করবে।

“রাতে সূর্য থাকে না। তবুও মানুষ কেনো দিনের চেয়ে রাতে বেশি পুড়ে! আকাশ পানে চেয়ে নির্বিকার প্রশ্ন মেহেভীনের। সে তো এমন ছিল না। একটা ছলনাময়ী পুরুষ তার হৃদয় হরণ করে পালিয়েছে। তাকে করে দিয়েছে উন্মাদ ছন্নছাড়া। তার গভীর আঁখিযুগলের মায়ায় করেছে আসক্ত। শুনেছি হাত ধরলে মানুষ ছেড়ে চলে যায়। তাই সে আমার মনে ধরেছিল। আমি তাকে কিছুতেই ভুলতে পারছি না। কথাগুলো ভাবতেই বুকটা ভারি হয়ে আসলো। আজকাল অশ্রুকণা গুলো খুব সহজে চোখ ভেজাতে চায় না। নির্জন কোনো স্থানে গিয়ে ইচ্ছে মতো অশ্রু বির্সজন দিতে ইচ্ছে করে। কাউকে গভীর ভাবে আলিঙ্গন করে বলতে ইচ্ছে করে। আমি ভালো নেই। সবাই তো ভালোবাসার দায়িত্ব নেয়। তুমি না হয় আমার ভালো থাকার দায়িত্বটা নাও। কথা গুলো ভাবতেই দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল মেহেভীন। সব কষ্টের সমাধান একটাই দীর্ঘশ্বাস। যার মধ্য দিয়ে হৃদয়ের সব দুঃখকষ্ট গুলো উঠিয়ে দেওয়া যায়।

প্রভাতের আলো চারদিক চকচক করছে। ভোরের মৃদু হাওয়া শরীর, মন, মস্তিষ্ক শীতল করে দিয়ে যাচ্ছে। ফরিদ রহমান শরীরে চাদর মুড়িয়ে দু-হাত ভর্তি বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে বাসায় ফিরছে। প্রতি সপ্তাহে হাটের দিন বাজার করেন তিনি। আরিয়ান বাবার সাথে আসছিল। ফরিদ রহমানকে এতগুলো বাজার নিয়ে হিমশিম খেতে দেখে ছুটে আসলো। খপ করে বাজারের ব্যাগ দু’টো নিজের হাতে নিল। ফরিদ রহমানের গম্ভীর আঁখিযুগল আরিয়ানকে একবার পর্যবেক্ষণ করে নিল। গম্ভীর কণ্ঠে বলল,

–এসব কেমন ধরনের ভদ্রতা আরিয়ান! আমার অনুমতি না নিয়ে, তুমি কেন আমার হাত থেকে ব্যাগ কেঁড়ে নিলে?

–আপনি আমাকে নিজের ছেলে মনে করতে না পারেন চাচা। আমি আপনাকে নিজের বাবা মনে করি। আমি যে অন্যায় করেছি। তার জন্য যদি আপনি আমাকে খু’ন করে ফেলেন। আমি মুখ দিয়ে দু’টো বাক্য উচ্চারণ করব না। আপনি মুখে যতই বলুন আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আসলে আপনি আমাকে মন থেকে ক্ষমা করতে পারেননি। এভাবে আমাকে পোড়াবেন না চাচা। আমার একটা ব্যবস্থা করে দিন না হয় আমাকে ভাতের সাথে বি’ষ দিয়ে মে’রে ফেলুন। আমি যে আর অপরাধের যন্ত্রনা সহ্য করতে পারছি না। তখনই পাশে থেকে কেউ একজন বলে উঠল,

–কি দরকার ভাই অন্যের জন্য অপেক্ষা করার। আমি আপনাকে বি’ষ এনে দিব। এখনই খেয়ে ম’রে যান৷ আপনাকে আর যন্ত্রনা সহ্য করতে হবে না। জারিফকে দেখে চোয়াল শক্ত হয়ে এল আরিয়ানের। এতদিন পরে জারিফ কোথায় থেকে এল। শীতের মধ্যেও ঘামতে শুরু করল আরিয়ান। জারিফ আরিয়ানের থেকে বাজারের ব্যাগ গুলো নিয়ে হাঁটতে শুরু করল। কোমল কণ্ঠে ফরিদ রহমানকে বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার কথা জানাল জারিফ। জারিফকে ফরিদ রহমান মতো ভাবে চিনেন। বহুদিন পরে ছেলেটাকে দেখে ভিষণ আনন্দ লাগছে ফরিদ রহমানের। সে জারিফের সাথে পায়ে পা ফেলে চলতে লাগলো।

জারিফকে দেখকেই রাইমা বেগমের সমস্ত শরীরে ধপ করে আগুন জ্বলে উঠল। সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারল না। নিজের চরণের জুতা খুলে জারিফকে প্রহার করতে শুরু করল। ফরিদ রহমান কিছু বুঝতে পারল না। বিস্ময় নয়নে অর্ধাঙ্গিনীর দিকে দৃষ্টিপাত করে আছেন। তার শীতল মস্তিষ্কের অর্ধাঙ্গিনী এমন রণচন্ডী রূপ ধারণ করল কেন! রাইমা বেগম সহজে রেগে যাওয়ার মানুষ নন। সে জারিফের থেকে রাইমা বেগমকে দূরে সরিয়ে নিয়ে আসলো। জারিফ নিয়ে ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না৷ সে নিজের লুকায়িত অস্ত্র বের করতে যাবে। তখনই জারিফের মস্তিষ্ক সজাগ হয়ে উঠল। ভেতর থেকে কেউ একজন বলে উঠছে। তীরে এসে নৌকা ডুবিয়ে দিস না জারিফ। অপেক্ষার প্রহর গুলো খুব দীর্ঘায়িত হয়। এত সহজে হেরে গেলে চলবে না। ঘন ঘন গাঢ় শ্বাস নিচ্ছে জারিফ। সে বিলম্ব করল না দ্রুত স্থান ত্যাগ করল। রাইমা বেগম অস্থির হয়ে উঠেছে। ঝড়ের গতিতে শ্বাসকষ্ট এসে জানান দিচ্ছে সে চলে এসেছে। রাইমা বেগম কেমন ছটফট করতে লাগলো। আরিয়ান চিৎকার শুনে মেহেভীনদের বাসায় এসেছিল। রাইমা বেগমকে অসুস্থ হতে দেখে দ্রুত ঔষধ খাওয়ালেন। কোনো কিছুতেই যেন কাজ হচ্ছে না। অবশেষে হসপিটালে নেওয়া হলো রাইমা বেগমকে।

তাহিয়ার সামনে বসে আছে প্রাপ্তি। মুখশ্রীতে তার অন্য রকম আনন্দ প্রকাশ পাচ্ছে। অপেক্ষার প্রহর শেষ করে, কাঙ্খিত মানুষটার দেখা মিলেছে। সে যতগুলো আঘাত পেয়েছে। সবগুলো গুনে গুনে ফেরত দিবে। কালো জিন্স, টপ, সানগ্লাস পড়া মর্ডান মেয়েকে দেখে মুগ্ধ হয়েছে প্রাপ্তি। এত সুন্দর মেয়ে সে আগে কখনো দেখেনি। বিদেশের মাটিতে বড় হয়েছে বলে কথা, সুন্দর্য না থাকলে বিদেশে থাকাই তার জন্য বৃথা ছিল। তাহিয়া বিরক্তিতে মুখশ্রী কুঁচকে ফেলল। তেজী কণ্ঠে বলল,

–তোমাদের দেশে এতগুলো ধুলো বালি কেন? এজন্য বাংলাদেশ আসতে ইচ্ছে করে না। শুধুমাত্র মুনতাসিম ভাইয়ের জন্য আসি। আল্লাহ এত মানুষের মাথায় সুবুদ্ধি দিয়েছে। মুনতাসিম ভাইয়ার মাথায় কেন দেয়নি। তাকে কত করে বলি। দেশের মায়া ত্যাগ করে বিদেশে পাড়ি জমাও। তার এক কথা দেশে থাকবে। দেশের মানুষের সেবা করবে। জনগণের সেবা করে তার কি লাভ হচ্ছে। আমি তার ক্রোধের কাছে দমে যাই। সেজন্য কিছু বলতে পারি না। তুমি তো সে বাড়ির বউ তুমি মামাদের কিছু বলতে পার না।

–আমি চৌধুরী বাড়ির বউ হয়ে এসব কথা কিভাবে বলব বল। সেজন্য তোমাকে দেশে আসতে বলেছি। তোমার ভাই একজন মন্ত্রী মানুষ। তার ক্ষমতাই আলাদা। তাকে একটা বাক্য উচ্চ শব্দে বলা যায় না। আমার বিশ্বাস তুমি পারবে মুনতাসিম ভাইয়ের এলোমেলো জীবনটা গুছিয়ে দিতে। তোমাকে আমার বড় জা হিসেবে দেখতে চাই। মানুষটা প্রচুর অনিয়ম করে চলাফেরা করে। আমি তাই তুমি তাকে নিয়মের মধ্যে নিয়ে চলে আসো। তোমাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। মুনতাসিম ভাইয়ের বউ হবার জন্য প্রস্তুত তো তাহিয়া। প্রাপ্তির কথায় লজ্জায় মুখশ্রী লাল হয়ে আসলো তাহিয়ার। সে মুখে অনেক বড় বড় কথা বললেও, মুনতাসিমের বউ হবার কথা শুনলেই ভিষণ লজ্জা পায়। মেয়েটা বাহির থেকে কঠিন হলে-ও ভেতর থেকে ভিষণ বোকা। কেউ তার প্রশংসা করলে সে গলে যায়। আর অপর পাশের মানুষটাকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করতে শুরু করে।

–আমি তোমার জা-ই আমাদের বিয়ে অনেক আগেই হয়ে গিয়েছে। কথা গুলো বলেই লজ্জা লতা গাছের ন্যায় মিইয়ে গেল তাহিয়া। প্রাপ্তি বিস্ময় নয়নে তাহিয়ার দিকে দৃষ্টিপাত করে আছে। চৌধুরী বাড়ির প্রতিটি মানুষের মধ্যে কেমন জানি রহস্য লুকিয়ে আছে। প্রাপ্তি চৌধুরী বাড়ির মানুষের হিসেবে মিলাতে পারে না। মাথা কেমন জানি ঘুরছে। সে সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরাতে গিয়ে নিজেই নতুন সত্যের মুখোমুখি হয়ে গেল। মুনতাসিমকে আঘাত করার শেষ উপায় টাও জলে চলে গেল।

চারদিকে আঁধারে আচ্ছন্ন হতে শুরু করেছে। গ্রামের পরিবেশ নিস্তব্ধ হতে শুরু করেছে। বাচ্চারা নিদ্রা দেশে পাড়ি জমিয়েছে। রাত আটটা বাজার সাথে সাথে পুরো গ্রাম মরুভূমিতে পরিনত হলো। এই আঁধারের অপেক্ষায় ছিল মুনতাসিম। শহর থেকে একটু দূরে গ্রামের মধ্যে আঁকাবাকা নদীর তীরে বসে আছে সে। বিশাল নদীর সাথেই একটা বিশাল গাছ দাঁড়িয়ে আছে। গাছটা তার মতো ভিষণ একা। সেজন্য এই গাছটাকে সে ভিষণ ভালোবাসে। মৃদু চিৎকার কর্ণকুহরে আসতেই মুনতাসিম অস্বাভাবিক ভাবে হেসে উঠল। পানিতে ভিজিয়ে রাখা চরণ দু’টো তুলে উঠে দাঁড়াল। ধীরে ধীরে গভীর অরণ্যের মাঝে প্রবেশ করতে লাগলো। দিনের বেলায় এই অরণ্যে আসলে মানুষের শরীর শীতল হয়ে আসে। কিন্তু মনুতাসিমের ভয়ডর বলতে কিছু নেই! সে নিশ্চিন্তে গভীর অরণ্যের মধ্যে চলে যাচ্ছে। ছোট একটা বাড়ির দেখা মিলল। সেখানে মিরাজুল কে উল্টো ভাবে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। মিরাজুলকে দেখে মুনতাসিমের চোয়াল শক্ত হয়ে এল। সে রাগান্বিত হয়ে চেয়ারে বসলো। হুংকার ছেড়ে বলল,

–এই দুই মাসে একশো ছাপ্পান্ন বার পিছু নিয়েছিস। বারোবার কুনজর দিয়েছিস। সাতবার খারাপ স্পর্শ করার চেষ্টা করেছিস। চারবার তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিস। তোকে নিষেধ করেছিলাম। তার পেছনে থেকে সরে যা। আমার কথা শুনিসনি। উল্টো আমার না থাকার সুযোগটা কাজে লাগাতে চেয়েছিস। তুই কি ভুলে গিয়েছিস। তুই কার সাথে লাগছিস। তোকে কি মনে করিয়ে দিতে হবে।

–তুই নিজেকে কি মনে করিস মুনতাসিম। মেহেভীন তোর সবকিছু জানার পরে তোকে পছন্দ করবে। তোর মুখে থু’তু ফেলবে। চৌধুরী পরিবারকে মেহেভীন ভিষণ ভাবে ঘৃণা করে। ঘৃণা করে মিথ্যা বলা পুরুষ জাতিকে। আমি মেহেভীনকে ভালোবাসি। মেহেভীনকে যেকোনো নজরে দেখার অধিকার আমার আছে। তুই চাইলেও আমাদের আলাদা করতে পারবি না। মুনতাসিম চেয়ার থেকে উঠে বসলো। হাত দিয়ে ইশারা করতেই একজন গার্ড এসে চা’কু, লবন, ম’রি’চ দিয়ে গেল। মুনতাসিমের কখন কি চাই গার্ডগুলোর যেন সবকিছু মুখস্থ করা। মুখ দেখলেই বুঝে যায় মানুষটার এখন কি লাগবে। মুনতাসিম মিরাজুলের দিকে এগিয়ে গেল। মুনতাসিম অদ্ভুত ভাবে ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। মুনতাসিমের এমন রুপ থেকে মিরাজুলের আত্মা গলায় উঠে আসছে। শান্ত মস্তিষ্কে মিরাজুলের কাছে গিয়ে অবস্থান করল মুনতাসিম। মিরাজুলের অধর যুগল মুহুর্তের মধ্যে ফালা ফালা করে দিল। চার দেওয়ালের আবদ্ধ কক্ষে মিরাজুলের হৃদয়বিদারক চিৎকারের প্রতিধ্বনিতে পুরো কক্ষ কেঁপে উঠল। মুনতাসিম লবন আর ম’রি’চ ক্ষত স্থানে লাগিয়ে দিল। সমস্ত যন্ত্রণা যেন শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেল। মিরাজুল জ্ঞান হারালো। মুনতাসিমের মুখশ্রীতে প্রশান্তির হাসি।

–সে সজাগ হলে এক পা আর এক হাত ভেঙে দিবে। বাহিরে বের হয়ে অন্যের ফুলের দিকে কুনজর দেওয়ার সাহস যেন না পায়। সে যদি পালিয়ে যায়। তাহলে তোমাদের কে’টে কু’টি কু’টি করে লবন আর ম’রি’চ দিয়ে মাখিয়ে রোদে শুকোতে দিব। মুনতাসিমের কথার ব্যাখ্যা বুঝতে গিয়ে প্রতিটি গার্ডের হৃদয় কেঁপে উঠল। তারা ভয়ংকর কিছুর আভাস পাচ্ছে। সামনে ভিষণ রকমের খারাপ কিছু হতে চলছে। তাইয়ান ভয়ে জমে গিয়েছে। শরীর টা যেন টানছে না। এতগুলো বছর মানুষটার সাথে থেকেও মানুষটাকে বুঝতে পারল না সে। মুনতাসিমের এমন পাষণ্ড রুপ দেখলে তার কান্না করতে ইচ্ছে করে। পৃথিবীতে সে-ই একমাত্র ছেলে। যে কি-না ভয় পেলেই মেয়েদের মতো কান্না করে দেয়। এতে মুনতাসিম তাইয়ানের প্রতি বেশ বিরক্ত। কেন যে তাইয়ানের মতো বোকা ছেলেকে তার ব্যক্তিগত গার্ড হিসেবে রাখা হয়েছে।

–স্যার আপনি আমার মাথাটা কবে কা’টবেন? মুনতাসিমের মেজাজ এমনিতেই প্রচন্ড খারাপ ছিল। তাইয়ানের কথায় সে বিলম্ব করল না। দ্রুত তাইয়ানের দিকে দৃষ্টিপাত করল। মুনতাসিমের আঁখিযুগলের দিকে তাকিয়েই তাইয়ান শেষ। মুনতাসিম এক পা ফেলার আগেই তাইয়ান হওয়ার মতো মিলিয়ে মুনতাসিমের পায়ের নিচে চলে আসলো।

চলবে…..

(১০০০ রেসপন্স হলেই পরবর্তী কালকে পাবেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here